Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দুর্গ কাঁথিতে সভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের কাছেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে হয়েছিল সেই সভা। এবার সেই একই মাঠে সভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারেন শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, এখনও সভা করার অনুমতি মেলেনি প্রশাসনের তরফ থেকে, তাই এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই রেখেছে গেরুয়া শিবির। 

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার থেকেও বেশি মানুষ টানতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। ধারণা করা হচ্ছে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাবেশ হতে পারে। সভার অনুমতি পেলেই বিজেপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    কেন এই সভা?  

    গত শনিবার দুই হাই ভোল্টেজ সভায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) গড় কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উল্টোদিকে অভিষেকের লোকসভা ক্ষেত্র ডায়মন্ডহারবারে সভা করেন শুভেন্দু। দুই সভার সুই মঞ্চ থেকে নাম না করে একে অপরের দিকে নিশানা দাগেন দুই হেভি ওয়েট নেতা। 

    বিজেপি সূত্রে খবর, এবার কাঁথি থেকেই অভিষেকের অভিযোগ এবং কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)৷ সম্ভবত আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাঁথি কলেজ মাঠ অথবা কাঁথি রেল স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে সভার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। 

    কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন অভিষেক। সরাসরি করেছেন দুর্নীতির অভিযোগ৷ অভিষেক দাবি করেন, তমলুক এবং কাঁথিতে লোকসভা উপনির্বাচন হলে তৃণমূলই জিতবে৷ তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’- এই পন্থা নিয়ে চলছে বিজেপি। বিশেষত অভিষেকের তোলা অভিযোগের জবাব না দিলে বার্তা যেতে পারে বলেই মত গেরুয়া শিবিরের৷ অভিষেক এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই মৌখিক যুদ্ধ নতুন নয়৷ অতীতেও একজনের সভার পাল্টা সভা করেছেন অন্য নেতা৷ পরস্পরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন তাঁরা৷ এবার কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অভিষেককে কী জবাব দেন, এখন তাই দেখার পালা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Madhuri Dixit: ‘মেরা দিল ইয়ে পুকারে আজা’, ভাইরাল গানে নাচলেন মাধুরী দীক্ষিত

    Madhuri Dixit: ‘মেরা দিল ইয়ে পুকারে আজা’, ভাইরাল গানে নাচলেন মাধুরী দীক্ষিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এত বছর পরেও বলিউডে অতুলনীয়ই মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit)। তাঁর মতো আর কেউ নেই। সে তাঁর অসাধারণ অভিনয়ই হোক বা মনোমুগ্ধকর নাচ। আজও তিনি বলিউডের সম্রাজ্ঞী। সম্প্রতি ভাইরাল গান ‘মেরা দিল ইয়ে পুকারে আজা’ গানে নেচে ফের ভক্তদের কুপোকাত করেছেন ধক ধক গার্ল। সাদা শাড়িতে লাস্যময়ী মাধুরী ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে মাধুরী দীক্ষিত লিখেছেন, “মেরা দিল ইয়ে পুকারে আজা।” হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, “স্যাটারডে,” “স্যাটারডে ভাইবস,” “উইকএন্ড ভাইবস,” “রিলস,” “ট্রেন্ডিং রিল,” “এক্সপ্লোর,” “ড্যান্স রিল” এবং “ট্রেন্ডিং”। 

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Madhuri Dixit (@madhuridixitnene)


    মাধুরী দীক্ষিতের (Madhuri Dixit) ইনস্টাগ্রাম টাইমলাইন যথেষ্ট আকর্ষণীয়। নাচের ভিডিও হোক বা সাধারণ পোস্ট, মাধুরীর যেকোনও পোস্টই ভাইরাল হয়। সম্প্রতি তিনি নির্দেশক করণ জোহরের সাথে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে দুজনকে একটি ভাইরাল ট্রেন্ড “ভাইবিং” করতে দেখা যায়। প্রথমে হাততালি দিয়ে, তারপর মাথার ওপরের সানগ্লাস মাথা ঝাঁকিয়ে চোখের ওপর ফেলে দেওয়া এই ট্রেন্ড বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। সেই ভিডিও-ও ভাইরাল হয়।

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Madhuri Dixit (@madhuridixitnene)

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Madhuri Dixit (@madhuridixitnene)


    আরও তারকাদের সঙ্গেও ভিডিও করতে দেখা যায় মাধুরীকে। দেখুন সেই জনপ্রিয় ভিডিওগুলি। 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Madhuri Dixit (@madhuridixitnene)

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Madhuri Dixit (@madhuridixitnene)

  • Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আসাধ্য সাধন করেছেন দুর্গাপুরের অপরূপ রায় (Aparup Roy)। ইতিমধ্যেই এই বিস্ময় বালক ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানীর শিরোপা অর্জন করে ফেলেছেন। একাদশ শ্রেণির ছাত্র অপরূপ রায়ের ভাষায়, সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। আপনার পায়ের দিকে না তাকিয়ে তারার দিকে তাকানো সবসময়ই ভাল।” পরামর্শ দিয়ে বলেন, “টেনশনকে একেবারেই কাছে আসতে দেওয়া চলবে না। শুধু স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন।” 

    ইতিমধ্যেই অপরূপের (Aparup Roy) দুটি বই, রসায়নের তিনটি পেপার প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জার্নাল ও পত্রিকায়। গবেষণাপত্রগুলি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যে যে জার্নালে তাঁর  গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলি হল-বিজ্ঞান ও গবেষণার আন্তর্জাতিক জার্নাল, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন কেমিক্যাল সায়েন্সেস, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন পদার্থের জার্নাল। এই জার্নালগুলি যখন প্রকাশিত হয় তখন অপরূপ দশম শ্রেণীতে পড়তেন। 

    ২০২১ সালের মে মাসে অপরূপের (Aparup Roy) প্রথম বই, ‘সাধারণ রসায়নে সমস্যা’ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর দ্বিতীয় বই ‘মাস্টার ICSE কেমিস্ট্রি সেমিস্টার’ গত বছরেরই অগাস্টে প্রকাশিত হয়েছে।

    অপরূপের (Aparup Roy) বরাবরের লক্ষ্য বিজ্ঞানী হওয়া। রসায়নের প্রতি তাঁর নিবিড় ভালোবাসাই তাঁকে লকডাউনের ভয়ঙ্কর সময় পার করতে সাহায্য করে। অপরূপ বলেন, “লকডাউন চলাকালীন  আমি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য জলে লবণ দ্রবীভূত করার পরীক্ষাটি বেশ কয়েকবার করেছি এবং আমি কিছু নতুন পর্যবেক্ষণ করেছি, যা আমি আগে কখনও লক্ষ্য করিনি। এর জন্য আমি কয়েকজন এমআইটি বিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “যখন লকডাউন ছিল, তখন কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি, তাই আমি বাড়িতে আমার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু আরও অনেক অ্যাসাইনমেন্ট আছে, যা আমি বাড়িতে করতে পারি না। তাই, আমি এনআইটি দুর্গাপুরের রসায়ন বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখেছিলাম এবং তিনি রাজি হয়েছিলেন। তার জন্য আমার স্কুল থেকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরে আমি এটা পেয়েছিলাম এবং আমি এখন NIT-এর একটি ল্যাবে আমার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    এছাড়াও বর্তমানে টেসলাতে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। যেখানে তাঁর দুই বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি (Aparup Roy) নাসাতে গবেষণা সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।

    অপরূপ (Aparup Roy) আরও জানান যে ক্লাস সেভেন থেকেই তাঁর অনু-পরমাণুর প্রতি আগ্রহ ছিল। অপরূপ এখন JEE-র তে ভাল ফল করার জন্যে ইতিমধ্যেই কঠোর পরিশ্রম শুরু করেছেন। ভবিষ্যতে আইআইটি বম্বেতে পড়তে চান। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপরূপ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস- এর দ্বারা সম্মানিত হন। অপরূপ দশম শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।

    এছাড়া গোবর থেকে মশা নিরোধক তৈরির বিষয়েও গবেষণা করেছেন অপরূপ (Aparup Roy)। তিনি বিশ্বাস করেন, বাজারে যেই মশা নিরোধকগুলি পাওয়া যায় সেগুলি নিরাপদ নয় এবং ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই তিনি মশা তাড়ানোর জন্য নিজের ভেষজ বিকল্প তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি স্বীকৃত জার্নালে তা প্রকাশিতও হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Brain Mapping: ব্রেন ম্যাপিং করা হতে পারে আফতাব পুনাওয়ালার, কী এই পরীক্ষা?

    Brain Mapping: ব্রেন ম্যাপিং করা হতে পারে আফতাব পুনাওয়ালার, কী এই পরীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলিগ্রাফ, নারকো টেস্টের পর এবার শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) করতে পারে দিল্লি পুলিশ। ব্রেন ম্যাপিং- এর ফলে ব্রেনের পরিস্কার ছবি পাবেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রেনের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে ধরবে এই বিশেষ পদ্ধতি। যা পরবর্তীতে তদন্তে সাহায্য করবে। 

    কী পদ্ধতিতে হবে এই পরীক্ষা?

    অভিযুক্ত, যার ওপর এই ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) পরীক্ষা হবে, তাকে প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। এটা বোঝার চেষ্টা করা হবে, যে তিনি কিছু লুকোতে চাইছেন কী না। বিশেষ কিছু বিষয়ে কথা বলতে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু জায়গাকে সক্রিয় করার চেষ্টা করবেন, যেই জায়গাগুলি স্মৃতির জন্যে দায়ী। কিছু শব্দের তালিকা দেওয়া হয়ে থাকে অভিযুক্তকে। 

    এই ক্ষেত্রে (Brain Mapping) তিন ধরনের শব্দ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমত অর্থহীন কিছু শব্দবন্ধ, যার সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক থাকে না। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু শব্দ দেওয়া হয়, যার সঙ্গে মামলার সরাসরি যোগ রয়েছে। তৃতীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু শব্দ দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য। যার বিষয়ে অভিযুক্ত কিছুই জানেন না। 

    অভিযুক্তকে প্রথমে বসতে বলা হয় এবং চোখ বন্ধ করতে বলা হয়। এবার এই তিনধরনের শব্দ থেকে যখন-তখন যেকোনও শব্দ বলা হয়। ৩২ চ্যানেলের ইলেক্ট্রোড সরাসরি খুলির ওপর লাগানো থাকে। অভিযুক্তকে শব্দগুলি মন দিয়ে শুনতে বলা হয়। এই পরীক্ষায় অভিযুক্তের কোন মৌখিক প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁর মস্তিষ্ক কী প্রতিক্রিয়া (Brain Mapping) দিচ্ছে সেটাই দেখা হয়। মস্তিষ্কের কোন অংশ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে সেটাই মূলত দেখা হয় এই পরীক্ষায়। তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করেন বিশেষজ্ঞরা। 

    এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে কী আইন রয়েছে? 

    ভারতীয় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে কোনও ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর ওপর ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) , পলিগ্রাফ বা নারকো টেস্ট করা যাবে না। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া এই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট মূল প্রমাণ হিসেবেও গ্রাহ্য হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত (Brain Mapping) । এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে মেহুরুলির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাঁর সেই স্বীকারোক্তির (Brain Mapping) উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তিন বার তল্লাশি চালায়। আর এরই মধ্যে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ফলে পরবর্তীতে দিল্লি পুলিশের হাতে  আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক গড় ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সভা থেকেই শুভেন্দু বলেন, “ডিসেম্বরে ফের আসব। সঙ্গে হাতে করে লাড্ডু নিয়ে আসব।” তবে ঠিক কেন এই মিষ্টিমুখ তা পরিস্কার করেননি বিজেপি নেতা। 

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আমাদের এই সভাতেও ওরা বাধা দিতে চেয়েছিল। আমরা একটা ছোট প্যান্ডেলে সভা করেছি। এখানে মঞ্চ বাঁধা শুরু হওয়ার পর রাত ৯টার দিকে এখানকার এক কাউন্সিলরের বাহিনী এখানে ঢুকেছিল। ওদের আতঙ্কের নাম শুভেন্দু। তারা প্রথমে এসে যা করার করে দিল। পরে আরেক বাহিনী এল। তারা সব খুলে দিয়ে চলে গেল। আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন। আমি বলেছি আপনারা কেউ ঝগড়াতে জড়াবেন না। সবার মাথায় হাত প্যান্ডেল কী করে হবে। আমি রাত ১১টায় ফোন করলাম হাওড়ার এক ডেকরেটরকে। উনি বললেন আমি বিজেপির লোক, অবশ্যই সাহায্য করব। আমি বলেছিলাম, মাইক-জেনারেটর সব নিয়ে গেছে। উনি এসে প্যান্ডেল করে দিয়েছেন। ২০০-র বেশি গাড়ি আটকানো হয়েছে। ২০ হাজার কর্মীকে আটকানো হয়েছে। ১০০ গাড়ি ভাঙা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সিকিউরিটি আছে। কিন্তু আপনাদের সুস্থ হয়ে ফিরতে হবে। কারণ, আগামী দিনে অনেক বড় লড়াই অপেক্ষা করছে।” 

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “২০১৪, ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ভোট হত। কিন্তু ২০১৮ সালে এখানে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। গত এক মাসে ১৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তার পরে বলছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা।”

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিশানা দেগে বলেন (Suvendu Adhikari), “এখানকার সাংসদ সর্বভুক। কয়লা খান, বালি খান, গরু খান, স্কুলের ইউনিফর্ম খান, মদের বোতল খান। ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি দিয়ে সেখান থেকেও খেয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও কড়া নির্দেশ দিতে পারে আদালত। তদন্ত সাহায্য না করলে মানিক ভট্টাচার্য ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমন পরামর্শও দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ না খুললে দুজনকেই ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আশ্বাস বিচারপতির। 

    বিচারপতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানতে চান, প্রেসিডেন্সি জেলে শেষ কবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ? কতক্ষণ জেরা করেছে? 

    আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। জেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জন্যেই সম্প্রতি তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি যুক্ত আছেন কিনা তার খোঁজও চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে গ্রুপ ডি মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া ৫৪২ জনের মধ্যে ৩৩০ জনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে।

    বিচারপতি কী বলেন? 

    বিচারপতি আরও বলেন, “সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে তাকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন।আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন? যেমন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলং – এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।”  সিবিআই উত্তরে বলে, “সেটা বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।” বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে না নিলে তথ্য জানা সম্ভব নয়। জেলে কতক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন? আপনাদের  মাধ্যমে আমি সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে মুখ খোলার আবেদন জানিয়েছিলাম। তিনি মুখ খোলেননি। আপনারা সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপর আমি তাকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব।” বিচারপতি আরও বলেন, ”একই ধরনের নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রেও দিতে হবে।”

    মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবজের বিষয়ে সিবিআই প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উত্তরে বলেন, “রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন করুন । আমাকে কি আবার সিট পুনর্গঠন করতে হবে?”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

          

  • Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম রাজ্য মহিলা কমিশন বৃহস্পতিবার এআইইউডিএফ প্রধান তথা ধুবরির লোকসভা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে (Badruddin Ajmal) একটি নোটিশ জারি করে হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে তার বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। আজমলকে দেওয়া নোটিশে কমিশন বলেছে, রাজনীতিবিদকে তিন দিনের মধ্যে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে, তা না হলে তাকে কমিশনে হাজির হতে হবে। হিন্দু মহিলাদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অসামাজিক, যৌনতাবাদী, আপত্তিকর এবং অনৈতিক বলে অভিহিত করেছে কমিশন।

    আজমল (Badruddin Ajmal) ইতিমধ্যেই হিন্দু ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের আগে তাদের আচরণ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে প্রচুর সমালোচিত হয়েছেন। অনেকে আজমলের উর্বর জমির সঙ্গে নারীর তুলনা করাতেও আপত্তি জানিয়েছেন। হিন্দু মহিলাদের কম বয়সেই বিয়ে করা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন তিনি। এআইইউডিএফ প্রধানের মতে, বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দু মহিলাদের উচিত মুসলিম ‘ফরমুলা’ অনুসরণ করা।

    আরও পড়ুন: আজ মধ্যরাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস, লাল সতর্কতা জারি তামিলনাড়ুতে

    কী সেই মন্তব্য? 

    গত সপ্তাহে বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) বলেন, “সরকারের নির্দেশ এবং আইন মেনে, ১৮ বছরেই মুসলিম মেয়েরা এবং ২১ বছরের ছেলেরা বিয়ে করেন। কিন্তু, হিন্দুরা ৪০ বছরের আগে বিয়ে করেন না। যদিও তার আগে তারা ২-৩টি অবৈধ সম্পর্ক এবং স্ত্রী রাখেন। সেই সময়ে কোনও সন্তানের জন্ম দেন না, খরচ বাঁচান। তারপরে পরিবারের চাপে বিয়ে করেন। ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে কী পাবেন? আপনার কী করে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে?” আজমলের আরও বলেন, “১৮-২০ বছর বয়সে মেয়েদের এবং ২১ বছরেই ছেলেদের বিয়ে হওয়ার কারণেই মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিন্দুদের উচিত বিয়ের ক্ষেত্রে ‘মুসলিমদের ফর্মুলা’ ব্যবহার করা। কারণ, বাঁজা জমিতে ফসল উৎপাদন হয় না। ভাল ফসল হয় একমাত্র উর্বর জমিতে।”

    আজমলের (Badruddin Ajmal) এই মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। আজমলের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে বিজেপি। অসমের বিজেপি বিধায়ক ডি কালিতা সতর্ক করে বলেন, “এই ধরনের অপমানজনক কথা হিন্দুরা কোনও মতেই মেনে নেবে না। এই রকম অপমানজনক কথার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এবার থেকে সংযত থাকুন। আর তা করতে না পারলে বাংলাদেশ চলে যান। এটা ভগবান রাম এবং মা সীতার দেশ। এখানে বাংলাদেশিদের কোন জায়গা নেই। আপনি একজন মুসলিম এবং আমরা হিন্দু। আমাদের আপনার এবং আপনাদের কাছে শিখতে হবে না।”

    সে রাজ্যের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেন, “বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) চাইছেন সবাই ১৫-২০টা করে সন্তান জন্ম দিক। তারপরে তারা অশিক্ষিত হয়ে থাকবে, আর চুরি করবে। তারপরে ধনীরা যেন তাদের শোষণ করতে পারে।” আজমলের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। 

    যদিও এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ক্ষমা চেয়ে নেন আজমল (Badruddin Ajmal) । তিনি বলেন, “আমি কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। তবে, যদি আমার মন্তব্য কারোর আবেগে আঘাত করে থাকে তাহলে আমি আমার বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • NJAC: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    NJAC: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন (NJAC) আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে মানুষের রায়কে উপেক্ষা করেছে শীর্ষ আদালত। রাজ্যসভা অধিবেশনের প্রথম দিন এমনটাই বললেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    চলতি বছর অগাস্টে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন জগদীপ ধনখড়। এই শীতকালীন অধিবেশনেই প্রথমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করার পরেই ধনখড় তাঁর প্রথম ভাষণে বলেন, “শীর্ষ আদালতের এনজেএসি (NJAC) আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত, সংসদীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে গুরুতর আপস এবং জনগণের আদেশ উপেক্ষার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।” তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এটাই আশ্চর্যের।” 

    আরও পড়ুন: ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও

    তিনি বলেন, “রাজ্যসভা এবং লোকসভার একত্রিত হয়ে জনগণের আদেশ (NJAC) পালন করাই প্রধান দায়িত্ব। তারা এই সমস্যাটির সমাধান করতে বাধ্য এবং আমি নিশ্চিত যে দুই হাউজ তাই করবে।”

    তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে (NJAC) দেশের শীর্ষ আদালত ‘অসাংবিধানিক’ বলছে, এমন নজির বিশ্বে আর নেই!” তাঁর প্রশ্ন, “সংসদে পাশের পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইনকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। তখনই কেন প্রশ্ন তুলল না আইনসভা?”

     

    আলোচনায় এনজেএসি 

    উল্লেখ্য,  কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে বহু দিন ধরেই। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত ওই কলেজিয়ামই সম্ভাব্য বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করে। তার পরে সেই নামগুলি বিবেচনা করে সরকার। কলেজিয়ামের পুনর্বিবেচনার জন্য সরকার নাম ফেরত পাঠাতে পারে। কিন্তু কলেজিয়াম (NJAC) সেই নামগুলি ফেরত পাঠালে সরকার তা মানতে বাধ্য। 

    ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে নতুন আইন এনেছিল। কলেজিয়ামের বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (NJAC) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশে সংসদ ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাকেই বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু কলেজিয়াম (NJAC) পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, কলেজিয়ামের মধ্যে যে নিয়োগ হচ্ছে, তাতে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। আর এরপরেই ফের এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।     

  • Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তো ছিলই, এবার শিক্ষকদের বদলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Corruption) উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।” বিচারপতির নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক বদলি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। আগামী ২০ জানুয়ারি এই  মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর? 

    সোমবার পুরুলিয়ার ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠান বিচারপতি বসু। স্কুল পরিদর্শক জানান, “বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খুব খারাপ। ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি (Corruption) নিয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। বহু স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র – শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছেনা। ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গেছেন।” এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পুরুলিয়ার সব স্কুলে পড়ুয়া-শিক্ষকের অনুপাতের হিসেব চেয়ে পাঠান।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ  

    স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “পড়ুয়াদের কথা না ভেবেই শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে? এর পিছনেও কি দুর্নীতি (Corruption) রয়েছে? আদালতের পর্যবেক্ষণে বলে, এমন বদলির কারণে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে অনেক স্কুল। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় যেখানে সরকারি স্কুলই ভরসা। সেখানে এমন চললে শিশুরা সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। 

    এদিন পুরুলিয়ার ঝালদার শিক্ষক সোমনাথ মণ্ডলের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঝালদা স্কুলে ১১৫৩ জন ছাত্র আছে৷ সেখানে ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জনকে অন্যত্র বদলির অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ওই স্কুলে এখন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন ! এর পিছনে অন্য বিষয় (Corruption) আছে কিনা, খতিয়ে দেখা দরকার৷’’

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতি (Corruption) হতে পারে তা আঁচ করতে পেরে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও শিক্ষক বদলির মামলায় শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ বার শিক্ষক বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করতে পারে ইডি। থাকতে পারে মানিকের নাম। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। গত ১০ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারের ৬০ দিনের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে চার্জশিট। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিবিআইকে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককেই (Manik Bhattacharya) এই দুর্নীতির মাথা বলে দাবি করেছেন ইডি গোয়েন্দারা।

    মানিকের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে?  

    মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির প্রমাণ হাতে এসেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। এই দুর্নীতিতে জড়িত আছে তাঁর ছেলেও বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। মানিকের ছেলের দুই সংস্থাতেও দুর্নীতি থেকে পাওয়া টাকা ঢুকেছে। আর এই সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা থাকতে পারে পরবর্তী চার্জশিটে। এই দুর্নীতির টাকা মানিক কোথায় সরিয়েছেন, তারও উল্লেখ থাকতে পারে বলেই সূত্রের দাবি। 

    টাকা পাচারের মামলা হওয়ায় প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এ মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে ইডি। দুর্নীতির টাকা পাচারে মানিক ছাড়া আর কার কার নাম উঠে আসতে পারে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই মানিক প্রায় এক দশক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মুহুর্তের ঠিকানা হাজত। মানিকের মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আসবে কী না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের  
     
    ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ-মানিক (Manik Bhattacharya) যোগসাজশের বেশ কিছু প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। দু’জনের পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়েছে। মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাংকে- লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। কোনও কাজ না-করিয়েও কেন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে সৌভিকের সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। সেই লেনদেনেও দুর্নীতির আঁচ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share