Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Khalistani Terrorist: পঞ্জাব রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু পাকিস্তানে

    Khalistani Terrorist: পঞ্জাব রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) হরবিন্দর সিং রিন্ডা নিহত। এ+ ক্যাটাগরির জঙ্গি ছিল রিন্ডা (Harwinder Singh Rinda)। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩৫ খুন ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল সে।

    পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল এই জঙ্গি। সেখান থেকেই ওই দেশের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে নাশকতা চালাত রিন্ডা। সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বাব্বর খালসার সদস্য ছিল। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, রিন্ডা লাহোরের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। 

    কী কী অভিযোগ রয়েছে জঙ্গির বিরুদ্ধে?  

    চলতি বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেই হামলার মূল চক্রী রিন্ডা, বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই মাসেই হরিয়ানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পিছনেও ছিল রিন্ডার হাত। নওনশরে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অফিসেও হাত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায় রিন্ডা। গোয়েন্দা সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল ৩৫ বছরের এই জঙ্গির নাম। শুধু পঞ্জাব নয়, রিন্ডার নামে মহারাষ্ট্র, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গে  একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুলির অংশ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়        

    পঞ্জাবের তরণতারণে জন্ম রিন্ডার। পরবর্তীতে মহারাষ্ট্রে থাকা শুরু করে। কিন্তু তরণতারণেই অপরাধ জীবনের সূত্রপাত। সেখানে ২০০৮ সালে ব্যক্তিগত শত্রুতায় একজনকে খুন করে সে। তরণতারণের সরপঞ্চ হত্যায়ও নাম জড়ায় রিন্ডার। শুধু খুন বা নাশকতা নয়, সীমান্তে মাদক প্রচারেও জড়িত ছিল সে। এরপর, রিন্ডা পঞ্জাবের তরন তারান জেলার সরহালি গ্রাম থেকে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায় পাড়ি দিয়েছিল। তারপরই কোনও এক সুযোগে সে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও বহু অপরাধকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিল সে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি মামলায় সে পলাতক আসামী হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Fifa World Cup: বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি কত জানেন?

    Fifa World Cup: বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে ফুটবল জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব। এখন চর্চায় কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। আজ থেকে শুরু হচ্ছে ফুটবলের মহাযুদ্ধ। এবার আয়োজক দেশ কাতার। এর আগেরবার বিশ্বকাপ হয়েছিল রাশিয়ায়, ২০১৮ সালে। এবার বিশ্বকাপে (Fifa World Cup) খেলছে ৩২টি দল। খেলা হবে ৬৪টি ম্যাচ। এই ৩২টি দেশের দলের মধ্যে থেকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হবে একটি মাত্র দেশকে। কাতারে যে ফুটবল মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, তা ভারত থেকে লাইভ দেখা যাবে বিকেল সাড়ে ৩টেয়, সন্ধে সাড়ে ৬টায়, রাত সাড়ে ৮টায়, রাত সাড়ে ৯টায় এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়। 

    বিশ্বকাপের প্রাইজমানি কত জানেন?

    ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স পেয়েছিল ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। ফাইনালে পরাজিত ক্রোয়েশিয়া পায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। কাতার, আরবের এই দেশটিতে টাকা-পয়সার যে কোনও কমতি নেই তা সর্বজন বিদিত। এবার পুরস্কার মূল্য আগেরবারের থেকেও অনেকটাই বেশি। ফিফার তরফে এবার পুরস্কার মূল্য ধার্য করা হয়েছে মোট ৪৪ কোটি ডলার (৩৫৭৩ কোটি ভারতীয় টাকা)। ২০১৮ সালের তুলনায় যা প্রায় ৪ কোটি ডলার বেশি। ২০১৪ বিশ্বকাপে পুরস্কার অর্থ ছিল ৩৫ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে যোগ দেওয়া প্রতিটি দেশই কিছু না কিছু অর্থ পাবে।

    আরও পড়ুন: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    যে দলগুলি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাবে, তাদের পুরস্কার মূল্য মাথা পিছু ৯০ লক্ষ ডলার (৭৪ কোটি টাকা)। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল বা শেষ ষোলোয় পৌঁছনো দলগুলি পাবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার (১০৬ কোটি টাকা)। শেষ আটে উঠলে পাওয়া যাবে ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার (১৩৮ কোটি টাকা)। চতুর্থ স্থানাধিকারী দল পাবে ২৫ মিলিয়ন ডলার (২০৪ কোটি টাকা)। তৃতীয় স্থানে পৌঁছনো দল পাবে ২ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার (২২০ কোটি টাকা)। ফাইনালে যে দল হারবে অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দল পাবে ৩০ মিলিয়ন ডলার (২৪৫ কোটি টাকা)। প্রথম স্থানে থাকা বিশ্বকাপজয়ী দল পাবে ৪ কোটি ২০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪৪  কোটি টাকা)।   

    বিশ্বকাপের টেলিকাস্টিংয়ের ব্রডকাস্ট রাইটস কিনেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভায়াকম ১৮ মিডিয়া। খেলা সম্প্রচারিত হবে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। এই চ্যানেলটি এসডি এবং এইচডি লাইভ ব্রডকাস্ট দেখাবে। ধারা বিবরণী শোনা যাবে ইংরেজি এবং হিন্দিতে। যাঁরা ফোন কিংবা ল্যাপটপে ফিফা ওয়ার্ড কাপের ম্যাচগুলি দেখতে চান, তাঁরা লাইভ ম্যাচ দেখতে পাবেন রিলায়েন্স জিও সিনেমা অ্যাপে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Jet Airways: খরচ কমাতে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ

    Jet Airways: খরচ কমাতে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেট এয়ারওয়েজের (Jet Airways) ৬০ শতাংশ কর্মীকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। বাকি কর্মচারীদের একাংশের শতাংশের বেতন ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে ওই বিমান সংস্থা। মূলত উচ্চ পদস্থদের বেতন কমানো হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে জানিয়েছে উড়ান সংস্থাটি। জেট এয়ারওয়েজ কিনেছে দুই সংস্থার মিলিত সমবায় কার্লক জালান। কোম্পানি ট্রাইব্যুনালের কিছু  নিয়মকানুন এখনও বকেয়া রয়েছে তাদের।  সেগুলি পূরণ করতে এখনও কিছুদিন সময় লাগবে তাদের। 

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে জেট এয়ারওয়েজে ২৩০ জন কর্মী রয়েছেন। নিম্ন স্তরে প্রায় ১০০ জন কেবিন ক্রু এবং জুনিয়র ম্যানেজার রয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি থেকে সিনিয়র লেভেলের প্রায় ৬০ জন কর্মীকে বিনা বেতনে ২ মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।  

    কী জানিয়েছে বিমান সংস্থা? 

    কার্লক জালান একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, “একই কাজের জন্য যে সময় ভাবা হয়েছিল, তার থেকে বেশি সময় লাগছে। সেই কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন সেই কারণেই বেতন কাঠামো কিছুটা আঁটোসাঁটো করা হবে। দুই তৃতীয়াংশ কর্মীদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। বাকি এক তৃতীয়াংশ কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হবে।” সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, মোট কর্মীদের ১০ শতাংশকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। 

    জেট এয়ারওয়েজ ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে। বর্তমানে কর্মীদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পিএফ ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া রয়েছে। এদিকে নতুন মালিক কার্লক জালান জানিয়েছে যে এই বকেয়া মেটানোর মতো টাকা তাদের কাছে নেই। 

    গত মে মাসেই বিমান নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ জেট এয়ারওয়েজের উড়ান সংক্রান্ত শংসাপত্র ফের বৈধ করেছিল। দেনায় ডুবে ২০১৯ সালেই উড়ান বন্ধ করে এই বিমান সংস্থা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর দ্বারা জারি করা পিটিশন জুনেই জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে গৃহীত হয়। তারপর থেকেই জেট এয়ারওয়েজকে আকাশ পথে ফেরানোর পরিকল্পনা শুরু হয়। দেনা শোধ করে ফের উড়ান স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সে পরিকল্পনা যে এখন বিশ বাঁও জলে তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Dhankhar at FIFA World Cup: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন জগদীপ ধনখড়

    Dhankhar at FIFA World Cup: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন জগদীপ ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার থেকেই কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের মহাযুদ্ধ। আর ফিফা বিশ্বকাপের সেই মহাযুদ্ধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Dhankhar at FIFA World Cup)। ২০ নভেম্বর ও ২১ নভেম্বর কাতারে থাকবেন তিনি। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রবিবার কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন জগদীপ ধনখড়। ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। স্টেট অব কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে মরুদেশে যাচ্ছেন ধনখড়। ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি তাঁর সফরকালে কাতারে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন।  

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ভারত ও কাতারের বাণিজ্য, শক্তি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। গত আর্থিক বছরে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। কাতার ভারতের শক্তি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করে ও উপসাগরীয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় অংশগ্রহণ করে। ভারত এবং কাতার আগামী বছর পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করবে।”  

    উপরাষ্ট্রপতির উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ কেন? 

    প্রসঙ্গত, ভারত ও কাতার উভয় দেশের মধ্যেই একাধিক বাণিজ্যিক চ্যুক্তি রয়েছে। বাণিজ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি শক্তি, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাবর একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে এই দুই দেশ। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও যথেষ্ট ভালো। কাতার ভারতের জ্বালানি শক্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে কাতারে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এছাড়াও কাতারে প্রায় ৮ লক্ষ ৪০ হাজার ভারতীয় বাস করেন। এমতাবস্থায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তাৎপর্যপূর্ণ  বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    প্রসঙ্গত, রবিবার রাজধানী দোহা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল বায়েত স্টেডিয়ামে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রায় ৬০ হাজার দর্শক। ভারতীয় সময় সাড়ে  ৭টা থেকে শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামবে আয়োজক কাতার ও ইকুয়েডর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্যান্ড বিটিএস এবং আমেরিকার ব্ল্যাক আয়েড পিস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Anubrata Mondal: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    Anubrata Mondal: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ ঘণ্টার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে তাঁকে। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করতে পারে ইডি। সায়গলের মতো অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে। শুক্রবারই দিল্লির পিএমএলএ কোর্টে অনুব্রতকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন জানাতে পারে ইডি। বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তিন গোয়েন্দা আসানসোলে সংশোধনাগারে ৫ ঘণ্টা জেরা করেন অনুব্রতকে। তারপরেই হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, এখনও ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও এই মামলা যেহেতু পিএমএলএ, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা বেশ কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে অ্যারেস্ট মেমোতে অনুব্রত সই না করলে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। 

    জেরায় কী জানতে চান গোয়েন্দারা?

    আগেই খবর ছিল, বৃহস্পতিবার জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মতো এ দিন সকালেই ইডির তদন্তকারী দল আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নিয়ে জেরা করে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চান গোয়েন্দারা। কিন্তু অনুব্রতর উত্তরে খুশি হননি গোয়েন্দারা। অনুব্রত গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত অগাস্ট মাসেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতকে গ্রেফতার করার আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকে। এতদিন তিনিও আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। কিছুদিন আগেই একই ভাবে সায়গলকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে দিল্লি নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অনুব্রতকে ইডি গ্রেফতার করার পর অনেকেই মনে করছেন তাঁকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অনুব্রত-সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

    ইডি সূত্রে দাবি, যেহেতু অনুব্রতকে আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে, তাই তাঁকে আসানসোলের আদালতেই পেশ করানো হতে পারে। সেখানে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারেন গোয়েন্দারা। সায়গলের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রতর বহু বেনামী সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে এখনও মুখ খোলেননি কেষ্ট মণ্ডল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Italian Town: ইতালির এই শহরে বসবাস করলেই পাবেন ২৫ লক্ষ টাকা, যাবেন নাকি?

    Italian Town: ইতালির এই শহরে বসবাস করলেই পাবেন ২৫ লক্ষ টাকা, যাবেন নাকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি বেকারত্বে জ্বালায় ভুগছেন? টাকা-পয়সার অভাবে এখনও সংসারই পাতা হয়নি? তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এক সুবর্ণ সুযোগ। এই সুযোগ ইতালি যাওয়ার। এই আকর্ষণীয় অফারটির শুনলে আপনি না গিয়ে থাকতে পারবেন না। ইতালির একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে উপস্থিত প্রেসিস নামক শহরে (Italian Town) বাড়ি কিনে তিন বছরের বেশি থাকলেই প্রশাসন আপনার হাতে তুলে দেবে ৩০ হাজার ইউরো, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা!

    আরও পড়ুন: ৩% কর্মী ছাঁটাই জোম্যাটোর, সংস্থা ছাড়লেন সহপ্রতিষ্ঠাতা

    কেন এই বিশেষ সুযোগ?  

    এই শহরের জনসংখ্যা দ্রুত গতিতে কমছে। আর তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। জনসংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়াতেই সরকারের তরফে এমন একটি আকর্ষণীয় অফার চালু করা হয়েছে। তবে শর্ত হলো সেই শহরে যারা বাড়ি কিনবেন তাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে নিজেকে স্বনির্ভর করতে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে হবে। এছাড়াও যে বাড়িটি কিনবেন তা ১৯৯১ সালের আগে তৈরি হতে হবে।     

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, টাকাটা দুভাগে দেওয়া হবে। প্রথম ভাগটা দেওয়া হবে বাড়ি কেনার সময় আর শেষ ভাগটা দেওয়া হবে বাড়িতে যদি কোনও মেরামতির প্রয়োজন হয় সেই সময়। ২০১৯ সালে প্রেসিস এবং অ্যাকোয়ারিকা নামের দুটি শহরকে একসঙ্গে যোগ করা হয়। শহরগুলির আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। উভয় শহরের মোট জনসংখ্যা  মাত্র ৯ হাজার।    

    এই শহরে কেবল জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই প্রশাসনিক তরফে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিশ্বাস, এই সুযোগ মানুষ গ্রহণ করবে এবং এই শহরের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বলা হয়েছে নতুন ব্যবসা শুরু করলে করের উপর বিশেষ ছাড়ও দেওয়া হবে। এমনকি সন্তানের জন্ম দিলেও বিশেষ বোনাসের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Virushka: উত্তরাখণ্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরাট-অনুষ্কা, ধরা দিলেন ভক্তদের ক্যামেরায়

    Virushka: উত্তরাখণ্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরাট-অনুষ্কা, ধরা দিলেন ভক্তদের ক্যামেরায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি২০ বিশ্বকাপ শেষ হতেই খুদে মেয়েকে কোলে নিয়েই উত্তরাখাণ্ডে ছুটি কাটাতে উড়ে গিয়েছেন ক্রিকেটার-অভিনেতা দম্পতি বিরাট- অনুষ্কা (Virushka)। মাঝে কয়েক মাস ব্যস্ত ছিলেন দুজনেই। ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অনুষ্কা, টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বিরাট। এবার পরিবারকে সময় দেওয়ার পালা। দুজনেরই পাহাড় বড় প্রিয়। তাই পাহাড়েই কাটবে ‘মি টাইম’।  

    আরও পড়ুন: লড়াইয়ের অবসান, কাজে দিল না প্রার্থনা, না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা 

    এই মুহূর্তে মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে অনুষ্কা-বিরাট রয়েছেন নৈনিতালের কাইঞ্চি ধাম। হনুমানের কাছে পুজো দেন তিন জন মিলে। সেখানের ভক্তদের সঙ্গে ফোটোও তুললেন তারকা দম্পতি। সেখানকার বিখ্যাত নিম করোলি বাবা আশ্রমেও গিয়েছিলেন আশীর্বাদ নিতে। একাধিক ছবি তাঁদের ভাইরাল আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

    অন্যান্য সময়ের মত নিরাপত্তার কড়াকড়ি নেই এবারের সফরে। তাই তারকা দম্পতিদের কাছে সহজেই পৌঁছে যেতে পারছেন ভক্তরা। ভক্তদের সঙ্গে হাসি মুখে ছবি তুলছেন বিরুষ্কাও। সকলের সঙ্গে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার সেই ছবি এখন ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

    দেখে নিন ছবি 

     


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Aindrila Sharma: লড়াইয়ের অবসান, কাজে দিল না প্রার্থনা, না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা

    Aindrila Sharma: লড়াইয়ের অবসান, কাজে দিল না প্রার্থনা, না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মুহূর্ত অবধি চমৎকারের আশা করেছিল গোটা বাংলা। এ কদিনে যেন সকলের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিল ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma)। ঘরের মেয়েটি এ যাত্রায় বেঁচে যাক। জিতে যাক সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রেম। প্রার্থনা করেছিলেন সকলে। সকলের এত প্রার্থনা শেষেও হল না শেষ রক্ষা। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। শেষ হল ১৯ দিনের দীর্ঘ লড়াই। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল অবধি ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। তারপর রবিবার দুপুর ১২ঃ৫৯- এ চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যায় হৃদযন্ত্র। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হয় অভিনেত্রীর। এরপরই তাঁকে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করা হয় অপারেশনও। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। মাঝে অবস্থার উন্নতি হলেও, গত বুধবার তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয় পর পর দু’বার। এরপর কাল রাতে আরও ১০ বার। শেষ লড়াই জেতা হল না ঐন্দ্রিলার।   

    এর আগেও একবার রটে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা আর নেই। কিন্তু বন্ধু সব্যসাচী জানান, খবরটি সত্যি নয়। এতে সবার আশা আরও বেড়ে গিয়েছিল। আশা ছিল ‘মিরাকল’- এর। কিন্তু হল না কোনও মিরাকল। 

    ফিরে দেখা ঐন্দ্রিলার লড়াই

    এর আগে মারণ রোগ ক্যান্সার দু দুবার থাবা বসিয়েছিল শরীরে। প্রথমবার ২০১৫ সালে অস্থিমজ্জায় এবং দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে ডাই ফুসফুসে টিউমার রূপে। দু’বারই ক্যান্সারকে হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাক থামিয়ে দিল সব লড়াই। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর আত্মীয় ও অনুরাগীদের আশা জন্মাচ্ছিল, হয়তো এই বার চেতনা ফিরবে তাঁর। কিন্তু তারপরই আবার হার্ট অ্যাটাক। একবার নয়, বারবার। হাজার চেষ্টা করেও কোমা থেকে আর কোনওভাবেই ফেরানো গেল না তাঁকে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

      

  • Shraddha Walkar Murder: নিখোঁজ আফতাবের পরিবার, খুনে যুক্ত তারাও, দাবি শ্রদ্ধার বাবার

    Shraddha Walkar Murder: নিখোঁজ আফতাবের পরিবার, খুনে যুক্ত তারাও, দাবি শ্রদ্ধার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Shraddha Walkar Murder) মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক হাড় হিম করা তথ্য উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকাররের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ২৭ বছর বয়সী মেয়ের খুনে জড়িত রয়েছে আফতাবের পরিবারের সদস্যরাও। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আফতাবের পরিবারের সবাই নিখোঁজ। এখন আমার মনে হচ্ছে পরিবারও এই খুনের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরও বলেন, “যখন আমরা আফতাব-শ্রদ্ধার বিষয়ে জানতে ওদের বাড়ি যাই, ওরা আমাদের কোনও রকম সাহায্য করেনি।” দিল্লি পুলিশ কেন এখনও আফতাবের পরিবারকে জেরা করছে না, সে বিষয়ে প্রশ্নও তোলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। আফতাবকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে বিয়ার-সিগারেট খান আফতাব, দেখেন নেটফ্লিক্স

    অন্য একটি সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধার বাবা বলেন, “২০২১ সালে আমার শেষ বার শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা হয়। আফতাবের খারাপ আচরণের বিষয়ে সে কিছুই জানায়নি। কিন্তু আফতাবের মায়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক ভালো নয়, তা জানিয়েছিল। তারপরে আমার ছেলে আমাকে সবটা জানায়। আমি, আমার স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোন ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, আফতাবের ভাই আমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয় নি।”

    জানা গিয়েছে, মেয়ের বিষয়ে জানতে শ্রদ্ধার পরিবার ভাসাইতে আফতাবের বাড়ি গেলে, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আফতাবের পরিবার আফতাবকে ফোন করে শ্রদ্ধার বাবাকে বলতে বলে, যাতে এই বিষয়ে তাদের জড়ানো না হয়। এরপরেই মানিকপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়, আফতাবের পরিবার নিখোঁজ। 

     



    মুসলিম প্রেমিকের হাতে খুন হিন্দু প্রেমিকা

    বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Shraddha Walkar Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

    কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Shraddha Walkar Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Shraddha Walkar Murder)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Modi at Tech Summit: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    Modi at Tech Summit: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি সম্মেলনে (Modi at Tech Summit) এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও প্রতিভার বিশ্বায়নকে নিশ্চিত করেছে। কীভাবে প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করতে হয় তা ভারত দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নও করেছি।”

    আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    বেঙ্গালুরু টেক সামিটে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একীকরণের সম্ভব হলে, তা একটি প্রধান শক্তি হয়ে ওঠে। মোদির কথায়, ভারতের উদ্ভাবন সূচকে বেঙ্গালুরু এক নম্বরে। বেঙ্গালুরু প্রযুক্তির আবাসস্থল। এটি একটি উদ্ভাবনী শহর। এই বছর বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন সূচকে ভারত ৪০ তম স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৫ সালে আমরা ৮১ তম স্থানে ছিলাম। ভারত ৮১,০০০ স্টার্টআপের আঁতুড় ঘর। ভারতে ইউনিকর্ন স্টার্টআপের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, আমরা এখন  এ বিষয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। আপনাদের বিনিয়োগ ও আমাদের উদ্ভাবন বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। আমি আপনাদের সকলকে আমাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন কীভাবে প্রযুক্তি ভারতে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করেছে। জন ধন যোজনা, আধার, ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। দেশে মোবাইল ও ডেটা বিপ্লবের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত ৮ বছরে ব্রডব্যান্ড সংযোগ ৬ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮১ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ কোটি থেকে বেড়ে ৭৫ কোটি হয়েছে। শহরগুলির তুলনায় দেশের গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে এক নতুন জনগোষ্ঠী প্রযুক্তির হাত ধরে তথ্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে।” এই ঘটনাকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মানুষের হাতের স্পর্শে কীভাবে প্রযুক্তির প্রসার ঘটতে পারে, তা করে দেখিয়েছে আমাদের দেশ।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জন ধন যোজনা, আধার মোবাইল- এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটেছে। এই ব্যবস্থায় গ্রহীতাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রযুক্তির হাত ধরে ছোটখাটো ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিও এখন বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হয়ে উঠছে। সরকারের এই সমস্ত প্রচেষ্টার ফলে দেশে দুর্নীতিও অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মধ্যে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে তা সুনিশ্চিত করতে অনলাইন টেন্ডার পদ্ধতিও চালু করা হয়েছে।”    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

LinkedIn
Share