Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Basirhat Police Officer: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের

    Basirhat Police Officer: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer) প্রভাত সর্দার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা প্রভাত। মঙ্গলবার বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। আপাতত পুলিশকর্মী বিপদমুক্ত বলেই জানিয়েছে পরিবার।

    উল্লেখ্য, সোমবার বসিরহাট (Basirhat Police Officer) তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। অশান্তি চরমে উঠলে তা সামলাতে এলাকায় উপস্থিত হয় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতেই আহত হন পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দার। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।   

     ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে 

    আহত পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দারের (Basirhat Police Officer) বাড়িতে রয়েছেন মা, স্ত্রী ও একটি ছোট্ট মেয়ে। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন পরিবার-পরিজনেরা। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই পুলিশকর্মীর মা জানতে পারেন তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে নরেন্দ্রপুরের বয়নালা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ২০০৭ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চাকরি সূত্রে বসিরহাটে থাকতেন প্রভাত। আবার অনেক সময় বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতেন। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ডিউটিতে যোগ দেবেন বলে বাইক নিয়ে বসিরহাট র‌ওনা দেন তিনি। সেই রাতেই ঘটে এই ঘটনা। 

    আরও পড়ুন: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক

    শাকচুড়া বাজারে তৃণমূলের ছাত্র নেতা আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ওই পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer)। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি কাঁধে লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে আহত প্রভাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।   

    তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বিজেপির কটাক্ষ  

    আহত পুলিশকর্মীকে (Basirhat Police Officer) দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির বারাসাত জেলা সাংগঠনিক সভাপতি তাপস মিত্র। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন একজন অফিসার আহত হয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেইসময় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পিজি হাসপাতালে সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন উনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের কপালে গুলি করতেন। যেভাবে গতকাল পুলিশ কর্মীকে গুলি করা হল, তাহলে এই ঘটনায় কি তৃণমূল কর্মীদের কপালে গুলি করবেন?” ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • CUET: আর নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষা নয়, স্নাতকোত্তরের জন্য কুয়েটেই ভরসা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের

    CUET: আর নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষা নয়, স্নাতকোত্তরের জন্য কুয়েটেই ভরসা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা, ‘দিল্লি ইউনিভার্সিটি এনট্রান্স টেস্ট’ বা ডুয়েট। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তি পুরোটাই হবে কুয়েট থেকে। অর্থাৎ যারা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপন দেখছেন তাদেরকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় (CUET) পাশ করতে হবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদও এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রবেশিকা পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে ১০ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। সেই দলই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    এই মুহূর্তে কী নিয়মে নেওয়া হচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি?

    এই মুহূর্তে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের মেধার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ আসনে ভর্তি নেওয়া হয়। বাকি ৫০% আসনে ভর্তি নেওয়া হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে। 

    এখন থেকে কীভাবে নেওয়া হবে প্রবেশিকা পরীক্ষা?

    নতুন নিয়মে যে ৫০% আসনে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নেওয়া হয় মেধার ভিত্তিতে, তা একই থাকবে। বাকি ৫০%- এ পড়ুয়াদের নেওয়া হবে কমন ইউনিভার্সিটি এনটান্স টেস্টের (CUET) ভিত্তিতে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    ১-১২ সেপ্টেম্বর দেশের ৫০০টি শহর এবং দেশের বাইরের ১৩টি শহরে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট ৩.৫৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন। দেশের প্রথম সারির ৬৬টি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়। এর মধ্যে রয়েছে বহু কেন্দ্রীয়  বিশ্ববিদ্যালয়।  

    কুয়েট পিজির ফল প্রকাশের পরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়। 

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রোগ্রামে কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষার (CUET 2022) মাধ্যমে ভর্তির জন্য পোর্টাল (Portal) চালু করেছে। সেই পোর্টালে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে প্রায় ৬.১৪ লক্ষ পড়ুয়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হওয়ার আবেদন করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Richa Chadda: সেনাকে অপমান করে ট্রোলড রিচা চাড্ডা, ক্ষমা চাইলেন ট্যুইটারে

    Richa Chadda: সেনাকে অপমান করে ট্রোলড রিচা চাড্ডা, ক্ষমা চাইলেন ট্যুইটারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বিপাকে রিচা চাড্ডা (Richa Chadda)। ভারতীয় সেনাকে অপমান করার অভিযোগে রিচার বিরুদ্ধে সরব নেট নাগরিকরা। এবার নিজের পোস্টের জন্যে ট্যুইটারে ক্ষমা চাইলেন এই বলিউড অভিনেত্রী। 

    বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডার ট্যুইট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একাধিক মানুষ অভিনেত্রীর ক্ষমার দাবি করেছিলেন। অবশেষে ক্ষমা চাইলেন রিচা। এও জানালেন তাঁর বলা কথাগুলি ভারতীয় সেনাকে আঘাত করার জন্য ছিল না। তিনিও যে সেনার পরিবার থেকেই এসেছেন পোস্টে তাও পরিষ্কার করেন রিচা (Richa Chadda)।

    আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    কোন পোস্ট ঘিরে বিতর্ক?

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ফের দখল নেওয়ার বিষয়ে কিছুদিন আগেই একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান পিওকে-তে যা করেছে তার মূল্য চোকাতে হবে। কাশ্মীরের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। ততক্ষণ পর্যন্ত থামা হবে না, যতক্ষণ না গিলগিট-বালোচিস্তানে পৌঁছনো হচ্ছে।” এরপর জবাবে নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘যদি ভারতীয় আর্মির কথা কথা বলা হয়, তাহলে সরকারের যেকোনও নির্দেশ পালন করতে তৈরি সেনা। যখনই এরকম কোনও নির্দেশ আসবে, আমরা তৈরি থাকব। ভারতীয় সেনা দুই দেশের স্বার্থেই সীমান্তে শান্তি রাখার চেষ্টা করে সবসময় ও সব শর্ত মেনে চলে। তবে অন্যপক্ষ শর্ত কভাঙলে, জবাব দিতেও ভয় পায় না।” কম্যান্ডারের কথায় উঠে আসে ২০২০ সালে চিনের সেনার সঙ্গে গালওয়ান ক্ল্যাশের কথাও।

    এরপরেই ট্যুইটারে একটি পোস্ট করে রিচা (Richa Chadda) লেখেন, “গালওয়ান বলছে হাই!” তারপরেই বাধে বিতর্ক। রিচা চাড্ডার (Richa Chadda) বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীকে অপমান করার অভিযোগ করে নেট জনতা। এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন রিচা। 

    ক্ষমা চাইলেন রিচা চাড্ডা

    ক্ষমা চেয়ে ট্যুইটে অভিনত্রী (Richa Chadda) লেখেন, “যদিও এটা কখনই আমার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু যদি এই তিনটে শব্দ থেকে এত বিতর্ক তৈরি হয়, যদি এই কারণে কেউ কষ্ট পান, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি। যদি সেনাতে থাকা আমার ভাইয়েরা আমার এই বক্তব্যে দুঃখ পেয়ে থাকেন তার জন্য আমি দুঃখিত। এটা একদমই অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমার দাদুও সেনায় ছিলেন। আমার মামা ছিলেন প্যারা ট্রুপার। আমার রক্তে আছে। দেশকে বাঁচাতে একটি ছেলে শহিদ হলে বা যুদ্ধে আহত হলে তাঁর পুরো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁদের অবদানেই তৈরি এই দেশ। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, সেটার অনুভব ঠিক কেমন। এটা আমার কাছে খুবই সংবেদনশীল বিষয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেলেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ কমছে না। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবার এই ইস্যুতেই দায়ের হল মামলা। এবার এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনেরও বেশি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। ডেঙ্গি নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় মেডিক্যাল কমিশন গঠনের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। মামলাটি দায়ের করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার মুখোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। 

    কী বলেন মামলাকারীর আইনজীবী?

    মামলাকারীর আইনজীবী জানান, রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েকদিনে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ১৬ নভেম্বর মালদায় ১৩ বছরের এক কিশোর ডেঙ্গিতে মারা যায়। কলকাতা পুরসভা সহ অন্যান্য পুরসভা ডেঙ্গি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিও ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যার্থ। হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব রয়েছে। তাই এ বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে। মেডিক্যাল কমিশন ও মনিটারিং সেল গঠনের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধিই শুধু নয়, রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রান্ত তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তথ্য প্রকাশ করা যায় না। তাই তথ্য পোর্টালে দেওয়া হচ্ছে না। অন্য রাজ্যেও ডেঙ্গি হচ্ছে, সেই সব রাজ্যও তথ্য দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মমতা। কিন্তু রাজ্যের এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

      

     

     

  • Question Paper: ডিএলএডের প্রশ্ন ফাঁস, ‘বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে’ দাবি পর্ষদ সভাপতির

    Question Paper: ডিএলএডের প্রশ্ন ফাঁস, ‘বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে’ দাবি পর্ষদ সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডিএলএড পরীক্ষার প্রথম দিনেই ফাঁস হয়ে গেল প্রশ্নপত্র (Question Paper)। পরীক্ষা শুরুর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রশ্নপত্র। এমনটাই দাবি করেছেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। সোমবার ছিল ডিএলএড-এর সেমেস্টারের প্রথম দিন। এই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক সাবধানতাও অবলম্বন করেছিল। তাতেও আটকানো গেল না প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার দায় নিজের কাঁধে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    ইতিমধ্যেই দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে জর্জরিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার মাঝে এই ঘটনা (Question Paper) স্বাভাবিকভাবেই আরও অস্বস্থি বাড়িয়েছে পর্ষদের। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের দাবি, কেউ বা কারা পর্ষদ তথা রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এমনটা করেছেন। তিনি বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যদি এমন কোনও বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেন, তাহলে তাতে পর্ষদের কিছু করার নেই।” 

    কী ঘটেছে?

    সোমবার সকাল থেকেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ‘ডিএলএড- পার্ট টু এক্সামিনেশন’ লেখা একটি প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়। আর সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে ডিএলএড। পরীক্ষার পর একাধিক পরীক্ষার্থী দাবি করেন, ওই প্রশ্নপত্রের (Question Paper) সঙ্গে ডিএলএডের প্রশ্ন ১০০ শতাংশ মিলে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়

    সোমবার অরিন্দম খাঁড়া নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে হোয়াটসঅ্যাপের কিছু স্ক্রিনশট পোস্ট (Question Paper) করেন। তাতে দেখা যায়, বেলা ১০:৪৭ মিনিটে একগোছা প্রশ্নপত্র দেখা যাচ্ছে। সেগুলিই এদিনের পরীক্ষারই প্রশ্ন বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১২টায়। পরীক্ষা চলে দুপুর ২টো পর্যন্ত। অর্থাৎ পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ভাইরাল হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপেও!   

    প্রশ্নপত্র যাতে ফের ফাঁস (Question Paper) না হয়, সেই কারণে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল পর্ষদ। পরবর্তী পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে ডিএলএডের প্রশ্নপত্র সকাল ১১.১৫ মিনিটের আগে কোনও ভাবেই ভেনুগুলিকে দেওয়া যাবে না। এটা নিশ্চিত করতে হবে, সিল অবস্থাতেই ভেনুগুলো থানা বা কাস্টোডিয়াম থেকে প্রশ্নপত্র নেবে। সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনও রকম অনিয়ম না হয়।

    এবার ডিএলএড প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। কী ভাবে প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হল তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। নবান্নের নির্দেশেই সিআইডি তদন্ত করবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Wasim Akram: কোকেন আসক্তি থেকে রিহ্যাবের ভয়াবহতা, আত্মজীবনীতে ‘খুল্লমখুল্লা’ আক্রম

    Wasim Akram: কোকেন আসক্তি থেকে রিহ্যাবের ভয়াবহতা, আত্মজীবনীতে ‘খুল্লমখুল্লা’ আক্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সদ্য প্রকাশিত হয়েছে পাক ক্রিকেট তারকা ওয়াসিম আক্রমের (Wasim Akram) আত্মজীবনী ‘সুলতান: আ মেমোয়ার’। নিজের জীবনের স্বর্নালী মুহূর্ত থেকে কালো অধ্যায়। সবটাই খুল্লম খুল্লা পাঠকদের সামনে রেখেছেন পাক ক্রিকেট অন্যতম বিতর্কহীন, নম্র স্বভাবের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। বাইশ গজে তাঁর আগ্রাসন গোটা বিশ্ব দেখলেও, তার বাইরে তাঁকে আগ্রাসী হতে দেখেননি কেউ। তাঁর জীবন ছিল বিতর্কহীন। কিন্তু আত্মজীবনী তিনি তুলে ধরলেন নিজের আসক্তির কথা। জানালেন, তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে রাখা হয়েছিল নেশামুক্তি কেন্দ্রে।

    আক্রম জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর মাদকের প্রতি আকর্ষণ শুরু হয় তাঁর (Wasim Akram)। প্রায় ছ’বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করেছেন তিনি। এমন কী আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন কোকেনের প্রতি।

    কীভাবে এই পাক ক্রিকেটার পৌঁছলেন নেশামুক্তি কেন্দ্রে? 

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর যখন তিনি ইংল্যান্ডে ছিলেন তখন কোকেনের প্রতি আসক্তি তৈরি হয় তাঁর (Wasim Akram)। আক্রম জানান, “ক্রিকেট ছাড়ার পর কোনও কিছুতে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষরা কোনও নেশা এবং দুর্নীতিতে ডুবে থাকতে ভালোবাসে। এক রাতে তারা দশটা পার্টিতে যায়। আমারও সেই কাজ করতে গিয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে  গিয়েছিল।”

    আক্রম আরও জানান, “সবচেয়ে খারাপ হয়, যখন কোকেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। ইংল্যান্ডে একটা পার্টিতে গিয়ে আমার প্রথম কোকেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে অভ্যাস বেড়ে যেতে থাকে। একটা সময় মনে হত, শারীরিক কাজকর্ম করতে হল কোকেন নিতেই হবে।”

    আক্রমের (Wasim Akram) প্রথম স্ত্রী হুমা তাঁর আসক্তি সম্পর্কে জানতে পারলে তাঁদের সম্পর্কও প্রভাবিত হয়। এমনকি বিচ্ছেদের দিকেও এগোয় সম্পর্ক। এমনটাও জানান আক্রম। এরপর হুমাই তাঁকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পাকিস্তানে ফিরে নেশামুক্তি কেন্দ্রেও যান আক্রম। 

    তিনি (Wasim Akram) বলেন, “আমি এক মাসের জন্য রিহ্যাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাকে অনুমতি ছাড়াই আড়াই মাস সেখানে রেখে দিয়েছিল। বিশ্বে এটাকে বেআইনি মনে করা হলেও, পাকিস্তানে এ রকম কিছু নেই।”

    এরপরেই নেশামুক্তি কেন্দ্রে থাকার ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতা পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন আক্রম (Wasim Akram)। প্রাক্তন পেসারের ভাষায়, “পাশ্চাত্যের মুভিতে, এমন কী অস্ট্রেলিয়াতেও আপনি দেখতে পাবেন যে, রিহ্যাব কেন্দ্রগুলিতে সুন্দর বড় লন আছে, লোকেরা বক্তৃতা দেয়, আপনি জিমে যান। কিন্তু আমি একটি করিডোর এবং আটটি কক্ষ সহ এমন একটি জায়গায় (পাকিস্তানে) গিয়েছিলাম, যেখানে থাকা খুব কঠিন ছিল। এটি একটি ভয়ঙ্কর সময় ছিল।”

    আরও পড়ুন: কোটি টাকার প্রতারণার শিকার আদর পুনাওয়ালার সিরাম সংস্থা, গ্রেফতার ৭

    শেষ পর্যন্ত স্ত্রী হুমা প্রয়াত হওয়ার পরে তাঁর জীবন বদলে যায়। আক্রম (Wasim Akram) জানান, “তার পর একটি ট্র্যাজেডি ঘটে, আমার স্ত্রী মারা যায়। আমি জানতাম, আমি ভুল পথে ছিলাম, আমি এটি থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। আমার দুটি ছোট ছেলে ছিল। তাদের দায়িত্ব নিতে হয়। আমাকে ওদের বন্ধু হয়ে উঠতে হয়েছিল।”

    এরপর কোকেন আসক্তি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন আক্রম (Wasim Akram)। নতুন প্রজন্মকে পরামর্শ দিয়ে তিনি লেখেন, “তরুণ প্রজন্মের প্রতি আমার পরামর্শ হল, বন্ধুদের সাবধানে বেছে নিতে হবে। বন্ধুরা যদি এমন হয়, তা হলে আপনি ভুল পথে যেতে বাধ্য। এবং খুব কম লোকই সেই পথ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। তাই বন্ধুত্ব করার আগে তাদের বুঝে নিতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জঙ্গল থেকে পাওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকারের হাড়ের টুকরো এবং জমাট বাধা রক্তের সঙ্গে ডিএনএ মিলল শ্রদ্ধার (Delhi Murder) বাবা বিকাশ ওয়ালকারের। এমনটাই জানাল ফরেন্সিক টিম। শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। সূত্রমতে জানা গিয়েছে শ্রদ্ধা-আফতাবের বাড়ির ফ্ল্যাটের টাইল থেকে পাওয়া কিছু রক্তের নমুনা শ্রদ্ধা এবং কিছু তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার সঙ্গে মিলেছে। আপাতত মৌখিকভাবে দিল্লি পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট আসতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। 

    এদিকে আফতাব পুনাওয়ালা তাঁকে খুন (Delhi Murder) করতে চায়। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকর মুম্বইয়ের ভাসাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মুম্বই পুলিশের কাছে শ্রদ্ধা যে অভিযোগ দায়ের করেন, সেখানে তিনি খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এমনকী, আফতাব তাঁকে খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে বলে পুলিশকে চিঠি লেখেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে কী হবে বলেও পুলিশ চিঠি লেখেন শ্রদ্ধা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে শ্রদ্ধা যেভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি লেখেন, তারপরও পুলিশ কেন পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    নার্কো টেস্ট 

    আফতাব আমিন (Delhi Murder) পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট করা হয়েছে। আজও চলবে পরীক্ষা। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব তদন্তে সহযোগিতা করছে না, এমনই অভিযোগ ছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয় শ্রদ্ধাকে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব। হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করে সে। খুন সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নার্কো টেস্টের (Narco Test) আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।সেই মতো গতকাল নার্কো টেস্ট করানো হয় আফতাবের। 

    নার্কো টেস্টের (Delhi Murder) আগে ব্যক্তির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। প্রেশার, সুগার, পালস রেট সব কিছু স্বাভাবিক আছে  কী না দেখা হয়। বয়স, লিঙ্গ অনুযায়ী ইঞ্জেকশনের  ডোজ আলাদা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • Weather Update: রাজ্যে পারদ পতন, উত্তুরে হাওয়ায় কলকাতায় শীতের আমেজ

    Weather Update: রাজ্যে পারদ পতন, উত্তুরে হাওয়ায় কলকাতায় শীতের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের শুরু থেকেই কলকাতায় শীতের (Winter) আমেজ। তাপমাত্রায় আরও পতন সপ্তাহের শেষে। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি কম। উত্তুরে হাওয়ার কারণেই মূলত এই শীতের আমেজ। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস(Alipore Meteorological  Department)।

    কলকাতায় পারদের ওঠানামে চলছে গোটা সপ্তাহ ধরেই। চলতি সপ্তাহে সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার একধাক্কায় তাপমাত্রার পতন হল ২ ডিগ্রি। ওই দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বুধবার কলকাতায় পারদ নামে ১৬.৯ ডিগ্রিতে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    আরও পড়ুন: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    বৃষ্টির সম্ভবনা নেই? 

    শীতের আমেজ গোটা রাজ্যজুড়ে। আর সে কারণেই জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না শিশু থেকে বয়স্করাও। এই আবহাওয়ায় বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে বিশেষ সাবধানতা। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আপাতত কোনও কোনও জেলায় শীতের আমেজ সামান্য কমবে। তবে আগামী সপ্তাহে আরও একটু নিচে নামতে পারে পারদ। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরেকটু নিচের দিকে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ দেখা দিয়েছিল, তা সরে যাওয়ায় আকাশ আগের তুলনায় আরও পরিষ্কার হয়েছে। আগামী কয়েকদিন রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    স্বাভাবিকের নিচে তাপমাত্রা থাকায় জমিয়ে শীতের আমেজ থাকবে আরও কয়েকদিন। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি নিচে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা কোথাও কোথাও স্বাভাবিকের সামান্য নিচে থাকবে পারদ। উত্তুরে হাওয়া বইবে, তবে তার তীব্রতা কিছুটা কমবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Jama Masjid: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    Jama Masjid: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলারা মসজিদে (Jama Masjid) একা যেতে পারবেন না। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ জারি করেছে দিল্লির জামা মসজিদ। আর এই নির্দেশিকা আসার পরই, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মসজিদকে নোটিস পাঠাল দিল্লির মহিলা কমিশন। দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল জামা মসজিদের ইমামকে একটি চিঠি লিখে মসজিদে মহিলাদের একা প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

    স্বাতী ট্যুইটে ক্ষোভ উগরে দেন 

    ট্যুইটারে স্বাতী মালিওয়াল লিখেছেন, ‘”জামা মসজিদে (Jama Masjid) মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক না। এক জন পুরুষের যেমন উপাসনার অধিকার আছে, তেমনই এক জন নারীরও আছে। আমি জামা মসজিদের ইমামকে নোটিস পাঠিয়েছি। উপাসনা কেন্দ্রে মহিলাদের এ ভাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার অধিকার কারও নেই।”

     

    স্বাতী আরও বলেন, “এটা ইরান নাকি? যে মহিলাদের সঙ্গে অসম আচরণ করা হবে, আর কেউ কিছু বলবে না!”  

    জামা মসজিদের (Jama Masjid) জনসংযোগ আধিকারিক সাবিউল্লাহ খান এর জবাবে বলেন, “মসজিদ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এই সিদ্ধান্ত লিঙ্গবিদ্বেষমূলক নয়। পরিবারের সঙ্গে বা স্বামীর সঙ্গে এলে মহলাদের মসজিদে কোনও বাধা থাকবে না। মসজিদ চত্বরে অশোভন কাজকর্ম যাতে না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও বলেন, “মহিলাদের প্রবেশে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। অনেক সময়ই দেখা যায়, মহিলারা একা এলে অনেক অশোভন কাজকর্ম হয়। তাঁরা টিকটক ভিডিয়ো রেকর্ড করেন, নাচগান করেন। পরিবার বা দম্পতিদের মসজিদে প্রবেশে কোনও বাধা নেই।মসজিদকে মহিলা-পুরুষদের মিলনক্ষেত্র বানানোটা ঠিক নয়।”

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের (Jama Masjid) তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে ‘মহিলা-বিরোধী’ বলে দাবি করা হয়েছে। এই বিষয়ে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Yogas for Women: মেয়েদের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্যে এই সাতটি আসন অবশ্যই করা উচিৎ

    Yogas for Women: মেয়েদের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্যে এই সাতটি আসন অবশ্যই করা উচিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগাসন আদতে উন্নততর জীবনশৈলি। যোগাসনে মন এবং শরীরই দুইই সুস্থ থাকে। পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু আলাদা আলাদা আসন থাকে। মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্যে কোন আসনগুলি (Yogas for Women) আবশ্যিক জেনে নিন।  

    নৌকাসন

    এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এর পর শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ ও পা একই সঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। আপনার বাহু ও পায়ের পাতা একই দিকে থাকবে। নৌকা বা ইংরেজি এল আকৃতির মতো অবস্থায় থাকুন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ৩-৪ বার এই আসনটি করবেন।

    উর্ধ্বমুখী শবাসন

    হাতের চেটো শিথিল ভাবে পাতা থাকবে। যে সকল আসন উপুড় হয়ে শুয়ে করতে হয় সে সকল আসনের পর এই শবাসন করণীয়। দ্র : প্রতি আসনের পর শবাসন অবশ্য করণীয়। উপকারিতা : হাই ব্লাডপ্রেসার, অনিদ্রা, একাগ্রতার অভাব, একটুতে রেগে যাওয়া, নার্ভাস, টেনশন ও স্নায়বিক দুর্বলতা ও উত্তেজনা প্রশমনে উপকারী।

    ভ্রামরী প্রাণায়াম

    ভ্রামরী প্রাণায়াম আসলে মনকে একাগ্র করে ধ্যান বা মেডিটেশন পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। শব্দের কম্পন মন ও স্নায়ুকে শান্ত করে সুখকর অনুভুতি আনতে সাহায্য করে। সুতরাং অতিরিক্ত পরিশ্রম বা মানসিক চাপের পর ইচ্ছে মতো ভ্রামরী প্রাণায়াম অভ্যাস করে মন শান্ত রাখার পাশাপাশি তরতাজা করেও তোলা যায়।

    অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম

    শারীরিক কাজকর্মের উন্নতি হয় এবং বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রংশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ত্বকের জন্য: অনুলোম বিলোমের জন্য ব্রণ বা অ্যাকনি এবং ত্বকের রোগের উপশম হয় বলে ত্বকের উপকার হয়। চোখের জন্য: অনুলোম বিলোম প্রাণায়ামের ফলে চোখে রক্তপ্রবাহ বাড়ার দরুন চোখের দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হয়, এবং দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয় না।

    উজ্জয়ী প্রাণায়াম

    এই প্রানায়ম অভ্যাসের ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস টানার সময় পেট এবং বুক উভয়ই বেশ ফুলে ওঠে, ঠিক যেন যুদ্ধ জয়ী গর্বিত এবং আত্মবিশ্বাসী একজন সৈনিক, যে কারনে একে ‘Breath of victory’ বলা হয়। শ্বাস প্রশ্বাসের ফলে গলার মধ্যে দিয়ে বাতাস চলাচলের সময় একটা শব্দ তৈরী হয়, সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে বাতাস এবং জলের সংমিশ্রনে তৈরী শব্দের সঙ্গে যার সাদৃশ্য পাওয়া যায় । এইকারনে একে ‘Ocean Breath’ ও বলা হয় ।

    কপালভাতি প্রাণায়াম

    কপালভাতি প্রাণায়াম এক প্রকারের ব্রিদিং এক্সারসাইজ যা আমাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। কপালভাতি, এই সংস্কৃত শব্দের অর্থ ‘উজ্জ্বল কপাল’ এবং প্রাণায়াম শব্দের অর্থ হল ‘শ্বাস নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি’। কপালভাতি প্রাণায়াম এর উপকারিতা অনেক, যেহেতু এই যোগব্যায়ামের সাহায্যে আমাদের মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয় এবং মস্তিক অ্যাক্টিভ করতে সাহায্য করে, কাজেই এই এক্সারসাইজের নাম এমন। 

LinkedIn
Share