Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Panchayat Election : নজিরবিহীন! পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের

    Panchayat Election : নজিরবিহীন! পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বারবার। ভোট পরবতী হিংসা থেকে হাল আমলে ময়নায় বিজেপি কর্মীর খুন — সর্বত্র ছুটে গিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। এই প্রেক্ষাপটে এবার রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) ডিজি (ইনভেস্টিগেশন)-কে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায়, স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল বুথগুলিতে নজরদারি চালাবেন এই পর্যবেক্ষক।

    রাজনৈতিক সন্ত্রাসে লঙ্ঘিত মানবাধিকার

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই জেলায় জেলায় অশান্তির ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে এক বিরোধী কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। জানা গিয়েছে বিধানসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা দেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক হিংসায় ঘর ছাড়া থেকেছেন ১ লক্ষ বিজেপি কর্মী, তাঁদের অনেকে এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি। দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি পার্টি অফিসে। বিজেপি কর্মীদের হত্যার রাজনীতি এখনও চলছে। উত্তরে কালিয়াগঞ্জ বা দিনহাটা থেকে দক্ষিণের ময়না – শাসকের সন্ত্রাস অব্যাহত। পশ্চিমবঙ্গের এই বিশেষ পরিস্থিতি দেখেই কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য তলব

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার, দু’পক্ষকেই জানিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও আলাদাভাবে জানানো হয়েছে। এদিন যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি এসেছে তাতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে রাজ্যের পরিস্থিতি একেবারে সরেজমিন দেখতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সে কারণেই আসছেন ডিজি। কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর, সে সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। ইতিমধ্যে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কেও বিশদ জানতে চাওয়া হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কোনও রক্তক্ষরণ হতে দিতে চায় না কমিশন।

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: এআই পোর্টাল ‘সঞ্চার সাথী’র সাহায্যে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বহু মৃতদেহ শনাক্ত

    Coromandel Express Accident: এআই পোর্টাল ‘সঞ্চার সাথী’র সাহায্যে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বহু মৃতদেহ শনাক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) নিহত অনেক মানুষের পরিচয় এখনও মেলেনি। দুর্ঘটনার পর ৯ দিন কেটে গেলেও এখনও বেওয়ারিশ লাশের মত পড়ে রয়েছে বহু দেহ। এমন পরিস্থিতিতে ওড়িশা সরকারের সাহায্যে এই মৃতদেহগুলি শনাক্ত করতে রেলওয়ে নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সিম ট্রায়াঙ্গুলেশনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে এআই (AI) চালিত ওয়েবসাইট ‘সঞ্চার সাথী’ এবং সিম কার্ডের ব্যবহার করা হচ্ছে।

    কী ভাবে দেহগুলিকে শনাক্ত করা হল 

    রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, মোট ৮৩টি দেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু, তাতেও অধরা অনেকের পরিচয়। ফলে এবার আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে রেল। কী ভাবে মৃতদেহগুলিকে (Coromandel Express Accident) শনাক্ত করল এআই পোর্টাল? জানা গিয়েছে, এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স মূলত গ্রাহকদের নামে ইস্যু হওয়া মোবাইল নম্বরগুলিকে ট্র্যাক করে। এরপর নম্বর ব্লক করে স্মার্টফোনের লোকেশন খুঁজে বের করে। এক রেল আধিকারিকের কথায়, “নিরুপায় হয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত সঞ্চার সাথী এআই পোর্টালের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ৬৪টি দেহের শনাক্তকরণের জন্য এই পোর্টালের সাহায্য নেওয়া হয়। ৪৫টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে সেটি।”

    আরও পড়ুন: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    এআই পোর্টাল কী?

    রেল প্রাথমিকভাবে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) এর একটি দলকে ডেকেছিল এই মৃতদের পরিচয় জানতে। তাঁদের আঙুলের ছাপ নিতে ডাকা হয়। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত কাজ করেনি। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বুড়ো আঙুলের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ছাপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্যে, এই সঞ্চার সাথী পোর্টাল সম্প্রতি উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, যিনি দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীও বটে। মৃতদেহের ছবির সাহায্যে এই এআই পোর্টাল তাঁদের ফোন নম্বর এবং আধার কার্ডের তথ্য বের করে ফেলছে। আর সেই তথ্যের সাহায্য়েই দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু, এই এআই পোর্টালের সাহায্যে মৃতদেহের চিহ্নিতকরণও দুর্বিসহ কাজ। কারণ অধিকাংশ মৃতদেহে ইতিমধ্যে পচন ধরেছে। দুর্ঘটনার জেরে বহু মানুষের মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশের মুখ পুড়ে ঝলসে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • NCP: ব্রাত্য ভাইপো অজিত!  এনসিপি-র কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কাদের নাম ঘোষণা করলেন শরদ?

    NCP: ব্রাত্য ভাইপো অজিত! এনসিপি-র কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কাদের নাম ঘোষণা করলেন শরদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় একমাস ধরে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি (NCP) প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ভাইপো অজিত পাওয়ারের  ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছিল। শনিবার দলের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসেই সুপ্রিয়া সুলে ও প্রফুল্ল প্যাটেলের হাতে কার্যত দলের ব্যাটন’ তুলে দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক শরদ পাওয়ার। এনসিপি (NCP) প্রধানের এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন এনসিপি (NCP) প্রধান?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অজিতকে কার্যত ব্রাত্য রেখেই প্রফুল্ল প্যাটেল এবং সুপ্রিয়া সুলেকে এনসিপি (NCP) কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। পরে, শরদ পাওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এমন যে সমস্ত রাজ্যের দায়িত্ব শুধুমাত্র একজনকে দেওয়া ভুল হবে।” প্রফুল্ল প্যাটেল এবং মিসেস সুলেকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার ভালভাবে নেবেন কি না জানতে চাওয়া হলে, এনসিপি প্রধান বলেন, “যে তার ভাইপো ইতিমধ্যেই অনেক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, গত মাসেই এনসিপি (NCP) প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাঁর পদে ইস্তফা দেন। কিন্তু, দলের কার্যকরী কমিটি তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি। গত ৫ জুন তাঁর পদত্যাগপত্র খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিকে, প্রায় একমাস ধরে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপি (NCP)-র দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এদিন হঠাৎ করেই শরদ পাওয়ারের সাংবাদিক বৈঠক করে দলের কার্যকরী সভাপতি হিসাবে সুপ্রিয়া সুলে ও প্রফুল্ল প্যাটেলের নাম ঘোষণা করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে অজিত পাওয়ার যে দলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়লেন, তা বলা বাহুল্য। আজ, অজিত পাওয়ার এই ঘোষণার সাথে দৃশ্যত বিচলিত হয়েছিলেন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে মুম্বাইতে দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেছিলেন। যদিও পরে, টুইট করে এনসিপির নতুন দুজন পদাধিকারীকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    নতুন পদাধিকারীদের কোন কোন রাজ্যের দেওয়া হয়েছে?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিসেস সুলে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের এনসিপি বিষয়ক এবং মহিলা, যুব, ছাত্র এবং লোকসভা সম্পর্কিত বিষয়গুলির দায়িত্বে থাকবেন। আর প্রফুল্ল প্যাটেলকে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, গোয়া এবং রাজ্যসভার এনসিপি-এর ইনচার্জও করা হয়েছে।

    নতুন দায়িত্ব পেয়ে কী বললেন এনসিপি (NCP) পদাধিকারীরা?

    এদিন প্রফুল্ল প্যাটেল বলেন,”আমি ১৯৯৯ সাল থেকে পাওয়ার সাহেবের সঙ্গে কাজ করছি। তাই, এটি আমার জন্য নতুন কিছু নয়। অবশ্যই, আমি কার্যকরী সভাপতি হিসাবে উন্নীত হয়ে খুশি। আমি দলের পদচিহ্ন বাড়ানোর জন্য কাজ চালিয়ে যাব। মিসেস সুলে টুইট করেছেন, “আমি এনসিপি (NCP) সভাপতি পাওয়ার সাহেব এবং প্রফুল্ল প্যাটেল ভাইয়ের সঙ্গে কার্যকরী সভাপতির এই বিশাল দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এনসিপির সমস্ত সিনিয়র নেতা, দলের সহকর্মী, দলীয় কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মনোনয়ন জমা দিতে এসে নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থী, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: মনোনয়ন জমা দিতে এসে নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থী, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুর দেড়টা নাগাদ কাকদ্বীপ (South 24 Parganas) বিডিও অফিসের ভিতর থেকে সিপিএম প্রার্থীরা বাইরে বের হতে গেলে, বিডিও অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপস্থিতিতেই সিপিএম প্রার্থীদের উপর হামলা চালায়। এমনকি রাস্তায় ফেলে দিয়ে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ করে সিপিএম। অশান্তি এখানেই থেমে থাকেনি, বিডিও অফিস থেকে ফেরার সময় এক সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ হয়েছেন বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়েছে বলে জানা গেছে এইদিন। 

    দক্ষিণ চব্বিশ (South 24 Parganas) পরগণায় কী হয়েছে?

    কাকদ্বীপে (South 24 Parganas) আজকে দুপুর বারোটার সময়, স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত বসন্তপুর এলাকার ১২৩ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী শান্তনু দাস বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে ঢোকেন। এরপরই তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। প্রথমে বিডিও অফিসের কাছে রঞ্জিত হাতির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তারপরে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে চলে যায় বলে সিপিএমের অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ওই সিপিএম প্রার্থীর ফোন সুইচ অফ আছে, কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সিপিএমের পক্ষ থেকে বিডিও এবং কাকদ্বীপ আইসিকে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা ওই সিপিএম প্রার্থীর খোঁজ চালাচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান মেলেনি বলে জানা গেছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতা?

    কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) সিপিএম নেতা রাম দাস বলেন, প্রথম থেকেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়। আমাদের অনেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বিডিও অফিস থেকে সকলে ফিরে এলেও শান্তনু দাসকে আর সঙ্গে নিয়ে ফিরতে পারেননি। শান্তনুকে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীর নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 Parganas) তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সিপিএম একটা সাজানো ঘটনা রচনা করছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম চাইছে ঝামেলা পাকিয়ে, হাইকোর্টে গিয়ে কেস করে, ভোট প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিতে কিন্তু সিপিএমের এই আশা পূর্ণ হবে না।

    নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থীকে পুলিশ কবে উদ্ধার করে বাড়িতে ফেরাবে, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সাংগঠনিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী, শতাধিক বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল নদিয়ায়

    Nadia: সাংগঠনিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী, শতাধিক বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) জেলায় সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী বিজেপি, এখানে গণতান্ত্রিকভাবে ভোট হবে, বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নেই তৃণমূলের, এমনটাই বললেন নদিয়ার বিজেপি বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বিডিও অফিসে বিজেপির শতাধিক মনোনয়ন জমা পড়ল আজ। গত দুই দিনে প্রচুর সংখ্যায় বিজেপির মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী।

    নদীয়ার (Nadia) বিধায়ক কী বললেন?

    মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে বিজেপির প্রায় শতাধিক প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট (Nadia) উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জী। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশনের এই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের নয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্যই অসুবিধার সৃষ্টি করছে। ইলেকশন প্রক্রিয়া শুরুর আগে কিছু গণতান্ত্রিক নিয়ম থাকে। যেখানে অন্তত এক সপ্তাহ আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখানে কিছুই মানা হয়নি। নিজেদের সুবিধামতো কমিশনকে কাজে লাগিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। শাসক দল চাইছে না এ রাজ্যে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল থাকুক। তবে আমরা প্রতিটি বাধা পেরিয়ে সাংগঠনিক দিক থেকে ১০০ শতাংশ প্রস্তুত রয়েছি। প্রতিটি পঞ্চায়েত স্তরেই আমরা প্রার্থী দেব এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই চালিয়ে যাব।

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে না তো!

    পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী (Nadia) কটাক্ষের সুরে বলেন, রাজ্য পুলিশ দিয়ে বিগত ১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পুনরায় করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই জন্যই একদিনে গোটা রাজ্যের ভোট, রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে ভোট লুট করার পরিকল্পনা করছে রাজ্যের শাসক দল। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল চাইছে গোটা রাজ্যে বিরোধী শূন্য ভোট হোক। আর এই লক্ষমাত্রাকে নিয়ে রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশনকে পুরোপুরি ভাবে পরিচালনা করছে। বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী আরও বলেন, নদিয়া জেলায় শাসক দলের কোনও নেতা কর্মীরা বিজেপির মনোনয়নকে আটকাতে পারবে না। অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে আমরা রাজনৈতিক বিরোধিতা করেও আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা করব। আমরা এই দুর্নীতি গ্রস্থ সরকারের বিরুদ্ধে সর্ব শক্তি দিয়ে এই নির্বাচনে লড়াই করব।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ই জুন থেকে ১৫ই জুন চলবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। আর সেই মনোনয়ন করতে গিয়ে এবার আক্রান্ত হল বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ জন বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)  বীরভূমে

    জানা গিয়েছে, শনিবার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমিতির মোট ৭০ জন বিজেপি কর্মী মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন লাভপুরের (Birbhum) ব্লক অফিসে। লাভপুর বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে ব্লকের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা, ঠিক এমন সময় ব্লক অফিসে ঢোকার আগেই পেট্রোল পাম্পের কাছে, প্রায় ৩০ টি মোটর বাইকে ৬০ জন দুষ্কৃতী হাতে মোটা লাঠি নিয়ে আচমকা মারধর শুরু করে। উল্লেখ্য ঘটনা স্থলের পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু পুলিশ ছিল কেবল দর্শকের ভূমিকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারে লাভপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের ডান হাত এবং জামনা পঞ্চায়েতের মহাদেব মণ্ডলের বাঁ পা ভেঙে যায়। নির্বাচনে মনোনয়ন না করতে দিয়ে তৃণমূল কার্যত বিরোধী মতকে কণ্ঠরোধ করতে চায় বলে জানায় বিজেপি।

    কী অভিযোগ?

    স্থানীয় (Birbhum) বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা মান্নান হোসেনের নেতৃত্বে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। আহত বিজেপি কর্মীদের বোলপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    মনোনয়ন পত্র জমাকে ঘিরে বিরোধীদের অভিযোগ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় জেলায় উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে প্রথম দিন থেকেই। গতকাল নন্দীগ্রামের বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকে বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল নির্বাচনের বিশেষ প্রস্তুতির কিছুই ছিল না বলে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল। আজ মনোনয়নের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল থেকেই ডোমকলে কংগ্রেস-সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। শাসক তৃণমূল, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে এই মনোনয়নে বাধা বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু, চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ

    Malda: তৃণমূল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু, চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হবিবপুর (Malda) ব্লকের তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যানের রহস্যজনক মৃত্যুতে চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানায় পরিবার। মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ নিয়ে এলাকায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটে। মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা মালদার  ঋষিপুর কালীতলা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    মালদায় (Malda) কী হয়েছিল?

    ১১ দিনের লড়াই শেষ। কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হল মালদার হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শিবানন্দ শর্মার। আজ বৃহস্পতিবার নিথর মৃতদেহ গ্রামে ফিরতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রথমিক ভাবে বলা হয়, পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শিবানন্দ। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর আহত ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তারপরে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং এরপর কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বিক্ষোভ

    জানা যায়, বুধবার ময়না তদন্তের পর বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতার দেহ গ্রামে (Malda) ফিরতেই পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসী বাড়িতে মৃতদেহ রেখে এলাকায় বিক্ষোভ করতে থাকে। এরপর বিক্ষোভের ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হবিবপুর থানার পুলিশ। খবর পেয়ে পৌছায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি। জেলা সভাপতিকে পেয়ে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাবাসী। জেলা সভাপতি সেই পরিবারের পাশে  থাকার বার্তা দেন এবং সঠিক ভাবে তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিলে, তবেই মৃতদেহ বাড়ি থেকে বের করা হয় বলে জানা যায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের মধ্যে শিবানন্দের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে বাড়ি (Malda) থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের লোকেরাই খুন করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। আরও বলেন, প্রশাসনকে সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। স্বামীর অবর্তমানে আমার এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাবো কী কিরে? এই প্রশ্নও রাখেন প্রশাসনের সামনে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে ওঠার সময় স্টেশনেই বোনের সাথে শেষ কথা হয়। এরপর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানা জানি হতেই যুবককে বাড়ি থেকে ফোন করা হলে যুবককে ফোনে পাননি। এরপর বালেশ্বর (Odisha Train Accident) থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে মহিষাদলের এক বাসিন্দা বাড়িতে ফিরে এমন টাই বললে, বৌ সন্তানকে নিয়ে অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছি! এই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ভোলার নয়।

    দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের

    তমলুক থানার শ্রীরামপুর এলাকার শেখ আজিমুদ্দিনের মামার বাড়ি হল ওড়িশার বালেশ্বরে। মামার মৃত্যুর পর দেহ সৎকারের পর, মামা বাড়ি থেকে কেরালায় কাজ করতে যাওয়ার জন্য বালেশ্বর স্টেশন (Odisha Train Accident) থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে ওঠার কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে করমন্ডল এক্সপ্রেসের। 

    পরিবারের বক্তব্য

    দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আত্মীয় পরিজন রওনা দেয় দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) স্থলে। সেখানেই দেখেন যে আজিমুদ্দিনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর এই খবর জানা জানি হতেই সকাল থেকেই মৃতের বাড়িতে লোকজন এসে জড়ো হয়। মৃতের পরিবারের আবেদন যে রোজগেরে ছেলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পুরো পরিবারটাই অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়বে। দুই ছেলে ও বাবা মাকে নিয়ে সংসার ছিল আজিমুদ্দিনের। দুই ছেলেকে নিয়ে এইমুহুর্তে কীভাবে চলবে সংসার! কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না মৃতের বোন। বোনের বক্তব্য, সরকার তাঁদের আর্থিক সাহায্য করুক। এই মুহূর্তে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    অল্পের জন্য রক্ষা পেলে  আরও এক পরিবার

    অন্যদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা জানা ছিল না, নতুন জীবন পেয়ে বাড়ি ফিরলেন পাল পরিবারের ৩ সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যে ৭.১৫ নাগাদ বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে পড়েছিলেন তাঁরা। ওই ট্রেনেই সফর করছিলেন মহিষাদল থানার মলুবসান গ্রামের সুব্রত পাল, তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী পাল ও ছেলে। এই ট্রেনে করে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। বালেশ্বরের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তাঁদের কাছে আতঙ্কের। সুব্রত বাবুর স্ত্রী জানান, নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি! যতদিন বাঁচবো এই স্মৃতি মনের মধ্যে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু, ফোন করে জানালেন ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম বাবা

    Coromandel Accident: চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু, ফোন করে জানালেন ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার হাত ধরেই কেরালায় কাজে যাচ্ছিলেন কাটোয়ার করুই গ্রামের উনিশ বছরের ছটু সর্দার। তাঁদের সঙ্গে আরও সাতজন ছিলেন। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Accident) একই কামরায় সকলেই ছিলেন। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সব কিছু তছনছ করে দেয়। চোখের সামনে ছটুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দুর্ঘটনায় জখম হওয়া বাবা সুখলাল সর্দার। দুর্ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাঁদের সঙ্গে যোগযোগ করেন। সুখলাল সর্দার ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর দেন। এছাড়া কড়ুই গ্রামের আরও সাতজন দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে দল বেঁধে তাঁরা কেরালায় কাজে যাচ্ছিলেন। মৃত ছটু সর্দারের কাকা দিলু সর্দার বলেন, “এভাবে সব শেষ হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। বাবার সঙ্গে কত খোশমেজাজে গল্প করতে করতে গেল ভাইপো। এবার তার নিথর দেহ বাড়ি ফিরবে। ভাবতেই পারছি না।” পাশের কৈথন গ্রামের সাদ্দাম সেখ নামে এক যুবকও দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিওকলে শেষ কথা হয় সফিকের

    ট্রেন ছাড়়ার পর শুক্রবার বিকেলের দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কল করে কথা বলেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান-২ ব্লকের বড়শুল কুমিরখোলার সফিক কাজি। সেটাই ছিল শেষ কথা। সন্ধ্যা নামতেই খবর দেখে জানতে পারেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা (Coromandel Accident) ঘটেছে। পাগলের মতো পরিবারের লোকজন সফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, কোনওভাবেই তাঁর আর হদিশ মেলেনি। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে।

    কী বললেন সফিকের বাবা?

    ওড়িশার বালেশ্বরে গিয়ে সফিকের মৃতদেহ সনাক্ত করেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে।  পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথায় আঘাত লেগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী সহ পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে। সফিকের বাবা উজির কাজি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) পর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। এদিন ছেলের মৃত্যুর খবর এল বাড়িতে। ওর রোজগারে সংসার চলত। এখন কী করে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দারা অনেকেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Train Accident) ছিলেন আর তাই ট্রেনের দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জেলার ৪ জন এবং অপর দিকে একই দুর্ঘটনায় বীরভূমের দুই পরিযায়ী শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পরিবারের মানুষ দুশ্চিন্তায় নাওয়া খওয়া ছেড়ে দেওয়ার উপ্রক্রম হয়েছে।

    উত্তর দিনাজপুর থেকে (Train Accident) নিখোঁজ

    বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) জখম হল উত্তর দিনাজপুরের ৪ জন৷ আহতদের সকলকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দু:সংবাদ, বাড়িতে এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। আহতদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের লক্ষীপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে আহতরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। আহতদের নাম হুদা আলম, মহম্মদ রাজ্জাক, মহম্মদ শাহাদাত, মিরাজুল ইসলাম। জানা গিয়েছে আহতদের মধ্যে হুদা আলমের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের মধ্যে একজন বাড়িতে ফোন করে এই দুর্ঘটনার কথা জানান। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আহতদের পরিবারের সদস্যরা। আহতরা কে কোথায়, কীভাবে আছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিজনরা। ঘটনার জেরে কার্যত দুশ্চিন্তায় পরিবার।

    বীরভূম থেকে নিখোঁজ এবং পরিবারের পাশে বিজেপি

    সিউড়ির নগরী পঞ্চায়েতে ঝোড়গ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিক গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজন নিখোঁজ, অপরজন কটক হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যাক্তির নাম লাভলু মাল আর আহত ব্যক্তির নাম মহিম ডোম। এই পরিবারের বাড়িতে বিজেপির প্রতিনিধি দল পৌঁছান। ইউপির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা মহাশয় সহ বিজেপির একাধিক জেলার কার্যকর্তারা নিখোঁজ পরিবারের পাশে থেকে আশ্বাস দেন। দীনেশ শর্মা বলেন, ভারত সরকার এই নির্মম বেদনাদায়ক ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। আমরাও আজ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তির পরিবারে পাশে থেকে আশ্বাসের বার্তা দিয়েছি। সরকার ক্ষতি পূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আমাদের ভারত সরকার একসঙ্গে মিলে উদ্ধার কাজ করছে। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন বিজেপির এই নেতা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share