Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে ধসের ইঙ্গিত? আতঙ্কিত গ্রামবাসী

    Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে ধসের ইঙ্গিত? আতঙ্কিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার পাঁচ দিন ধরে পূর্বস্থলী (Purba Bardhaman) দু’নম্বর ব্লকের মুকসিম পাড়া গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এক একটি গর্ত প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট গভীর। হঠাৎ করে এই রকম গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে আতঙ্কে এলাকাবাসী। এলাকায় ধস নামার ইঙ্গিত নয় তো?

    কী হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) ?

    ঘটনা চোখে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের মুকসিম পাড়া গ্রামে। এই গ্রামে প্রায় ৩০০ টি পরিবারের বাস। জনসংখ্যার নিরিখে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করে এই গ্রামে। গত চার পাঁচ দিন যাবত হঠাৎ করে বিভিন্ন জমিতে বড় বড় গর্ত লক্ষ করা গেছে। এলাকার আম বাগানের জমি হোক, আর চাষের জমি, সমস্ত জায়গায় হঠাৎ হঠাৎ করে গর্ত তৈরি হচ্ছে। সেই কারণে আতঙ্কে রয়েছে এলাকার গ্রামবাসীরা। আমের মরশুমে আম বাগানে হঠাৎ করে এরকম বড় গর্ত হওয়ায় সকলেই চিন্তিত। বাচ্চা ছেলেরা আম কুড়াতে গিয়ে এই গর্তের মধ্যে পড়ে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। অপরদিকে বৃষ্টির জল জমে যাওয়াতে বোঝা যাচ্ছে না, জমিতে গর্ত আছে কী নেই? আর যদি কোনও বাচ্চা সেখানে যায়, তাহলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই পড়লে বাচ্চাদের খুঁজে না পাওয়ার ভয়ও রয়েছে। কারণ এই গর্তগুলি বেশ গভীর। গ্রামবসীরা সকলেই খুব উদ্বেগে রয়েছে।

    এলাকায় (Purba Bardhaman) ধসের ইঙ্গিত নয় তো?

    এই গর্তের ঘটনায় আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। গ্রামে আগে গর্ত দেখা যেত ইঁদুরের কিম্বা শিয়ালের! কিন্তু এই ধরনের গর্ত শিয়াল বা ইঁদুরের যে নয় সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এই গর্তগুলো কোন ধসের ইঙ্গিত নয় তো? সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে মুকসিম পাড়া (Purba Bardhaman) গ্রামবাসীদের।

    স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া

    এলাকার স্থানীয় (Purba Bardhaman) হাসান মণ্ডলের বক্তব্য, বেশ কিছু দিন ধরে এই এলাকায় কিছু বড় বড় গর্ত দেখা যাচ্ছে। গর্তগুলি কিছু জমি এবং বাড়ির পাশে যেমন হয়েছে তেমনি চাষের মাঠে, জমিতেও দেখা যাচ্ছে। ধস বা সুড়ঙ্গের মতন দেখা যাচ্ছে বলে আমরা খুব চিন্তিত। বিশেষ করে পাকাবাড়ি যাদের রয়েছে তারাও খুব চিন্তিত রয়েছে। যদি ধস নামে, তাহলে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে যেতে পারে। আমরা পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে বিষয়টি জানিয়েছি। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আশাকরি পদক্ষেপ নেবে। ধস বা সুড়ঙ্গের কারণ ঠিক কী, তা এলাকাবাসীর সামনে অবশ্যই আসা উচিত বলে দাবি করেন হাসন মণ্ডল।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার পঞ্চায়েত (Purba Bardhaman) প্রধান আলিবদ্দিনের বক্তব্য, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমিও ব্লক অফিসে যাবো এবং বিডিও সাহবের কাছে বিষয়টি তুলে ধরব। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করবো। এখন ঠিক কবে এই গর্ত রহস্যের সমাধান হয়, সেটাই এখন দেখার।       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি (Balurghat) রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য গায়েব হতে যেতে চলেছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া। এর ফলে ওই গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার গৃহহীন হয়ে যেতে বসেছে। জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কেউ ক্ষতিপূরণও পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে আচমকা এই পরিবারগুলির ওপরে নেমে এসেছে আশঙ্কার কালো ছায়া। স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি তুলেছে। সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। এই পাড়াকে ঘিরে আন্দোলন তৈরী হচ্ছে বালুরঘাটে।

    কোথায় চলছে রেলের জন্য জমি (Balurghat) অধিগ্রহণ

    বালুরঘাটের (Balurghat) চকভৃগু থেকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড হয়ে হিলির দিকে চলে গিয়েছে রেললাইন। দীর্ঘ টালবাহানার পর সম্প্রতি রেলের কাজের জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে। জমি চিহ্নিতকরণ করে খুঁটি বসানো হয়েছে। ঠিক সেই সময় অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতের ডুমইর গ্রামের চক আমোদ পাড়াটি পুরোটাই পড়েছে রেলের চিহ্নিত করা জমির মধ্যে। দীর্ঘ সময় ধরে এই জমিতে বসবাস করছিল ওই কয়েকটি পরিবার। ওই পরিবারগুলিকে কেন্দ্র করেই এলাকায় গড়ে উঠেছিল পাড়াটি। এবার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই প্রায় ২৫টি বাড়ি ও দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের জমির কোনও দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গরিব মানুষের বাড়িঘর চলে গেলে তাঁরা কোথায় থাকবেন?

    গ্রামের (Balurghat) মানুষের প্রতিক্রিয়া

    গ্রামের (Balurghat) বাসিন্দা বৃদ্ধা মুক্তিরানি সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছি। আমাদের বাড়ি, স্কুল সবই রেলের জমির মধ্যে পড়ে গিয়েছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিন। আবার স্থানীয় গৃহবধূ গৌরী বর্মন বলেন, আমাদের পাড়ার প্রায় সবাই গরিব। সকলেরই প্রায় দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। রেল তার জমি চিহ্নিত করে গিয়েছে। সরে যেতে বলেছে আমাদের। কিন্তু আমাদের অন্যত্র জমি কেনার ক্ষমতা নেই! কী করব বুঝতে পারছি না !

    রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া

    একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি গ্রামবাসীদের (Balurghat) পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। বিজেপির তরফে জেলা শাসকের কাছে ওই এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করেও জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায় এতদিন সরকারি কোনও সুযোগসুবিধা পাননি ওই পাড়ার বাসিন্দারা। রেলের তরফেও কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না তাঁরা। তাই তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আন্দোলন চলবে। দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে বসবাস করা মানুষের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে, সরকার কিছু ভাবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat: আগুনে ভস্মীভূত উচ্চ মাধ্যমিকে সফল রাজেশ দাসের রেল বস্তির ঠিকানা

    Barasat: আগুনে ভস্মীভূত উচ্চ মাধ্যমিকে সফল রাজেশ দাসের রেল বস্তির ঠিকানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের (Barasat) বয়েজ হাইস্কুল থেকে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল রাজেশ দাস। অদম্য জেদ এবং দারিদ্রতাকে দূরে সরিয়ে আজ উচ্চমাধ্যমিকে সফল হয়েছে রেল বস্তির যুবক রাজেশ। বাণিজ্য বিভাগে ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৮। নিজের স্কুলে বাণিজ্য বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে রাজেশ। কিন্তু পরীক্ষায় সাফল্য এলেও তার কাছে পরিবারের দারিদ্র এখন প্রধান বাধা।

    বারাসাতে (Barasat) কীভাবে পড়াশুনা করত রাজেশ

    ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে রাজেশ। সেই থেকে সংগ্রাম শুরু। বাবার ছায়াতেই বড় হয়ে ওঠা তার। বাবা সহদেব দাস রাজেশের একমাত্র প্রেরণা। পাড়ায় পাড়ায় কসমেটিক্সের জিনিস ফেরি করে তার পিতা। সামান্য আয়ে, কোনও রকমে সংসার চলে দু’জনের পরিবার। তাই, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা যথেষ্টই কষ্টসাধ্য। তবে কষ্ট হলেও নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছে (Barasat) পিতা।

    পড়াশুনার (Barasat) লড়াই কতটা কঠিন

    ভালো ফলাফল করেও মন ভালো নেই রাজেশের। কারণ, চারদিন আগেই শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার হৃদয়পুর (Barasat) স্টেশনের পাশে রেল ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুনে সর্বস্বান্ত রাজেশের পরিবার। চোখের সামনে নিমেষে পুড়ে ছাই হতে দেখেছে ছোট্ট সংসার। কোনক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে বাবা-ছেলে জীবন বাঁচাতে পারলেও, আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পারেনি জিনিসপত্র। নষ্ট হয়ে গিয়েছে রাজেশের যাবতীয় বই এবং উচ্চমাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও। উচ্চ মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড, এমনকি পরনের জামা কাপড় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। একেই সামনে কলেজের ভর্তি আর সেক্ষেত্রে লাগবে এডমিট কার্ড। তাই কীভাবে সে কলেজে ভর্তি হবে, এখন সেই দুশ্চিন্তা তাকে ভাবাচ্ছে। আপাতত রেল লাইনের পাশেই এক অস্থায়ী ঠিকানায় ঠাঁই হয়েছে দু’জনের।

    বাবার আবেদন

    এই প্রসঙ্গেই পিতা সহদেব দাস বলেন, “আগুনে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। এই কষ্টের মধ্যেও ছেলে উচ্চমাধ্যমিকে (Barasat) ভালো ফলাফল করেছে, এটাই সবচেয়ে আনন্দের। আমার সামর্থ্য নেই যে ওকে আর্থিক সহযোগিতা করব। তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমার ছেলের ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে খুব উপকার হবে।”

    রাজেশের স্বপ্ন

    এদিকে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোই যে তার একমাত্র লক্ষ্য, তা স্পষ্ট জানিয়েছে রাজেশ দাস। সে বলেছে, অনেক পরিশ্রম করে সমস্ত কিছু তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে আগুনে। শিক্ষিত হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। প্রশাসন (Barasat) এই আবেদনে কতটা সাড়া দেয়, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য কৃষক সন্তান অর্ণব সাহার

    Murshidabad: উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য কৃষক সন্তান অর্ণব সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যন্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) এলাকার দরিদ্র কৃষক পরিবারে পড়াশুনা করে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়, সেই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে অর্ণব সাহা। পরিবারে, বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৮ নম্বর পেয়ে মুর্শিদাবাদে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে অর্ণব সাহা। তার বাড়ি কান্দি থানার অন্তর্গত জীবন্তি জিয়াদারা গ্রামে। তার সাফল্যে স্কুল, পরিবার থেকে এলাকায় নেমে এসেছে খুশির হাওয়া। পরিবারে বাবা মা, তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। আগামী দিনে পড়াশুনা করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে সমাজসেবার কাজ করতে চায় সে। 

    অর্ণব বাড়িতে (Murshidabad) কীভাবে পড়াশুনা করতো?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলের কলাবিভাগের ছাত্র অর্ণব সাহা। তার বিষয় ছিল বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষাবিজ্ঞান, ভূগোল ও দর্শন। প্রতিটি বিষয়ে ৯০ এর উপরে নম্বর থাকলেও একমাত্র বাংলায় ৬৭ নম্বর পেয়েছে সে। অর্ণব জানিয়েছে, ভালো রেজাল্টের আশা করেছিলাম, কিন্তু বাংলায় এতো কমে পাব ভাবতে পারিনি। রিভিউ করলে আশাকরি নম্বর আরও বাড়বে! বাংলায় আরও বেশি নম্বর পেতে পারতাম। প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতো বলে সে জানিয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি তুলতে এবং খেলাধূলা করতে পছন্দ করে অর্ণব।

    পরিবারের (Murshidabad) প্রতিক্রিয়া

    অর্ণবের বাবা পেশায় কৃষিকাজ করে পরিবার চালান। অত্যন্ত অভাব আর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে পরিবার চলত বলে জানিয়েছেন পরিবার। উচ্চ মাধ্যমিকের এই সাফল্যের পিছনে বাবা মায়ের (Murshidabad) যেমন পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে, তেমনি তাকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তার পিতা সঞ্জীব সাহা জানান, ছেলে অর্ণবের ভালো ফল হয়েছে, আশাকরি ভবিষৎতে আরও এগিয়ে যাবে। অর্ণব আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে সরকারি অফিসার হয়ে সমাজসেবার কাজে নিযুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কৃষক পরিবারের সন্তান অর্ণব সাহার এই ফলাফলে খুশির হাওয়া এলাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur:  নবজোয়ায়ের আগে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব

    Kharagpur: নবজোয়ায়ের আগে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের নবজোয়ারের কর্মসূচি ঠিক আগেই খড়গপুর শহরে আদি-নব্য তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। এবার ঘটনা দেখা গেল খড়গপুর (Kharagpur) পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। সদ্য নির্দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলার ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন খড়গপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আদি তৃণমূল নেতা জাবেদ আলী খান। এলাকায় এই নিয়ে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    খড়গপুর (Kharagpur) কী অভিযোগ?

    পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট জাবেদ আলী খান অভিযোগ করেছেন, খড়গপুর (Kharagpur) পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কিছুদিন আগেই নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পৌর নির্বাচনে জাবেদ আলী তৃণমূলের দলীয় সিম্বল এবং তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে খড়গপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারের কাজ করেছিলেন। আর এরপর থেকে তাঁদের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও তাঁর ভাই। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, দলীয় কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হয় না। শুধু তাই নয়, তিনি এই নিয়ে জেলা সভাপতি, শহর সভাপতি সকলকে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি আরও বিশেষ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমার এক জায়গার উপরে পাঁচিল দিতে গেলে, কাউন্সিলার জোর করে সেই পাঁচিল ভেঙ্গে দেয়। সেই সঙ্গে পাঁচিল দেওয়ার সময় কর্মরত মিস্ত্রীর উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নব্য তৃণমূল কাউন্সিলার তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়ে আদি তৃণমূল নেতা জাবেদ আলী খান লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখার্জিকে।

    কাউন্সিলারের বক্তব্য (Kharagpur)

    খড়গপুর (Kharagpur) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ফিদা হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৬ ফুটের রাস্তাকে ১৪ ফুট করে দিয়েছেন জাবেদ আলী খান। সাধারণ মাপ থেকে দু ফুট এগিয়ে নিয়ে আসার প্রতিবাদ করাতে আমার বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা কথা বলা বলছেন তাঁরা। যাঁরা এই অভিযোগ আনছেন, তাঁরা আগে সিপিএম করতেন, এখন আবার তাঁরাই তৃণমূল করছেন বলে জানিয়েছেন ফিদা হোসেন। 

    কাজ করতে যাওয়া মিস্ত্রীর অভিযোগ (Kharagpur)

    ৫ নম্বর ওয়ার্ডের (Kharagpur) কাউন্সিলর ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মিস্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, আমি মিস্ত্রী হিসেবে রাস্তার কাজ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে কাজ বন্ধ করতে বলা হয় এবং এরপর পিছন থেকে কাউন্সিলার আমাকে ধরলে, তাঁর ভাই আচমকা আমাকে আমার কানের ভিতরে ঘুষি মারে। এরপর পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়।  মিস্ত্রী আরও বলেন, এই বিষয়ে আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে, কাউন্সিলার এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় আদি তৃণমূল কংগ্রেসের আরও কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ফিদা হোসেন, আদি তৃণমূল কর্মীদের উপরে মিথ্যে মামলা করার বারবার হুমকি দেন। অভিষেকের কর্মসূচির আগে ফের খড়গপুর শহরে আদি-নব্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলে মনে করছেন জেলার রাজনীতির একাংশ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এখনই হস্তক্ষেপ করছে না তারা। অভিষেককে কোনও রক্ষাকবচও দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    সুপ্রিম দুয়ারে অভিষেক

    গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবকাশকালীন বেঞ্চে, দ্রুত শুনানির আর্জি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, ‘অভিষেককে রোজই সমন পাঠানো হচ্ছে। শনিবার সিবিআই তাঁকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।’ অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করার আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, তদন্তে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। 

    বিচারপতিদের অভিমত

    বিচারপতি জিতেন্দ্র কুমার মাহেশ্বরী বলেন, ‘আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। (তৎকালীন) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ পরিবর্তন করেছিলেন। তারা আবেদনের শুনানির সুযোগ দিয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এটা কীভাবে ভুল হতে পারে?’ একইসুরে বিচারপতি নরসীমা বলেন, ‘সবদিক বিবেচনা করে রায় দেওয়া হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়টা যুক্তিসংগত নাও হতে পারে। (তাছাড়া) বাকি যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা ন্যায়সংগত। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে শুধুমাত্র জরিমানার বিষয়টা ছাড়া ওই রায়ে কোনও সমস্যা নেই।’

    ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নির্দেশনামায় বিচারপতি সিনহা উল্লেখ করেন, শাসক দলের শীর্ষনেতা হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। অথচ, আবেদনকারীরা, বিশেষত  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশক্তি দিয়ে তদন্তের বিরোধিতা করছেন। পাশাপাশি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত ১

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল কর্মীর খুনে চরম চাঞ্চল্য। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মনিরুল মুন্সী (৪২)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের রাজপুর গ্রাম এলাকায়।

    কী ভাবে ঘটল খুন (Murshidabad)

    সূত্রের খবর গ্রামের কাঁচা রাস্তা তৈরী নিয়ে গন্ডগোল বাঁধে নওদার তৃণমূল (TMC) বিধায়িকার গোষ্ঠী এবং তৃণমূল ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে। দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি আর তারপর রড, লাঠি, ইঁট নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক মারামারি। ঘটনায় আহত হয় দুই পক্ষেরই প্রায় ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি। আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় মনিরুল মুন্সী নামে এক তৃণমূল কর্মীর। মৃত মনিরুল মুন্সী নওদার তৃণমূল বিধায়িকা শাহীনা মমতাজের গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। অপর দিকে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, যারা খুন করেছে তারা নওদার ব্লক সভাপতি সফিউর জামান শেখ তথা হাবিব মাষ্টারের কাছের লোক। আবার জানা গেছে, এই হাবিব মাষ্টার মুর্শিদাবাদ সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। শাসকের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই এই খুন বলে বিশেষ অভিযোগ বিরোধীদের। 

    মৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীর ছেলের বক্তব্য

    মৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীর ছেলে সুমন মুন্সী বলেন, এলাকায় রাস্তার কাজ চলছিল। কিন্তু রাস্তার কাজ হতে দেবে না বলে তৃণমূলের লোকেরাই এসে বাধা দেয়। সেই মুহূর্তে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। পেছেন থেকে এসে তিন জন বাঁশ দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে এবং তারপরেই বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা করার সময় মারা যান। সুমনের বিশেষ বক্তব্য ছিল, যারা মেরেছে বাবাকে, তারা তৃণমূলেরই কর্মী।

    বিধায়িকা (Murshidabad) শাহীনা মমতাজ বেগমের বক্তব্য

    খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC) বিধায়িকা শাহীনা মমতাজ বলেন, রাস্তা করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বহুদিন ধরেই লড়াই চলছিল। এই ঘটনা রাজনৈতিক রং নিচ্ছে বটে, কিন্তু এই খুন  স্থানীয় কোন্দলের ফল, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এলাকায় একপক্ষ বলে রাস্তা হবে, অপর আরেক পক্ষ বলে রাস্তা হবে না, এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই সংঘর্ষ চলছিল। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, একটু ঝামেলা হলেই এখন সবাই অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, এটা ঠিক নয়। মমতাজ বেগম আরও বলেন যে মনিরুল আমাদের তৃণমূল কর্মী, তাঁর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়িকার কোন্দলের কথা জিজ্ঞেস করলে উনি জানান, আমাদের মধ্যে এখন আর কোন মতভেদ নেই, আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। কিন্তু গতকালকের খুনের ঘটনা অপর পক্ষের বহুদিনের জেদের কারণেই ঘটেছে বলে জানান বিধায়িকা। বর্তমানে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নওদা থানার পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে শনিবার ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে এদিন কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “কতদিন ওকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা ব্যানার্জি? এবার ওকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন।” শুক্রবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তৃণমূলের আমলে সন্ত্রাস সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, বলে দাবি করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তবে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কোনওরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভাইপো আড়ালে থেকে রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার।”

    মমতাকে প্রশ্ন দিলীপের (Dilip Ghosh)

    নবজোয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদান নিয়ে খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর কথায়, “জঙ্গলমহল কি অভিষেক একা সামলাতে পারছেন না? কতদিন ওঁকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ওঁকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন। উনি ওঁকে পাঠিয়েই বুঝে গেছেন কতটা দম আছে। পুলিশ, এনভিএফ, সিভিক পুলিশ এইসব দিয়ে ভিড় করাতে হচ্ছে। পার্টির লোক কিছু নেই। কিছু কাটমানি খোর, গুন্ডা বদমাশ আছে। তাও কেউ রাস্তা আটকাচ্ছে, কেউ চোর বলছে। এরকম জননেতা বাড়ির ল্যাবরেটরিতে তৈরি। এদের দিয়ে সমাজের কিস্যু হবে না।”

    আরও পড়ুুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “অভিষেক এরকম ডায়লগ গত বারও দিয়েছিল। এবারেও এতো লোক এসে মমতার হাতে পায়ে ধরছে। বলছে আপনি আসুন, মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়ান। উনি সাহস পাচ্ছেন না। কারণ উনি জানেন, মোদিজি যা করছেন, দেশের স্বার্থে করছেন। সাধারণ মানুষ খুব খুশি ২০০০ টাকার নোট বাতিলে। এই নোট বাজারে দেখা যায় না। কারও কারওর বাড়িতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও লুকানো আছে। এবার সেগুলো বেরোবে। তাই মানুষ খুশি। যাদের ভয় আছে, ইলেকশনের টাকাটা জলে চলে গেল, তারাই প্রতিবাদ করছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুঁচুড়ায় (Chinsurah) জামাইষষ্ঠীর দিনে ফেঁসে গেলেন জামাই। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায়, একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০০ কেজি বাজি আটক করলো চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    চুঁচুড়াতে (Chinsurah) কী ঘটেছিল?

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় পর পর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার পর, রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাজি কারখানায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় চলছে বাজি, বাজির মশলা উদ্ধার এবং ধরপাকড়। ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়ার কাপাসডাঙ্গা (Chinsurah) এলাকায়। শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথের বাজি কারখানায় তৈরি বাজি, তাঁর জামাইবাবু প্রণব দত্তের বাড়িতে রাখার জন্য গ্রেফতার হয়ে মহাবিপদে এখন জামাইবাবু ।

    পুলিশের ভূমিকায় কীভাবে উদ্ধার?

    বেশ কিছুদিন ধরে চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন থানার পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে দিন দুই আগেই চুঁচুড়া কামারপাড়ার একজনের বাড়ি থেকে ২৫ কিলো বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও হয় একজন। এরপরেই জামাইষষ্ঠীর দিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাপাসডাঙায় অভিযান চালায় চুঁচুড়া (Chinsurah) থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শব্দবাজি গুলো বেআইনি বাজি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে প্রণবের দাবী, ওই বাজি তাঁর নয়। তাঁর শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথ গাড়ি ভর্তি করে ওই বাজি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে রাখার জন্য। হুগলি গ্রামীন পুলিশ জেলার চণ্ডীতলা থানার বেগমপুর এলাকায় বাপ্পার বাজি কারখানা রয়েছে বলে জানিয়েছে। চন্ডিতলা থানা যেভাবে চেকিং শুরু করেছে, তাতে নিরাপদ নয় ভেবে বাপ্পাদিত্য নাথ সেখান থেকে সরিয়ে, বৃহস্পতিবার সকালেই গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসেন চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায়। আর সরল মনের প্রণব ওই ট্রাক ভর্তি বাজি বাড়িতে রেখে দেন। খবর মিলতেই এদিন এলাকা ঘিরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘন্টাখানেক ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজে সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন চুঁচুড়া থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী। আরও কে কে এই বাজির পেছনে জড়িত, তা বর্তমানে জানার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: আগামী মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণকে তলব ইডির

    Kalighater Kaku: আগামী মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এবার ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) সংস্থার দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।

    নোটিস পাঠানো হয়েছে

    গত শনিবার তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বিবিরবহাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। ওই দিন বেহালার ফফিরপাড়া রোডে তল্লাশি অভিযানের সময় সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ‘তথ্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পরে তাঁকে। এ সংক্রান্ত নোটিস ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কাছে পাঠানো হয়েছে।  কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল তাপস মণ্ডলের মুখে। তার আগে গোপাল দলপতির কথায় ইঙ্গিত মিলেছিল কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে। এরপর নিয়োগকাণ্ডে একাধিক ধৃতের মুখ থেকে সুজয়কৃষ্ণের নাম উঠে আসে।

    আরও পড়ুন: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    নিয়োগকাণ্ডে এই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এর আগে সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছিল তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন তিনি। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছিল, ‘কালীঘাটের কাকু’র আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই সুজয়কে এর আগে দু’বার তলব করেছিল সিবিআই। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানান, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share