Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Santosh Trophy: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস! সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ‘ভার’ প্রযুক্তি

    Santosh Trophy: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস! সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ‘ভার’ প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস। সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা সংক্ষেপে ‘ভার’ প্রযুক্তি। ভারতীয় ফুটবলের সব পর্যায় মিলিয়ে এই প্রথম বার ভার ব্যবহার করা হল। এই প্রথম বার দেশের বাইরে সন্তোষ ট্রফি আয়োজন করা হয়েছে। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) উদ্যোগে সন্তোষ ট্রফির জৌলুস বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হল তাকে। আগামী দিনে আরও বেশি ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, বলে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সূত্রে খবর। 

    সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কারা

    ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেছেন, “এই প্রথম বার ভারতের কোনও ঘরোয়া ফুটবল ম্যাচে ভার ব্যবহার করা হল। এটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আগামী দিনে বিভিন্ন লিগে কী ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় তা আমরা শিখতে চাই। বিদেশি ছাড়াও যে ভারতীয় ফুটবল উন্নতি করতে পারে, তা সন্তোষ ট্রফির এই ম্যাচগুলি থেকে বোঝা যাবে।” তিনি আরও বলেছেন, “সন্তোষ ট্রফি দেশের অন্যান্য কোনও টুর্নামেন্টের থেকে একে বারেই পিছিয়ে নয়। আমাদের দেশেও প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। ওদের কাছে দক্ষতা প্রমাণের মঞ্চ এই টুর্নামেন্ট। ফেডারেশন চাইছে, ভারতীয় ফুটবলারদের প্রচুর ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে।”

    স্বাধীনতার একশো বছরে ভারতীয় ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এআইএফএফ। এর মধ্যেই সেই পরিকল্পনা বিভিন্ন ভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ এই প্রযুক্তির ব্যবহার। 

    আরও পড়ুন: সচিনকে শ্রদ্ধা জানাতে ওয়াংখেড়েতে বসতে চলেছে পূর্ণাবয়ব মূর্তি, কবে উন্মোচন?

    বুধবার রিয়াধের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে (Fahd International Stadium in Riyadh) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব-মেঘালয় (Punjab vs Meghalaya)। মেঘালয় ২-১ গোলে পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সন্তোষের ফাইনালে উঠল। পরের ম্যাচে কর্নাটক ৩-১ গোলে সার্ভিসেসকে হারিয়ে ৩৭ বছর পর সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে উঠল। আগামী ৪ মার্চ সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হবে মেঘালয় ও কর্নাটক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড দুর্নীতিতে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও আইনজীবীর ফ্ল্যাট থেকে বেরতে দেখা যায়নি ইডি (ED Raid) অফিসারদের। বৃহস্পতিবারও তল্লাশি জারি রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, রাতভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আইনজীবীকে। দুর্নীতির সঙ্গী আইনজীবী সঞ্জয় বসু, এমন দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে শুভেন্দু যা বললেন

    আলিপুরের বর্ধমান রোডে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে ইডির তল্লাশি (ED Raid) চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, আদালতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কুকর্মের সাথী এই সঞ্জয় বসু। শুভেন্দু বলেন, ‘সঞ্জয় বসু শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী নন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্থায়ী আইনজীবী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যত অপকর্ম করেছেন তার মূল সাগরেদ হচ্ছে সঞ্জয় বসু। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে আসানসোল, পুলিশকে সংগঠিত করে টাকা তুলছে এই সঞ্জয় বসু। গোটা রাজ্যে তৃণমূলের যত টাকা সংগ্রহ হচ্ছে তার দায়িত্ব রয়েছে সঞ্জয় বসুর ঘাড়ে। গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় যে টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা তোলার দায়িত্ব আগে বিনয় মিশ্রর ছিল, এখন সঞ্জয় বসুর’।

    ইডি সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার এক আধিকারিক এসেছেন, যাঁর তত্ত্বাবধানে এই তল্লাশি (ED Raid) চলছে। একটি চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সঞ্জয় বসুর বিলাসবহুল আবাসনের ভিতরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবাসনের বাইরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। আলিপুর থানার ওসি এবং একজন এসি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ বাহিনী মোতায়ন হয়েছে। ওই আবাসন থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘এই অভিযান (ED Raid) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিচলিত। ডিজিপি অনেককে অনেক নির্দেশ দিয়েছেন তার তথ্যপ্রমাণ আমরা পাচ্ছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলকে ফোন করে বলেছেন, আপনারা এটা নিয়ে বেশি প্রচার করবেন না। আমার অনুরোধ থাকল। টিভি চ্যানেলের মাথাদের কাছে ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে ফেসটাইমে এই কল গিয়েছে। অর্থাৎ সরকার ফেঁসে গেছে। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, জিট্টা, তার পর কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, আর আজকে সঞ্জয় বসু, আর চৌকাঠ পেরনোর জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ২০০ কোটি কোথায় গেল?”, রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ২০০ কোটি কোথায় গেল?”, রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। বুধবার হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চায়ে পে চর্চায় উপস্থিত হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, যখন তিনি হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন ২০০ কোটি টাকা রেখে এসেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা নিজেদের ট্রেজারিতে নিয়ে নিয়েছে রাজ্য। এর জেরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে। টাকার অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।

    কী বলেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এখন উন্নয়ন পর্ষদে টাকা নেই। আলো খারাপ হয়ে গেলে তা সারানোর টাকা নেই। নিকাশি, দূষণ, রাস্তার কোনও কাজ হয় না।”  

    তৃণমূল এবং রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন নন্দিগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “রাজ্যের শাসকদল আর পুলিশ হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে লুঠ চালাচ্ছে। বিচ ম্যারাথনের নাম করে ৬০ লক্ষ টাকা তুলেছেন জেলার পুলিশ সুপার। এক ড্রাইভার বলল রিপ্লে কোম্পানিতে কাজের জন্য ড্রপ বক্সে আবেদন করেছিল। শ্রম দফতর হয়ে সেই আবেদন জেলা প্রশাসনের কাছে যাওয়ার কথা। সেই আবেদন গিয়েছে থানায়। ভবানীপুরের পুলিশ আধিকারিক সেই ছেলেকে ডেকে টাকা দিতে বলছে। চাকরির বিনিময়ে দেড় লক্ষ টাকা চাইছে। বলছে টাকা দিলে ইন্টারভিউতে ডাক পাবে।” 

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই বিস্ফোরক দাবির পরেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন জল্পনা। ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দুকে পালটা আক্রমণ করেছেন পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,  “২০০ কোটির গল্প দিচ্ছেন শুভেন্দু। ফাঁকা করে দিয়ে গিয়েছেন। আসলে ওই ২০০ কোটি ওনার বাড়িতে রয়েছে। হলদিয়ার উন্নয়ন নিয়ে ওনার গাত্র দাহ হচ্ছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি ১.৫৭ কোটি টাকা ঋণ রেখে গিয়েছে।” 

    এসবের মাঝেও শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল এবার তৃতীয়স্থানে নেমে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    SSC Scam: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জেরে অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তাই বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি জানিয়ে দেয়, আপাতত মোট ৬১৮ জন শিক্ষক নিয়োগের (SSC Scam) সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে। সুপারিশপত্র বাতিল করে দেওয়ার ফলে এই ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করতে আরও কোনও বাধা নেই মধ্য শিক্ষা পর্ষদের। বাতিলের তালিকায় কারা রয়েছেন তাঁদের নাম, রোল নম্বর এবং বিভাগও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। 

    পুরো তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কমিশনের পদক্ষেপ

    উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অযোগ্যদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের নির্দেশে কমিশন ৬১৮ জনের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। কিন্তু বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় চাকরিচ্যুতদের একাংশ। তবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি। আদালতের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ চাকরি থাকবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোন অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ নয় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে। তিনি বলেন, “কমিশনই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কিনা। ন্যাচারাল জাস্টিস কোনও স্ট্রেট জ্যাকেট হতে পারে না। OMR Sheet বিকৃতি হয়নি বা এটা তাদের নয় বলে কোন মামলাকারী বলেননি।” বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এসএসসি তাদের যে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাতিল করেছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত।

    আরও পড়ুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    এসএসসি (SSC Scam) আরও জানিয়েছে, ওই ৬১৮ জন বাদে বাকি ১৮৭ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করে দেওয়া হবে। তার আগে ওই ১৮৭ জনের ওএমআর শিটগুলি আরও এক বার হাতেকলমে যাচাই করে নিতে চায় এসএসসি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আদালত ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে তাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: “আমরা পাঁচ বছর পর পর ভিক্ষা চাইতে যাই না”, ববিকে পাল্টা ডিএ আন্দোলনকারীরা

    DA Protest: “আমরা পাঁচ বছর পর পর ভিক্ষা চাইতে যাই না”, ববিকে পাল্টা ডিএ আন্দোলনকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতার (DA Protest) দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ধর্নার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে পেন ডাউন কর্মসূচিও পালন হচ্ছে। আন্দোলনের আগুনে কিছুটা ছাই চাপা দিতে ৩% ডিএ- র ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও কমানো যায়নি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ। বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে সম্প্রতি কলকাতার মেয়র (DA Protest) ফিরহাদ হাকিম বলেন, “না পোষালে ছেড়ে দিন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী হয়ে যান।” এই মন্তব্যের জেরে বুধবার কলকাতা পৌরসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান পৌরসভার কর্মীরা। তাঁরা বলেন, “ববি হাকিমের মন্তব্যের প্রতিবাদে পুরসভার কর্মীরা পেন ডাউন করেছি। আমরা যোগ্যতার মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে এই জায়গায় এসেছি। উনি তো ক্যাবিনেট মন্ত্রী, ওনার যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন বিধানসভায় বিল আনতে। যে বিলের মাধ্যমে বলুক রাজ্য যে কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারবে না সেই কর্মচারীদের কেন্দ্র নিয়ে নেবে। আর ওনারা যা দুর্নীতি করেছেন কলকাতা পৌরসভায় সমস্ত নথি আছে আমাদের কাছে।”

    ফিরহাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। তাদের সাফ কথা, বেতন দিতে না পারলে, ফিরহাদ (DA Protest) চেয়ার ছেড়ে চলে যান। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “আপনাকে বলছি ববিবাবু, আপনি যদি বেতন দিতে না পারেন, আপনার চেয়ারটা ছেড়ে চলে যান। কর্মচারীরা ৬০ বছর মাথা উঁচু করে থাকবে। আপনার মতো পাঁচ বছর পর পর হাতজোড় করে জনগণের কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবে না নিজের কুর্সি বাঁচানোর জন্য।” এক রাজ্য সরকারি কর্মী বলেন, “ওনার মতো গেঞ্জি পরে টাকা নিই না।”

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে আজ ভোট গণনা, কারা গড়বে সরকার?

    ডিএ ফিরিয়ে দিলেন শিক্ষক 

    এদিকে সরকারের ঘোষিত ৩ শতাংশ ডিএ ফিরিয়ে দিলেন শিলিগুড়ির এক স্কুল শিক্ষক। শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বুধবার সাফ বলেন, “ভিক্ষার দান চাই না।” ডিএ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতাদের বক্তব্যে বিরক্ত তিনি।

    এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বলেছেন, “২০১৬ থেকে সীমাহীন বঞ্চনা এবং যে প্রতারণা হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ (DA Protest) করছি। আমাদের প্রাপ্য ডিএ ৩৯ শতাংশ। সেখানে ৩ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন না পোষালে ছেড়ে দিন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করুন। এই চাকরি আমি চটি চেটে পায়নি, নিজের যোগ্যতায় পেয়েছি। ডিএ অধিকার। অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভিক্ষার মতো ডিএ দিচ্ছে সরকার। সে জন্য আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ডিআই-কে ঘোষণাপত্র জমা দিয়েছি আমার বর্ধিত ৩ শতাংশ ডিএ দরকার নেই।” ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, “আমার স্কুলের এক জন শিক্ষক বর্ধিত ডিএ নেবেন না বলে আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sagardighi: কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগণনা! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় কোন শিবিরের?

    Sagardighi: কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগণনা! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় কোন শিবিরের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় শুরু হল সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনা। মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুতে খালি হয়ে যায় মূর্শিদাবাদের সাগরদিঘি আসনটি। সাগরদিঘি (Sagardighi) কলেজে শুরু হয়েছে এই কেন্দ্রের গণনা। ভোট গণনা চলবে দুপুর পর্যন্ত। এই কেন্দ্রে মূলত ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা। আর বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হলেন বায়রন বিশ্বাস। 

    সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভায় ত্রিমুখী লড়াই

    গত সোমবার সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৭৪ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোটকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও ঘটে। কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুনকে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা। তৃতীয় স্থান পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় এক সময় জেলার রাজনীতিতে নির্ণায়ক শক্তি কংগ্রেসকে। তবে গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্র থেকে ‘অভাবনীয়’ সাড়া পেয়ে এবার চমক দেওয়ার কথা বলছে বিজেপি। জয়ের বিষয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে যাওয়া, সাগরদিঘির (Sagardighi) মাটি কামড়ে অধীর চৌধুরীর পড়ে থাকা, শুভেন্দু অধিকারীর প্রচার—সব মিলিয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল। এক কংগ্রেস কর্মীর গ্রেফতার, হাইকোর্ট থেকে তাঁর জামিন পাওয়া, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ওসি বদল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুটের শব্দ অন্য আবহ তৈরি করে দিয়েছিল সেখানে। অশান্তির কথা মাথায় রেখে মোতায়েন করা হয়েছিল ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫। মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ জন। গত সোমবারই ভোটগ্রহণ হয় সাগরদিঘিতে। এই উপ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৫.১৮ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কেন্দ্রে নির্ণায়ক ভূমিকায় থাকবেন সংখ্যালঘু ভোটাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে শাসক দলের প্রতীক থাকলে যেন সাত খুন মাফ। রাস্তায় পুলিশও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না। রাজ্যে ঘাসফুল পতাকার মাহাত্ম্যই আলাদা। আর এই পতাকা ব্যবহার করেই দেদার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে অনেকেই। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে, বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ এবার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই যেমন সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে চারচাকা গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাওয়ার (Cattle Smuggling) জন্যই তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িতে করে একটি মাত্র গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচার না অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন, মাত্র একটি গরু চারচাকা গাড়ি করে নিয়ে যেতেও কী শাসক দলের প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। পাচারকারীরা কী ধরেই নিয়েছে এই পতাকা থাকলে সাত খুন মাফ। এসব পাচার করতে রাস্তায় কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Cattle Smuggling)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি দুধ সাদা গাড়ি সোদপুর ট্রাফিক মোড় ধরে যাচ্ছিল। গাড়ির পিছনের দিকে কালো কাচ তোলা ছিল। সামনের দিকে তৃণমূলের পতাকা গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের নিচে রাখা ছিল। ফলে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হতেই পারে একজন শাসক দলের কোনও হোমড়াচোমরা গাড়ির মধ্যে রয়েছেন। ফলে, গাড়ি আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। এই ভেবেই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, গাড়ির চালচলন দেখেই সোদপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করে রক্ষা হচ্ছে না দেখে অগত্যা চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু, জনবহুল বিটি রোডে বেশি দূর গাড়ি যেতে পারেনি। পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তার ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। পুলিশ গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ধরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে গাড়ির মধ্যে থাকা চালক এবং খালাসি বা পাচারকারি গাড়ি ফেলে রেখে পগার পার। আর গাড়ি খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। চারচাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু (Cattle Smuggling)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গরুটিকে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, গাড়ি করে গরুটিকে কোথায় থেকে নিয়ে এসে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    এই নিয়ে কী বলছেন তৃণমূল নেতা। খড়দহ যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, একটি গরু চার চাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দলের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আসলে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই, ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।

    আর বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গরু পাচার (Cattle Smuggling), বালি পাচার সব কিছুই তৃণমূলের মদতেই ঘটছে। পাচারকারীরাও নিজেদের শাসক দলের কর্মী ভাবছেন। আমরা বার বার অভিযোগ করে এসেছি। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Explosion: ২০১৭ ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা এনআইএ আদালতের

    Train Explosion: ২০১৭ ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা এনআইএ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোপাল-উজ্জ্বয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে (Train Explosion) বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা দিল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার এই সাজা শুনিয়েছে আদালত। ওই বিস্ফোরণে ৯ জন যাত্রী গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ওই ঘটনার আরও এক অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, মহম্মদ ফয়জল, গউস মহম্মদ খান, মহম্মদ আজহার, আতিক মুজাফফর, মহম্মদ দানিস, মহম্মদ সইদ, মির হুসেন এবং আসিফ ইকবাল। মহম্মদ আতিফকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন বিচারক। 

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৭ মার্চ ভোপাল থেকে উজ্জ্বয়িনীগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণ (Train Explosion) ঘটায় এই আট অভিযুক্ত। সেই বিস্ফোরণে জখম হন মোট দশজন। জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে ভোপালগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে নাশকতার ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা। কিন্তু পরিকল্পনা মতো কাজ হয়না। ভোপাল স্টেশনে নেমে উজ্জয়িনীগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির শেষ কামরায় বিস্ফোরক রেখে পালায় জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির ওপর হামলার আশঙ্কা! জেট প্লাস নিরাপত্তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের 

    কী জানাল আদালত?

    এদিন এনআইএ আদালতে সাজা ঘোষণা (Train Explosion) করার পর বিচারক ভি এস ত্রিপাঠী বলেন, “এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। এর জন্যই অভিযুক্তদের চরম সাজা পাওয়া উচিত।” উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার কথা সেদিনই জানিয়েছিল আদালত। সেইমতোই মঙ্গলবার অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্তদের তরফে বলা হয়, ইতিমধ্যেই তারা পাঁচ বছর বন্দিদশা কাটিয়ে দিয়েছে। কাজেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হোক। সেই দাবিকে খারিজ করেই আদালত বলে, অভিযুক্তরা দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। কাজেই তাদের সাজার ক্ষেত্রে কোনও নরম মনোভাব দেখাবে না আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Telengana: এবার ব্যাডমিন্টন খেলতে খেলতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোর্টেই মৃত্যু ব্যক্তির!

    Telengana: এবার ব্যাডমিন্টন খেলতে খেলতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোর্টেই মৃত্যু ব্যক্তির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রদেশে জিম করতে করতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। এবার ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তেলঙ্গানার (Telengana) এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হায়দ্রাবাদের লালাপেটের জয়শঙ্কর ইন্ডোর স্টেডিয়ামে খেলছিলেন বছর ৩৮-এর ওই ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ খেলার পর আচমকাই মাটিতে পড়ে যান তিনি। অনেকক্ষণ নড়াচড়া করছে না দেখে, সহ খেলোয়াররা তাঁকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তারপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    মৃত ব্যক্তির পরিচয়

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শ্যাম যাদব। প্রতিদিন সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে জয়শঙ্কর ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন খেলতে যেতেন তিনি। এদিনও ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, খেলতে যাওয়ার সময় কোনও রকম শারীরিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি শ্যামের। সহ-খেলোয়াড়রাও জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ অনুশীলনও করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কোনও রকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি। স্বাভাবিক ভাবেই খেলছিলেন। খেলার মাঝেই কোর্টের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন

    এমন ঘটনার খবর আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এর মধ্যে অনেক কিছু ফ্যাক্টর কাজ করছে যেমন স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন যে হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের অনুশীলন ঠিক আছে কিন্তু তার বেশি যদি এই অনুশীলন করা হয় অর্থাৎ অতিরিক্ত শারীরিক অনুশীলন হার্টের ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকারক। শারীরিক অনুশীলন করতে করতে যদি মনে হয় যে মাথা ঘুরছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাহলে তৎক্ষণাৎ তা বন্ধ করা উচিত।

    বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এখনকার দিনে তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছে এবং তাদের মধ্যে অ্যালকোহলে আসক্তি, ধূমপান ইত্যাদি মাত্রাতিরিক্ত ভাবে দেখা যাচ্ছে। তার সঙ্গে স্ট্রেসও একটা বড় কারণ যার ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mukesh Ambani: মুকেশ আম্বানির ওপর হামলার আশঙ্কা! জেড প্লাস নিরাপত্তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Mukesh Ambani: মুকেশ আম্বানির ওপর হামলার আশঙ্কা! জেড প্লাস নিরাপত্তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে চলেছেন ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ও তাঁর পরিবার। এমনই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি ও আহসানুদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, “মুকেশ আম্বানিদের নিরাপত্তা নিয়ে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। আর তাই একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা তাঁর বাড়ির চারপাশেই কেবল নিরাপত্তা সীমাবদ্ধ রেখে লাভ নেই। মুম্বই পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আম্বানির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে নানা সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই এই নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। আম্বানিকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিতে হবে দেশে ও বিদেশে। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: ৮০৫ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলে সম্মতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট 

    এতদিন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন। তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি পেতেন ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে ২০টি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছিল। মিলেছিল হুমকি চিঠিও। এমনকি স্বাধীনতা দিবসের সময় প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন মুকেশ। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে একাধিকবার এসেছিল হুমকি ফোন। তারপর থেকেই মুকেশ আম্বানির নিরাপত্তা্র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন আদালত ঘুরে বিষয়টি পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়, দেশে ও বিদেশে শুধু মুকেশই নন, গোটা পরিবার পাবেন জেড প্লাস নিরাপত্তা। অর্থাৎ আম্বানিদের সুরক্ষায় এখন থেকে আরও বেশি কম্যান্ডো নিয়োগ করা হবে। এই সুরক্ষা পেতে আনুমানিক মাসে ৩৩ লাখ টাকা খরচ হবে।

    মঙ্গলবার, বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর একটি বেঞ্চ বলেছে যে মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং তার পরিবার ভারতে থাকাকালীন মহারাষ্ট্র সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। অপরদিকে, বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ আরও বলে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত তাদের বিদেশ ভ্রমণের সময় মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share