Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস থেকে লাগাতার নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে আসায় মুখ পুড়েছে রাজ্যের। শুক্রবার গ্ৰুপ সি-র চাকরি বাতিলের তালিকা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। কারণ এই ৮৪২ জনের বাতিল হওয়া তালিকায় জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শাসক দলের একের পর এক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের সদস্যের নাম। কারা নেই সেখানে, রাজ্যের মন্ত্রীর ভাই থেকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়কের মেয়ে, জামাই, ভাইঝি ইত্যাদি।

    কোন জায়গায় শাসকদলের কোন কোন পরিজনরা চাকরি হারালেন…

    মিনাখা

    সূত্রের খবর, গ্রুপ সি-র চাকরি পেয়েছিলেন মিনাখার তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার তাঁর চাকরি গেল। ওএমআর শিটে ৬০টি প্রশ্নের মধ্যে ৫৮টির জবাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ওই ৫৮টির মধ্যে মাত্র চারটি ঠিক উত্তর ছিল, বাকি সব ভুল। বেলঘরিয়া নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি-র কর্মী ছিলেন বিনতা। আরও জানা গিয়েছে, ডিএ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি স্কুলেও গিয়েছিলেন বিনতা (Recruitment Scam) ।

    উত্তর দিনাজপুর

    ভুয়ো চাকরির তালিকায় এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শচীন সিংহ রায়ের ভাইপো ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলের নাম উঠে এসেছে। কালিয়াগঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শচীন সিংহ রায়। পার্শ্ববর্তী বাড়ি তাঁর দাদা প্রয়াত তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ রায়। অর্জুন সিংহ রায়ের পুত্রই হলেন শুভাশিস সিংহ রায়। তবে শচীন তাঁর ভাইপোর এই চাকরি হারানোর বিষয়ে কোন দায় নিতে চাননি।

    অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলে অলোক কুমার রায়। অলোক গ্রুপ সি পদে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী হাই স্কুলে কাজ করেছিলেন। তবে বসন্ত রায়ের কথায়, “চাকরি নিয়ে কেস হতে পারে শুনে ছয় মাস আগেই চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছে আমার ছেলে।  ওই জঙ্গলের মধ্যে ছেলের মন টিকছিল না।”

    আবার ইটাহারের ছয়ঘড়া হাইস্কুলের গ্রুপ সি পদে কর্মরত ছিলেন সামসুর রহমান। তিনি হেমতাবাদ ব্লকের যুব তৃণমূল সহ সভাপতি এবং হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। ফলে সামসুরও চাকরি হারিয়েছেন (Recruitment Scam) ।

    হুগলি

    হুগলির ধনিয়াখালী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্পিতা বারিকের কন্যা রণিতা বারিক। অন্যদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ধনিয়াখালী বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের বোনঝি রণিত বারিক। রণিতার নামও রয়েছে এই তালিকায়।

    দুর্গাপুর

    দুর্গাপুরের আইএনটিটিইউসির-সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ-সির চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল সে। এরপর দুর্গাপুর প্রোজেক্টস্ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে চাকরি পায় সে। ছেলের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে সমীরবাবুকে প্রশ্ন করা হলে উল্টে তিনি বলেন, “আমি কখনোই চাইনি আমার ছেলে এই চাকরি করুক।” আবার চাকরি হারানো নিয়ে শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমীরবাবু। তিনি বলেন, “দল করাটাই এতদিন ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শিক্ষা দফতর তো সব দেখে শুনেই চাকরি দিয়েছিল। আজ সরকার এদের পাশে দাঁড়াবে না? বেকার ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করা হল এই সরকারের আমলে (Recruitment Scam) ।”

    আমতা

    এবারে আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে আমতার পঞ্চায়েত প্রধানের। জানা গিয়েছে, আমতা বিধানসভার সাবসীট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন শেখ সাদ্দাম হোসেন। তাঁর নামও ছিল এই তালিকায়।

    মালদা

    হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গেল মালদহের তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস, শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের রায়ে (Recruitment Scam)।

  • UGC: দরকার নেই পিএইচডি-র, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে নেট উত্তীর্ণ হলেই হবে, জানাল ইউজিসি 

    UGC: দরকার নেই পিএইচডি-র, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে নেট উত্তীর্ণ হলেই হবে, জানাল ইউজিসি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য ডক্টর অফ ফিলোজফি বা পিএইচডি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়, একথা জানালেন ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশনের (ইউজিসি) (UGC) চেয়ারপার্সন এম জগদীশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, এ বার থেকে শুধু ন্যাশানাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা নেট পাশ করলেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি মিলবে।

    আরও পড়ুন: পূর্ব সিকিমে তুষারপাতে আটকে ছিলেন ৪০০ পর্যটক, উদ্ধার করে গ্যাংটকে পাঠাল সেনা

    হায়দ্রাবাদে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে একথা বলেন ইউজিসি-র (UGC) চেয়ারম্যান

    হায়দরাবাদে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ইউজিসি (UGC)-এইচআরডিসি ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জগদীশ কুমার। সেখানেই তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপকদের নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রিকে আর বাধ্যতামূলক থাকছে না।

    আরও পড়ুন: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    ইউজিসির এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কী

    দেশের নানা প্রান্তে অনেক যোগ্য প্রার্থীরা রয়েছেন যাঁরা পিএইচডি ডিগ্রি না পাওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে পারছেন না। তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান জগদীশ কুমার। তাঁর আরও সংযোজন, এক দেশ-এক তথ্য সম্বলিত একটি পোর্টাল খুলছে ইউজিসি (UGC)। সেখান থেকে তাদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদেরও শিক্ষার পাঠ দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: সিলিকন ভ্যালির পর এবার দেউলিয়া সিগনেচার ব্যাঙ্ক! কী বললেন জো বাইডেন?

    প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপকের পদে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা হিসাবে পিএইচডি ডিগ্রির উল্লেখ করেছিল ইউজিসি (UGC)। পরবর্তীকালে কেন্দ্র সেই নির্দেশিকায় সংশোধন করে। নির্দেশিকাটি ২০২১ সাল থেকেই প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। তত দিন নেটের ফলাফলের মাধ্যমেই নিয়োগ হচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কিং সঙ্কট আমেরিকাতে! দেউলিয়া সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক, ভারতে এর প্রভাব কী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত বেসুরো হয়ে পড়ছে শাসক দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী। প্রকাশ্যেই পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে বেলঘরিয়ায় প্রকাশ্য জনসভায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। পুলিশ (Police)  তৃণমূলের কথা শুনছে না, বিজেপি-সিপিএমের হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য রাখার দুদিনের মধ্যে ফের রাজ্যের এক মন্ত্রী পুলিশকে হুমকি দিলেন। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঝিকরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। মেমারি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের বাড়ির কাছেই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশকে (Police)  হুমকি দেন। এমনকী মেমারি থানা ঘেরাওয়ের তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যে বা যারা মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালমন্দ করে অপদস্ত করছে। আইনের চোখে তারা অপরাধ করছে। পুলিশ (Police)  তাদের গ্রেফতার করে নেবে, আমি বলে রাখছি। পুলিশ (Police)  কি করবে তার ব্যাপার। পুলিশকে বুঝতে হবে কারা অফিসিয়াল দল। আশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না। পুলিশ (Police)  কি নাবালক নাকি, পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এসব ভণ্ডামি আমি শুনবো না। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাধারণ মানুষ আমার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। আমি বুঝে নেব। আমার চিন্তা পুলিশকে (Police)  করতে হবে না। পুলিশকে দক্ষ প্রশাসনের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা অফিসিয়াল। তিন মাস আগে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ কিছু জানে না এটা হতে পারে না। আমি এসপিকে তেল লাগাতে যাব না। এসপি আমার গুরুদেব নয়। এখন এসপি, ডিএসপি দেখানো হচ্ছে। এরপর তিনি হুমকির সুরে বলেন, আজ পুলিশকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম। পুলিশ যদি ঠিক মতো কাজ না করে মেমারি থানার বড়বাবুকে ঘোরাও করে রাখব। থানা থেকে বের হতে দেব না বলে তিনি হুমকি দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তাই, দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলেই পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাঁরা সরাসরি আঙুল তুলছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এত ক্ষোভ কেন? Police

    মেমারি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন মহম্মদ ইসমাইল। পাশাপাশি তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। মাস ছয়েক আগে তাঁকে সরিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুগামী একজনকে নতুন সভাপতি করা হয়। তিন মাস আগে ব্লক কমিটি গঠিত হয়। সেখানেও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের ঠাঁই হয়। গত দুমাস ধরে মন্ত্রী নিজের বিধানসভায় সভা করতে গেলেই দলের একাংশ তাঁকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এসবই মহম্মদ ইসমাইল ও তাঁর অনুগামীরা করাচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের (Police) কাছে বলার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। দলের অফিসিয়াল ব্লক কমিটিকে পুলিশ (Police) পাত্তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে, দলের মধ্যে কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এলাকায় নিজের দাপট এবং নতুন কমিটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই পুলিশের (Police)  বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, আমি তো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করিনি। তিনি আসলে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই এসব বলছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IndiGo: দিল্লি থেকে দোহাগামী ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ পাকিস্তানের করাচিতে, কেন জানেন?

    IndiGo: দিল্লি থেকে দোহাগামী ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ পাকিস্তানের করাচিতে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে দোহার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগোর  বিমান A320-271N। বিপত্তি ঘটল হঠাৎই মাঝ আকাশে, বসে থাকতে থাকতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে যায় বিমানের ভিতরে। তারপর পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। কিন্তু চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে পরীক্ষা করে জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: মার্চেই ভারত থেকে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে! আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন উদ্বোধনে মোদি-হাসিনা

    যাত্রীর পরিচয়

    যাত্রী সম্পর্কে এখনও অবধি বেশি কিছু জানা যায়নি। সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ওই যাত্রী একজন নাইজেরিয়ার নাগরিক। তাঁর নাম আব্দুল্লাহ (৬০)। দিল্লি থেকে ইন্ডিগো (IndiGo) এয়ারলাইনের একটি বিমানে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি। বিমানকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই করাচি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। করাচি বিমানবন্দরে বিমানটির জরুরি অবতরণের অনুমতি চান ক্যাপ্টেন। সেই বিষয়ে সবুজ সংকেত মিলতেই বিমান অবতরণ করানো হয় করাচিতে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন চিকিৎসকদের দল। কিন্তু আব্দুল্লাহকে দেখেই তাঁরা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরা ‘নাটু নাটু’

    শোক প্রকাশ করল ইন্ডিগো (IndiGo) কর্তৃপক্ষ

    ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছে ইন্ডিগো (IndiGo) এয়ারলাইন। ‘আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। আমাদের শুভেচ্ছা এবং প্রার্থনা ওঁর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমরা বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের যত দ্রুত সম্ভব স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করছি,’ জানিয়েছে সংস্থাটি।

    আরও পড়ুন: শুধু চাকরি বিক্রি নয়, বদলির সুপারিশপত্রও মানিককে পাঠাতেন শান্তনু! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    আরও পড়ুন: কালিকাপুর স্টেশনের নাম হল কবি সুকান্ত, কবে থেকে ছুটবে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Vivek Agnihotri: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    Vivek Agnihotri: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকে আঙুল তুললেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। রবিবার কলকাতা মিউজিয়ামে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিবেক। সেখানেই তিনি বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি ভয়ংকর।  এরাজ্যে শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে, আমি নিজে তার সাক্ষী।” একইসঙ্গে বিবেকের (Vivek Agnihotri) দাবি, তিনি বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন প্রথম থেকেই। জেল পর্যন্ত গিয়েছেন তিনি। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁর অন্য উপলব্ধি হয়। বিবেকের কথায়, “আমি নিজে একজন বামপন্থী ছিলাম। জেলেও গিয়েছি। পরে বুঝেছি এটা একটা বিনাশের রাস্তা।”

    কী বললেন বিবেক

    এদিন বিবেক (Vivek Agnihotri) বলেন, “বাংলা থেকে বিপজ্জনক ছবি উঠে আসছে। এখনই না রুখে দিলে বাংলা কাশ্মীর হতে বেশি সময় লাগবে না।” তিনি ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অনুপম খের, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং ড: স্বপন দাশগুপ্ত।  বিবেকের কথায়, রাজ্যে এখন দুর্নীতি, গোষ্ঠী হিংসা, সস্তা ডায়লগ আর চামচাগিরিতে ভরে গিয়েছে। বিবেক বলেন, ‘আমাকে একবার আমার মা বলেছিলেন, যদি এমন মানুষদের দেখতে চাও যারা দেশ বদলাতে পারে, তাহলে বাংলায় যাও। কিন্তু আমার শুধু মনে আছে, বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম ছবির জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছিল আমাকে’। তিনি বলেন, ‘বাংলায় অনেক মিনি কাশ্মীর তৈরি হয়েছে এখন। বাংলা কাশ্মীরে পরিণত হওয়ার আগে বাংলার কাহিনি আমি জনতার সামনে আনতে চাই। বাংলার রাজনীতির অধঃপতন দেখানোর জন্য একটি ছবি বানাতে চাই আমি’। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরাও করা যায় না এখানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসা রুখতে ব্যর্থ।

    আরও পড়ুন: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরার শিরোপা পেল ‘নাটু নাটু’

    বাংলা নিয়ে ছবি

    বিজেপি নেতারা প্রায়শই অভিযোগ করে থাকেন, পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের ডেরায় পরিণত হচ্ছে। প্রায় সেই ভাষাতেই কথা বললেন বিবেক (Vivek Agnihotri)। শোনা যাচ্ছে তিনি আরও একটি ছবিও তৈরি করবেন। সেখানে থাকবে বাংলার পরিস্থিতি ও ১৯৪৬ এর রাজনৈতিক বাতাবরণ। বিবেকের ওই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা আগেই দাবি তুলেছিলাম বেঙ্গল ফাইলসও তৈরি হোক। কাটরা মসজিদ নিয়ে রাজ্যে কী পরিস্থিতি হয়েছিল তা আমরা জানি। শীতলকুচি ও দিনহাটার কথা মানুষ জেনে গিয়েছে। এরকম বহু জায়গা রাজ্যে রয়েছে। সেসব নিয়ে কথা উঠছে। কমিউনিস্ট আর টিএমসি ছাড়া বাংলার বদনাম আর কে করেছে? এখন কাশ্মীরকে শান্ত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবাংলা সেই মোদির হাতেই শান্ত হবে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশ রাজ্যে শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। শুক্রবারই গ্রুপ সি পদে আদালতের নির্দেশে নতুন করে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিলের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও রয়েছে। এরইমধ্যে ভুয়ো নথি নিয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়ল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তরে এই ধরনের দুর্নীতির (Scam) ঘটনা ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আধিকারিকরা তার কাছে থাকা নিয়োগপত্র দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর নিয়োগপত্রটি জমা দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি বলেন। নিয়োগপত্র দেখেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এভাবে একজনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। আমি চারিদিকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এই ধরনের কাউকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাঠানো হয়নি। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক হাসপাতালে এসেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

    কে দিল ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র? Scam

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিল ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোক্তার আলি। তার বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায়। মোক্তারকে হাসপাতালে বসিয়ে রেখে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে স্পিড পোস্টে তার কাছে নিয়োগপত্রটি এসেছিল। তবে, এই নিয়োগপত্রের বিনিময়ে সে কত টাকা দিয়েছে তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেনি।  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। এই বিষয়টি সকলের জানা দরকার। একটি চক্র রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে এভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। অনেকে তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়। তবে, এই হাসপাতালে এই ধরনের কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানা নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত যুবককে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ২০২৪ সালেই চালু গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো! কী বলছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড?

    Kolkata Metro: ২০২৪ সালেই চালু গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো! কী বলছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো (ভায়া রাজারহাট) মেট্রো (Kolkata Metro) করিডরের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণের কাজ শুরু করল রেল। রেলের আধিকারিকদের আশা, চলতি বছরের মধ্যেই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’-র টানেলের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে সিটি সেন্টার টু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশ।

    অন্যান্য মেট্রোর (Kolkata Metro) মতো নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের বেশিরভাগটাই মাটির নীচে নেই, মাত্র ৮০০ মিটার মাটির নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। মাটির উপর মোট ২৪ টি স্টেশন থাকবে। ওই অংশের জন্যই কাজ শুরু করেছে রেল। রেল সূত্রে জানা গেছে, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণের জন্য ‘টানেল বোরিং মেশিন’ ব্যবহার করা হবে না। যা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ব্যবহৃত হয়েছে। বরং ‘কাট অ্যান্ড কভার টানেলিং’-র মাধ্যমে ওই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণ করা হবে।

    কতদিন লাগবে প্রকল্প শেষ হতে

    নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনের দাবি, চলতি বছরের অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে টানেলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে অ্যাফকন কর্তাদের আশা। অর্থাৎ চলতি বছরের মধ্যেই ওই ৮০০ মিটার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের মধ্যে সিটি সেন্টার টু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশ (৩.৫ কিলোমিটার) তৈরি হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো (Kolkata Metro) ইস্যুতে বৈঠক নবান্নে, উচ্চমাধ্যমিকের পর কাজ শুরু হবে

    অন্যদিকে নবান্নে এই প্রকল্প নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গেল। জানা গেছে, ইএম বাইপাসের একাংশ বন্ধ করতে না-পারার কারণে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছিল। এই সমস্যার সমাধানে শুক্রবার নবান্নে মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থ এবং পরিবহণ দফতরের সংশ্লিষ্ট সচিবেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল, সিইএসসি-র প্রতিনিধি এবং মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) প্রতিনিধিরা।

    উত্তর-দক্ষিণ এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) জুড়বে কবি সুভাষে

    উত্তর-দক্ষিণ এবং নিউ গড়িয়া-রুবি, কলকাতা শহরের এই দুটি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) এই প্রথম পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে। জানা গেছে, নিউ গড়িয়া-রুবি পথে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার আগে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা যাতে এক বার টোকেন কিনে বা এক বার স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করেই যে কোনও একটি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) থেকে অন্য পথের মেট্রো ধরতে পারেন, তার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বড় কোনও ডাকাতির ট্র্যাক রেকর্ড তাদের পুলিশের খাতায় নেই। খুচরো অপরাধের সঙ্গে কামারহাটির ওই যুবকদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এক ট্রিপেই তাদের কেল্লাফতে। রহড়ার ডাঙাদিঘলায় প্লাস্টিকের কারখানায় কামারহাটির কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখানে হানা দেয়। কারখানা থেকে ৩৪ লক্ষ লুঠ (Loot) করে পালায় দুষ্কৃতীরা। কয়েকজন বন্ধু মিলে এতবড় ডাকাতি করতে পারে তা পুলিশ ভাবতেও পারেনি। এখন তারাই পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে। যদিও লুঠ হওয়া ৩৪ লক্ষের মধ্যে ১৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর এই ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দুজন সরাসরি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভিনরাজ্যে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। আর বাকি টাকা অভিযুক্তরা কোথায় রেখেছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এর আগে এই ভাগের টাকা গচ্ছিত করার অভিযোগে মহম্মদ রাজা নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন সরাসরি যুক্ত থাকলেও আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রের মধ্যে ছিল। গত দুমাসে কয়েক দফায় ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজনের এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ। তারা কোথায় রয়েছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন,  তদন্তে নেমে আমাদের সামনে বেশ কিছু সূত্র সামনে এসেছে। অর্ধেকের বেশি টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। বাকী টাকার খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

    লুঠ করা টাকা নিয়ে কী করেছিল অভিযুক্তরা? Loot

    ডাকাতির ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে নিয়েছিল। ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। লুঠ (Loot) হওয়া  বাকী টাকার হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি।  ডাকাতির ঘটনার মূল দুই অভিযুক্ত ডাকাতির অর্ধেক টাকা নিয়ে ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। ধৃত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তাদের নাগাল পায়নি পুলিশ। ডাকাতির পর পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, এই ডাকাতির ট্রিপ যে দিয়েছিল, সেই ট্রিপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর একটি সূত্র থেকে জানতে পেরে মহম্মদ রাজা নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, ধৃত রাজা সম্পর্কে সনুর ভাই। এই সনু দক্ষিণেশ্বরে একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ হোটেলে হানা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালিয়েছিল। তাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। সনুকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এখনও এই ডাকাতির মূল মাস্টার মাইন্ড অধরা রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি কাঁকিনাড়া। আর বাকী সকলের বাড়ি কামারহাটি এলাকায়।  তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ৫ জানুয়ারি রহড়ার ডাঙাডিহিলায় প্লাস্টিকের কারখানায় ডাকাতির আগেই ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রহড়ার একজনের কাছে ট্রিপ পেয়েছিল। ডাকাতি করার আগে কারখানার খুঁটিনাঁটি সব কিছু জেনে নিয়েছিল সে। এরপরই কামারহাটির বাকী বন্ধুদের সে খবর দেয়। মোটা টাকার লোভে সকলেই মিলে ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে কারখানায় হানা দেয়।কারখানার কর্মীদের হাত পা বেঁধে রেখে ৩৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা চম্পট দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় তৃণমূলের দখলে। অনেক পুরসভায় বিরোধী দলের কাউন্সিলর পর্যন্ত নেই। কিন্তু, পুর বোর্ড গঠনের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে এই মহকুমার একাধিক পুরসভা গোষ্ঠীকোন্দলে (Conflict)  জেরবার। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে কাউন্সিলররা। কোথাও কোথাও আবার এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ ভাইস চেয়ারম্যান। আর এই ঘটনায় আখেরে মুখ পুড়ছে শাসক দলের। তৃণমূলের এই বেআব্রু চেহারা দেখে এলাকার মানুষ হাসাহাসি করছেন। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী হয়েছেন দমদম- ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়।  গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে (Conflict) দূরে সরিয়ে রেখে নাগরিক পরিষেবার কাজ হয় সেদিকে বিশেষ নজর এবার দলের। এর জন্য বারাকপুর মহকুমার প্রত্যেকটি পৌরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের দমদম বারাকপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি। স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদ সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বিধানসভা অধিবেশনের পর ১৬ টি পুরসভায় হবে এই বৈঠক।

    তৃণমূলের আতসকাঁচের মধ্যে রয়েছে কোন কোন পুরসভা? Conflict

    গত ৩ মার্চ টিটাগর পুরসভায় একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল (Conflict) পুরবোর্ড মিটিং সরগরম হয়ে ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে ওয়াক আউট করেন। প্রকাশ্য এই দ্বন্দ্ব কে মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তাপস বাবু। টিটাগর পুরসভার মতো খড়দহ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, পানিহাটি, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। অনেক পুরসভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এর মধ্যে মুখ দেখাদেখিও পর্যন্ত বন্ধ। দুজনের দোষ খুঁজতে ব্যস্ত কাউন্সিলররা। অনেক পুরসভায় কাউন্সিলররা আবার আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। বিরোধীশূন্য পুরো বোর্ড হওয়ায় দলের কাউন্সিলরাই এখন পুরবোর্ডের বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যে। ভাটপাড়া পুরসভায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ১০ মার্চ পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর মাইক বেঁধে প্রকাশ্যে পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর এই দ্বন্দ্বকে (Conflict) কেন্দ্র করেই অসন্তুষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি পুরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে যে, কোনওরকম গোষ্ঠী রাজনীতিকে বরদাস্ত করা হবে না। কোন বিষয়ে মতান্তর বা মতবিরোধ হলে তা আলোচনায় বসে মিটিয়ে ফেলতে হবে। চেয়ারম্যানদের বক্তব্য, ভাইস চেয়ারম্যানরা আলাদা করে শিবির তৈরি করছেন। গোষ্ঠী রাজনীতির জন্ম হচ্ছে প্রত্যেকটি পুরসভায়। কোন কোন পুরসভায় আবার চেয়ারম্যানকে সরাতে কাউন্সিলররা জোট বাঁধছেন। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বের নজরে রয়েছে।

    বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলের পাশাপাশি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধায়কের সঙ্গে দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে। পুলিশ নীরব দর্শক। সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় তৃণমূলের উদ্যোগকে স্বাগত। তবে, এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু 

    Indian Railway: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেশনের মধ্যে নন–ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলার কারণে শিয়ালদহ মেন শাখার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে চলছে বহু ট্রেন। ফলে শনিবার নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চূড়ান্ত অসন্তোষ দেখা গেছে। এমনিতেই শিয়ালদহ শাখার ট্রেনগুলিতে ভিড়ের চাপ প্রবল থাকে, তার ওপর আবার ট্রেন কম থাকায় সমস্যা প্রবল হয়েছে আজ। জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই অবশ্য এই কাজ শুরু হয়েছে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার অবধি চলবে এই কাজ। ফলে সমস্যা বাড়বে নিত্যযাত্রীদের। যদিও রেলের তরফে আগেই নন–ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ট্রেন বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। জানা গেছে, ২০–২৫ মিনিট দেরিতে চলছে ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন। বাতিলও রয়েছে ট্রেন। ফলে যে কয়েকটা ট্রেন চলছে, তাতে ভিড় রয়েছে যথেষ্ট। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি

    কী বলছে রেল

    এবিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের ভাষায়, ‘‘নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে দুটি স্টেশনের মধ্যে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের মধ্যবর্তী সময়টা বেছে নিয়েছি, যাতে পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা না হয়।’’ যাত্রী বিক্ষোভের বিষয়ে তাঁর মত, ‘‘কাজটা তো করতেই হত। এই দু’দিন কিছুটা কষ্ট করতে হবে। তবে ভবিষ্যতে সুবিধা মিলবে।’’

    যাত্রীরা কী বলছেন 

    বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন। একে দেরিতে চলছে ট্রেন, তার পর অনেক লোকাল বাতিল। ফলে ভিড়ও হচ্ছে বেশি। এর জেরে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। এক যাত্রীর ক্ষোভ, ‘‘ট্রেন দেরিতে চলছে, সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছতে পারব না। কিন্তু এ সব তো অফিস আর শুনবে না।’’ অনেক যাত্রীর অভিযোগ, ট্রেন কখন ছাড়বে, তার কোনও ঘোষণাও করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share