Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Amit Shah: “৩০০-র বেশি আসনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি”, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    Amit Shah: “৩০০-র বেশি আসনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি”, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩০০-র বেশি আসনে জিতে আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।” বৃহস্পতিবার একথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন অসম সরকারে চাকরির জন্য ৪৪ হাজার ৭০৩ জনকে নিয়োগপত্র বিলি করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই দেশে যে তৃতীয়বারের জন্য মোদি-রাজ কায়েম হতে চলেছে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শাহ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    তিনি বলেন, “কংগ্রেস বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছে। লোকসভায় এখন তাদের যা আসন রয়েছে, সেটাও ধরে রাখতে পারবে না।” কংগ্রসের নেতিবাচক রাজনীতিরও কড়া সমালোচনা করেন শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু, কংগ্রেস এটাকে বয়কট করে রাজনীতি করছে। তাদের যুক্তি, এর উদ্বোধন করা উচিত রাষ্ট্রপতির।” শাহ বলেন, “কংগ্রেস এবং একাধিক বিরোধী-শাসিত রাজ্যে এমন উদাহরণ রয়েছে, যেখানে রাজ্যপালের পরিবর্তে বিধানসভা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা এবং সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেস নেতারা।”

    কারা যোগ দিচ্ছেন অনুষ্ঠানে?

    এদিকে, নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ছত্রখান হচ্ছেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার ১৭টি দল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেলেও, পরের (Amit Shah) দিনই জানা গিয়েছে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। বিজেপি ছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দেবে শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি, সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা, জননায়ক জনতা পার্টি, এআইএডিএমকে, ইন্ডিয়া মক্কাল কালভি মুনেত্রা কাজগাম, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, তামিল ম্যানিলা কংগ্রেস, আইটিএফটি, বোড়ো পিপলস পার্টি, পাত্তালি মাক্কাল কাচ্চি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি, আপনা দল, অসম গণ পরিষদ, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, ওয়াই এসআর কংগ্রেস, শিরোমণি অকালি দল এবং জনতা দল (সেক্যুলার)। আগে থেকেই কর্মসূচি থাকায় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী। এদিকে, রবিবারের ওই অনুষ্ঠান বয়কট করছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ সহ মোট ২০টি দল। যার অর্থ, ক্রমেই পাল্লা ভারী হচ্ছো মোদির।

    আরও পড়ুুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • New Parliament: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    New Parliament: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার উদ্বোধন হবে নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament)। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে হবে পুজো-হোম। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হবে পুজোআচ্চা। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। থাকবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং একাধিক মন্ত্রী।

    নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament) প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে হবে ভবনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। পুজো শেষে সংসদে স্থাপন করা হবে ‘সেঙ্গল’। এজন্য উপস্থিত থাকবেন তামিলনাড়ুর ২০ জন স্বামী। এর পর আধ ঘণ্টা ধরে হবে প্রার্থনা সভা। উপস্থিত থাকবেন শঙ্করাচার্য সহ দেশের পণ্ডিত বর্গ ও সাধুসন্তরা। দুপুর ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। হবে শর্ট ফিল্মের স্ক্রিনিং। পরে বার্তা পাঠ করবেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গের সম্বোধন অনুষ্ঠান রয়েছে। সম্বোধন অনুষ্ঠান রয়েছে লোকসভার স্পিকারেরও।

    ৭৫ টাকার কয়েন

    চলতি বছর স্বাধীনতার (New Parliament) ৭৫ বর্ষ পূর্তি উৎসব। উদ্বোধন হচ্ছে নয়া সংসদ ভবনেরও। এই দুই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রকাশ করা হবে বিশেষ স্ট্যাম্প ও ৭৫ টাকার কয়েন। অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েনের এক পিঠে থাকবে অশোক স্তম্ভ। তার নিচে লেখা থাকবে সত্যমেব জয়তে। বামদিকে দেবনগরী হরফে লেখা থাকবে ভারত, ডানদিকে ইংরেজি হরফে লেখা থাকবে ইন্ডিয়া। লেখা থাকবে মুদ্রার অঙ্কও।

    মুদ্রার অন্য পিঠে থাকবে সংসদ ভবনের ছবি। তার নিচে দেবনগরী হরফে লেখা থাকবে সংসদ সংকুল ও ইংরেজিতে নতুন পার্লামেন্ট (New Parliament) কমপ্লেক্স। কয়েনের ধারে মোট ২ হাজারটি দাগ থাকবে। ধাতু থাকবে চারটি রুপো, তামা, নিকেল এবং জিঙ্ক। অনুষ্ঠানের সব শেষে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্বোধন। অনুষ্ঠান শেষ হবে ২.৩০ মিনিটে।

    আরও পড়ুুন: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhijit Gangopadhyay: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    Abhijit Gangopadhyay: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। প্রাথমিকের মামলা শুনবেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই (Abhijit Gangopadhyay)। নয়া রস্টার অনুযায়ী, আগে তাঁর এজলাসে প্রাথমিকের যেসব মামলার শুনানি হচ্ছিল, এখনও তাই হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত যে দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে, সেখানেই চলবে ওই মামলার শুনানি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি সিনহার এজলাসে আগেও যে মামলাগুলি ছিল, সেগুলির শুনানি হবে তাঁদের এজলাসেই।

    হাইকোর্টের নয়া রস্টার

    একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় পরিবর্তন হয়। কোন বিচারপতির এজলাসে কোন মামলার শুনানি হবে, তা ঠিক করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার নয়া রস্টার প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেখানেই দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলারই শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, সে সংক্রান্ত মামলারও শুনানি হবে তাঁর এজলাসেই।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) নিয়ে জল্পনা 

    এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে বিচারাধীন কোনও একটি বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ কেলেঙ্কারির দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সেই দুটি মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি অমৃতা সিহনার বেঞ্চে। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে হয়তো প্রাথমিকের বাকি মামলাও সরিয়ে নেওয়া হবে। সেই জল্পনা যে নিছকই জল্পনা, এদিন রস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর তা পরিষ্কার হয়ে গেল জলের মতো।

    আরও পড়ুুন: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    রস্টার অপরিবর্তিত রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের আর এক বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারও। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলার শুনানি হচ্ছিল তাঁর এজলাসে। নয়া রস্টারে দেখা যাচ্ছে, ওই মামলা শুনানি হবে তাঁরই বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, একের পর ‘অপ্রীতিকর’ নির্দেশের জেরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ। আন্দোলনও করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের বেঞ্চও বয়কট করা হয়েছে। তার পরেও রস্টারে তাঁদের বিচার্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকায়, খানিকটা হলেও হতাশ তৃণমূল।

    এতদিন পুরসভা সংক্রান্ত মামলা শুনতেন বিচারপতি সিনহা। নয়া রস্টার অনুযায়ী, এবার থেকে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলাও শুনবেন তিনি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও মামলা হলে, তার শুনানি হবে বিচারপতি সিনহার এজলাসেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মা হনুমানের, শোকাহত শাবক, তার দলবলেরা আগলে রাখলো মৃতদেহ। পশু হয়েও তাদের মানুষের মতন আচরণ সাধারণ মানুষের মনকে আবেগ প্রবণ করে তুলেছে। পশু হলেও কতটা হনুমানরা শোকতপ্ত হতে পারে, সেই দৃশ্য চোখে পড়ল এই দুর্ঘটনায়। স্থানীয়রা জানান, উখড়ার (Durgapur) স্থানীয়দের উদ্যোগেই মৃত হনুমানের সমাধির উপর নির্মাণ হবে মন্দির।

    দুর্গাপুরের (Durgapur) কোথায় ঘটল এই ঘটনা

    শিল্পাঞ্চলের (Durgapur) মধ্যে শহরের গাছের ফল খেতে হনুমানদের চালাচল প্রায়ই লক্ষ করা যায়। দুর্গাপুরের কাছে উখড়ার শ্যামসুন্দরপুরে একদল হনুমান দলবদ্ধ হয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাচ্ছিল। তখনই প্রচন্ড গতিসম্পন্ন অবস্থায় একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হনুমানকে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি এতটাই তীব্র ছিল যে ধাক্কার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হনুমানটির। ঠিক তারপরেই হনুমানের দল মৃত হনুমানকে ঘিরে চারিদিকে গোল হয়ে, একে একে সকলে বসে পড়ে ও মৃতদেহ আগলে রাখে। হনুমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুটা সময় সম্মেলিত ভাবে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের। মৃত পূর্ণবয়স্কা মা হনুমানকে আগলে রাখে হনুমানের শাবক। কিছুতেই  শাবক, মা হনুমানকে ছেড়ে যেতে চাইছিল না।

    এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    উখড়ার (Durgapur) স্থানীয় মিলন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনার বিষয়টি সামনে থেকে চাক্ষুষ করেন। মিলন বাবু বলেন, একটা হনুমান তার বাচ্চা নিয়ে লাফালাফি করতে করতে রাস্তা পার হতে গেলে, আচামকা একটা গতি সম্পন্ন গাড়ি এসে তার গায়ে ধাক্কা দেয়। আর মুহূর্তের মধ্যেই হনুমানটা ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে। শাবকটি কোন ক্রমে বেঁচে গেলেও মা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে আশেপাশের বাকি সকল হনুমান একসঙ্গে জড়ো হয়ে অনেক সময় ধরে রাস্তার ধারে বসে থাকে। অনেক সময় পর্যন্ত হনুমানদের উপস্থিতির জন্য মৃত হনুমানটিকে সরানো যায় নি। পরে খবর দেওয়া হয় উখড়া বনদপ্তরে। অনেক সময় কেটে গেলেও বনদফতর থেকে কেউ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নি বলে জানা য়ায়। আরও কিছু সময়ের পর মৃত হনুমানের দেহটিকে নিয়ে পাশের একটা জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়। এলাকার মানুষ এই মৃত হনুমানের সমাধির উপরে একটা হনুমান মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃত হনুমানের সমাধিস্থলের উপর হনুমান মন্দির নির্মাণের বিষয়ে প্রবল উৎসাহ লক্ষ করা গেছে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি কর্মী আত্মঘাতী নয় খুন হয়েছেন পরিবারের দাবি

    Nadia: বিজেপি কর্মী আত্মঘাতী নয় খুন হয়েছেন পরিবারের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল গোটা রাজ্যজুড়ে খুন ও ধর্ষণের রাজনীতি করছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার আগে পুলিশ কীভাবে বলে এটা আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা? আর তাই নিয়েই রীতিমতন প্রশ্ন উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে বিজেপি নেতার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল ও প্রশাসনকে কটাক্ষ করলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর এই ঘটনায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা।

    নদিয়ার (Nadia) বিজেপি কর্মীর পরিবার বলছেন আত্মঘাতী নয় খুন

    গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি (Nadia) থানার পিপুলবেড়িয়া এলাকা থেকে বিজেপি বুথ সভাপতির মৃতদেহ আম বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই বুথ সভাপতি নাম নকুল হালদার, বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে। বিজেপি কর্মী নকুল হালদারের একটি পা ভাঙ্গা অবস্থায় ঝুলতে দেখা গেছে। তিনি যদি আত্মঘাতী হয়ে থাকবেন, তাহলে পা ভাঙলো কে? এই প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকজন।

    রাণাঘাট (Nadia) সাংসদের অভিযোগ

    খুনের ঘটনায় তদন্ত কত দূর এগোলো, সে বিষয়ে জানতে হাঁসখালিতে (Nadia) রওনা হয় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী এবং কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিষ বিশ্বাস। প্রথমে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, এরপর যেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ঘটনাস্থলকে পরিদর্শন করেন। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, তৃণমূল গোটা রাজ্যজুড়ে খুন এবং ধর্ষণের রাজনীতি করছে। বুথ সভাপতি নকুল হালদারকে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা সুপরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন। আর ময়নাতদন্তের আগেই হাঁসখালি থানার কোনও এক পুলিশ এসে বলছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা! পুলিশ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে কীভাবে জানতে পারল এটা আত্মহত্যার ঘটনা? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রশাসন নিরপেক্ষ নন বলে উল্লেখ করেছেন। পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিনিধি দলের বাকি নেতারাও। সেই সঙ্গে তৃণমূল প্রশাসনের উপর আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের দাবী জানান বিজেপির এই প্রতিনিধি দল। এখন এই মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার কবে ন্যায় বিচার পাবেন তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith) এখন রাজ্য ছড়িয়ে সমগ্র দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই তীর্থক্ষেত্রে আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ডান্সবার। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বারে চলে উদ্দাম নেশা এবং লুটপাটের মতন কাজকর্ম। তীর্থক্ষেত্রে এই সমাজ বিরোধীদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে বিশেষ অভিযোগ।

    তারাপীঠে (Tarapith) কী ভাবে চলছে বার?

    তীর্থক্ষেত্রে (Tarapith) বাউন্সার দিয়ে রীতিমত রমরমিয়ে চলছে বার। অনুমতি ছাড়াই ছোট ছোট পোশাকে চটুল গানের সঙ্গে চলছে অশ্লীল নাচ। রাত বাড়লে বেলেল্লাপনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানের সঙ্গে মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের হতে হয় সর্বস্বান্ত। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, সোনার গয়না। প্রায় দিনেই এনিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযোগ করলে মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা, মোবাইল, সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযোগ

    তারাপীঠে (Tarapith) সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে বারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বারের ভিতর রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে গ্রাহককে বুঁদ করে চলে লুঠপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ। আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

    মন্দির কমিটি ও প্রশাসনের বক্তব্য

    তারাপীঠে (Tarapith) দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ জমা পড়ছিল প্রশাসনের কাছে। মন্দির সংলগ্ন এই বারে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দির কমিটিও এই বার বন্ধের বিশেষ দাবি জানায়। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’ অপর দিকে বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ এরপরই ওইসব ডান্স বারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে পুলিশ প্রশাসন। তীর্থক্ষেত্র এখন কবে ডান্সবার মুক্ত হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় তথ্যের ভুলে কাঠগড়ায় এক প্রাথমিক শিক্ষক। আর এমনই অভিযোগে বুধবারে শোরগোল উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলায়। পাল্টা পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যকে ভুল বলে দাবী করেন ঐ প্রাথমিক শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষক কর্ণজোড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দ্বারস্থ হলে, তথ্য যাচাই করে হতবাক স্কুল পরিদর্শক।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কে সেই শিক্ষক?

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-এর দেওগা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদে কর্মরত ওই শিক্ষকের নাম বরুন চন্দ্র রায়। তিনি ২০১৭ সালে করণদিঘি ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। এরপর কালিয়াগঞ্জের দেওগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur)  শিক্ষক কেন গেলেন স্কুল পরিদর্শকের কাছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশেরও কম নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই খবর পেতেই সেই শিক্ষক বুধবার সন্ধ্যায় জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের কাছে তাঁর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ ডিএলএড ট্রেনিং এর যাবতীয় মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক বরুণ চন্দ্র রায় এই বিষয়ে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে,পর্ষদ তাতে আমার তথ্য ভুল প্রকাশ করেছে। তিনি একজন স্নাতকোত্তর পাশ, ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক (Uttar Dinajpur)। আর তারপরেও কী ভাবে ওই তালিকায় তাঁর নাম এলো, তাই স্পষ্ট নয় তাঁর কাছে, এই কথাই জানান বরুণবাবু।

    উত্তর দিনাজপুর জেলা (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের বক্তব্য

    অপর দিকে জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শক দুলাল সরকার এই শিক্ষকের মার্কশিট, সার্টিফিকেট দেখার পর বিষয়টি নিয়ে হতবাক হয়ে যান। দুলাল বাবু বলেন, বিষয়টি পর্ষদকে ফোন করে আমি জানিয়েছি। তবে প্রকাশিত তালিকায় যা তথ্য বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে জানান তিনিও। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, এখনো পর্যন্ত সেই তালিকা প্রশাসনিক ভাবে তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে প্রকাশিত তালিকার তথ্য কি আদৌ সঠিক? যদি ভুল হয় তাহলে কিভাবে এই ভ্রান্তিবিলাস? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে? তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে সম্মান দিয়েছে ত্রিপুরার (Tripura) বিজেপি (BJP) সরকার। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছে তাঁকে। বাংলার ছেলে হলেও, এ রাজ্যে পানি পাননি তিনি। তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তাঁকেই কলকাতার শেরিফ করার দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি

    তিনি বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একজন আইকন। তাঁকে নিয়ে বাংলা এবং বাঙালি পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আগেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সৌরভকে এ ব্যাপারে মর্যাদা দেয়নি। ত্রিপুরায়ও প্রচুর বাঙালি রয়েছেন। ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা ত্রিপুরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন ব্যক্তিত্বকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে আমি দাবি করছি যে কলকাতায় এই মুহূর্তে কোনও শেরিফ নেই। সৌরভকে অবিলম্বে শেরিফ করা হোক।”

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ

    বিজেপি যে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রয়েছে, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকারি কর্মীদের ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দিচ্ছেন। তাই দিদি যখন তামিলনাড়ুর দেখাদেখি দ্য কেরালা স্টোরি বাতিল করেছিলেন, তাহলে এবার তামিলনাড়ুর দেখাদেখি এখানে ডিএটাও নিশ্চয়ই দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “দিদি, আপনি তো কথায় কথায় এগিয়ে বাংলা বলেন। এবার তো এগিয়ে তামিলনাড়ু হয়ে গেল, বাংলা কোথায় গেল? বাঙালি কোথায় এগোল?”

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে ‘হিন্দু বিরোধী’ তিন দাবি অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার!

    প্রসঙ্গত, কলকাতার শেরিফ পদটি অরাজনৈতিক। শহরের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকেই এই পদে বসানো হয়। নিয়োগ হয় এক বছরের জন্য। শেরিফের একটি অফিস থাকে, থাকেন কর্মীও, তবে নির্বাহী কোনও ক্ষমতা শেরিফের থাকে না। মেয়রের ঠিক পরের পদটিই হল শেরিফের। ভারতের একমাত্র মুম্বই ও কলকাতায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই পদটি। কলকাতার প্রথম শেরিফ ছিলেন দিগম্বর মিত্র। ১৮৭৪ সালে কলকাতার শেরিফ হয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালে শেরিফ হয়েছিলেন বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র। ২০১৩ সালে তৃণমূল সরকার ওই পদে বসান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে। ২০১৯ সালে বসানো হয়েছিল মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ছেলের থেকে মা ৪০ নম্বর বেশি পেয়ে পাশ করলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়

    Nadia: ছেলের থেকে মা ৪০ নম্বর বেশি পেয়ে পাশ করলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছা আর মনের জোর থাকলে সবকিছুই সম্ভব, আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন নদীয়ার (Nadia) লতিকা এবং সৌরভ। মা এবং ছেলে একসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে পাস করে সকলের নজর কাড়লেন। উচ্চ মাধ্যমিকের মায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪ এবং ছেলের প্রাপ্য নম্বর ২৮৪। উচ্ছ্বসিত পরিবার। 

    নদীয়ার (Nadia) লতিকা কি ভাবে পড়াশুনা করতেন?

    নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর নতুন সরদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা লতিকা মন্ডল। বর্তমানে তাঁর দুই মেয়ে ও একটি ছেলে। মেয়েরা বর্তমানে কলেজের ছাত্রী। লতিকা মন্ডলের বর্তমান বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। ছোট থেকেই আশা ছিল পড়াশোনা করে কিছু করার। কিন্তু আর্থিক অনটন এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর, পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরপরে হাজারো চেষ্টার করেও তিনি পড়াশোনা এগিয়ে যেতে পারেন নি। বাড়ি থেকে লতিকাকে দেখাশোনা করেই বিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল লতিকার। বড় মেয়ে এখন কলেজের গণ্ডিতে পা দিয়েছে। লতিকার নতুন করে ইচ্ছা হয় যে, তিনি পড়াশোনা করবেন। এর পরেই প্রতিবেশীর সাহায্যে তিনি রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে ভর্তি হন। মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে লতিকা মন্ডল ভর্তি হন নৃসিংহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর তখন থেকেই মা ও ছেলে সৌরভ একই ক্লাসে পড়তেন এবং তাঁরা বাড়িতেও একই সঙ্গে নিয়মিত পড়াশোনা করতে বসতেন। নিজের সংসার সামলে পাশাপাশি প্রতিবেশী মানুষের বিভিন্ন কটুক্তি সহ্য করেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতেন সৌরভ এবং লতিকা।

    পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর লতিকার প্রতিক্রিয়া

    গতকাল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানা যায়, ছেলে এবং মা দুজনেই পাস করেছে। তবে মা লতিকা মন্ডল, ছেলের থেকে ৪০ নম্বর বেশি পেয়েছেন। এ বিষয়ে লতিকা মন্ডল বলেন, আমি ছেলের মুখ থেকে জানতে পারি যে আমরা দুজনেই পাস করেছি। আমি যে ৪০ নম্বর বেশি পেয়েছি, সেটা ছেলে বেশি পেলেই হয়তো ভাল হতো এবং তাতে আমি আরও বেশি খুশি হতাম। আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষায় আরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান বলেই  জানিয়েছেন  লতিকা মন্ডল (Nadia)।

    ছেলের প্রতিক্রিয়া

    তবে নিজে কম নম্বর পেয়েও মায়ের সাফল্যে যথেষ্ট খুশি ছেলে সৌরভ মন্ডল। তিনি আরও বলেন, মা এত ভালো ফলাফল করেছে, এতে আমি মোটেও দুঃখিত নই। আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে আগামী দিনে আরও উচ্চশিক্ষিত হতে চাই। শিক্ষাকেই জীবনের সম্পদ মনে করে শান্তিপুরের (Nadia) মা ও ছেলে এগিয়ে যাবেন বলে অঙ্গিকার করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে তপন ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি অনাদি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে। অনাদিবাবুর টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পর পরই ওই নেতা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এত কিছু ঘটনার পরও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অনাদিবাবুর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকী তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ওই তৃণমূল (TMC) নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে তপন-মালদা রাজ্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তপন থানার আজমতপুর এলাকায়। অবরোধকারীরাও সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি অনাদিবাবু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বহুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। চাকরি না পাওয়ায় প্রতারণার শিকার আনোয়ার সরকার নামে এক যুবক, সম্প্রতি টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রতারণার এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। টাকা নেওয়ার এই ঘটনায় তপন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কায়েল সরেণ ক্ষুব্ধ। তাঁর নেতৃত্বে এলাকাবাসী এদিন আজমতপুর মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। এক অবরোধকারী তথা স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা সুকুমার মণ্ডল বলেন, “আমরাও তৃণমূল করি। তৃণমূল দলে থেকে যারা অন্যায় করবে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো। দল ও প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব। আমরা দলকে বিষয়টি জানিয়েছি। দল আশ্বাস দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। কারণ, এই ধরনের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে তারা বহু মানুষের আরও সর্বনাশ করবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share