Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম শুভ্রাংশুর কী কী বিষয় ছিল জানেন? শুনলে অবাকই হবেন

    HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম শুভ্রাংশুর কী কী বিষয় ছিল জানেন? শুনলে অবাকই হবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ কয়েক বছর পর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান (HS Rank) এল। কিন্তু তার থেকেও বোধহয় উল্লেখযোগ্য খবর হল, যে ছাত্রের হাত ধরে উজ্জ্বল হল বিদ্যালয়ের মুখ, সেই ছাত্রের সাবজেক্ট কম্বিনেশন। পদার্থবিদ্যা-রসায়ন-অঙ্কের সেই চিরাচরিত পথ ছেড়ে শুভ্রাংশু বেছে নিয়েছিলেন এক অদ্ভুত কম্বিনেশন। আর তাতেই বাজিমাত করলেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ছাত্রের সাবজেক্ট কম্বিনেশন ছিল অর্থনীতি, সংখ্যাতত্ত্ব এবং কম্পিউটার সায়েন্স।

    কোন বিষয়ে কত নম্বর?

    শুভ্রাংশুর প্রথম ভাষা (HS Rank) বাংলায় প্রাপ্ত নম্বর ৯০। গ্রেড পার্সেনটাইল ৯৯.৩৫। দ্বিতীয় ভাষা ইংলিশে পেয়েছেন ৯৮। গ্রেড পার্সেনটাইল ৯৯.৯২। অর্থনীতিতে পেয়েছেন ১০০, গ্রেড পার্সেনটাইলও ১০০। অঙ্ক এবং স্ট্যাটিসটিকসে একই নম্বর। কম্পিউটার সায়েন্সের নম্বর ৯৮, গ্রেড পার্সেনটাইল ৯৯.৭৬। তিনি মোট ৪৯৬ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। ওভারঅল পার্সেনটাইল ১০০।

    কেমন ছিল তাঁর পড়াশোনার ধরন?

    অর্থনীতি তাঁর প্রিয় বিষয়। তাই এই বিষয়কে আঁকড়ে ধরেই ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছেন শুভ্রাংশু। মেধা তালিকায় শীর্ষে (HS Rank) থাকার খবরে যে তিনি এবং তাঁর বাবা-মা খুবই খুশি, সে কথা প্রকাশ করার পাশাপাশি শুভ্রাংশ জানিয়েছেন, প্রথম স্থানটি দখল করতে পারবেন, তা তিনি কখনও ভাবেননি। বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি যেমন বাঁধা ছকের বাইরে পা রেখেছেন, তেমনি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তিনি খুবই সহজ কথার মানুষ। তাঁর মতে, বইতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুখ দিয়ে পড়ে থাকার দরকার পড়ে না। পড়া হল মনের জিনিস। মন ভালো থাকলে তবেই পড়ায় মন বসে। নরেন্দ্রপুরের মতো আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ফলে প্রাইভেট টিউশনির কোনও প্রশ্নই ছিল না। শিক্ষকদের সাহায্য এবং সহযোগিতাই যে তাঁকে শিখরে পৌঁছে দিয়েছে, সেকথাও তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন।

    কী বললেন মিশনের প্রধান শিক্ষক?

    নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইস্টেশানন্দ বললেন, এটা খুবই আনন্দের খবর। আমরা অনেকদিন ধরেই আশা করছিলাম। ২০১৫ সালের পর বোধহয় আবার উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান (HS Rank) এল। প্রত্যাশিতই ছিল, ছেলেটি ভালো ফল করবে। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানে সে আসবে, সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। একইসঙ্গে আমাদের ন-জন ছাত্র প্রথম দশটি স্থানে রয়েছে। সারা বছর ধরেই ছেলেরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে। আমাদের আবাসিক বিদ্যালয়। শিক্ষকরাও তাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। তারই ফল আমরা পেয়েছি। ইকনমিক্স, স্ট্যাটিসটিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ম্যাথমেটিক্স- প্রথম স্থান পাওয়া শুভ্রাংশু থেকে শুরু করে আরও কয়েকজনের সাবজেক্ট কম্বিনেশন ছিল এরকমই। তাঁর মতে, এটি রয়্যাল কম্বিনেশন। প্রত্যেকটি বিষয়েই ভালো নম্বর তোলা যায়। তবে তিনি বলেন, নিয়মানুবর্তিতাই আমাদের ছাত্রদের ভালো ফল করার অন্যতম কারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Save Girl Child: লাদাখে পৌঁছে সেভ গার্ল চাইল্ডের যাত্রা, নেপথ্যে বঙ্গের  শিক্ষিকারা

    Save Girl Child: লাদাখে পৌঁছে সেভ গার্ল চাইল্ডের যাত্রা, নেপথ্যে বঙ্গের শিক্ষিকারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেভ গার্ল চাইল্ড (Save Girl Child ) বার্তা নিয়ে সারা ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় দশ হাজার কিলোমিটারের বেশি গাড়ি চালিয়ে বিশেষ যাত্রা করবেন বর্ধমানের মেয়েরা। গত ৭ মে হেমাতপুর এলাকা থেকে পাড়ি দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের রাজারপুর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষিকা সুতপা দাস এবং তাঁর সঙ্গীরা। অবশেষে পৌঁছেছেন তাঁরা লাদাখে। প্রচার অভিযান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা সকলে।

    কেন সেভ গার্ল চাইল্ড (Save Girl Child ) যাত্রা?

    গত সোমবারে লাদাখে পৌঁছে সেভ গার্ল চাইল্ডের (Save Girl Child ) বিশেষ বার্তা জনসমক্ষে তুলে ধরে প্রচার চালালেন সুতপা দাস এবং তাঁর সঙ্গীরা। তাঁর সাথে এই ট্রিপে উপস্থিত ছিলেন তপতী দেবনাথ ভৌমিক এবং ঝর্ণা মালাকার নামে আরো দুজন মহিলা। লাদাখ হয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে সেভ গার্ল চাইল্ড বিষয়ের উপর বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা প্রচার চালাবেন বলে জানা গেছে। যাত্রায় বিশেষভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতের জাতীয় পতাকা। এছাড়াও সঙ্গে রয়েছে সেভ দ্যা আর্থ, সেভ দ্যা ফিউচার জেনারেশন, সেভ দ্যা ফিউচার মাদারস-এর বিশেষ পোস্টার। ৪০ দিনের বিশেষ যাত্রায় ১৩ টি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা প্রচার চালাবেন। তাঁদের প্রচারের বিষয়, সমাজে নাবালিকাদের বিবাহ বন্ধ করা, ছেলেদের মতন মেয়েদের সমান মর্যাদা প্রদান করা এবং শিশু ও বালিকাদের সমস্ত রকম সামাজিক রক্ষা সুনিশ্চিত করা। এই বিষয় গুলি নিয়ে তাঁরা যাত্রা পথে সারা ভারতে প্রচার চালাবেন বলে জানা গেছে।

    যাত্রা পথে শিক্ষিকার বক্তব্য

    সেভ গার্ল চাইল্ড (Save Girl Child) যাত্রায় কাশ্মীরে পৌঁছে সুতপা দাস বলেন, বর্তমান সময়ে ভারতের অনেক জায়গায় নাবালিকা মেয়েদের উপর নানান রকম অত্যাচারের কথা আমরা শুনতে পাই। এই নির্যাতন যাতে বন্ধ হয় সেই জন্যই আমাদের বিশেষ যাত্রা। আমরা এখন উত্তর ভারতে রয়েছি, এরপর এই যাত্রা দক্ষিণ ভারতের দিকে করব। ভারতের জন্য সেভ গার্ড চাইল্ড একান্ত প্রয়োজন। মেয়েরা বড় হলেই শুধু বিয়ে নয়, সমাজে কিছু করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সমাজে মেয়েদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এই যাত্রায় বিশেষভাবে বলতে চাই, বাড়ির ছেলে-মেয়েদের প্রতি সমান মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে সকলকে। তাঁদেরকে জীবনে দাঁড়ানোর সঠিক রাস্তা দেখাতে হবে। সমাজের প্রতি এই দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাঁদের এই অভিনব প্রচারে সমাজে বিশেষ বার্তা যাবে বলে মনে করছেন সমাজকর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: “কোভিডের চেয়েও মারাত্মক অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকুন”, সাবধানবাণী হু কর্তার

    WHO: “কোভিডের চেয়েও মারাত্মক অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকুন”, সাবধানবাণী হু কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ফের অতিমারির আশঙ্কা। করোনার (Covid) চেয়েও মারাত্মক এই অতিমারি হানা দিতে পারে পৃথিবীতে। তাই এখন থেকেই অতিমারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে বিশ্ববাসীকে। এমনই সাবধানবাণী শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান ট্রেডস অ্যাডামন গেব্রিয়েসাস। মঙ্গলবার ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে যোগ দেন হু-র প্রধান।

    মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা

    তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে কোভিডের প্রকোপ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মনে হলেও তা নয়। কোভিডের আরও একটি ভ্যারিয়েন্টের হানা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। যা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও কোভিডের থেকে আরও মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।” গেব্রিয়েসাস বলেন, “কোভিড নিয়ে এখনই নিশ্চিন্ত হবেন না। কোভিড অতিমারি একমাত্র আশঙ্কার কারণ নয়। সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। খুব শীঘ্রই পরবর্তী অতিমারি হানা দিতে চলেছে। তখন আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সেই অতিমারির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    কোভিডে মৃত্যুর খতিয়ান

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এই কর্তা বলেন, “কোভিড ১৯ মহামারির জন্য প্রস্তুত ছিল না গোটা বিশ্ব। গত তিন বছরে কোভিড ১৯ এ প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, এই সংখ্যাটা আরও কয়েকগুণ বেশি, অন্তত ২ কোটি। এই মহামারি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুতর ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে এবং গুরুতর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কোভিড ১৯ আমাদের বিশ্বকে বদলে দিয়েছে এবং অবশ্যই আমাদেরও বদলাতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: ২০২৩ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত, পাশের হার ৮৯.২৫ শতাংশ

    গেব্রিয়েসাস বলেন, “কোভিডের আর একটি রূপভেদ উদ্ভূত হওয়ার হুমকি থেকেই গিয়েছে। যা গুরুতর রোগ এবং মৃত্যুর তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। এমনকী, কোভিডের থেকে আরও মারাত্মক সম্ভাবনা সহ আরও অন্য কোনও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার হুমকিও রয়েছে। আমরা এটা না দেখার ভান করে থাকতে পারি না। যে যে পরিবর্তন করতে হবে, তা যদি আমরা না করি, তাহলে কে করবে? আমরা যদি সেই পরিবর্তনগুলি না করি, তাহলে আর কখন করব? তাই আমাদের অবশ্যই সমষ্টিগতভাবে এর জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” তিনি (WHO) বলেন, “কোভিড ১৯ এর সমাপ্তি কোনও খারাপ স্বপ্নের শেষ নয়। যে ঘুম ভেঙে গেলেই তার শেষ হয়ে যাবে। আমরা আগের মতো উদাসীন হয়ে চলতে পারি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • IPL 2023: দশ বার আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস! আজ মুখোমুখি মুম্বই-লখনউ

    IPL 2023: দশ বার আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস! আজ মুখোমুখি মুম্বই-লখনউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বার আইপিএলের (IPL 2023) ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। এমন কীর্তি আইপিএলের ইতিহাসে আর অন্য কোনও দলের নেই। মঙ্গলবার রাতে গুজরাট টাইটান্স হার মেনেছে মাহি-মস্তিষ্কের কাছে। গুজরাটকে ১৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে সিএসকে। আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে বুধবার মুখোমুখি হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস। 

    এটাই মাহির শেষ আইপিএল!

    আগামী বছর আইপিএলে (IPL 2023) খেলবেন কিনা, সেই ভাবনাচিন্তা করার জন্য হাতে আরও আট-নয় মাস আছে। তিনি যদি আগামী বছর আইপিএলে আর না খেলেন, তাহলে সেটা যে আগামী ডিসেম্বরের মিনি নিলামের আগেই সিএসকে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মাহি। সেইসঙ্গে ধোনি এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছর চেন্নাইয়ের জার্সি পরে মাঠে না নামলেও সিংহ ব্রিগেডের সঙ্গেই যুক্ত থাকবেন। তবে তার আগে পঞ্চমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য মাহির।

    কেঁদেছিলেন ধোনিও

    ২৮ মে আমেদাবাদে দশম আইপিএল (IPL 2023) ফাইনালে খেলবে ধোনির ইয়েলোব্রিগেড। ২০২১ সালে শেষ বার আইপিএল ফাইনালে পৌঁছেছিল ধোনির দল। সে বার চতুর্থ আইপিএল ট্রফি গিয়েছিল সিএসকে শিবিরে। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে সে বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ধোনির চেন্নাই। সাধারণত আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও দলের জন্য কেঁদে ফেলেছিলেন মাহিও। মঙ্গলবার সেকথা জানিয়েছেন একদা ধোনির সতীর্থ হরভজন সিং। টানা দু’বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংস আবার আইপিএলে ফিরেছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গোটা দল একত্র হয়েছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি, হরভজন সিং, ইমরান তাহিররা। সেই রাতে মাহি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। সতীর্থদের সামনেই কেঁদে ফেলেছিলেন। দীর্ঘবছর পর সেদিনের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন হরভজন। ধোনিও কেঁদেছিলেন, ভাজ্জির মুখে এ কথা শুনে অবাক হয়েছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন যাচ্ছেন বিরাট-সহ ৯ জন

    আজ মুখোমুখি মুম্বই-লখনউ

    লিগ পর্বে তৃতীয় হয়ে প্লে-অফে (IPL 2023) উঠেছে লখনউ। অন্য দিকে, প্রতিযোগিতায় ভাল শুরু না করেও শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছেন রোহিত শর্মারা। বুধবার চেন্নাইয়ের ২২ গজে আইপিএলের প্রথম নকআউট ম্যাচে মুখোমুখি মুম্বই-লখনউ। লখনউয়ের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এবং জোরে বোলার জয়দেব উনাদকাট ছিটকে গিয়েছেন চোটের জন্য। তাতেও পরোয়া নেই লখনউয়ের। জোড়া ধাক্কাও লখনউয়ের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারেনি। কুণাল পান্ডিয়ার নেতৃত্বেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি। অন্য দিকে, পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই প্রতিযোগিতার শুরুটা ভাল করতে পারেনি। প্রথম দু’টি ম্যাচেই হেরে গিয়েছিলেন রোহিতরা। প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে মুম্বইকে তত চেনা ছন্দে দেখা গিয়েছে। সূর্যকুমার যাদবের ছন্দে ফেরা মুম্বইয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে অনেকটা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: এবার ‘চোর চোর’ স্লোগান শুনতে হল অভিষেককেও

    Abhishek Banerjee: এবার ‘চোর চোর’ স্লোগান শুনতে হল অভিষেককেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে এগরার খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া, দোলা সেনসহ তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি। খাদিকুল গ্রামে ঢুকতেই তাঁদের ঘিরে ধরে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার নবজোয়ারের যাত্রাপথে চোর, চোর স্লোগান শুনতে হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার রাতে খাতড়া থেকে ছাতনার কমলপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় যুবরাজের কনভয়। ইন্দপুর বাংলায় কনভয় আসতেই আচমকা ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন একদল স্থানীয় বাসিন্দা। চাকরি চোর, গরু চোর বলে চিত্কার করতে থাকেন তাঁরা। কনভয়ের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা বিড়ম্বনায় পড়ে যান। অভিষেকের কনভয় এই ঘটনায় আমল না দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। তবে, তৃণমুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড-এর এই বিড়ম্বনায় যথেষ্ট চাপে রয়েছে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি জেলা পুলিশের আইবির কাছে কেন আগাম খবর ছিল না, তা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কীভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে জেলার পুলিশ কর্তাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। কারণ, পাছে যুবরাজের কোপে পড়তে হয় তাঁদের।

    কুর্মিদের ঘাঘর ঘেরার মুখে অভিষেক (Abhishek Banerjee)

    জেলার জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রার পথে দফায় দফায় কুর্মিদের ঘাঘর ঘেরার মুখেও পড়ে অভিষেকের কনভয়। মঙ্গলবার সিমলাপাল থেকে খাতড়া যাওয়ার পথে বনকাটা ও জামদা গ্রামে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের সামনে কুর্মিরা ঘাঘর ঘেরা করেন। তবে, তাঁর কনভয় থামেনি। ফের খাতড়া ঢোকার মুখে কুর্মিরা পথ অবরোধ করলে অভিষেক কনভয় থামিয়ে কুর্মি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পরামর্শ “জোর জবরদস্তি করে গায়ের জোরে পথ অবরোধ নয়, দাবি আদায়ের আন্দোলন হোক সৌজন্যতা বজায় রেখে। কুর্মি নেতারা নিজেরাই বলছেন রাজ্যের সরকার মানবিক। তাই সরকারের ওপর ভরসা রাখা উচিত”। পাশাপাশি, কুর্মি নেতাদের কাছে তাঁদের দাবি দাওয়া সম্পর্কিত চিঠি চেয়ে নেন তিনি। এমনকী কলকাতায় ফিরে এই বিষয়ে কথা বলতে কুর্মি নেতার মোবাইল নম্বরও চেয়ে নেন তিনি।

    কী বললেন কুর্মি নেতারা?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় চলে যাওয়ার পর কুর্মি নেতারা সাফ জানিয়েছেন, মুখের কথায় নয়, যতদিন না তাঁদের দাবি মিটছে, তাঁরা ততদিন এই ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত কুর্মিরা তাদের তফশিলি জাতির স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। অবিলম্বে তাঁদের দাবি মেনে কেন্দ্রের কাছে সংশোধিত সিআরআই রিপোর্ট পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারকে, একথা এদিন অভিষেকও (Abhishek Banerjee) জানালেন তাঁদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মন্দিরে হামলা বরদাস্ত করা হবে না, অস্ট্রেলিয়ায় সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: মন্দিরে হামলা বরদাস্ত করা হবে না, অস্ট্রেলিয়ায় সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বের পথে কাঁটা হতে পারে এমন কোনও কিছুই মেনে নেওয়া হবে না। এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ।” অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই খালিস্তানপন্থীদের নাম না করে ওই হুঁশিয়ার দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    অস্ট্রেলিয়ায় মোদির (PM Modi) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    খালিস্তানের দাবিতে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তার জেরে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়। মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে লিখে দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। বিদেশের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠকে প্রত্যাশিতভাবেই আসে মন্দিরে হামলার প্রসঙ্গ। সেখানেই অস্ট্রেলিয়ার তরফে আসে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুঁশিয়ারি

    যৌথ বিবৃতিতে খালিস্তানপন্থীদের নাম নেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার হিন্দু মন্দিরগুলির ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা নিয়ে অজি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগেও আলোচনা হয়েছে। আজ ফের এই ইস্যুতে কথা হল। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বের পথে কাঁটা হতে পারে এমন কোনও কিছুই মেনে নেওয়া হবে না। এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ।”

    ত্রিদেশীয় সফর শেষ করে দেশে ফিরে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী যান রাজস্থানের রাজসামান্দ জেলার নাথওয়াড়ায় শ্রীনাথজির মন্দিরে। মোদির কনভয় লক্ষ্য করে হয় পুষ্পবৃষ্টি। মোদি মোদি স্লোগানে মুখরিত হয় এলাকা।

    পরে ওই জেলায়ই এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ওই অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকার কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। উদয়পুর রেলস্টেশনের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন মোদি। আবু রোড এলাকায় ৫০ একর জায়গাজুড়ে বহুবিধ সুবিধা মিলবে এমন একটি দাতব্য হাসপাতালেরও শিলান্যাস করেন প্রধামনন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চান’’, বিস্ফোরণকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Hilsa Fish: জামাই আদর হবে কী করে? ইলিশের গা দিয়ে তো আগুন ঝরছে!

    Hilsa Fish: জামাই আদর হবে কী করে? ইলিশের গা দিয়ে তো আগুন ঝরছে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ধরনের মাছের চাষ ও বিক্রির জন্য গোটা বাংলা জুড়ে সুপরিচিত ও বিখ্যাত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর। জামাইষষ্ঠীর আগে গঙ্গারামপুর মাছ বাজারে আগুন ইলিশের দামে। জামাইদের আদর-আপ্যায়নে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাই এই পরিস্থিতিতে অগ্নিমূল্য বাজারদর ভাবাচ্ছে আমবাঙালিদের। কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। পাতে মাছ না পড়লে যে কোনও অনুষ্ঠানই অপূর্ণ থেকে যায় বাঙালিদের। তবে এই উৎসবে ইলিশের (Hilsa Fish) চাহিদাটাই বেশি থাকে। চলতি বছরে সেই ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত আমবাঙালি। তার প্রধান কারণ অতিরিক্ত দাম। বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে হাতে ছেঁকা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে।

    বিভিন্ন সাইজের ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কেমন?

    মূলত, ইলিশের (Hilsa Fish) কম সরবরাহ থাকায় পাইকারি ও খুচরো বাজারে দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ইলিশের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৭০০-১৮০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩০০-১৪০০ টাকা। এছাড়াও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১২০০-১৩০০ টাকা মূল্যে। যদিও সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা বলছে, এই ধরনের অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে বিক্রেতারা বাড়তি মুনাফার লোভে নিজেরাই দাম বাড়িয়ে দেন। গঙ্গারামপুরের পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন মাছ বাজার, পান সমিতি মাছ বাজার, কালদিঘি ও ধলদিঘি মাছ বাজার সহ বিভিন্ন জায়গাতেও ইলিশ মাছের দাম রয়েছে চড়া। এছাড়াও জামাইষষ্ঠীর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন জিনিসেরই দাম বেড়েছে। যা কিনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত পুড়ছে। তবুও জামাই আদরে খামতি রাখতে চান না কেউই। তাই কৃপণতা না করেই মিষ্টি-মন্ডামিঠাই সহ বাঙালির মাছের রাজা ইলিশ কিনতে গিয়ে সকলে যে হিমসিম খাচ্ছেন, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sourav Ganguly: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ! কী বললেন মহারাজ?

    Sourav Ganguly: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ! কী বললেন মহারাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগেই এই প্রস্তাব মহারাজের কাছে আসে। মঙ্গলবার আলোচনার পর রাজি হয়েছেন মহারাজ। কাজ শুরু হবে জুন মাস থেকেই। এদিন ত্রিপুরার পর্যটনকে বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী, সুশান্ত চৌধুরীর সঙ্গে দেখাও করেন সৌরভ। কথা হয়েছে মানিক সাহার সঙ্গেও। এবিষয়ে মহারাজ জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবেই তিনি রাজি হয়েছেন। পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবেই কাজ করবেন।

    মঙ্গলবারই কলকাতায় পা রাখেন ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী

    প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে (Sourav Ganguly) পর্যটন ক্ষেত্রের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে মঙ্গলবার কলকাতায় আসেন ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বেহালার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও সারেন পর্যটনমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে সুশান্তবাবুর পাশাপাশি হাজির ছিলেন ত্রিপুরা পর্যটন দফতরের সচিব উত্তমকুমার চাকমা এবং ওই দফতরের শীর্ষ আধিকারিক তপনকুমার দাস। মহারাজের বাড়িতে ত্রিপুরার মন্ত্রী এবং আমলারা তাঁর হাতে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের একটি ছোট্ট মডেল তুলে দেন।

    কথা মানিক সাহার সঙ্গেও…

    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা পরে ফোনে কথা বলেন মহারাজের (Sourav Ganguly) সঙ্গে। পরে ট্যুইট করে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘খুব গর্বের সঙ্গে জানাতে চাই যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ত্রিপুরা পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। আজকে তাঁর সঙ্গে ফোনে আমার কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নতি হবে।’’

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vaibhavi Upadhyay: গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ খ্যাত অভিনেত্রী বৈভবী উপাধ্যায়

    Vaibhavi Upadhyay: গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ খ্যাত অভিনেত্রী বৈভবী উপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর মৃত্যুর খবরে বিষাদগ্রস্ত মুম্বইয়ের বিনোদন জগৎ। টেলিভিশন দুনিয়ায় শোকের ছায়া। ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ (Sarabhai Vs Sarabhai) খ্যাত অভিনেত্রী বৈভবী উপাধ্যায়ের (Vaibhavi Upadhyay)। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় বৈভবীর মৃত্যু হয়। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গাড়িতে বৈভবীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর হবু স্বামী। দুর্ঘটনায় তাঁরও মৃত্যু হয়। একদিন আগেই জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা আদিত্য সিং রাজপুতের বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর নিথর দেহ। সেই শোক কাটতে না কাটতেই ফের দুঃসংবাদ বি-টাউনে।

    ঘুরতে গিয়েই দুর্ঘটনা

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার, ২৩ মে দুর্ঘটনার শিকার হন বৈভবী উপাধ্যায়। ৩২ বছরের ওই অভিনেত্রী (Vaibhavi Upadhyay) ঘুরতে যেতে ভালবাসতেন। চলতি সপ্তাহেই তিনি তাঁর হবু স্বামীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। রাস্তায় একটি বিপজ্জনক বাঁক নেওয়ার সময়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বলে খবর। দুঃসংবাদটা পেয়েই চণ্ডীগড় ছোটেন অভিনেত্রীর ভাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর শেয়ার করেন প্রযোজক জেডি মাজেঠিয়া। ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ সিরিয়ালে তিনি বৈভবীর (Vaibhavi Upadhyay) সহকর্মী ছিলেন। ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে তিনি আবেগঘন পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি হতভম্ব! ও ভীষণ ভাল মনের একজন মানুষ আর দুর্দান্ত অভিনেত্রী ছিল, যে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের প্রাপ্য সম্মানটা পেল না।’ তিনি আরো লেখেন, ‘এত জীবনীশক্তিতে পরিপূর্ণ একজন মানুষ। জীবন এতটাই অনির্দিষ্ট হতে পারে যে বিশ্বাস করা যায় না। একজন অভিনেত্রী এবং খুব ভাল বন্ধু বৈভবী, যাকে এখনো মনে রাখা হয়েছে সারাভাই ভার্সেস সারাভাই তে ওর চরিত্র জ্যাসমিনের জন্য’।

    আরও পড়ুন: বলিউডে ফের রহস্যজনক মৃত্যু! বাথরুমে মিলল অভিনেতা আদিত্য সিং রাজপুতের দেহ

    ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ সিরিয়ালে জ্যাসমিনের চরিত্রে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বৈভবী (Vaibhavi Upadhyay)। টেলিভিশনে কাজের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ ও দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে বলিউড সিনেমা ছপকেও কাজ করেছেন বৈভবী। তাঁর অভিনয় দক্ষতা দাগ কেটেছিল দর্শকের মনে। ‘আদালত’, ‘সিআইডি’, ‘ক্যায় কসুর হ্যায় আমলা কা’ ইত্যাদি বহু সিরিয়ালের পরিচিত মুখ ছিলেন বৈভবী। বুধবার অভিনেত্রীর পরিবার তাঁর মরদেহ মুম্বই নিয়ে আসবে। সেখানেই হবে তাঁর শেষকৃত্য।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamai Shasthi: বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠী! কেন পালিত হয় এই তিথি? কীভাবে হল চালু এই প্রথা?

    Jamai Shasthi: বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠী! কেন পালিত হয় এই তিথি? কীভাবে হল চালু এই প্রথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি হিন্দুর ষষ্ঠীর তালিকা নেহাত ছোট নয়। অশোক ষষ্ঠী, নীল ষষ্ঠী এসব তো রয়েছেই। জামাই ষষ্ঠী তবে বেশ জনপ্রিয়। খাওয়া দাওয়ার রাজকীয় আয়োজন। জামাই আপ্যায়নে ত্রুটি থাকে না কোনও শ্বশুরবাড়িতেই। সকাল থেকেই লুচি সমেত নানা ব্যঞ্জনে ভরে যায় জামাইয়ের পাত। দুপুরেও এ চিত্র বদলায় না। জামাই ষষ্ঠীকে (Jamai Shasthi) ঘিরে ভিড় দেখা যায়, ফলের স্টলে, বাজারে, পোশাকের দোকানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামাই ষষ্ঠীর প্রথা অনেক প্রাচীন। সেই বৈদিক আমল থেকেই।

    জামাই ষষ্ঠীর প্রথা

    কন্যার সুখের জন্য জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে ব্রত পালন করেন মা। এটাই প্রসিদ্ধ জামাই ষষ্ঠী নামে। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেন শাশুড়ি মা। এরপর মঙ্গল কামনায় তেল-হলুদের ফোঁটা কপালে দিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে বাতাস করেন। মাথায় ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন মেয়ের মা। সেই সঙ্গে থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় পাঁচ রকমের গোটা ফল। পরে দুপুরে জামাইয়ের জন্য নানা পদ সাজিয়ে দেওয়া হয়। যা নিজের হাতে রান্না করেন শাশুড়ি মা।

    চলতি বছরে জামাই ষষ্ঠীর (Jamai Shasthi) তিথি ও ক্ষণ

    প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসে শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠী তিথিকে জামাই ষষ্ঠী হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর জামাই ষষ্ঠী পড়েছে ২৫ মে অর্থাৎ ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টা ০২ মিনিটে ষষ্ঠী লাগছে এবং ষষ্ঠী ছেড়ে যাবে ১১ জ্যৈষ্ঠ বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে।

    প্রচলিত লৌকিক কাহিনী

    কথিত আছে, কোন এক সময়ে এক পরিবারে এক বউ খেতে ভীষণ ভালোবাসত। বাড়িতে মাছ বা অন্য কিছু ভাল রান্না হলেই নিজে সব খেয়ে ফেলে দোষ চাপাত একটি কালো বিড়ালের ওপর। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বিড়াল হল মা ষষ্ঠীর বাহন। নিজের সম্পর্কে এই মিথ্যে অভিযোগ শুনে বিড়াল মা ষষ্ঠীর কাছে গিয়ে সব জানায়। নিজের বাহন সম্পর্কে এই মিথ্যে কথা শুনে মা ষষ্ঠী অত্যন্ত রেগে যান এবং অভিশাপ দেন। এরপর মা ষষ্ঠীর অভিশাপে ওই বউ এর একটি করে সন্তান হয়, আর জন্মের কিছু পরেই তার মৃত্যু হয়। সাত পুত্র ও এক কন্যা এই ভাবে জন্মের পরেই মারা যায়। স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে তখন বউকে অলক্ষণা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বউ এরপর মনের দুঃখে বনে চলে যায়।

    একদিন জঙ্গলে বসে একা একা কাঁদছে, এমন সময় বৃদ্ধার ছদ্মবেশ ধারণ করে তাকে দেখা দেন মা ষষ্ঠী। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বউ তখন সব সত্যিটা বলে ওই বৃদ্ধাকে। নিজের আগের অন্যায় আচরণের কথা স্বীকার করে মা ষষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চায় সে। মা ষষ্ঠী তাঁকে ক্ষমা করে দেন এবং বলেন যে ঘরে ফিরে গিয়ে ভক্তিভরে তাঁর পুজো করলে নিজের মৃত সাত পুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে। এরপর সংসারে ফিরে এসে মা ষষ্ঠীর পুজো করে নিজের সব পুত্র কন্যাদের ফিরে পায় বউ। এরপরেই ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মেয়ে দীর্ঘদিন বাপের বাড়ি যায়নি। তাকে দেখার জন্য ব্যাকুল মা-বাবা একবার ষষ্ঠীপুজোর দিন জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ জানান। জামাই ষষ্ঠী (Jamai Shasthi) পুজোর দিনে সস্ত্রীক উপস্থিত হন। সেই থেকে শুরু হয় জামাই ষষ্ঠী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share