Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Job Vacancy: কর্মী নিয়োগ করবে বিদেশমন্ত্রক, জানুন বিস্তারিত

    Job Vacancy: কর্মী নিয়োগ করবে বিদেশমন্ত্রক, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের (MINISTRY OF EXTERNAL AFFAIRS) দিল্লির অফিসের জন্যে এক বছরের চুক্তিভিত্তিক কর্মী নেওয়া হবে।  

    অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে দেওয়া হবে পারিশ্রমিক। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বছরে ১০ লক্ষ টাকা। শূন্যপদের সংখ্যা ১। শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীরাই এই পদের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার শেষ তারিখ ৩ অগাস্ট।  

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ে নিয়োগ, পদ সংখ্যা চার, পারিশ্রমিক ৪০ হাজার

    পদের নাম: কনস্যালটান্ট

    পদের সংখ্যা:

    বয়স সীমা: আবেদনকারীর বয়স ৫০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না।

    যোগ্যতা:

    • আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে। 
    • আবেদনকারীর এমএসসি, এমটেক অথবা তার বেশি ডিগ্রী থাকতে হবে।
    • সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে আবেদনকারীকে। 
    • বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 
    • চিনা ভাষা জানা আবশ্যক না হলেও, চিনা ভাষা জানেন যারা তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বড় কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন। 
    • বড় কোনও জার্নালে লেখার অভিজ্ঞতা থাকলে বা পাবলিক রিলেশনের অভিজ্ঞতা আছে যাদের তারা অগ্রাধিকার পাবেন।

    বেতন: সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ১০ লক্ষ টাকা। কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে দেওয়া হবে পারিশ্রমিক।

    আরও পড়ুন: ৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগ কোল ইন্ডিয়ায়, জানুন বিস্তারিত

    চুক্তির সময়: এক বছরের জন্যে চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হবে। পরে চুক্তির সময়সীমা বাড়ানোও হতে পারে। কোনও রকম অনিয়মের অভিযোগে উঠলে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হতে পারে। তার জন্যে ১ মাস আগে নোটিস দেওয়া হবে।

    কী করে আবেদন করবেন? 

    • যোগ্য প্রার্থীরা কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে সরাসরি বিদেশমন্ত্রকের অফিসে আবেদন করতে পারেন।
    • আবেদন পত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, বয়সের প্রমাণপত্র, পরিচয়পত্র অ্যাটাচ করে জমা দিতে হবে।
    • আবেদন পত্রের খামের মাথায় বড় বড় করে লিখতে হবে “Application for the position of Consultant in CCCS Division of Ministry of External Affairs”। 
    • Under Secretary (PF&PG), Ministry of External Affairs, Room No. 4071, Jawaharlal Nehru Bhawan, 23-D, Janpath, New Delhi-110011 – এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন আবেদনপত্রটি। 
  • Gujarat: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ২৫ লক্ষ টাকার দোলনা উপহার গুজরাটের মন্দিরে 

    Gujarat: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ২৫ লক্ষ টাকার দোলনা উপহার গুজরাটের মন্দিরে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশেই বিভিন্নভাবে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের এই শুভ তিথিতে উৎসবে মেতেছেন সকলেই। এরই মধ্যে এক বিশেষভাবে এই তিথি পালন করতে দেখা গেল গুজরাটের বদোদরায়। এক মন্দিরে গোপালের জন্মদিনস্বরূপ তাঁকে উপহার দেওয়া হল সোনা-রূপো দিয়ে তৈরি ২৫ লক্ষ টাকার দোলনা (Swing)। 

    জানা গিয়েছে দোলনাটি ৭ কিলোগ্রাম রূপো এবং ২০০ গ্রামের বেশি সোনা দিয়ে তৈরি। মূলত ভক্তদের দেওয়া টাকা দিয়ে বানানো হয়েছে এই দোলনা। এই মুহূর্তে সোনারূপো খচিত দোলনা দেখতে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে।  

    গুজরাটে খুব ধুমধাম করে পালিত হয় জন্মাষ্টমী। এখানে বিভিন্ন জায়গায় এই সময় শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার আয়োজনও করা হয়। এই রাজ্যেই রয়েছে বিখ্যাত দ্বারকাধিশ মন্দির। 

    আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সং

    জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2022) উপলক্ষে সমস্ত দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। টুইটে তিনি লেখেন, “ভক্তি এবং আনন্দের এই উৎসব সবার জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য বয়ে আনুক।” 

     

    দেশবাসীকে শুভেচ্ছে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। 

    আরও পড়ুন: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

     

  • Traditional Medicine: প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত 

    Traditional Medicine: প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটে বিশ্বের স্বাস্থ্য (World Health Organization) এবং মঙ্গলের স্বার্থে এবার হাত মেলাতে উদ্যোগী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ভারত। এবিষয়ে সোমবার একটি বৈঠক করেন হু-এর প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় বর্মা (Sanjay Verma)। 

    বৈঠকে মূলত ভারতের প্রথাগত চিকিৎসাশাস্ত্রকে (Traditional Medicine) মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা হয় দুই আধিকারিকের মধ্যে। সঞ্জয় বর্মা হু-এর প্রধানের সামনে ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রথাগত চিকিৎসা যেমন, যোগ, আয়ুর্বেদ, সিদ্ধার গুরুত্ব তুলে ধরেন।  

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী

    এইসব চিরাচরিত  চিকিৎসাবিদ্যা ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। হাজার-হাজার বছর ধরে ভারত প্রথাগত চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করেছে। যেমন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বহু বছর ধরে চলে আসছে ভারতে।  

    সিদ্ধা ওষুধ মূলত ব্যবহার হয় কেরল এবং তামিলনাড়ুতে। লেহ-লাদাখ এবং সিকিম, অরুণাচলপ্রদেশ, দার্জিলিং, লাহুল, স্পিতির মতো হিমালয় বলয়ে সোয়া-রিগপা চিকিৎসাশাস্ত্রের অনুশীলন করা হয়।   

    আরও পড়ুন: আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    পার্মানেন্ট মিশন অফ ইন্ডিয়া, জেনেভা একটি ট্যুইটে লিখেছে, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সঞ্জয় বর্মার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই আধিকারিক ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্পর্ক কী করে আরও দৃঢ় করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলেন। বিশ্বের স্বাস্থ্য এবং মঙ্গলের স্বার্থে ভারতীয় প্রথাগত চিকিৎসা এবং ডিজিটাল চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মূল ধারায় আনতে হাত মেলাতে পারে ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।” 

    [tw]


    [/tw] 

    সম্প্রতি গুজরাতের জামনগরে ‘হু গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্রেডিশনাল মেডিসিন’ নির্মাণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়াও রাজস্থানের জয়পুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  

    হু-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার ৮০% মানুষ প্রথাগত ওষুধে ভরসা করেন। হু প্রধানের বক্তব্য, “প্রথাগত ওষুধের মূল মন্ত্র জ্ঞান, দক্ষতা এবং অনুশীলন। সময় এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথাগত চিকিৎসার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতিকে তুলে ধরা এবং গোটা বিশ্বের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো।”  

     

     

  • HS Result: প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, মেধা তালিকায় কারা? 

    HS Result: প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, মেধা তালিকায় কারা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল (HS Result)। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪৪ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফল। সকাল ১১টায় সংসদের তরফে সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে প্রথম দশের তালিকা প্রকাশ করেন।  

    প্রথম (HS First) হয়েছেন কোচবিহার দিনহাটা সোনিনিদেবী জৈন স্কুলের ছাত্রী অদিশা দেবশর্মা। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। দ্বিতীয়স্থানে (HS Second) রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ছাত্র সায়নদীপ সামন্ত, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। তৃতীয়স্থানে (HS Third) পাঠভবনের ছাত্র রোহিন সেন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।  

    চতুর্থ স্থানে আছেন ৮ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। পঞ্চম স্থানে ১১ জন আছেন, তাঁদের প্রত্যেকে নম্বর ৪৯৪। এছাড়াও, ষষ্ঠ স্থানে মোট রয়েছেন ৩২ জন। সপ্তম স্থানে রয়েছেন ৩৭ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। অষ্টম স্থানে রয়েছেন মোট ৫৫ জন, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। নবম স্থানে রয়েছেন ৫৪ জন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। দশম স্থানে রয়েছেন ৬৯ জন, প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯।  

    এবছর মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ৭,৪৪,৬৫৫ জন। এঁদের মধ্যে পাশ করেছেন ৬,৩৬,৮৭৫ জন। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৮.৪৪ শতাংশ। ৭ জেলায় মোট পাশের হার ৯০%-র বেশি। 

    আরও পড়ুন: জুনের প্রথম সপ্তাহেই মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা! উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন্টের রেজাল্ট কবে? জানুন

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পরের বছরের পরীক্ষার সময়সূচীও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর ১৪ মার্চ শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হবে ২৭ মার্চ।

    আগামী বছর হোম সেন্টারে পরীক্ষা হবে না। পাশাপাশি পূর্ণ সিলেবাসেই পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি। উচ্চমাধ্যমিকের ফলের রিভিউ ও স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করা যাবে ২০ জুন থেকে। ২০ জুন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত এবার রিভিউর জন্য আবেদন করা যাবে অনলাইনেই। ২০ তারিখ মধ্যরাত থেকে রিভিউর আবেদন জানাতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। রিভিউ প্রক্রিয়ার জন্য পেমেন্টের ক্ষেত্রে এবার ইউপিআই, ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে।    

     

  • Norovirus: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস? 

    Norovirus: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস, মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস (Norovirus)। কেরলে ইতিমধ্যেই দুজনের শরীরে এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তিরুঅনন্তপুরমের প্রাইমারি স্কুলের দুই শিশুর শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি। তা নিয়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা সম্ভব, জানাল গবেষণা

    মূলত খাবার এবং জলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস। অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাস বলে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আক্রান্তদের বমি ও ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।  আক্রান্ত হওয়ার এক থেকে দুদিনের মধ্যেই পেট ব্যথা, জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২ শিশুর শরীরে বমি, ডায়রিয়া এবং জ্বরের উপসর্গ রয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মিড ডে মিলের খাবার থেকেই ছড়িয়েছে এই রোগ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি স্কুলগুলিকে মিড-ডে মিল রান্নার সময়ে আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ করেছেন। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিনা জর্জ (Veena George) এবিষয়ে বলেন, “এই ভাইরাস খুবই সংক্রামক। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ভাইরাস সম্পর্কে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে।”

    কেরল সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, “বারবার হাত ধোয়া, বাইরের খাবার বুঝে খাওয়া, বেশি করে জল খাওয়ার মাধ্যমে এই ভাইরাসকে দূরে রাখা সম্ভব।” এখনই এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, “বারবার হাত ধুতে হবে। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। খেলেও পরিষ্কার কোনও জায়গার খাবার খেতে হবে। বেশি করে জল খেলে ভাইরাস থেকে দূরে থাকা যাবে।”

    ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম কেরলে নোরোভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। সেই সময় রাজ্যের পশু চিকিৎসা কলেজের মোট ১৩ জন পড়ুয়া এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। চলতি বছর ফের খোঁজ মিলল নোরোভাইরাসের।

     

     

  • Coal India Recruitment: ৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগ কোল ইন্ডিয়ায়, জানুন বিস্তারিত

    Coal India Recruitment: ৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগ কোল ইন্ডিয়ায়, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলিতে ব্যাপকহারে নিয়োগ চলছে। এবার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কোল ইন্ডিয়া (Coal India Recruitment 2022)। মোট শূন্য পদের সংখ্যা ৪৮১। ৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রক্রিয়াটি চলবে ৭ অগাস্ট রাত ১১:৫৯ অবধি। বেশ কয়েকটি পদে লোক নেবে কোল ইন্ডিয়া। ইচ্ছুক প্রার্থীরা এখনই আবেদন করতে পারেন। তার আগে বিষদে জেনে নিন এই চাকরির বিষয়ে। 

    পার্সোনেল এবং এইচআর (Personnel & HR): 

    শূন্যপদ: মোট ১৩৮ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কমপক্ষে দু’ বছরের স্নাতকোত্তর বা পিজি ডিপ্লোমা থাকতে হবে।

    পরিবেশ (Environment): 

    মোট শূন্যপদ: ৬৮ টি পদে নিয়োগ করা হবে। 

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি কোর্সে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। 

    মেটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট (Materials Management):   

    মোট শূন্যপদ: ১১৫ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ইলেট্রিক্য়াল বা মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হতে হবে। এর পাশাপাশি এমবিএ বা পিজি ডিপ্লোমা করতে হবে। এবং কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

    মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস (Marketing & Sales): 

    মোট শূন্যপদ: ১৭ টি পদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০ শতাংশ নম্বরসহ মার্কেটিংয়ে দুবছরের এমবিএ বা পিজি ডিপ্লোমা থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিপুল সংখ্যক ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি নিয়োগ করতে চলেছে কোল ইন্ডিয়া, কীভাবে আবেদন করবেন?  

    কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (Community Development): 

    মোট শূন্যপদ: ৭৯ টি পদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট বা রুরাল ডেভেলপমেন্ট বা কমিউনিটি অর্গানাইজেশনে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বরসহ স্নাতকোত্তর বা দুবছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রী থাকতে হবে। 

    এছাড়াও লিগ্যাল, পাবলিক রিলেশন, কোম্পানি সেক্রেটারির একাধিক শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। 

    বয়সসীমা :

    ৩১ মে অনুযায়ী আবেদনকারীর বয়স ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারে নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রার্থীরা বয়সে ছাড় পাবেন।

    আবেদন ফি:

    জিএসটি চার্জ নিয়ে ১১৮০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে প্রার্থীদের। তবে এসসি/এসটি/বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের আবেদন করতে কোনও টাকা লাগবে না।  

    আবেদনের শেষ তারিখ:

    ৭ অগাস্ট অবধি আবেদন করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: জুনিয়র রিসার্চ ফেলো নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ডিআরডিওর, জানুন বিস্তারিত

    বেতন:

    মাসিক ৫০০০০ থেকে ১৬০০০০ টাকা অবধি বেতন পাবেন কর্মীরা। 

    কী করে আবেদন করবেন?

    • www.coalindia.in -এই লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করতে হবে চাকরি প্রার্থীদের। 
    • ‘Career’ – এই লিঙ্কে যান। 
    • সেখান থেকে  ‘CIL >>>> Jobs’ – এই লিঙ্কে। 
    • অনলাইনে আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে বেশ কিছু তথ্যের স্ক্যানড কপি জমা দিতে হবে। 
    • রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কালো কালিতে সই, মাধ্যমিকে সার্টিফিকেট এবং সর্বোচ্চ ডিগ্রীর প্রমাণপত্র স্ক্যান করে জমা দিতে হবে। 

     

     

  • Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, ইজরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দর (Haifa Port) কিনেছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। কিন্তু, ভারতের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক বন্দরের সম্পর্ক আজকের নয়। তা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১০০ বছর আগে— যখন অটোমান এবং জার্মানদের হাত থেকে এই বন্দর উদ্ধার করেছিল ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনা। ইতিহাসের সরণী বেয়ে ফিরে দেখা যাক সেই ঘটনা—

    সময়টা ১৯১৮। আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে। ২৩ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র বল্লম সম্বল করে ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনারা (Cavalry) মেশিনগানধারী জার্মান-অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুক্ত করেছিল ইজরায়েলের (Israel) হাইফা শহরকে। এই ঘটনা বদলে দেয় সেনার ইতিহাস। এই ঘটনার দুমাস পরেই শেষ হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। পৃথিবী এমনভাবে বদলে যায়, যার কল্পনা কেউ কোনওদিন করেনি। ভারতীয়রা ইজরায়েলে আজ কেন এত সমাদৃত, তা বুঝতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে ১০০ বছর পিছনে।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    প্রেক্ষাপট

    ইজরায়েলের হাইফা শহর তখন জার্মান এবং তুর্কিদের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উত্তেজনা তখন মধ্যগগনে। বিশ্বের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিকে তখন দখলের চেষ্টায় রয়েছে অ্যালাইড ফোর্স বা মিত্র সেনা এবং সেন্ট্রাল পাওয়ারের দেশগুলি। কারণ বন্দরগুলিকে দখল করতে পারলে শহর দখল করা সহজ হয়। পক্ষান্তরে যুদ্ধ জেতা সহজ হত। হাইফা তৎকালীন সময়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর ছিল।

    মিত্র বাহিনীর অন্তর্গত ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন এবং রাশিয়ার নজরে ছিল হাইফা, নাজারেথ এবং দামাস্কাস। এই হাইফা এবং নাজারেথ বর্তমান ইজরায়েলের অংশ। দামাস্কাস বর্তমান সিরিয়ার রাজধানী। জার্মান- অটোমানদের থেকে এই হাইফা বন্দর ছিনিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের অধীনস্থ ফিফটিনথ ক্যাভালরি ব্রিগেডের ওপরে। 

    হায়দ্রাবাদ, মাইসোর, পাটিয়ালা, আলওয়ার এবং যোধপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ট্রুপের অন্তর্গত এই বল্লমধারী ঘোড়সওয়ার সেনাদের। ভারতীয় বল্লমধারী সেনাদের নিয়ে গঠিত এই ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীকে হাইফা বন্দর আক্রমণের নির্দেশ দেয় ইংরেজ সরকার। কারণ তখন ইংরেজ সৈনিকরা অন্যত্র পাহারায় ব্যস্ত ছিল। 

    কিন্তু এ ছিল এক অসম্ভব এবং অসম যুদ্ধ। কারণ হাইফা শহরের একটু আগেই কারমেল পর্বতে, যুদ্ধের জন্যে সুবিধাজনক উঁচু স্থানে পাহাড়ায় ছিল জার্মান, অস্ট্রিয়ান এবং অটোমান সেনারা। তাদের হাতে ছিল উন্নত আর্টিলারিগান, মেশিনগান। আর ভারতীয় সেনাদের ভরসা শুধুই বল্লম। ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে পাহাড় চড়াও প্রায় এক অসম্ভব কাজ। যেন এক ‘সুইসাইডাল মিশন’। কিন্তু সেদিন এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিল ভারতীয় সেনা।   

    যুদ্ধ

    ভারতীয় সেনারা জানতে পারেন, অটোমানরা পাহাড়ের ঢালু অংশের দিকে সবথেকে বেশি মাশিগানধারী সেনা মোতায়েন করেছে। কামান নিয়ে সেনারা পাহাড়ের চার জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। মাইসোর ল্যান্সারদের ওপর মেশিনগানধারী সেনাদের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করার দায়িত্ব পরে। যাতে তারা মেশনগানের আগুনের হাত থেকে যোধপুর ল্যান্সারদের (Lancer) সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং তারা (যোধপুর ল্যান্সার) যাতে উত্তরদিক থেকে আক্রমণ করে কারমেল পাহাড় এবং হাইফা শহর সহজেই দখল করতে পারে।  

    ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেইমতো মাইসোর ল্যান্সাররা পাহাড়ের নীচের ভাগে আক্রমণ চালায়। আর যোধপুর ল্যান্সাররা আক্রমণ চালায় পাহাড়ের মূল অংশে জার্মান সেনাদের ওপরে। অবরোধ করা হয় রাস্তা। মেশিনগান এবং আর্টিলারির সামনে পড়ে যায় যোধপুর ল্যান্সাররা। নদীর চোরাবালিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তারা। কিন্তু এত বাধার পরেও হাইফা শহরে উপস্থিত হয় যোধপুর ল্যান্সাররা। তাদের পেছনেই শহরে ঢোকে মাইসোর ল্যান্সাররা। মেশিনগান, বুলেট কিছুই দমাতে পারেনি এই ভারতীয় বীরদের। ভয়ঙ্করভাবে আহত হওয়ার পরেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েনি ভারতীয় সেনা। 

    ঘোড়সওয়ারদের এই দুই রেজিমেন্ট যৌথভাবে ২ জার্মান অফিসার এবং ৩৫ অটোমান অফিসারসহ ১৩৫০ জার্মান এবং অটোমানকে বন্দি বানায়। এছাড়াও ১৭টি আর্টিলারি গান, আটটি ৭৭ এমএম বন্দুক, চারটে ক্যামেল গান ও নেভাল গান এবং ১১টি মেশনগান বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু জয় কি বলিদান ছাড়া আসে! ভারতীয় সেনাদেরও এই জয়ের মূল্য চোকাতে হয়েছিল। যুদ্ধে ৮ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ জ্যায়। আহত হয় ৩৪ জন।

    ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর দলপত সিং- প্রাণ হারান যুদ্ধে। তাঁর বীরত্বের পুরো ঘটনা ইজরায়েলের পাঠ্যপুস্তকে আজও পড়ানো হয়। ‘হিরো অফ হাইফা’- র খেতাব দেওয়া হয় তাঁকে। এই যুদ্ধে হতবাক হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কীভাবে কয়েক জন বল্লমধারী, ঘোড়সওয়ার সেনা সংখ্যায় বহুগুণ বেশি মেশনগানধারী সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে জল ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল! 

    যুদ্ধের তাৎপর্য 

    সেদিনের যুদ্ধ যে শুধু হাইফা দখলের জন্যই ছিল, তা নয়। ওই যুদ্ধের পর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল তুর্কী এবং জার্মান সেনাদের। এছাড়াও ভারতীয় সেনাদের ওপর বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে ইংরেজ সরকারের। এরপর থেকে ভারতীয়দের দিয়ে সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ানোও শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরেই ১৯২২ সালে দ্য প্রিন্স অফ ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়।

    ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠা 

    স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একটি নতুন ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট তৈরির কথা ভাবা হয়। মাইসোর এবং যোধপুর ল্যান্স্যারদের স্মরণে ১৯৫২ সালে জয়পুরে ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা হয়। এটাই পৃথিবীর সর্বশেষ ঘোড়সওয়ার বাহিনী। পদ্মশ্রী, অর্জুন পুরষ্কার ছাড়াও একাধিক সম্মান পেয়েছে ভারতের এই ঘোড়সওয়ার বাহিনী। 

    হাইফা যুদ্ধে নিহত ভারতের বীর সেনাদের স্মৃতিতে দিল্লির তিন মূর্তি চকে একটি স্মৃতি সৌধ বানিয়েছে ভারত সরকার। ২০১৮ সালে ওই জায়গার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইফা চক’।

  • Yasin Malik: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী? 

    Yasin Malik: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik) মামলায় মূল সাক্ষীদের (Witness) পরিচয় গোপন করতে তাঁদের জ্যাক, জন, আলফা নাম দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, কেসটির গুরুত্ব বুঝে এবং এই ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত থাকতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সাক্ষীদের নাম বদলানো হয়েছে। সাক্ষীদের পরিচয় সামনে এলে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি হতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। 

    শুধু জ্যাক, জন, আলফাই নয়। মোট ২৫ জন সাক্ষীর বয়ানের ওপর ভিত্তি করে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে কেসটি সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই সবারই পরিচয় গোপন রাখার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এনআইএ। সুরক্ষার সাথে কোনওভাবেই আপোষ করা হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তাই এই ২৫ জনকেই আলাদা আলাদা ছদ্মনাম দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর তুলনা টানেন বিচারক, কেন জানেন?

    জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক। বুধবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের  সাজা দেয় পাটিয়ালার বিশেষ এনআইএ আদালত । ইউএপিএ আইনে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিল এনআইএ। শেষপর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। আদালতে নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন মালিক। 

    এছাড়াও তদন্তকারী দল ৭০ জায়াগায় অভিযান চালিয়ে ৬০০ টি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    সাজার পরে ইয়াসিন মালিককে রাখা হয়েছে তিহারের ৭ নম্বর জেলে। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অন্যান্য কয়েদীদের থেকে আলাদা একটি সেলে রাখা হয়েছে ইয়াসিনকে। সেখানে একাই আছে সে। একই কারণে কোনও কাজও দেওয়া হয়নি তাকে। ইয়াসিনের জেলে বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে ইয়াসিনের সেলে। 

     

  • UK PM Race: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

    UK PM Race: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK PM Race) বরিস জনসন (Boris Johnson)। এরপরে কার মাথায় উঠবে প্রধানমন্ত্রীর খেতাব তা নিয়েই এখন বিশ্বজোড়া চর্চা। ভোটাভুটির প্রথম রাউন্ডের পরে প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে রইলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি পেয়েছেন ২৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ১৯ শতাংশ ভোট। লিজ ট্রস ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন (Liz Truss)। চতুর্থ স্থানে কেমি বেদেনোক ১১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, টম টুজেন্ট ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫ নম্বরে রয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রাভারম্যান ৯ শতাংশ ভোট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছেন। এলিমিনেশন  রাউন্ডে, দুই প্রার্থী, নাদিম জাহাভি এবং জেরেমি হান্ট যথাক্রমে ৭ এবং ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    দলের ৩৫৮ জন সাংসদের মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতি রাউন্ডে যারা সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তাঁরা প্রতিযোগিতা থেকে বাদ যাবেন। চলতে হবে ভোট। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দুজনকে চূড়ান্ত করতে হবে। তারপর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তাঁদের নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। এরপরে ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    বর্তমানে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতিযোগিতায় রয়েছেন আরেক ভারতীয় রাজনীতিবিদ সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। 

    কে এই ঋষি সুনক?  

    বহুজাতিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের (Infosys) প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির (Narayana Murthy) জামাই এই ঋষি সুনক। ১৯৮০-র ১২ মে ব্রিটেনের বন্দর শহর সাউদাম্পটনে (Southampton) জন্ম হয় ঋষি সুনকের। অক্সফোর্ড (Oxford) ও স্ট্যান্ডফোর্ড (Stanford) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ঋষি রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন ব্যবসায়ী। ২০১৫-য় রিচমন্ড ইয়র্কশায়ার (Richmond Yorkshire) থেকে জিতে প্রথমবার সাংসদ হন তিনি। বরিসের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান। ২০০৯-এ বিয়ে করেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতাকে। দম্পতির দুই মেয়ে রয়েছে। একটা সময় ব্রেক্সিটের প্রচারে বরিসের পাশে ঋষিকেই মুখ্য ভূমিকায় দেখা যায়। একাধিক বিতর্কেও নাম জড়িয়েছে তাঁর। পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে (Partygate scandal) নাম জড়ায় ঋষি সুনকের।  

    দলের নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজতেও কনজারভেটিভ পার্টিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। যে প্রার্থীরা ৩০ এর কম ভোট পেয়েছেন তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কেবলমাত্র সেই প্রার্থীরাই পরের রাউন্ডে যেতে পারবেন, যারা অন্তত ৩০ জন সাংসদের সমর্থন পাবেন। ভোটের আগে সব প্রার্থীদের পার্টির কর্মীদের সামনে বক্তৃতা রাখার জন্যে ১২ মিনিটের সময় দেওয়া হয়।   

    শেষ রাউন্ডের শেষে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য হয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বরেই মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। এমনটাই আশা করা হচ্ছে। 

  • Vice President Election: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    Vice President Election: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi)পাশে বসিয়ে উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari), বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা।  

    আরও পড়ুন: উৎসবের মেজাজে চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দেখুন ভোট দিলেন কারা

    [tw]


    [/tw]

    জগদীপ ধনখড়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই ট্যুইট করেন মোদি। তিনি লেখেন, “বিভিন্ন দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতারা শ্রী জগদীপ ধনখড়কে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গ দিয়েছেন। আমি নিশ্চিত যে তিনি একজন চমৎকার এবং অনুপ্রেরণাদায়ী উপরাষ্ট্রপতি হবেন।” 

    আরও পড়ুন: জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন বিজেডি-এআইএডিএমকের, ইস্তফা দিলেন রাজ্যপাল

    [tw]


    [/tw] 

    গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দেন। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম গত তিনবছরে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। ধনখড়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের তিক্ততা বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। অবশেষে সেই জটিলতার অবসান। রবিবার রাতে বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। সাময়িকভাবে বাংলার রাজ্যপালের পদ সামলাবেন মণিপুরের রাজ্যপাল এল গণেশন। ২০১৯ সালে ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ধনখড়। আগামী ৬ অগাস্ট হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদ সামলাচ্ছেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু।   

LinkedIn
Share