Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • PM Modi US Visit: ‘ভারত মাতা কি জয়, মোদি মোদি’ ধ্বনিতে নিউইয়র্কে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীকে

    PM Modi US Visit: ‘ভারত মাতা কি জয়, মোদি মোদি’ ধ্বনিতে নিউইয়র্কে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi US Visit) বিশেষ বিমান নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার অনেক আগে থেকেই সেখানে হাজির প্রায় শ’খানেক প্রবাসী ভারতীয়। সকলের হাতে তেরঙা। বিমানবন্দর থেকে বের হতেই শুরু হল ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘মোদি মোদি’ জয়ধ্বনি। বিমানবন্দর থেকে হোটেল যাওয়ার গোটা রাস্তার দুধারেও সারি সারি মানুষ। সেখানেও সকলের হাতে তেরঙা, মুখে ভারতের জয়ধ্বনি। কোথাও আবার আয়োজন করা হয়েছে নাচ-গানের আসরের। ওদিকে, বিখ্যাত হাডসন নদীর ওপর তখন দেখা গেল ২৫০ ফুটের ব্যানার আকাশে উড়ছে। এভাবেই মার্কিন মুলুকে স্বাগত জানানো হলো নরেন্দ্র মোদিকে। 

    বিমানবন্দরের বাইরে ভিড়

    বাইডেন প্রশাসনের আমন্ত্রণে তিনদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে গিয়েছেন মোদি। এটিই তাঁর প্রথম স্টেট ভিজিট বা সরকারি সফর। ভারতীয় সময় গতকাল রাতে নিউইয়র্কের মাটি ছুঁয়েছে তাঁর বিমানের চাকা। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো হয়। বিমানবন্দরের বাইরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে ভিড় করেছিলেন প্রবাসীরা। নাচে-গানে মোদিকে স্বাগত জানালেন তাঁরা। উপস্থিত ভক্তদের কাউকেই নিরাশ করেননি প্রধানমন্ত্রীও। হাত মেলান প্রবীণ থেকে নবীন সকলের সঙ্গে। 

    হোটেলের বাইরে উৎসবের মেজাজ

    হোটেলের বাইরে দেখা যায় নাচ-গানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi US Visit) স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি সারা। ভারতীয় পোশাকেই সেজেছিলেন প্রবাসীরা। অনেকের হাতে ছিল ভারতের পতাকা। আবার অনেকের জ্যাকেটে দেখা গেল মোদির মুখ। হোটেলে পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। নরেন্দ্র মোদিও সকলের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভ্যর্থনা জানান। সেই সময় হাডসন নদীর ওপর ২৫০ ফুটের ব্যানার দিয়ে স্বাগত জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে। 

    তিনদিনের সফরে কী কী কর্মসূচি মোদির?

    আজ সফরের প্রথম দিন নিউইয়র্ক স্থিত রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে রয়েছে। আজ (স্থানীয় সময় সকালে) ২১ জুন রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ দিবসের অনুষ্ঠানের পর ২২ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে যাবেন। যেখানে তাকে হোয়াইট হাউসে ঐতিহ্যবাহী সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ২২ জুন সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন। সেই দিনই আমেরিকান কংগ্রেসের যৌথ সভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)।

    আরও পড়ুন: ‘একতাই যোগ, এর মধ্য দিয়ে বিবিধতাকে উদযাপন করে ভারত’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘একতাই যোগ, এর মধ্য দিয়ে বিবিধতাকে উদযাপন করে ভারত’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: ‘একতাই যোগ, এর মধ্য দিয়ে বিবিধতাকে উদযাপন করে ভারত’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে যোগের প্রসারে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুস্বাস্থ্যের জন্য যোগ অত্যন্ত জরুরি। যোগের মাধ্যমে বসুধৈব কুটুম্বকম-এর মন্ত্র জোরালো হবে। বিশ্ব যোগ দিবসে (International Yoga Day) বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। আজ, ২১ জুন সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। মার্কিন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বমঞ্চেও যোগাসন ও ভারতের সঙ্গে এর নিবিড় সম্পর্ককে তুলে ধরেছেন মোদি। আজ যোগ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তিনি। তার আগেই বিশ্ব যোগ দিবসে দেশবাসীকে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    গোটা বিশ্ব এক পরিবার

    বিশ্ব যোগ দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে যোগাসন। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর মন্ত্র অনুসরণ করে যোগাসন করছেন। আমাদের ঋষি-মুনীরা যোগাসনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, “ভুজায়াতে আনেন ইতি যোগা”, যার অর্থ হল একতাই যোগ। সুতরাং বিশ্বজুড়ে যোগাসন ছড়িয়ে পড়ায় গোটা বিশ্ব এক পরিবারের চিন্তাধারাই বিকশিত হচ্ছে।”

    নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি

    এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতি বছরই আমি যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিই। কিন্তু এবার বিশেষ কিছু দায়িত্বের জন্য আমেরিকায় রয়েছি। তাই ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি।” প্রধানমন্ত্রী ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত যোগাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি।” এদিন বক্তব্য রাখার সময় মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতি হোক বা সমাজ, আদর্শ হোক বা দর্শন- সবকিছুতেই ভারত শান্তির বার্তা দিয়েছে, বেঁধে থাকার বার্তা দিয়েছে। বিবিধতাকে উদযাপন করেছে ভারত। এই সব কিছুতেই যোগের ভূমিকা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস, দিনটি সম্পর্কে জানেন?

    রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগ দিবস

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আজ আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে না পারলেও, যোগাসন থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে যোগ দিবস উপলক্ষে যে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তাতে আমি যোগ দেব। ভারতের আমন্ত্রণে বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশের যোগদান ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব। ২০১৪ সালে যখন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিবসের প্রস্তাব পেশ করা হয়, রেকর্ড সংখ্যক দেশ সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন।” যোগের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিবাদকে শেষ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রতি মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পর কটাক্ষ বিরোধীদের। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রতি জেলায় মাত্র এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। এর ফলে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতও জানায়, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে ভোট করতে হবে। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানেই আপত্তি বিরোধীদের।

    ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান

    এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাধারণত ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য থাকেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান থাকবেন প্রত্যেক কোম্পানিতে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান নিযুক্ত হবেন। এদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) হতে চলেছে মোট ৬১ হাজার বুথে। এরকম হলে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দায়িত্বে থাকতে পারে ২৮ টি বুথ! বিরোধীদের দাবি, এটা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাই আবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। 

    বিজেপির দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আদালতের নির্দেশের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ভোটে বুথ, সেক্টর, থানা, স্ট্রং-রুম এবং গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে যৌথ ভাবে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধেই যাতে অভিযোগ না ওঠে, তাই এই সিদ্ধান্ত। তাই আদালতের নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়, সেই দাবিই আমরা হাইকোর্টে জানাব।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাচারিতা, দখলদারি এবং নির্লজ্জতার বেনজির দৃষ্টান্ত রাজীব সিংহ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জনবিচ্ছিন্ন তৃণমূলকে বাঁচাতে চাইছেন। তবু আমরা বলছি যে, প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তৃণমূলকে।’’ শমীকের সংযোজন, ‘‘নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলকে রক্ষা করতে পারবেন না। আর গোটা বিষয়টাই আদালতের নজরদারিতে হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। এই ২২ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বিএসএফের ৮, সিআরপিএফের ৬, এসএসবির ৪ এবং আইটিবিপির ৪ কোম্পানি। এই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেই জন্য এস সি বুদাকোটিকে নোডাল অফিসার হিসাবে রাজ্যে নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: হয় মা নয় বৌমা! বিজেপির শাশুড়ি লড়ছেন তৃণমূলের বৌমার সঙ্গে

    Panchayat Election 2023: হয় মা নয় বৌমা! বিজেপির শাশুড়ি লড়ছেন তৃণমূলের বৌমার সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ময়দানে (Panchayat Election 2023) দেখা যাবে শাশুড়ি ও বৌমাকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগ্রা গ্রামের বৌমা ও শাশুড়ি একে অপরের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাঠে লড়াই করছেন। বৌমা মামণি মুর্মু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবং শাশুড়ি মায়া হেমরম বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে এবারের নির্বাচনে লড়াই করছেন। যাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ গ্রামবাসী তথা ভোটারদের মধ্যে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে একই পরিবারের বৌমা এবং শাশুড়ির লড়াইয়ের ফলে পারিবারিক বিষয়ে কোনও রকম প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁদের দাবি, রাজনীতির লড়াই রাজনীতির লড়াইতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। নিজের নিজের দলের উন্নয়ন মুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে গ্রামবাসীর কাছে ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন শাশুড়ি ও বৌমা দুজনেই।

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে এক গ্রামবাসী বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) হেমরম বাড়ির কাকিমা-শাশুড়ি ও বৌমা প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুজনেই আলাদা আলাদা দলের প্রার্থী, শাশুড়ি বিজেপির ও বৌমা তৃণমূলের। এটা বড় মজার ব্যাপার। দুজন একই পরিবারের। যে ভোটে জিতে গ্রামের উন্নয়ন করবে, আমরা তাকেই ভোট দেব।

    কী বলছেন বিজেপির প্রার্থী (শাশুড়ি) (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে বিজেপির প্রার্থী (শাশুড়ি) মায়া হেমরম বলেন, আমি আশাবাদী, আমি বিপুল ভোটে (Panchayat Election 2023) জিতবো। আমি ভোটে জিতে আগে গ্রামের উন্নয়ন করবো। আমরা শাশুড়ি বৌমা নির্বাচনে আলাদা আলাদা দলের প্রার্থী হলেও আমাদের পারিবারিক সম্পর্কটা কোনও দিন নষ্ট হবে না।

    কী বলছেন তৃণমূলের প্রার্থী (বৌমা) (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের প্রার্থী (বৌমা) মামণি মুর্মু বলেন, আমি এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) তৃণমূল থেকে প্রার্থী হয়েছি। সম্পর্কে আমার কাকিমা শাশুড়ি বিজেপির প্রার্থী হয়েছে। আমি আশাবাদী, আমি এই নির্বাচনে জয়ী হবো। আমরা একই বাড়ি থেকে শাশুড়ি-বৌমা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। লড়াই তো হবে। কিন্তু আমাদের পরিবারের মধ্যে কোনও ভাঙ্গন ধরবে না। আমাদের বৌমা-শাশুড়ির সম্পর্ক ভালোই থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Yoga Day 2023: মন আর শরীরকে তরতাজা রাখতে হাতিয়ার হোক যোগাভ্যাস! 

    Yoga Day 2023: মন আর শরীরকে তরতাজা রাখতে হাতিয়ার হোক যোগাভ্যাস! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিয়ম মাফিক যোগাভ্যাস বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই! প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট কিছু সময় যোগের জন্য বরাদ্দ করলে একাধিক সমস্যা কমবে। শরীরের পাশাপাশি মনকেও সুস্থ রাখে যোগাভ্যাস! আজ, ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস। আর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বছরের এই একদিন নয়। প্রত্যেক দিন সঙ্গী হোক যোগ (Yoga Day 2023)!

    কারা যোগাভ্যাস (Yoga Day 2023) করতে পারেন?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাভ্যাসের জন্য কোনও বয়সের সীমা নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউ যোগ করতে পারেন। নিয়মিত যোগ করলে, তার উপকার হয় দীর্ঘপ্রসারী। তবে, শিশুকাল থেকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হলে, তা আরও ভালো। কম বয়স থেকে যোগ (Yoga Day 2023) শুরু করলে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বেশি থাকে। তাই শিশুদের যোগে অভ্যস্ত করার বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন উপকার পাওয়া যায় (Yoga Day 2023)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাসের একাধিক উপকার রয়েছে। শরীরের পক্ষে যেমন খুব ভালো, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও এই অভ্যাস ইতিবাচক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যোগ শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। পাকস্থলী, লিভার, অন্ত্র সহ একাধিক অঙ্গ সক্রিয় রাখতে যোগাভ্যাস (Yoga Day 2023) খুব উপকারী। পাশাপাশি, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সচল থাকে। শরীরের সমস্ত অঙ্গের সক্রিয়তা বাড়ে। তাই পেশি মজবুত হয়। পেশির ব্যথা কমে। 
    যোগাভ্যাস করলে হাড়ের জন্যও উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত যোগাভ্যাস হাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়লেই পেশি ও হাড়ের সমস্যা কমতে থাকে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যোগ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তার ফলে, হৃদযন্ত্র সচল থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।

    মানসিক স্বাস্থ্যেরও বিকাশ ঘটে (Yoga Day 2023)

    যোগাভ্যাস শুধু শরীরের নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। নিয়মিত যোগ (Yoga Day 2023) মানসিক উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। কারণ, যোগাভ্যাসের জন্য মনঃসংযোগ করতে হয়। তাই মানসিক উদ্বেগ কমে। আর উদ্বেগ কমলে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে, তেমনি রক্তচাপ সহ একাধিক রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
    মানসিক অবসাদ ও চাপ কমানোর ক্ষেত্রেও যোগ খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস অবসাদ রুখতে সাহায্য করে। 
    শিশুদের মনঃসংযোগ বাড়াতে যোগাভ্যাস খুব উপকারী। তাই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    পাশাপাশি, মহিলাদের ওভারির সমস্যা, পিসিওডি কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের মতো সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস। এতে মানসিক স্থিতি বাড়ে। তাই শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। তার জেরেই উপকার হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশের পরেও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ, দাবি এনআইএ-র (NIA)। রাজ্য সাহায্য না করায় আটকে রয়েছে বহু মামলা। অভিযোগ, মামলার বহু নথিও দিচ্ছে না রাজ্য। এই সব অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    এনআইএ-র দাবি

    রামনবমীতে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য পুলিশকে সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিলের রায়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে নথি হস্তান্তরের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এনআইএ-র (NIA) অভিযোগ, রাম নবমী সংঘর্ষ নিয়ে তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য। এমনকী মামলা সংক্রান্ত কোনও নথিও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তদন্ত আটকে রয়েছে।

    বুধবার শুনানির সম্ভাবনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলায় কোনও অর্ডার নেই। গরমের ছুটির পড়ে সেই মামলার শুনানির কথা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    সক্রিয় এনআইএ

    এই মুহূর্তে এনআইএ কলকাতা শাখায় ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর মিলিয়ে ৬জন তদন্তকারী অফিসার রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের উপরেই অন্তত দু’ থেকে তিনটি কেসের চাপ রয়েছে। ফলে অফিসারদের নির্দিষ্ট কোনও কেসের উপর নজর দিতে সমস্যা হচ্ছে। আর এই দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন ডিজি দীনকর গুপ্তা। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে যত দ্রুত সম্ভব অফিসারের অভাব পূরণ করা হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের (Murshidabad) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তৃণমূল নেতা অশোক দাসকে পাশে বসিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি সিংহরায়কে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি তুললেন। শাওনির জায়গায় নিয়ামত শেখকে বসাতে হবে বলেও তাঁর দাবি। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলার আরও এক নেতা অপূর্ব সরকারকেও সরাতে হবে। কার্যত তৃণমূলের এই বিধায়ক জেলার নিজের দলের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর গুরুত্বকে আরও একবার প্রমাণ করতে দলের বিরুদ্ধে এভাবেই বিস্ফোরক হলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

    কীভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল?

    হুমায়ুন বলেন, এই জেলার (Murshidabad) রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘদিনের। অশোক দাসের মতো মানুষ ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সদস্য। সেই সময় এই জেলায় তৃণমূলের ভোটের পরিমাণ ছিল ৪%। পরে অশোক দাসকে দলের সভাপতি করলে ভোটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯%। সেই সময় তাঁকে জেলার ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। এরপর মোহম্মদ আলি যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন দলের ভোট ৯% থেকে ২৪% এ পৌঁছায়। যারা যোগ্য, যারা জিতেছে, তাদের মধ্যে কেউ দলের ক্ষমতায় নেই। কিন্তু যারা হেরেছে, তাদেরকেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে! ঠিক এইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান দলের বিধায়ক হুমায়ন কবীর।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ

    হুমায়ুন কবীর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন, আমরা ২১৩ জন বিধায়ক তখন মুখ্যমন্ত্রীকে দলনেত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কাছে শপথ নেওয়ার সময় আমরা বিধায়করাই সই করেছিলাম। সেখানে শাওনি সিংহরায় সই করেনি! হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের সামনে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাকে আগে প্রয়োজন! হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) না শাওনি সিংহরায়কে? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! তাঁর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে দলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নয়া মোড়, সিগন্যালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ‘নিখোঁজ’

    Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নয়া মোড়, সিগন্যালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ‘নিখোঁজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) কি ষড়যন্ত্র? বালেশ্বরের সোরো সেকশনের রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পলাতক। তাঁর বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই। তাঁর অন্তর্ঘাতের জেরেই কি তবে এত বড় বিপর্যয়? রাতদিন এক করে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। পলাতক রেল কর্মী আমির খানের খোঁজে এবার ওড়িশার সীমানা পেরিয়ে বাংলায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    বাংলায় তল্লাশি সিবিআইয়ের

    ওই রেল কর্মী খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল বিভাগের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রেলে কর্মরত ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই ছিল ওড়িশার সোরো, ধান্দপারা, বাহানাগা বাজার স্টেশনের সিগন্যাল রুমের দায়িত্ব। কিন্তু, ২ জুনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। তাঁর খোঁজেই ওড়িশার পাশাপাশি বাংলার দুই জেলায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে হুগলির ডানকুনি এবং পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায়। 

    ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি সিল

    রেলের ওই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের নাম আমির খান। তিনি সোরো সেকশনে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। সোমবার তাঁর বাড়িতে তাঁকে খুঁজতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। ফলে বাড়ি সিল করে দিয়ে আসে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই বাড়ির উপর তারা আলাদা করে নজর রেখেছে। করমণ্ডল দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর রেলের একাধিক কর্মীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময় এই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকেও এক বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে ওড়িশায় থাকলেও আমির আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, সিগন্যালের ত্রুটিতেই এমন দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু পরে রেলের তরফেও জানানো হয়, এ ক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রেলমন্ত্রী নিজে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া শুধু প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে এত বড় দুর্ঘটনা সম্ভব নয়। বাহানাগা বাজার স্টেশন মাস্টারের বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছিল বলে খবর। এদিকে, এর আগেই বাহানাগা বাজার স্টেশনের মাস্টার সহ পাঁচজনকে আটক করেছিল সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। তাঁদের একটি অজ্ঞাত পরিচয় স্থানে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয়েছে সিগন্যাল রুম, স্টেশন মাস্টারের ঘর সহ গোটা বাহানাগা বাজার স্টেশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Assam Flood 2023: জলের তলায় ৪৪৪টি গ্রাম, আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

    Assam Flood 2023: জলের তলায় ৪৪৪টি গ্রাম, আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম (Assam)। ভাসছে ৪৪৪টি গ্রাম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা সে রাজ্যের জেলায় জেলায়। রাজ্যের ১০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। প্রবল বর্ষণের কারণে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী ৫ দিন আসামের বেশ কিছু জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি লখিমপুরে

    বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চিরাং, দরং, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নলবাড়ি, সন্তিপুর, উদালগুড়ি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আসামের (Assam) লখিমপুর জেলায়। সেখানে ২২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা। কোকরাঝাড়ে প্রায় ১৮০০ জন বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪৭৪১.২৩ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসন ৭ জেলায় মোট ২৫টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

    আগামী ৫ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস 

    আগামী ৫ দিনে আসামের (Assam) বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। মৌসম ভবনের গুয়াহাটি শাখা সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা নিম্ন আসামের কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা, বরপেটা এবং বনগাইগাঁওয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। এই সমস্ত জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধুবরি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, নলবারি, দিমা হাসাও, কাচার, গোয়ালপাড়া এবং করিমগঞ্জ জেলাতেও আগামী ২৪ ঘণ্টা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে ডিমা হাসাও, কামরূপ মেট্রোপলিটন এবং করিমগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ধস নেমেছে।

    আরও পড়ুন: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের ‘থিমে’র রথযাত্রা

    এদিকে, টানা বৃষ্টির পাশাপাশি ভুটান জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। তার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামরূপে জাতীয় সড়কের উপর উপচে পড়েছে নদীর জল। বৃষ্টিপাত কমলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আসাম (Assam) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেতে হল রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি কাম্য নয়। অতীতে বাংলায় ভোটের সময় হিংসা দেখা গিয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছিল। সেই রায়তে কোনও সমস্যা নেই।’’

    শুনানি-পর্বে কী হল?

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্বকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে রাজ্যে যে সীমাহীন হিংসা ও রক্তক্ষয় হয়েছে, তা বিচার করে গত সপ্তাহেই সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে কমিশন

    বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি নাগরত্না রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘এমনিতে আপনারা পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) জন্য পাঁচ রাজ্যের থেকে পুলিশ চেয়েছেন। এদিকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হলে তার খরচ কেন্দ্রই বহন করবে। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?’’ 

    আবার, রাজ্য কমিশনের (Panchayat Election 2023) আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। তবে সংখ্যায় পুলিশকর্মী কম থাকায় অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মনোনয়ন পর্বে কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিমি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।’’ কমিশনের যুক্তি, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। তাছাড়া, নিরাপত্তার বিষয়টি রাজ্য দেখে। এখানে কমিশনকে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’’

    একথা শোনার পর বিচারপতি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনাদের উপর নয় যখন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তিত কেন? আপনারা আপনাদের কাজ করুন। যেখান থেকেই বাহিনী আসুক, আপনাদের অসুবিধা কোথায়?’’ এই প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share