Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Enforcement Directorate: ইয়েস ব্যাঙ্ক- ডিএইচএফএল দুর্নীতি কাণ্ডে ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি 

    Enforcement Directorate: ইয়েস ব্যাঙ্ক- ডিএইচএফএল দুর্নীতি কাণ্ডে ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েস ব্যাঙ্ক ডিএইচএফএল (Yes Bank- DHFL Scam) দুর্নীতি মামলায় ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এর মধ্যে রয়েছে সঞ্জয় ছাবড়িয়ার ২৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি এবং অবিনাশ ভোসলের ১৬৪ কোটি টাকার সম্পত্তি। 

    অর্থ তছরুপ অ্যাক্ট, ২০০২ -এর অধীনে এই দুইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি। ইডির ধারণা এই সম্পত্তির পরিমাণ যাবে ১,৮২৭ কোটি টাকা অবধি। 

    আরও পড়ুন: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির আগে রেখে এসেছিলেন কে? ‘ষড়যন্ত্র’?

    সঞ্জয় ছাবড়িয়ার যে সম্পত্তিগুলি রয়েছে, সেগুলি মূলত জমি বা ফ্ল্যাট। মুম্বইয়ের স্যান্টাক্রুজে ১১৬.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সঞ্জয়ের। এতে সঞ্জয়ের কোম্পানির ২৫% ইক্যুইটি শেয়ার রয়েছে। মুম্বইয়ে ৩ কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দিল্লি বিমান বন্দরের কাছে একটি ১৩.৬৭ কোটি টাকার একটি হোটেল রয়েছে। মোট ৩.১০ কোটি টাকা মূল্যের তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে তাঁর। 

    অবিনাশ ভোসলের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১০২.৮ কোটি টাকা মূল্যের মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। পুনেতে একটি ১৪.৬৫ কোটি টাকা এবং একটি ২৯.২৪ কোটি টাকার জমি। এছাড়াও নাগপুরে ১৫.৫২ কোটি টাকার এবং ১.৪৫ কোটি টাকার দুটি জমি। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ইতিমধ্যেই ইডি ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর এবং ডিএইচএফএলের কপিল ওয়াধাওয়ান এবং ধীরাজ ওয়াধাওয়ানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এদের তিনজনের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছিল এফআইআর। অভিযোগ ছিল, ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর অন্যায়ভাবে 
    ডিএইচএফএলকে অর্থ সাহায্য করেছেন এবং ওই কোম্পানি থেকে বিপুল সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। 

    ইডির দাবি রানা কাপুর ও বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে মিলে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যেমন ডিএইচএফএল আবাসন ক্ষেত্রে টাকা লগ্নি করত। ভারতে আবাসন শিল্পের সংকটের সঙ্গে এই কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ডিএইচএফএল ৩৭০০ কোটি টাকা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল। এরাই আবার রানা কাপুরের এক কন্যার পরিচালিত সংস্থাকে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়। কাপুর কন্যা মাত্র ৪০ কোটি টাকার একটি জমি জামানত রেখে এই টাকা পায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের বক্তব্য অনুযায়ী জামানত রাখা ওই সম্পত্তিটার মধ্যেও জালিয়াতি আছে। কারণ সেখানে কাগজের হেরফের করে কৃষিজমিকে রেসিডেন্সিয়াল প্লট হিসেবে দেখানো হয়েছে। আবার এই ডিএইচএফএল ও ইয়েস ব্যাঙ্কের যৌথ দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মীদের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড। সেখানে ২২৬৭ কোটি টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক লাটে ওঠার কিছুদিন আগে রানা কাপুরের স্ত্রী বিন্দু কাপুর ৩৭৮ কোটি টাকা দিয়ে গৌতম থাপারের (অজন্তা রিয়েলিটি লিমিটেড) এর কাছ থেকে একটি বাড়ি কেনেন। এই বাড়িটি আবার ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছে মর্টগেজ রাখা ছিল। থাপারের কাছ থেকে ৩৭৪ কোটি টাকা পাওয়ার পরে ইয়েস ব্যাঙ্ক সম্পত্তিটিকে মুক্ত করে। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করেছে এই সম্পত্তি দেখিয়ে থাপার গ্রুপ দু’দফায়  ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ১২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। 

    ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে রানা কাপুর ৭৮টি শেল কোম্পানির মালিক এবং রানা কাপুরের তিন কন্যা ৪২টি কোম্পানির ডিরেক্টর যার অনেকগুলিই কোম্পানি আইনে রেজিস্ট্রি করা নয়। তার ৪২,০০০ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণের মধ্যে ২০,০০০ কোটি টাকা স্বয়ং রানা কাপুর নিজের সিদ্ধান্তে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দিয়েছিলেন। 

  • Usha Thakur: অবৈধ মাদ্রাসাগুলিতে তদন্তের প্রয়োজন, দাবি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর 

    Usha Thakur: অবৈধ মাদ্রাসাগুলিতে তদন্তের প্রয়োজন, দাবি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ মাদ্রাসাগুলি (Illegally-Run Madrassas) মানুষ পাচারের জন্যে ব্যবহার করা হতে পারে, ওগুলোর তদন্ত হওয়া উচিৎ। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং আধ্যাত্মবাদের মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর (Usha Thakur)। এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই কথা বলেন তিনি। 

    তিনি বলেন, “সম্প্রতি এক সমাজসেবী সংস্থা ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছে। তাদের দাবি এক অবৈধ মাদ্রাসায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৩০-৪০ জন শিশুকে রাখা হয়েছে। তাদের জন্যে পর্যাপ্ত খাবারও নেই সেখানে। আমার ভয় মানুষ পাচারের কোনও চক্রও হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর 

    তিনি আরও বলেন, “যদি কোনও মাদ্রাসা, মাদ্রাসা বোর্ড এবং জেলা শিক্ষা দফতরের অনুমোদনপ্রাপ্ত না হয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই তদন্ত চালানো উচিৎ।” 

    এর আগেও মাদ্রাসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ঊষা ঠাকুর। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তিনি মন্তব্য করেন, সব জঙ্গি মাদ্রাসাতেই তৈরি হয়। এই মন্তব্যের পর বিস্তর সমালোচনার শিকার হতে হয় মন্ত্রীকে। 

    আরও পড়ুন: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী?

    মন্ত্রীর কথায়, “সব সন্ত্রাসবাদীরা মাদ্রাসা থেকেই তৈরি হয় আর জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে সন্ত্রাসের কারখানা গড়ে তোলে। তাই দেশের উন্নতি করতে চাইলে স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে মাদ্রাসাগুলিকে। সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীরা এই মাদ্রাসাতেই পড়াশোনা করে বড় হয়ে ওঠে।”

    ঊষা ঠাকুর আরও বলেন, “আপনি যদি এ দেশের নাগরিক হন, তাহলে দেখবেন, সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীই এই মাদ্রাসার ছাত্র।” মাদ্রাসাগুলি শিশুদের জাতীয়তাবাদের শিক্ষা দিতে পারে না বলেও মত মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর। 

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াল ‘রোমিও’, কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই হেলিকপ্টারের, জানেন কী? 

    ঊষা ঠাকুরের এই মন্তব্যের পর বেশ জলঘোলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ প্রদর্শনও করে মুসলিম সংগঠনগুলি। সেই বিতর্ক থিতিয়ে যেতেই ফের আবার বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী। 

     

  • Ramayana Quiz: “সকলের পড়া উচিত”, রামায়ণ কুইজ় প্রতিযোগিতা জিতল দুই মুসলিম ছাত্র

    Ramayana Quiz: “সকলের পড়া উচিত”, রামায়ণ কুইজ় প্রতিযোগিতা জিতল দুই মুসলিম ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হিন্দুদের কাছে রামায়ণ-মহাভারত শুধুই মহাকাব্য নয়। এগুলো ধর্মগ্রন্থের সমান। চেতনাকে ঠিক পথে চালনা করার এক পথ প্রদর্শক। প্রায় প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতেই পাওয়া যায় এই দুই গ্রন্থ। এই দুই মহাকাব্য হিন্দুরা পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষদেরও আকর্ষণ করার শক্তি রয়েছে রামায়ণ-মহাভারতের, সেটা জানতেন কি?

    সম্প্রতি এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল দেশ। ‘রামায়ণ কুইজ়’ (Ramayana Quiz) – এ প্রথম স্থান অধিকার করলেন দুই মুসলিম যুবক (Muslim Students)। কী বিশ্বাস হচ্ছে না! এমনটাই ঘটেছে ‘ডিসি বুক্স’ (DC Books) নামের এক প্রকাশনী সংস্থার আয়োজিত কুইজ় প্রতিযোগিতায়। মহম্মদ জাবির পিকে (Mohammed Jabir P K) এবং মহম্মদ বাসিত এম (Mohammed Basith M), মালাপ্পুরমের দুই মুসলিম ছাত্র অনলাইন রামায়ণ কুইজে় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। তাঁরা দুজনেই কেকেএইচএম ইসলামিক অ্যান্ড আর্টস কলেজ, ভ্যালেনচেরিতে ওয়াফি কোর্স করছেন। প্রতিযোগিতাটিতে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    আরও পড়ুন: সিএসআইআরে ডিজি পদে প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী, জানুন পরিচয় 

    আপনি যদি মহম্মদ বসিত এম- কে রামায়ণ থেকে তাঁর প্রিয় শ্লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তিনি অবিলম্বে ‘অযোধ্যাকাণ্ড’-এর শ্লোক আবৃত্তি করে শোনাবেন। যেখানে ক্রোধে ফেটে পড়ছেন লক্ষণ। আর ভাইকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন দাদা রাম। বোঝাচ্ছেন রাজত্ব, রাজপাট কতটা অপ্রাসঙ্গিক এবং অসাড় বিষয়। 

    শুধু যে শ্লোক উদাত্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করেন তা নয়, প্রতিটা শ্লোকের মানেও বোঝাবেন মিষ্টি স্বভাবের বাসিত। বিশেষত ‘আধ্যাত্ম রামায়ণ’ পাঠ করেন বাসিত। রামায়ণের মালায়ালি ভাষায় অনুবাদের নাম ‘আধ্যাত্ম রামায়ণ’। অনুবাদ করেছেন থুনচাথু রামানুজন এজুথাচান। এই কুইজ় প্রতিযোগিতায় পাঁচজন বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন এই দুই মুসলিম যুবক, মহম্মদ জাবির পিকে এবং মহম্মদ বাসিত এম।

    আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, উড়ান শুরু আকাসা এয়ারের 

    এই দুই যুবকের দাবি, তাঁরা ছোটবেলা থেকেই এই মহাকাব্যের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু মূলত ওয়াফি কোর্সে যোগদানের পর রামায়ণ এবং হিন্দুধর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে পড়তে এবং জানতে শুরু করেন। জাবির বলেন, “প্রত্যেকেরই উচিত রামায়ণ ও মহাভারত এই মহাকাব্যগুলি পড়া। কারণ মহাকাব্যগুলি দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের অংশ। আমি বিশ্বাস করি যে এই গ্রন্থগুলো শেখা এবং বোঝা আমাদের দায়িত্ব।”  

    বাসিত এ বিষয়ে বলেন, “মহাকাব্য পড়লে অন্য ধর্ম, তার মানুষদের সম্পর্কে আরও ভালো করে জানা যায়। কোনও ধর্মই ঘৃণার শিক্ষা দেয় না। শুধু শান্তি ও সম্প্রীতির প্রচার করে। এই কুইজে় জয় আমাকে আরও গভীরভাবে মহাকাব্য সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করেছে।” জাবির বলেন, “রামকেও তাঁর পিতা দশরথকে দেওয়া কথা রাখতে রাজ্য ত্যাগ করতে হয়েছিল। আমরা যাঁরা এই সময়ে বাস করছি, যখন ক্ষমতা দখলের অবিরাম যুদ্ধ চলছে, সেখানে রামায়ণ মহাকাব্যের রামের মতো চরিত্র থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।   

    ভারতের ৯৭টি মুসলিম কলেজ ক্যাম্পাসে ওয়াফি পড়ানো হয়। আট বছর দীর্ঘ এই কোর্স। মূলত প্রধান ধর্মগুলি সম্পর্কে পড়ানো হয় এই কোর্সে।

  • National Flag DP: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ডিপি-র সঠিক মাপ জানেন তো?

    National Flag DP: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ডিপি-র সঠিক মাপ জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিসপ্লে পিকচার অথবা ডিপি বদলের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ফেসবুক ও টুইটারে প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার (Indian National Flag) ছবি দেখা গিয়েছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি বদলে দেশের জনতাকেও প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি দিতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি । ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (76th Independence Day) উপলক্ষে দেশের নাগরিকদের কাছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি করা পালন করার ডাক দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ছবিতে জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়ার জন্য সকল দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মোদি।      

    [tw]


    [/tw]

    ট্যুইটে মোদি লিখেছেন, “আজকের ২ অগস্ট দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছি, তখন আমরা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় পতাকাকে উদযাপন করব। সেই কারণে সব সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার ডিপি বদলেছি এবং আপনাদেরও ছবি বদলানোর অনুরোধ করছি।” জাতীয় পতাকার নকশা প্রণয়নকারী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে মোদি লেখেন, “জন্মবার্ষিকীতে পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। জাতীয় পতাকা প্রদান করার জন্য আমাদের দেশ সারাজীবন তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। জাতীয় পতাকা নিয়ে আমরা গর্বিত এবং তাঁর থেকে উদ্দীপনা নিয়ে আমরা দেশের উন্নতিতে কাজ করব।”   
     
    [tw]


    [/tw]

    এবার জেনে নিন কীভাবে জাতীয় পতাকায় বদলাবেন আপনার প্রোফাইল পিকচার? 

    ফেসবুক

    প্রথমে প্রোফাইল পিকচারে ট্যাপ করুন। তারপর ‘Add Frame’ করুন। 

    তারপর ‘Flags’ অপশনে গিয়ে , তালিকায় ‘India’ – তে ক্লিক করুন।

    তাহলেই ভারতের পতাকা আপনার প্রোফাইল পিকচার হিসেবে সেভ হয়ে যাবে। 

    ইনস্টাগ্রাম

    প্রোফাই আইকনে যান।

    সেখানে গিয়ে চেঞ্জ প্রোফাইল ফটোতে গিয়ে আগে থেকে ডাউনলোড করা তেরঙ্গার ছবি সিলেক্ট করুন।

    তাহলেই জাতীয় পতাকা চলে আসবে প্রোফাইলে।

    হোয়াটসঅ্যাপ 

    প্রোফাই ছবিতে যান।

    সেখানে গিয়ে চেঞ্জ প্রোফাইল ফটোতে গিয়ে আগে থেকে ডাউনলোড করা তেরঙ্গার ছবি সিলেক্ট করুন।

    তাহলেই জাতীয় পতাকা চলে আসবে প্রোফাইলে।

    ট্যুইটার

    একই ভাবে বদলাতে পারবেন ট্যুইটারের প্রোফাইল পিকচার। 

    কিন্তু ছবি সেভ করলেই হবে না। খেয়াল রাখতে হবে কোনও ভাবেই যেন দেশের জাতীয় পতাকার অবমানতা না হয়। কারণ ছবির মাপ ঠিক না হলে যেকোনও জায়গা থেকে কেটে যেতে পারে ছবি। তাই কোন সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কত মাপের ডিপি দেওয়া যায় সেটা জেনে ছবি পছন্দ করুন। 

    জেনে নিন কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্যে কোন মাপের ছবি লাগবে? 

    ফেসবুক: ১৭০/১৭০  পিক্সেল 
    ট্যুইটার: ৪০০/৪০০ পিক্সেল 
    ইনস্টাগ্রাম: ১৮০/১৮০ পিক্সেল 
    হোয়াটসঅ্যাপ: ৫০০/৫০০ পিক্সেল 

     

  • TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে তৃণমূল (TMC) নেতাদের। আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছে রাজ্যের শাসক দলের। জনতার রোষে এতটাই জর্জরিত তৃণমূল যে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘তৃণমূলে সবাই চোর নয়’ – এই বিবৃতি দিতে হচ্ছে প্রথম সারির নেতাদের। আর এই সবে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় যে মোটেই খুশি নয় তাঁরা সে কথাও জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    হাসপাতাল থেকে হাসতাপাল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের দেখলেই এখন ভেসে আসছে একটাই আওয়াজ। কেউ মুখ লুকিয়ে কোনও রকমে পালাচ্ছেন। কেউ আবার বুকে হাত দিয়ে সবকিছু শুনছেন। উপায় নেই। অনেকে বলছেন, পাপের ফল। যে যাই বলুক, একের পর এক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর এখন আর কেউ ভয় পাচ্ছে না শাসককে। তাই কেলেঙ্কারির নায়কদের দেখলেই রব উঠছে, চোর চোর চোর। এসএসসি কেলেঙ্কারি থেকে গরু, কয়লা পাচার। দুর্নীতির পাহাড়ে বসে কিছুদিন আগেও ক্ষমতার আস্ফালন করতে দেখা গিয়েছিল এই নেতাদের। এখন সবকিছু সামনে আসতেই লজ্জায় মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছেন না তাঁরা। অনুব্রত থেকে পার্থ জনতার ‘চোর’ বদনাম থেকে রেহাই পাননি কেউ। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে জুতোও চুড়ে মারেন এক মহিলা।  কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন আরও অনেকে। সকলেই ভয় পাচ্ছেন, তাঁকেও না শুনতে হয় এই চোর অপবাদ। চায়ের ঠেক থেকে বিধানসভা সব জায়গায় একটাই আলোচনা, ‘তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি’। আর এতেই বেজায় বিপদে পড়েছে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    তাই ঢাক ঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ‘চোর’ না হওয়ার সাফাই দিতে হচ্ছে।  তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমসহ (Firhad Hakim) অন্যান্য নেতারা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে। একটা মামলা হয়েছে। ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? অনেকে রোজগারের টাকায়, ব্যবসা করেছি? অদ্ভুত লাগে, অর্ধ সত্য প্রকাশিত হচ্ছে।”  

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, ” আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আদালতের দেওয়া তালিকায় তৃণমূলের নেতাদের পাশাপাশি বাম, কংগ্রেস নেতাদের নামও রয়েছে। সেই সব নাম নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ টুঁ শব্দ করছে না। উল্টে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা ‘খাপ পঞ্চায়েত’ বসাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে।” 

    তাহলে কি এবার ভয় পেতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা! এবার কার ডাক পড়বে ইডি দফতরে তার ভয়ে সিটিয়ে যাচ্ছেন! তার তাতেই কি আগাম সাফাই? যাতে এরপর তাঁদের দিকেও না আসে চোর স্লোগান। এমনটাই কিন্তু বলছে রাজনৈতিক মহল।  

  • UGC NET: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেটের দ্বিতীয় পর্ব, জানুন বিস্তারিত

    UGC NET: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেটের দ্বিতীয় পর্ব, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেট (UGC-NET) পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্ব। সোমবার (৮ অগস্ট) পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অগাস্টে নেটের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বদলে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এর আগে ১২ থেকে ১৪ অগস্টের মধ্যে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।”  

    আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কুয়েট পিজি, জানাল ইউজিসি
     
    এদিন ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার (UGC Chairman M Jagdesh Kumar) ট্যুইটে লেখেন, “ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) গত ২০২২ সালের ৯, ১১ এবং ১২ জুলাই, সারা দেশের ২২৫টি শহরের ৩১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩৩টি বিষয়ের একত্রিতভাবে ইউজিসি-নেট প্রথম পর্বের পরীক্ষা নিয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা আগে ২০২২ সালের ১২, ১৩ এবং ১৪ অগাস্টে হওয়ার কথা ছিল। তবে, এখন ইউজিসি-নেট ডিসেম্বর ২০২১ এবং জুন ২০২২-এর একত্রিত চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা ২০২২ সালের ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬৪টি বিষয়ে নেওয়া হবে পরীক্ষা।”   

    আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্নাতক স্তরে ভর্তির শেষ তারিখ চূড়ান্ত না করার আর্জি ইউজিসির

    কী ভাবে ডাউনলোড করবেন অ্যাডমিট কার্ড? 

    • ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি পরিচালিত এই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে প্রথমে ইউজিসি নেটের সরকারি ওয়েবসাইট, ugcnet.nta.nic.in -এ যান। 
    • হোম পেজের নিচের দিকে ‘ক্যান্ডিডেটস অ্যাক্টিভিটিস’ বলে একটি বিভাগ রয়েছে, তার মধ্যে থাকা ইউজিসি নেট অ্যাডমিট কার্ড লেখা লিঙ্কে ক্লিক করুন। 
    • এরপর রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে লগইন করুন। তাহলেই ইউসিজি নেট ২০২২-এর অ্যাডমিট কার্ড স্ক্রিনে চলে আসবে।
    • সেটি ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্যে প্রিন্টআউট নিয়ে রাখুন।   

     

     

     

  • JEE Main Session 2 Result: জেইই মেইন সেশন ২- এর ফল প্রকাশ করেছে এনটিএ, স্কোর কার্ড কীভাবে ডাউনলোড করবেন?

    JEE Main Session 2 Result: জেইই মেইন সেশন ২- এর ফল প্রকাশ করেছে এনটিএ, স্কোর কার্ড কীভাবে ডাউনলোড করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনের সিজন ২ (JEE Main Session 2) -এর ফল প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। ফলাফল দেখা যাবে  এনটিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট jeemain.nta.nic.in -এ। পরীক্ষার ফলাফল দেখার জন্য শিক্ষার্থীদের তাদের অ্যাডমিট কার্ডে উল্লিখিত রেজিস্ট্রেশন নম্বরের (Registration Number) প্রয়োজন হবে।

    আরও পড়ুন: কুয়েট ইউজি ফেজ ২ -এর অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করল এনটিএ, জানুন বিস্তারিত

    এই বছর জেইই মেইন সেশন ২ এর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২৫ শে জুলাই এবং শেষ হয়েছে ৩০ শে জুলাই। প্রায় ৬ লক্ষ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (JEE) মেইন ২০২২ সেশন ২ এর উত্তরপত্র (Answar Key) ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) প্রকাশ করেছে। রবিবার ৭ অগাস্ট সকাল ১০টায় ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করেছে এনটিএ। ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন স্কোর কার্ডও। 

    আরও পড়ুন: সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ফল প্রকাশিত, পাশের হার ৯৪.৪০%

    কী করে ডাউনলোড করবেন স্কোর কার্ড  

    • প্রথমে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট jeemain.nta.nic.in-এ যান।
    • হোমপেজে ‘ JEE মেইন ফলাফল সেশন২’ লিঙ্কে ক্লিক করুন।
    • জন্মের তারিখ ও  অ্যাপ্লিকেশন নং দিয়ে লগইন করুন।
    • আরও পড়ুন: আগামী বছর সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় বসছেন? জেনে নিন এই বিষয়গুলি
      এরপর সাবমিটে বাটনে ক্লিক করুন।
    • আপনার ফলাফল স্ক্রিনে দেখা যাবে। 
    • ফলাফল এবং স্কোরকার্ড ভালো করে পরীক্ষা করুন।
    • প্রয়োজনে ফলাফল ডাউনলোড করে রাখুন ভবিষ্যতের জন্য।

    আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কুয়েট পিজি, জানাল ইউজিসি 

    ফল দেখতে কী তথ্য প্রয়োজন?

    • অ্যাপ্লিকেশন নম্বর
    • জন্মের তারিখ
    • পাসওয়ার্ড 

    আইআইটি (IIT), এনআইটি (NIT) এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির জন্য প্রতি বছর জেইই-মেইন (JEE Main) পরীক্ষা নেয় এনটিএ। গত বছর কোভিড (Covid-19) পরিস্থিতিতে চারবার নেওয়া হয় এই পরীক্ষা। এবছরের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল মাসে। কিন্তু অন্য পরীক্ষার সময়সূচীতে সংঘাত ঘটায় পিছিয়ে দেওয়া হয় সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা।  

     

     

  • Delhi liquor scam: আবগারি নীতি দুর্নীতিতে আরাভা গোপিসহ ১১ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Delhi liquor scam: আবগারি নীতি দুর্নীতিতে আরাভা গোপিসহ ১১ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লেফটান্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার (Vinai Kumar Saxena) সাক্সেনা অনুমতি দেওয়ার একদিন পরেই, আবগারি কমিশনার আরাভা গোপি (Arava Gopi) এবং ডেপুটি কমিশনার আনন্দ তিওয়ারিকে (Anand Tiwari) সাসপেন্ড করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। আবগারি নীতি ২০২১-২২ (Delhi Excise Policy 2021-22) প্রণয়ন এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ১১ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।

    আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির   

    আবগারিনীতি দুর্নীতি নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার এবং লেফট্যান্যান্ট গভর্নরের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। সোমবার ১১ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার অনুমতি দেন লেফট্যান্যান্ট গভর্নর। এই ১১ জনের তালিকাতেই ছিলেন গোপি এবং তিওয়ারি। এছাড়াও যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা হলেন, পঙ্কজ ভাটনাগার, নরিন্দর সিং, নিরজ গুপ্ত, সেকশন অফিসার কুলজিত সিং, সুভাষ রঞ্জন, সত্যব্রত ভার্গভ, সচিন সোলাঙ্কি এবং গৌরব মান।  

    গত শুক্রবার সকালেই আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা এর আগেই আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আবগারি নীতি দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    ১৬ নভেম্বর ২০২১ সালে নয়া আবগারি নীতির প্রবর্তন করেছিল দিল্লি সরকার। নতুন নীতিতে মদ কেনার পদ্ধতির পাশাপাশি মদ বিক্রির পদ্ধতিতেও বিস্তর বদল নিয়ে আসা হয়েছিল। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে ঢালাও বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির সরকারের পরিকল্পনা ছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলার। গোটা শহররে ৩২টি অঞ্চল জুড়ে এই মদের দোকানগুলির খোলার পরিকল্পনা ছিল এবং প্রত্যেকটি জোনে ২৭টি করে মদের দোকান থাকার কথা ছিল। এবং একটি জোনের সবকটি দোকানই একজন লাইসেন্সধারীর অধীনে থাকবে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন।   

    আগের আবগারি নীতিতে দিল্লির মোট ৮৬৪টি মদের দোকানের মধ্যে চারটি সরকারি সংস্থা রাজ্যে ৪৭৫টি মদের দোকান চালাত এবং বাকি ৩৮৯টি দোকান বেসরকারি মালিকদের হাতে ছিল। 

    নতুন আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকারের কোষাগারে ব্যাপক লাভের অঙ্ক ঢুকলেও, আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকি আর্থিক দুর্নাীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে নতুন আবগারি নীতি বাস্তবায়নের ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। 

    কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা দিল্লি সরকারে এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। তারপরেই তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। আর এই মামলাতেই সাসপেন্ড করা হয় আবগারি দফতরের এই আধিকারিকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Monkey Pox: দিল্লিতে আরও এক মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিশ, বিদেশ যাওয়ার ইতিহাস নেই রোগীর

    Monkey Pox: দিল্লিতে আরও এক মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিশ, বিদেশ যাওয়ার ইতিহাস নেই রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দিল্লিতে মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ। এই নিয়ে তৃতীয়বার। গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য এই বিষয়ে বলেন, “এই অবধি দেশে আটজন মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এদের মধ্যে পাঁচ জনেরই বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস আছে।” 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের নতুন উপসর্গ শনাক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা, কী সেই উপসর্গ?
     
    সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ দিন ধরে ওই ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত৷ তাঁর সারা দেহে ফুসকুড়িও বেরিয়েছে৷ দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে৷ সোমবার বিকেলে জানা যায় তিনি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত৷ এ ছাড়াও আরও দুই আফ্রিকান বংশোদ্ভূতকে মাঙ্কি পক্স আক্রান্ত সন্দেহে সরকারি হাসপাতালে আইসোলেটেড রাখা হয়েছে ৷ সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে সদ্য ফেরা এক ২২ বছর বয়সি যুবক কেরলে মাঙ্কি পক্স আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ 

    দিল্লির বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী এক নাইজেরীয়র (Nigerian Man) শরীরে পাওয়া গিয়েছে মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) ভাইরাস। এই ব্যক্তির বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। এই মুহূর্তে দিল্লির (Delhi) এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি৷ এই নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত মোট ৮ জন মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে৷ 

    দেশে মাঙ্কি পক্সকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে৷ নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডক্টর ভিকে পালের নজরদারিতে ৫ সদস্যের এই টাস্কফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মূলত এই রোগের প্রতিরোধ, পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং টিকাকরণ সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি। ডাক্তার ভি কে পাল ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ, বায়োটেকনোলজি দফতরের সচিব এবং অন্যান্য দফতরের সচিবরা। গত ২৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে মাঙ্কি পক্স নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ মাঙ্কি পক্স যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য বিভিন্ন সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের পৃথকীকরণে সফল ভারত, জানাল এইআইভি

    মাঙ্কি পক্সকে ইতিমধ্যেই অতিমারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারেরও বেশি। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কিছু। সম্প্রতি চিকিৎসকদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নতুন উপসর্গ (Symptoms) শনাক্ত করেছে। মাঙ্কি পক্সে বড় বড় ফুসকুড়ি দেখা যায়। এই উপসর্গের কথা আগেই শুনেছেন সবাই। কিন্তু এর সঙ্গে চিকিৎসকরা শনাক্ত করেছেন আরও তিনটি উপসর্গ। যা আগে ছিল না। সেগুলো হল, যৌনাঙ্গে ঘা, মুখে ঘা এবং মলদ্বারে ঘা।    

     

  • Covid 19: করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও, উপসর্গ মৃদু, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    Covid 19: করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও, উপসর্গ মৃদু, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ (Covid 19)। বৃহস্পতিবার দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,৮৯৩ জন৷ বুধবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৭,১৩৫৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত ৪,৮০,৮৭,০৩৭। দেশে দৈনিক মৃত্যু ৫৩৷ এর মধ্যে কেরালাতেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের৷ এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৫,২৬,৩৫৭। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কর্ণাটক৷ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০,৪১৯ জন৷ সুস্থতার হার ৯৮.৫০ শতাংশ৷

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ওপরের দিকে উঠলেও তাতে এখনই ভয়ের বিশেষ কারণ নেই, এমনটাই জানাচ্ছেন দেশের চিকিৎসকরা। দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র পালমোনোলজিস্ট ডাঃ নিখিল মোদি বলেছেন, “করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী এটা ঠিক, কিন্তু উপসর্গ মৃদু। একদিন আগেই দিল্লিতে ২০০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মৃদু উপসর্গ (Mild Symptoms) রয়েছে।”

    যাদের কোমর্বিলিটি রয়েছে তাঁদের সম্পর্কে ডাঃ মোদি বলেন, “৮০-৯০ বছরের রোগীরা, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদেরও অত্যন্ত মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ধীরেন গুপ্ত বলেছেন, “যারা কোভিড বিধি মেনে চলবেন না তাঁরা সমস্যায় পড়তে পারেন। অনেকেই কোভিড বিধি সম্পর্কে জানেন না। যখন সমস্যা অনেক বেড়ে যায় তখন টেস্ট করান তাঁরা।”

    তিনি আরও বলেন, ” কোভিড সংক্রমণ এত দ্রুত বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ মানুষের অসচেতনতা। অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। আবহআওয়া পরিবর্তনও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।” 

    তিনি বলেন, “বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি সাধারণ ভাইরাল ফ্লু- এর মতো। ২- ৩ দিন জ্বর থাকছে। ৫-৭ দিন পরে আর সেভাবে কোনও উপসর্গ লক্ষ করা যাচ্ছে না।”

    ডাঃ গুপ্ত বলেন, “কোভিড এখনই শেষ হয়ে যায়নি। যারা তিনমাস আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা নতুন করে আবার আক্রান্ত হচ্ছেন।”

     

     

LinkedIn
Share