Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের কোনও তথ্য ফোনে না- জানানোর জন্য প্রচার করা হলও এক শ্রেণির মানুষ বার বার ভুল করে ফেলছেন। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছেন। আর অপরাধীদের মূলত টার্গেট  বয়স্কদের। সাইবার অপরাধীদের পাল্লায় পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন হুগলির শ্রীরামপুরের ৫৮ বছরের এক মহিলা। প্রতারিত মহিলার নাম মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটি বিমা সংস্থার কর্মী। প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে ২০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়ে সুনন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রবর্তীর নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কের শ্রীরামপুর শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে ফোন নম্বর রয়েছে মৌসুমীর। সুনন্দিতা বলেন, বুধবার বিকেলে মায়ের মোবাইলে পুরুষকণ্ঠে ফোন আসে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে। বলা হয়, অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে কিছু তথ্য দরকার। অভিযোগ, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ‘কাস্টমার আইডি’ জানার অনুরোধ পাঠায় প্রতারক। তা যাচাইয়ের জন্য ওটিপি আসে মৌসুমীর মোবাইলে। সাইবার প্রতারকের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তিনি ওটিপি বলে দেন। আরও নানা তথ্য হাতিয়ে নেয় সে। মৌসুমীকে বিভ্রান্ত করে মোট ৪৪ বার তাঁর থেকে ওটিপি জেনে নেয় প্রতারক। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ১৬ বারে অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৬৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই ব্যাঙ্কে লেনদেন প্রক্রিয়া বন্ধ করেন সুনন্দিতারা। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশেরও দ্বারস্থ হন। হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক জন প্রবীণ নাগরিক এ ভাবে প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ব্যাঙ্কের তথ্য কী ভাবে পেয়ে যাচ্ছে প্রতারকেরা? যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: শাহজাহানের বাড়িতে ইডি, ভয়ে মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের

    ED Raid: শাহজাহানের বাড়িতে ইডি, ভয়ে মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন অন্য সন্দেশখালি। অদ্ভুত নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে শাহজাহানের বাড়ির সামনে। ইডি আধিকারিকদের (ED Raid) ঘিরে ধরে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে জায়গায় মারধর শুরু করেছিল তৃণমূল কর্মীরা, বুধবার সকালে সেই জায়গাই বিলকুল ফাঁকা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম অনেক খুঁজেও কোনও প্রত্যক্ষদর্শী পেলনা। কেউই নাকি কিছুই দেখেননি। ইডি আধিকারিকদের (ED Raid) মারধরের দিন, কেউ দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। কেউ বাজারে গিয়েছিলেন। কেউ গিয়েছিলেন অন্য কোনও কাজে।

    ভয়ে মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের

    হাজার লোকের জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সেদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ওপরে। সেই সরবেড়িয়াতেই বুধবার ফের গিয়েছিল ইডি (ED Raid)। কিন্তু সেখানেই অস্বাভাবিক নীরবতা। শাহজাহান নিজের নামে বাজার তৈরি করেছেন। সেখানকার দোকানপাট সবই বন্ধ। কোনও এক ‘অজ্ঞাত’ কারণে রাস্তাতেও বিশেষ লোকজন নেই। বুধবার রণসাজে সজ্জিত হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি, পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা, সেই ঘটনা ঘটতে নাকি দেখতেই পাননি শাহজাহানের (ED Raid) গ্রামের বাসিন্দারা! কোনও সংবাদমাধ্যমের সামনে কেউই মুখ খোলেননি।

    নিরাপত্তায় মোড়া গোটা এলাকা

    ১৯ দিন আগে ইডি (ED Raid) হানার সময় সন্দেশখালির শাহজাহানের বাড়ির সঙ্গে বুধবারের তাঁর বাড়ি ও আশপাশের পরিবেশের চেহারা একেবারেই আলাদা। এদিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান চালানোর সময় বাড়ির সামনে নেই কোনও জনতার ভিড়়। তৃণমূল নেতার নামাঙ্কিত শাহজাহান মার্কেটের একটি দোকানও খোলেনি। বাজারে দেখা গেল সুনসান ছবি। আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালির বাজারেও সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের আনাগোনাও একেবারেই হাতেগোনা। সমস্ত এলাকা দখল নিয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ। শাহজাহানের বাড়ি থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার জন্য রয়েছে এক চিলতে রাস্তা। সেই ১০০ মিটার রাস্তাও পুরোপুরি মোড়া খাকি, জলপাই পোশাক পরিহিত দীর্ঘদেহীদের দিয়ে। বড় রাস্তার দখলও পুরোপুরি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে। জায়গায় জায়গায় তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকাল থেকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Express: উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, মালদা থেকে যাত্রা শুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের

    Amrit Bharat Express: উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, মালদা থেকে যাত্রা শুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই চালু হল অমৃত ভারত এক্সপ্রেস (Amrit Bharat Express)। নতুন বছরের আগে বাংলার বড় প্রাপ্তি এই এক্সপ্রেস ট্রেন। মালদা থেকে বেঙ্গালুরু যাবে এই ট্রেন। শনিবার অযোধ্যা ধাম জংশন স্টেশন থেকে এই ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আরও ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করেন তিনি। মালদা থেকে যাত্রা শুরু করল এই ট্রেন।

    কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন? (Amrit Bharat Express)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি (Amrit Bharat Express) রবিবার রাতে বেঙ্গালুরু পৌঁছাবে। মালদার পর নিউ ফরাক্কা, রামপুরহাট, বোলপুর, বর্ধমান, অন্ডাল, ডানকুনি, খড়্গপুর, বেলদা, জলেশ্বর, বালাসোর, কটক হয়ে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে থামবে। চাকরির কারণে কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে বাংলার হাজার হাজার মানুষ বেঙ্গালুরু যান। বিশেষ উত্তরবঙ্গের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে এই ট্রেন বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে বলে রেল কর্তারা মনে করছেন। এমনিতেই মালদা স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ছাড়বে। এদিন এই ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে খড়্গপুর ডিভিশনে ৬টি স্টেশনে মঞ্চ করে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিভিশনের সদর হওয়ায় খড়্গপুর স্টেশনে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বাকি পাঁচটি স্টেশনেও ওই অনুষ্ঠান হবে। ট্রেন পৌঁছনোর এক ঘণ্টা আগে থেকেই ওই অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দেশের সর্বপ্রথম অমৃতভারত এক্সপ্রেস বাংলার মাটি দিয়ে যাত্রাপথ শুরু করায় খুশি রাজ্যবাসী।

    এই ট্রেনে যাত্রী সুরক্ষায় বিশেষ নজর!

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অমৃতভারত ট্রেনটি কার্যত দেশে সাধারণের বন্দে ভারত নামে পরিচিত হতে চলেছে। কারণ এতে রয়েছে বন্দে ভারতের মতোই দু’দিকে ইঞ্জিনের সাহায্যে পুশ-পুলের সুবিধা। এর জেরে ইঞ্জিন বদলে সময় নষ্ট হবে না। তবে এই ট্রেনে থাকবে না কোনও বাতানুকূল কামরা। সাধারণ কামরা হলেও প্রতিটি আসনের সঙ্গে থাকছে চার্জিং পয়েন্ট। ট্রেনের শৌচাগারও হয়েছে বন্দে ভারতের আদলে। এমনকী ট্রেনের ভিতরেই পরবর্তী স্টেশনের নাম ও কত বেগে ট্রেনটি ছুটছে তা-ও ডিসপ্লে’তে ফুটে উঠবে। সঙ্গে চলবে ঘোষণাও। যাত্রী সুরক্ষায় প্রতিটি কামরায় থাকছে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাও। অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে (Amrit Bharat Express) মোট ২২টি কোচ থাকবে। ৮টি সাধারণ (জেনেরাল) কোচ, ১২টি দ্বিতীয় শ্রেণির থ্রি টিয়ার স্লিপার কোচ ছাড়া দু’টি কামরা হবে লাগেজ ভ্যান। এতে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনের লোকো পাইলটদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে সিটগুলিকে আরামদায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও জেনারেল কামরার উপরে সিটে গদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার দিকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। ট্রেনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অবশ্যই কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন।

    ভাড়া কেমন?

    বন্দে ভারতের মতো এই ট্রেনে পরিষেবা মিললেও তুলনায় অনেক কম হবে ভাড়া। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার এবং দ্বিতীয় শ্রেণির তুলনায় মাত্র ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ বেশি ভাড়া হবে এই ট্রেনে। অন্যান্য মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে এক থেকে ৫০ কিলোমিটারের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রার ন্যূনতম টিকিটের দাম ৩০ টাকা (রিজার্ভেশন এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়া)। সেখানে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে (Amrit Bharat Express) এক থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ন্যূনতম খরচ ৩৫ টাকা। রিজার্ভেশন ফি এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়াই যাত্রীদের দিতে হবে এই অর্থ। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ছাড়ের টিকিট এবং বিনামূল্যে পাসের জন্য টিকিট এই ট্রেনগুলিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google N

  • Ram Mandir: ভোটাভুটি করে বেছে নেওয়া হল রামলালার মূর্তি, কেমন দেখতে জানেন?

    Ram Mandir: ভোটাভুটি করে বেছে নেওয়া হল রামলালার মূর্তি, কেমন দেখতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি মূর্তি। তার মধ্যে একটিই ঠাঁই পাবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে। সেই বিগ্রহেই হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। কোন মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে, সেটি বেছে নিয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। ট্রাস্টের তরফে বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র জানান, রামলালার যে মূর্তিটি মন্দিরের গর্ভগৃহে বসানো হবে, সেটি পছন্দ করা হয়ে গিয়েছে।

    কেমন দেখতে রামলালার মূর্তি?

    প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য সেটি মন্দিরে নিয়ে আসা হবে আগামী মাসে। শুক্রবার তিনি বলেন, “মন্দিরে কোন মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি ঠিক করতেই বৈঠক হয়েছে এদিন। মূর্তিও পছন্দ করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রাম মন্দির নির্মাণ এবং মন্দির পরিচালনা করছে এই ট্রাস্ট। বিমলেন্দ্র বলেন, “যে মূর্তিটি সবার পছন্দ হয়েছে, সেটি দেখলে মনে হবে যেন আপনার সঙ্গে কথা বলছে। একবার যদি দেখেন, আপনি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাবেন।” তিনি বলেন, “যদি এক সঙ্গে অনেকগুলি মূর্তি রাখা হয়, তাহলে আপনার চোখ গিয়ে থামবে সেরা (Ram Mandir) মূর্তিটিতে গিয়ে।”

    মূর্তি পছন্দে ভোটাভুটি 

    এদিনের বৈঠকেও আমার দৃষ্টি যে মূর্তিটিতে গিয়ে স্থির হয়ে গিয়েছিল, সেটির পক্ষেই আমি ভোট দিই। এরপর চম্পত রাই (ট্রাস্টের সম্পাদক) ঠিক করেছেন। এনিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিল। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছিলাম। যে মূর্তিটির পক্ষে সবাই ভোট দিয়েছেন, সেই মূর্তিটিই প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য নিয়ে আসা হবে। এই মূর্তিটির মধ্যে একটি স্বর্গীয়ভাব রয়েছে। সেটি সত্যিই শিশুর মতো দেখতে।” জানুয়ারির ২২ তারিখে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবে রামলালার মূর্তি। তবে বিগ্রহ-দর্শন শুরু হবে ২৩ তারিখ থেকে। যদিও মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান পর্ব শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে। এদিন থেকে শুরু হবে অক্ষত সংগ্রহ।

    আরও পড়ুুন: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    আরও কিছু মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান শেষে ২২ জানুয়ারি হবে মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এর মধ্যে যেমন থাকবেন রাজনীতিবিদরা, তেমনি থাকবেন শিক্ষা, বিনোদন-সব বিভিন্ন ক্ষেত্রের লোকজন। বিদেশের বহু অভ্যাগতও যোগ দেবেন এই অনুষ্ঠানে। সেই কারণেই সাধারণ দর্শনার্থীরা এদিন প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। তাঁরা দেবদর্শন করতে পারবেন ২৩ জানুয়ারি থেকে। ট্রাস্টের দাবি, এদিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ অযোধ্যায় আসবেন রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম লিয়াকত মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হরিহরপুরে। বেশ কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে এখন বাংলাদেশের নাগরিক। অসুস্থতার কারণে লিয়কত সাহেবের মৃত্যু হয়। বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন সীমান্তের ওপারে থাকা মেয়ে। সাদা কাপড়ে মোড়া বাবার দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। বিএসএফের মানবিক মুখ দেখলেন সকলে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BSF)

    বাবার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে থাকা মেয়ের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু, পাসপোর্ট জটে আটকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে আসতে পারেননি বাংলাদেশের বাসিন্দা মেয়ে। আর দ্রুত পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব ছিল না। বিজিবি- বিএসএফের (BSF) কাছে তাঁর কাতর আবেদন ছিল, যেন একবার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে আসতে চেয়েছিলেন পৈতৃক ভিটেতে। তাঁর ইচ্ছা ছিল, বাবার মৃতদেহ শেষবার দেখার। লিয়াকত সাহেবের পরিবারের লোকজন হরিহরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানান। পঞ্চায়েত সদস্য মধুপুর ক্যাম্পের বিএসএফ কর্তাদের অনুরোধ করেন, লিয়াকত সাহেবের মেয়েকে যাতে শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে দেওয়া হয়। এরপরই বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিজিবি-র মাধ্যমে মেয়েকে দু’দেশের জিরো পয়েন্টে আনার কথা বলা হয়। এরপরই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে লিয়াকতের মৃতদেহ আনা হয়। ওপার থেকে মেয়েও আসেন। শেষমেশ বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় জিরো পয়েন্টে লিয়াকত সাহেবের দেহ আনা হয়। বাবাকে শেষ দেখার পাশাপাশি শেষ শ্রদ্ধাও জানান মেয়ে।

    বিএসএফ নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের বধূ?

    লিয়াকত সাহেবের মেয়ে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মন ছটফট করছিল। কিন্তু, দুদেশের আইনি জটে সীমান্ত পেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু, বিএসএফ (BSF) উদ্যোগী হওয়ায় বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারলাম। বিএসএফের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি তদন্তের নামে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামীর ওপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো মিলে পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’। এতেই রাজ্যের বিচার বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বিচারপতির বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব, লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার মামলা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বিচার এবং বিচারপতিকে পরোক্ষ ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে না তো! ঠিক এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

    বিচারপতির স্বামী কী বলেছেন চিঠিতে (Justice Amrita Sinha)?

    কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশেনকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ চন্দ্র অভিযোগ করেন, “যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করছে সিআইডি অফিসারেরা, যাতে তাঁর স্ত্রীর (Justice Amrita Sinha) বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলতে হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা কুকথা বলে অভিযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। টানা নয় ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।”

    কোন মামলায় বিচারপতির স্বামী অভিযুক্ত?

    সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল। গত একমাসের মধ্যে ডিসেম্বরের ১, ১৬ এবং ২২ তারিখে ডাকা হয়েছে। অবশ্য আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি।

    সিআইডির দাবি

    সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, “তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে কেউ যেন তদন্তের বাইরে না থাকে। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ওই বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী। আমরা পদ্ধতি মেনেই কাজ করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির শিকার শিলিগুড়ির (Siliguri) এনজেপির কাছে ঠাকুরনগরে প্রস্তাবিত রেল উড়ালপুল। রাজ্য সরকার এনওসি না দেওয়ায় রেল সম্পূর্ণ নিজের খরচে এখানে উড়ালপুল তৈরি করতে পারছে না। ফলে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে নাজেহাল হচ্ছেন। রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেলগেটে আটকে থাকছে অ্যাম্বুলেন্স। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এই উড়ালপুল তৈরির জন্য এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের পাশে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায়।

    ঠাকুরনগরে কেন রেল উড়ালপুল দরকার? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই রেলগেটে এলাকার মানুষ নিত্যদিন নাকাল হন। এনজেপি দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন এই গেট বন্ধ হয়। দুপারে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাতে তীব্র যানজট তৈরি হয়। সাহুডাঙ্গি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সহজে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই রেলগেটই ভরসা। এই রেলগেট দিয়ে পাঁচটি জেলার মানুষের শিলিগুড়িতে যাতায়াত। সেই সব মানুষদের সঙ্গে পর্যটকরাও এই রেলগেটে আটকে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই এলাকায় উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিনের। আজও এখানে রেল উড়ালপুল না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।

    উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ

    সাংসদ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মানুষের এই দুর্ভোগ বন্ধ করতে  উদ্যোগ নেন বিজেপির ডাঃ জয়ন্ত রায়। বিষয়টি তিনি রেলমন্ত্রীর নজরে আনেন। সবকিছু বিবেচনা করে রেলের পক্ষ থেকে ঠাকুরনগরে সম্পূর্ণ নিজের খরচে উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় এক বছর আগে রেল মন্ত্রক থেকে এনওসি চেয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। অজানা কারণে জেলাশাসক তথা রাজ্য সরকার এনওসি দিচ্ছে না বলে জানান সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    এনওসির দাবিতে বিজেপি বিধায়কের বিক্ষোভ অবস্থান

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। তিনি বলেন, জেলাশাসকের সঙ্গে আমরা একাধিকবার দেখা করেছি। রেলের চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও তিনি এনওসি কেন দিচ্ছেন তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। কেননা এখানকার সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সব বিজেপির। সেই রাগেই তৃণমূল উড়ালপুল তৈরি করতে দিতে চাইছে না। এবার এনওসি আদায়ের জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, এখানে রেল উড়ালপুলের দরকার। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরাও এনজেপিতে রেল আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক এনওসি দিচ্ছেন না, বিষয়টি আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির ২২ তারিখে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। প্রত্যাশিতভাবেই এদিন কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় আগত ভক্তদের জন্য লঙ্গরখানা খুলবেন সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুর। তিনি নিহাঙ বাবা ফকির সিং খালসার ১৮তম বংশধর। ঘটনাটি ঘটছে ১৬৫ বছর পরে। ১৮৫৮ সালে তাঁর পূর্বপুরুষ অযোধ্যার বাবরি মসজিদের দখল নিয়েছিলেন। কীভাবে? ভগবান রামের জন্মভূমির ওপর মুঘলরা মসজিদ গড়েছিলেন। ১৬৫ বছর আগে সেই মসজিদের দেওয়ালে রাম নাম খোদাই করে দিয়েছিলেন তাঁরই এক পূর্বপুরুষ।  

    মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই

    ভগবান রামের প্রতি তাঁর বংশের ভক্তি অটুট। রসুলপুর জানান, ১৮৫৮ সালে ফকির সিং ও তাঁর নিহাঙ সিং সঙ্গীরা মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই করে দিয়েছিলেন। উড়িয়ে দিয়েছিলেন গেরুয়া ধ্বজা। ঘটনার (Ram Mandir) প্রেক্ষিতে নভেম্বরের ৩০ তারিখে আওয়াধ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের আগেও তিনি জানিয়েছিলেন একথা। শিখ এবং হিন্দুদের মধ্যে বিরোধ কোনওদিনই চাইতেন না ফকির সিং। রসুলপুরের দাবি, তাঁদের পরিবারের বরাবর সমান বিশ্বাস শিখ ও হিন্দু ধর্মের প্রতি। তিনি জানান, রাম মন্দিরের দাবিতে প্রথম যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তা কোনও হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, এক শিখের বিরুদ্ধে।

    মাথায় পাগড়ি, পরেন রুদ্রাক্ষ 

    কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন রসুলপুর। তিনি জানান, একই সঙ্গে নিহাঙ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। শিখ হয়েও রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন রসুলপুর। একই শরীরে বহন করেন শিখ ও হিন্দুধর্মের প্রতীক। এই মানুষটিই মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় খুলবেন লঙ্গরখানা। শিখধর্মে লঙ্গরখানার চল রয়েছে। এই লঙ্গরখানার অর্থ হল নিখরচায় আগত অতিথিদের খাওয়ানো। সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক এই লঙ্গরখানা। রসুলপুর জানেন, মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আসবেন ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী হতে। লঙ্গরখানায় তাঁদের খাইয়ে তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি ও নিঃস্বার্থ সেবার বার্তাই দিতে চান রসুলপুর।

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা যখন মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের শেষ প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, তখন রসুলপুর দিন গুনছেন কবে আসবে বহু প্রতীক্ষিত সেই দিন। যেদিন তাঁর লঙ্গরখানায় সেবা করিয়ে তামাম ভারতকে রসুলপুর মনে করিয়ে দেবেন বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সুমহান বাণী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদ হানার মাথা ললিত ভিডিও পাঠায় হালিশহরের নীলাক্ষকে! কে এই যুবক?

    Parliament Security Breach: সংসদ হানার মাথা ললিত ভিডিও পাঠায় হালিশহরের নীলাক্ষকে! কে এই যুবক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে (Parliament Security Breach) স্মোক গ্রেনেড হামলার ঘটনায় যোগ মিলল বাংলার। এই হামলার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা নামে এক যুবকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সে কলকাতার বড়বাজারে থাকত। তার সঙ্গে নীলাক্ষ আইচ নামে এক কলেজ পড়ুয়ার  আলাপ ছিল। ঘটনার পর পরই ললিত তার মোবাইলে স্মোক গ্রেনেড হামলার ছবি পাঠিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার পুলিশ হালিশহরে নীলাক্ষর বাড়িতে পৌঁছে যায়। দিনভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রশ্ন উঠছে. ললিতের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে তো অনেকেরই যোগাযোগ। তাহলে হঠাৎ তাকেই কেন ভিডিও পাঠানো হল? তবে কি লোলিতের হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রিতে প্রথমেই নাম ছিল নীলাক্ষর? সবই বিচারাধীন বিষয়।

    কে এই নীলাক্ষ? ললিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ কী করে? (Parliament Security Breach) 

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলাক্ষ আইচের বাড়ি হালিশহরের জেটিয়া এলাকায়। বিধাননগর কলেজের ইংরাজি বিভাগে স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’ নামে একটি এনজিও করেন নীলাক্ষ। তিনি আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করাতেন বলে জানা গিয়েছে। এনজিও-র সূত্রেই ললিত ঝা’র সঙ্গে আলাপ। চলতি বছরে এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে একটি অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন নীলাক্ষ। সেখানেই ললিতের সঙ্গে নীলাক্ষর আলাপ হয়েছিল। নীলাক্ষ তাঁদের এনজিওতে যোগ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। ললিত তাতে যোগ দিয়েছিল। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে মোবাইল আদানপ্রদান হয়েছিল। সংসদের (Parliament Security Breach) হামলার ভিডিও নীলাক্ষর মোবাইলে পাঠিয়েছিল ললিত। সেই সূত্র ধরে দিল্লি পুলিশ যোগাযোগ করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক নীলাক্ষর বাড়়িতে যান। তাঁর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক বলেন, দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে নীলাক্ষকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। দিল্লি পুলিশও আসবে।

    কী বললেন নীলাক্ষ?

    নীলাক্ষ বলেছেন, ‘আমি তখন কলেজে ছিলাম। কলেজ থেকে বেরনোর পরে হোয়াটসঅ্যাপে দেখি একটি ভিডিও এসেছে। ললিত ঝা পাঠিয়েছিলেন। সংসদের (Parliament Security Breach) বাইরে রাস্তায় যেটা হয়েছিল, স্মোক টর্চ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দুই জন। ওই ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। আমি তখন পুরোটা দেখিনি। তখন জানতামও না সংসদে এমন ঘটে গিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কোথায় হয়েছে? তারপর থেকে কোনও উত্তর পাইনি। শুধু আমাকে মিডিয়া কভারেজ দেওয়ার জন্য বলেছিল। আমি আর ভিডিও দেখিনি।’

    নীলাক্ষর বাবার কী বক্তব্য?

    নীলাক্ষর বাবা নীলয় আইচ বলেন, ছোট থেকেই ছেলের নেতাজির প্রতি ভালোবাসা ছিল। ও কোনও রাজনীতি করে না। ছেলের সঙ্গে দিল্লি পুলিশ কথা বলেছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছেলে একটি এনজিও করত। পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পড়াত। ললিত ঝাকে চিনি না। সংসদ হামলার অন্যতম চক্রী ললিতের সঙ্গে পাড়ার ছেলে নীলাক্ষর নাম জড়িয়ে যাওয়ার কারণে এলাকার লোকজন হতবাক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Hockey: পাঁচ দেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে ভ্যালেন্সিয়া গেল ভারতের পুরুষ ও মহিলা হকি দল

    Indian Hockey: পাঁচ দেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে ভ্যালেন্সিয়া গেল ভারতের পুরুষ ও মহিলা হকি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ দেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে ভ্যালেন্সিয়া গেল ভারতের পুরুষ ও মহিলা হকি দল। ভারত ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় আরও চারটি দল হল স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও বেলজিয়াম। এই টুর্নামেন্ট চলবে ১৫ থেকে ২২ ডিসেম্বর। ভারতের দুই দলই তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ১৫ তারিখ স্পেনের বিরুদ্ধে। এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রম তালিকায় নিজেদের স্থান উপরে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য হরমনপ্রীতের ছেলেদের। অন্যদিকে মহিলা হকি দল অলিম্পিকের যোগ্যতা নির্ধারণী পর্বে খেলতে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চায়। 

    ভারতীয় দল তাঁদের দ্বিতীয় ম্যাচ বেলজিয়ামের বিপক্ষে ১৬ ডিসেম্বর। চলতি মাসের ১৯ তারিখ খেলবে জার্মানির বিপক্ষে। ২০ ও ২১ তারিখ যথাক্রমে ছেলে ও মেয়েরা খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। 

    জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ

    জুনিয়র মহিলা হকি বিশ্বকাপের সফর শেষ হল ভারতীয় মহিলা দলের। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে ম্যাচ জিতল ভারত। ফলে নবম স্থানে শেষ করল ভারতীয় দল। মালয়েশিয়ায় আয়োজিত হকি মেন্স জুনিয়র বিশ্বকাপে (Mens Jounior World Cup Hockey) কানাডার বিরুদ্ধে ১০-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় দল। আর এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। পুল সি-তে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্বের অভিযান শেষ করল জুনিয়র ভারতীয় হকি দল। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share