Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লক প্রশাসনের থেকে বেশি সুযোগ পাচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটের আগে পঞ্চায়েতের সর্বনিম্ন স্তরের পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণ নিয়ম মেনে হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাই এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর? 

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে তপসিলি জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত তথ্যে গরমিল করার সুযোগ রয়েছে ব্লক প্রশাসনের। আর এই কাজ তারা করছে রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করতে। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে জবাবও দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতেও সন্তুষ্ট নন বিরোধী দলনেতা।

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটি ট্যুইট করেছি। নির্বাচন কমিশনের ঠিক করে দেওয়া সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি দিয়েছিলাম। আমায় জবাবি চিঠি দেওয়া হয়ছে। কিন্তু সেই জবাব সন্তোষজনক নয়। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্রুত করতে চায় তাই রোস্টার দ্রুততর করতে গিয়েই এই গরমিল। আমরা আইনি পথে যাব।”

     



     

    সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আদালতেই জবাব দেবে বলে পাল্টা জানিয়েছে তারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    Partha Chatterjee: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ (Partha Chatterjee) নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৭ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। ১২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক রানা দাম।  

    সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ (Partha Chatterjee) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ৭ জন জামিনের আবেদন করেন আদালতে। বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ-সহ বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবী। এবারও মঞ্জুর হল না সেই আবেদন। এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের ‘ক্ষমতাশালী’ ‘পরিকল্পনাকারী’ এবং ‘ষড়যন্ত্রী’ বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই দাবি থেকেই আদালতে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধীতা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অন্য দিকে, পার্থর আইনজীবী সেলিম রহমান দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের নাম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার এফআইআরে নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিৎ আদালতের। এই প্রেক্ষিতে পার্থর আইনজীবীর প্রশ্ন, “তদন্তের নামে আর কত দিন এ ভাবে বন্দি থাকতে হবে আমার মক্কেলকে?” তিনি এ-ও দাবি করেন সিবিআইয়ের তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। আইনজীবীর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি সব ঠিক করছে না।’’

    আরও পড়ুন: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কী বলেছে সিবিআই 

    তবে সিবিআই এর আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছে। সিবিআই-এর তরফে সওয়াল করা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বাকি অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে, সেই কারণ দর্শিয়ে তাঁরা ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানান সিবিআই-এর আইনজীবী। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে অভিযুক্তদের আপাতত জেল হেফাজতে রাখারই সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। 

    এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। বিচারক সিবিআই-এর দুটি মামলারই তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চান, এই মামলার তদন্ত কবে শেষ হবে? আইও জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা তদন্ত করছেন। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ তাঁরা হাইকোর্টে জমা করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার টেটে (Primary TET) বসতে পারে স্পেশ্যাল বিএড প্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি মেনে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ এবং টেট পরীক্ষায় বসার আবেদন নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয় স্পেশাল বিএড’রা। নিয়োগ এবং পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রায় ৫০ জন প্রার্থী। আপাতত আসন্ন টেট পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেল স্পেশাল বিএডরা। এই প্রথম বিএডদের পাশাপাশি পরীক্ষায় বসবে স্পেশাল বিএড। প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের শুনানি ৬ ডিসেম্বর।   

    উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার এই নির্দেশ দেন। বিএড-রা যদি প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষায় বসতে পারেন, তাহলে বিএড স্পেশালরা নয় কেন? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্যে বিএড ও বিএড স্পেশালদের একই গণ্য করা হয়। কিন্তু এই রাজ্যে সেটি হয় না বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এই নিয়ে মামলায় শুক্রবার বিএড স্পেশাল চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক টেটে বসার সুযোগ দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর  

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, বিএড স্পেশাল যে ক্যান্ডিডেটরা ফর্ম ফিল আপ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে অ্যাডমিট কার্ড দিতে হবে। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষা রয়েছে। প্রায় ৬ বছর পর টেট পরীক্ষায় আয়োজন হচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু এই পরীক্ষায় স্পেশাল বিএড-এর জন্য কোনও অপশন দেওয়া হচ্ছিল না। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের বিএড হিসেবেই আবেদন করতে হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএড স্পেশালরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সেই নিয়েই মামলা করা হয়েছিল আদালতে।

    স্পেশ্যাল বিএড কী? 

    বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিতদের স্পেশ্যাল বিএড বলে। তাঁদের দাবি, দেশের একাধিক রাজ্য রয়েছে, যেখানে বিএড এবং বিএড স্পেশালদের একই সারিতে রাখা হয়। এমন অবস্থায় তাঁদের প্রশ্ন, টেটে বিএড উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারলে, বিএড স্পেশালরা কেন অংশ নিতে পারবেন না? তাঁদের বক্তব্য, টেট পরীক্ষায় তাঁদেরও সুযোগ দেওয়া হোক। এমনকী তাঁদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই স্পেশাল স্টুডেন্ট থাকে। সেক্ষেত্রে বিএড স্পেশালরা যদি সুযোগ পান, তাহলে স্পেশাল স্টুডেন্টদের (Primary TET) পড়ানোর ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যাবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     
  • Manab Mukherjee: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়

    Manab Mukherjee: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘ দিন ধরেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। অবশেষে হল না শেষ রক্ষা। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় (Manab Mukherjee)। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। বহুদিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। দু’‌বার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। প্রথমবার হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক জীবন থেকে অব্যহতি নিতে হয়েছিল চিকিৎসকের পরামর্শেই। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার–সহ অন্যান্যরা।

    আরও পড়ুন: আগেই ছিল হাইকোর্টের নির্দেশ, এবার ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল পর্ষদ

    কী জানিয়েছে হাসপাতাল?

    হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি (Manab Mukherjee)৷ আজ সকালে বাড়িতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ জরুরি বিভাগে তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সমস্ত লড়াই। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে মানব মুখোপাধ্যায়ের৷

    জানা গিয়েছে, সকাল ১১.১০ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন (Manab Mukherjee)। ১১.৪৫ নাগাদ হাসপাতালে আনার পথেই প্রয়াত হয়েছেন।  চক্ষুদানের পর পিস ওয়ার্ল্ডে মরদেহ রাখা হবে। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর সকাল ১০ টায় বেরিয়ে বেলেঘাটা পূর্বতন জোন অফিস, ১১টায় পার্টি রাজ্য দফতর , ১১.৩০ টায় জেলা দফতর হয়ে বেলা ১২.৩০ টায় মিছিল করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দেহদান করা হবে। 

    সিপিআইএমের নেতা হিসেবে বরাবরই ছিলেন প্রথম সারিতে। মানব মুখোপাধ্যায় (Manab Mukherjee) সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে বেলেঘাটা থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হন। বাম আমলে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। সাংবাদিকদের সঙ্গেও সখ্যতা বজায় রেখেছিলেন বরাবর। ২০১৭ সালে কলকাতা জেলা সিপিআইএমের সম্মেলনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কল্লোল মজুমদারের কাছে হেরে গিয়েছিলেন মানব মুখোপাধ্যায়। 

    বিতর্ক পিছু ছাড়েনি

    তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্নেহের পাত্র ছিলেন বলে, সমসাময়িকদের তির্যক মন্তব্যেও বিদ্ধ হতে হয়েছে বার বার। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী (Manab Mukherjee) থাকার সময়ই তাঁর চশমার দাম খবরের শিরোনাম হয়ে ওঠে। সমালোচিত হন দলের অন্দরেও। মার্ক্সবাদী তত্ত্বে বিশ্বাসী সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে দামী চশমা পরার অভিযোগ ছিল।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি করার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।   

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করে বলেন, “কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা দলের লোকদের পাইয়ে দিতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করেছে তৃণমূল। ভুয়ো নথি বানিয়ে টাকা আত্মসাত্‍ করা হয়েছে।” গত ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিওর এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় বেশি জবকার্ড রয়েছে। এমনকি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।   

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে বলে, “একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের হলফনামা পেশ করতে হবে।” কেন্দ্রের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর, কেন্দ্রের টাকা তছরুপ করা সংবিধান বিরোধী।” রাজ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে, এই ধরনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। কেন্দ্রের টাকা যেভাবে ইচ্ছেমতো তছরুপ করা হয়েছে তা আইন বিরুদ্ধ। সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।” অ্যাডভোকেট জেনারেলের পাল্টা দাবি, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। মামলাকারী ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে আমরা হলফনামা দিয়ে সমস্ত বক্তব্য জানাতে চাই।” হলফনামা দেওয়ার জন্যে রাজ্যের আইনজীবী দুসপ্তাহের সময় চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    কী জানিয়েছে আদালত? 

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকেও নিজের বক্তব্য জানাতে বলে। ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।                  

     

  • Dhoni-Hardik Dance: হার্দিক-বাদশাদের সঙ্গে নাচছেন ধোনি, মুহূর্তেই ভাইরাল ভিডিও

    Dhoni-Hardik Dance: হার্দিক-বাদশাদের সঙ্গে নাচছেন ধোনি, মুহূর্তেই ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অন্য মেজাজে ধরা দিলেন ক্যাপ্টেন কুল। দুবাইতে জমিয়ে পার্টি করলেন ক্রিকেট তারকারা। ধোনি (MS Dhoni), হার্দিক পান্ডিয়াদের (Hardik Pandya) সঙ্গে ডান্স ফ্লোরে হুল্লোড় করলেন জনপ্রিয় র‍্যাপার বাদশাকেও। শনিবার রাতে দুবাইয়ের এক জন্মদিন পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ২২ গজের তারকারা। সেখানেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নাচতে দেখা গেল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, হার্দিক পান্ডিয়া (Dhoni-Hardik Pandya Dance Video), ক্রুনাল পান্ডিয়া (Krunal Pandya) সহ আরও অনেককে।  

    আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ছে দেশ, সুনকের বাগানে ১৬ কোটির মূর্তি দেখে ক্ষুব্ধ জনতা

     

    পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কুলের স্ত্রী সাক্ষী ধোনিও। সাক্ষী নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করেন সেই পার্টির বিভিন্ন ছবি। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেইসব ছবি। সিদ্ধার্থ মলহোত্রা (Sidharth Malhotra) এবং ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘বার বার দেখো’ (Baar Baar Dekho) ছবির জনপ্রিয় ‘কালা চশমা’ গানে র‍্যাপ করতে দেখা যাচ্ছে বাদশাকে। আর তাতেই কোমর দোলালেন ক্রিকেটাররা। ধোনিকে ( (Dhoni-Hardik Pandya Dance Video)) সচারচর এমন অবতারে দেখা যায় না। পার্টি, গেট টুগেদার থেকে নিজেকে দূরেই রাখেন তিনি। কিন্তু এদিন  দুবাইয়ে (Dubai) পার্টি মুডে প্রিয় ধোনিকে দেখে বেশ উৎসুক ভক্তকুল।    

    দেখুন সেই ভিডিও

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by MS Dhoni FC 🔵 (@bleed.dhonism)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • Rishi Sunak: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ছে দেশ, সুনকের বাগানে ১৬ কোটির মূর্তি দেখে ক্ষুব্ধ জনতা

    Rishi Sunak: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ছে দেশ, সুনকের বাগানে ১৬ কোটির মূর্তি দেখে ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) দফতর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে বসানো হয়েছে একটি ধাতুর ভাস্কর্য। এটি কিনতে দেশটির সরকার খরচ করেছে ১৫ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড। যা  ভারতীয় প্রায় ১৬ কোটি টাকার সমান। ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্চের। আর এত টাকা খরচ করে ভাস্কর্য কেনায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ঋষি সুনক এ বাগানটি নতুন করে সাজাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে এখানে বসেছে নতুন ভাস্কর্য।     

    যুক্তরাজ্যের (Rishi Sunak) সংবাদমাধ্যম দ্য সানের খবর অনুযায়ী, বিখ্যাত ভাস্কর হেনরি মুর ১৯৮০ সালে ‘ওয়ার্কিং মডেল ফর সিটেড ওমেন’ নামের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন। এটি গত মাসে নিলামে তোলা হয়েছিল। সেই নিলাম থেকে ভাস্কর্যটি কিনে নেয় যুক্তরাজ্যের সরকারি আর্ট কালেকশন বিভাগ। এজন্য তারা খরচ করে ১৫ লক্ষ পাউন্ড।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও 

    যুক্তরাজ্যে (Rishi Sunak) যখন মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, সাধারণ মানুষকে আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে এবং তাদের নিজেদের খরচ কমাতে হয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রীর বাগানের জন্য ১৬ কোটি টাকা দিয়ে ভাস্কর্য কেনার বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি দেশের জনতা।

    কী বলল প্রধানমন্ত্রীর দফতর?   

    দ্য সানকে একজন ভাস্কর (Rishi Sunak) বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “মুরের খুবই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পকর্ম এ ভাস্কর্যটি। কিন্তু তবুও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এটিকে অযথা খরচ হিসেবেই ধরা হবে।”

    সমালোচনা হওয়ার পরে এ নিয়ে মুখ খুলেছে প্রধানমন্ত্রীর (Rishi Sunak) দফতর। তাদের বক্তব্য, “ভাস্কর্য কেনায় কোনও রাজনীতিবিদ জড়িত ছিলেন না।” বৃহস্পতিবার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে এটি বসানো হয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গত ৪০ বছর ধরে মুরের ভাস্কর্য রয়েছে। যেগুলো মাঝে মাঝে পরিবর্তন করা হয়।     

    এদিকে যুক্তরাজ্যের (Rishi Sunak) আর্ট কালেকশন বিভাগের মালিকানায় রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার মূল্যবান শিল্পকর্ম। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতর এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাদের এসব শিল্পকর্ম রাখা আছে।  

    ভাস্কর্যটির (Rishi Sunak) নিলাম সংস্থা ক্রিস্টির ওয়েবসাইট অনুসারে, ভাস্কর্যটি গর্ভধারণ তথা মাতৃত্বের শক্তিশালী অনুভূতি প্রকাশ করে। হেনরি স্পেন্সার মুর ১৯৮৬ সালে মারা যান। তাঁকে ২০ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ শিল্পীদের একজন বলে মনে করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Canada: কানাডায় ট্রাক পিষে দিল ভারতীয় পড়ুয়াকে

    Canada: কানাডায় ট্রাক পিষে দিল ভারতীয় পড়ুয়াকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) একটি পিকআপ ট্রাক পিষে দিল এক ভারতীয় ছাত্রকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সাইকেল করে রাস্তা পার হওয়ার সময় ২০ বছর বয়সী ওই ছাত্রকে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার টরোন্টো শহরের ইয়ং স্ট্রিট এবং সেন্ট ক্লেয়ার অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে। দুর্ঘটনা ঘটার পর জরুরি পরিষেবার মাধ্যমে ওই ছাত্রকে বাঁচানোর সম্পূর্ণ চেষ্টা করা হয়।  

    গুরুতর চোট পান ওই ভারতীয় পড়ুয়া। মৃত্যু হয় তাঁর। ২০২১ সালে ভারত থেকে কানাডায় (Canada) এসেছিলেন কার্তিক সাইনি নামে ওই ছাত্র। কানাডার শেরিডান কলেজের ছাত্র ছিলেন কার্তিক। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষও। জানা গিয়েছে, কানাডায় তদন্ত সম্পূর্ণ হলেই মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে আসা হবে ভারতে। টরোন্টো পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত চলছে। ঠিক কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা গেলেই মৃতদেহ ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    বিদেশের মাটিতে মৃত্যু ভারতীয় তরুণের

    গত বুধবার বিকেলে সাইকেল নিয়ে একটি রাস্তা পেরোনোর চেষ্টা করছিলেন ওই ছাত্র (Canada)। পিছন থেকে একটি মালবাহী ট্রাক এসে ধাক্কা মারে তাঁকে। ছিটকে পড়ার পরিবর্তে ট্রাকেরই একটি অংশের সঙ্গে আটকে যান কার্তিক। সেই অবস্থাতেই কার্তিককে টানতে টানতে এগিয়ে চলে ট্রাক। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর কার্তিক আটকে আছেন বুঝতে পারেন ট্রাকের চালক। ট্রাক থামিয়ে কার্তিককে বার করার চেষ্টা করেন তিনি। জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীরা চেষ্টা করেও কার্তিককে বাঁচাতে পারেননি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

    হরিয়ানার কারনালের বাসিন্দা কার্তিক গত বছরই পড়াশোনা করতে টরোন্টোর শেরিডন কলেজে  (Canada)গিয়েছিলেন। কলেজের পড়ুয়া সংসদের পক্ষ থেকে কার্তিকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শোকসভার আয়োজন করা হয়েছে। কার্তিকের দেহ দেশে ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Tilting train: বাঁকেও বজায় থাকবে গতি, ২০২৬- এর মধ্যে ১০০ টিলটিং ট্রেন থাকবে ভারতের

    Tilting train: বাঁকেও বজায় থাকবে গতি, ২০২৬- এর মধ্যে ১০০ টিলটিং ট্রেন থাকবে ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের উন্নততর পরিষেবা দিতে সর্বদাই সচেষ্ট থাকেন রেল আধিকারিকরা। ভারতের রেল ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রেল। সম্প্রতি চালু হয়েছিল অত্যাধুনিক পরিষেবাযুক্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার আরও একধাপ এগিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নয়া টিল্টিং ট্রেন (Tilting Train)। ২০২৬- এর মধ্যে অন্তত ১০০টি টিলটিং ট্রেন থাকবে ভারতের। এমনটাই জানাল রেলমন্ত্রক। 

    কী এই টিলটিং ট্রেন? 

    বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেন (Tilting Train)। সাধারণ রেল লাইনেই দিব্য চলবে। আপাত দৃষ্টিতে দেখতে সাধারণ হলেও, এই ট্রেনকে সাধারণ ভাবার ভুল এক্কেবারে করবেন না। এই বিশেষ ট্রেন চলার পথে বাঁক এলেও সমান গতি বজায় রাখতে সক্ষম। আর এখানেই এই ট্রেন বাকিদের থেকে আলাদা। 

    আরও ভেঙে বলতে গেলে, যখন কোনও দ্রুতগতিবিশিষ্ট ট্রেন (Tilting Train) রাস্তায় কোনও বাঁকের মুখে এসে পড়ে, তখন ট্রেনের ভিতরে থাকা ব্যক্তি কিংবা বস্তু এমন এক ধরনের ‘টান’ অনুভব করেন। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই বিশেষ টানকে ‘সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স’ বলা হয়। সেই টানের কারণেই নিজের আসন থেকে ছিটকে যেতে পারেন যাত্রী, গড়িয়ে পড়তে পারে ব্যাগপত্র। বসে থাকা যাত্রীরাও হেলে পড়তে শুরু করেন একে অপরের উপর।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে পারদ পতন, উত্তুরে হাওয়ায় কলকাতায় শীতের আমেজ 

    কিন্তু বিশেষ প্রযুক্তির এই টিলটিং ট্রেনে (Tilting Train) এমনটা হওয়ার আশঙ্কা নেই।  টিল্টিং ট্রেন বাঁকের মুখে এলেই হেলে পড়বে বাঁকের উল্টো দিকে, যাতে, সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সকে প্রশমিত করে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। এর ফলে, ট্রেন সমান গতিতে চললেও ভিতরে থাকা যাত্রীরা ট্রেন যে বাঁক দিয়ে চলছে তা বুঝতেই পারবেন না। এমনকী, গতিশীল যানবাহনে চড়ে যাঁদের ‘মোশন সিকনেস’ অর্থাৎ, গা গোলানো কিংবা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা থাকে, এই নতুন ট্রেনে সেই সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাবেন তাঁরা। 

    বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই রয়েছে এই ট্রেনের (Tilting Train) পরিষেবা। রাশিয়া, চেক রিপাবলিক, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, চিন, জার্মানি, রোমানিয়া, ইতালি, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া এবং ফিনল্যান্ডে রয়েছে এই ট্রেন। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালেই এই ট্রেনে চড়তে পারবেন ভারতীয় যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিষয়ে পার্টনারশিপের ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে। ভারতে তৈরি ১০০টি বন্দে ভারত ট্রেনকে প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে টিল্টিং ট্রেনে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে এল আরও ঠোস প্রমাণ। আফতাব পুনাওয়ালার বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে (Shraddha Walker) ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT’ হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’

    আদালতে কী বলে আফতাব? 

    আফতাব (Shraddha Walker) আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।

    তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।

    আফতাবের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল শ্রদ্ধা?

    শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walker) আগেই আঁচ পেয়েছিলেন সবটা। তিনি আশঙ্কায় ছিলেন, যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে খুন করে ফেলতে পারে প্রেমিক আফতাব। ছয় মাস ধেরে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মুম্বইয়ের ভাসাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার কুকীর্তি নিয়ে পুলিশকে সবটা জানিয়েছিলেন পুলিশকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

     

LinkedIn
Share