Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Delhi Murder: প্লাস্টিকে বাবার মাথা ভরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছেলে, দিল্লি হত্যার রোমহর্ষক ভিডিও প্রকাশ পুলিশের

    Delhi Murder: প্লাস্টিকে বাবার মাথা ভরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছেলে, দিল্লি হত্যার রোমহর্ষক ভিডিও প্রকাশ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষ্মী হয়েছে রাজধানী দিল্লি। শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার পর আরও এক হত্যার ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল শহর। দিল্লিতে সৎবাবাকে হত্যা (Delhi Murder) করে দেহ ১০ টুকরো করার অভিযোগে গত সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন দীপক দাস ও তার মা পুনম দাস। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। 

    ভিডিওতে দেখা যায়, দিল্লির একটি মাঠে প্লাস্টিক ব্যাগ (Delhi Murder) নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দীপক। কি‌ছুক্ষণ পর ব্যাগটি মাঠ থেকে তুলে নিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে এই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মাঠের মধ্যে তার সৎবাবার কাটা মাথা পুঁতে দিতে গিয়েছিলেন দীপক। 

    আরও পড়ুন: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?  

    জুন মাসে মায়ের কথায় সৎবাবা অঞ্জন দাসকে হত্যা (Delhi Murder) করেন দীপক। দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা ছিলেন তারা। পুনমের দাবি, অঞ্জন তাঁকে না জানিয়েই তাঁর গয়না বিক্রি করে দিয়েছিলেন। গয়না বিক্রির টাকা অঞ্জন তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পাঠাতেন। বিহারে আট ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল অঞ্জনের প্রথম স্ত্রীর। সংসার চালানোর টাকা দিতে অঞ্জন গয়না বিক্রি করেছিলেন বলে অভিযোগ পুনমের। 

    কী ঘটেছে? 

    বিষয়টি জানতে পেরেই স্বামীর ওপর রেগে গিয়েছিলেন পুনম। ছেলে দীপকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে অঞ্জনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ জানতে পারে,অঞ্জনের পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। অঞ্জন অজ্ঞান হয়ে গেলে তার গলায় কুঠার দিয়ে কোপ মেরে হত্যা (Delhi Murder) করা হয়। সারা রাত ধরে মরদেহ থেকে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার পর পরদিন সকালে ছুরি এবং অন্য একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জনের দেহ ১০ টুকরো করা হয়। তারপর সেসব পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দেন পুনম ও দীপক। পুলিশ জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্রটির খোঁজ মিললেও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি এখনো পাওয়া যায়নি। দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া দেহের অংশের ছয়টি টুকরা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

      
     

  • Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডে মৃত্যুর দায় নিতে পারে না সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টকে এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিডের ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যু হলে তার জন্য দায়ী সরকার নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকার শুধু জনস্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে উৎসাহ প্রদান করছে।  

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এক কিশোরীর মৃত্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সেই মামলার নিরিখেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, “যেকোনও মৃত্যুই মর্মান্তিক। তবে তাতে সরকারকে দোষী করা ঠিক নয়।” কেন্দ্রের তরফে দায়ের করা ২৩ নভেম্বরের হলফনামায় জানানো হয়, “যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিনেশনে উৎসাহ দিচ্ছে মাত্র। এটাও জানানো হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যতা নেই।”

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) সংক্রান্ত মৃত্যু মামলায় গত ২৯ অগাস্ট কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত। এই মৃত্যুতে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ে তার দ্বারা তদন্তের কথা বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে অটোপসির রিপোর্টও পেশ করতে বলে আদালত।

    কী বলেছে আদালত? 

    মামলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ভ্যাকসিনের জেরে মৃত্যু হয় এক বালিকার। এই কেন্দ্রের তরফে মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবি করে মৃতের বাবা-মা। এছাড়াও ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রক্রিয়ায় অসুস্থতা ঘিরে সরকারের গাইডলাইনও সামনে আনার দাবি করেছেন মামলাকারী। কেন্দ্র উত্তরে জানিয়েছে, AEFI- এর তথ্য অনুযায়ী, মেডিসিনের মতো সমস্ত ভ্যাকসিনেরও কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে গ্রহীতার কাছে এমন অপশনও রয়েছে যেখানে তিনি ভ্যাকসিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়ে তারপরে তা গ্রহণ করার। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলে কেন্দ্র। কেন্দ্র বলে, “কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত তথ্য ‘পাবলিক ডোমেনে’ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Father kills daughter: মেয়েকে খাওয়ানোর টাকা না থাকায় খুন করলেন ইঞ্জিনিয়ার বাবা

    Father kills daughter: মেয়েকে খাওয়ানোর টাকা না থাকায় খুন করলেন ইঞ্জিনিয়ার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মেয়েকে খাওয়ানোর টাকা ছিল না, তাই মেরে ফেলেছি (Father kills daugher)।” পুলিশের সামনে খুনের কথা স্বীকার করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ইঞ্জিনিয়ার বাবা। মেয়েকে কিনে দিয়েছিলেন চকোলেট- বিস্কুট। তবুও কাঁদছিল আড়াই বছরের ছোট্ট মেয়ে। খিদের জ্বালায়। খাবার কেনার টাকা ছিল না বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বাবা রাহুল পারমারের। শেষমেশ মেয়েকে বুকের মধ্যে জোরে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। 

    মেয়েকে খুনের অভিযোগে রাহুল পারামারকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরুর কোলার থানার পুলিশ। ৪৫ বছরের রাহুল গুজরাতের বাসিন্দা (Father kills daugher)। কিন্তু কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেছেন, একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু সেই কাজ চলে যায়। বিটকয়েনে বিনিয়োগও করেছিলেন তিনি। বিপুল টাকা হারেন তিনি। বাজারের প্রচুর ধার দেনা হয়ে যায় রাহুলের।

    রাহুল আরও দাবি করেন, দেনার পরিমাণ এতটাই ছিল যে, সোনার গয়নাও বিক্রি করতে হয়েছিল রাহুলকে (Father kills daugher)। নিত্য দিন পাওনাদাররা বাড়িতে হানা দিতেন। উপায় না দেখে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। 

    কী ঘটে?

    মেয়ে জিয়াকে স্কুলে দিতে যাওয়ার নাম করে তাকে নিয়ে গাড়িতে করে ১৫ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাহুল (Father kills daugher)। কিন্তু সারাদিন কেটে যাওয়ার পরেও স্বামী-সন্তান না ফেরায় রাহুলের স্ত্রী ভব্য বাগালুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু তার পর দিনই বেঙ্গালুরু-কোলার হাইওয়ের ধারে একটি হ্রদে জিয়ার দেহ উদ্ধার হয়। 

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে বেআইনি মনে করা হলেও, পাকিস্তানে এ রকম কিছু নেই”, নেশা সম্পর্কে বিস্ফোরক প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার

    জেরায় পুলিশকে রাহুল জানিয়েছেন, ১৫ নভেম্বর সকালে বেঙ্গালুরুর আশপাশে মেয়েকে গাড়িতে নিয়ে ঘোরেন (Father kills daugher)। কী ভাবে আত্মহত্যা করবেন স্থির করতে পারছিলেন না। বিশেষ করে মেয়ের সামনে আত্মহত্যা করবেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। অন্য দিকে, সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছিল। ফলে আরও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিলেন রাহুল। তিনি বলেন, “বেশ কিছু ক্ষণ এ দিক-ও দিক গাড়ি চালিয়ে ঘোরার পর শেষমেশ বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু পাওনাদারদের অশ্রাব্য গালিগালাজ, হেনস্থা বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। তার পরই হ্রদের ধারে সন্ধ্যাবেলায় গাড়ি থামিয়েছিলাম।” 

    রাহুল আরও জানান, হ্রদের কাছে গাড়ি পার্ক করে সামনেরই একটি দোকান থেকে মেয়ের জন্য বিস্কুট এবং চকোলেট কিনে এনেছিলেন (Father kills daugher)। পকেটে আর টাকা ছিল না তাঁর। মেয়েকে নিয়ে গাড়িতে কিছুক্ষণ খেলেনও। কিন্তু মেয়ে আবার খিদের জ্বালায় কেঁদে ওঠে। সেই জ্বালা সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে বুকের মধ্যে জোরে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে দাবি করেন রাহুল। এর পরই মেয়েকে নিয়ে হ্রদের জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু জল কম থাকায় বেঁচে যান। কিন্তু রাহুলের কথায় কতটা সত্যতা রয়েছে তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tantrik kills Couple: উদয়পুরে সুপারগ্লু ঢেলে মিলনরত যুগলকে খুন তান্ত্রিকের

    Tantrik kills Couple: উদয়পুরে সুপারগ্লু ঢেলে মিলনরত যুগলকে খুন তান্ত্রিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে দেশ (Tantrik kills Couple)। প্রতিদিনই প্রায় খুনের খবর সামনে আসছে। আগের দিনের ভয়ঙ্করতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে পরের দিনের ঘটনা। এ যেন এক ভয়ঙ্করতার প্রতযোগীতা। দিল্লি- উত্তরপ্রদেশের পর এবার রাজস্থানের এক হত্যার ঘটনায় শিউরে উঠল গোটা দেশ। প্রতিশোধ নিতে এক তান্ত্রিক সুপারগ্লু ঢেলে দিল এক মিলনরত যুগলের ওপর। এখানেই থেমে না থেকে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে এবং কুপিয়ে খুন করে ওই তান্ত্রিক। 

    কী ঘটেছিল

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাহুল মিনা (৩২) এবং সোনু কুঁয়ার (৩১) নামের দুই যুবক যুবতী। দুজনেই আলাদা-আলাদা জায়গায় বিবাহিত ছিলেন। দুই পরিবারেরই আস্থা ছিল ভালেশ কুমার নামের এক তান্ত্রিকের ওপর। গত সাত-আট বছর ধরে ৫৫ বছর বয়সি ওই তান্ত্রিক ভাদাবি গুদা এলাকার ইচ্ছাপূর্না শেষনাগ ভাবজি মন্দিরের বাসিন্দা। সেখানেই আলাপ হয় যুগলের (Tantrik kills Couple)। তারপরেই সম্পর্ক।

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা  

    যুবক যুবতীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল তান্ত্রিক (Tantrik kills Couple)। পরিবারের লোকজনকে সে কথা জানিয়ে দিতেই তাকে শ্লীলতাহানির মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন যুবতী। এরপরেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এক জঙ্গলে রাহুল এবং সোনুকে ডেকে পাঠায় ভালেশ। সমস্যার সমধান করার নামে যুবক-যুবতীকে তার সামনেই যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে বলে। তাঁরা সঙ্গমে লিপ্ত হলে  তাদের উপর আঠা ঢেলে গলা কেটে কুপিয়ে যুগলকে খুন করে ওই তান্ত্রিক।  

    ভালেশ দুজনকে এমন ভাবেই খুন করার পরিকল্পনা করে, যাতে খুনের পর সকলে অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে যায়। তাতে তার উপর সন্দেহ হবে না বলে মনে করেছিল সে। সেই মতোই সে দোকান থেকে ৫০ টিউব সুপারগ্লু কিনে আনে। তারপর সমস্ত আঠা একটা বোতলে ঢেলে রাখে ভালেশ (Tantrik kills Couple)। এরপরেই পরিকল্পনার মতো সঙ্গমরত দম্পতির ওপর বোতল থেকে সুপারগ্লু ঢেলে দেয় সে। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক কাজ হয় না। কিন্তু আঠায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর রাহুল এবং সোনু পরস্পরের থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করেন। আর তা করতে গিয়েই তাঁদের চামড়া ছিঁড়ে উঠে আসতে শুরু করে। রাহুলের যৌনাঙ্গ তাঁর দেহ থেকে ছিঁড়ে চলে আসে। সোনুরও গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। 

    সেই সময়ই বিপদ বুঝে রাহলের গলার নলি কেটে দেয় ভালেশ (Tantrik kills Couple)। সোনুকেও কুপিয়ে খুন করে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ নভেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সোনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল ভালেশ। আর তাতেই রাহুলের স্ত্রীকে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরে সে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। 

    তবে এই কাজের জন্য তিনি অনুতপ্ত বলেও দাবি করেছেন তান্ত্রিক (Tantrik kills Couple)। তাঁর কথায়, “আমি ভুল করেছি। এর জন্য আমার শাস্তিই পাওয়া উচিৎ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Gujarat Election: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

    Gujarat Election: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাত-সহ (Gujarat Election) গোটা দেশকে ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুজরাত নির্বাচনের প্রচারমঞ্চ থেকে এভাবেই তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামনেই গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। গুজরাতে নির্বাচনের জন্য জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি। গুজরাটে নির্বাচন যখন কড়া নাড়ছে, সেই সময় রাহুল গান্ধীদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার গুজরাতের মেহসানার একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুজরাত-সহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস আসলে স্বজনপ্রীতি, জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির মডেল।”

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত ২০ বছরে গুজরাত অনেক বদলেছে। গুজরাত (Gujarat Election) যে আর্থিক অনটনের সম্মুখীন হয়েছিল, তা বর্তমান প্রজন্ম জানেই না। এই প্রজন্ম অভাব দেখেনি। এই প্রজন্ম যাতে অভাব না দেখে, সে জন্য আগের প্রজন্ম কঠোর পরিশ্রম করেছে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (Gujarat Election) বলেন, “কংগ্রেস দেশকে ধ্বংস করেছে। তাই আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। বিজেপি এমন পক্ষপাতিত্ব ও বৈষম্যের নীতিকে কখনোই সমর্থন করেনি। এই কারণে তরুণরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছে। কংগ্রেস সবসময় জনগণকে দরিদ্র বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল যাতে তারা সরকারের উপর নির্ভরশীল থাকে।” প্রচারমঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “তরুণরা আত্মবিশ্বাসী যে বিজেপির নীতি ভবিষ্যতে তাদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করবে।”

    আর কী বললেন মোদি? 

    কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে পুলিশের গুলিতে যুবকসহ বেশ কয়েকজন কৃষক নিহত হয়েছিলেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “সেই সময় খরা সাধারণ ঘটনা ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে আমরা গুজরাতকে (Gujarat Election) সমৃদ্ধির পথে নিয়ে এসেছি। অতীতে, ভোটের সময় জল এবং বিদ্যুৎ প্রধান সমস্যা ছিল। এই বিষয়গুলিতে কথা বলি না কারণ এই জাতীয় সমস্যাগুলি আমাদের দ্বারা সমাধান করা হয়। কংগ্রেসের শাসনকালে বিদ্যুতের সংযোগ পেতে জনগণকে ঘুষ দিতে হত। পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য, আমরা নতুন ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন এবং ট্রান্সফরমার স্থাপন করে বিদ্যুৎ খাতে সংস্কার শুরু করেছি। দুই দশক আগে মাত্র ৫ লক্ষ কৃষি সংযোগ থেকে, গুজরাতে এখন এই ধরনের ২০ লক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে।”

    উল্লেখ্য, ১৮২ টি আসনের গুজরাত নির্বাচন (Gujarat Election) এখন জাতীয় রাজনীতিতে হট কেক। তবে শুধু কংগ্রেস নয় গুজরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে আম আদমি পার্টিও। এবারের গুজরাত  বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কোন দল হাসবে শেষ হাসি, এখন তাই দেখার পালা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

  • Delhi Murder: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক

    Delhi Murder: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার রেশ এখনও কাটেনি। ফের এক মর্মান্তিক ঘটনার (Delhi Murder) সাক্ষী হল রাজধানী দিল্লি। মাদকে নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে রিহ্যাব কেন্দ্রে গিয়েছিল এক যুবক। বাড়ি ফেরার পরদিনই মাদকাশক্ত অবস্থায় গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল সে। বাড়িতেই বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। খুন করার পর পালানোর চেষ্টা করলে আত্মীয়ারা যুবককে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের বয়স ২৫ বছর। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকের নাম কেশব। মাদকের নেশায় পড়াশোনা ভুলেছিল সে। চাকরিতেও ছিল অনীহা। তা এই সর্বনাশা নেশা থেকে ছেলেকে মুক্ত করতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেখে এসেছিল তার পরিবার। সোমবারই রিহ্যাব সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরে কেশব। এরপর মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা বাধে তার। জানা গিয়েছে, মাদক দ্রব্য কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল যুবক। যা দিতে অস্বীকার করে বাড়ির লোকেরা। এর পরেই একে একে বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে খুন করে সে।

    চিৎকার শুনে পুলিশকে ফোন করেন প্রতিবেশী 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক আসক্তির জন্যেই দীপাবলির সময় চাকরি খোয়া যায় যুবকের। খুনের সময়ও নেশাগ্রস্ত ছিল সে। ওই অবস্থায় ঠাকুমা দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দিনেশ কুমার (৫০), মা দর্শনা (৪২) ও বোন উর্বশীকে (১৮) নৃশংস ভাবে হত্যা করে সে। দিনেশ ও দর্শনার দেহ পুলিশ উদ্ধার করে বাথরুম থেকে। অন্য একটি ঘরে ছিল দিওয়ানা দেবী ও উর্বশীর দেহ। খুনের পর পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। যদিও আত্মীয়-প্রতিবেশীরা যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাদের কাছে ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, পাশের বাড়ি থেকে আর্তচিৎকার শোনা যাচ্ছে একাধিক মানুষের। হয়তো সেখানে ভয়ঙ্কর কোনও ঘটনা ঘটেছে। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান গোটা ঘর রক্তে ভাসছে, চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশকে দেখতে পেয়েই অভিযুক্ত যুবক পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

     

  • Kashmiri Pandits: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    Kashmiri Pandits: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কাশ্মীরি ফাইলস’- এর সমালোচনা করে বিতর্কে ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাফ লাপিড। ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরির ভূমিকায় ছিলেন লাপিড। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবির কড়া সমালোচনা করে ছবিটিকে, ‘প্রোপাগন্ডা’ এবং ‘ভালগার’ আখ্যা দেন। তাঁর মতে, এই ছবি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর উপযুক্ত নয়। আর তাতেই ফুঁসে ওঠেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা (Kashmiri Pandits)। 

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা পুলিশ কমিশনার হলেন আইপিএস লক্ষ্মী সিং

    জম্মুর কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বলেন, কাশ্মীর ফাইলসে যা দেখানো হয়েছে, তা মাত্র ৫ শতাংশ। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) সঙ্গে উপত্যকায় কী হয়, তার ৯৫ শতাংশ সিনেমায় দেখানো হয়নি। নাদাভ লাপিড যে মন্তব্য করেছেন, তা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ক্ষতে নুন ছেটানোর সমান বলেও মন্তব্য করেন যোগেশ পণ্ডিত নামে জম্মুর এক বাসিন্দা। চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলি পরিচালকের বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা পর্যন্ত রুজু হয়েছে। 

     

    এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল ভারতে অবস্থিত ইজরায়েল হাই কমিশন (Kashmiri Pandits)। ভারতবাসীর কাছে ক্ষমা চান ভারতে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত নায়োর গিলন, ভর্ৎসনা করেন নাদাভকে। নিজের মন্তব্যের সাফাই দিয়ে লাদাফ বলেন, “ওই ধরনের মন্তব্য করা আমার জন্য সহজ ছিল না। আমি অতিথি ছিলাম। এখানে আমি জুরি প্রধান। আমার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করা হয়েছে। … আমার মধ্যে একটি শঙ্কা এবং অস্বস্তি কাজ করছিল। এরপর বিষয়টি কোন দিকে এগোবে তা বুঝতে পারিনি। ফলে কিছুটা শঙ্কা নিয়েই আমি মন্তব্য করেছিলাম।”

    পরিচালক আরও বলেন, “আজকাল বিভিন্ন দেশে মানুষজন বাক স্বাধীনতা হারাচ্ছে (Kashmiri Pandits)। মন খুলে মনের কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। তাই কাউকে না কাউকে তো উদ্যোগী হতেই হবে। আমি যখন এই ছবিটা দেখি তখন আমি এই প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ইজরায়েলের তুলনা টানতে বাধ্য হই। আমার অন্তরআত্মা আমাকে বলে ওই কথাগুলো বলা উচিৎ।”

    চলচ্চিত্র উৎসবে কী বলেন লাদাফ? 

    মঞ্চে ইজরায়েলি পরিচালক বলেন, “আমরা প্রত্যেকে খুব অস্বস্তিবোধ করেছি, হতবাক হয়েছি কাশ্মীর ফাইলস (Kashmiri Pandits) দেখে। সকলের কাছেই এটা একটা অশ্লীল প্রোপাগান্ডা ছবি বলে বিবেচ্য হয়েছে…. . আমি প্রকাশ্যেই নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিতে স্বচ্ছন্দ, আর আমার মনে হয় এই সমালোচনামূলক আলোচনাকে গ্রহণ করাই এই চলচ্চিত্র উৎসবের আসল স্পিরিট।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Cyber Attack: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের

    Cyber Attack: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার হানার (Cyber Attack) শিকার এইমস হাসপাতালের ওয়েবসাইট। এইমসের ডিজিটাল হেলথকেয়ার সার্ভিসে ঘটেছে এই সাইবার হামলা। ঘটনাটি ঘটেছে সপ্তাহের শুরুতে। শুরু হয়েছে তদন্ত। এই হামলার পিছনে বিদেশি চক্রের যোগ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। আপাতত তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সাত দিন ধরে বন্ধ রয়েছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের  দিল্লির সার্ভার। আপাতত হাসপাতালের ই-ডেটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনও বিপদে রয়েছে ৩ কোটি মানুষের তথ্য। ডেটা পুনরুদ্ধার করার আগে নেটওয়ার্ক ‘স্যানিটাইজড’ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের সাইবার হামলা না হয়, তার জন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

    সার্ভার (Cyber Attack) ডাউন থাকায় জরুরী, বহির্বিভাগ এবং ল্যাবরেটরি উইংগুলিতে রোগী পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলি ম্যানুয়ালি পরিচালনা করা হচ্ছে। সোমবার নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন এইমসের সার্ভার ডাউন ছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গত বুধবার সকালে হওয়া এই হ্যাকার-হামলার জেরে প্রায় ৩-৪ কোটি রোগীর ডেটা লস হয়ে থাকতে পারে।  

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    বুধবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে হয়েছে এই সাইবার হানা (Cyber Attack)। এই হামলার ফলে এইমস-এর ব্যাক-আপ সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। সাইবার হামলাকারীরা হাসপাতালের রোগীদের ডেটা সিস্টেম হ্যাক করে। যেখানে রোগীদের রুটিন অ্যাক্টিভিটিজ সংক্রান্ত তথ্যই লিপিবদ্ধ থাকে। তদন্তকারীরা হৃত তথ্য উদ্ধার করার চেষ্টা করছে হাসপাতাল। ই-হসপিটাল এবং ল্যাব ইনফরমেশন পোর্টাল থেকেও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। তথ্যগুলি খুবই সেন্সেটিভ বলে দাবি করেছে হাসপাতাল। এর মধ্যে আসলে দেশের একবারে প্রথম শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে  রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশিদের অসুস্থতা বিষয়ক জরুরি তথ্য। 

    তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটা নেগোশিয়েশন চাইছে বলে জানা গিয়েছে। একটা প্রোটোনমেল অ্যাড্রেস ওখানে পাওয়া গিয়েছে। তবে ঠিক কী দাবি, তা স্পষ্ট হয়নি। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এর একটা আভাস মিলেছে মাত্র। এইমস-এর মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কোনও হাসপাতালের ওয়েবসাইটে এই ধরনের অ্যাটাক (Cyber Attack) এই প্রথম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

  • China Covid: বিক্ষোভ কমাতে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাচ্ছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    China Covid: বিক্ষোভ কমাতে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাচ্ছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে চিন (China Covid)। শি জিনপিং- এর ‘জিরো কোভিড পলিসি’, তাঁর বিরুদ্ধে দেশের জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। বন্দিদশায় আর থাকতে চান না চিনা নাগরিকরা। রাজপথে ‘হয় স্বাধীনতা দাও, না হলে মৃত্যু” শ্লোগান তুলেছেন দেশের তরুণরা। জিংজিয়াং, বেজিং সর্বত্রই একই ছবি। বিক্ষোভ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে চিন প্রশাসন। এই বিক্ষোভের প্রথম সারির মুখ তরুণ প্রজন্ম। আর সেই বিক্ষোভের আগুনে জল ঢালতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

    শেষ কয়েক দশকে এই প্রথম বারের মতো চিনের (China Covid) কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাস্তায় নেমেছে কাতারে কাতারে মানুষ। চিনের হাজার হাজার মানুষ চিনা কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করে প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে ‘গদি ছাড়া’র দাবি তুলেছে। তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। চিনের জনতাকে ঘরবন্দি করে রেখেছে প্রশাসন। শি জিনপিং- এর পদত্যাগ দাবিতে সরব হয়েছে চিনের নাগরিক। 

    তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। নিয়মিত কোভিড পরীক্ষা, কড়া লকডাউন বিধির ভার, কঠোর সেন্সরশিপ এবং সব কিছুর উপর কমিউনিস্ট পার্টির হস্তক্ষেপ—এই সব থেকেই মুক্তির দাবি তুলেছেন সে দেশের মানুষ। এদের মধ্যে তরুণ-যুব পড়ুয়াদের সংখ্যাই বেশি। স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাওয়ার দাবিতে যেন অনেকটা সাহস বুকে ভর করে রাস্তায় নেমেছেন সে দেশের তরুণ প্রজন্ম।  তাই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে চায় জিনপিং (China Covid) প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির

    সাধারণ মানুষের (China Covid) অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার এখনও করোনা-শূন্য নীতি থেকে সরে আসেনি। অর্থাৎ, দেশে করোনা সংক্রমণ শূন্য না হওয়ার পর্যন্ত কড়াকড়ি বন্ধ থাকবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের রোজগারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে।

    সম্প্রতি জিনঝিয়াং প্রদেশে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। ওই প্রদেশের রাজধানী উরুমকিউই-এর একটি বহুতলে গত বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। তাতে প্রাণ হারান দশ জন চিনা নাগরিক (China Covid)। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তালাবন্দি থাকার জন্যই অনেকে আবাসন ছেড়ে বেরোতে পারেননি। আগুন লেগে যাওয়ার পরেও অনেকে ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। চিনা প্রশাসন যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শি জিনপিং- এর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ইতিমধ্যেই সে দেশের সমস্ত বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফের আদালতে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হল পার্থ-অর্পিতাকে (Partha Chatterjee)। আদালতে জামিনের আর্জি জানাননি পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী। জামিনের আবেদনের রায়দান রিজার্ভে রেখেছে আদালত। আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষীকে জেরা করে তাঁরা আরও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। সেই সব দুর্নীতির হদিশ পেতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রেখে তাঁরা জেরা করতে চান বলে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    ইডির দাবি 

    পার্থ (Partha Chatterjee) ও অর্পিতার নামে মোট ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইডির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “পার্থ ও তাঁর সহযোগীর ৪৮.২২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগেই অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে মোট ৪৯.৮০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনাদানার বাজারমূল্য ৫.০৮ কোটি টাকারও বেশি। সব মিলিয়ে মোট ১০৩.১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। 

    ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, পার্থ-অর্পিতার (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৬৩০টি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে পেশও করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পার্থর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওইদু’জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করা হলেও মামলার তদন্তে উঠে আসা কোনও নথিই অভিযুক্তদের দেওয়া হয়নি তদন্তে উঠে আসা নথি অভিযুক্তদের হাতে দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

LinkedIn
Share