Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ দিন আগেই বীরভূমের খয়রাশোলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হলেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার হাজরাপুর গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বীরভূম জেলার সদাইপুর থানার পাথরচাপুরির কাছে হাজরাপুর গ্রামে বোমা তৈরির মশলা মজুত করা হয়েছিল। এমনকী বোমা বাঁধার কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম রসুল। তার মুখ থেকে বুক ও হাত, পা ঝলসে যায়। বুধবার তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে হাজির হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণের (Bomb Blast) পর থেকে গ্রামেও উত্তেজনা রয়েছে। যদিও বোমা নয়, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শাসক দলের। যা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল বলেন, সব মিথ্যা অভিযোগ। চা করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কোনও বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করছিল। ওরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী। সেই সময় বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হয় ওদেরই লোক। বীরভূম জেলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো দেখলেন, কিভাবে ভোট করল ওরা। কোনও গণতন্ত্র নেই, দুষ্কৃতীদের রাজত্ব চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন সবাই সব জেনেও নিশ্চুপ।

    সিউড়িতে উদ্ধার বোমা

    অন্যদিকে, সিউড়ি থানার ধল্লা গ্রামে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। প্রায় ৬০টি তাজা বোমা ছিল। পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখে। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলা এবং মালদায় মহিলাদের বিবস্ত্র করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানোর প্রতিবাদে হাওড়ায় প্রতিবাদে সামিল হল বিজেপি (BJP)। সোমবার বিজেপির তফশিলি মোর্চা ও মহিলা মোর্চা এক জোট হয়ে তাঁরা আইন ভঙ্গের কর্মসূচিতে অংশ নেন। এদিন বিকেলে তাঁরা পঞ্চাননতলায় বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল করে হাওড়া থানার দিকে রওনা দেন। বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ যখন হাওড়া থানার দিকে এগোতে থাকে, তখন তাদের আটকানোর জন্য সিটি পুলিশের উদ্যোগে আগেই তৈরি করা হয়েছিল লোহার ব্যারিকেড। হাওড়া ময়দানে সেই ব্যারিকেডের সামনে বিজেপির মিছিল এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আর তখনই পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার ধস্তাধস্তি ও খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। প্রতিবাদকারী বিজেপি কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ পুলিশের তৈরি করা লোহার ব্যারিকেড ভেঙে হাওড়া থানার দিকে এগিয়ে যায়। পরে, তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, হাওড়ার পাঁচলায় দুই মহিলা বিজেপি কর্মীকে সম্পূর্ণভাবে বিবস্ত্র করে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যে নারীদের কোনও নিরাপত্তা নেই।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) হাওড়া জেলা সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে নারীদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তারই প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন রাজ্যের নারীদের সন্মানের দাম বিভিন্ন রকম। মণিপুরের ঘটনায় যে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তার নিজের রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীরব। অন্যদিকে বিজেপি মণিপুরের ঘটনার সমালোচনা করেছে। এই রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বিজেপি পথে নেমেছে। শুধুমাত্র গত কয়েক দিনের ঘটনাই নয়, এর আগেও একের পর এক মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও নীরব ভূমিকা পালন করেছেন, আবার কখনও পার্ক স্ট্রিটের মতো ঘটনায় সেই মহিলার চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttam Kumar: বারাসতে মহানায়কের আদি ভিটে! ৪৩ তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানালেন পরিবারের সদস্যরা

    Uttam Kumar: বারাসতে মহানায়কের আদি ভিটে! ৪৩ তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানালেন পরিবারের সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহানায়ক উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। বারাসতের দক্ষিণপাড়ার চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যদের মন ভারাক্রান্ত। মন ভাল নেই প্রতিবেশীদের। কারণ, মহানায়কের এক সময়ের বাড়ির ঠিকানা ছিল এই দক্ষিণপাড়া। বহুদিন দক্ষিণপাড়ার বাড়িতে তিনি কাটিয়েছেন। পুরানো সেই স্মৃতি আঁকড়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

    শীতলা মন্দিরে বহুবার পুজো দিয়েছেন উত্তম কুমার, দাবি ভাইপোর

    ১৯৮০ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। অভিনয় জগতে তিনি এক আলাদা মাইলস্টোন গড়ে গিয়েছেন, যা ভাঙা কোনও তারকার পক্ষেই সম্ভব হয়নি। সপ্তপদী, নায়ক, অগ্নিপরীক্ষা, পথে হল দেরি, সবার ওপরে, সাগরিকা, শাপমোচন, কাল তুমি আলেয়া, বন পলাশির পদাবলী, সন্ন্যাসী রাজার মত জনপ্রিয় ছবিগুলি আজও বাঙালির মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে। আজও তাঁর ছবিতে চোখ রাখে তরুণ প্রজন্ম, তাঁকে নিয়ে হয় গবেষণাও। আজ উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) মৃত্যু দিবসে তার সেই ছোটবেলায় আদি বাড়িতে আসা স্মৃতি কিছুটা মনে করিয়ে দিলেন তাঁর ভাইপো অলক কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বারাসাত দক্ষিণপাড়া শীতলাতলা রোডে এই বাড়িতেই উত্তম কুমার দীর্ঘ কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন। এখান থেকেই যেতেন বিভিন্ন বইয়ের শুটিংয়ে। বাড়ি সংলগ্ন শীতলা মন্দির, সেই শীতলা মন্দিরে পুজো না দিয়ে তিনি কখনোই যেতেন না কোন বইয়ের শুটিং করতে। পাশাপাশি শুটিং সেরে এসে এই বাড়িতেই তিনি বিশ্রাম নিতেন। খাওয়া-দাওয়া করতেন এই বাড়িতেই। সেই দিনগুলি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।

    বাড়িতে মহানায়ক আসলেই উপচে পড়ত ভিড়়, বললেন এক প্রতিবেশী

    বাড়িতে প্রবেশ করলেই প্রথমে দেখা যাবে বড় পুরনো দিনের দরজা। সেই দরজা দিয়েই প্রথমে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে একটি ঘর, যে ঘরে  উত্তম কুমার (Uttam Kumar) এসে দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিতেন। দীর্ঘ কয়েক বছর এই বাড়িতে থেকে কিন্তু পরবর্তীকালে ভবানীপুরে গিরিশ মুখার্জি রোডে তিনি চলে যান। কিন্তু মাঝেমধ্যে এই বাড়ি থেকেই আসা-যাওয়া করতেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে শিশির কুঞ্জ, সেখানেও একাধিক বইয়ের শুটিং করেছেন তিনি। তাই এই বাড়ি থেকেই তিনি মন্দিরে পুজো দিয়ে শুটিংয়ে বের হতেন। প্রতিবেশী মুকুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তম কুমার আমাদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। এই বাড়িতেই আসলেই ভিড় উপচে পড়ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICSE : ২০২৪-এই কি শেষ? ২০২৫ সাল থেকে উঠে যেতে পারে আইসিএসই, জানালেন বোর্ড সচিব 

    ICSE : ২০২৪-এই কি শেষ? ২০২৫ সাল থেকে উঠে যেতে পারে আইসিএসই, জানালেন বোর্ড সচিব 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুত্ব হারাতে চলেছে সিআইএসসিই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা অর্থাৎ আইসিএসই। কলকাতায় এসে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন বোর্ডের সিইও জেরি অ্যারাথুন। জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে এবার বদলে যেতে পারে পরীক্ষার ধরনও। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণির পরীক্ষা কার্যত অনিশ্চিয়তার মুখে বলেই আভাস দিল সিআইএসসিই। 

    কী কী পরিবর্তন

    দ্য কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট একজামিনেশনস (CISCE) এর দশম শ্রেণির পরীক্ষা আইসিএসই (ICSE), দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আইএসসি (ISC)। এই আইসিএসইর পরীক্ষা নিয়েই অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়েছে। কারণ, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ফলে সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হওয়ার কথা। তাই মন্ত্রকের নির্দেশের অপেক্ষায় এখনও অনিশ্চিত ২০২৫ সালের আইসিএসই। সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন বলেন, “২০২৪ সালে দু’টো পরীক্ষাই হবে। তবে ২০২৫ থেকে কী হবে আমরা নিশ্চিত নই। শিক্ষামন্ত্রক যা বলবে তার উপর নির্ভর করবে।” 

    বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে একাদশ শ্রেণিতে

    জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) চালু করা নিয়ে সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ দিন ধরে চলবে প্রশিক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরেই আইসিএসই অর্থাৎ দশম শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন জেরি। তিনি জানান, ২০২৫ সাল থেকে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা তুলে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেবল বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে একাদশ শ্রেণিতে উঠবে পড়ুয়ারা। দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম বোর্ড পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। যেমন, এখন সিবিএসই বোর্ডে হয়ে থাকে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    একইসঙ্গে জেরি জানান, ২০২৪ সালের পরীক্ষা থেকেই মূল্যায়ণ ব্যবস্থাতেও বদল আনা হচ্ছে। ২০২৪ সালের পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে যুক্ত হচ্ছে ১০ নম্বরের ‘ক্রিটিকাল থিঙ্কিং’। জেরি অ্যারাথুন বলেন, “ক্রিটিকাল থিঙ্কিং অন স্কিল বেসড সাবজেক্ট। এ ছাড়াও মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকবে। পড়ানোর ধরনে বদল আসবে, শেখার ধরনে আসবে বদল। একইসঙ্গে মূল্যায়ণ পদ্ধতিও বদলানো হচ্ছে।” তিনি জানান, গোটা প্রক্রিয়াই ধীরে ধীরে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ১৩ বছরের রাজত্বে উত্তরবঙ্গ যে বঞ্চিত তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে প্রখ্যাত টেবিল টেনিস খেলোয়াড় অর্জুন মান্তু ঘোষের উপর একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সবসময় আমাদের উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম। উত্তরবঙ্গ হলেই কেমন যেন পিছিয়ে পড়া-পিছিয়ে পড়া মনে হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে।ֹ’ 

    উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দাবিকে ধাক্কা দিলেন গৌতম দেব

    মেয়রের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ, তৃণমূলের (TMC) নেতা, মন্ত্রীরা সব সময় দাবি করেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ আর অবহেলিত নয়। প্রচুর উন্নতি হয়েছে। সেখানে এদিন গৌতম দেবের এই বক্তব্য তৃণমূলের সেই দাবিকে ধাক্কা দিচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য নেতা মুখে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা শুনে বিরোধীরা সরব হয়েছে।

    গৌতম দেবকে কেন ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি মনে করে, উত্তরবঙ্গের প্রতি তৃণমূল (TMC) সরকারের বঞ্চনা নিয়ে তাদের অভিযোগে এদিন  সীলমোহর দিলেন গৌতম দেব। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে ধন্যবাদ জানাই। কেননা তৃণমূলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যে না হলেও নিজেদের মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেন। এদিন সরাসরি সেটা স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র।

    বিতর্ক শুর হতেই ঢোক গিললেন গৌতম দেব

    তাঁর বক্তব্যে নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ঢোক গেলেন গৌতম দেব। এদিন অনুষ্ঠানের পর শিলিগুড়ি পুরসভায় সাংবাদিকরা এনিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি খেলার ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেছি। ঋদ্ধিমান সাহা, মান্তু ঘোষ দিনের পর দিন ভাল পারফরম্যান্স করে যাওয়ার পরও জাতীয় ক্ষেত্রে সেই গুরুত্ব পাননি, বঞ্চিত হয়েছেন। এদিন আমার ওই বক্তব্যে রাজনীতি বা রাজ্য সরকারের বঞ্চনার কোনও বিষয় নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    Calcutta High Court: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আজ, সোমবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত অন্তত ৭৩টি মামলার শুনানি রয়েছে। এরই মাঝে নতুন আবেদন শুনে ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সব মামলার শুনানি স্থগিত করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।

    মামলার পাহাড় 

    এদিন যে ৭৩টি মামলার শুনানি রয়েছে আদালতে, তার মধ্যে ২৬টি জনস্বার্থ মামলা রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এর মধ্যেই একটি মামলায় নতুন করে আবেদন নিয়ে এসেছিলেন এক মামলাকারী। এই সময়ই উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “মামলা তো চলছে। কেন আবার নাক গলাচ্ছেন? এ নিয়ে তো অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মামলা রয়েছে। তা ছাড়াও এত মামলা রয়েছে। আমরা কিন্তু সব মামলার শুনানি স্থগিত করে দিতে বাধ্য হব। শেষ কয়েক মাসে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না।” 

    মামলা প্রত্যাহার

    তিনি বলেন, “মামলা তো দায়ের করেছেন। নতুন করে আবেদন কেন? মামলা প্রত্যাহার করে নিন। না হলে মামলা খারিজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া অর্থদণ্ড দেব। আপনারা কি আদালতের সঙ্গে রাজনীতির খেলা শুরু করার চেষ্টা করছেন? আদালতের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখুন।” এর পরেও মামলাকারী অনড় থাকায় তাঁর মামলা খারিজ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির দফতরে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবশ্য এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেও রাজনৈতিক মামলার বহর দিন দিন বেড়ে যাওয়া উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)। তার দিন দুই আগেও ওই একই কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্টেরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, “সারা দিন কি শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না!এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।” তিনি এও বলেছিলেন, “এই সব মামলা আমি রিলিজ করে দেব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭ থেকে ২৮টা মামলা রয়েছে। তার ওপর এই রকম আরও ১০টা মামলা এখনই রয়েছে। এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 pargana: মাদ্রাসার বাথরুমে ছাত্রীকে ধর্ষণ! গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

    South 24 pargana: মাদ্রাসার বাথরুমে ছাত্রীকে ধর্ষণ! গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মধ্যে নাবালিকা ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওই স্কুলেরই অস্থায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 pargana) ঢোলাহাট থানার হাই মাদ্রাসা স্কুলে। এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড় রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। বিরোধীরা বারবার দাবি করে, মমতার আমলে বাংলা নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে গিয়েছে। বিরোধীদের এই অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা জেলায় জেলায় মহিলা নিগ্রহের একাধিক ঘটনা সামনে আসতেই বোঝা যাচ্ছে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মণিপুরের ঘটনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্যের নারীদের নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন কি? এটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলছে নির্যাতিতার পরিবার?

    নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে স্কুলের বাথরুমের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই হাই মাদ্রাসা স্কুলের (South 24 pargana) অস্থায়ী শিক্ষক ফইজুদ্দিন মোল্লা। শুধু তাই নয়, পরিবারের আরও অভিযোগ, এরপর ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে তাকে বাথরুমের মধ্যেই তালা দিয়ে আটকে রেখে পালিয়ে যায় ওই অস্থায়ী শিক্ষক। এরপর অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরিবারের লোকজন ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে বাথরুমের মধ্য থেকে উদ্ধার করে। এরপরেই ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী পরিবারের কাছে সমস্ত ঘটনা জানায়। 

    পকসো ও ভারতীয় দন্ডবিধি ৩৭৬ ধারায় মামলা রজু পুলিশের

    পরবর্তী সময় ওই ছাত্রীর পরিবার রবিবার ঢোলাহাট থানায় অস্থায়ী শিক্ষক ফইজুদ্দিন মোল্লার নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত নামে ঢোলাহাট থানার (South 24 pargana) পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। সোমবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয় ফইজুদ্দিনকে। ওই অস্থায়ী স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও পকসো আইনে মামলা রজু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। অন্যদিকে ওই ছাত্রীর পরিবার ওই অস্থায়ী শিক্ষকের কঠিনতম শাস্তির দাবি তুলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    RSS: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রবীণ আরএসএস (RSS) নেতা মদন দাস দেবী। বয়স হয়েছিল ৮১। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন আরএসএসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়। উল্লেখ্য, শুধু আরএসএস নয়, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তিনি ন্যাশনাল অর্গানাইজিং সেক্রেটারিও ছিলেন। আরএসএসের ট্যুইটবার্তা অনুযায়ী, সকাল ৫ টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর রাজারাজেশ্বরী নগরে একটি হাসপাতালে তাঁর প্রয়াণ ঘটেছে। অটলবিহারী বাজপেয়ি এবং লালকৃষ্ণ আদবানির সমসাময়িক এই নেতা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরএসএসের নানা চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বচ্ছন্দ্যে কথা বলার ক্ষমতা রাখতেন। আরএসএস এবং বিজেপির বহু শীর্ষ নেতার আদর্শ তিনিই।

    শোক প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির

    প্রবীণ এই নেতার (RSS) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন তাঁর কাছে। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, “মদন দাস দেবীজির প্রয়াণে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতির সেবায় তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, শুধু এমনটাই নয়, তাঁর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। এমন একটা বেদনাদায়ক সময়ে তাঁর পরিবার এবং কর্মীদের ঈশ্বর শক্তি দিন।”

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও আরএসএসের (RSS) ওই প্রবীণ নেতার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মৃত্যু সংবাদ বেদনাদায়ক। তাঁর চিন্তাভাবনা এবং জ্ঞান সব সময় আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। দেশপ্রেমী মানুষ এবং দলের কার্যকর্তারাও তাঁর আদর্শ এবং অনুপ্রেরণায় সমৃদ্ধ।

    শেষ জীবন

    বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি সংগঠনের নানা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেও শরীর যতটা দিত, সেই অনুযায়ী সারা দেশ ঘুরে বেড়াতেন। দিল্লি এলে থাকতেন আরএসএসের (RSS) দীনদয়াল উপাধ্যায় রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাততলার কমিউনে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এই নেতা সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদকের পদে কাজ করেছেন। সর্ব সময়ের এই প্রচারক শেষ জীবনে অসুস্থতার কারণে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন চিকিৎসার জন্য। আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর নশ্বর দেহ স্থানীয় সঙ্ঘ কার্যালয়ে দুপুর দেড়টা থেকে চারটে পর্যন্ত রাখার পর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পুনেতে। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarkeswar: শ্রাবণের প্রথম সোমবার! শিবভক্তদের ভিড়ে ঠাসা তারকেশ্বর, ৬ জোড়া ট্রেন পূর্ব রেলের

    Tarkeswar: শ্রাবণের প্রথম সোমবার! শিবভক্তদের ভিড়ে ঠাসা তারকেশ্বর, ৬ জোড়া ট্রেন পূর্ব রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণের প্রথম সোমবার। দেশজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত আজ মেতেছেন দেবাদিদেব মহাদেবের আরধনায়। পুরাণ বলে, শ্রাবণের সোমবার হল শিবের জন্মবার। তাই এইসময় মহাদেব ভক্তদের প্রতি বিশেষ প্রসন্ন হন। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় শৈব তীর্থ তারকেশ্বর (Tarkeswar)। ফি বছর লাখ লাখ ভক্ত পায়ে হেঁটে জল নিয়ে যান মহাদেবের উদ্দেশে। চলতি বছরের শ্রাবণের পয়লা সোমবারে লক্ষাধিক পূর্ণাথীর ভিড় দেখা গেল তারকেশ্বর মন্দিরে। 

    চলতি বছরে শ্রাবণ মাসে ৮টি সোমবার পাবেন ভক্তরা

    প্রথা অনুযায়ী, মূলত প্রতি বছর গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয় এখানে শ্রাবণী মেলা। রাখী পূর্ণিমার দিন পর্যন্ত চলে মেলা। বাংলা পঞ্জিকা মতে, চলতি বছরের শ্রাবণ মল মাস। এবছর তাই মোট ৮টি সোমবার পাবেন ভক্তরা মহাদেবের মাথায় জল ঢালতে। ১৭ আষাঢ় অর্থাৎ গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণী মেলা, দুই মাস চলবে এই মেলা। শেষ হবে আগামী ১২ ভাদ্র রাখী পূর্ণিমার দিন।

    তীর্থযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ৬ জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালাচ্ছে পূর্ব রেলওয়ে 

    লাখ লাখ ভক্ত পাড়ি দেবেন তারকেশ্বরের (Tarkeswar) উদ্দেশে। তাই তাদের যাতায়তে যেন কোনও অসুবিধা না হয়, তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে ভারতীয় রেল। মোট ৬ জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে তারকেশ্বরের রুটে। প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, মেলা উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে পূর্ণার্থীদের সুরক্ষার স্বার্থে। তারকেশ্বরের (Tarkeswar) মূল মন্দিরে প্রবেশের আগে মোট আটটি ড্রপ গেট করেছে প্রশাসন। রয়েছে সাতটি পুলিশি সহায়তা ক্যাম্প, চারটি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্যাম্প। পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন দুধপুকুর হল ভক্তদের অন্যতম আস্থার কেন্দ্র। এখানে স্পিড বোট সহ সর্বক্ষণ হাজির থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলার একটি দল। ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার ব্রিগেডের একটি টিম। মোতায়েন করা হয়েছ বোম্ব ডিসপোশাল টিমও। তীর্থযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রাস্তায় পর্যাপ্ত পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aliah University: দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতারা! আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের গণ ইস্তফা

    Aliah University: দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতারা! আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের গণ ইস্তফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছেন সংগঠনের নেতারা, এমন অভিযোগ জানিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সব নেতা একযোগে পদত্যাগ করলেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস এবং নিউ টাউন ক্যাম্পাসের বিক্ষুব্ধ পদাধিকারীরা ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মীর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন পদত্যাগীরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘সব অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এটা একেবারেই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা খুব তাড়াতাড়ি নতুন কমিটি তৈরি করব। তবে আমরা নিশ্চিত যে, আলিয়ার পড়ুয়ারা আগের মতোই টিএমসিপির সঙ্গেই রয়েছে।’’ তবে পড়ুয়াদের মধ্যে যে পরিমাণে ক্ষোভ জমছে তাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতার বিবৃতিতে যে চিঁড়ে ভিজবে না তা বলা বাহুল্য।

    সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য মমতার আমলেই গড়ে ওঠে এই বিশ্ববিদ্যালয়

    শুধুমাত্র সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় (Aliah University) তৈরি হয় তৃণমূলের আমলেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ক্যাম্পাস তৈরি করেন। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা রকমের অভিযোগ উঠছিল বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। কেরলের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস এম ওয়াহাবের নাম অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র নেতারা?  

    বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের টিএমসিপি সাধারণ সম্পাদক ওয়াদিল আলম পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, ‘‘আলিয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখানে নানা অনিয়ম চলছে। লেখাপড়া তো হচ্ছেই না, তার সঙ্গে একের পর এক দুর্নীতি হয়ে চলেছে। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় আমরা ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ পদত্যাগীদের আরও দাবি, পড়ুয়ারাও ক্ষুব্ধ। একদিনে এই ক্ষোভ তৈরি হয়নি বলেও দাবি তাঁদের। পড়ুয়াদের স্বার্থপূরণ হয়নি বলেই পদত্যাগের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নানা অনিয়মের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) গেট থেকে সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নাকি দুর্নীতি হয়েছে। টেন্ডার ছাড়াই একজনকে হোস্টেলের খাবারের কনট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে। এসব নানা অভিযোগ উঠছে। যার বিরুদ্ধে এত অভিয়োগ সেই মীর সিদ্দিকি এদিন বলেন, ‘‘আমি সংগঠনের স্বার্থেই যা করার করেছি। কোনও অন্যায় কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share