Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জের এসএসসি-র গ্রুপ সি (Group C) পরীক্ষাতেও। গ্রুপ সি-তেও ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। প্রাপ্ত নম্বর শূন্য, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭! প্রাপ্ত নম্বর ১, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪! হাইকোর্টের নির্দেশ ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।  ৩৪৭৮ জনের মধ্য়ে ৩৬২ জনের নম্বরে কোনও রদবদল হয়নি। বাকী ৩১১৬ জনের মধ্যে ৮৬ জনের নম্বর কমে গিয়েছে এসএসসির মূল সার্ভারে। এদের নম্বর গাজিয়াবাদের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র সার্ভারে বেশি বা কম ছিল। 

    তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি

    এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ছবি। প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া আছে সেই তালিকায়। পাশে পরপর কলামে লেখা – প্রকাশ হওয়া নম্বর ও আসল নম্বর। তার পাশের কলামে দেখানো হয়েছে, ঠিক কত নম্বরের তফাৎ রয়েছে। 

    এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি (SSC Scam)। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত’। এদিকে, গ্রুপ সি-র শূন্য পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এসএসি। খুব শীঘ্রই হবে কাউন্সেলিং। এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল কমিশন। প্রথম দফায় হবে ৭৮৫ পদে নিয়োগ। ওয়েটিং লিস্ট থেকেই হবে নিয়োগ। কিন্তু ওইসব প্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও অসংগতি থাকলে তাদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে না। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ৮৪২ জন চাকরিচ্যুত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।    

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School:  স্কুলে ২৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াতে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা! কোথায় দেখে নিন

    School: স্কুলে ২৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াতে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা! কোথায় দেখে নিন

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাংলা মাধ্যমে পড়ার অনীহা, নাকি অভিভাবকদের ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করার প্রবণতা? যে কোন কারণেই হোক বাংলা মাধ্যম স্কুল গুলিতে কিভাবে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমছে তা কোন্নগর জোড়াপুকুরে নগেন্দ্রনাথ কুন্ডু বিদ্যালয়ে (School) গেলেই বোঝা যায়। প্রায় ৫০ বছরের পুরানো স্কুল। এক সময় স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ে গম গম করত। এলাকার অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা এই স্কুলেই (School)  পড়শুনা করেছেন। কিন্তু, এখন স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও নতুন করে কেউ আর ভর্তি হতে চায় না। এই স্কুলের (School) পরিকাঠামোতে কোন গলদ নেই। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে মিড ডে মিল সবই চালু। স্কুলে এখন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১০ জন। ২ জন শিক্ষা কর্মী রয়েছেন। আর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৭ জন। পড়়ুয়ার অভাবে রাজ্যে ৮ হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, আগামীদিনে এই স্কুল সেই পথেই হাঁটছে।

    কেন কমছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা? School

    এই স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানা হয়। সাধারণত যে স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত রয়েছে, সেখানেই অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভর্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই বিষয় নিয়ে স্কুলের (School) এক শিক্ষিকা দীপান্বিতা চক্রবর্তী বলেন, ২০২১ সালে অন্য স্কুল (School) থেকে বদলি হয়ে এই স্কুলে এসেছি। তখন থেকে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কম। আমার মনে হয়েছে, বর্তমান অভিভাবকদের ইংরেজি স্কুলে পড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। সেই কারণে শুধু এই স্কুলে (School)  নয় সারা রাজ্যের বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলি ধুঁকছে। অভিভাবকরা সাধারণত চেষ্টা করেন পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে একেবারে উচ্চমাধ্যমিক অবধি একই স্কুলে (School) রেখে দিতে। কিন্তু এই স্কুলে (School)  সেই ব্যবস্থা নেই। স্কুলের মাঠের অবস্থাও ভাল না। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। পঠনপাঠনকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আশা রাখব, ভবিষ্যতে এই অবস্থা থাকবে না।

    স্কুলটি কোন্নগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে। স্থানীয় কাউন্সিলর বাবলু পাল বলেন, এই স্কুল বহু পুরোনো। বর্তমানে এর গরিমা হারালেও একসময় এই স্কুল রমরম করে চলতো। আসলে বিগত সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষানীতি, প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি উঠিয়ে দেওয়া এবং বর্তমানে শিক্ষায় ইংরেজির গুরুত্ব ,সব কিছু ধরে দেখা যাবে এখনকার অভিভাকরা চাইছেন ছেলেমেয়েরা ইংরেজি ভালো করে শিখুক। তাই তারা বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে (School) ভর্তি করাতে চান। সেই জন্যই এই ধরণের বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলি ডুবছে। দুঃখের বিষয় যাঁরা শিক্ষক হওয়ার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন তাঁরাই আবার তাঁদের উত্তরসূরি দের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দিচ্ছেন। কি আর হবে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ‘‘একমাত্র বিপরীত লিঙ্গেই সম্ভব’’, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানকেই সমর্থন সঙ্ঘের

    RSS: ‘‘একমাত্র বিপরীত লিঙ্গেই সম্ভব’’, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানকেই সমর্থন সঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ শুধুমাত্র দুটি বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যেই সম্পন্ন হতে পারে, মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে সমলিঙ্গের বিবাহ বিতর্কে কেন্দ্রের মোদি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে এভাবেই সিলমোহর দিল সঙ্ঘ (RSS)।  প্রসঙ্গত হরিয়ানার পানিপথে ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রতিনিধি বৈঠক। আজ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন এই সঙ্ঘ (RSS) নেতা। 

    কী বললেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে 

    মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, সঙ্ঘ সমলিঙ্গের বিবাহের বিষয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছে। আমরা মনে করি যে বিবাহ শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যেই হতে পারে।

    সমলিঙ্গের বিবাহ বিষয়ে কেন্দ্র কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে

    সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, সমলিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক ভারতের প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী। গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টে  দায়ের করা হলফনামায় একথা সাফ জানিয়েছে কেন্দ্র। ওই হলফনামা অনুযায়ী, ভারতীয়রা পরিবার বলতে বোঝেন স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তানকে। স্বামী-স্ত্রী বলতে একজন জৈবিক পুরুষ ও একজন জৈবিক নারীকেই বিবেচনা করা হয়। তাঁদের মধ্যে মিলনের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে জৈবিক পুরুষ বাবা হিসেবে এবং জৈবিক মহিলা মা হিসেবে লালন-পালন করেন

    কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে কিছু আইনি জটিলতাও সৃষ্টি হবে। বর্তমানে ভারতে ব্যক্তিগত এবং বিধিবদ্ধ আইনে নিষিদ্ধ সম্পর্ক, বিয়ের শর্ত, আনুষ্ঠানিকতা এবং আচারের প্রয়োজনীয়তা গার্হস্থ্য হিংসার মতো বিষয়ে যে বিধানগুলি রয়েছে, সমকামী বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেলে সেগুলি লঙ্ঘন হতে পারে। কারণ বিয়ে শুধু নারী-পুরুষের মধ্যেই হয়, এমনটা ধরেই বিধানগুলি তৈরি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা দেশকে যারা কারাগার বানিয়েছিল, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না’’, রাহুলকে কটাক্ষ সঙ্ঘের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ‘‘গোটা দেশকে যারা কারাগার বানিয়েছিল, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না’’, রাহুলকে কটাক্ষ সঙ্ঘের

    RSS: ‘‘গোটা দেশকে যারা কারাগার বানিয়েছিল, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না’’, রাহুলকে কটাক্ষ সঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, লণ্ডনে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে একহাত নিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবালে। পানিপথে শুরু হওয়া সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রতিনিধি বৈঠকের তৃতীয় দিনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সঙ্ঘ নেতা বলেন, রাহুল গান্ধীকে আরও দায়িত্বের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

    কী বললেন সঙ্ঘের সরকার্যবাহ

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দত্তাত্রেয় হোসাবালে বলেন, রাহুল গান্ধী একজন রাজনীতিবিদ। তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক এজেণ্ডা রয়েছে, তবে দেশ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার সময় তাঁর আরও দায়িত্বের সঙ্গে কথা বলা উচিত। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই রাহুল গান্ধী কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জজ বিজনেস স্কুলে তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, দেশে গণতন্ত্র আক্রান্ত।
      
    এদিন গান্ধী নেহেরু পরিবারকেও একহাত নেন এই সঙ্ঘ নেতা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কংগ্রেসের ক্ষমতাশীল গান্ধী পরিবারের অনৈতিক পদক্ষেপগুলিকেও এপ্রসঙ্গে টানেন তিনি। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর পারিবারিক পূর্বসূরীরা সঙ্ঘের (RSS) বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ সব সত্যই জানেন।

    জরুরি অবস্থার সময় গোটা দেশকে যারা কারাগার বানিয়েছিল, তাদের মুখে গণতন্ত্র হত্যার কাহিনী মানায় না 

    প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেসময় বিরোধী সমস্ত নেতাকেই গ্রেফতার করা হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, জরুরি অবস্থার সময় আমি নিজেও জেলে ছিলাম। যাঁরা সেদিন দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিলেন, তাঁদের মুখে অন্তত গণতন্ত্র হত্যার কথা মানায় না। এই কৃতকর্মের জন্য রাহুল গান্ধী বা তাঁর পূর্বসূরীরা কখনও ক্ষমাও চাননি বলে উল্লেখ করেন এই সঙ্ঘ নেতা। তাঁর আরও সংযোজন, সারা দেশেই নির্বাচন হচ্ছে, তাহলে রাহুল গান্ধী কীভাবে বলতে পারেন গণতন্ত্র আক্রান্ত?  এহেন ব্যক্তিদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় কিনা সে সিদ্ধান্ত দেশের মানুষকেই নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Satish Kaushik:সতীশ কৌশিকের মৃত্যু অস্বাভাবিক! কী বললেন অভিনেতার স্ত্রী?

    Satish Kaushik:সতীশ কৌশিকের মৃত্যু অস্বাভাবিক! কী বললেন অভিনেতার স্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik)। মৃত্যুর আগে যে ফার্মহাউসে হোলি পার্টিতে ছিলেন অভিনেতা, সেই ফার্মহাউসের মালিকের স্ত্রী গত শনিবার জানিয়েছিলেন, অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর স্বামী বিকাশ মালু জড়িত। এমনটাও জানা গেছিল টাকা লেনদেনের ব্যাপার জড়িত আছে এই মৃত্যুর সঙ্গে। ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, বিকাশের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা পেতেন সতীশ কৌশিক। তবে এবার সব জল্পনার অবসান ঘটালেন সতীশ কৌশিকের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর নীরব ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গেছেন। অবশেষে শোক সামলে উঠে সতীশের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক সম্পর্কে মুখ খুললেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রধানমন্ত্রী সঠিক মানুষ চেনেন, আরআরআর-এর অস্কার জয়ই প্রমাণ’’, কেন এ কথা বললেন পীযুষ?

    সতীশের বন্ধু বিকাশ মালুর স্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন!

    সতীশ কৌশিকের স্ত্রী শশী  জানান, ব্যাবসায়ী বিকাশ মালুর দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে টাকা লেনদেনের কোনও যোগ নেই। পাশাপাশি তিনি এও জানান, সতীশ কৌশিক ও বিকাশ মালু ভাল বন্ধু ছিলেন। ব্যবসায়ী বিকাশ মালু এমনিই ধনী ব্যক্তি। সতীশের থেকে টাকা নেওয়ার তার দরকার পড়ত না।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, অভিনেতার হার্টে ৯৮ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। রক্তে শর্করার মাত্রাও বেশি ছিল। শরীরে কোনও ড্রাগের নমুনা পাওয়া যায়নি। তাহলে কেন এই মৃত্যুকে মার্ডার বলছেন, বিকাশ মালুর স্ত্রী?

    শশী জানান, ‘হয়তো তিনি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিতে চান। সেকারণে এই সব রটাচ্ছেন।’ পাশাপাশি সতীশের স্ত্রী জানান, ডাক্তারি রিপোর্ট, পুলিশের তদন্তের পর, তাঁর স্বামীর মৃত্যু নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই বিষয়ে তিনি আর তদন্ত চান না।

    আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার বিয়ে, শনিবারে ছিল বৌভাত! কোর্টের নির্দেশে শুক্রবারই চাকরি গেল যুবকের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। রাইখোর মাছের (Fish) জন্য বহু সুখ্যাতি ছিল এই নদীর। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার বড় আধার ছিল এই মাছ। কারণ, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই তাঁরা প্রচুর পরিমাণে রাইখোর মাছ (Fish) বাজারে নিয়ে যেতে পারতেন। বিক্রি করে ভালো টাকা মুনাফা হত। কয়েক বছর আগে বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেবকাছারি বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে রাইখোর মাছ (Fish) দেখা যেত। আমদানিও ভালো ছিল। শুধু জেলাবাসী নয় ভিন জেলার মানুষের চাহিদার জোগান দিত এই নদী। এক সময় এই রাইখোর মাছ (Fish) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। যদিও এখন তা ইতিহাস। আত্রেয়ীর ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলায় রাইখোর মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আত্রেয়ী নদী, যার ফলে রাইখোর মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যপ্রেমীরা। ধীরে ধীরে বালুরঘাটের বাজার গুলিতে আর সেইভাবে দেখা মিলছে না রাইখোর মাছের।

    আত্রেয়ী থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে রাইখোর মাছ? Fish

    বর্ষার পর আত্রেয়ী নদীর জল ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে, কিছু কিছু জায়গায় নদীতে জল প্রায় শুকিয়ে যায়। এছাড়া একসময় এই নদীর গতিপথে প্রচুর বিলের সঙ্গে সংযোগ ছিল। বিলগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। আর নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে, জেলার পরিবেশপ্রেমীরা আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগে বেশ কয়েকবার আত্রেয়ী নদীতে মাছের চারাও ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলেন, আগের নৌকা নদীতে নামালেই ঝুড়ি ভর্তি করে রাইখোর মাছ (Fish) পেতাম। এখন সারাদিন নৌকা নিয়ে নদীতে চষে বেড়ালেও এই মাছ (Fish) পাই না। অথচ এখন এই মাছের বিশাল চাহিদা। বাজারে ৫০০ টাকা কেজি। নদীতে এই মাছের (Fish) যোগান থাকলে খুব ভাল হত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভাল হয়।

    জেলা মৎস্য দপ্তরে আধিকারিক  অভিজিৎ সরকার বলেন, রাইখোর মাছ (Fish) মৃদু বাহিত জলে  ডিম পাড়ে। এরজন্য আত্রেয়ী নদীর তীরে যেখানে ঘাস জাতীয় উদ্ভিত থাকে, সেখানে ডিম পারে। কিন্তু, আত্রেয়ী নদী তীরে দূষনের কারণে রাইখোর মাছ আর ডিম পাড়তে পারে না। রাইখোর যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেজন্য কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হলেও আত্রেয়ী নদীর মাছের মত তার স্বাদ নেই। পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, রাইখোর মাছ আমাদের অহংকার ছিল। জেলায় রূপালি মাছ বলে পরিচিত ছিল। বাবা-ঠাকুরদা কাছে শুনেছি, দুর্গা পূজার পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ (Fish) এত যোগান হত যে নদীর জলের রঙ বোঝা যেত না। এখন এই মাছ নদীতে বিলুপ্ত। পুকুরে চাষ করা মাছের সেই স্বাদ নেই। আসলে বাংলাদেশের আত্রাই নদীর সঙ্গে আমাদের আত্রেয়ী নদী সংযোগ রয়েছে। এতে নদীর প্রবহমান ছিল। কিন্তু, বর্তমানে নদীর প্রবহমান বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Examination 2023: মোবাইল-সহ ধরা পড়লেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল! কড়া নজরদারিতে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক

    HS Examination 2023: মোবাইল-সহ ধরা পড়লেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল! কড়া নজরদারিতে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে যায় এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রতিদিন পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এবারের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রেও মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট রুখতে বেনজির নজরদারি এই বছর। হলে মোবাইল-সহ ধরা পড়লে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে। অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

    কঠোর নিরাপত্তা

    কোনওভাবেই যাতে পরীক্ষাহলে কোনওরকম টোকাটুকি না হয় বা প্রশ্নপত্র যাতে ফাঁস না হয়, তার জন্য কঠোরভাবে নজরদারি চলবে সংসদের। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে চলবে পরীক্ষা। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। মোট ৮ লক্ষ ৫২ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। গতবারের চেয়ে বেড়েছে এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। গতবারের চেয়ে ৭ হাজার বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে এবার। ১৪ মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।  ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা এবার বেশি। ২৩ টি জেলাতেই মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের থেকে বেশি। 

    রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের ব্যবহার

    এবার পরীক্ষার মেন ভেন্যু ৮৩৫টি। এরমধ্যে ২০৬ টি সেনসেটিভ ভেন্যু হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৯। স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিংয়ের পরই ভিতরে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে থাকছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর। কারও কাছে এরকম কোনও ডিভাইস থাকলে বিপ শব্দে তা জানান দেবে এই ডিটেক্টর। ইতিমধ্যেই সংসদের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কক্ষ থেকে বাইরে বেরোতে পারবেন না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরএফডি বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের ব্যবহার এই প্রথম।  অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে এই যন্ত্র। পুরো সেন্টারে যদি একটিও মোবাইল ফোন থাকে তাহলেও এই আরএফডি যন্ত্র জানান দেবে কোথায় আছে মোবাইল বা বৈদ্যুতিন কোনও যন্ত্র। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে মোবাইল সম্পূর্ণ রূপে রোখা যায় , তার জন্যই এই ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভেন্যু সুপারভাইজার, সেন্টার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি ছাড়া আর কোনও শিক্ষাকর্মীও ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। 

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রধানমন্ত্রী সঠিক মানুষ চেনেন, আরআরআর-এর অস্কার জয়ই প্রমাণ’’, কেন এ কথা বললেন পীযুষ?

    ট্রেন পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ

    পরীক্ষার সময়ে ট্রেন পরিষেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে পরীক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত ট্রেন পরিষেবা পায় সেকারণে আগেরদিনই রেলকে চিঠি দিয়েছে নবান্ন। কারণ একাধিক জায়গায় ট্রেন লাইনে কাজ হওয়ার কারণে ট্রেন পরিষেবা ব্যহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা শাসকের নির্দেশে নবান্নের তরফে রেলকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে সেই সঙ্গে সব জেলা শাসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পরকীক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adenovirus: অ্যাডিনোতে শিশুমৃত্যু অব্যাহত, গঠিত টাস্ক ফোর্স, ডেথ অডিট করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

    Adenovirus: অ্যাডিনোতে শিশুমৃত্যু অব্যাহত, গঠিত টাস্ক ফোর্স, ডেথ অডিট করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শিশুমৃত্যুও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে এবার শিশু মৃত্যুর কারণ খুঁজতে ‘ডেথ অডিট’ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।  সূত্রের খবর, বেসরকারি মতে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৪৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি মতে ১৯ জনের মৃত্যু, আর ১২ হাজার ৩৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। এই ১৯ জনের মধ্যেই ১৩ জনেরই কোমর্বিডিটি ছিল।

    শিশুমৃত্যুর সংখ্যা

    শিশুদের শ্বাসনালীতে সংক্রমণ (অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই) চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। গত সপ্তাহে শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৮০০ শিশুকে। যদিও চলতি সপ্তাহে সেই সংখ্যা কমেছে। এখন রোজ হাসপাতালে শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি করানো হচ্ছে ৬০০ জনকে। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনই অন্য অসুখে আক্রান্ত ছিল। জন্মের সময় ওজন কম ছিল ৩ জনের। ২ জনের ফুসফুসে সমস্যা ছিল সংক্রমণের আগে থেকেই। মৃতদের মধ্যে ৩ জনের হার্টের সমস্যা ছিল। জিনগত সমস্যা ছিল ২টি শিশুর। ২ জনের পেশির সমস্যা এবং ১টি শিশুর অন্য জটিল সমস্যা ছিল।

    ডেথ অডিট

    রাজ্যের এই পরিস্থিততে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার মতই শিশু মৃত্যুর দৈনিক বুলেটিন প্রকাশ করবে স্বাস্থ্যভবন। বেসরকারি হাসপাতালের জন্যেও প্রোটোকল তৈরির সিদ্ধান্ত সরকারের। অ্যাডিনো ভাইরাস টেস্টের খরচও কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অ্যাডিনো সংক্রমণ, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেসের ক্ষেত্রেও করা হবে ডেথ অডিট। সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিল ৮ সদস্যর টাস্ক ফোর্স। বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রোটোকল তৈরি করবে রাজ্য সরকার। আজই বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করবে সরকার।

    টাস্ক ফোর্স

    এআরআই মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার। সেই টাস্ক ফোর্সের মাথায় রয়েছেন মুখ্যসচিব। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি ওই টাস্ক ফোর্স প্রতিদিন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। ১৩ মার্চ প্রথম বার বৈঠকে বসেছিল টাস্ক ফোর্স। সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পদক্ষেপগুলো কী কী দেখে নিন-

    ১) বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।   

    ২) এআরআই নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজে সাহায্য করবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিশিয়ানস (আইএপি)।

    ৩) সাধারণ মানুষকে সচেতন এবং শিশুদের প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের।

    ৪)  সরকারি পোর্টাল এবং সমাজমাধ্যমের দ্বারাও সাধারণ মানুষকে এআরআই নিয়ে সচেতন করা হবে।

    ৫) বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ শিশুদের খোঁজ নেবেন আশাকর্মীরা, যাতে প্রাথমিক স্তরেই সংক্রমণ নির্ণয় করা যায়।     

    ৬) হাসপাতালে সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ দেখবেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা।

    ৭) বেসরকারি হাসপাতালেও নজর দেওয়া হবে। নিয়ম মেনে সেখানে চিকিৎসা হচ্ছে কি না, তা-ও দেখা হবে।     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ২১টি নতুন ইমোজি, জানুন বিস্তারিত

    WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ২১টি নতুন ইমোজি, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্ক জুকেরবার্গের মেটা অধীকৃত হোয়াটসঅ্যাপে  আরও একটি নতুন ফিচার (WhatsApp New Feature) যোগ হতে চলেছে। জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপে ২১টি নতুন ইমোজি দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা। আর তা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যই প্রাথমিক অবস্থায় উপলব্ধ হবে। পরবর্তীকালে অবশ্যই আইওএস প্ল্যাটফর্মে আসবে। কিন্তু এই ফিচার আপডেট ঠিক কবে অ্যাপল আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আসবে, সে নিয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই।

    নিজেদের মনের ভাব হোক বা অনুভূতি ইমোজি তো সবসময়ই ব্যবহার করি আমরা

    মেসেজ হোক কিংবা রিপ্লাই বা কারও কোনও পোস্ট অথবা স্টেটাস আপডেটে রিঅ্যাক্ট করা কম-বেশি আমরা সবাই ইমোজি ব্যবহার করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রেই ইমোজি সেই ভাষা, আবেগ কিংবা অনুভূতির জানান দিতে পারে, যা অনেক সময় ভাষাতেও বোঝানো যায় না। সেই কারণে ইমোজির এত জনপ্রিয়তা  সারা বিশ্বে। এই ইমোজি পাঠানোর ক্ষেত্রে  অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে সেই সুবিধাও রয়েছে, নিজের ইচ্ছে মতো কাস্টোমাইজ করে যে কোনও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ইউজ করার। অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপ ইউজ করে ইমোজি রিপ্লাই বা রিঅ্যাক্ট দেন। আইওএস প্ল্যাটফর্মে সেই অপশন অনেকটাই সীমিত। 

    কী বলছে হোয়াটসঅ্যাপ টিম

    হোয়াটসঅ্যাপ টিম জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ নতুন ফিচার (WhatsApp New Feature) নিয়ে আসছে। এবার থেকে আর আলাদা কিবোর্ড ইউজ করতে হবে না ইমোজি মেসেজ পাঠানোর জন্য। হোয়াটসঅ্যাপ কিবোর্ড থেকেই ২১টি ইমোজি পাঠাতে পারবেন। আপাতত এই ফিচার হোয়াটসঅ্যাপ বিটা ভার্সনের জন্য উপলব্ধ। যেহেতু এটি ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আছে, তাই সমস্ত বিটা টেস্টার কিংবা ইউজারদের জন্য উপলব্ধ নেই। হোয়াটসঅ্যাপ নতুন আপডেট পাঠাচ্ছে। ইউনিকোড আপডেট যাঁরা পাবেন, তাঁরাই এই ২১টি নতুন ইমোজি ব্যবহার করতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ কিবোর্ড থেকে। এর আগের আপডেটে সংশ্লিষ্ট বিটা ইউজাররা ইমোজি পেলেও, তা কিবোর্ড দেখা যাচ্ছিল, কিন্তু পাঠানো যাচ্ছিল না। তবে এবার সরাসরি পাঠানো যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের! কৃষকদের হয়ে সওয়াল শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের! কৃষকদের হয়ে সওয়াল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলুর বন্ড বিলি ঘিরে আলুচাষিদের (Potato Farmer) বিক্ষোভের ঘটনা বিধানসভা চত্বরে তুলল বিজেপি। বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বিজেপির সোনামূখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামীর ক্ষেতের আলু নিয়ে এই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আলু চাষিরা বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতিতে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। আমরা বিধানসভায় আজ এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। কিন্তু তার উত্তর সন্তোষজনক নয়। আমরা চাই সরকার যে এমএসপি ঘোষণা করেছে সেই এমএসপি মূল্যে আলু ক্রয় করতে হবে। এই বছরের শর্টটার্মের কৃষি ঋণ রাজ্য সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে।” বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আলু চাষিরা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি, ফলনে যে খরচা হচ্ছে সেই খরচায় তাঁদের পোশাচ্ছে না। আরও বেশি দাম আশা করেন তাঁরা। এমনকী সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কয়েকদিন আগে হুগলিতেও বড় মাপের বিক্ষোভ হয়েছিল।

    আরও পড়ুন:শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, শর্তসাপেক্ষে মিলল আদালতের অনুমতি

    চা-বাগান নিয়েও সওয়াল

    সোমবার বিধানসভার কৃষকদের অধিকারের দাবিতে বিধানসভার ভিতরে এবং পরে বিধানসভার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিধায়কেরা। সেই বিক্ষোভে শুভেন্দু-সহ বিজেপির সমস্ত বিধায়কই হাজির হন হাতে আলু এবং গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে। শাসককে ধিক্কার জানিয়ে বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘‘এই সরকার শুধু চোর ডাকাতদের হাত মজবুত করতে জানে, কৃষকদের স্বার্থের কথা বললেই মুখে কুলুপ দেয়।’’ আলুচাষিদের পাশাপাশি শুভেন্দুদের (Suvendu Adhikari) বিক্ষোভে উঠে আসে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান এবং জঙ্গল কেটে আবাসন নির্মাণের প্রসঙ্গও।  শুভেন্দু বলেন, ‘‘জঙ্গল কেটে উষ্ণায়ন বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা জঙ্গল কাটছেন, তাঁরা সরকারের তহবিল ভরছেন বলে তাঁদের কিছু বলা হচ্ছে না।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share