Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কানিবাসী তামিলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) সুর চড়াল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে তামিল ইস্যুতে (Tamil Issue) শ্রীলঙ্কার (Srilanka) অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশ। কেন অ্যামেন্ডমেন্ট ১৩ (13th Amendment) কার্যকর করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলা হয়। তামিল ইস্যুতে একটি সমাধান সূত্রের  প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনও তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মানাবাধিকার কাউন্সিলের ৫১ তম সেশনে ভারত এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। ভারতের দাবি, যাতে দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলরা শান্তিতে, সম্মানে, সমানাধিকারে বসবাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। সেদেশে তামিল ইস্যুতে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহের দিকে দিল্লির ক্রমাগত নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারত। আর্থিক সংকট সম্পর্কে ভারত বলে, “শ্রীলঙ্কার সর্বোত্তম স্বার্থে তার নাগরিকদের সক্ষমতা তৈরি করা দরকার।” 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার
     
    এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী, সেদেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। দেশে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা পেতে দেশের মানুষকে আরও বেশি সক্ষম করার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের সদস্যরা মনে করেন যে, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক মদতের জন্য বিশ্বের সমস্ত নামী আন্তর্জাতিক  প্রতিষ্ঠানগুলির এগিয়ে আসা উচিত। 

    আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    গত বছরের শেষ থেকেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের জুলাইতে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ওই সময় রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে চড়াও হয়েছিল জনতা। এরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড যান তিনি। জুলাইয়ের ১৪ তারিখে বিদেশে বসেই পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্বীপরাষ্ট্রে ফিরেছেন তিনি। তবে পুরনো পদ আর ফিরে পাননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন রনিল বিক্রমাসংঘে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে দেশবাসীর যেরকম ক্ষোভ রয়েছে, তাতে তাঁর রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরা কঠিন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।   

     

  • Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর দিনে রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হিন্দু রীতি মেনে পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন। আরতি করেছিলেন। মেনে নিতে পারেনি ‘রক্ষণশীল’ ব্রিটেন। যে দেশের মূল ধর্ম খ্রিস্টান সেখানে একজন হিন্দু নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসাতে হয়ত কুণ্ঠা বোধ করেছেন ব্রিটেনের শাসক রক্ষণশীল দলের নেতারা। তাই আশা জাগিয়েও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Britain PM) পদে জিততে পারলেন না ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। প্রথম থেকে জোরদার লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারলেন না ঋষি। কনজারভেটিভ দলের নেতারা ভরসা রাখলেন ব্রিটিশ নেত্রী লিজ ট্রাসের উপর।

    কনজারভেটিভ পার্টির (Tori) তরফে ভোটের ফল ঘোষণা করে জানানো হয় ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন লিজ। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। সুনক ৬০ হাজার ৩৯৯টি। চূড়ান্ত রাউন্ডে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষির পরাজয়ের কারণ হিসেবে উঠে আসছে তাঁর ‘বর্ণ-পরিচয়ের’ কথাও। এখনও পর্যন্ত কোনও অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হননি। যে দেড় লক্ষাধিক কনজারভেটিভ সদস্যের ভোটে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে, তাতে অশ্বেতাঙ্গ ভোটার নগণ্য। তিন শতাংশেরও কম।

    আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঋষির হারের পিছনে স্ত্রী অক্ষতার ভূমিকাও রয়েছে। একদিকে বিপুল সম্পত্তি, তো অন্যদিকে আয়কর ফাঁকি, আবার রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের জেরে তদন্তের আওতায় চলে আসেন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার অক্ষতা। পেশার কারণে অন্যান্য দেশ থেকে ব্রিটেনে আসা নাগরিকদের বিশেষ কর দিতে হয়। সুনকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাকি প্রভাব খাটিয়ে সেই করের আওতার বাইরে চলে আসেন। বলা হয়ে থাকে, অক্ষতার সম্পত্তি নাকি ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের চেয়েও বেশি। একদা ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারকারী ব্রিটেনবাসী এ সত্য মেনে নিতে পারে না। কোনও ভারতীয় তাঁদের থেকে বড় হতে পারেন হয়ত বা এই কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল রক্ষণশীল দলের সদস্যদের। তাই প্রথম থেকে এগিয়ে থেকেও মাইলস্টোন ছোঁয়া হল না ঋষির।

    তা ছাড়া একদা জনসন অনুগামী ঋষি যে ভাবে পরবর্তী কালে প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা করে ইস্তফা দিয়েছিলেন, ভোটে তারও প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ টোরি সদস্যদের বড় অংশই জনসন অনুগামী। তাঁদের একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন লিজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটিতে অপহরণের (Baguiati Twin Kidnapping and Murder) পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ। বাসন্তীরই দুই পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী-সহ ২ জন এখনও ফেরার। পুলিশের দাবি, অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয়। 

    ২২ অগাস্ট বাগুইআটির জগত্‍পুর থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসএমএস পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২৪ অগাস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরেও পুলিশ তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার পরও ওই দুই ছাত্রের মৃতদেহ মিলল বসিরহাটে। বাগুইআটি থানার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ছাত্রের পরিবার। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিস ট্রাস, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ?

    গত মাসের ২২ তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে ফোনে এসএমএস আসে। তারপরেই পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। 

    পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি। গতকাল রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটে। এরপরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মৃতের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবার সূত্রে খবর, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। এরপর ২২ অগাস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। তারপর থেকে দুই অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নিখোঁজ হয়ে যায়। এরা সম্পর্কে মামাতো পিসতুতো ভাই।

    আরও পড়ুন: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    ২৪ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন অতনু দে’র বাবা বিশ্বনাথ দে। বিশ্বনাথ দে’র ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস আসতে থাকে। পরিবারের দাবি, পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর এবং এক কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানানোর পরও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে দুই ছাত্রকে জীবিত পাওয়া যেত। এভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুই ছাত্রের মৃত্যুর খবর মিলত না। গতকাল অভিজিৎ বোস নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাস কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    এদিকে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর জগৎপুরে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অতনুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আগে থেকে গাড়িতে দড়ি রেখেছিল। অতনুর থেকে বাইক কিনে দেওয়ার পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু। এরপরই দুজনকে চলন্ত গাড়িতে খুন করা হয়। এরপর বসিরহাটের আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলা দুই ছাত্রের মৃতদেহ।

    ধৃতরা হল…..
    ১) অভিজিৎ বোস (২৫), নিউটাউনে থাকত। বর্তমানে হাওড়ায় থাকে। ধাবায় কাজ করে। বছর তিনেক আগে জগাছা থানায় ল্যাপটপ চুরি কেসে গ্রেফতার হয়।
    ২) শামীম আলী (২০), বাগুইআটি থানার আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৩) সাহিল মোল্লা (২০), আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৪) দিব্যেন্দু দাস, বাগুইআটি থানার চণ্ডীবেড়িয়ার বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nitish KCR Meeting: নীতীশের সঙ্গে বৈঠকে কেসিআর, সলতে পাকানো শুরু লোকসভা নির্বাচনের?

    Nitish KCR Meeting: নীতীশের সঙ্গে বৈঠকে কেসিআর, সলতে পাকানো শুরু লোকসভা নির্বাচনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Polls) সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিলেন তেলঙ্গানার (Telangana) মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR)! বৈঠক করলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে কেসিআরের উদ্যোগ।

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকরা যখন প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করছেন, তখন সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে উঠে যাচ্ছিলেন নীতিশ কুমার। সেই সময় কেসিআর নীতীশ কুমারকে বলছেন, আপনি বসুন না। নীতীশ তখন বলছেন, আপনি চলুন না। বিজেপি বিরোধী শিবিরের এই দুই নেতার মুখনিঃসৃত এই বসুন না, চলুন না শব্দগুলিই জন্ম দিয়েছে প্রধানমন্ত্রিত্বের গুঞ্জনের। ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে বিজেপির তরফে।

    এক সময় বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিলেন নীতীশ। পরে বিজেপির হাত ছেড়ে কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হন আরজেডির তেজস্বী যাদব। এক সময় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কেসিআরেরও। পরে রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত দেখে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করেন তিনি। তার পরেই তিনি ডাক দিয়েছেন বিজেপি মুক্ত ভারত গড়ার। এর আগে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সে প্রশ্নের জবাবে কেসিআর বলেছিলেন, নীতীশজি একজন দুর্দান্ত, প্রবীণ নেতা। যখন আমরা এক সঙ্গে বসব, তখন আমরা এ ব্যাপারে (প্রধানমন্ত্রিত্ব) সিদ্ধান্তে আসব।

    আরও পড়ুন : বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত!

    নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের একাংশ ভাইরাল করে বিজেপি অপব্যাখ্যা করছে। ওই সূত্রের দাবি, বৈঠক ছেড়ে নীতীশ কুমার বেরতে চাইছিলেন, কারণ সাংবাদিকরা তাঁকে বারবার একই প্রশ্ন করছিলেন। এ ব্যাপারে কেসিআরকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, কে বলেছে, আমি যদি কারও নাম প্রস্তাব করি, লোকে সেটা গ্রহণ করবে? আপনারা কেন এত তাড়াহুড়ো করছেন? তিনি বলেন, আমাদের (বিরোধীরা) বসতে হবে এবং এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে। রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা, সে ব্যাপারে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজেপি বিরোধী শক্তি একজোট হয়ে সমস্ত রকম চেষ্টা করব। ভিডিওটি শেয়ার করে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নীতীশ কুমার কেসিআরকে অপমান করেছেন। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের প্রশ্ন, অপমানিত হতেই কী বিহার গিয়েছিলেন কেসিআর? 

  • Gaming Apps: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    Gaming Apps: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT) – এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় গেমিং অ্যাপের খেলোয়াড়রা গত তিন বছরে ৫৮ হাজার কোটি টাকা জিতেছে। আয়কর দফতরের (Income Tax Department) জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। 

    সিবিডিটি চেয়ারম্যান নীতিন গুপ্ত কোম্পানির নাম না করে বলেন, “যারা টাকা জিতেছেন আমরা তাদের আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা করার মাধ্যমে আয়কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছি। যদি তারা স্বেচ্ছায় তা না করে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র

    তিনি আরও বলেন, “জরিমানা এবং ৩০ শতাংশ কর মিলিয়ে বিজয়ীদের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এই অর্থবর্ষগুলির জন্যে এখন কর দিতে হবে।”

    নীতিন গুপ্ত আরও বলেন, “আমরা সব তথ্য খতিয়ে দেখছি। বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। বিজয়ীদের কেউ হয়তো বেশি আর কেউ কম উপার্জন করেছেন। আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য আছে।”  

    তিনি আরও বলেন, “লটারির মতো এখান থেকেও প্রতিটি জয় বাবদ কর নেওয়া হবে। লটারি, ক্রসওয়ার্ড পাজল, ঘোড়দৌড়, তাস খেলা, এবং যেকোনো ধরণের অন্যান্য খেলা, জুয়া বা বাজি সহ লটারি থেকে জেতা টাকার উপর ৩০% কর নেওয়া হয়। এখানে কোনও ছাড় পাওয়া যায় না।” 

    আরও পড়ুন: বিনোদন জগতে সর্বোচ্চ ‘করদাতা’ বলিউডের ‘খিলাড়ি’! সম্মানিত করল আয়কর বিভাগ

    এই ক্ষেত্রে মূলত জেতা টাকার থেকে আগেই কর কেটে বাকি টাকা বিজয়ীকে দেওয়া হয়। 

    নীতিন গুপ্ত বলেন, “এই গেমিং অ্যাপগুলি কর ফাঁকি দিচ্ছে কী না তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্ত চালানো হচ্ছিল। আমাদের বিভাগ নিজেদেরকে আর রিয়েল এস্টেড এবং ডেভলপারসের মধ্যেই সীমাবদ্ধা রাখছি না। আমরা নতুন ক্ষেত্রেও কাজ করছি। স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে ওষুধ, ডেভলপার থেকে ইন্ডাস্ট্রি, সব ক্ষেত্রেই কাজ করছি আমরা। এখন আমরা আরও কিছু নতুন জায়গায় কাজ করছি। যেমন গেমিং অ্যাপ, অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি ইত্যাদি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এবারে সাধারণ মানুষ একটু হলেও স্বস্তি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হয়েই চলেছে আর এরই মধ্যে এখ খুশির খবর পাওয়া গেল। মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ লা সেপ্টেম্বর একধাক্কায় অনেকটাই কমল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। দেশের ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯১ টাকা ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    এরফলে এবার থেকে কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম (১৯ কেজি এলপিজি) ২,০৯৫.৫ টাকা থেকে কমে ১৯৯৫.৫০ টাকা হয়েছে। দিল্লিতে দাম ১৯৭৬ টাকা থেকে কমে ১৮৮৫ টাকা হয়েছে। মুম্বইয়ে ১৯ কেজির রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১৯৩৬ থেকে কমে ১৮৪৪ টাকা হয়েছে। চেন্নাইয়ে সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ২০৪৫ টাকা যা আগে ছিল ২১৪১ টাকা। আজ, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই দাম কার্যকর হয়েছে। 

    তবে বাড়ির কাজে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডারের দামে (LPG Cylinder Price) কিন্তু কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১৪.২ কেজির বাড়ির রান্নার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই রয়েছে। ৬ জুলাই থেকে এই দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। দিল্লিতে বাড়ির জন্য যে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় তার দাম ১০৫৩ টাকা, কলকাতায় ১০৭৯ টাকা, মুম্বইতে ১০৫২ টাকা ও চেন্নাইয়ে ১০৬৮ টাকা।

    আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি

    এর আগে দফায় দফায় রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন হোটেল, রেঁস্তোরায় খাবারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এবারে পুজোর আগেই কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল সাধারণ মানুষের। আশাও করা হচ্ছে যে এবারে হয়তো হোটেল, রেঁস্তোরার খাবারের দামও কিছুটা হলেও কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে চিন সরকারের কঠোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ব্যাপক সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ‘জিরো কোভিড নীতি’-র (Zero Covid Policy) ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট। ফের বিপর্যস্ত চিনা (China) জনজীবন।  

    চিনের কিছু অঞ্চলে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। ফের করোনা বিধি নিষেধের আওতায় চিন।  

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    সোমবার শেনজেন শহরের বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে চিন সরকার। আশেপাশের অঞ্চলে বন্ধ করা হয়েছে যানবাহনের চলাচল। পঞ্চম ঢেউয়ের আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধন্ত। 

    হুয়াকিয়াংবেই-এ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ এবং মাইক্রোচিপ বিক্রির হাজার হাজার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুতিয়ান জেলায় তিনটি এলাকায় চারদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি 

    বাসিন্দাদের কোভিড পরীক্ষা ব্যতীত তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। 

    অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অর্থাৎ সুপারমার্কেট, ওষুধের দোকান এবং হাসপাতাল ব্যতীত ওইসব এলাকায় সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র টেকওয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।     

    লুওহু এবং লংগ্যাং জেলাগুলিতেও সমস্ত বিনোদনের জায়গা এবং পাবলিক পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে, শেনজেনের এক আধিকারিক বলেন, মূলত করোনার নতুন সাবভেরিয়েন্ট Omicron BF.15 দ্বারাই নতুন করে ছড়াচ্ছে এই রোগ। এটি আরও বেশি সংক্রামক। তিনি আরও বলেন, “আসন্ন সময়ে এই মহামারী প্রতিরোধ করা আরও কঠিন হবে।” 

    ফের চিনে নতুন করে ছড়াচ্ছে করোনা। অনেকেই মনে করছে পঞ্চম ঢেউ এসে গিয়েছে। 

    রবিবার সারা দেশে ১৯ টি প্রদেশ এবং পৌরসভায় মোট ৩০১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। এছাড়াও, সোমবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশব্যাপী ১২৫৫ টি উপসর্গবিহীন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। 

    রবিবার সারা দেশে রিপোর্ট হওয়া ৩০১ টি স্থানীয় মামলার মধ্যে, ১৬১ টি সিচুয়ান প্রদেশের। যা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ। 

    হংকং- এ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের সরকার। সেখানেও করোনা সংক্রণের হার ১০,০০০ ছাড়িয়েছে। 

    চিন সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম, যারা কঠোরভাবে ‘জিরো কোভিড নীতি’ অনুসরণ করছে। 

    ভাইরাস মোকাবিলায় ফের আক্রমনাত্মক ভূমিকায় চিন। এর মধ্যে রয়েছে ‘ফ্ল্যাশ লকডাউন’, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, গণ হারে পরীক্ষা, সামাজিক দূরত্ব এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Nadimarg massacre: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের

    Nadimarg massacre: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) এবং লাদাখ (Ladakh) হাইকোর্ট (High Court) । ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ পুলওয়ামার নাদিমার্গে (Nadimarg) দুই শিশুসহ মোট ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তাঁরা সকলেই কাশ্মীরি পণ্ডিত ছিলেন। 

    এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত বহু জঙ্গি মারা যাওয়ায় মামলাটি প্রায় এক দশক আগে, ২০১৪ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মামলাটি সোপিয়ান আদালতে চলছিল। কিন্তু সেখানে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়। বহু সাক্ষী ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অনেকে  প্রাণভয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন এমনটাই দাবি।  তাই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্ট সেই পুরনো মামলার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় ওই মামলা চলুর নির্দেশ দিয়েছে।  

    ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ নাদিমার্গে পণ্ডিতদের বাড়িতে সেনার পোশাকে গিয়েছিল জঙ্গিরা। ১১ জন পুরুষ ও মহিলাকে বাড়ির ভিতর থেকে বাইরে নিয়ে আসে তারা। বাদ পড়েনি দু’জন শিশুও। সবাইকে বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে জঙ্গিরা। এক সঙ্গে মৃত্যু হয় ২৪ জনেরই। এই হত্যাকাণ্ডের ভয়বহতায় সেদিন শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। ঘটনার পিছনে মূল মাস্টার মাইন্ড হিসেবে নাম উঠে আসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের বাসিন্দা মুস্তাফার। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে জানিয়েছিল, লস্কর নেতাদের নির্দেশে সে পণ্ডিতদের হত্যা করেছে। পরে, পুঞ্চের জঙ্গলে জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষে মারা পড়ে নাদিমার্গ গণহত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়া মুস্তাফা।

    আরও পড়ুন: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে, আড়ে বহরে বাড়ছে আজাদ শিবির!

    সম্প্রতি উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর জঙ্গিদের হামলা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। চলতি বছর মে মাসেও জম্মু-কাশ্মীরের বদগামে অফিসে ঢুকে রাহুল ভাট নামে এক সরকারি কর্মীকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় উপত্যকায়। তার রেশ কাটার আগেই কুলগামে খুন করা হয় আরেক হিন্দু স্কুল শিক্ষিকাকে। এ বছর জম্মু-কাশ্মীরে টার্গেট কিলিংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

    নাদিগ্রাম হত্যাকাণ্ড মামলা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি সিএম কাবিন্দর গুপ্ত।  তিনি বলেন, যারা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন তারা এবার তা পাবেন। 

  • Assam’s Bongaigaon : অবৈধ নির্মাণ না জঙ্গি-যোগ! অসমে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল মাদ্রাসা

    Assam’s Bongaigaon : অবৈধ নির্মাণ না জঙ্গি-যোগ! অসমে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল মাদ্রাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) বঙ্গাইগাঁও (Bongaigaon) এলাকায় একটি অবৈধ মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দিল অসম সরকার (Assam Government)। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ ওঠার পর পরই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলা হয় ওই মাদ্রাসা। একই সঙ্গে, প্রশাসনের তরফ থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আগেই জানানো হয়েছিল, মাদ্রসা ভবনটি কাঠামোগত ভাবে দুর্বল এবং এখানে কারও বসবাস করা নিরাপদ নয়। এই ভবনগুলি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

    মাদ্রাসাটির নাম মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা। এই মাদ্রাসায় মোট ২২৪ জন শিশু পড়াশুনা করত। মাদ্রাসাটি ছিল আবাসিক। ওখানে বসবাসকারী ছাত্রদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গাইগাঁও-এর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রে জানানো হয়, এই মাদ্রাসা সরকারি নিয়ম অনুসারে নির্মিত হয়নি। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে এই মাদ্রাসার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। বঙ্গাইগাঁওয়ের এসপি স্বপ্ননীল ডেকা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত এক জন গ্রেফতার জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে তল্লাশি অভিযান চালায় গোয়ালপাড়া জেলা পুলিশ। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে, আমরা মাদ্রাসাটি ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’’

    আরও পড়ুন: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?

    এটি অসমের তৃতীয় মাদ্রাসা, যা অবৈধভাবে নির্মাণের কারণে ভেঙে ফেলা হল। এর আগে মনিকা ও গোয়ালপাড়ায় দুটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গেও জিহাদিদের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aamir Khan: বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’, পারিশ্রমিকে ‘না’ আমিরের

    Aamir Khan: বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’, পারিশ্রমিকে ‘না’ আমিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ১১ অগাস্ট বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha)। আমির খানের এই ছবিকে ঘিরে বহু আশা ছিল তাঁর অনুরাগীদের। কিন্তু বক্স অফিসে একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ছবিটি। পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। আর এর জন্যই আমির খান এক সিদ্ধান্ত নিলেন। ছবির ব্যর্থতার কারণেই আমির খান জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পারিশ্রমিক নেবেন না, বরং তিনি ক্ষতিপূরণ দিতেও রাজি।

    বিভিন্ন সূত্র অনুয়ায়ী জানা গিয়েছে, ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমা তৈরি করতে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে আর সেখানে এই ছবি বক্স অফিসে শেষ পর্যন্ত ৬০ কোটির গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। এর ফলে ছবি নির্মাতাদের ক্ষতি হয়ছে ১০০ কোটি টাকার মতো। জানা গিয়েছে,  ছবি ব্যবসা করতে না পারায় নিজের পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না আমির খান। অভিনেতা মনে করেছেন এমন সিদ্ধান্তে প্রযোজকদের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে।

    আরও পড়ুন: “আমার ছবি বয়কট করবেন না”, নেটিজেনদের অনুরোধ আমির খানের

    এক সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, আমির খান তাঁর পারিশ্রমিক নিলে Viacom18 Studios ১০০ কোটি টাকা লোকসান করবেন, আর যদি আমির খান কোনও টাকা না নেন, তবে তাঁদের লোকসানের পরিমাণও কমবে। আরও জানা গিয়েছে, আমির প্রায় চার বছর এই ছবির পেছনে দিয়েছেন, কিন্তু এরপরেও বক্স অফিসে ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু তিনি ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দোষ নিজের উপর নিয়ে সমস্ত ক্ষতি শোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    তাঁর এই সিদ্ধান্তে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা। আমির খানের (Aamir Khan) বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha) মূলত টম হ্যাঙ্কসের ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবির এটি অফিশিয়াল হিন্দি রিমেক। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই ছবিটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন নেট নাগরিকরা। ট্রেলার রিলিজের পর থেকেই এই ছবিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটপাড়ার একাংশ। ট্যুইটারে ট্রেন্ড করছে #BoycottLaalSinghChaddha। আর এরই ফলস্বরূপ এমন পরিস্থিতি।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আসাম সফর পিছিয়ে দিলেন আমির খান, জানেন কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

LinkedIn
Share