Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Gujarat Election: বিজেপির রেকর্ড জয়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে গুজরাট নির্বাচনের ফল

    Gujarat Election: বিজেপির রেকর্ড জয়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে গুজরাট নির্বাচনের ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরি’- র সঙ্গে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রথম পাতার শিরোনামজুড়ে শুধুই গুজরাট নির্বাচন (Gujarat Election)। বৃহস্পতিবার, ১৫৬টি আসনে জিতে রেকর্ড গড়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। গুজরাট মসনদের ক্ষমতা টানা সাতবার ধরে রাখল তারা। তবে এই জয় ১৯৬০ সালে রাজ্যে দল গঠনের  পর থেকে সবচেয়ে বড় জয়।  

    সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস, নিক্কেই এশিয়া, আল জাজিরা, ইন্ডিপেনডেন্ট, এবিসি নিউজের মতো বড় বড় সংবাদপত্র গুজরাট নির্বাচনের (Gujarat Election) ফলাফল নিয়ে খবর করেছে। ব্রিটিশ প্রকাশনা দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ভারতীয় জনতা পার্টিকে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। এটি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের স্থায়ী জনপ্রিয়তার লক্ষণ। 

    কী লিখেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি? 

    ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Election) বিজেপি নিজেদের জয়ের রথের চাকাকে থামতে দেয়নি। জাপানের নিক্কেই এশিয়া গুজরাটের এই জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তাকে কৃতিত্ব দিয়েছে। সংবাদপত্রটিতে লেখা হয়, “মোদি রাজ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রায় ১২ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।”

    জাপানি দৈনিকটি আরও লেখে, “মোদি রাজ্যে একাধিক প্রচার সমাবেশ করেছেন, বিজেপির প্রচারে তার উপস্থিতি বড় প্রভাব ফেলেছে। গুজরাটের অনেক বাসিন্দা এই বিষয়টিতে গর্বিত যে গুজরাটে জন্মগ্রহণকারী মোদি বিশ্ব স্তরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং বাসিন্দারা তাঁকে সমর্থন (Gujarat Election) করাটা দায়িত্ব মনে করেন।” যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লেখে যে, গুজরাটে রেকর্ড জয় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য একটি বড় উৎসাহ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় গুদাবর্তি আল জাজিরাকে বলেছেন, “গুজরাটে বিজেপির এই জয় (Gujarat Election) হিন্দু ভোটের গভীর একীকরণের প্রমাণ।”      

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি তার ব্যক্তিগত ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে গুজরাটের (Gujarat Election) জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ধন্যবাদ গুজরাট। অভূতপূর্ব নির্বাচনী ফলাফল দেখে আমি আবেগাচ্ছন্ন। মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছেন এবং একই সঙ্গে এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে যে তারা এই উন্নয়নকে আরও বেশি গতিশীল দেখতে চান। আমি গুজরাটের জনশক্তিকে প্রণাম জানাই। সমস্ত পরিশ্রমী বিজেপি কর্মীদের আমি বলতে চাই- আপনারা প্রত্যেকেই একজন চ্যাম্পিয়ন! এই ঐতিহাসিক জয় আমাদের কর্মীদের ব্যতিক্রমী কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনোই সম্ভব হত না। আপনারাই আমাদের পার্টির আসল শক্তি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ayush Institutes: ১১ ডিসেম্বর তিনটি আয়ুষ ইনস্টিটিউট দেশবাসীকে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী

    Ayush Institutes: ১১ ডিসেম্বর তিনটি আয়ুষ ইনস্টিটিউট দেশবাসীকে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১১ ডিসেম্বর দেশজুড়ে তিনটি জাতীয় আয়ুষ ইনস্টিটিউট (Ayush institutes) জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মঙ্গলবার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১১ ডিসেম্বর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনটি জাতীয় আয়ুষ ইনস্টিটিউট উত্সর্গ করবেন। প্রতিষ্ঠানগুলি হল, গোয়ার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদা, গাজিয়াবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইউনানি মেডিসিন এবং দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস এই স্যাটেলাইট ইনস্টিটিউটগুলি ভারতের সাবেকী চিকিৎসাশাস্ত্র এবং গবেষণার মানকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাবে। আয়ুষ পরিষেবাকেও সহজতর করবে। 

    কী বলেন কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রী? 

    এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রী জানান যে, ৮-১১ ডিসেম্বর গোয়াতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ৯ম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে আয়ুষ (Ayush institutes) ব্যবস্থার বৈজ্ঞানিকতা, কার্যকারিতা তুলে ধরা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে সর্বানন্দ সোনোওয়াল নবম বিশ্ব আর্য়ুবেদ কংগ্রেস -এর বিষয়েও বিস্তারিত জানান। গোয়ার পাঞ্জিম-এ আন্তর্জাতিক স্তরে ৮-১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিশ্ব আর্য়ুবেদ কংগ্রেস আয়োজিত হবে। আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী ডঃ মুঞ্জা পারা মহেন্দ্র ভাই এবং মন্ত্রকের সচিব বৈদ্য রাজেশ কোটেচা সহ আয়ুষমন্ত্রকের অন্যান্য আধিকারিকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ১১ ডিসেম্বর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    আরও পড়ুন: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা? আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রী (Ayush institutes) বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানগুলির স্থাপনা হলে চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় গবেষণার সুযোগ বাড়বে এবং আরও বৃহত্তর অংশের মানুষের কাছে ন্যায্য মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ভারত সরকার দেশের প্রতিটি অঞ্চলের জনগণকে আরও উন্নত মানের  স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে।” 
     
    এই তিনটি জাতীয় আয়ুষ (Ayush institutes) প্রতিষ্ঠানে হোমিওপ্যাথি, আর্য়ুবেদ ও ইউনানি পড়ুয়াদের জন্য ৪০০ অতিরিক্ত আসন বরাদ্দ থাকবে। যারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট পাঠক্রমে পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য এই অতিরিক্ত আসনগুলি রাখা হবে। গোয়ার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আর্য়ুবেদকে, শিক্ষা, গবেষণা ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা হবে।   

    দিল্লির হোমিওপ্যাথির জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি হবে উত্তর ভারতের প্রথম এই ধরনের কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে আয়ুষ (Ayush institutes) স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে।

    উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ইউনানি ওষুধের (Ayush institutes) জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ব্যাঙ্গালোরের ইউনানি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের স্যাটেলাইট কেন্দ্র হবে। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যের জনগণের পাশাপাশি বিদেশী নাগরিকরাও এই কেন্দ্র চিকিৎসা করাতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Jagdeep Dhankhar: প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের প্রশস্তি, কী বললেন জানেন?

    Jagdeep Dhankhar: প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের প্রশস্তি, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল। মাস চারেক আগে তিনি শপথ নিয়েছিলেন দেশের চতুর্দশতম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President)  হিসেবে। উপরাষ্ট্রপতিই পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। আজ, বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নয়া ভূমিকায় তাঁকে দেখল দেশ। এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমবারের জন্য পরিচালনা করলেন অধিবেশন। আর এদিনই রাজ্যসভার নয়া চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন…

    উপরাষ্ট্রপতি পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন ধনখড়। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলকে নিয়ে কাজ করতে পারেন। আমার বিশ্বাস, আমাদের সকলকে নিয়ে উনি এগিয়ে যাবেন। ওঁর মার্গ দর্শনে আমরা সমৃদ্ধ হব।

    উপরাষ্ট্রপতির (Jagdeep Dhankhar) উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি একটি সাধারণ পরিবার থেকে এসেছেন। আপনি এখন যে মাইলফলকে পৌঁছেছেন, তা দেশের অনেক মানুষের জন্য একটি বিশাল অনুপ্রেরণা। একজন কৃষকের ছেলে এবং সৈনিক স্কুলের ছাত্র। আপনার মধ্যে কৃষক এবং জওয়ান উভয়ই রয়েছে। প্রধামনন্ত্রী বলেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুজি আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও সমাজের প্রান্তিক অংশ থেকে এসেছেন। এখন, আমাদের উপরাষ্ট্রপতি একজন কিষানপুত্র। তিনি বলেন, যেভাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী পরম্পরার সঙ্গে দেশের গৌরব বাড়াতে অনেক বড় ভূমিকা নিয়েছেন, সেভাবেই কিষানপুত্র উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আমাদের দেশের গৌরব বাড়াবেন, সাংসদদের অনুপ্রাণিত করবে। তাঁকে অনেক শুভেচ্ছা। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) যে আইনজ্ঞ, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংসদের উচ্চকক্ষে আদালতের অনুভব করবেন না ধনখড়। তিনি বলেন, রাজ্যসভায় আপনি (উপরাষ্ট্রপতি) এমন অনেকের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন, যাঁর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে আগে আপনার দেখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার ঠিক আগের দু বছর বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন ধনখড়। তখন তিনি বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন। এর পর উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হন তিনি। এনডিএ প্রার্থী ছিলেন তিনি। ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে জয়ী হন ধনখড়। তিনি পান ৫২৮টি ভোট। আর মার্গারেট আলভা পান ১৮২টি ভোট। ভোটদানে বিরত ছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের মোট ৩৪ জন সাংসদ। অগাস্টের ১১ তারিখে উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Land Acquisition: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Land Acquisition: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় আইন মেনেই। রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গুর আন্দোলনের জেরে তৈরি এই জমি অধিগ্রহণ আইন এখন মানতে নারাজ এক সময়ের সিঙ্গুর আন্দোলনের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই।

    আরও পড়ুন: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরে ব্রিটিশ আমলের জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) আইনের বদলের দাবি ওঠে দেশজুড়ে। তৎকালীন ইউপিএ ২ সরকার ২০১৩ সালে পাশ করে নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন। সেই সরকারের অন্যতম শরিক ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল তৃনমূলও। নতুন আইনে জমিদাতাকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন সেই আইনই মানতে চাইছে না রাজ্য সরকার।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের  

    এমনই অভিযোগে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিছু জমিদাতা। সেই মামলার বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ নির্দেশ দেন, রাজ্যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) জন্য জমি দিতে হবে ২০১৩ সালের অধিগ্রহণ আইন অনুসারে। এমনকী কোথাও অধিগ্রহণের বকেয়া এখনো মেটানো না হলে সেক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই আইন। সমস্ত জমিদাতার সঙ্গে কথা বলতে হবে প্রশাসনকে। ৬ মাসের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া। এই রায়ের ফলে রাজ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছেন মামলাকারী।

    সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গার হিসাবী ও মুর্শিদাবাদের আঁধারমানিক ও বাসুদেবখালি মৌজার অধিগৃহীত জমির মালিকরা এই বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত (Land Acquisition) জমির জন্য তাঁদের নতুন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। জমির দাম নিয়েও আপত্তি ছিল তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আরবিট্রেশনের জন্যও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীরা।

    রাজ্যের তরফে আইনজীবী চণ্ডীচরণ দে বলেন, “আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা সরকার মেনে নেবে।” অন্যদিকে জমিদাতাদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নিলেও (Land Acquisition) রাজ্য যেহেতু কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বিধি তৈরি করেনি, তাই এখানে তার সবকটি ধারা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়নি। এই জটিলতা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশে অন্তত এখন থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নতুন আইনের সব ধারা মেনেই ক্ষতিপূরণ ও সুযোগ পাবেন। আদালতের এই নির্দেশ দীর্ঘদিনের জটিলতা মেটাবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • High Court slams Bihar Police:  বেআইনিভাবে বুলডোজার চালানোয় বিহার পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    High Court slams Bihar Police: বেআইনিভাবে বুলডোজার চালানোয় বিহার পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভাবে বুলডোজার চালানোর অভিযোগে বিহার পুলিশকে তিরস্কার করল পাটনা হাইকোর্ট (High Court slams Bihar Police)। এক মহিলার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। বিচারপতি সরাসরি বিহার পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন, “রাজ্যের দেওয়ানি আদালতগুলি কী বন্ধ হয়ে গিয়েছে? পুলিশ, ভূমি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশে, কোনও রকম আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে।”    

    ভুমি ও রাজস্ব দফতর ও পুলিশের আধিকারিকদের ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সন্দীপ কুমার। শুক্রবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও সম্পর্কে বলতে গিয়েই এই কথা বলেন বিচারপতি (High Court slams Bihar Police)। তিনি বলেন, পুলিশ আধিকারিকদের হলফনামা পড়ে মনে হচ্ছে সব পুলিশকর্মী কিছু ভূমি মাফিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ করছেন। তারা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অবৈধভাবে আবেদনকারীর বাড়ি ভেঙে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    কী বলে আদালত? 

    ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত মন্তব্য করে, বিহার পুলিশ (High Court slams Bihar Police) কার প্রতিনিধিত্ব করে, দেশের না কোনও ব্যক্তির? পাটনার বিজয় নগরের স্থানীয় থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই মহিলা, যার বাড়ি ভাঙা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যে জমি মাফিয়াদের নির্দেশে জমি খালি করার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকের নির্দেশে স্থানীয় থানার পুলিশ বাড়িটি ভেঙে দেয়। আদালতে অভিযোগের পর পাল্টা হলফনামা দেন থানার আধিকারিক। বিচারপতি সন্দীপ কুমারের একটি বেঞ্চ প্রাথমিক পর্যালোচনায় বলেছিল আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বেআইনিভাবে বাড়িটি ভাঙা হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।    

    পাটনা হাইকোর্ট (High Court slams Bihar Police) তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, “এই ধরনের পুলিশ ও অপরাধমূলক সম্পর্ক আদালতকে উপহাস করেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির অজুহাতে একজন মহিলার বাড়ি ভাঙার এই ক্ষমতা পুলিশকে কে দিয়েছে? কোন আইন পুলিশকে এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে?”  

    বিচারপতি সন্দীপ কুমার (High Court slams Bihar Police) বলেন, পুলিশ আবেদনকারী ওই মহিলার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বেআইনিভাবে তাঁর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় পাঁচ প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশের প্রমাণও মিলেছে। আদালত এই মামলায় সকলকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর ফের শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Iran: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    Iran: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দাম পেল ইরানের (Iran) জনতার লড়াই। আমজনতার চাপের মুখে ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল তেহরান সরকার। মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর শুরু হয়েছিল লড়াই। সেই লড়াই চলে টানা তিন মাস। বহু প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে এল সেই আলোর দিন। ভাঙল শৃঙ্খল। 

    হিজাব বিরোধী আন্দোলনের জেরে ইরানে (Iran) প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। জনতা এতটাই দেশ বিরোধী হয়ে উঠেছিলেন যে, নিজেদের ফুটবল দলের হারে উল্লাস করতে দেখা যায় ইরানি নাগরিকদের। ফুটবল দলকেও ‘সরকারি পক্ষ’ ভেবে, ইরানের হারে উল্লাস করা নাগরিকদের ওপরও অত্যাচার চালিয়েছিল সেদেশের পুলিশ। কিন্তু এতেও দমে যায়নি প্রতিবাদ। দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এবার ‘নীতি পুলিশকে’ নিষিদ্ধ করল ইরান সরকার। এমনটাই জানিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা। 

    ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ- কে ইরানের (Iran) কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্তেজারি জানিয়েছেন, ওই নীতিপুলিশ কোনও দিনই ইরানের কেন্দ্রীয় বিচার ব্যবস্থার অন্তর্গত ছিল না। ইরান সরকার ওই নীতিপুলিশ বাহিনী ‘গস্ত-এ-এরশাদ’কে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন? 

    প্রতিবাদের সূত্রপাত

    প্রসঙ্গত, হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের (Iran) বাসিন্দা বছর ২২-র মাশা আমিনির। তাঁর মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদীরা তেহেরানের রাস্তায় জড়ো হন। সেখানে তাঁদের চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। ‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এই ভাষাতেই স্লোগান দেন তাঁরা। পাশাপাশি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুল কেটে ফেলেও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। 

    এখনও পর্যন্ত ইরানি (Iran) সরকারের অত্যাচারে ৪০০ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৬,৮০০ জনেরও বেশি। এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে কুর্দিশ তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু। এরপর থেকেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে সেই দেশ। তিন মাসেও এই বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি ইরানের সরকার। এবার সেই বিদ্রোহের আঁচ এসে পড়ল বিশ্বকাপের মঞ্চে। প্রসঙ্গত, আমিনির হিজাব ‘ঠিক ভাবে’ তাঁর মাথায় না থাকায় তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নীতি পুলিশ। পরে দাবি করা হয়, আমিনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আমিনির। ইরানের নীতি পুলিশ অবশ্য আমিনির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি। তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, নীতি পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয় আমিনির। এই আবহে নীতি পুলিশ তুলে দেওয়ার বিষয়টি আন্দোলকারীদের কাছে বড় জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Sidhu Moosewala: ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ধৃত সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল চক্রী গোল্ডি ব্রার

    Sidhu Moosewala: ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ধৃত সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল চক্রী গোল্ডি ব্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক তথা সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যার মূল চক্রীকে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আটক করল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এনআইএ সূত্রে খবর, গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং পঞ্জাব পুলিশের কাছে গোল্ডির আটক করার বিষয়ে খবর পাঠানো হয়েছে। কিছুদিন আগে মুসেওয়ালার বাবা এই গোল্ডির মাথার দাম ২ কোটি টাকা ঘোষণা করেন।  
     
    জানা গিয়েছে, গোল্ডিকে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে আনা হবে। মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনের দায় স্বীকার করেছিলেন গোল্ডি। আর তারপর থেকেই তাঁকে ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে পাঞ্জাব পুলিশ এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সূ্ত্রের খবর, ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের থেকে পাওয়া খবরের সূত্র ধরেই অবশেষে জালে গোল্ডি। 

    কীভাবে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ল গ্যাংস্টার?  

    গত ছয় মাস ধরে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের খোঁজ চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারার সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যাকাণ্ডের পরই কানাডা থেকে আমেরিকায় পালিয়ে যান বলে সূত্রের খবর। গত ২০ নভেম্বর থেকে ক্যালিফোর্নিয়াতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে খবর আসে। সেই মতোই ক্যালিফোর্নিয়া সরকারের সহযোগিতায় শুরু হয় তদন্ত। যদিও এখনও সরকারি তরফে গোল্ডির ধরা পড়ার কোনও খবর এখনও জানানো হয়নি।

    ২৮ বছর বয়সী গোল্ডির নামে আগে থেকেই রয়েছে একাধিক অভিযোগ। ২০১৭ সাল থেকে তিনি কানাডায় থাকেন। পড়ুয়া হিসেবে ভারত থেকে বিদেশে পাড়ি দেন তিনি। তবে পরবর্তীতে একাধিক হত্যা ও অপরাধের ঘচনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায়। বেআইনি ভাবে অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গেও জড়িত তিনি। মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যাকাণ্ডে মূল চক্রী হিসেবে তাঁর নাম সামনে  আসে। এই হত্যাকাণ্ডের দায় নিজেই স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিলেন গোল্ডি।

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    গত ২৯ মে পাঞ্জাবের মানসা জেলায় খুন করা হয় গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে (Sidhu Moosewala) । দুই বন্ধুর সঙ্গে জিপে চেপে মানসা জেলায় নিজের গ্রামে ফিরছিলেন মুসেওয়ালা। অভিযোগ সেই সময়ই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে গ্যাংস্টাররা। গুলিতে গুলিতে ঝাঁঝড়া হয়ে যান মুসেওয়ালা। এরপরেই এই ঘটনায় কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের নাম সামনে আসে। তদন্তে নেমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

  • PFI: পিএফআই-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কর্নাটক হাইকোর্ট

    PFI: পিএফআই-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কর্নাটক হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে (PFI) ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল কর্নাটক হাইকোর্ট। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কর্নাটক হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন পিএফআই-এর কর্নাটক শাখার সভাপতি নাসির পাশা। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারীরা এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে পারেননি, যাতে এই মামলাটি চলতে পারে।

    বুধবার আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন পিএফআই-এর (PFI) আইনজীবী দাবি করেন, এই গোষ্ঠীর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্তের পক্ষে কোনও যুক্তি দিতে পারেনি কেন্দ্র। তাই এই নিষেধাজ্ঞা অন্যায্য। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংখ্যালঘুদের যে মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা সেই অধিকারকে লঙ্ঘন করে। কিন্তু এই কোনও যুক্তিকেই মান্যতা দেয়নি উচ্চ আদালত।

    কী অভিযোগ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে?

    গত সেপ্টেম্বর মাসে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ-র আওতায় পিএফআই (PFI) গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার আগে দেশজুড়ে পিএফআই-এর বিভিন্ন কার্যালয় এবং নসদস্যের বাড়িতে হানা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ, অপরাধ দমন শাখা এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থার বিভিন্ন দল। প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই সময়। তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ,সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই গোষ্ঠী। পিএফআই সদস্যদের বিরুদ্ধে ১৪০০টিরও বেশি ফৌজদারী মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু মামলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের খুনের অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: তাপ বাড়ছে শহরের, ডিসেম্বরের শুরুতেও অধরাই শীত   

    গোয়েন্দাদের আরও দাবি, বিভিন্ন নিষিদ্ধ গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও যোগ ছিল পিএফআই (PFI) নেতাদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা সিমি, জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি, এমনকী, ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগ ছিল পিএফআই সদস্যদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশ-বিদেশ থেকে হাওয়ালা এবং অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করত পিএফআই।

    সেপ্টেম্বর মাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছিল, “বাইরে থেকে তহবিল এবং নীতিগত সমর্থনের জোরে, দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সংগঠন (PFI)।” বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, পিএফআই-এর অন্তত ২০ জন সদস্য ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করে, এই গোষ্ঠী সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে চরমপন্থী করার গোপন পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশের সংবিধানকেও অশ্রদ্ধা করে এই সংগঠন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

      
     

  • Abhijit Ganguly: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Abhijit Ganguly) আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এল। কমিশন পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, নবম-দশমে ভুয়ো চাকরির সুপারিশ ১৮৩টি। এবার নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই- এর দেওয়া অন্যতম নথি, কারচুপি করা ৪০ ওএমআর শিট জনসমক্ষে আনতে চায় আদালত। 

    কী দেখা যাচ্ছে ওএমআর শিটে?  

    দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় ওএমআর শিটে ৭ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পরীক্ষার্থী (Abhijit Ganguly)। যার মধ্যে সঠিক উত্তর ৫ টি। এসএসসি মেধাতালিকায় পরীক্ষার্থী মাম্পি বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। ৪৮ নম্বর কারচুপি করে বাড়িয়ে ওয়েটিং লিস্টে ২১ নম্বরে ছিলেন মাম্পি। পরবর্তীতে নিয়োগও হয় তাঁর।”

    এই নজিরবিহীন কারচুপির কথা জেনে, বুধবার আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) মন্তব্য করেন, “ছিলো রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। পুরো হযবরল! ছিলো ডিম হল প্যাঁকপেঁকে হাঁস।”

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি
     
    আর এরপরেই নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআইয়ের দেওয়া কারচুপি করা ৪০ ওএমআর শিট জনসমক্ষে আনার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত (Abhijit Ganguly)। বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, “এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ হোক এই ৪০ ওএমআর শিট। নিজেদের সই ও খাতা দেখে মিলিয়ে নিক চাকরিপ্রাপকরা।”

    আজ, বৃহস্পতিবার জানা যাবে ওএমআর শিট নিয়ে আদতে কী সিদ্ধান্ত নিল আদালত (Abhijit Ganguly)। আজ ফের এই মামলার শুনানি। ৯৫২ ওএমআর শিটে কারচুপি ধরা পড়েছে। কারচুপি সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করেছে সিবিআই। এদের মধ্যে ৭৯৬ জন ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। ১৫৬ জন রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আরও তথ্য পেশ করতে পারে সিবিআই। 

    এদিকে গতকাল আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি (Abhijit Ganguly) টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষীকে জেরা করে তাঁরা আরও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। সেই সব দুর্নীতির হদিশ পেতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রেখে তাঁরা জেরা করতে চান বলে জানিয়েছেন। 

    ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, পার্থ-অর্পিতার (Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৬৩০টি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে পেশও করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পার্থর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওইদু’জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করা হলেও মামলার তদন্তে উঠে আসা কোনও নথিই অভিযুক্তদের দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BEL Recruitment: ভারত ইলেক্টনিক্স লিমিটেডে ২৬০ শূন্যপদে নিয়োগ, বেতন ৫০,০০০ টাকা

    BEL Recruitment: ভারত ইলেক্টনিক্স লিমিটেডে ২৬০ শূন্যপদে নিয়োগ, বেতন ৫০,০০০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬০ শূন্যপদে নিয়োগ করবে কেন্দ্র সরকারের সংস্থা ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড (BEL Recruitment)। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। জেনে নিন এই বিষয়ক কিছু তথ্য। 

    বিজ্ঞপ্তি নম্বর

    12949/HR/GAD/TEPE-COMMON/2022

    আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হাইকোর্টের

    শূন্যপদ

    ট্রেনি ইঞ্জিনিয়ার: মেকানিক্যাল ৩৫, ইলেক্ট্রনিক্স: ১১২, কম্পিউটার সায়েন্স ২৫, সিভিল ৪, ইলেক্ট্রিক্যাল ৪।

    প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার: মেকানিক্যাল ২৬, ইলেক্ট্রনিক্স ৩৮, কম্পিউটার সায়েন্স ৫, সিভিল ৩, ইলেক্ট্রিক্যাল ৮।

    যোগ্যতা

    কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট থেকে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রেডে বিই/ বিটেক/ বিএসসি (চার বছরের কোর্স) ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি বা সমতুল।

    ট্রেনি ইঞ্জিনিয়ার পদের ক্ষেত্রে অন্তত ১ বছরের এবং প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে অন্তত ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

    বয়সসীমা

    টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৮ বছর এবং প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ৩২ বছর।

    ১ নভেম্বর ২০২২ তারিখের হিসেবে বয়স সম্পূর্ণ হতে হবে এবং সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? 

    পারিশ্রমিক

    প্রথম বছরে প্রতি মাসে ৩০০০০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে প্রতি মাসে ৩৫০০০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে প্রতি মাসে ৪০০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। সঙ্গে অন্যান্য ভাতা।

    আবেদনের ফি

    ট্রেনি ইঞ্জিনিয়ার পদে আবেদনের ফি ১৫০ টাকা সঙ্গে ১৮ শতাংশ জিএসটি এবং প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষেত্রে আবেদনের ফি ৪০০ টাকা সঙ্গে ১৮ শতাংশ জিএসটি।

    তপশিলি জাতি/ উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের আবেদনের ফি দিতে হবে না।

    আবেদনের পদ্ধতি

    https://jobapply.in/bel2022NOVGZB/- এই লিঙ্কে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে হবে (BEL Recruitment)। প্রার্থীর বৈধ ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।

    অনলাইন আবেদন করা যাবে ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

LinkedIn
Share