Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে দ্বীপরাষ্ট্র। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। সোমবার পদত্যাগ পত্রে সই করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ   (Sri Lankan President Gotabaya Rajapaksa)। আর তার পরেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালালেন গোতাবায়া। রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার জল্পনা আগেই ছিল। দেশের সামরিক বাহিনীর বিমানে চেপেই পরিবার নিয়ে মালদ্বীপে (Maldives) পালিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের পরেই ১৩ জুলাই ভোরে রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী এবং দু’জন দেহরক্ষীকে নিয়ে সেনা বিমান মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন, শুল্ক এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defense) অনুমোদন দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফ থেকেও রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কাতুনায়াকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছে বিমানটি। মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে সেই বিমান। মালদ্বীপে পৌঁছে তাঁরা কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    সূত্রের খবর, অ্যান্টোনভ-২২ সামরিক বিমানে চেপে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। শ্রীলঙ্কার বায়ু সেনার মিডিয়া ডিরেক্টর (Sri Lankan Air Force Media Director) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী ও ২ জন দেহরক্ষীকে দেশ ছাড়ার জন্যে ইমিগ্রেশন, শুল্ক এবং অন্যান্য বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ১৩ জুলাই ভোরে এয়ার ফোর্সের বিমানে তাঁদের মালদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    সোমবারই রাজাপক্ষ পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। যা আজ সংসদের স্পিকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বুধবার তিনি ইস্তফা দেবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন স্পিকার। কিন্তু তার আগেই দেশ ছেড়েছেন রাজাপক্ষ। তবে তিনি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নিজের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে না নিয়ে যেতে পারলে ইস্তফা দেবেন না।  

    রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার পরেই, ফ্লাওয়ার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বাড়ির সামনে বিশাল জমায়েত করে জনতা। বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় প্রাসাদের সামনে। দেখা নেই কোনও রক্ষীর। ফলে প্রাসাদ চত্বরে অবাধ বিচরণ জনতার। এই পরিস্থিতিতেই জারি হয়ে গেল জরুরি অবস্থা। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পরেই দেশের কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw] 

    শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দফতরেরও দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদ রুখতে কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে পুলিশ। রনিল বিক্রমসিংহে বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তি সরকার দখল করতে চাইছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাকে নির্দেশ দিলেন নয়া রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে। 

    [tw]


    [/tw]

    নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতির পদে বহাল থাকবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।  

    গত সপ্তাহের শেষেই রাষ্ট্রপতির বাস ভবনের দখল নেন দেশের সাধারণ মানুষ। বিষয়টি এমন দিকে গড়াতে পারে, সেকথা আগেই আঁচ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া। তাই আগেভাগেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়েন তিনি। তারপর থেকে তাঁর কোনও সন্ধান ছিল না। পরবর্তীতে শোনা যায়, তিনি শ্রীলঙ্কার নৌসেনা শিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। অবশেষে বুধবার ভোরে সেনা বিমানে চেপে দেশ ছাড়েন তিনি।   

     

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ চিনা (China) নাগরিকের ভাষা মান্দারিন (Mandarin)। তাই সেই ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠতে চাইছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের দাবি, চিন সীমান্তের অবস্থা মাথায় রেখে ভারতীয় সেনা (Indian Army) অফিসারদের মান্দারিনে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। মোটের উপরে বাহিনীতে মান্দারিন জানা জওয়ান-অফিসারের সংখ্যা বাড়ানোই সেনার লক্ষ্য।     

    ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার বিভিন্ন স্তরের কমিশনড অফিসাররা ইতিমধ্যেই মান্দারিন ভাষা ভাল রপ্ত করে ফেলেছেন। সেনার নর্দার্ন, ইস্টার্ন এবং সেন্ট্রাল কমান্ডের ভাষা-শিক্ষার স্কুলগুলিতে মান্দারিনের নানা রকম কোর্সের শিক্ষা চলছে। মান্দারিন লেখা পড়তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি টেরিটোরিয়াল আর্মিতেও মান্দারিন জানা জওয়ান ও অফিসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: ডিআরডিওর মুকুটে নয়া পালক! অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা    

    সূত্রের মতে, ভবিষ্যতে দুদেশে মধ্যের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। সেনা বাহিনীর দাবি, দুই দেশের বাহিনীর কোর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা, ফ্ল্যাগ মিটিং, বর্ডার পার্সোনেল মিটিং বা যৌথ সামরিক মহড়ার ক্ষেত্রে ভাষাটি জানা থাকলে সুবিধা হবে। মতের আদান-প্রদান সহজ হবে। চিনের সেনা বাহিনী যখন তাদের কোনও সিদ্ধান্ত জানাবে, তখন ভারতীয় অফিসারদের পক্ষে তার অর্থ আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হবে। আবার ভারতের অফিসাররাও চিনকে তাঁদের বক্তব্য বুঝিয়ে বলতে পারবেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যত রণকৌশল তৈরি আরও সহজ হবে।  

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    সেনা বাহিনীকে মান্দারিনে দক্ষ করে তুলতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, গুজরাট কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতাপত্র সাক্ষর করেছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের পচমঢ়ীতে সেনার ট্রেনিং স্কুল এবং দিল্লির স্কুল অব ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজেস-এ চাকরি বাড়িয়ে তাদেরও এই প্রয়াসে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা। সেনারা মান্দারিন ভাষা রপ্ত করতে পারছেন কি না, দিল্লির লাঙ্গমা স্কুল অব ল্যাঙ্গোয়েজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করেও দেখা হচ্ছে।    

     

  • India Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    India Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যার (Population) নিরিখে আর কিছু দিনেই চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ হতে চলেছে ভারত (India)। সোমবার এমনই দাবি করা হয়েছে একটি রিপোর্টে। 

    আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চিনের (China) থেকেও বেশি জনসংখ্যা হবে ভারতের। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) প্রকাশিত ‘দ্য ওয়ার্লড পপুলেশন প্রসপেকট্স ২০২২’ নামের এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বছর নভেম্বরেই ৮০০ কোটিতে দাঁড়াবে বিশ্বের জনসংখ্যা। ভারতের পাশাপাশি গোটা পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। রাষ্ট্রসংঘের এই রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির বৃদ্ধি দ্রুত হলেও, জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে চাপে পড়তে পারে ভারত। 

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত 

    রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ১৯৫০-এর পর থেকে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নীচে নেমে যায়। কিন্তু নতুন এই রিপোর্ট বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০-এ তা গিয়ে হবে ৯৭০ কোটি। 

    আরও পড়ুন: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম    

    পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে জনবহুল। এখনও চিনের জনসংখ্যা বিশ্বে মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলেই। তারপরেই রয়েছে ভারত। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ভারত ছাড়াও সে তালিকায় রয়েছে, কঙ্গো, মিশর, পাকিস্তান, নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়া এবং তানজানিয়া।      

    গতকাল ছিল ১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এদিনই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই বিশেষ দিনের উদযাপনের কথা বলা হয় ১৯৮৯ সালে যখন সারা বিশ্বের জনসংখ্যা পেরিয়ে যায় ৫০০ কোটি। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে চলেছে এই দিন। এই বছর সারা পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে চলেছে ৮০০ কোটি। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ছুঁয়েছিল ৭০০ কোটি। 
      
     

  • Amarnath Yatra: আতঙ্কের অবসান, ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা

    Amarnath Yatra: আতঙ্কের অবসান, ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্ক কাটিয়ে ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের আতঙ্ক (Cloudburst Incident) আপাতত আর নেই। তাই ফের অমরনাথ যাত্রার অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। আজ থেকে আবারও শুরু হল অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2022)। দুর্ঘটনার পরে আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল যাত্রা। সোমবার সকালে নুনওয়ান-পাহালগামের দিক থেকে আবার শুরু হয়েছে যাত্রা। জম্মু বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের একটি নতুন দল যাত্রা শুরু করেছে। এক তীর্থযাত্রীর কথায়, “আমাদের মনোবল ভাঙেনি। বাবার দর্শন না করে ফিরে যাব না। আমরা খুশি যে যাত্রা আবারও শুরু হয়েছে। সিআরপিএফ এবং অন্যান্য কর্মীরা আমাদের যাত্রা শুরুর ছাড়পত্র দিয়েছেন।” 

    আরও পড়ুন: অমরনাথে বাঙালি ছাত্রীর মৃত্যু, আটকে ১৬, চালু হেল্পলাইন

    পাঞ্জাবের এক বাসিন্দার গলাতেও একই সুর। আয়ুশ নামের এক যুবকের কথায়, “অমরনাথ দর্শন করেই বাড়ি ফিরব। যতদিন না রুট চালু হচ্ছে, ততদিন এখানেই অপেক্ষা করব।” দেবরাজের নামের আরেক তীর্থযাত্রীর  পূর্ণ আস্থা রয়েছে প্রসাশনের ওপর। তাঁর কথায়, মেরামতির কাজ শেষ করে খুব শীঘ্রই যাত্রা শুরু হবে। 

    আরও পড়ুন: গুহার উপরেই জমাট বাঁধা মেঘ! অমরনাথে আতঙ্ক 

    বালতাল বেস ক্যাম্প থেকে যদিও এখনও যাত্রা শুরু হয়নি। সেখানে তীর্থযাত্রীরা যাত্রা শুরুর জন্য অপেক্ষা করছেন। বালতাল এবং নুনওয়ান উভয় দিক থেকেই হেলিকপ্টার পাওয়া যাবে।

    শুক্রবার অমরনাথের গুহা মন্দিরের কাছে একটি মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান নেমে আসে। আকস্মিক এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। কমপক্ষে ৩৬ নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (NDRF) কর্মীরা। পুলিশ কুকুরের মাধ্যমেও খোঁজ চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের আশঙ্কা হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পাহালগামের একটি বেস ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন।

     

  • Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে (Vijay Mallya) চার মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেই সঙ্গে দুহাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে কিংফিসারের প্রাক্তন প্রধানকে। শর্ত না মানলে আরও ২ মাস জেল খাটতে হবে বলেও জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও বিদেশে পাচার করা ৪ কোটি মার্কিন ডলারও ফেরত দেওয়ার জন্যে শিল্পপতিকে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

    তথ্য গোপন এবং আদালত অবমাননার দায়ে বিজয় মালিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউইউ ললিত, রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

    ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিজের ছেলে ও মেয়েকে প্রায় ৩১৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। সেই টাকা ৮ শতাংশ সুদে চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে তাঁকে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যথায় ‘কিংফিশার কিং’ -এর সম্পত্তি বেঁচে পাওনাদার সংস্থাগুলিকে টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    ২০১৬ সালে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বিজয় মালিয়া। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিজয় মালিয়াকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু হাজিরা তিনি দেননি। এছাড়াও নিজের সম্পত্তির সম্পূর্ণ খতিয়ান ব্যাঙ্কগুলির কাছে গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে মালিয়ার বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কগুলির অভিযোগ, ২০১৭ সালের কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ছেলে সিদ্ধার্থ ও মেয়ে লীনাকে প্রায় ৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন মালিয়া।  

    ৫ বছর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে মালিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা শুরু হয়। শীর্ষ আদালত জানায়, মালিয়া তথ্য গোপন করেছেন। কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছেন। ভারত সরকারের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকেই লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে বসে আছেন বিজয় মালিয়া। এখনও তিনি অধরা।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত এবং পলাতক বিজয় মাল্য, নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসির কাছ থেকে মোট ১৮,০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  

  • Haifa Port: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি 

    Haifa Port: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রি হয়ে গেল ভূমধ্য সাগরের তীরে অবস্থিত ইসরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা (Haifa Port)। ভারতের আদানি গ্রুপ (Adani Ports) এবং ইসরায়েলের (Israel) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গাগত যৌথভাবে কিনেছে সেই বন্দর। ১১৮ কোটি মার্কিন ডলারে রফা হয়েছে। গতকাল বিষয়টি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। 

    রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২ বছরের দরপত্র প্রক্রিয়ার শেষে কম মূল্যে আমদানি ও স্বল্প সময়ে পণ্য খালাসের শর্তে আদানি ও গাগতের কাছে হাইফা বন্দর বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হাইফা বন্দরের বেসরকারিকরণ, অন্যান্য বন্দরগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার খরচ কমাবে।” সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক জানান, হাইফা বন্দরের অংশীদারিত্বের ৭০ শতাংশ আদানি গ্রুপ ও ৩০ শতাংশ গাদত পেয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি 

    আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) ট্যুইটে লেখেন, “দরপত্রে জয়ী হতে পেরে আনন্দিত। ২ দেশের কাছেই এর কৌশলগত ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। হাইফায় আসতে পেরে গর্বিত। ১৯১৮ সালে এখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ভারত। সামরিক ইতিহাসের অন্যতম সেরা ঘটনা।”

    [tw]


    [/tw]

    হাইফা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দরপত্রে বিজয়ী প্রতিষ্ঠান ২টি ২০৫৪ সাল পর্যন্ত বন্দর পরিচালনা করবে।      

    গত বছর বন্দরে কর্মীর অভাব, লকডাউন, বিশ্বের অনেক অংশে পরিবহন জট ও ভাড়ায় চালিত জাহাজের খরচের কারণে বন্দর বিশাল ক্ষতির মুখ দেখে। যার প্রভাব ইসরায়েলেও পড়ে। দেশটির সমস্ত পণ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ সমুদ্রপথে আসা-যাওয়া করে। কারমেল পর্বত দ্বারা বেষ্টিত হাইফা বন্দর শতাব্দি পুরোনো। ইসরায়েলের প্রধান এই বন্দর দিয়ে গত বছর অর্ধেক পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। 

    আদানি গ্রুপ বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ, জ্বালানি, খনি, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করে থাকে। বিশ্বের ৫০টি দেশের ৭০টি স্থানে তারা ব্যবসা করে। তাদের বার্ষিক আয় ২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।    

     

  • CUET UG: কুয়েট পরীক্ষায় বসছেন? জেনে নিন এই নিয়মগুলি

    CUET UG: কুয়েট পরীক্ষায় বসছেন? জেনে নিন এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতকস্তরে ভরতির জন্যে প্রবেশিকা পরীক্ষা (CUET) নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। দুটি ভাগে নেওয়া হবে এই পরীক্ষা। ১৫,১৬,১৯,২০ জুলাই হবে এই পরীক্ষা। অগাস্টের ৪-৮ নেওয়া হবে পরীক্ষার দ্বিতীয় ভাগ। 

    দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবেশিকা পরীক্ষা কুয়েট। প্রায় ১৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসবেন পরীক্ষা। দেশজুড়ে ৫৪,৫৫৫ বিষয়ে পড়ার জন্যে আবেদন করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। দুটি টাইম স্লটে নেওয়া হবে পরীক্ষা। একটি স্লট সকালে এবং অপরটি বিকালে।

    আরও পড়ুন: কুয়েট পরীক্ষায় আবেদন ১১ লক্ষ পরীক্ষার্থীর, জানাল ইউজিসি

    কীভাবে দেওয়া হবে নম্বর?

    দুটি পরীক্ষারই পার্সেন্টাইল আলাদাভাবে হিসেব করা হবে। নম্বর নয় কোন প্রার্থীর কী অবস্থান তার তালিকা প্রকাশ করা হবে। 

    যেসব প্রার্থীরা একাধিক বিষয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা কী দুটি স্লটের মধ্যে বিরতি পাবেন?

    পরীক্ষার হল থেকে বেরোতে পারবেন না পরীক্ষার্থী। যতক্ষণ না পরীক্ষাটি শেষ হবে, পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলেই বসে থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘কুয়েট’ স্নাতক প্রবেশিকা পরীক্ষার দিন ঘোষণা এনটিএ-র, বিশদে জেনে নিন

    সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে? নেগেটিভ নম্বর আছে?

    সাহিত্যের বিষয়ে ৫০ টি করে প্রশ্ন থাকবে। কমপক্ষে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। 

    জেনারেল টেস্ট পেপারে ৭৫টি প্রশ্ন থাকবে। অন্তত ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। 

    প্রতি ভুল উত্তরের জন্যে ১ নম্বর করে কাটা যাবে।

    কম্পিউটার সায়েন্সের ক্ষেত্রে ৮৫টি প্রশ্ন থাকবে। তার মধ্যে ১৫টি জেনারাল প্রশ্ন বাধ্যতামূলক। 

    অঙ্কের ক্ষেত্রেও ৮৫টি প্রশ্ন থাকবে।

    একজন পরীক্ষার্থী একাধিক বিষয়ের জন্যে পরীক্ষা দিলে কী প্রশ্ন কোনও নির্দিষ্ট নিয়মে আসবে?

    কোন বিষয়ে আগে পরীক্ষা দেবেন তা ঠিক করবেন পরীক্ষার্থী। 

    কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?

    পরীক্ষার ২ ঘণ্টা  আগে রিপোর্ট করতে হবে পরীক্ষার্থীকে। 

    অ্যাডমিট কার্ডে যে সময় দেওয়া থাকবে সেই সময়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হবে। তার আগে বা পরে না।

    গেট বন্ধ হওয়ার পরে আর কোনও পরীক্ষার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

    অ্যাডমিট কার্ডের প্রিন্টেড কপি নিজের সই করে নিয়ে যেতে হবে। 

    একটি আইডি কার্ডও সঙ্গে রাখতে হবে। 

    কী নিয়ে যাওয়া যাবে, কী নেওয়া যাবে না?

    স্বচ্ছ জলের বোতল, স্যানিটাইজার এবং বল পেন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া যাবে। সঙ্গে রাখতে হবে অ্যাডমিট। 

    একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবিও রাখতে হবে সঙ্গে। 

    নিজের মাস্ক পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই দেওয়া হবে মাস্ক। 

     

  • DRDO Recruitment: চাকরির সুযোগ, বহু শূন্যপদে নিয়োগ করবে ডিআরডিও, জানুন বিস্তারিত

    DRDO Recruitment: চাকরির সুযোগ, বহু শূন্যপদে নিয়োগ করবে ডিআরডিও, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী নিয়োগ করতে আবেদনপত্র আহ্বান করছে। রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট সেন্টার (RAC), ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) বিজ্ঞানী বি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ৬ই জুলাই এবং আবেদনের শেষ তারিখ ২৯ শে জুলাই। ৬৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। ইচ্ছুক প্রার্থীরা rac.gov.in– এই লিঙ্কে আবেদন করতে পারবেন। ১৬ অক্টোবর নেওয়া হবে পরীক্ষা। 

    ৫৭৯ পদে ডিআরডিওতে, ৪৩টি পদে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিতে এবং 8টি পদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে নিয়োগ করা হবে। গেট স্কোর/ লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউর ভিত্তিতে প্রার্থীদের বাছাই করা হবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    বয়স পরিসীমা: ডিআরডিওতে বিজ্ঞানীর পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ২৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিএসটি-তে সর্বোচ্চ বয়স সীমা ৩৫ বছর এবং এডিএ (ADA) -তে ৩০ বছর। তবে সরকারি নিয়ম  অনুযায়ী সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের বয়সের ঊর্ধ্ব সীমায় শিথিলতা থাকবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?

    আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। এই আবেদন ফি একমাত্র জেনারেল ক্যাটাগরির পুরুষ প্রার্থীদের দিতে হবে। মহিলা/ এসসি/ এসটি/ ওবিসিদের কোনও ফি দিতে হবে না। ২৯ জুলাই বিকেল ৫ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে আবেদনের প্রক্রিয়া।

    নিয়োগ প্রক্রিয়া:

    • প্রথমে গেট স্কোর এবং লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে বাছা হবে প্রার্থীদের।
    • তারপর তাদের ইন্টারভিউতে ডাকা হবে।
    • ইন্টারভিউতে যারা সবচেয়ে বেশি নম্বর পাবেন তাঁদের চাকরিতে নেওয়া হবে।
    • ডিআরডিও লিখিত পরীক্ষায় মোট ৮০ শতাংশ নম্বর এবং ব্যক্তিগত সাক্ষাত্কারে ২০ শতাংশ নম্বর থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় ৩০০-৩০০ নম্বরের দুটি পেপার থাকবে।

    কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। বিজ্ঞাপনে দেওয়া নূন্যতম যোগ্যতার থেকে প্রার্থীর কোয়ালিফিকেশন কতটা বেশি, সেটাও বিচার করা হবে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের প্যানেল তৈরি করেও প্রার্থীকে যাচাই করা হবে।

    বেতন: সর্বোচ্চ বেতন ৮৮ হাজার 

     

  • Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইবোলার (Ebola) পর এবার মারবার্গের (Marburg) আতঙ্ক আফ্রিকায় (Africa)। বুধবার ঘানাতে (Ghana) মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, মারবার্গও ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারাত্মক। 

    আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র 

    ঘানার দুই ইবোলা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির উপসর্গ প্রায় একই রকম ছিল। ডাইরিয়া, জ্বর, গা গোলানো ও বমি এই সমস্ত উপসর্গ কমবেশি দুজনেরই ছিল। এগুলোকেই আপাতত মারবার্গের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। 

    ঘানায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে সেনেগালের একটি ল্যাবে। মারবার্গ ভাইরাসের কারণেই ওই মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাইছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে পশ্চিম আফ্রিকাতে মারবার্গের এটা দ্বিতীয় হানা বলেই ধরে নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরে, মারবার্গের একটা কেস ধরা পড়েছিল গিনিয়াতে। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের  
     
    মারবার্গ  ১৯৬৭ সালে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। ১৯৭৬ সালে প্রথম চিহ্নিত হয় ইবোলা। মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মারবার্গের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে আরও এক ভাইরাসের আতঙ্কে ত্র্যস্ত আফ্রিকা। 

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসে (Marburg Virus) আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে করোনার মতোই কিছু উপসর্গ মিলেছে। জ্বর, বমি এবং প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, এর অন্যতম উপসর্গ। এই প্রথম নয়, আগেও গুয়ানাতে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।

    মারবার্গ ভাইরাস রক্তক্ষরণজনিত জ্বর বয়ে আনে। এটি মারাত্মক সংক্রামক। ভাইরাসটি মানুষ ও প্রাণির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর উৎপত্তি ফল খাওয়া বাদুড় থেকে। এটি মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে। বিশেষ করে যৌন সংসর্গ ও চর্মরোগ থেকে মানুষের মাঝে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রদাহের স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং জ্বর আসে। ইবোলা ভাইরাসের সবকটি লক্ষণ মারবার্গ ভাইরাসেও আছে। এ ভাইরাসে ভালোভাবে আক্রান্ত হলে সাধারণত কেউ বাঁচে না। তবে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসায় ফল দিতে পারে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয় উগান্ডার কাম্পালায়। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ শহরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে এটি ফ্রাঙ্কফুট ও যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডেও দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা চিকিৎসা নেই।

     

  • Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka economic crisis) পড়েছে। রান্নার গ্যাস, বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গিয়েছে দেশজুড়ে। জনতার রোষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রাণভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে যাচ্ছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এরই মাঝে খবর, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ২০ জুলাই নতুন রাষ্ট্রপতি (New President) নির্বাচন করবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। আবেওয়ার্দেনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শুক্রবার পুনরায় লোকসভা অধিবেশন বসবে এবং পাঁচ দিন পরে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট হবে।”

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের         
     
    তিনি আরও বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে পুনরায় সরকার গড়া আবশ্যক। ক্ষমতাসীন দল বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা অন্যান্য সদস্যরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।”   

    সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। সপ্তাহান্তে, রাজধানী কলম্বোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) সরকারী বাসভবনে হামলা চালায় এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পালাতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে তাঁরা পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। রবিবার দুই নেতার পদত্যাগের ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলো সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?       

    এএনআই সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী, সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (SJB) সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সাজিথ প্রেমাদাসাকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসজেবি পার্টির সচিব রঞ্জিত মাদুমা বান্দারা প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন এবং সংসদীয় গ্রুপে পার্টির চেয়ারম্যান ফিল্ড মার্শাল শরথ ফনসেকা প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন। সংসদে এসজেবির প্রায় ৫০  জন সাংসদ রয়েছে এবং সংসদ ভোটে জিততে তাদের ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন৷    

    শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই পদত্যাগ করলে স্পিকার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সংসদকে তার সদস্যদের থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একজন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। তিনি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়ার মেয়াদের বাকি দুই বছরের জন্য পদে বহাল থাকবেন।     

      

LinkedIn
Share