Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • BJP: শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান কাপড়, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান কাপড়, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বামফ্রন্টের আমলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের বাড়িতে সাদা থানা পাঠানো হত। গোঘাট, গড়বেতা, কেশপুরে এই ধরনের ঘটনা ঘটত। এবার সেই একই কায়দায় বিজেপি (BJP) মণ্ডল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান কাপড়। সঙ্গে রয়েছে গীতা মিষ্টি এবং ধূপকাঠি। প্রার্থীর অভিযোগ তার পরিবারকে আতঙ্কিত করতেই শাসকদল তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা বিভিন্ন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। কোথাও বিরোধীদের প্রার্থীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, আবার কোথাও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। ঠিক সেই রকমই শান্তিপুরের ২৮ নম্বর সমিতির বিজেপি (BJP) প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে সাদা কাপড়ের থান, মিষ্টি, গীতা এবং তুলসি পাতা ফেলে যাওয়াই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বক্তব্য, শাসক দল বোঝাতে চাইছে আমি খুন হয়ে যেতে পারি। এর আগেও আমাকে একাধিকবার বিভিন্ন হুমকি দেখানো হয়েছে। কিন্তু, আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করি। আমি এইসব হুমকিতে ভয় পাই না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে পরিবার কিছুটা হলেও আতঙ্কিত রয়েছে। এই ঘটনার পিছনে পুরোপুরি শাসক দল জড়িত। বিজেপি প্রার্থী মা মীরা চক্রবর্তী বলেন, সকালে কয়েকজন এলাকারই মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করে আমাকে ডাকতে থাকে। আমি গেটের বাইরে গিয়ে দেখি ওইসব জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। যেহেতু আমার ছেলে বিজেপি করে। এবার ও ভোটে দাঁড়িয়েছে, সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প়ঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী উৎপল বসাক। তিনি বলেন, তৃণমূল কখনও এই শিক্ষা লাভ করেনি। আমরা কোনও গণ্ডগোল কিংবা ঝামেলায় বিশ্বাসী নই। এই এলাকায় বিজেপি (BJP) একটা ভোটও পাবে না, সেটা বুঝেই নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামীর গাড়িতে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বুধবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বাপি গোস্বামী। তখনই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুটি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন জেলা বিজেপি সভাপতি। গাড়িতে মোট তিনটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুটি চিহ্ন গুলির। বাকি একটি চিহ্ন পাথর বা ভারী কিছু বস্তু দিয়ে গাড়ির পিছনে কাচে আঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপি (BJP) সভাপতি। 

    আতঙ্কের সেই ঘটনার বিবরণ

    বুধবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ বাপি গোস্বামী তাঁর মণ্ডল সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ভোট প্রচার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাপি গোস্বামী গাড়ির সামনে চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন। অন্ধকার রাস্তায় আসতেই আচমকা গাড়িতে বিকট শব্দ হয়। এর পরেই বাপি গোস্বামীর সিটের পাশের কাচে একটি গুলি করা হয়। তার পর গাড়ির সামনের কাচে আরও একটি গুলি করা হয় বলে জানিয়েছেন বাপি গোস্বামী। একটি মোটর সাইকেলে চেপে দুজন এসেছিল। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। সেই কারণেই দুষ্কৃতীদের চেহারা দেখতে পারেননি তিনি। কোনও প্রকারে ওই এলাকা থেকে দ্রুত গতিতে গাড়িটিকে নিয়ে বাপিবাবু ৩১ নং জাতীয় সড়কে উঠে পড়েন। সেখান থেকে সোজা কোতোয়ালি থানায় চলে আসেন৷ কোতোয়ালি থানার পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভিতর থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার করে। রাত প্রায় ৩ টে ১৫ নাগাদ বাপিবাবু কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলা সভাপতির (BJP) গাড়িটি আপাতত থানায় রেখে দিয়েছে পুলিশ।

    দিলীপ ঘোষের (BJP) সভার আগেই হামলা!

    বৃহস্পতিবার সকালে বাহাদুর এলাকায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি নির্বাচনী সভা রয়েছে। তার আগে জেলা সভাপতির গাড়িতে গুলির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।বাপি গোস্বামীর (BJP) অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীদের মাথার উপর শাসক দলের নেতাদের হাত না থাকলে তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারত না। ওই এলাকা এখন সমাজ বিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary recruitment case: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৯২৯টি পদে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে

    Primary recruitment case: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৯২৯টি পদে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পিছিয়ে গেল প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা (Primary recruitment case)। প্রাথমিকে ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন অবশ্য শুনানি হয়নি। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মামলার শুনানি হবে ১২ জুলাই। প্রাথমিকে নিয়োগের মূল মামলার সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও।

    শিক্ষা পর্ষদের দাবি

    ২০২০ সালে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় শিক্ষা পর্ষদ। যদিও অভিযোগ ওঠে, সব পদ পূরণ হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় জানা যায়, ১৬ হাজার ৫০০ পদের মধ্যে নিয়োগ হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ পদে। যার অর্থ হল, ঘোষণা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়নি ৩৯২৯ পদে। 

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
    মামলাটি (Primary recruitment case) প্রথমে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় মামলাকারীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    ডিভিশন (Primary recruitment case) বেঞ্চ সাফ জানায়, সকলকেই চাকরি দিতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। মে মাসে হাইকোর্টের ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন জানানো হয় মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় মূল মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারবার শিরোনামে উঠে আসা কোচবিহারে (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি সহ একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করবেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ কোচবিহারের সার্কিট হাউসে রাত কাটাবেন তিনি, তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই সঙ্গে  বলেন, হিংসায় আক্রান্ত সকল এলাকায় পরিদর্শন করবেন তিনি এবং এই পরিদর্শনের যাত্রাকে ‘মোবাইল রাজভবন’ বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    কী বলেছেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    উত্তরবঙ্গে গতকাল পাহাড়ে সফর শেষ করে কোচবিহারে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনের যাবেন রাজ্যপাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এলাকায় ভোট পরবর্তী ব্যাপক সন্ত্রাসের খবর উঠে এসেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দিনহাটাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক কর্মী। সামনেই ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। তাই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে মতপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। হিংসা ঠেকাতে জেলে রাখতে হবে গুন্ডাদের। যে সমস্ত দুষ্কৃতীদের সাহায্যে নেতারা এলাকাকে দখলে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে। ভারতবর্ষ স্বাধীন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, এই রাজ্যের পরিস্থিতিকে গণতন্ত্রের অনুকুল করতে হবে। কোচবিহারকে সন্ত্রাসকে মুক্ত করতে হবে এবং নাগরিকদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। হাইকোর্টের আদেশকে দ্রুত পালন করতে হবে কমিশনকে, বলেও মন্তব্য করেন সিভি আনন্দ বোস। পুলিশকে সাধারণ মানুষের মনকে ভয়মুক্ত করে বিশ্বাস এবং আস্থাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যের নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের অধীনে, নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যপাল নিযুক্ত করলেও নির্বাচনকে হিংসা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনেরই। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।

    অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান রাজ্যপাল

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল নিজে বলেছিলেন, রাজভবনের রাজ্যপাল নন জনগণের রাজ্যপাল হতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা এবং ভোটের প্রচারে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে রাজ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বারবার কড়া মত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কমিশনকে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের কথা খুব স্পষ্ট করে বলেছেন। রাজভবনে পিস রুম তৈরি করেছেন নিজে। রাজ্যের যে সকল স্থানে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, তাঁদের জন্য সরাসরি পিস রুমে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করেন রাজ্যপাল। ক্যানিং পূর্ব, ভাঙরে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল এলাকা এবং যেভাবে দুষ্কৃতীরা দৌরাত্ম্য চালিয়ে আইনকে হাতে তুলে নিয়ে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, সেই বিষয়ে কমিশনকে বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। দক্ষিণবঙ্গে মনোনয়নের সময় হিংসা কবলিত এলাকা এবং বিরোধী প্রার্থীদের এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহকে শান্তিপূর্ণ করেতে চাহাইছেন। সাধারণ মানুষ যাতে নিজেরদের ভোট নিজেরা ঠিক ঠাক দিতে পারেন সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কোচবিহারে (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মলেনে রাজ্যপাল রাজ্যের নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনকে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র বিপন্ন, মৃত্যু হয়েছে সুস্থ গণতন্ত্রের, তাই তার পুনর্জন্ম কামনা করে ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ করলেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। শনিবার সকালে বিজেপির শহর মন্ডল কমিটির ডাকে অশোক লাহিড়ীর নেতৃত্বে এই শ্মশান যাত্রার আয়োজন হয়। গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?   

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট বিজেপি পার্টি অফিস থেকে খিদিরপুর শ্মশান পর্যন্ত গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা করল বিজেপি। বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন শহর মন্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত সহ বিজেপি নেতৃত্বরা শনিবার গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন কিমি পথ অতিক্রম করে খিদিরপুর শ্মশানে যায় গণতন্ত্রের শব মিছিল। অশোক লাহিড়ী নিজেই মৃতদেহ বহন করেন।

    কেন শ্মশান যাত্রা?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু ঘটিয়েছে রাজ্য সরকার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন প্রায় ২০ হাজার প্রার্থী। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়, সেই কারণেই গণতন্ত্রের মৃতদেহ দাহ করে তার পুনর্জন্ম হোক, এই আশা প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur)।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য?

    বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur) জানান, যেভাবে রাজ্যে খুন জখম বেড়ে চলেছে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ দিতে হচ্ছে, তাতে বোঝা যায় রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সেকারণে এদিন গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, বালুরঘাটে আমরা দেখলাম গুটি কয়েক মানুষজন দলবল বেঁধে গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা করলেন। আমি বলবো পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র হত্যা হয়নি। গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে ২০১৪ সালে যখন ভারতবর্ষে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই হুমকির অভিযোগ বিদায়ী তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। হুমকির অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এমনকি ক্যামেরার সামনেও তুলে আনার হুমকি দিলেন বিদায়ী তৃণমূল প্রধান। প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন বিজেপি প্রার্থী।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান দীপক মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে। কোথাও মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার জন্য হুমকি, আবার কোথাও মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য বিরোধী প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সব অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধেই। এবার বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সমিতির প্রার্থীকে ফোন করে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দিল ওই অঞ্চলেরই বিদায়ী তৃণমূল প্রধান দীপক মন্ডল। সেই অডিও ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Nadia) গোবিন্দ রাজবংশী, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও বিধানসভা ভোটে বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর চালায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকায় তৃণমূলের সমর্থন দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে, তাঁকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য একাধিকবার শাসানি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে সমিতিতে লড়াই করছেন। সেই কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছেন। প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। আপাতত পুলিশকে জানিয়েছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিদায় তৃণমূল প্রধান (Nadia) দীপক মন্ডল বলেন, আমি ওই এলাকায় পুনরায় পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল হয়ে লড়াই করছি। কিন্তু বিজেপির সমিতি প্রার্থী গোবিন্দ রাজবংশী আমার এলাকায় এসে আমার নামে কুপ্রচার করছেন। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমাকে। সেই কারণেই আমি বারংবার তাঁকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে তার প্রমাণ দিতে। কিন্তু সে আমার সঙ্গে দেখা করছে না! এরপরেই তিনি আবার হুমকির সুরে বলেন,“দেখা করতেই হবে! না করলে প্রয়োজনের তুলে আনবো!” ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Digital Panchayat: স্বাধীনতা দিবস থেকেই পঞ্চায়েতে ডিজিটাল লেনদেন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    Digital Panchayat: স্বাধীনতা দিবস থেকেই পঞ্চায়েতে ডিজিটাল লেনদেন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত স্তরে আর্থিক দুর্নীতি ঠেকাতে দেশের সব পঞ্চায়েতে (Digital Panchayat) এই স্বাধীনতা দিবস থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হল। পঞ্চায়েতগুলিতে ডিজিটাল লেনদেন চালু করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ পাঠাল পঞ্চায়েত মন্ত্রক। কেন্দ্রের যুক্তি, এই নয়া পদ্ধতি আর্থিক স্বচ্ছতা আনবে। আর্থিক অনিয়ম নিয়ে গ্রামবাসীদেরও কোনও অভিযোগ থাকবে না। এই মর্মে দেশের সব রাজ্যের মুখ্য সচিবদের চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক। 

    পঞ্চায়েতে ইউপিআই লেনদেন

    চলতি বছরের ১৫ই অগস্টের পর থেকে, উন্নয়নমূলক কাজ হোক বা রাজস্ব সংগ্রহ – পঞ্চায়েত (Digital Panchayat) স্তরের কোনও কাজে নগদ লেনদেন করা যাবে না। সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে দেশের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতকে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩০ জুন), এই বৈঠক করতে হবে। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এই ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে হবে। ইউপিআই লেনদেনে সক্ষম হওয়ার পর, প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সাংসদ বা বিধায়কদের উপস্থিতিতে, সেই পঞ্চায়েতগুলিকে ডিজিটাল লেনদেনে সক্ষম বলে ঘোষণা করা উচিত বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক।

    দুর্নীতি দমন করবে ডিজিটাল লেনদেন

    রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই মন্ত্রকের তরফে লেখা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে যে, প্রায় ৯৮ শতাংশ পঞ্চায়েত (Digital Panchayat) ইতিমধ্যেই ইউপিআই ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন শুরু করেছে। পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (PMFS) মাধ্যমে প্রায় ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন পঞ্চায়েতগুলি থেকে ডিজিটালভাবে টাকার লেনদেন করা হবে। চেক ও নগদ অর্থ প্রদান প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের সচিব, সুনীল কুমার জানিয়েছেন,“পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে প্রায় ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থপ্রদান করা হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিতে অর্থপ্রদান এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করা হচ্ছে। চেক এবং নগদে অর্থপ্রদান প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। এখন প্রায় সব পঞ্চায়েতেই ডিজিটাল পেমেন্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় ৯৮ শতাংশ পঞ্চায়েত কভার করে ফেলেছি।”

    আরও পড়ুুন: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিলের দাবি, ডিজিটাল লেনদেন দুর্নীতি দমনে সাহায্য করবে। তিনি বলেছেন, “বেশিরভাগ পঞ্চায়েত এখন ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করছে। এটি দুর্নীতি রোধে সাহায্য করবে। পরিকল্পনা থেকে অর্থপ্রদান, সবকিছুই আজকাল ডিজিটালভাবে করা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুরের খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে অর্থ তছরুপের ঘটনায় সংস্থার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির (DRCS) পক্ষ থেকে করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সমবায়ের প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমুলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    কীভাবে ক্ষোভ পরিণত হল বিক্ষোভে?

    উল্লেখ্য, সিঙ্গুরের ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকরা তাঁদের জমানো টাকা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। তার পরেই সমবায়ে কোটি টাকা তছরুপের ঘটনা সামনে আসে। তৃণমুল পরিচালিত সমবায়ের (Singur) পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি অশোককুমার দাস ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ তোলেন। তারপর সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার অর্থ তছরুপের জন্য একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালনগর এলাকায় ক্রমেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। গরিব মানুষের অর্থ ফিরিয়ে দেবার দাবিতে সমবায় চত্বরে পোস্টার লাগায় বাম কৃষক সংগঠন। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সমবায় এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁদের হয়রানির কথা শোনেন।

    কীভাবে অবশেষে গ্রেফতার?

    ডেপুটি  রেজিস্ট্রার অফ কো অপারেটিভ সোসাইটি গত ১৬ ই জুন সিঙ্গুর থানায় সমবায়ের ওই দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ সমবায়ের ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করে ২৭ শে জুন চুঁচুড়া স্পেশাল আদালতে পাঠায়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এ বিষয়ে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, ডিআরসিএস থেকে একটা অভিযোগ করা হয় সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার একটা গরমিল করেছেন। তার প্রেক্ষিতে থানায় আইপিসি ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় একটি কেস শুরু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিভাবে তারা এত টাকা গরমিল করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ভোট সামনে বলেই গ্রেফতার? প্রশ্ন বিজেপির

    অন্যদিকে সমবায়ের এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি রাজ্যের গেরুয়া শিবির। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস বলেন, এত বড় ঘটনায় শুধু ম্যানেজার আর ক্যাশিয়ার জড়িত, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। একটা সিস্টেমে কাজ হয় সমবায়ে। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছু পাশ হয় না। ভোট এসে গেছে বলে এদের গ্রেফতার করে দেখানো হচ্ছে, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আছি। তাহলে এতদিন অ্যারেস্ট করা হয়নি কেন? এই ঘটনায় আরও যারা পিছনে আছে, সেই  সমস্ত রাঘববোয়ালদের সামনে আনতে হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের (Singur) টাকা ফেরত দিতে হবে।

    কী বলছে তৃণমূল?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিঙ্গুর (Singur) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, পরিচালন সমিতিকে অন্ধকারে রেখেই এইসব তছরুপ করা হয়েছে। এর সাথে বোর্ড কোনও ভাবে যুক্ত নয়। তদন্তে আইনি পথে যদি বোর্ডের কেউ জড়িত প্রমাণ হয়, তখন সে সাজা পাবে। দল কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। কাজের সুযোগ নেই। পেট পুরে খাবার জোটে না দু’ বেলা। দু’ বেলা অন্নের সংস্থানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ছেড়ে কাজের খোঁজে ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন দলে দলে মানুষ। সম্প্রতি গ্রিসে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক শো পাক নাগরিকের। ওই নৌকার ডেকের নীচে জোর করে যেতে বলা হয়েছিল পাক শরণার্থীদের।

    নৌকাডুবি

    নৌকাটিতে কমপক্ষে ৪০০ জন পাক নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন ১২ জন পাকিস্তানি। যাঁরা নৌকাডুবির কবলে পড়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। মিরপুরের পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল খালিদ মহম্মদ চৌহান জানান, গ্রিসে নৌকাডুবিতে ভেসে গিয়েছেন ১৬৬ জন। তিনি জানান, আগে যোগাযোগ করেছিল ৫০টি পরিবার। সোমবার যোগাযোগ করেছে আরও ৭০টি পরিবার (POK)।

    পুলিশের বক্তব্য

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না আইনের ভয়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি প্রশাসনের আর্জি, তাঁদের ছেলেমেয়ে যারা নৌকায় ছিল, তাদের সম্বন্ধে জানাতে। কারণ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে তাদের পরিবারের। পুলিশ আধিকারিক বলেন, নিখোঁজ কয়েকজন এখনও গ্রিসের জেলে বন্দি রয়েছেন। কয়েকজনের খোঁজে চলছে তদন্ত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার কবলে পড়া নৌকাটিতে যাত্রী ছিলেন ৭০০-রও বেশি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগই এসেছিলেন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকে। সিরিয়া, ঈজিপ্ট এবং প্যালেস্টাইনের বাসিন্দারাও ছিলেন ওই নৌকায়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকায় ছিলেন হাসান নামে একজন। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ১৫ জন নাবিক সহ নৌকাটিতে ছিলেন প্রায় ৭০০ যাত্রী। আমাকেও ডেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডেক থেকে ওপরে ওঠার জন্য আমাকে ১০ ইউরো দিতে হয়েছিল ওই নাবিকদের একজনকে। ডেকে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আমি ওপরে উঠে আসি।

    কাজের খোঁজে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দাদের যখন ভিন দেশে যেতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে বেঘোরে, তখন দিব্যি রয়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছে ৩৭০ ধারা। তার পরেই হাল ফিরেছে ভূস্বর্গের। পাতা হচ্ছে রেললাইন। হচ্ছে শিল্পও। সম্প্রতি শ্রীনগরে হয়ে গেল জি-২০ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশের প্রতিনিধিরাও। কাশ্মীরের উন্নতির জন্য মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরাও।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।      

     

  • Cancer: ক্যান্সার আক্রান্তের সামনে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নয়া দিশা “প্রোটন বিম থেরাপি”

    Cancer: ক্যান্সার আক্রান্তের সামনে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নয়া দিশা “প্রোটন বিম থেরাপি”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার (Cancer) এক এমন মারাত্মক রোগ, যার সঙ্গে লড়াই শুধু আক্রান্তের নয়, আক্রান্তের পরিবারেরও। এই মারণ রোগ এখন বর্তমানে এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, খোঁজ নিলে আশপাশে বেশ কয়েকটি বাড়িই মিলবে, যে বাড়ির সদস্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে টিউমার থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। তবে এখন এই রোগ থেকে মানুষ অনেকটাই ঝুঁকিহীন। কারণ বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে নানান চিকিৎসা পদ্ধতিরও আবিষ্কার হয়েছে, যা সহজেই মানুষকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ থেকে অনায়াসেই সুস্থ করতে পারে। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলস্বরূপই আমরা আজ পেয়েছি “প্রোটন বিম থেরাপি”। এই থেরাপির মাধ্যমে অনেক ক্যান্সার রোগীকে আজ নতুন জীবন দান করা সম্ভব হয়েছে।

    কী এই প্রোটন বিম থেরাপি (Cancer)?

    প্রোটন বিম থেরাপি হল এক ধরনের উচ্চ রেডিয়েশন থেরাপি, যা বর্তমানে চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয় ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলার জন্য। এটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শক্তির রশ্মি যা অনায়াসে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে পারে। প্রোটন থেরাপি এক ধরনের বাহ্যিক রশ্মি বিকিরণ থেরাপি, যার সাহায্যে শরীরের বাইরে থেকেই ব্যথাহীন ভাবে ত্বকের ওপর থেকেই বিকিরণ করা সম্ভব।

    প্রোটন থেরাপির (Cancer) উদ্দেশ্য কী?

    টিউমার থেকে উৎপন্ন ক্যান্সারকে ধ্বংস করতে এটি সাহায্য করে। টিউমারকে অস্ত্রোপচারের আগেই সঙ্কুচিত করা সম্ভব এই থেরাপির সাহায্যে। সাধারণত অনেক সময় কেমোথেরাপি নেওয়ার পরও ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু এই প্রোটন বিম থেরাপির মাধ্যমে সেই ঝুঁকিকে (Cancer) একেবারেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। এই থেরাপি ক্যান্সার কোষ বা টিউমারের ডিএনএ পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে। তার সঙ্গে আক্রান্ত জায়গার আশেপাশে আরও সুস্থ টিস্যু তৈরিতে এটি সাহায্য করে।

    কী ধরনের ক্যান্সারের (Cancer) ক্ষেত্রে এই থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে?

    গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত শিশুদের ক্যান্সার (Cancer) বা পেডিয়াট্রিক টিউমার, ব্রেন টিউমার, স্পাইনাল টিউমার, স্কাল বা করোটিতে টিউমার ইত্যাদিতে এই থেরাপি কার্যকর। একাধিক রেডিয়েশন দেওয়ার পরেও যাদের টিউমার বারবার ফিরে আসে, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রোটন বিম থেরাপি খুবই উপযোগী। প্রস্টেট ক্যান্সার, কিছু ধরনের স্তন ও ফুসফুস ক্যান্সার, হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার, প্যাংক্রিয়াটিস ক্যান্সার, এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার, সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার-এর ক্ষেত্রেও এটি এখন বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

    কী কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এই থেরাপিতে?

    কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এই থেরাপিতে (Cancer), যেগুলিও জেনে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন শরীরে ক্লান্তি ভাব, সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করা, চুল পড়া, মাথা ব্যথা, হজমের সমস্যা, ডায়ারিয়া প্রভৃতি।

    ভারতের কোথায় এই প্রোটন বিম থেরাপি (Cancer) চিকিৎসা হয় এবং খরচ কত? 

    ভারতের নানা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে এই চিকিৎসা পদ্ধতি (Cancer) আছে। তার মধ্যে অ্যাপোলো হসপিটাল থেকে শুরু করে অনেক হাসপাতালেই এর সুবিধা উপলব্ধ। এই প্রোটন বিম থেরাপি অনেকটাই ব্যয়বহুল, যা এখনও ভারতবর্ষে সর্বসাধারণের পক্ষে বহন করা খুব একটা সহজলভ্য নয়। ভারতে প্রোটন থেরাপির মোট খরচ প্রায় ১৫ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। এটি বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা সহজ নয়। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share