Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Recruitment Scam: ৬ ঘণ্টা পার! এখনও ‘কালীঘাটের কাকু’-কে জেরা করে চলেছে ইডি

    Recruitment Scam: ৬ ঘণ্টা পার! এখনও ‘কালীঘাটের কাকু’-কে জেরা করে চলেছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) আজ, মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তলব করেছে ইডি (ED)। এদিন সকাল ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) হাজিরা দেন সুজয়। এই প্রথম বার ইডি দফতরে গেলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কি ভয় পাচ্ছেন সুজয়? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আত্মবিশ্বাসী কি না বেরোনোর সময় দেখবেন।’’

    কেন তলব?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর নাম। কে এই কালীঘাটের কাকু, সেই নিয়ে চর্চা হয় বিস্তর। জানা যায়, তাঁর আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাপস দাবি করেন, কুন্তল ঘোষ ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকী টাকা লেনদেনের ব্যাপারে সবই জানতেন সুজয়। যদিও কুন্তল দাবি করেছিলেন, তিনি সুজয়কৃষ্ণকে চেনেন না। একাধিবার সুজয়কে জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই নিজামে সুজয়কে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    গত ২০ মে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। সকাল ছ’টা নাগাদ কার্যত তাঁর বাড়ি গিয়ে সুজয়কে ঘুম থেকে তুলে তল্লাশি অভিযান ও জেরা শুরু করেন ইডি অফিসাররা। টানা ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে সুজয়ের একটি মোবাইল ও কিছু নথি নিয়ে যান গোয়েন্দারা। মনে করা হচ্ছে, সেইসব সূত্র ধরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজয়কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। সুজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দেখে অনেকগুলি লেনদেন সন্দেহজনক লেগেছে তদন্তকারীদের। তারপর নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান অফিসাররা। কুন্তল–তাপসকে কেমন করে চিনতেন সেটা জানতে চাইতেই এই তলব। তাঁদের সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে খবর রয়েছে অফিসারদের কাছে। এমনকী এক প্রভাবশালী আমলার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল বলে তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। এইসব নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডি অফিসাররা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    PM Modi: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ভারতের অন্যতম ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষায়, ‘‘৯ বছরে কৃষকদের রোজগার অনেকটাই বেড়েছে। পাশাপাশি চাষের খরচও কমানো গেছে। আধুনিক উন্নত মানের সুবিধা কৃষকদের প্রদান করা হয়েছে। বীজ বপন থেকে ফসলকে বাজারে রফতানি করা পর্যন্ত সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছে।’’ বিগত ৯ বছরের মোদি সরকারের আমলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে কৃষি ক্ষেত্রে। জনপ্রিয় হয়েছে ‘‘বীজ সে বাজার তক’’ স্লোগান। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে মোদি সরকার বিগত ইউপিএ সরকারের থেকে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পে কৃষকরা আগের থেকে বেশি টাকা পাচ্ছেন। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা করে পাঠানো হয়ে থাকে এই প্রকল্পে। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির হাত থেকে কৃষিকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো বিমাও চালু করেছে সরকার। খরা, বন্যা, অতি বৃষ্টি এসবই এর মধ্যে পড়ছে। পাশাপাশি, জল সেচের জন্যও আগের থেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এর ফলাফল আমাদের সকলের চোখের সামনে। লকডাউনের সময় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে খাদ্য উৎপাদনে রেকর্ড তৈরি হয়েছে দেশে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য যা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে সমর্থ হয়েছে দেশের কৃষি ক্ষেত্র। শুধুমাত্র খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্রেই নয়, মৎস্য চাষ থেকে শুরু করে ফরেস্টি, হর্টিকালচার সব ক্ষেত্রেই কৃষকদের রোজগার বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষেত্রেও রোজগার অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটিরও বেশি মানুষ এই পেশার সঙ্গে।

    সারা বিশ্বে দুগ্ধ উৎপাদনে প্রথম ভারতবর্ষ, মাছ-ডিমে তৃতীয়  

    ভারতবর্ষ সারা বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দুধ উৎপাদনে। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ডিম উৎপাদনে। মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাংস উৎপাদনে অষ্টম স্থান অধিকার করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ ঘোষণা করেছে ২০২৩ সাল হল আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ। জোয়ার, ভুট্টা জাতীয় খাদ্যশস্যগুলিকে মিলেট জাতীয় শস্য বলে। এই শস্য যে কোনও প্রতিকূল পরিবেশেও চাষ করা যায় এবং অনুর্বর জমিতেও স্বাচ্ছন্দ্যে হয়। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলছেন, ‘‘মিলেট ক্রেতাদের জন্যও ভালো। চাষ করতেও সুবিধাজনক। আবার যে কোনও জলবায়ুতেও চাষ করা যায়।’’ কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব দেওয়াতে, মিলেট জাতীয় খাদ্যশস্যর উৎপাদনও বেড়েছে দেশে।

    জৈব চাষে গুরুত্ব

    অন্যদিকে দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, তাঁরা যেন জৈব চাষ করেন। প্রাকৃতিক চাষের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সারা দেশের পঞ্চায়েতগুলির সহযোগিতায় জৈব চাষকে বাস্তবায়িত করা হবে। এনিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেহেতু কোনও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না, তাই এই চাষ অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। বিনিয়োগও এখানে কম হয়, যার ফলে লভ্যাংশের পরিমাণটাও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত নয় বছরে ভারতবর্ষের কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত দিক থেকে ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার এসেছে এবং বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিকভাবে চাষাবাদ করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, ভারতীয় কৃষকরা শুধুমাত্র দেশের জন্যই খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন না, বরং উৎপাদিত পণ্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত ৯ বছরে কৃষি ক্ষেত্রে কী কী উন্নয়ন হয়েছে?

    ১) ইউপিএ জমানার সাপেক্ষে পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে যেখানে ২১,৯৩৩ কোটি টাকার কৃষি বাজেট হত, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মোদি সরকারের জমানায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকার কৃষি বাজেট মঞ্জুর করা হয়েছে।

    ২) কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    ৩) পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ১১ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার উপভোক্তা।

    ৪) Soil Health Card বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ২৩ কোটি।

    ৫) পরিসংখ্যান বলছে, বাসমতি চাল ছাড়া অন্যান্য যে চালগুলি বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হত, ইউপিএ জমানার থেকে তার বিক্রি বেড়েছে ১০৯.৭ শতাংশ।

    ৬) ২০ লক্ষ কোটি টাকা কৃষি ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে 

    ৭) ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৫০০ শতাংশ। 

    ৮) ফসল বিমা যোজনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা।

    ৯) ২০২১ থেকে ২০২৬ পর্যন্ত জল সেচ প্রকল্পে ৯৩ হাজার ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার।

    ১০) গমের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ২০০৬ থেকে ২০১৪ অবধি যেখানে দেওয়া হয়েছে ২.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এর পরিমাণ ৪.৫২ লক্ষ কোটি টাকা।

    ১১) ধানের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সহায়ক মূল্য প্রদান করা হয়েছিল ৩.০৯ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এর পরিমাণ ১০.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা।

    ১২) কৃষকের জমিতে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। যাতে তাঁদের রোজকার বাড়তে পারে বিভিন্নভাবে। গত ন’ বছরে দ্বিগুণ মধু বিদেশে রফতানি করা গেছে।

     

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে ছাগলের মড়ক, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Balurghat: বালুরঘাটে ছাগলের মড়ক, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাগলের মারণ রোগ দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের কামারপাড়া এলাকায়। ছাগলের মড়কে ক্ষতিগ্রস্ত পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করা গ্রামের মানুষের জীবন। পাশাপাশি, বসন্ত জাতীয় রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। ছাগলের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়, এবার তা মানুষের মধ্যে ছড়াবে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

    বালুরঘাটে (Balurghat) ছাগলের রোগ কী?

    রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় ছাগলের চামড়ায় গুটি গুটি দেখা যাচ্ছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে ঘা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলেই ছাগলের মৃত্যু ঘটছে। আক্রান্ত ছাগল থেকে অন্য ছাগলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। কামারপাড়া (Balurghat) এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় তিরিশটি আক্রান্ত ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা জানা গিয়েছে। ছাগলের মৃত্যুর ঘটনায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামের গরিব মানুষ, অপরদিকে, ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে খাসির মাংস বিক্রেতাদেরও। এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ছাগলের মড়কের ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামের হাট গুলোতে খাসির মাংস বিক্রি কমে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। বালুরঘাট ব্লক পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক আদিত্য কুমার পাল জানান, ছাগলে সংক্রমিত পক্স রোগ, চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় হয়। আতঙ্কের কারণ নেই। এই প্রসঙ্গে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সম্পাদক বাপী সরকার জানান, গ্রামের বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

    সংক্রমণে বাসিন্দাদের অভিযোগ 

    কামারপাড়া (Balurghat) স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ছাগলের মধ্যে রোগ দ্রুত সংক্রমণের ফলে বহু ছাগলের মৃত্যু হচ্ছে। রোগ সংক্রমণের কারণে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি, ছাগলের মৃত্যুতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেককে। এলাকার মানুষের দাবি, সরকারি কোনও চিকিৎসা আমরা পাচ্ছি না। নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে প্রাইভেট ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকারি ভাবে এই রোগের চিকিৎসা হোক।

    গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের (Balurghat) প্রধান মিরিলা মুর্মু জানান, ছাগলের মৃত্যুতে গরিব গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ছাগলের মধ্যে রোগ সংক্রমণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাণী সম্পদ বিভাগকে জানানো হবে। এলাকায় মাইকিং করে পশু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ছাগলের চিকিৎসা নিতে বলা হবে স্থানীয় মানুষদের।

    প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের বক্তব্য

    প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের (Balurghat) ডেপুটি ডিরেক্টর অভিজিৎ মন্ডল জানান, ছাগলের বসন্ত রোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। গ্রামবাসীদের ছাগলের চিকিৎসা করাতে বলবো। রোগটি ছাগল থেকে ছাগলের মধ্যে সংক্রমিত হলেও, মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হ‌ওয়ার সম্ভাবনা নেই। আতঙ্কের কারণ নেই। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    Recruitment Scam: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির  (Recruitment Scam) কিনারা করতে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরে চিঠি দিল ইডি। কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন এবং পুর নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কী কী তথ্য জানতে চাইল ইডি?

    ইডি সূত্রে খবর, গত ১০ বছরের মেয়াদে কলকাতা পুর নিগম সহ রাজ্য জুড়ে পুরসভা ও কর্পোরেশনগুলিতে কত নিয়োগ করা হয়েছে, সেই নিয়োগের প্রক্রিয়া কী ছিল, কীভাবে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে, কত জনের প্যানেল তৈরি হয়েছিল, এই সব তথ্যই জানতে চাওয়া হয়েছে (seeking information)। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ (Recruitment Scam) হয়েছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকেই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সূত্রের খবর, ২০১৪ সাল থেকে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন মারফত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। ২০১৪ সাল থেকে কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, কোন এজেন্সি দায়িত্বে ছিল, সেই সব বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই, দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তোপ সুকান্তর

    কোথায় কোথায় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে (Recruitment Scam) টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছিল। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই, দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই, দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই। সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল। সোমবার সকালে দলীয় কর্মসূচিতে এনজেপি স্টেশনে এসে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “আমি সাগরদিঘির উপ নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম, বাইরন বিশ্বাস যদি জয়ী হন, তাহলে কতদিন কংগ্রেসে থাকবেন, সেটা অধীরদাও জানেন না। সেটাই বাস্তবায়িত হল। বাইরন বিশ্বাস এখন মীরজাফর বিশ্বাস। আসলে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল দিল্লিতে একসঙ্গে চা খায়। হাতে হাত রেখে চলে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে উৎখাত করা। কাজেই বাইরনের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তাতে আর একবার মানুষ বুঝল, এরাজ্যে বিজেপি ছাড়া তৃণমূলের বিকল্প কেউ নেই।”

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    কিছুদিন আগেই সিবিআই দফতরে দিনভর জেরা করা হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফের অভিষেককে ইডি তলব করেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, “ইডি অভিষেককে তলব করেছে ভালো কথা। কিন্তু, বারবার গিয়ে ফিরে এলেই মুশকিল। আমরা চাইছি, বারবার যাওয়ার কষ্ট বন্ধ হোক। একেবারেই তিনি চলে যান।” তৃণমূলের যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “প্রকৃত তৃণমূলীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের কথা যদি অভিষেক বলে থাকেন, তাহলে তাঁরই তৃণমূলে স্থান হবে না। কারণ তিনি প্রকৃত তৃণমূল নন। ২০১১ সালের আগে তিনি তৃণমূলে ছিলেন না। যাঁরা পরিশ্রম করে তৃণমূলকে রাজ্যে ক্ষমতায় এনেছেন, তাঁদের মাথার ওপর পা রেখে তিনি তৃণমূলে এসেছেন।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে স্বপ্ন দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা স্বপ্নই থেকে যাবে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “গতবারও কলকাতার ব্রিগেডে ২২-২৩ টা দল নিয়ে হাত তুলে কীর্তন করে ছবিও তুলেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবারও স্বপ্ন পূরণ হবে না। কারণ, মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন এবারও নরেন্দ্র মোদিকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী করবেন। বিজেপি অনেক বেশি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে জঙ্গিদের শিকার হল হিন্দুরা। এবার জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সার্কাসকর্মীর (Circus Performer)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jaamu & Kashmir) অনন্তনাগ (Anantnag) জেলায় সোমবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

    জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দীপক কুমার। বাবার নাম মাসুক কুমার। উধমপুরের বাসিন্দা দীপক একটি সার্কাসদলে কাজ করতেন। তাঁকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। জানা গেছে, অনন্তনাগের (Jammu And Kashmir) একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সামনে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানান, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনার পরই এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশিও শুরু হয়েছে।  যদিও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জঙ্গিদের হদিশ মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি-২০ বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। যদিও বাঠক নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর মে মাসে বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিককে খুনের ঘটনা ঘটে কাশ্মীরে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আবার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের। কুলগামে বিনয় কুমার নামে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে কুলগামের স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। বিহারের কয়েকজন শ্রমিককেও গুলি করে খুন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুঙ্গের থেকে দেদার অস্ত্র ঢুকছে রাজ্যে! এসটিএফের জালে ৩

    STF: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুঙ্গের থেকে দেদার অস্ত্র ঢুকছে রাজ্যে! এসটিএফের জালে ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে এগরার খাদিকুলে ভানু বাগের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যুর পর পুলিশ-প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। রাজ্য জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। জেলায় জেলায় বস্তা বস্তা তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এখনও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতাকর্মীরা বোমা মজুত রাখার ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ প্রমাণিত করেছে। বোমা তৈরির পাশাপাশি পঞ্চায়ত ভোটের আগে এবার মুঙ্গের থেকে রাজ্যে দেদার অস্ত্রও ঢুকছে। সোমবার কাটোয়া রেল স্টেশনে বেঙ্গল এসটিএফ (STF)-এর জালে তিনজন ধরা পড়ার ঘটনা সেকথাই প্রমাণ করছে।

    ধৃতদের কাছ থেকে কত অস্ত্র উদ্ধার করল এসটিএফ (STF)?

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ কাটোয়া রেল স্টেশনে জিআরপিকে সঙ্গে নিয়ে এসটিএফ অভিযান চালায়। তিন ব্যক্তিকে আটক করে এসটিএফ (STF)। এই তিনজন কাটোয়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে দাঁড়িয়েছিল। আগ্নেয়াস্ত্র সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে ও বাকি দুজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। ধৃতদের নাম কাউসার সেখ, শ্রীলাল মণ্ডল এবং সুদীপ খান। কাউসারের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদায়। সুদীপের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। আর শ্রীলালের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। এদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ছটি ম্যাগাজিন ও ১৪ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করে এসটিএফ। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার সকালে তিনজনের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। তবে, স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে কেন তারা অপেক্ষা করছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। হরিহরপাড়া এবং নওদা এলাকার যে দুজনকে ধরা হয়েছে, তাদের নামে আগে কোনও থানায় মামলা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vaishno Devi: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    Vaishno Devi: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে প্রাণ হারালেন ১০ পুণ্যার্থী৷ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। মঙ্গলবার সকালে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা বাস সেতু থেকে খাদে পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাসে অন্তত ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন। অমৃতসর থেকে কাটরার উদ্দেশে যাচ্ছিল সেই বাসটি। ঝাজ্জর কোটলি গ্রামের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। বাসের মধ্যে পুণ্যার্থীরা বেশিরভাগই বিহারের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যাত্রীদের জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বাসে অনেক মহিলা এবং শিশুও ছিল। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

    অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে দুর্ঘটনা

    জম্মু পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট চন্দন কোহলি জানিয়েছেন, ‘‘দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৫৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছেন স্থানীয় মানুষও।’’ বাসটিতে অত্যন্ত ভিড় ছিল বলেও জানান তিনি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, অত্যধিক ভিড়ে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি, এটাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে।

    আরও পড়ুন: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় দুর্ঘটনা

    অন্যদিকে রাজস্থানের (Rajasthan) ঝুনঝুনু জেলায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত মনসা মাতা মন্দির থেকে ফেরার পথে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক্টর ট্রলি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। যার মধ্যে ৬ মহিলা ও ২ শিশু। এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৬ জন। সোমবার রাতে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল (PMNRF) থেকে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • IPL 2023: শেষ বলে বাজিমাত! এই নিয়ে পাঁচবার, আইপিএল ট্রফি চেন্নাইয়ের

    IPL 2023: শেষ বলে বাজিমাত! এই নিয়ে পাঁচবার, আইপিএল ট্রফি চেন্নাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম আইপিএল (IPL 2023) খেতাব জিতল চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ২ বলে ১০ রান করে ট্রফি জয় সিংহদের। ধোনির মতো নেতার কাছে হার মেনেও সুখ, বললেন পরাজিত হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। মোহিত শর্মা প্রথম চারটি বলে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা গুজরাট টাইটান্সের। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা শেষ দু বলে ছয় এবং চার মেরে চেন্নাইকে ট্রফি জেতান।

    গুজরাটের লড়াই

    রবিবারের পর সোমবারও আইপিএল ফাইনালে (IPL 2023) তাড়া করল বৃষ্টি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাইকে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। ঘরের মাঠে দাপটে ব্যাট করেন গুজরাটের ব্যাটাররা। শুরুতে দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল এবং তার পরে সাই সুদর্শন চেন্নাইয়ের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন। গত ম্যাচের নায়ক শুভমন গিল ভালই শুরু করেছিলেন কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজার বলে ৩৯ রানের মাথায় তাঁকে স্টাম্প আউট করেন ধোনি। ঋদ্ধি ৩৬ বলে অর্ধশতরান করেন। ৪৭ বলে ৯৬ রান করে আউট হয়ে যান সুদর্শন। হার্দিক শেষ দিকে ১২ বলে ২১ রান করেন। গুজরাটের ব্যাট শেষ হতেই আবার বৃষ্টি। সময়ের নিরিখে ম্যাচ গড়ায় তৃতীয় দিনে। রাত ১২.১০ নাগাদ ফের ম্যাচ শুরু হয়। ডিএলএসে চেন্নাইয়ের পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৭১।

    আরও পড়ুন: দলে যশস্বী, সূর্যকুমার! বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চূড়ান্ত দল ঘোষণা

    ধোনির কাছে হার মেনে খুশি

    ফাইনালে ২১৫ রানের চাপ যথেষ্ট বেশি। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস দেখাল, লক্ষ্য কঠিন হলেও জয় অসম্ভব নয়। বৃষ্টির দাপটে প্রায় ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকলেও ছন্দ নষ্ট হয়নি চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের। ২০ ওভারের খেলা কমে দাঁড়ায় ১৫ ওভারে। লক্ষ্য কমে হয় ১৭১। সেই লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় চেন্নাই। তবে চেন্নাই জিতলেও মুখের হাসি ম্লান হয়নি গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার। তিনি হেরেও খুশি। কারণ হারতে হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “আমি ধোনির জন্য খুশি। যদি হারতেই হয়, তাহলে ধোনির বিরুদ্ধেই হারা ভাল। মানুষ ভাল হলে তাঁর সঙ্গে সব সময় ভাল হয়। ধোনি আমার চেনা সব থেকে ভাল মানুষ। ঈশ্বর ওর প্রতি খুশি। আমাকেও ঈশ্বর অনেক দিয়েছেন, তবে এই রাতটা ধোনির।” হারলেও নিজের দলের খেলায় খুশি হার্দিক। তিনি বলেন, “আমাদের দল সব জায়গায় ভাল খেলেছে। হৃদয় দিয়ে খেলেছি আমরা। যে ভাবে লড়াই করেছে দল, তাতে আমি গর্বিত। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, জিতলে একসঙ্গে জিতব, হারলে একসঙ্গে হারব। কোনও অজুহাত দেব না এই হারের। চেন্নাই আমাদের থেকে বেশি ভাল খেলেছে, তাই জিতেছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের আমের সুখ্যাতি শুধু দেশ নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। ঐতিহাসিক এই মুর্শিদাবাদে নবাবদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, তাঁরা বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রজাতির গাছ এনে নিজস্ব আমবাগানে লাগাতেন। তাঁদের বাগানে কমপক্ষে ২০০র বেশি প্রজাতির আম (Mango) ছিল। কিন্তু আজ অধিকাংশ আমবাগান কেটে বসতি গড়ে উঠছে। হরেক রকম আমের নাম থাকলেও এখন অধিকাংশই আমাদের কাছে দুর্লভ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা আর নতুন প্রজন্মকে সব ধরনের আম দেখাতে পারি না। এরই মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছেন জিয়াগঞ্জের আমডাওড়ার একজন আম গবেষক এবং চাষি কুশল ঘোষ।

    কীভাবে সম্ভব হল এই কাজ (Mango)?

    হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির আম আর দেখতে না পেয়ে তাঁর মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। তখনই তিনি চিন্তাভাবনা করেছিলেন, বাগানে নানা ধরনের আমের ফলন করবেন। কথা অনুযায়ী শুরু করে দেন কাজ। তিনি গ্রাফটিং-এর সাহায্যে ১৫০ থেকে ২০০ প্রজাতির আমের ফলন করে নবাবি আমলের বিভিন্ন প্রজাতির আমের (Mango) অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। কুশলবাবু তাঁর আমবাগানে শঙ্করায়ন পদ্ধতির সাহায্যে শ্যাম ভোগ, বেল চম্পা, ল্যাম্বো, বিভী প্রভৃতি প্রজাতির আম উৎপন্ন করছেন। তিনি বলেন, উদ্যান পালন আধিকারিকের কাছ থেকে ২০০০ সালে গ্রাফটিং-এর মাধ্যমে হাতে-কলমে আম গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলনের শিক্ষা তিনি লাভ করেন। তারপর সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আমের কলম বসানোর কাজ শুরু করেন। এসব কাজ শুরু করার ২-৩ বছরের পর থেকেই ভালো আম পাওয়া শুরু হয়। খুব স্বাভাবিক কারণে বিভিন্ন রকমের আম দেখে কুশলবাবুর উৎসাহ আরও বাড়তে থাকে এবং গাছের প্রজাতির সংখ্যাও বেড়ে যায়।

    কী বললেন তাঁর সঙ্গী?

    কুশলবাবুর সব সময়কার সঙ্গী প্রতাপ সিংহ বলেন, এখানকার গাছে (Mango) কোহিতুর, আলফানসো, ফজলি, গোলাপখাস, সারেঙ্গা, বিল্লি, বিরা এরকম ১৬৫ প্রজাতির আম তাঁর এই বাগানে ফলার রেকর্ড রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত বছরে ১০০র বেশি প্রজাতির আম হলেও চলতি বছরে সংখ্যা একটু কমেছে। কুশলবাবু জানান, শঙ্করায়নের মাধ্যমে বঙ্গবাসীকে তিনি নানা রকমের আম উপহার দেবেন। ভবিষ্যতেও তিনি যতদিন থাকবেন, মুর্শিদাবাদ থেকে যতই আমগাছ কেটে ফেলে দেওয়া হোক না কেন, তিনি জেলাবাসীকে একটি গাছের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলন সংক্রান্ত শিক্ষা দিয়ে যাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share