Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Hindustan Motors Contessa: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    Hindustan Motors Contessa: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্সের (Hindustan motors) হাত ধরে নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে আইকনিক (Iconic) কন্টেসা (Contessa)। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নস্ট্যালজিয়ায় ভেসেছিল গোটা দেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শোনা যাচ্ছে কন্টেসার স্বত্ব, এস জি কর্পোরেট মোবিলিটিকে (SG Corporate Mobility) বিক্রি করতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্স।   

    অ্যাম্বাসেডরের ভারতের রাস্তায় ফেরার খবরে ভারতে গাড়ি প্রেমীদের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। ইলেকট্রিক চালিত নতুন কন্টেসা ভারতের বাজারে লঞ্চ করতে পারে বলে জানিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই গাড়ি ফিরিয়ে আনার কথা ছিল ভারতীয় সংস্থাটি। 

    ১৯৮০-৯০ -এর দশকে ভারতের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াত এই গাড়ি। বিলাসবহুল গাড়ি হিসাবেই দেশের মানুষের মন জয় করেছিল কন্টেসা। এক সময় হুগলি নদীর তীরে হিন্দমোটর রেলস্টেশন এলাকায় বিরাট কারখানা গড়ে তুলেছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। কারখানায় কাজ হত দিনরাত। কারখানার সাইরেনে ঘুম ভাঙত গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের। সাইরেনের শব্দ শুনেই কাজে যোগ দিতেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় আস্ত একটি রেলস্টেশন। কারখানার নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্টেশনের নাম হয় হিন্দমোটর। হিন্দমোটরের এই কারখানা থেকেই তৈরি হত বিখ্যাত গাড়ি অ্যাম্বাসাডর। মজবুত গাড়ি হওয়ায় গাড়িবিলাসীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গাড়ি ছিল অ্যাম্বাসাডর। তৈরি হত কন্টেসাও। যাঁরা আর্থিকভাবে খানিকটা বেশি স্বচ্ছল, তাঁরাই হাওয়া খেতে বেরতেন কন্টেসা চড়ে। 

    আরও পড়ুন: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের “আইকনিক” কন্টেসা! 

    কিন্তু ২০০২ সালে বেশি মাইলেজ দেওয়া, হাল্কা গাড়ি জায়গা করে নেয় ভারতের বাজারে। আস্তে আস্তে কন্টেসা তৈরি করা কমিয়ে দেয় হিন্দুস্তান মোটর্স। পেট্রলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই লো মাইলেজের গাড়ি কন্টেসার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় ভারতীয় ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা।  

    হিন্দুস্তান মোটর্সের ডিরেক্টর উত্তম বোস জানান,”অ্যাম্বাসেডরকে আবার নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় বাজারে। আরও যুগোপযোগী করে তুলতে বদলানো হবে ইঞ্জিনের ধরন।”  

    ধারণা করা হচ্ছে কন্টেসাও আবার ফিরবে বীর বিক্রমে। এই গাড়ির ভাগ্য নিয়ে কী পরিকল্পনা করে রেখেছে এস জি কর্পোরেট মোবিলিটি তা সময়ই বলবে। 

     

  • House Rent Agreement: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ১১ মাসের কেন হয়, ভেবে দেখেছেন?

    House Rent Agreement: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ১১ মাসের কেন হয়, ভেবে দেখেছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি ভাড়ায় (House on Rent) নিয়ে অনেকেই থাকেন। আবার অনেকেই নিজের বাড়ি ভাড়াও দেন। আগে মুখের কথায় বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলেও, এখন বাড়ি ভাড়ার চুক্তি (Agreement) আবশ্যিক। ভবিষ্যতে কোনওরকম অশান্তি এড়িয়ে যেতে এখন সকলেই চুক্তি করিয়ে রাখেন। এর ফলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন বাড়ির মালিক, ভাড়াটে দুজনেই।   

    এরকম বহু ঘটনা রয়েছে ইতিহাসে। যেখানে ভাড়াটেকে ওঠাতে কালঘাম ছুটেছে বাড়িওলার। বিগত ৫০ বছর ধরে একই ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন ভাড়াটে, এরম উদাহরণও নেহাত কম নেই। আবার বহু বছর একই ভাড়াটে রেখে দেওয়ায় তাঁকে সম্পত্তির অংশ দিতে হয়েছে এমন ঘটনাও ভুরি ভুরি। তাই চুক্তি করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

    আরও পড়ুন: বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ১১ মাসের কেন হয়, ভেবে দেখেছেন?  

    ভারতে সাধারণত ১১ মাসের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করা হয়। কখনও ভেবে দেখেছেন এই চুক্তি ১১ মাসেরই কেন! বেশি বা কম নেয় কেন?

    ১১ মাসের চুক্তি করার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

    ১। এর একটি বড় কারণ হল, ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৯০৮- এর সেকশন ১৭ (ডি) অনুযায়ী, এক বছরের কম কোনও বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করলে আলাদা করে রেজকিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন পড়ে না। রেজিস্ট্রেশন  প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ মেয়াদী এবং জটিল। ফলে বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটে কাউকেই এই ঝামেলার মধ্যে যেতে হয় না। 

    ২। ১১ মাসের চুক্তি থাকলে ভাড়াটে- বাড়িওয়ালার মধ্যে কোনও আইনি লড়াই হলে জটিলতা এড়ানো যায়। কারণ বাড়িওয়ালার কাছে ১১ মাসের চুক্তির প্রমাণ থাকে। ফলে ভাড়াটের সেই সম্পত্তিতে কোনও অধিকারের প্রশ্নই ওঠে না।

    আরও পড়ুন: আরবসাগরে জরুরি অবতরণ ওএনজিসি কপ্টারের! মৃত চার

    ৩। রেজিস্ট্রেশন করতে হয় না বলে রেজিস্ট্রেশন ফি থেকেও বেঁচে যান বাড়ির মালিক- ভাড়াটে উভয়েই।  

    ৪। এক বছরের কম সময়ের বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির টাকাও অনেকটাই কমে আসে। 

    শুধুমাত্র মুম্বাইতেই ৫ বছরের জন্যে বাড়ি লিজ দেওয়ার চল রয়েছে। দিল্লি বা বাংলার মতো দেশের বহু রাজ্যেই ১১ মাসের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করা হয়। দেশের বাইরেও দীর্ঘ দিনের বাড়ি ভাড়ার চুক্তির রেওয়াজ উঠে গিয়েছে। চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও যদি কোনও ভাড়াটে থেকে যান, তাহলে ধরে হয় যে সে জোর করে আছেন বা পুনরায় চুক্তি করা হয়েছে। 

     

  • Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহে পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটি (Bundelkhand Expressway) পেতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। বুন্দেলখণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে যোগসাধনের জন্যেই ২৯৬ কিলোমিটার এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এই কাজের জন্যে ৩৬ মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল যোগী সরকার (Yogi Adityanath Government)। কিন্তু কোভিডকালেও মাত্র ২৮ মাসেই শেষ হয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ। আগামী ১২ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। 

    আরও পড়ুন: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    রাস্তা তৈরিতে যে শুধু সময় বাঁচিয়েছে যোগী সরকার তাই নয়, বেঁচে গিয়েছে বেশ কিছু টাকা। বরাদ্দ টাকা থেকে ১,১৩২ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে যোগী সরকার। যা বরাদ্দ মোট টাকার প্রায় ১২.৭২%। এই মুহূর্তে এই এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের হলেও, ভবিষ্যতে ৬ লেনের করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রাজ্যের সাত জেলার মধ্যে যোগাযোগ ঘটাবে এই রাস্তা। 

    প্রধানমন্ত্রী ওইদিন এক্সপ্রেসওয়ে ধরে জালালুন জেলার কাথেরি গ্রামে গিয়ে রাস্তার উদ্বোধন করবেন। এই এক্সপ্রেস ওয়ের অন্যতম বিশেষত্ব হল, ইটাওয়াতে আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেস ওয়েতে মিশবে এই রাস্তা। দিল্লি এনসিআরের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। লখনৌ থেকে বুন্দেলখণ্ডের যাত্রাও এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরে অনেকটাই সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের  

    আগামীদিনে সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই সহজ হবে যাতায়াত। চিত্রকূটে এই রাস্তা শেষ হচ্ছে জাতীয় সড়ক ৩৫-এ। ঝাঁসি এবং প্রয়াগরাজকে সংযুক্ত করবে এই রাস্তা। 

    ইউপি এক্সপ্রেসওয়েস ডেভলপমেন্ট অথরিটির প্রধান আনিস কুমার আবাস্তি বলেন, “এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে বুন্দেলখণ্ডের সার্বিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করবে। কৃষি, পর্যটন, শিল্প সবটাই সমৃদ্ধ হবে। দিল্লি এনসিআর- এর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হিসেবে কাজ করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।   

    গত বছরের নভেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী ঝাঁসিতে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ভারত ডায়নামিক লিমিটেডের (Bharat Dynamics Limited) শিলান্যাস করেছেন। সেক্ষেত্রে এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। 

    উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই চারটি এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। নয়ডা- গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেস ওয়ে, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেসওয়ে এবং পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। ১২ জুলাই পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন হতে চলেছে।   

     

     

     

  • Agniveer Recruitment Indian Army: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী? 

    Agniveer Recruitment Indian Army: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের আওতায় অগ্নিবীর (Agniveer) জেনারেল ডিউটি, অগ্নিবীর টেকনিক্যাল, অগ্নিবীর ক্লার্ক/স্টোর কিপার, অগ্নিবীর ট্রেডসম্যান সহ অন্যান্য পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে প্রার্থীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন।  

    প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদন শুরু হতে চলেছে আগামী জুলাই থেকে। প্রার্থীদের ARO দ্বারা সংশ্লিষ্ট পদের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অনলাইনেই আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। joinindianarmy.nic.in এই ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০ জুন এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনের প্রথম দিন কেমন সাড়া?

    কী যোগ্যতা লাগবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি পেতে

    বয়স: ১৭.৫-২৩ বছর 

    অগ্নিবীর জেনারেল ডিউটি- মোট ৪৫% নম্বর এবং প্রতি বিষয়ে ৩৩% নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণি পাশ করতে হবে। 
    অগ্নিবীর টেকনিক্যাল- পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক এবং ইংরেজিতে ৪০% নম্বর নিয়ে এবং মোট নম্বরে ৫০% পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। 
    অগ্নিবীর ক্লার্ক- যেকোনও বিভাগে ৬০% নম্বর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। প্রতি বিষয়ে ৫০% নম্বর পাওয়া আবশ্যিক।   
    স্টোর কিপার- যেকোনও বিভাগে ৬০% নম্বর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। প্রতি বিষয়ে ৫০% নম্বর পাওয়া আবশ্যিক।
    অগ্নিবীর ট্রেডসম্যান- দুটি ট্রেডসম্যান পদে অগ্নিবীরদের যথাক্রমে অষ্টম ও দশম শ্রেণি পাশ হতে হবে। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর বায়ুর রেজিস্ট্রেশন শুরু, কীভাবে করবেন আবেদন?

    নিয়োগ প্রক্রিয়া:

    ফিজিক্যাল ফিটনেস টেস্ট
    ফিজিক্যাল মেজারমেন্ট টেস্ট
    মেডিক্যাল টেস্ট
    লিখিত পরীক্ষা

    লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ভারতীয় সেনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আলাদাভাবে কোনও প্রার্থীকে চিঠি পাঠানো হবে না। প্রার্থীকেই নিজে থেকে ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে।

    জুলাই থেকেই আবেদন করতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। কোনও প্রার্থী একাধিক ক্যাটাগরিতে আবেদন করলে তাঁর আবেদনপত্র বাতিল করা হবে।  

    প্রশিক্ষণের মেয়াদ সহ চার বছরের চাকরিতে সেনাদের নিয়োগ করা হবে। এই অগ্নিবীরদের আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫০-এর অধীনে নিয়োগ করা হবে এবং প্রার্থীরা স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে যেখানেই নির্দেশ দেওয়া হবে সেখানে যেতে বাধ্য থাকবেন। এই স্কিমের অধীনে নথিভুক্ত অগ্নিবীররা কোনও ধরনের পেনশন বা গ্র্যাচুইটি পাবেন না। 

    বেতন ১ম বছর- মাসিক ৩০,০০০ টাকা, ২য় বছর– মাসিক ৩৩,০০০ টাকা, ৩য় বছর- মাসিক ৩৬,৫০০ টাকা, ৪র্থ বছর- মাসিক ৪০,০০০ টাকা। চার বছর শেষে করবিহীন এককালীন ১১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। 

     
     

  • CBSE Result: অপেক্ষার অবসান, জুলাইয়ের শেষেই দশম ও দ্বাদশের ফল ঘোষণা করতে পারে সিবিএসই

    CBSE Result: অপেক্ষার অবসান, জুলাইয়ের শেষেই দশম ও দ্বাদশের ফল ঘোষণা করতে পারে সিবিএসই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE)-র দশম (10th) এবং দ্বাদশ (12th) শ্রেণির দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষার ফলাফল (Result) ঘোষণা করা হতে পারে জুলাইয়ের শেষে। এমনটাই জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। 

    সিবিএসই-র দশম শ্রেণির দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ২৪ মে। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ জুন। বেশির ভাগ রাজ্য বোর্ডগুলিই ইতিমধ্যে ফল ঘোষণা করে দিয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরা। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষেই হতে পারে অপেক্ষার অবসান।  

    নতুন ফর্ম্যাটে এবছর দশম ও দ্বাদশের শ্রেণির পরীক্ষা নিয়েছে সিবিএসই। বছরের শেষে একটি পরীক্ষার বদলে, এবার প্রতিটি ক্লাসের দুটো টার্মে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। প্রথম টার্মের পরীক্ষা ছিল অবজেক্টিভ প্রশ্নের ওপর, দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষাটি হয়েছে সাবজেক্টিভ প্রশ্নের ওপর। জানানো হয়েছিল, দ্বিতীয় টার্মের ফলাফলের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত ফলাফলও ঘোষণা করবে সিবিএসই। দুটি পরীক্ষার মধ্যে কোনটিতে কত ওয়েটেজ ধরা হবে, এ নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যহত। শিক্ষাবিদরা অনেকেই মনে করছেন, যে কোনও একটি টার্মের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা উচিত। তাঁদের বক্তব্য, বছরভর অনলাইন ক্লাসের পর দুটো টার্মে পরীক্ষা নেওয়া বাস্তবসম্মত ছিল না, তাই যে কোনও একটি টার্মের ভিত্তিতেই ফল ঘোষণা করা উচিত।

    আরও পড়ুন: সিবিএসই-র রেজাল্ট কবে? কী করে দেখবেন? জানুন 

    পড়ুয়াদের পরামর্শ ছিল, যাতে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে বেশি ওয়েটেজ ধরা হয়। তাঁরা দাবি জানিয়েছিলেন, পঞ্চাশ শতাংশ ওয়েটেজ থাকুক অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মে ভাগ করে দেওয়া হোক। নতুন ফর্ম্যাটে কীভাবে নম্বর দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। 

    আরও পড়ুন: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পরীক্ষা ব্যবস্থায় ফের বড় বদল আনছে CBSE

    বোর্ডের তরফ থেকে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এর আগে বলা হয়েছিল যে দুটো টার্মে সমান ওয়েটেজ দেওয়া হবে। প্রথম টার্মে কাউকে ফেল করায়নি বোর্ড। ফলে সবাই দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছেন। করোনার জেরে যেসব পড়ুয়ারা কোনও টার্মের পরীক্ষাই দিতে পারেননি, তাঁদেরও ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। কিন্তু প্রক্রিয়ার বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি সিবিএসই। 

    জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই চূড়ান্ত ফল জানতে পারবেন এবং দ্বাদশের ফল ঘোষণা হতে পারে তৃতীয় সপ্তাহে। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইতিমধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই পড়ুয়াদের কলেজে ভর্তি হওয়া নিশ্চিত করতে দশমের আগে সিবিএসই দ্বাদশের ফলও ঘোষণা করে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।  

    cbse.gov.in এবং cbseresults.nic.in – এই দুটি ওয়েবসাইটে ফল দেখতে পাবেন পড়ুয়ারা।    

     

  • Twitter Notice: কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা! কী হতে চলেছে ভবিষ্যৎ

    Twitter Notice: কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা! কী হতে চলেছে ভবিষ্যৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (IT ministry) যাবতীয় নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ট্যুইটারকে (Twiter)। সোমবারের মধ্যে এ প্রসঙ্গে নিজেদের সিদ্ধান্ত সরকারকে জানাতে হত মাইক্রো ব্লগিং সাইটটিকে। আগেই ট্যুইটারকে এ বিষয়ে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছিল মোদি সরকার। ট্যুইটারকে  (Twiter India) ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার শেষ সুযোগ দিয়েছিল ভারত সরকার। সরকারের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টি তাদের বিচারবিভাগীয় দল পর্যালোচনা করছে। শীঘ্রই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    প্রতিষ্ঠানটিকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছিল, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুসারে ভারত সরকারের সব শর্ত মানতে হবে ট্যুইটারকে। অন্যথায় ভারতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারাবে। ফলে যাবতীয় পোস্টের জন্য দায় নিতে হবে ট্যুইটারকেই। ভারত সরকারের অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি ধারায় কিছু বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার নোটিশগুলো কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে ট্যুইটার। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি যদি তথ্য ও প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে আইনের অধীনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ পোস্টার বিতর্ক, চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি, ইউপি পুলিশের

    ভারতে নিজস্ব আধিকারিক নিয়োগের বিষয়েও ট্যুইটারকে শেষ সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়া ও নেট মাধ্যমের বিষয়ে যে ডিজিটাল আইন এনেছে ভারত সরকার, সেই নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে ট্যুইটারকে। “ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় যে সমস্ত আইন, তা অবিলম্বে মানতে হবে ট্যুইটারকে। নিয়ম না মানলে ভবিষ্যতে এই আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সংস্থাকে” জানাল কেন্দ্র। সম্প্রতি নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে ট্যুইটার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ধারাবাহিক সংঘাত দেখা গিয়েছে। এই নির্দেশিকা মেনে চলার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ততা ও বিলম্বের জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের বিরুদ্ধে নোটিশও পাঠিয়েছে। 

  • Oscar Committee: অস্কার কমিটির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন কাজল-সুরিয়াসহ বেশ কিছু ভারতীয় 

    Oscar Committee: অস্কার কমিটির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন কাজল-সুরিয়াসহ বেশ কিছু ভারতীয় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্য অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সাইন্সেস (Academy of Motion Picture Arts and Sciences) এর তরফ থেকে ২০২২-এর অস্কার (Oscar) কমিটির আমন্ত্রিত অতিথিদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ৩৯৭ জন শিল্পী, লেখক, ছবি নির্মাতা, প্রযোজকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারকাদের এই ‘ভিভিআইপি’ তালিকায় রয়েছেন ভারতের দুই মেগাস্টার। তালিকায় রয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কাজল (Kajol) এবং তামিল সুপারস্টার সুরিয়ার (Suriya) নাম।  

    কাজল ও সুরিয়া ছাড়াও তালিকায় জায়গা পেয়েছেন অস্কারে মনোনয়ন প্রাপ্ত ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ নির্মাতা সুস্মিত ঘোষ, রিন্টু থমাস, ‘গল্লি বয়’-এর লেখিক রিমা কাগতি এবং ইন্ডিয়ান-আমেরিকান প্রযোজক আদিত্য সুদ।   

    আরও পড়ুন: শেষে হলিউড সিনেমার পোস্টার ‘চুরি’র দায়ে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’?

    এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে বিশ্বের তারড় তাবড় তারকাদের নাম। তাদের মধ্যে আছেন ‘দ্য কুইন্স অব গ্যামবিট’ খ্যাত অ্যানা টেলর-জয়, বিলি আইলিশ, জ্যামি ডরনান ও অস্কার জয়ী ‘কোডা’- র তারকা ট্রয় কটসার।  

    বিশ্বের মোট ৩৯৭ জন কৃতি তারকাকে সদস্য়পদ গ্রহণ করার জন্য় আমন্ত্রণ জানিয়েছে অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস ৷ মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে এই তালিকা ঘোষণা করা হয় অ্যাকাডেমির তরফে (New Members of Academy of Motion Picture Arts)।

    আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন আলিয়া! নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন সুখবর..

    এই তালিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি যোগ্যতার মাপকাঠিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে ৷ প্রফেশনাল কেরিয়ার তো বটেই তার সঙ্গেই রয়েছে আরও কয়েকটি ধাপ ৷ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে এবারের সদস্যপদের জন্য ৪৪ শতাংশ নারী-সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের ৫৩টি দেশ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ সদস্য়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ 

    কাজলের ঝুলিতে রয়েছে ‘মাই নেম ইজ খান’ এবং ‘কভি খুশি কাভি গম…’, ‘দিলোয়ালে দুলহানিয়া…’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ – এর মতো ব্লক বাস্টার সব ছবি ৷ দক্ষিণী তারকা সুরিয়া তাঁর ‘জয় ভীম’ ছবির জন্য ইতিমধ্যেই সিনেমাবোদ্ধাদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। পরিচালক সুস্মিত ঘোষ এবং রিন্টু থমাসের তৈরি ডক্যুমেন্টরি ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ এই বছরই মনোনীত হয়েছিল অস্কারের ডক্যুমেন্টারি ফিচার বিভাগে ৷ রিমা ডাক পেয়েছেন ‘তালাশ’, ‘গালি বয়’ এবং ‘গোল্ড’-এর মতো অসাধারণ সব চিত্রনাট্যের লেখিকা হিসেবে ৷ 
        
    ভারত থেকে ইতিমধ্যেই অস্কার বিজয়ী এ আর রহমান, মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, বিদ্যা বালান, আমির খান, সলমন খান, আলি আফজল, প্রযোজক আদিত্য চোপড়া, গুনীত মঙ্গা, একতা কাপুর এবং শোভা কাপুর এই সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়েছেন ৷ 

     

  • Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর দর্জি খুনের (Udaipur Tailor Murder) জের। বদলি করা হল এসপি (SP), আইজিসহ (IG) ৩২ আইপিএস (IPS) অফিসারকে।  দর্জি কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal) নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজস্থানসহ গোটা দেশ। তারই মাঝে একটি খবর সামনে আসে, যে নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি আসতে শুরু করে মৃত  দর্জির কাছে। সে বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়েও। অস্বস্তিতে পড়ে রাজস্থান সরকার। আর তাতেই তড়িঘড়ি এই বদলির নির্দেশ।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন  

    বৃহস্পতিবার মৃত দর্জির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। এমনকি পুলিশের সততা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রথমেই সেখানকার এএসআইকে সাসপেন্ড করে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। পরে বাকি পুলিশ কর্তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।     

    ১৫ জুন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে কানহাইয়া লাল জানান, প্রায় ৬ দিন আগে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে একটি পোস্ট করেছিল। তা তিনি একেবারেই জানতেন না। দুদিন পরে দুজন তাঁর দোকানে আসে। তারা বলে মোবাইল থেকে আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। তখন কানহাইয়ালাল বলেন, তিনি করেননি। তবে তাঁর ছেলে গেম খেলে। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। এরপর পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়। আগন্তুকরা বলে যায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক   

    তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রতিবেশি থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কানহাইয়া থানায় গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পরে জামিনও দেওয়া হয়। এর পরে এএসআই ভানোয়ার লালের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়। কিন্তু তার পরেও কানহাইয়া লালকে হুমকি দেওয়া চলতে থাকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    কানহাইয়া লালের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সমঝোতার পরেও তাঁর দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কানহাইয়া লাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে বলেছিল, সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। আর এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে রাজস্থান সরকার। বদলির নির্দেশ নেমে আসে আইপিএসদের মাথায়।    

     

  • Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, রবিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ। এই বছর এই অবধি আসামে বন্যার কারণে জলে ডুবে এবং ভূমি ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বুলেটিনে এদিন বলা হয়, নওগাঁ জেলার ২ জন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর এবং শিবসাগর জেলার  একজন করে জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। ২৩ জেলার ১৮,৩৫,৫০০ জন মানুষ এখনও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। বরপেটা, কাছার, দারাং, ডিব্রুগড়, হোজাই, কামরূপ মেট্রপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মরিগাঁও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শিবসাগর, এই জেলাগুলি এখনও জলের তলায়।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কাছার জেলা।  সেখানে এখনও ১০.২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। তারপরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নওগাঁ (৩.৭৬ লক্ষ), মরিগাঁও (১.৭৬ লক্ষ)। শনিবার অবধি ২৪ জেলায় ২২.১৭ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে আটকে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? 

    এখনও ১,৬১৮টি গ্রাম, ৪৭,১৯৮.৮৭ হেক্টর জমি জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ত্রাণকেন্দ্রে ২০ জেলার ৬৫,৭৫৭ জন শিশুসহ মোট ২,৭৮,০৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

    বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্য প্রশাসন ৬৮৫.২৬ কুইন্টাল চাল, ডাল, নুন এবং ২,৬৩৪ লিটার সরষের তেল এবং ৪৭৯২.৯২ কুইন্টাল গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করেছে।

    ১২ জেলায় ৫,৯০,৯৪৯ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্থ। ব্রহ্মপুত্র এবং তিনটি উপনদী কপিলি, ডিসাং এবং বুড়িদিহিং বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যান্য নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে ২৬৭৫টি গ্রাম। সেখানের এখনও প্রায় ৯১ হেক্টর জমি জলের তলায়। 

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় সাধ্যমত ত্রাণ এবং পানীয় জল বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি, আমির খানরা। কেন্দ্রের তরফেও সব ধরণের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।   

     

  • New Wage Code: চাকরি ছাড়ার ২ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া, নতুন বেতন বিধির সুপারিশ কেন্দ্রের

    New Wage Code: চাকরি ছাড়ার ২ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া, নতুন বেতন বিধির সুপারিশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটির সঙ্গে সঙ্গেই, নতুন বেতন বিধি (New Wage Code) আনার পরিকল্পনায় কেন্দ্র। এই নতুন বিধিতে, কোনও কর্মীর চাকরি ছাড়ার, অবসর নেওয়ার বা বরখাস্ত হওয়ার ২ দিনের মধ্যে নিয়োগকর্তাকে তাঁর যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে।  

    এই মুহূর্তে সাধারণত কোনও প্রতিষ্ঠান কোন কর্মীর চাকরি ছাড়ার ৪৫-৬০ দিন পর পাওনা মেটায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৯০ দিন অবধিও গড়িয়ে যায় সেই সময়। কিন্তু নতুন এই বিধি লাগু হলে চাকরির শেষদিন থেকে দুদিনের মধ্যেই নিয়োগকর্তাকে কর্মীর পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে। 

    নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, “কোনও কর্মী যদি নিজে ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন বা তাঁকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয় বা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি চলে যায়, তাহলে তাঁর সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরির শেষ দিন থেকে দুটি কর্ম দিবসের মধ্যে যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে।”

    আরও পড়ুন: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০, কোড অন সোশ্যাল সিক্যুরিটি ২০২০, অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০ – এই চারটি নতুন শ্রমবিধি (Labour Code) নিয়ে আসতে চলেছে শ্রমমন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment)। শুরুতে ১ জুলাই নতুন বিধি লাগু হওয়ার কথা থাকলেও, পরে তা পেছানো হয়।

    নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। নতুন নিয়মে পিএফে বেশি টাকা রাখতে হবে কর্মীকে। অবসরের সময় তা অত্যন্ত লাভজনক। নতুন শ্রমবিধিতে কর্মীদের গ্র্যাচুইটিও বাড়বে। অবসরের পরে তাতেও লাভবান হবেন তাঁরা। তবে, এই নতুন নিয়মে টেক হোম স্যালারি কমতে পারে।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে  

    সরকার খসড়ায় চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করেছে। মানে সপ্তাহে চারদিন কাজে যেতে হবে আর তিনদিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। তবে যে বাড়তি একদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তা পুষিয়ে দিতে হবে, বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে। সরকারের প্রস্তাব, একজন কর্মচারীকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে।   

     

LinkedIn
Share