Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ অবরোধ তুলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আরামবাগের (Arambagh) পুরশুড়ার সোদপুর এলাকা। গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে সকাল থেকেই পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সোদপুর এলাকায় একটি পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে পুরশুড়া থানার পুলিশ রাতে ওই এলাকায় হানা দিয়ে ডিজে মাইক সেটগুলি আটক করে নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ (Arambagh) -কলকাতা রাজ্য সড়ক পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  রাস্তার উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধকারীদের বক্তব্য, “নিয়ম মেনেই মাইক বাজানো হচ্ছিল। পুলিশ কোনও কারণ ছাড়াই মাইক সেট তুলে নিয়ে যায়। তাই আমরা রাস্তায় নেমে অবরোধ করেছিলাম”। এদিকে অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে অবশেষে পুরশুড়া থানার পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় পূজা পার্বণ চলছে। যদি এমন কিছু সরকারি নির্দেশ বা আইন থাকে তাহলে সমস্ত পুজো কমিটিগুলোকে সেই নোটিশ দেওয়া উচিত। কিছুদিন আগে পাশের এলাকাতে আরো একটি পুজো হয়েছিল, একইভাবে সেখানে বক্স বাজানো হচ্ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, পুজো কমিটির লোকজন বিষয়টি নিয়ে থানায় জানতে গেলে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় তাদের। এর প্রতিবাদেই এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। সেখানে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। সম্পূর্ণ নিন্দনীয় ঘটনা”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে যদিও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “পুলিশ প্রশাসন নিয়ম মেনেই কাজকর্ম করছে। বিষয়টি আইনি ব্যাপার। ওটা পুলিশ প্রশাসন বুঝবে। এ বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: ভূস্বর্গে জাঁকজমক করে চলছে জি২০ পর্যটন বৈঠক, তাতেই ঘাবড়ে গিয়েছে পাকিস্তান!

    G20 Summit: ভূস্বর্গে জাঁকজমক করে চলছে জি২০ পর্যটন বৈঠক, তাতেই ঘাবড়ে গিয়েছে পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে জাঁকজমক সহকারে চলছে বিশেষ জি২০ বৈঠক (G20 Summit)। কঠোর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরে তিনদিনের এই বৈঠকের আয়োজন করছে ভারত। আর তা দেখেই ঘাবড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। উপত্যকায় ভারতের এত সফলভাবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা একেবারেই হজম হচ্ছে না ইসলামাবাদের।

    বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তান!

    একদিকে, নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে জম্মু কাশ্মীরে যখন জি২০ বৈঠক (G20 Summit) চলছে, তখন এলওসি-র ওপারে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ থেকে এই বৈঠকের বিরোধিতা করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। দাবি করেন, কাশ্মীরে এই সম্মেলনের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক আইন না কি লঙ্ঘন করেছে ভারত। যদিও, পাক বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ নয়াদিল্লি। নির্ধারিত সূচি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চলছে জি২০ পর্যটন ওয়ার্কিং গ্রুপের তিনদিন ব্যাপী বৈঠক। তবে, বিলাওয়ালের এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, পাকিস্তান দিক-বিভ্রান্ত। তারা ভালোই বুঝতে পারছে যে, মোদি সরকারের আমলে কাশ্মীর ইস্যুকে হাতিয়ার করে স্থানীয়দের উস্কে দিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। 

    বিলাওয়ালকে তাদের এক্তিয়ারের সীমা মনে করান জয়শঙ্কর

    এই প্রথম নয়। এর আগেও, কাশ্মীরে জি২০ বৈঠক (G20 Summit) আয়োজন নিয়ে ভারতকে আক্রমণ করেছিলেন বিলাওয়াল। সম্প্রতি, এসসিও বৈঠকে যোগ দিয়ে ভারতের গোয়ায় এসেছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও তিনি দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরে এই বৈঠকের আয়োজন করে ভারত ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। তাঁকে মুখের মতো জবাব দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী প্রত্যুত্তরে জানিয়েছিলেন, এ সব কথা বলে নিজেকে ‘জঙ্গিদের মুখপাত্র’ হিসেবেই প্রমাণ করলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, জি২০ নিয়ে পাকিস্তানের কোনও কথা বলা সাজে না। কারণ, ওরা এই গোষ্ঠীর সদস্য নয়। ওদের কাশ্মীর ও শ্রীনগর নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। কারণ তা ভারতের অংশ।

    আরও পড়ুন: দূর্গে পরিণত ভূস্বর্গ! আজ শ্রীনগরে শুরু বিশেষ জি২০ বৈঠক

    শিকারা-ভ্রমণ অতিথিদের

    এদিকে, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বৈঠকের (G20 Summit) আজ দ্বিতীয় দিন। দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ব্যস্ত থাকবেন আগত প্রতিনিধি দল ও অতিথিরা। তার মধ্যেই, উপত্যকার পর্যটনকে চেটেপুটে নেওয়ার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ বিদেশি প্রতিনিধিদল। এবারের এই সম্মেলনে ৬০ জনের বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন। তাঁদেরই কয়েকজনকে এদিন দেখা যায় শ্রীনগরের বিখ্যাত ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণ উপভোগ করতে। জানা গিয়েছে, ‘সিটি অফ গার্ডেন্স’-এও যাওয়ার কথা অতিথিদের। 

    জি২০-তেও বাজল ‘নাটু নাটু’

    এর আগে, গতকাল বৈঠকের প্রথম দিন বিভিন্ন প্রতিনিধি দেশ থেকে আগত অতিথিদের স্থানীয় উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। এর পর সম্মেলনে আর্থিক বৃদ্ধি এবং সংস্কৃতি রক্ষায় চলচ্চিত্র পর্যটনের ভূমিকা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দেন ‘আরআরআর’-খ্যাত দক্ষিণের তারকা অভিনেতা রাম চরণ। সেখানে বক্তব্য রাখেন তিনি। কাশ্মীর নিয়ে নিজের স্মৃতি রোমন্থন করেন। ওই অনুষ্ঠানেই বাজানো হয় ‘নাটু নাটু’। আরআরআর তারকার সঙ্গে নাটু নাটুর তালে নাচলেন বিদেশি অতিথিরাও।

    কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত

    কাশ্মীর উপত্যকায় আয়োজিত এই সম্মেলনের (G20 Summit) ওপর গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে। এবারের সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। ফলে, এই পর্যটন সম্মেলনকে সফল করতে সচেষ্ট মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় পর্যটন সচিব জানিয়েছেন, এই ইভেন্ট জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। যে কারণে, এই বৈঠকের জন্য ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে কেন্দ্র। নৌসেনার মেরিন কমান্ডো থেকে শুরু করে এনএসজি, সেনা, আধাসেনা ও সশস্ত্র পুলিশ মিলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

  • Note Exchange: আজ থেকে শুরু ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া! জেনে নিন নানা নিয়ম

    Note Exchange: আজ থেকে শুরু ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া! জেনে নিন নানা নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল ২০০০ টাকার নোট বদলের (Note Exchange) প্রক্রিয়া। আজ, মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চে বদলে দেওয়া হবে ২০০০ টাকার নোট। কোনও ফর্ম পূরণ করতে হবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্পষ্টভাবে বলেছে যে ২ হাজার টাকার নোট বিনিময়ের জন্য ব্যাঙ্কে কোনও ফর্ম পূরণ করতে হবে না বা কোনও পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে না। আপনি একবারে ২ হাজার টাকার ১০টি নোট পরিবর্তন করতে পারেন। 

    নোট বদল করতেই হবে

    ২০০০ টাকার নোট বাতিলের (Note Exchange) ঘোষণা করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আরবিআই জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে ২ হাজার টাকার নোটটি সরিয়ে নেওয়া হবে। আরবিআই গভর্নর জনসাধারণকে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এবার প্রায় ৪ মাস সময় আছে মানুষের হাতে তাই কোনও চিন্তা করার দরকার নেই।

    কীভাবে নোট বদল 

    আজ অর্থাৎ ২৩ মে থেকে ২০০০ টাকার নোট (Note Exchange) ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করা যাবে। তার বদলে অন্য টাকা নেওয়া যাবে। গ্রাহকরা তাঁদের নিকটতম ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় যেতে পারেন। সেখানে নিজের অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ দিয়ে ২০০০ টাকার নোট জমা কিংবা বদল করে নিতে পারেন। ব্যাঙ্কগুলি আপনাকে একটি রিক্যুইজিশন স্লিপ দিতে পারে। সেগুলি গ্রাহককে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। সেই স্লিপে নাম, কত টাকা বদল করতে চান, কতগুলি নোট রয়েছে ইত্যাদি উল্লেখ করতে হতে পারে। এছাড়া, গ্রাহকদের বিনিময়ের স্থান এবং তারিখও উল্লেখ করতে হবে। তারপরে গ্রাহকরা তাঁদের ২০০০ টাকার নোট সহ ব্যাঙ্কের দেওয়া ফর্মটিতে সই করে তা জমা দেবেন।

    বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভিন্ন নিয়ম

    বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মোট ৯০০০ শাখা এবং আরবিআই-এর আঞ্চলিক শাখায় ২০০০ টাকার নোট বদলানো (Note Exchange) যাবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় নোট বদলের জন্য কোনও পরিচয়পত্র লাগবে না। অন্যান্য যেকোনও ব্যাঙ্কের শাখাতেও নোট বদলের জন্য কোনও নথির প্রয়োজন নেই বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    প্রয়োজনে আলাদা কাউন্টার

    আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রয়োজনে ২০০০ টাকার নোট বদলের (Note Exchange) জন্য পৃথক কাউন্টার খোলা যেতে পারে। তবে তা প্রয়োজনের ভিত্তিতেই খোলা হবে। যদি কোনও শাখা মনে করে যে তাদের এখানে ২০০০ টাকার নোট বদলের জন্য সেভাবে ভিড় হচ্ছে না, তাহলে সাধারণ কাউন্টারেই সেই লেনদেন হতে পারে। এদিকে কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকলেও সেখান থেকে ২০০০ টাকার নোট বদল করতে পারবেন আপনি। এদিকে যদি ২০০০ টাকার নোট বদল না করে তা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে চান, তাহলে তার ওপর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করতে নয়া বিল আনছে কেন্দ্র, সুবিধা কী জানেন?

    Amit Shah: জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করতে নয়া বিল আনছে কেন্দ্র, সুবিধা কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করতে নয়া বিল আনছে কেন্দ্র (Centre)। এর মাধ্যমে নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করা হবে জাতীয় তালিকায়। ভোটার তালিকা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে এই তথ্য। সোমবার রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ও সেনসাস কমিশনারের নয়া সদর দফতর জনগণ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বাদল অধিবেশনেই বিলটি আনা হবে বলে জানান শাহ। প্রস্তাবিত বিলটি পাশ হলে, তা রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাজের সহায়ক হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি। 

    নির্বাচন কমিশনের কাজ হবে অনায়াস

    বিশ্বের যে কোনও দেশেই জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা হয়। এতে সরকারের পক্ষে জনগণের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করার কাজ হয় সহজতর। তাছাড়া, ভুয়ো ভোটার ধরতেও প্রয়োজন হয় জন্ম-মৃত্যুর সঠিক হিসেব রাখা। ভোটার তালিকার সঙ্গে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য যুক্ত করার ভাবনা নতুন নয়। রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ভোটার তালিকা থেকে প্রয়াত ভোটারদের নাম বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশন এটা করে প্রশাসনিক নির্দেশে। আইন তৈরি হয়ে গেলে কমিশন সরাসরি এই কাজ করতে পারবে।

    নয়া আইনের সুবিধা

    বিলটি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হল নতুন ভোটারদেরও সুবিধা হবে। তাঁদের আর আলাদা করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে না। ১৮ বছর বয়স হলেই নাম উঠে যাবে তালিকায়। মৃত ভোটারদের নামও বাদ যাবে একইভাবে। জানা গিয়েছে, ১৯৬৯ সালের জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইন কিছুটা (Amit Shah) সংশোধন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে নয়া বিলটি। এর মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান জাতীয় তালিকায় নথিভুক্ত করা হবে, তা ব্যবহার করা হবে ভোটার তালিকা তৈরিতে। কেন্দ্রীয় জনসংখ্যার তালিকা ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগী নাগরিকদের তালিকা প্রস্তুত করতেও কাজে লাগবে এই পরিসংখ্যান। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র বিলের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যগুলিতে।

    আরও পড়ুুন: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এর মাধ্যমে জাতীয় তালিকায় জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনবরত নিজে থেকেই নথিভুক্ত হতে থাকবে। প্রত্যাশিতভাবেই সহজতর হবে সরকারি কর্মীদের কাজ। তিনি (Amit Shah) জানান, আইন চালুর পর জন্ম সংক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের সিস্টেমে ওঠা মাত্রই তা নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire Crackers: বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বাজি

    Fire Crackers: বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজে ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের পর টনক নড়ল পুলিশের। জেলায় জেলায় শুরু হল পুলিশি অভিযান। আর সেই অভিযানে নেমে নদিয়ার কৃষ্ণনগর এবং উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, একের পর এক বিস্ফোরণ না হলে এত বাজি মজুত রয়েছে তা জানা যেত না।

    দত্তপুকুর এলাকা থেকে কত বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    সোমবার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের ইছাপুর পঞ্চায়েতের কাঠুরিয়া এলাকায় ইবাদত মণ্ডল নামে একজনের বাড়িতে প্রচুর বাজি (Fire Crackers) মজুত ছিল। বিষয়টি জানার পরই দত্তপুকুর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। প্রচুর বাজি সেখান থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ইবাদতের খোঁজ মেলেনি। তবে, জাকির হোসেন নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া বাজির পরিমাণ প্রায় ২০০ কুইন্টাল। এত পরিমাণ বাজি বাড়িতে কীভাবে মজুত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    কৃষ্ণনগর থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল পুলিশ

    নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ কালিনগরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল। কালিনগর এলাকার সাহা স্টোরের গোডাউন থেকে আনুমানিক ২৫ পেটি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে। ২৫ পেটি বাজির আনুমানিক ওজন প্রায় আড়াই কুইন্টাল। স্টোরের মালিক অভিযুক্ত উত্তমকুমার সাহা ঘটনার পর থেকে পলাতক। নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কিছুদিন আগেই রাজ্যের এগরা সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। কালিনগরে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনায় একপ্রকার ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তবে, কীভাবে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) জমায়েত করা হয়েছিল এবং এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এবার অভিযোগের তির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দিকে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) তোপ দাগলেন অসিতের বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর অভিযোগ, বর্ধমানে ১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন বিধায়ক অসিত। 

    শুভেন্দুর দাবি

    সোমবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিজেপির প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুর্নীতি ইস্যুতে তিনি এদিন এক হাত নেন তৃণমূলকে। এর আগে হুগলিতে কখনও উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, কখনও গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ককে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। আর এবার সরাসরি দুর্নীতি ইস্যুতে বিঁধলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। সভার আগে বিরোধী দলনেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন অসিত। জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর বলা যাবে না। করা যাবে না ব্যক্তিগত কুৎসাও। কিন্তু, শাসক দলের হুঁশিয়ারিকে তোয়াক্কা না করে শুভেন্দু এদিন সরাসরি বলেন, “চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার চাকরি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত।” বিরোধী দলনেতার দাবি, কম করে ১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন অসিত। তবে হুগলিতে নয় সে সমস্ত চাকরি বর্ধমানে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। শুভেন্দু বলেন, “হুগলিতে কুন্তল, শান্তনু, অয়নকে দিয়ে সবে শুরু। দরজা খোলা হয়েছে। আগামীতে আরও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা হাজতে যাবেন।”

    মমতাকে আক্রমণ

    কিছুদিন আগে ধনিয়াখালিতে দুর্গার হাতের ত্রিশূল খুলে সেখানে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সভা করে বিজেপি। প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন বিরোধী দলনেতা। অসিতকে নিশানা করে তিনি বলেন, “কী বিরাট নেতা হয়ে গেছে! এটাও চাকরি বিক্রি করে হয়েছে। নিজের এলাকায় নয়, ১০০ বেশি চাকরি বেচেছে বর্ধমানে। আমার কাছে তালিকা আছে। গতকাল জ্ঞান দিয়েছে ভদ্র কথা বললে ভদ্র হবে, অভদ্র কথা বললে অভদ্র হবে। আবার বললাম পিসি চোর ভাইপো চোর সঙ্গে আপনিও চোর। আপনি কর্মচারী, আপনার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারিয়েছি। আপনারা যদি থাকেন মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে তবে ছাড়ব।” 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    অভিষেককে নিশানা

    রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, একের পর এক বিস্ফোরণ থেকে স্পষ্ট যে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। একই সঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, সব দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকের যোগ রয়েছে। তাঁর জ্ঞানত এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Blast: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    Malda Blast: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজের পর এবার মালদার ইংরেজ বাজারে বাজির গুদামে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে। বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়ায় পার্শ্ববর্তী বাজির দোকানে। মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার ইংরেজবাজারের নেতাজি মার্কেট এলাকায়। বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মঙ্গলু ঋষি (৪৫) ও গণেশ কর্মকার। দুজনেই পেশায় ভ্যানচালক।

    ঠিক কী করে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে?

    মালদার ইংরেজবাজারের নেতাজি মার্কেট এলাকায় লাইন দিয়ে প্রচুর দোকান রয়েছে। সেখানে দুটি দোকানে বাজি মজুত করা ছিল। পাশাপাশি কয়েকটি দোকানে ডাঁই করে আম, লিচু মজুত ছিল। জামাইষষ্ঠীর আগে তা পাকানোর জন্য এদিন সকাল ছটা নাগাদ মার্কেটের সামনে দুটি গাড়িতে করে প্রচুর পরিমাণে কার্বাইড নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই কার্বাইড গাড়ি থেকে নামানোর সময় কোনওভাবে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। আর তা থেকে মার্কেটে আগুন লেগে যায়। চারিদিক আগুন ও ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে মার্কেটের ভিতরে থাকা বাজির গুদামে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শুধু বাজির গুদামে নয়, আশপাশের দোকানে আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মার্কেটের মধ্যে একজন ভ্যান চালক ছিলেন। আগুনে ঝলসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। দমকল কর্মীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান ব্যবসায়ীরা। দমকলের ৮ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করে।

    কী বললেন ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা?

    ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম সদস্য খোকন কুণ্ডু বলেন, প্রাথমিকভাবে কার্বাইড থেকে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে। প্রচণ্ড গরমের কারণে হতে পারে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। দেখি বাজারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ভিতরে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে যায়। কয়েকটি দমকলের ইঞ্জিন একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজি মজুত থাকার কারণে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ঘটনার পর পরই ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। দমকল কর্মীরা সমস্ত বিষয়টি দেখছে। দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে বিস্ফোরণের পর আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক! জ্যাভলিনে বিশ্বের ১ নম্বর নীরজ

    Neeraj Chopra: পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক! জ্যাভলিনে বিশ্বের ১ নম্বর নীরজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকেও তিনি সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে চান। সোনা ছাড়া অন্য কিছুতেই সন্তুষ্ট নন নীরজ। জ্যাভলিনে (Javelin) ক্রমতালিকায় বিশ্বের ১ নম্বর তারকার এমনই লক্ষ্য। নীরজই একমাত্র ভারতীয় যিনি জ্যাভলিনে শীর্ষস্থান দখল করলেন। এত দিন ১ নম্বরে ছিলেন গ্রেনাডার জ্যাভলিন খেলোয়াড় অ্যান্ডারসন পিটার্স। তাঁকে সরিয়ে শীর্ষে উঠেছেন নীরজ।

    প্রথম ভারতীয় হিসেবে নজির

    প্রথম ভারতীয় হিসেবে অ্যাথলেটিক্সে অলিম্পিকের আসর থেকে দেশকে সোনা এনে দেন নীরজ চোপড়া। ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকে ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন পাঠিয়ে তিনি এই সোনা জিতে ইতিহাস গড়েন। অভিনব বিন্দ্রার পরে অলিম্পিকের আসরে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেটিই ছিল ভারতের দ্বিতীয় সোনা জয়। এতেই থেমে থাকেননি নীরজ (Neeraj Chopra)।

    এরপর ডায়মন্ড লিগ খেতাব জেতেন। জুরিখে ডায়মন্ড লিগে সোনা জেতেন নীরজ। সেখানে আরও বেশি দূরে (৮৯.৬৩) জ্যাভলিন ছোড়েন তিনি। তবে নীরজের (Neeraj Chopra) লক্ষ্য ৯০ মিটারের বেশি দূরে জ্যাভলিন পাঠানো। আর সেটা করেই হয়তো বা প্যারিসেও সোনা চলে আসবে তাঁর ঝুলিতে।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন যাচ্ছেন বিরাট-সহ ৯ জন

    নীরজকে ১ নম্বরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে দোহা ডায়মন্ড লিগে সোনা জয়। সেখানে ৮৮.৬৭ মিটার ছোড়েন তিনি। গত বার দোহায় ৯৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়েছিলেন পিটার্স। এ বার ৮৫.৮৮ মিটার ছুড়ে তৃতীয় স্থানে তিনি। পিটার্সকে টপকে সোনা জেতায় ক্রমতালিকাতেও এক নম্বরে উঠলেন নীরজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) এর জালে আল-কায়েদার মডিউল ধরা পড়ল। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন বাংলাদেশিকে। জানা গেছে, তারা অবৈধভাবে আমেদাবাদে থাকছিল। এটিএস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই মডিউলের সদস্যদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত করা হয়। পরে তাদেরকে ভারতে পাঠানো হয়। ধৃতদের জেরা করে সন্ত্রাস দমন শাখা জানতে পেরেছে যে তাদের কাজ ছিল আল-কায়েদার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, স্থানীয় যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ প্রচার করা এবং তাদেরকে সন্ত্রাসের কাজে লাগানো। 

    কী বললেন সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিক (Gujrat ATS)

    গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখার (Gujrat ATS) ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দীপান ভদ্রন বলেন, ‘‘ধৃতদের আমেদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮,৩৯ এবং ৪০ ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

    ধৃতদের পরিচয়

    গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) সূত্রে খবর, আল-কায়েদার মডিউলের এই সদস্যরা হল, মহম্মদ সজীব, মুন্না খালিদ আনসারি, আজহারুল ইসলাম আনসারী এবং মমিনুল আনসারি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অভিযানে নামে গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখা। প্রথমে গ্রেফতার হয় সজীবকে। জানা গেছে, আমেদাবাদের রাখিয়াল অঞ্চলে থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাত সে। এরপর সজীবকে জেরা করে আরও তিন সদস্যের সন্ধান পায় এটিএস। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে বসে শরিফুল ইসলাম এই আল কায়েদা মডিউল কন্ট্রোল করতে বলে জানা গেছে। জানা গেছে সজীবকে জেরা করেই এটিএস হানা দেয় এবং গ্রেপ্তার করে আজহারুল এবং মমিনুলকে। আমেদাবাদের নাড়োল অঞ্চলে স্থানীয় একটি কারখানাতে তারা কাজ করত বলে জানা গেছে। 

    কী কী বাজেয়াপ্ত হল জঙ্গিদের কাছ থেকে?

    এদিন সন্ত্রাস দমন শাখা তাদের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড সমেত বেশ কিছু লিফলেট পেয়েছে। এই লিফলেটগুলোর সাহায্যে উগ্র মৌলবাদের প্রচার করা হত বলে জানা গেছে।  এখন সন্ত্রাসদমন শাখা জানার চেষ্টা করছে যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে তাদেরকে কারা সাহায্য করেছে এবং কোন রাজ্য হয়ে তারা ঢুকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে (Manipur)। রাজধানী ইম্ফলের চেকন অঞ্চলে সোমবার ফের সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর। অশান্তি রুখতে তলব করা হয়েছে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীকে। ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। অশান্তি এড়াতে আবারও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    মণিপুরে (Manipur) হিংসার কারণ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে চেকন বাজারে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এর পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এলাকার কয়েকটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

    হিংসায় ক্ষতির খতিয়ান

    দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জনজাতির মর্যাদা চেয়ে আসছেন মেইতেইরা (Manipur)। সম্প্রতি মণিপুর হাইকোর্ট তাঁদের জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। এর বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের অন্য জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তার জেরে ৩ মে প্রথম অশান্তির আগুন জ্বলে মণিপুরে। সেনা নামিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করে নেভানো হয় সেই অশান্তির আগুন। যদিও ততক্ষণে সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন শ’তিনেক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭০০র বেশি বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছিলেন ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    প্রথম দফায় যখন অশান্তি ছড়িয়েছিল, তখন চেকন (Manipur) এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি। এদিনও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। তিনি জানান, রাজধানীতে যাতে বাইরে আটকে থাকা গাড়ি ঢুকতে পারে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের আকাল দেখা না দেয়, সেজন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা ও অসম রাইফেলস বিভিন্ন এলাকায় টহলও দিচ্ছে। চেকান (Manipur) এলাকায় দোকান বন্ধ করে দেয় সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এলাকায় ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share