Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারও বেশ কয়েকটি জনসভা করার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ৩১ মে রাজস্থানের আজমেড়ে প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছেন বিজেপির একমাসব্যাপী মহা-জনসম্পর্ক অভিযান। সরকারের ন’বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরতে বিজেপি নেতাকর্মীরা গৃহ সম্পর্ক অভিযান, পথসভা, জনসভা, মিছিল, সাংবাদিক সম্মেলন, নাগরিক সেমিনার এ সমস্ত কিছুই করবেন আগামী এক মাস ধরে। স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গেও (Bengal BJP) শুরু হচ্ছে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান।

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বড় জনসভা করবেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণবঙ্গে সভা করবেন, অমিত শাহ রাঢ়বঙ্গে এবং জেপি নাড্ডার সভা হওয়ার কথা উত্তরবঙ্গে। দেশের প্রতিটি রাজ্যে মোট ৫১টি জনসভা করবে বিজেপি, যার মধ্যে তিনটি জনসভা হবে বাংলায়। বিজেপির সাংগঠনিক মণ্ডল কমিটিগুলি গ্রামীণক্ষেত্রে তৈরি হয় জেলা পরিষদের আসনকে ধরে। অন্যদিকে এক একটি শহরকে ধরে বিজেপির (Bengal BJP) নগর মণ্ডল তৈরি হয়। শহর বড় হলে নগর মণ্ডলের সংখ্যাও বাড়ে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই সমস্ত মণ্ডলগুলিতে এক হাজারেরও বেশি জনসভা করবেন তাঁদের দলের রাজ্য নেতৃত্ব। হাজির থাকবেন এরাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদ-বিধায়করাও।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বাংলার প্রতিটি বিধানসভায় যাবে বিজেপি (Bengal BJP) নেতৃত্ব

    বিজেপি সূত্রে খবর, জুন মাসে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভাতেই জনসভা করবে বিজেপি নেতৃত্ব (Bengal BJP)। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মোদি সরকারের ৯ বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরবেন সর্বানন্দ সোনোয়াল, সুশীল মোদির মতো নেতারা। তালিকায় রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানিও।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নয়, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন বাংলার নেতারাও। আগামী ২১ থেকে ৩০ জুন মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসম্পর্ক কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল

    মেষ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকুন। পেটের কষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে। বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে। শরীর নিয়ে কষ্ট হতে পারে। 

    ২) বুদ্ধির জোরে শত্রুজয়। ভাই-বোনে সম্পত্তির ব্যাপারে বিবাদ হতে পারে। সম্মান নিয়ে টানাটানির আশঙ্কা। প্রেমের সম্পর্কে উন্নতি হতে পারে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারে। বাবা-মায়ের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    বৃষ

    ১) আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন। সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দিন একটি কাজে বার বার ব্যস্ত হতে হবে। চাকরির শুভ যোগাযোগ হতে পারে। ভ্রমণে বাধা আসতে পারে।

    ২)  প্রিয়জনের জন্য মন খারাপ থাকবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন আসতে চলেছে। পেটের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা। খরচ বাড়তে পারে। পড়াশোনার ভাল সুবিধা হতে পারে।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক বাধতে পারে। ব্যবসায় বাড়তি যোগাযোগ আসতে পারে। দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) বন্ধুর উপকারের জন্য খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। চাকরির স্থানে জটিলতা বাড়তে পারে। ঋণ গ্রহণের জন্য বিশেষ আলোচনা হতে পারে। মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    সিংহ 

    ১) অনিষ্ট থেকে সাবধান থাকুন। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখের খবর আসতে পারে। দুপুরের পরে আর্থিক ব্যাপারে সুবিধা পাবেন। সকালের দিকে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) শিক্ষকদের জন্য শুভ সময় আসতে চলেছে। প্রেমের ব্যাপারে চাপ আসতে পারে। প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। পড়াশোনার জন্য ভাল সুযোগ আসতে পারে।

    কন্যা

    ১) সঙ্গীত শিল্পীদের জন্য সুযোগ আসতে পারে। নতুন বন্ধুর কারণে আনন্দ লাভ। স্বামীর কাজের জন্য শান্তি পেতে পারেন। আর্থিক চাপ থাকবে। 

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে। নেশা থেকে একটু দূরে থাকুন। ব্যবসায় ভাল কিছু ঘটতে পারে। চাকরির স্থানে উন্নতির যোগাযোগ। খরচ বাড়তে পারে।

    তুলা 

    ১) কোনও শুভ কাজে হাত দিতে হতে পারে। উপার্জনের ভাগ্য ভাল থাকবে। সাংসারিক শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। অযথা কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। সন্তানদের নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। 

    ২) কর্মস্থানে নিজেকে খুব অসহায় মনে হতে পারে। পরিবারে কারও কাছ থেকে কিছু উপহার পেতে পারেন। আপনার থেকে ছোট কারও সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে। মনের মতো মানুষের দেখা পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মস্থানে ক্ষোভ বাড়তে পারে। আর্থিক টানাপোড়েনের জন্য সংসারে অশান্তি হতে পারে। মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। কষ্টকর কোনও কাজ কপালে জুটতে পারে। 

    ২) বাকসংযমী হতে পারলে সংসারে শান্তি বজায় থাকবে। সন্তানের চঞ্চলতা বৃদ্ধি পাবে। বাড়ির কাছে ভ্রমণ হতে পারে। তবে জলপথে বিপদ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায় বেশি কথা বিবাদ ডেকে আনতে পারে।

    ধনু

    ১) সারা দিন ব্যবসায়িক উদ্বেগ খুব বেশি থাকবে এবং তাতে সফল হতে পারবেন না। নিজের অভিজ্ঞতা বেশি না দেখানোই মঙ্গলজনক। পড়াশোনার দিক থেকে দিনটি উপযুক্ত। 

    ২) আজ কোনও কাজই ভাল লাগবে না। পুরনো পাওনা আদায়ে বেগ পেতে হবে। ব্যবসার ব্যাপারে ক্ষোভ বাড়তে পারে। স্ত্রীর শরীর নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা। কোমরে যন্ত্রণা বৃদ্ধি।

    মকর

    ১) আপনার প্রতিভার জন্য আপনি জনপ্রিয়তা পেতে পারেন। বন্ধুকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করায় ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। সামান্য অশান্তি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে। 

    ২) চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কোনও দুর্ঘটনার সাক্ষ্য আপনাকে দিতে হতে পারে। প্রভাবশালী কারও কাছ থেকে উপকার পেতে পারেন। 

    কুম্ভ

    ১) ব্যয় বৃদ্ধির যোগ। শত্রুরা চক্রান্তে জিততে পারবে না। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা। কর্মচারীর জন্য ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত হঠকারিতার জন্য শরীরে আঘাত লাগতে পারে। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। বাড়তি খরচ হতে পারে। মাথার যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    মীন

    ১) ব্যবসায় লাভের আশা রাখলে উপদেষ্টাদের কথা মেনে চলতে হবে। অন্য দিনের তুলনায় পরিশ্রম বেশি হতে পারে। যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় সম্মানপ্রাপ্তি। কর্মস্থানে কারও কাছে অপমানিত হতে হবে।

    ২) কোনও আত্মীয়ের কাছ থেকে আপনি ভাল সাহায্য পাবেন। অর্থ অপচয়ের জন্য সংসারে বিবাদ ঘটতে পারে। সন্তানদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনা থাকলে সেরে ফেলুন। বন্ধুর থেকে সাহায্য পাবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Islampur: ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার

    Islampur: ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার। জখম হয়েছেন আরও একজন। বুধবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩১ নং জাতীয় সড়কের ওপর ইসলামপুর (Islampur) থানার ঘোরামারা বাইপাস এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ হাসিমুদ্দিন (৫৫)। তাঁর বাড়ি ইসলামপুর থানার নয়াবস্তি পাঁচোরসিয়া এলাকায়। মুজাহিদ নামে ২০ বছরের অপর এক যুবক জখম হন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছেলের বিয়ে। বাইক চেপে এক যুবকের সঙ্গে তিনি ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে বের হন। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় কোনও এক গাড়ি তাদের বাইকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে তাঁরা ছিটকে পড়েন। দুজনেই গুরুতর জখম হন। স্থানীয় লোকজন তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর (Islampur) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে চিকিত্সকরা মহম্মদ হাসিমুদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন পরিবারের লোকজন। মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর (Islampur) থানার পুলিশ। পরে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর হামলাকারী গাড়িটি চলে যায়। ঘাতক গাড়ির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন মৃতের আত্মীয়?

    মৃতের এক আত্মীয় বলেন, হাসিমুদ্দিনসাহেবের ছেলের বিয়ের জন্য প্রস্তুতি সাড়া। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসতে শুরু করেছেন। বাড়িতে প্যাণ্ডেল হয়ে গিয়েছে।  ক্যাটারারদের বলা হয়ে গিয়েছিল। নিমন্ত্রণ পর্ব প্রায় শেষের দিকে। হাতেগোনা কয়েকটি বাকী ছিল। তাই এদিন বাইকে চড়ে তিনি নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে একজন ছিলেন। তারমধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। এসে দেখি, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন বাড়িতে অনুষ্ঠান কী করে হবে তা ভেবে পাচ্ছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

    Birbhum: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর ব্লক ১ পাঁরুই থানার অন্তর্গত কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমা হেমব্রমের বিরুদ্ধে ঠিকাদার সহ সাধারণ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য মাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ আরও তীব্র হল। 

    বীরভূমের (Birbhum) কী ঘটেছিল?

    সামজিক মাধ্যমে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বোলপুর ব্লক ১ পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা হেমব্রম, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজের জন্য কমিশন দিতে হবে বলে দাবি করছেন। সেখানে তিনি বলছেন, সবাইকে টাকা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সই করার জন্য আমার প্রধানের প্রাপ্য টাকা কোথায়? প্রতিমাদেবী আরও বলেন, আমি কেন ভাগের টাকা পাবো না? তিনি বলেন, বাড়ি থেকে গাড়ির তেল পুড়িয়ে এই পঞ্চায়েত অফিসে আসি, আর তাই আমার কি কোনও প্রাপ্য টাকা থাকতে পারে না? পাশে থাকা এক ব্যক্তি প্রধানকে বলেন, আপনি তো সরকারি বেতন পান! পাল্টা প্রতিমাদেবী বলেন, এই কাজে সই করার জন্য আমাকে কেউ টাকা দেয় না। সরকার অন্য কাজের জন্য আমাকে বেতন দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান আরও বলেন, আমি ভিক্ষা চাইছি না। আমার প্রাপ্য, ভাগের টাকা না দিলে আমি কোনও কাজ করব না। ভিডিওতে ঠিকাদারের সঙ্গে একপ্রকার এই ভাবেই কথা বলতে শোনা যায়। এভাবেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে নিজের জন্য কাটমানি চাইলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।

    গ্রাম বাসীদের অভিযোগ 

    অপর দিকে সাধারণ গ্রামবাসীরা জানান যে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চায়েতে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য টাকা দাবি করে থাকেন প্রতিমাদেবী। পাশাপাশি যে কোনও ঠিকাদারকেই একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় সিপিএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই সরকারের সকলেই চোর, সরকার আর বেশিদিন থাকবে না বলেই যে যতটা পারছে লুটেপুটে খাওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের বদল না ঘটলে তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় কেন রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা দেবে, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার শাসক দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরক্ষা বলয়ের বহরের তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    একজনের নিরাপত্তা ২২৪৫ পুলিশকর্মী!

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাতে কত পুলিশ মোতায়েন করা হয় তা নিয়ে এদিন ট্যুইটারে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এদিন মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে তিনি লেখেন, ‘‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেয়। দেশের যে কোনও ব্যক্তিকে দেওয়া এটাই সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা হওয়া উচিত। তাই তো? তবে এই তথ্য ঠিক নয়।’’ এর সঙ্গেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘‘এবার দেখে নিন ভাইপো প্রোটেকশন গ্রুপের বহর। শুধুমাত্র একদিনেই (আজকের দিনে) ২২৪৫ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে একজনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য— মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোকে।’’ শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য করা নিরাপত্তা এর তুলনায় ফিকে হয়ে যাবে।’’ 

    সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বর্তমানে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। গত মাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব শুধু বিস্ফোরণেই প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছেন। অগণিত খুন (রাজনৈতিক সহ), নারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্যাতন।’’ শুভেন্দু লেখেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গের থানা প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। শুধু একজনের সুরক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কারণ তিনি রাজনৈতিক সফরে বেরিয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সাধারণ মানুষের কথা ভাবছেই না।’’

    প্রশাসনিক নির্দেশে কী কী রয়েছে?

    এখানেই থামেননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অভিষেকের সফরকালে পুলিশ কর্মী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের কী করতে হবে, তাও সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তাও উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। সরকারি নির্দেশিকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তিনি তুলে ধরেছেন। ট্যুইটে এদিন পুলিশকে দেওয়া প্রশাসনের নির্দেশনামার ছবি পোস্ট করে লেখেন, পুলিশকে ১৪ পাতা দীর্ঘ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, নির্দেশিকার ৯ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সকাল থেকে অভিষেকের সভাস্থলের কাছে থাকার জন্য। নির্দেশ দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের তরফে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    সাপ, ব্যাঙও যাতে কাছে না ঘেঁষতে পারে!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, নির্দেশিকার ১০ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, রাতে থাকার জায়গায় কিংবা সভাস্থল কিংবা রোড শো-এর সময় যাতে সাপ, ব্যাঙ, বাঁদর কিংবা গরু কিংবা কুকুর না পৌঁছতে পারে তার জন্যও সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাশাসককে আগেই অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভিআইপিকে পরিবেশন করার আগে সেইসব জায়গায় খাবার, পানীয় ও স্ন্যাক্স ফুড সেফটি অফিসার পরীক্ষা করে দেখেন।

  • Gyanvapi: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে হিন্দু বিগ্রহে পুজোর অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    Gyanvapi: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে হিন্দু বিগ্রহে পুজোর অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের অদূরে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে দেবদেবীর বিগ্রহে পুজোপাঠের অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই মর্মে এই দিন মুসলিমদের পক্ষে মামলাকারী অঞ্জুমান মসজিদ কমিটির যাবতীয় আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি জে জে মুনির। প্রসঙ্গত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে শ্রিঙ্গার গৌরী সহ দেবদেবীর বিগ্রহ পুজো করার আবেদন জানিয়েছিল হিন্দু পক্ষের পাঁচ জন। তাঁরা হলেন, রামপ্রসাদ সিং মহন্ত, শিবপ্রসাদ পান্ডে, লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যস, রেখা পাঠক। এই আবেদন বারাণসী হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল। হিন্দুদের তরফ থেকে করা এই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানায় মসজিদ কমিটি। সেখানেও পরাস্ত হয় তারা। পরবর্তীকালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি কিন্তু বুধবার ৩১ মে তাদের আবেদন খারিজ হয়ে গেল।

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    মামলার খুঁটিনাটি

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচ জন হিন্দু মহিলা মামলা করেন। তাঁদের দাবি ছিল, জ্ঞানবাপী অজুখানা নামে পরিচিত অংশটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তির অস্তিত্ব মূর্তির প্রমাণ মিলেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পূজা অর্চনা করতে চান তাঁরা। এবং কার্বন ডেটিং পরীক্ষারও আবেদন জানানো হয়। এই মর্মে গত শুক্রবারই কার্বন ডেটিং এর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। হিন্দু পক্ষের যুক্তি ছিল যে জ্ঞানবাপী মসজিদ আসলে বহু পুরনো হিন্দু মন্দির। কিন্তু দ্বাদশ শতকে সুলতানি শাসক মহম্মদ ঘোরির বাহিনী এই মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিল।

    কী বলছেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী?

    এদিন হিন্দুদের পক্ষ থেকে আইনজীবী হরিশংকর জৈন বলেন, ‘‘আমি আশা রাখছি সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই, যেদিন বর্তমান ধাঁচাকে সরিয়ে জ্ঞানবাপীতে শিব মন্দির প্রতিষ্ঠিত হবে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই মাসের ৭ তারিখ।

     

    আরও পড়ুন: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: আমেরিকায় মোদিকে বদনাম রাহুলের! ‘‘জিন্নার আত্মা ভর করেছে’’, কটাক্ষ বিজেপির

    Rahul Gandhi: আমেরিকায় মোদিকে বদনাম রাহুলের! ‘‘জিন্নার আত্মা ভর করেছে’’, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে বদনাম করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপি বলল, ‘‘বিদেশে গেলে রাহুলের উপর জিন্নার আত্মা ভর করে।’’ এদিন আমেরিকার সানফ্রান্সিস্কোর সভায় ১৪০ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রীকে সবজান্তা বলে উপহাস করেন রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয় নয়া সংসদ ভবনে সেঙ্গেল প্রতিষ্ঠা এবং সাধু-সন্তদের নিয়ে নরেন্দ্র মোদির পুজোকেও কটাক্ষ করেন রাহুল। 

    দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশের মাটিতে বদনাম রাহুলের

    ভারতের মুসলিমরা খুব দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন এমন কথা বলতে শোনা যায় সাসপেন্ডেড সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। আমেরিকাতে তিনি বলেন, ‘‘গত শতকের আটের দশক থেকে যে অবস্থা দলিতদের ছিল বর্তমানে মুসলমানদের সেই অবস্থা হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীকে বদনাম করার উদ্দেশে তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা ভাবেন যে ভগবানের থেকেও বেশি কিছু জানেন, সেই রকমই একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’’

    বিজেপির পাল্টা প্রতিক্রিয়া

    মার্কিন সফরে রাহুল গান্ধীর মুখে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বদনামের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র মুখতার আব্বাস নখবি বলেন, ‘‘বিদেশে যখনই রাহুল গান্ধী যান তখনই তাঁর উপর জিন্নার আত্মা ভর করে।’’ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি সাম্প্রতিককালে ২৪টি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ৫০টিরও বেশি বৈঠক করেছেন। তাঁর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বস বলে সম্মোধন করেছেন। রাহুল গান্ধী এগুলোকে হজম করতে পারছেন না। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে জনপ্রিয়তম নেতা বলেছেন। অন্যদিকে পাপুয়া-নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী মোদিজির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছেন।’’ সেঙ্গেল নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের জেরে সরব হয়েছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালাও। রাহুলের বিরুদ্ধে তামিল সংস্কৃতিকে উপহাস করার অভিযোগ তুলেছেন।

    আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনে সেঙ্গল স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাদুরাই অধিনমের (Adheenams) প্রধান পুরোহিত সেদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেঙ্গল তুলে দেন। এক কথায় সেঙ্গল হল রাজদণ্ড। এরপর থেকেই অধিনম নিয়ে চর্চা শুরু হয়। অধিনম কী? তাঁদের কাজ কী? এসব নিয়ে বাড়তে থাকে কৌতূহল।

    আরও পড়ুন: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় জনপ্রিয় হয়েছিল সিঙারা! কিন্তু এর উৎপত্তি কোথায়?

    অধিনম (Adheenams) কী?

    হিন্দু ধর্মের প্রচলিত আশ্রম বা মঠের সমার্থক হল অধিনম। কুড়িটি অধিনম দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রচলিত রীতি অনুসারে এই অধিনমগুলির প্রধান পুরোহিত একজন অব্রাহ্মণ হন। সব থেকে প্রাচীনতম হল মাদুরাই অধিনম। যার প্রধান পুরোহিত শ্রী হরিহর দেশিকা, যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দিয়েছিলেন। শ্রী হরিহর দেশিকা ২৯৩ তম প্রধান পুরোহিত বা অধিনমকর্তা। অধিনম একটি তামিল শব্দ যার সঙ্গে সম্পর্কিত শৈব উপাসনা। এটি এক ধরনের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। এবং একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও বটে। অধিনমের প্রধানকে বলা হয় অধিনমপতি বা অধিনমকর্তা। যাঁর কাজ হল ধর্মীয় বিষয় দেখাশোনা এবং অনুষ্ঠান পালন করা। অধিনমের (Adheenams) অন্তর্গত ভক্তদের মধ্যে শিক্ষা প্রদান করেন প্রধান পুরোহিতরা। এক কথায় অধিনমের প্রধান পুরোহিত একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হন, তিনি যেমন উপদেশ প্রদান করেন ঠিক একইভাবে সেই জনগোষ্ঠীর অন্যতম নিয়ন্ত্রণ কর্তার ভূমিকাও পালন করেন। নির্দিষ্ট ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মমত প্রচার করা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কাজও অধীনম করে থাকেন।

    গুরুত্বপূর্ণ অধিনম (Adheenams)

    মাদুরাই অধিনম

    মাদুরাই অধিনম হল সবথেকে প্রাচীনতম। এই মঠ তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। এখানে শৈব উপাসনা করা হয়।

    শৃঙ্গেরী সারদা পীঠ

    কর্নাটকের শৃঙ্গেরীতে এই অধিনম অবস্থিত, যা অদ্বৈত বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী চলে। এই অধিনম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। আধ্যাত্মিক আলোচনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এ সমস্ত কিছুই হয় এখানে।

    কাঞ্চি কামাকোটি পীঠ

    কাঞ্চিপুরমে এই অধিনম অবস্থিত। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে পড়ে। এখানে অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের চর্চা হয়। এখানে দেবী কামাক্ষীর উপাসনা করা হয়।

    দ্বারকা পীঠ

    গুজরাটে অবস্থিত এই অধিনম। বৈষ্ণব মতে চলে এই মঠ।

    জ্যোতির্মঠ 

    জ্যোতির্মঠ পরিচিত জোশীমঠ নামে। কয়েক মাস আগেও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল জোশীমঠ ধসের কারণ। উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত এটি। স্থাপন করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। 

    চোল, চের  এবং পাণ্ড রাজাদের সঙ্গে অধিনমের (Adheenams) সম্পর্ক 

    চোল সাম্রাজ্য খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল। অধিনামগুলির সহযোগিতাতেই দক্ষিণ ভারতে অজস্র মন্দির স্থাপন করেছিলেন চোল রাজারা।

    চের রাজত্ব দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে চলেছিল। চের রাজত্বেও অধিনমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল অধিনমগুলি।

    সপ্তদশ শতক পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পাণ্ডুদের রাজত্ব চলত। পাণ্ডুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অধিনমগুলির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ১৩০০ কিমি!

    Environment: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ১৩০০ কিমি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার বাসিন্দা সুদেশ কুমার মানবতা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বেকার সমস‍্যার সমাধানের দাবিতে রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দির পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রা (Environment) শুরু করেছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে কুলটির ডুবুরডিহি চেক পোস্ট হয়ে ১৯ নং জাতীয় সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছান।

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় যাত্রার (Yatra) উদ্দেশ্য কী?

    এই বিশেষ যাত্রাপথে (Environment) দুর্নীতি ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনের বিশেষ বার্তা থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে, সেই বিষয়ে সচেতনতার কথাও তিনি বলছেন। দিন দিন ভূ-মণ্ডলের তাপমাত্রা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রকৃতিতে অক্সিজেন কেন কম পড়েছে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসব বিষয়ও তাঁর যাত্রার মধ্যে রয়েছে। কলকাতার কালী মাকে দর্শন করতেই দক্ষিণেশ্বরে যাত্রা শেষ করার উদ্দেশ্য সুদেশ কুমারের।  

    কী বার্তা দিচ্ছেন সুদেশ কুমার?

    যাত্রাপথে (Environment) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ কিমি সফর করে ফেলেছেন। বিগত দুমাস ধরে তাঁর এই বিশেষ যাত্রা চলছে। তবে চলার পথে তাঁর বেশ সমস‍্যা হচ্ছে। জাতীয় পতাকাকে হাতে নিয়ে সূর্যাস্তের পরই যাত্রা করছেন তিনি। বাকি সময় তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। যাত্রায় জাতীয় পতাকাকে হাতে নিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। পেশায় তিনি একজন দিনমজুর। এর আগে তিনি উত্তরপ্রদেশের নিজের বাড়ি থেকে সাইকেলে করে দিল্লি পর্যন্ত যাত্রা করেছিলেন। তাঁর এই জাতীয় পতাকা হাতে পদযাত্রা দেশ, সমাজ তথা পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় বেশ অভিনব বলেই অনেকে মনে করছেন। তাই যাত্রাপথে অনেকেরই নজর কেড়েছেন তিনি। পেশায় দিনমজুর হলেও তাঁর এই প্রচেষ্টাকে ব্যতিক্রমী হিসাবেও অনেকে দেখছেন। আপাতত কলকাতায় তাঁর এই যাত্রা শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব সময় বলে থাকেন, বুথের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। অভিষেকের এসব কথা টিভির পর্দায় শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন ঘাটালের মূলগ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি। দলে গুরুত্ব না পাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইয়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত সোলেমান আশা করেছিলেন, কোনওভাবে অভিষেকের কাছে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলতে পারলে বিহিত একটা হবেই। সেই মতো অভিষেকের কনভয় আটকে দল করতে না পারার কষ্টের কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) সকলের সামনে যেভাবে তাঁকে অপমান করেছেন, তা মনে করলে তিনি আঁতকে উঠছেন। যদিও অভিষেকের কনভয় চলে যাওয়ার পর পরই ব্লক নেতৃত্ব আর সময় নেয়নি। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আরও দুই তৃণমূল নেতাকে শো-কজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    ২৮ মে রাত সাড়ে নটা নাগাদ ঘাটালের বীরসিংহ থেকে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘাটালেরই বিদ্যাসাগর হাই স্কুল মাঠের তাঁবুতে যাচ্ছিল। জলসরায় চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রাজ্য সড়কে অভিষেকের কনভয়ের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকী কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়ে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তাঁকে সরানোর দাবি তোলেন দলেরই তিন নেতা। দিলীপ মাঝি পদে থাকলে দল ডুববে, তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলা হয়। ঘাটালের মূলগ্রাম বুথের সভাপতি শেখ সোলেমান আলি, বীরসিংহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ আবদুল রশিদ ও ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের চিত্কারে কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ির কাচ নামিয়ে অভিষেক তাঁদের ডাকেন। তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, “প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এইভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না, এসব দলে চলবে না। এভাবে লবিবাজি মেনে নেওয়া হবে না।” দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সোলেমান সাহেবকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ মে রাতেই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলিকে সাসপেন্ড করা হয় এবং বাকি দুজনকে শো-কজ করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

    কী বললেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা?

    সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শেখ সোলেমান আলি বলেন,” সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, হাতে কোনও চিঠি পাইনি। অঞ্চলের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন।” সাসপেন্ড হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি, তাই সাসপেন্ড করেছে। আমি ৯৮ সাল থেকে দল করি। সাসপেন্ড করেছে ঠিক আছে, কিন্তু দলকে ভোট দিতে পারবো তো! দলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে আমি কিছু বলিনি। কনভয় আটকে অন্য কেউ বলতে পারে, সেই ঝড় হয়তো আমার উপর এসে পড়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “মূলগ্রামের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি সহ কয়েকজন নেতৃত্ব ঘাটালের জলসরায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমান। দলের ওইসব নেতৃত্ব দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ইচ্ছা করে মনগড়া কথা বলার চেষ্টা করেছে। দলের যে স্তরে জানানোর দরকার, সেখানে না জানিয়ে একেবারে জনসমক্ষে দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকিদেরও শো-কজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব না দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share