Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা নির্মিত হয়েছে”, সোমবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। আসলে, চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা ভুলে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান ৩-এর ইতিহাস লিখতে চাইছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-এর নকশা তৈরি করা হয়েছে ব্যর্থতাকে ভিত্তি করেই। 

    ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’ ঠিক কী?

    সাধারণত, অধিকাংশ মিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ‘সাফল্য-ভিত্তিক নকশা’। যা চন্দ্রযান ২-এর সময়ও করা হয়েছিল। এই নকশার ভিত্তি হল সাফল্য। অর্থাৎ, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ করলে, সফল হতে পারে একটি গোটা মিশন। অন্যদিকে, ব্যর্থতা-ভিক্তিক নকশা উল্টো পথে হাঁটে। এখানে দেখা হয়, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ না করলে, ব্যর্থ হতে পারে মিশন। এবার সেই ভুলগুলো শুধরানোর জন্য কী কী করা প্রয়োজন, যাতে ব্যর্থতার মুখ না দেখতে হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যর্থতার যাবতীয় সম্ভাব্য কারণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয়। এইভাবে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা হয়। 

    ইসরো প্রধানের যুক্তি

    ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, “খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় চন্দ্রযান-২ খুব কম পরিমাণেই আলোর তীব্রতা সহ্য করতে সক্ষম ছিল। আঘাত সইবার ক্ষমতাও ছিল কম। আমরা বিষয়টিকে মাথায় রেখে চন্দ্রযান-৩-কে তৈরি করেছি। চন্দ্রযান-২-এর নকশায় কী কী ভুল ছিল সেগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভুলগুলি শুধরে নিয়ে আমরা চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা প্রস্তুত করেছি। কী কারণে আমাদের আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল সেই বিষয় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারে কীভাবে চন্দ্রযান-৩-কে রক্ষা করা যায় তার উপায়গুলো খুঁজে বার করা হয়েছে।” চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করে রোভারকে স্থাপন করে গবেষণার কাজ চালাবে চন্দ্রযান-৩। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩-এর সাহায্যে উৎক্ষেপিত হবে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩-এ থাকছে প্রোপালশান, ল্যান্ডার, রোভার। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। আশা করা হচ্ছে চাঁদের বুকে সেটি অবতরণ করবে ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে। 

    আরও পড়ুন: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    চন্দ্রযান-৩ নিয়ে আশা

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশন সফল হলেই চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান অবতরণকারীদের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম তুলবে ভারত। জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর কথায়, “চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ পরবর্তী চেষ্টা। চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ড করে রোভারকে স্থাপন করার ক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। চাঁদের কক্ষপথে যাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই মহাকাশযানটিকে তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভারটি কাজ করা শুরু করবে। ১৪ দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের ১ দিনের সমান) ধরে চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে থাকা একাধিক ক্য়ামেরার মাধ্যমে হাতে আসবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Most Powerful Military 2023: বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন সেনা! জানেন ভারতের স্থান?

    Most Powerful Military 2023: বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন সেনা! জানেন ভারতের স্থান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের (Most Powerful Military 2023) তকমা পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থেকে আমেরিকার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে রাশিয়া ও চিন। গত বছরের সঙ্গে তুলনায় তালিকায় স্থান অপরিবর্তিত রইল এই তিন দেশের। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব়্যাঙ্কিংয়ে স্থান অপরিবর্তিত রয়েছে ভারতেরও। গত বছরের মতো এবারও চতুর্থ স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লি।

    ব়্যাঙ্কিংয়ে কে কোথায়

    বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশই সামরিক শক্তি (Military Strength) বাড়াতে তৎপর। বলা যায়, কোন দেশ সামরিক শক্তিতে কতটা শক্তিশালী (Most Powerful Military 2023), সে ব্যাপারে ভিতরে-ভিতরে প্রতিযোগিতাও শুরু হয়েছে। সাধারণভাবে যে দেশের পারমাণবিক শক্তি যত বেশি, সেই দেশ সামরিক দিক থেকে ততটা শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি স্থল, জল ও নৌ বাহিনীর শক্তিও তুলনীয়। প্রতি বছর এই সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (GFP) অন্তত ৬০টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সামরিক শক্তির ব়্যাঙ্কিং দেয়। চলতি বছরে ১৪৫টি দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব়্যাঙ্কিংয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    চিন ও পাকিস্তানকে রুখতে গত কয়েক বছর ধরে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত। ফলে আগামী দিনে চিনকে পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে ভারত, বলে দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। সামরিক শক্তির দিক থেকে গত বছর অষ্টম স্থানে ছিল ব্রিটেন। এবার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে এই দেশ।

    আরও পড়ুন: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    অন্যদিকে ব়্যাঙ্কিং (Most Powerful Military 2023) খারাপ হয়েছে জাপান ও ফ্রান্সের। গত বছরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল জাপান। এবার তিন ধাপ নেমে অষ্টম স্থানে চলে এসেছে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র। সপ্তম থেকে নবম স্থানে নেমেছে ফ্রান্সও। প্রথম দশে জায়গা পেয়েছে পাকিস্তানও। সপ্তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি কম শক্তিশালী ১০টি দেশর তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভুটানের নাম। হিমালয়ের কোলের দেশটি ছাড়াও তালিকায় জায়গা পেয়েছে সোমালিয়া, মলডোভা, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও আইসল্যান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে (Odisha Train Accident) করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলের তিন আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই তিন আধিকারিকের কাজকর্মের জেরেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এদিন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মোহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। সিবিআই জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ২০১ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনকে।

    করমণ্ডল দুর্ঘটনা 

    গত ২ জুন বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) বাহানগা স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইনের পরিবর্তে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে থাকা আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। ওই লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। তার পিছনে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। এরই কয়েকটি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই সময় ওই লাইনে আসছিল ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ২৮৮ জন। আহত হয়েছিলেন এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ। 

    তদন্ত শুরু রেলের

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে রেলের সেফটি কমিশন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জানা যায়, সিগন্যালের ভুলের কারণেই ঘটেছিল মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। মূলত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একাধিক ভুলের জন্য মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এএম চৌধুরীও তাঁর রিপোর্টে দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্তরে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে খড়্গপুর ডিভিশনের বাঁকড়া নয়াবাজ স্টেশনেও এই একই ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছিল সিগন্যালিংয়ে। যার জেরে ভুল করে ট্র্যাকে ঢুকে পড়েছিল ট্রেন। এই রিপোর্টটি সিবিআইকে দেওয়ার কথা। কারণ এই দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) নেপথ্যে অপরাধমূলক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত করছে সিবিআই-ও। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক, চাঞ্চল্য অন্ডালে

    Asansol: তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক, চাঞ্চল্য অন্ডালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। এরই মাঝে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে চঞ্চল্যকর দাবী করে কিছু পোস্টার দেখা গেল। এরপর থেকে পোস্টারকে ঘিরে খনি অঞ্চলের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগল শুরু হয়েছে। ঘটনাটি রানীগঞ্জ বিধানসভার (Asansol) অন্ডাল ব্লকে ঘটেছে। 

    কার বিরুদ্ধে পোস্টার (Asansol)?

    শুক্রবার অন্ডালের (Asansol) দিগনালা ও অন্ডাল বাজার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় অন্ডাল ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এলাকার জেলা পরিষদ প্রার্থী কালবরণ মন্ডলের নামে বেশ কিছু পোস্টার নজরে আসে। পোস্টারে লেখা ‘তৃণমূল ব্লক সভাপতি কালবরণ মন্ডল নানান অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, এলাকায় জমি-কয়লা-বালির অবৈধ কার্যকলাপ করেন।” দীর্ঘদিন তিনি শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক সভাপতির পদে ছিলেন। কিন্তু এতদিনেও সাধারণ মানুষের চেয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধির কথাই বেশি ভেবেছেন বলে পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি (Asansol) কালবরণ মণ্ডল বলেন, ভোটের ঠিক একদিন আগেই এই ধরনের পোস্টার তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের চক্রান্ত। পাশাপাশি কালবরণ মণ্ডল নাম না করে দলের অভ্যন্তরে তাঁর বিরোধীদের দিকেও পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করেন। যদিও কালবরণ মণ্ডল এই ধরনের পোস্টারকে কোনও রকম আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ জানেন তাঁর ব্যক্তিত্ব কেমন, আর তার প্রতিফলন আগামী ৮ই জুলাই মানুষ ভোট বাক্সে দেখিয়ে দেবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডালের (Asansol) বিজেপির ব্লক সভাপতি সোহন রাবনী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত অন্ডালে। এই ধরনের পোস্টার তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বিজেপি নেতা আরও দাবি করেন, পোস্টারে যে সকল জিনিস কালবরণের বিরুদ্ধে লেখা আছে, তা সবই সত্য। পোস্টারটিতে একেবারে নিচে লেখা, অন্ডাল সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম। এই পোস্টারে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা আছে যে, এই ধরনের ব্যক্তিত্বকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেন ভোট না দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলপির দৌলতপুরের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলফাজ হালদারের খুনের ঘটনায় এবার তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে কুলপির দৌলতপুরে নির্দল প্রার্থী গৌতম ব্যানার্জির প্রচারে (Panchayat Vote) বেরিয়েছিলেন আলফাজ হালদার। সেই সময় চুনফুলির মোড়ের কাছে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় আলফাজের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই বুথেই এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নুরউদ্দিন হালদার।

    আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আলফাজ

    স্থানীয় মানুষদের দাবি, নুরউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের একটা পারিবারিক বিবাদ ছিল এবং আলফাজ এলাকায় একজন ভালো কংগ্রেস কর্মী বলেই পরিচিত ছিল। সেই রাত্রে তৃণমূল প্রার্থী নুর উদ্দিন হালদারের নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় আলফাজকে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় আলফাজ হালদারের। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    গ্রেফতার খুনীরা…

    বৃহস্পতিবার আলফাজের মৃত্যুর পরে রাতেই কুলপি থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ধৃতরা খাজমুর হালদার, আম্মাদুল্লা হালদার, আমিরুল হালদার, মনোয়ার হোসেন হালদার। দৌলতপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশি হেফাজতে চেয়ে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত কংগ্রেস নেতা আলফাজ হালদারের দেহ আজ ময়না তদন্তের পর দৌলতপুর গ্রামে নিয়ে আসা হবে।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বুথে বাহিনী চেয়ে বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিরোধীদের বিক্ষোভ

    North 24 Parganas: বুথে বাহিনী চেয়ে বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিরোধীদের বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে অর্ধেক আধা সেনা ও অর্ধেক রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বারাসত (North 24 Parganas) জেলা শাসকের দফতর এবং এক নম্বর বিডিও অফিসের আওতায় যেসব বুথগুলি রয়েছে তাতে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। তাই শুক্রবার সাতসকালে বারাসাত জেলাশাসকের অফিস এবং এক নম্বর বিডিও অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলে বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিপিআইএম প্রার্থীরা। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা জেলায়।

    অভিযোগ কী (North 24 Parganas)?

    ভোট কর্মীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তাই এখন তাঁদের কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে সবথেকে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি তাঁদের আরও বক্তব্য, বারাসত (North 24 Parganas) এক নম্বর বিডিও অফিসের বিডিও সৌগত পাত্র তৃণমূলের হয়েই কাজ করছেন। আগেও একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। পুলিশ প্রশাসন বলেছে, তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছায়নি। তাই এদিন বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিপিআইএম প্রার্থীরা। এছাড়াও এক নম্বর বিডিও অফিসে বিডিওকে ঘিরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করে ভোট কর্মীরা।

    সিপিআইএম বক্তব্য

    জেলার নেতা হাবিব আলি বলেন, মহামান্য কোর্টের আদেশকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলায় আর যেন কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয়, সেই জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দাবি বিডিও (North 24 Parganas) সাহেবের কাছে নিয়ে গেলে, উনি আইসির কাছে পাঠান আবার আইসি, বিডিওর কাছে যেতে বলেন। এভাবেই ঘুরতে থাকে দাবি গুলি, যার কোনও সমাধান হচ্ছে না। আমাদের অভাব অভিযোগের কথা কেউ শুনছেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কিনতে আদিবাসীদের দেওয়া হচ্ছে নগদ টাকা। বিলি করা হচ্ছে নতুন শাড়ি, কাপড়। নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটারদের টাকা ও শাড়ি দিতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটের আগে কেন এই ভাবে নিয়ম ভেঙে, ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ভোটের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) মুরারই এক নম্বর ব্লকের মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামে ঘটেছে। ওই আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর স্ত্রী বদরুন্নেসা খাতুন মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান ছিলেন। গতকাল বিকেলে হুমায়ুন কবীর তাঁর নির্বাচনী এলাকা বেলগড়িয়া গ্রামে আদিবাসী ভোটারদের টাকা ও শাড়ি বিলি করেছেন।এই বিলি করার ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে মহিলাদের শাড়ি দেওয়া হচ্ছে এবং পুরুষদের খাবারের জন্য হাতে করে পাঁচশো টাকার নোট দিতে দেখা গেছে। যদিও টাকা ও শাড়ি বিলি করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন, বিরোধীদের অপপ্রচার মাত্র। 

    বিরোধীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) সঞ্জীব বর্মন সিপিএম নেতা বলেন, টাকা বিলি এবং কাপড় শাড়ি বিতরণের বিষয়টি একদম সত্য। ঘটনা সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। যাঁরা টাকা দিচ্ছেন, তাঁরা সকলেই শাসক দলের লোক। নির্বাচনের আচরণ বিধিকে অমান্য করে এই অনৈতিক আচরণ করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে চোরেদের চুরি সম্পর্কে সকলে জেনে গেছে। তাই শাসক দল হারের সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরেই এইভাবে টাকা বিলি করছে। নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হলে তৃণমূলকে সাধারণ মানুষ বহিষ্কার করবে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুর (Murshidabad) থানার অন্তর্গত হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় বিশ্বনাথ মণ্ডল নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফাটে এবং অরবিন্দ মণ্ডল নামে আরও এক কংগ্রেস কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের দিন এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    পরিবারের (Murshidabad) অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূলের লোকেরা অরবিন্দেরকে মারধর করে, সেকারণেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। আর সেজন্যই গন্ডগোলের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে মারা গিয়েছেন। একই কথা বলে হত্যাকে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু নিহত পরিবারের লোক মানতে নারাজ, তাঁরা বলেছেন শাসকদলের লোকেদের হাতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডল (Murshidabad) বলেন, আমরা কংগ্রেস দল করি, শুধু মাত্র কংগ্রেস করবার জন্যই আমার স্বামীকে বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড তৃণমূল দুষ্কৃতীরা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত থেকেই ঝামেলা শুরু হয়েছে, রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রশান্তের নেতৃত্বে প্রথমে আক্রমণ করে। আর তারপর আজ সকালে, বাড়ির উঠানের সামনে ২০ জন দুষ্কৃতী প্রাশান্তের নেতৃত্বেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে প্রচণ্ড পেটায় আর তারপরেই আরবিন্দবাবুর মৃত্যু হয় বলে জানান অন্নপূর্ণাদেবী। মৃত অরবিন্দ বাবুর মেয়ে বলেন, এই ভোটের জন্য আমার বাবাকে কেন রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হল?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Murshidabad) এক তৃণমূলের নেতা বলেন বলন এই হত্যা কাণ্ডের পেছেনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আজ আমরা থানায় আক্রমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

    হিংসা এবং হত্যা নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধরির মন্তব্য

    কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাত করে ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। অথচ, মা মাটি মানুষের সরকারের শাসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ চলছে! সমস্ত পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইসি অফিসাররা কংগ্রেস কর্মীদের বার বার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশে বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে? পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করছে? তা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য প্রশাসনকে ভোটের পূর্বে ঘটা এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দি (Murshidabad) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচারে নির্দলদের পাশেই দেখা গেল ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য এবং জেলা পরিষদের নির্দল সদস্যদের নিয়ে মিছিল করেন। তাই নিয়ে জেলায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল। 

    কীভাবে প্রচার করলেন (Murshidabad)?

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সালার (Murshidabad) বাস স্ট্যান্ড থেকে কাজীপাড়া, দফাদার পাড়া ঘুরে বিধায়কের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ভোটের প্রচার করেন। সাথে ছিলেন তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতা নেত্রীরা। নির্দলদের প্রচারে ইতিমধ্যেই তৃণমূল দল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি বহু নির্দল প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ভরতপুর বিধানসভা। কিন্তু তারপরেও সালারের নির্দল প্রার্থীদের প্রচারে অটল থাকলেন হুমায়ুন কবীর।

    কী বললেন হুমায়ূন কবীর?

    নির্বাচনী প্রচার শেষে সাংবাদিকদের হুমায়ুন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, “এই নির্দলদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একমাত্র দায়ী জেলা তৃণমূল সভানেত্রী (Murshidabad) সাওনী সিংহ রায়। তাঁর অপসারণ আমার মুখ্য দাবি। তাঁর জন্যই আজ তৃণমূলের প্রকৃত সৈনিকরা নির্দল হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন ভরতপুর বিধানসভা এলাকায়, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় সৈনিক। হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, “নির্দল হলেও এই প্রার্থীরা প্রকৃতই দলেরই কর্মী-সৈনিক। তাঁদের পাশে আমি রয়েছি, সব সময় তাঁদের জয়লাভ করানো আমাদের লক্ষ্য। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ণ এবং উন্নয়ণের কান্ডারী এই নির্দল প্রার্থীদেরই ভোট দেবে।”

    তৃণমূলের সভানেত্রী কী বললেন?

    অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী সাওনী সিংহ রায় বলেছেন, “কে কী বলছেন আর কে কী করছেন, আমার তাতে কী আসে যায়! আমি কিছু বলবো না। সমস্তটাই রাজ্য নেতৃত্ব দেখতে পাচ্ছেন। দল নজরে রেখেছেন বিষয়টি। যদি কেউ মনে করে থাকেন, রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি খবর রাখে না, তাহলে সে ভুল করছে! ভুল ভাবছে! রাজ্যের চোখে সবকিছুই ধরা পড়ছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। দলের কাজ করেছে দল। তিনি আরও বলেন, হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) সংশোধন করার সময় দিয়েছে দল। যদি সংশোধন করেন ভালো! দলের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কারণ দলের কর্মীদের পরিশ্রম বৃথা যাবে না। ভোটের পরে বিষয়টি নিয়ে দল নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সবংয়ের বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: সবংয়ের বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের একদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। বিজেপি (BJP) সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সোনালী সিং ঘোড়াইয়ের স্বামী অরুণ ঘোড়াইকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ১২ নম্বর বুড়াল অঞ্চলের কেরুর এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার কোলাঘাট থেকে বিজেপি সমর্থিত (BJP) নির্দল প্রার্থী সোনালী সিং ঘোড়াইয়ের স্বামী অরুণ ঘোড়াই গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কেরুর এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরার নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। হাতে বোমা,বন্দুক,লাঠি,রড,নিয়ে তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন। প্রথমে বচসা হয়। পরে, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সবং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যে এলাকা থমথম রয়েছে। এই ঘটনায় সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল প্রার্থীর স্বামী?

    বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সোনালীদেবী বলেন, আমি বিজেপি (BJP) সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়েছি। আমার স্বামী খুবই পরিশ্রম করছেন। তাতে তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই, আমার স্বামীর উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। স্বামীকে প্রাণ নাশের চেষ্টা করেছে তৃণমূল। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই, যে বা যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরা বলেন, আমাদের কোনও সমর্থক মেরেছে  বলে আমার জানা নেই। এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে। এসব অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share