Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে যাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি, তাঁরাই এখন ডাবগ্রাম ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। টিকিট না পাওয়া দলের বিক্ষুব্ধ যে আটজন নেতা-কর্মী নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় এখন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অনুনয় বিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতারা।  

    ‘অযোগ্যদের’ নিয়ে কেন এত চিন্তা তৃণমূলের (Panchayat Election)? 

    এ নিয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের এবারেরও প্রার্থী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে বিদায়ী উপ প্রধান নির্মল বর্মনের। নির্মলবাবু এই অঞ্চলে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মী। বাম আমলে তিনিই এই অঞ্চলে তৃণমূলের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য। দল এবার তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। নির্মলবাবু বলেন, আমরা তো অযোগ্য, গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাহলে আমাদের নির্দল প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব? একটু থেমে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, কোনও চাপ আমাদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধায় এলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবো না। এতদিন দেদার টাকা চুরি করেছে। এলাকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেতা ও প্রার্থীরা বুঝতে পারছেন, মানুষ তাঁদের গ্রহণ করছেন না। টাকার বিনিময়ে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। তাই এখন তৃণমূল নেতৃত্ব পাগল হয়ে গিয়েছে। 

    চাপে পড়ে কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    বিদায়ী প্রধান তথা তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্মল বর্মন এখন দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তা তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে ক্ষমতায় থাকতে করেননি কেন? নির্মল বর্মন কেমন, সেটা এলাকার মানুষ ভালোমতোই জানেন। তবু দলের থেকে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝাচ্ছি মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করার জন্য। যাতে পরে কেউ না বলতে পারে, দলের থেকে তাঁদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়নি, অভিমান ভাঙার সুযোগ পাননি তাঁরা। তারপরেও কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের অসহনীয় সঙ্কট ও বেহাল রাস্তা তৃণমূলকে এবার এখানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠের (Tarapith) মা তারা দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। সাধক বামাখ্যাপার সাধনভূমি সারা বছরই গমগম করে ভক্তদের ভিড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, মা তারা তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। সারা বছরে বিশেষ কিছু পবিত্র তিথিতে তারাপীঠে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রথযাত্রা। কথিত আছে, বামাখ্যাপার সময় থেকেই রথযাত্রার দিন মা তারা রথে চড়ে পথে পা বাড়ান। আবার অনেকে মনে করেন, তারাপীঠের দ্বিতীয় সাধক আনন্দনাথের সময় থেকে মায়ের এই নগর ভ্রমণ শুরু। সেই সময়ে মায়ের রথ তৈরি হয়েছিল পিতলে। এখনও সেই রথেই ওঠেন মা তারা। ভক্তরা টানেন মায়ের রথের দড়ি।

    রথের দিন কী কী হয় তারাপীঠে (Tarapith)?

    ফি বছর পিতলের রথকে পালিশ করে সাজানো হয়। রথের দিন দুপুরে অন্নভোগ দেওয়ার পরে মায়ের রথ বের হয় বিকাল ৩ টে নাগাদ। রথের সঙ্গে চলতে থাকে নামগান। ভক্তরা আনন্দে মেতে ওঠেন। ফলমূল সহযোগে নৈবেদ্য সাজান গৃহস্থরা। শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক। রীতি অনুযায়ী, উত্তরমুখে যাত্রা শুরু করে দ্বারকা সেতু পেরিয়ে রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রোড ধরে তিনমাথা মোড়ে পৌঁছয় মায়ের রথ। ওখান থেকে একই পথ ধরে মন্দিরে ফেরেন মা। রথ থেকে সেবায়েতরা মায়ের প্রসাদ বাতাসা ও পেঁড়া লুট দিতে থাকেন। এ এক অসামান্য দৃশ্য। ভক্তের ঢল নামে পথেঘাটে। রথের রশি স্পর্শ করলেই কেটে যাবে সব বিপদ, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। ‘জয় মা তারা’ ধ্বনি তুলে ভক্তরা প্রার্থনা করেন।

    কীভাবে প্রচলন তারা মায়ের রথযাত্রার?

    তারা মায়ের রথের কবে থেকে প্রচলন, তা নিয়ে অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। একটি মহল বলে, বামাখ্যাপার আমল থেকেই রথযাত্রার শুরু। তাঁদের মতে, সাধক বামাখ্যাপার আমলেই তারা মাকে রথে বসিয়ে, জগন্নাথ রূপে বিশেষ পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। আবার অন্য একটি মহলের মতে, প্রখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ এই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁরা তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করেন। সেখানেই রথযাত্রার সঙ্গে দ্বিতীয় আনন্দনাথের নাম জড়িয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Panchayat Election 2023: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, সোমবার এই বার্তাই দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে অশান্তি। কখনও মনোনয়নপত্রকে পেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ, কখনও আবার প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য বিরোধীদের চাপ দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য।

    অশান্ত ভাঙড়

    মনোনয়ন পেশ-পর্বে হিংসার জেরে কেবল ভাঙড়েই খুন হয়েছেন ৩ জন। নিরাপত্তার আশঙ্কায় কাঁটা খোদ বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। কেন্দ্রের কাছে সুরক্ষার আর্জি জানানোয় তাঁকে দেওয়া হচ্ছে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। অশান্তির এই আবহে রাজভবনে খোলা হয়েছে পিস রুম। এখানে যে কোনও বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। সেজন্য ফোন নম্বর এবং ই-মেইলও দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকেই কার্যত অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করেছে রাজভবনের পিস রুমে (Panchayat Election 2023)।

    অভিযোগের পাহাড়

    রাজভবন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিরোধীরাও যেমন রয়েছেন, তেমনি অভিযোগ জানানো হয়েছে শাসক দলের তরফেও। মঙ্গলবার পিস রুম পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল স্বয়ং। তিনি বলেন, “যে সংখ্যায় অভিযোগ আসছে, সেটা দিয়ে এটা বোঝানো যায় না যে রাজ্যে হিংসা বাড়ছে। কিন্তু এটা বলা যায় যে পিস রুমের ওপর মানুষের আস্থা বাড়ছে।” অভিযোগগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “রাজভবন অভিযোগগুলো আলাদা করে যেগুলোকে রাজ্যকে দেওয়া প্রয়োজন সেগুলো রাজ্যকে দিচ্ছে, যেগুলো নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রয়োজন, সেগুলো তাদের দেওয়া হচ্ছে। দুই তরফেই সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    রাজ্যপাল (Panchayat Election 2023) বলেন, “সরকারকে যা করতে হবে, সেটা আমি মুখ্যমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি। সংবিধান অনুযায়ী যেটা করতে হবে সেটা আমি বুঝে নেব। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কিছু বলবেন না। শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। কোনওরকম দখলদারি চলবে না।” তিনি বলেন, “এ রাজ্যে হিংসা কোনও কল্পনা নয়, এটা বাস্তব। এটা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এটার ওপরই আমি আলোকপাত করছি।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • BJP: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    BJP: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই! মনোনয়নপত্র না তুলে নিলে বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ওই প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক দেখা করতে এলে পুলিশের সামনেই পুরো বাড়িটি ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ঘর ছাড়া ওই বিজেপি প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। বর্তমানে চাইলে মনোনয়নপত্র তুলে নিতে পারে বিভিন্ন প্রার্থীরা। মনোনয়ন তোলার শেষদিন মঙ্গলবার। 

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    রাজ্যজুড়ে অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যের শাসক দল, বিরোধীদের বিভিন্নভাবে জোরপূর্বক মনোনয়নপত্র বাতিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক সেই রকম শান্তিপুর থানার কুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭২ নম্বর বুথের এ বছর বিজেপি পার্টির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পরিমল রায়। অভিযোগ ওঠে রবিবার গভীর রাতে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা শুভঙ্কর মুখার্জি ওরফে পিটার তার দলবল নিয়ে বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। এবং ওই প্রার্থী সহ তাঁর পরিবারকে মনোনয়নপত্র না তুলে নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপরেই চরম আতঙ্কে ভুগছে ওই পরিবার। গতকাল রাতে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং নদীয়া দক্ষিণের বিজেপি সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী সহ একাধিক কর্মীরা। 

    পুলিশের সামনেই বাড়ি ঘেরাও এর অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) নেতারা যখন ওই প্রার্থীর বাড়ির ভেতর কথা বলছেন ঠিক তখনই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পিটার এবং তার দলবল নিয়ে পুলিশের সামনেই পুরো বাড়িটি মিছিল করে ঘেরাও করে ফেলে। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ পর বাধ্য হয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন সাংসদ ও বিধায়করা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্মীদের তত্ত্বাবধানে কোনওরকমে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে আসেন তাঁরা। তবে প্রায় তিন কিলোমিটার তাদের পিছন পিছন আসতে থাকে তৃণমূলকর্মীরা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে। এরপর বিজেপি নেতা ও কর্মীরা ফুলিয়া ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিরাপত্তার দাবিতে। বর্তমানে প্রাণভয়ে ঘর ছাড়া ওই বিজেপি প্রার্থী।

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায় বলেন, ‘‘গত পরশুদিন রাত বারোটা নাগাদ পিটার এবং তার দলবল তার বাড়িতে যায় এবং মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় তাঁরা বলেন, এরপর কিছু ঘটনা ঘটে গেলে সেটা সহ্য করতে পারবো কিনা!’’

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘গোটা রাজ্য জুড়ে আমাদের একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদ রয়েছেন। শাসকদল কার্যত পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে চেষ্টা করছে জোরপূর্বক যাতে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেওয়া যায়। আমাদের বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায়ের ওপর যদি কোনও আক্রমণ হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে জনগণ পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Iskcon Rathyatra 2023: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের ‘থিমে’র রথযাত্রা

    Iskcon Rathyatra 2023: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের ‘থিমে’র রথযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর বাইরে কলকাতার ইসকন রথযাত্রা (Iskcon Rathyatra) সারা বিশ্বে সমাদৃত। মঙ্গলবার, সকাল ৮ টায় চিরাচরিত প্রথা মেনে শুরু হয়েছে পাহান্ডি বিজয় যাত্রা। এদিন কলকাতা ইসকন মন্দির থেকে বেরিয়ে একে একে রথে আসীন হবেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা। 

    থিম মানসিক শান্তি

    ইসকন (Iskcon Rathyatra) আয়োজিত কলকাতা রথযাত্রা এবার ৫২ বছরে পড়ল। এ বছরের রথযাত্রার থিম মানসিক শান্তি। এটি ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতা বৃদ্ধিকে তুলে ধরবে। করোনার প্রকোপ কমার পর থেকে ইসকনের মন্দিরে ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। সম্প্রতি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের সিংহভাগই বাংলার বাসিন্দা। তাই ৫২ তম রথযাত্রায় বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি জানান, যুদ্ধরত দুই দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার ভক্তরাও এদিন মিলবেন জগন্নাথ প্রেমের ধারায়। 

    বিপুল ভক্ত সমাগম

    মঙ্গলবার অ্যালবার্ট রোড মন্দিরে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ডান্স ট্রুপ দীক্ষামঞ্জুরী একটি ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রথের রশিতে টান দিয়ে যাত্রার সূচনা করবেন। প্রতিবছর আনুমানিক ৮ লাখ ভক্তের সমাগম হয় কলকাতায় ইসকনের রথযাত্রায় (Iskcon Rathyatra)। এবার তা আনুমানিক ১০ লাখ হতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও গঙ্গাসাগর-সহ ইসকনের শাখাগুলিতেও রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।

    আরও পড়ুন: ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরী, রথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    কোন পথে ইসকনের রথ?

    মিন্টো পার্কের কাছে হাঙ্গরফোর্ড স্ট্রিটে ইসকন মন্দির থেকে দুপুর ১:৩০ এ রথযাত্রা (Iskcon Rathyatra) শুরু হবে। এজেসি বোস রোড-শরৎ বোস রোড-হাজরা রোড-শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড-আশুতোষ মুখার্জি রোড-চৌরঙ্গী রোড-এক্সাইড মোড়-জে এল নেহরু রোড-আউটট্রাম রোড হয়ে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে শেষ হবে। উল্টো রথযাত্রা বুধবার ২৮শে জুন ২০২৩ পার্ক স্ট্রিট মেট্রোর কাছে আউটট্রাম রোড থেকে দুপুর ১ টা থেকে শুরু হবে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড-আউটট্রাম রোড-জেএল নেহরু রোড-ধর্মতলা মোড়-এস.এন ব্যানার্জি রোড-মৌলালি মোড়-সি আই টি রোড-সোহরাওয়ার্দী এভিনিউ-পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্টস মোড়-শেক্সপিয়ার সরণি-হাঙ্গরফোর্ড স্ট্রিট হয়ে ইসকন মন্দিরে শেষ হবে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এবছর রথযাত্রার মেলা চলবে ২১শে জুন থেকে ২৭শে জুন পর্যন্ত।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিচ্ছেন এক মতুয়া! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    TMC: তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিচ্ছেন এক মতুয়া! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কে রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। মতুয়া সমাজকে দিয়ে পা ধোয়ানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, জনৈক এক মতুয়া কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুয়ে দিচ্ছেন। বিধায়ক বসে রয়েছেন চেয়ারে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    জানা গিয়েছে, সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে রায়গঞ্জের বাহীন পঞ্চায়েতের মহারাজপুর গ্রামে তৃণমুল (TMC) প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মতুয়াদের মন্দিরে যান রায়গঞ্জে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানে গুরুচাঁদ, হরিচাঁদ ঠাকুরের পুজো দেন তিনি। তবে তার আগে মন্দির চত্বরে ঢুকতেই বিধায়কের পা ধুইয়ে গামছা দিয়ে মুছে দেন এক মতুয়া। পরে মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় মিছিল করে, তৃণমুল প্রার্থীদের সমর্থনে গ্রামে প্রচারও করেন। আর এ নিয়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে জেলা জুড়ে।

    কী বলছে বিজেপি?

    জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কৃষ্ণকে ‘খানদানি জালি’ বলে কটাক্ষ করেছে। এই ঘটনায় কৃষ্ণ কল্যাণীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তাঁর মতে, ‘‘মতুয়াদের বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে শাসক দল। দিন কয়েক আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুর নগর সফরে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। মতুয়াদের মধ্যে গুরুদের পা ধুইয়ে দেওয়ার রীতি আছে। কিন্তু বিধায়ক মতুয়াদের গুরু নন। তিনি মতুয়াদের দিয়ে পা ধুইয়ে মতুয়া সমাজকে অপমানিত করলেন। তাঁকে বিধায়ক বানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর তিনি ভোটারকে দিয়ে পা ধোয়াচ্ছেন। এটা তৃণমুলের (TMC) সংস্কৃতিতেই হয়।’’

    কী বলছেন কৃষ্ণ কল্যাণী?

    এই ঘটনায় রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পাল্টা বলেন, ‘‘ওনারা আমাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। সেটা ওখানে গেলেই বুঝতে পারবেন। আর বিজেপি মতুয়া ও আদিবাসী কোনও সংস্কৃতিই জানে না। ওরা শুধু ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি বোঝে। আর মতুয়ারা ওইভাবে আমাকে ওয়েলকাম করেছেন।’’ ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য বলছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আদিবাসী ও মতুয়া বিরোধী তকমা জুটেছে। এদিন মতুয়া মন ফিরে পেতে কৃষ্ণর কাজ আরও বিতর্ক বাড়িয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Rath Yatra 2023: ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরী, রথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    Rath Yatra 2023: ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরী, রথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রথযাত্রা (Rath Yatra 2023)। লোকারণ্য পুরীতে। রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাত্রা করলেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। পুণ্যার্থীর ঢল সৈকত শহরে (Puri)। নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। নিয়ম মেনে রথের রশিতে টান দিলেন ভক্তরা। রথযাত্রা উপলক্ষে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুরীতে রথের রশিতে টান

    রথযাত্রা (Rath Yatra 2023) উপলক্ষে পুরীতে এবারও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। দেশের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছেন বহু বিদেশি পযর্টক৷ সকাল থেকেই রীতিনীতি মেনে শুরু হয় পূজার্চনা। শোনা যাচ্ছে জয় জগন্নাথ ধ্বনি। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে সূচনা হয়েছে। এরপর রথযাত্রার মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। গর্ভগৃহ থেকে ২২ ধাপে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নামিয়ে আনা হবে। ২২ ধাপের তৃতীয় ধাপে শিবের দর্শন নেন জগন্নাথ। এরপর দুলিয়ে দুলিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিগ্রহকে তোলা হবে রথে, যা পহন্ডি নামে পরিচিত। জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলরামের তালধ্বজ আর সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা পদ্মধ্বজ।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রথযাত্রা! জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজোবিধি

    আমেদাবাদে রথযাত্রার সূচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পুরীর রথযাত্রা (Puri Rath Yatra) দেশ-বিদেশে প্রসিদ্ধ। তবে সারা দেশেই মহাসমারোহে পালিত হয় এই উৎসব। প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই জগন্নাথ মন্দির থেকে রথ বেরোয় এবং সেই রথের রশিতে টান দিতে উৎসুক সাধারণ মানুষ। চিরাচরিত রীতি মেনে এদিন সকালেই রথযাত্রার সূচনা হয়ে গিয়েছে গুজরাটের আমেদাবাদে (Ahmedabad)। আমেদাবাদে জগন্নাথ মন্দিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মঙ্গল আরতির পরই রাস্তায় বেরিয়েছে জগন্নাথদেব, বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার তিনটি পৃথক রথ।

    জামালপুর এলাকায় প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রতি বছরই তিনটি রথ বেরোয়। প্রথম রথে জগন্নাথদেব, দ্বিতীয় রথে বলভদ্র ও তৃতীয় রথে দেবী সুভদ্রার বিগ্রহ থাকে। এই রথযাত্রা ঘিরে আমেদাবাদ শহরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এদিন ভোরে জগন্নাথ মন্দিরে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রথ বেরোনোর আগে মন্দিরে পুজো দিয়ে জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও দেবী সুভদ্রার মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল নতুন ফিচার ‘চ্যানেল’! জানুন খুঁটিনাটি

    WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল নতুন ফিচার ‘চ্যানেল’! জানুন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক নতুন ফিচার এসেই চলেছে হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp New Feature)। গত এপ্রিল মাসেই শোনা গিয়েছিল যে হোয়াটসঅ্যাপ এবার ‘চ্যানেল’ নামক একটি ফিচার আনতে চলেছে। যার সাহায্যে ব্যক্তিগত প্রোফাইল, গ্রুপ বা কমিউনিটির পাশাপাশি তৈরি করা যাবে নিজের চ্যানেলও। বর্তমানে নতুন এই ফিচার রোলআউট হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘোষণায় হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, তারা ‘আপডেট’ নামে একটি নতুন ট্যাব তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে চ্যানেল অপশন অ্যাক্সেস করা যাবে। আর এই ট্যাবটি আলাদাভাবে স্ট্যাটাস সেকশনের মধ্যে থাকবে। কিন্তু আদতে কী এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল (WhatsApp New Feature)? আর এর কাজই বা কী?

    আসুন এক নজরে দেখে নিই কিছু খুঁটিনাটি তথ্য

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল হল মূলত গ্রুপ বা কমিউনিটি অ্যাডমিনদের একটি ওয়ান ওয়ে ব্রডকাস্টার টুল, যার মাধ্যমে তাঁরা টেক্সট, ফটো, ভিডিও, স্টিকার এবং পোল শেয়ার করতে পারবেন। আর সাধারণ ইউজারদের চ্যানেলগুলি সার্চেবল ডিরেক্টরি হিসেবে কাজ করবে, যেখানে তাঁরা সহজে খুঁজে পাবেন তাঁদের পছন্দ বা আগ্রহের বিষয়গুলির আপডেট। স্পোর্টস, ভ্রমণ, খাদ্য, রাজনীতি সমেত নানা বিষয়েই থাকবে চ্যানেল। তবে চ্যানেলের মধ্যে আদানপ্রদান করা মেসেজগুলি কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন (end-to-end encryption) সিস্টেমের আওতায় কাজ করবে না। কোনও চ্যানেলের সমস্ত তথ্য ৩০ দিন বিদ্যমান থাকবে এবং তারপরে আপনা-আপনি অদৃশ্য হয়ে যাবে।

    কীভাবে জয়েন করা যাবে চ্যানেল?

    ইউজাররা চ্যাট বা অনলাইনে পোস্ট করা ইনভাইট লিঙ্কের মাধ্যমে কোনও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে জয়েন বা সাবস্ক্রাইব করতে সক্ষম হবেন। আবার কোন চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে চান, তাও কন্ট্রোল করতে পারবেন খোদ ইউজার। এছাড়াও তাঁরা কাকে ফলো করেছেন বা কাকে তাঁরা নিজেদের কন্ট্যাক্টে যুক্ত করেছেন, সেটা দেখতে পাবে না অন্য কেউ। এদিকে চ্যানেল অ্যাডমিনদের ফোন নম্বর এবং প্রোফাইল ফটো ফলোয়ারদের দেখানো হবে না। একইভাবে এক ফলোয়ারের ফোন নম্বর অন্যের কাছে প্রকাশ হবে না। অ্যাডমিনরা তাঁদের ফলো এবং চ্যানেল ডিরেক্টরির প্রাইভেসি সেট করতে পারবেন।

    আপাতত এইসব জায়গায় উপলব্ধ হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের সুবিধা প্রাথমিকভাবে সিঙ্গাপুর এবং কলম্বিয়াতে পাওয়া যাবে। তারপর ধীরে ধীরে এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে সংস্থা জানিয়েছে। তাই ভারতে এর ব্যবহার শুরু হতে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাঙড় পরিদর্শন করে যাওয়ার পর টনক নড়ল পুলিশের। শনিবার ভাঙড় (Bhangar) এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার এস পুষ্পার নেতৃত্বে রুটমার্চ করা হল। তবে, এত কিছু করার পরও এখন আতঙ্ক কাটেনি ভাঙড়বাসীর। পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পর ভাঙড়ে (Bhangar) সার্বিক অবস্থা কেমন?

    বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ভাঙড়ের (Bhangar) কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। খুন হন তিনজন রাজনৈতিক কর্মী। আইএসএফ এবং সিপিএম কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভাঙড়ে ঢুকে বিজয়গঞ্জ বাজারে গাড়ি থেকে নামেন রাজ্যপাল। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যপালকে দেখেই এগিয়ে যান স্থানীয়রা। কয়েকজন আইএসএফ প্রার্থী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে তাঁরা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ভাঙড়ের গণ্ডগোলের পর কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি ভিডিওতে এক ব্যাক্তি বলেন, আরাবুলের নির্দেশে আমি এসেছি। ৩০ হাজার টাকা আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা। আমি গুলি চালিয়েছি। পাল্টা হিসেবে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাও শুক্রবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি ভাইরাল ভিডিও দেখিয়ে বলেন, পিটিয়ে একজনকে মারার ঘটনায় আইএসএফ জড়িত রয়েছে। সবমিলিয়ে ভাঙড় এলাকা থমথমে রয়েছে। শনিবারও ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে লোকজন ছিল না বললেই চলে। তবে, পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। 

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বারুইপুর পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল কর বলেন, আরাবুল আর শওকত মোল্লা কেমন মানুষ তা রাজ্যবাসী জানেন। ভাঙড়ের (Bhangar) ঘটনার পর পুলিশের রুটমার্চ করে শান্ত করা যাবে না। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু, পুলিশ তো ফুলিশ হয়ে গিয়েছে। ওরা দলদাস। তাই, ওদের নিয়ে কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ এবারে নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর। অপর দিকে তৃণমূলেরই টিকিট পাননি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রামে কী ফল হবে সেই প্রশ্ন এখন সবাইকার মুখে। 

    কেন নজর নন্দীগ্রামে?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, জেলা পরিষদের টিকিট পাননি বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশান এজেন্ট তথা নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। সুফিয়ানের অনুগামীরা অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নাগরিক মঞ্চ গঠন করে প্রার্থী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে আবার বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক ভাবে ভোটের অঙ্কের হিসেব কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বিজেপি প্রার্থীর অঙ্কটা কেমন?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) মোট ১০ টি অঞ্চল রয়েছে এই ১ নং ব্লকে। দশটি অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা ১৮৫ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি ও জেলা পরিষদের ৩ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৩ টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং ৩ টি জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যে আসন গুলিতে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি, সেখানে নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পালের বক্তব্য, ১০ টি অঞ্চলেই বোর্ড গঠন করবে বিজেপি।

    তৃণমূলের বক্তব্য 

    তবে এই বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না ১ নং ব্লক (Purba Medinipur) তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৬ আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতন কর্মী পায়নি বিজেপি। বিরোধী রাজনীতির দলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম আজ মিউজিয়ামে, কংগ্রেসে আজ হিমঘরে, বিজেপি আজ গোয়ালঘরে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে মানুষের দুয়ারে, তাই আমাদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। বাপ্পাদিত্যবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, জয় আমাদের নিশ্চিত।

    পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে এখন কোন ফুল ফোটে এটাই এখন দেখার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share