Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার অভিযোগে কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ। আর সেই অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলমবাজার এলাকায়। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তার আলমবাজারের বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার চালাত। ওই কল সেন্টার থেকে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। ওই কল সেন্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বরানগরের আলমবাজারে আসে। কল সেন্টারে যুবকরা কাজ করছিল। পুলিশ হানা দিয়ে সকলকে ধরে ফেলে। অভিযুক্তদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের কেন ছিনতাই করা হল, কেউ তার উত্তর দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ভুয়ো কল সেন্টারে যারা কাজ করত সকলেই এলাকারই ছেলে।

    পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল?

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ বরানগরে (Baranagar) এসে ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীদের গ্রেফতার করতেই কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুলিশের কাছ থেকে তারা ধৃতদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। চার অভিযুক্তকে দেখতে কাউন্সিলার থানায় যান বলে অভিযোগ। তবে, বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার কেন কাউন্সিলার চালাতে দিয়েছিল, আর পুলিশি পদক্ষেপকে কেন বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই কাউন্সিলারের মদতেই সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার চলত। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় কাউন্সিলার সেটা মেনে নিতে পারেনি। তাই, কাউন্সিলার নিজের ঘনিষ্ঠদের দিয়ে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথা গত শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা বা বদল করা যাবে বলেও জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর এই ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরতে থাকে নানা মুনির নানা মত। অনেকেরই প্রশ্ন, ‘‘তবে কি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেই ২০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ধরে নেওয়া হবে?’’ সোমবার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, নোট বদলের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ২০০০ টাকার নোট অবৈধ হবে না। অন্যদিকে, রবিবার স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা দিতে হলে বা বদলাতে গেলে কাউকে কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। নির্দিষ্টভাবে কোনও ফর্মও পূরণ করতে হবে না। একসঙ্গে ব্যাঙ্কে ১০ টি ২০০০ টাকার নোট অথবা ২০ হাজার টাকার নোট বদলানো যাবে অথবা জমা করা যাবে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।

    কী বললেন শক্তিকান্ত দাস?

    সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে আরবিআই গভর্নর বলেন, “এই সময় ব্যাঙ্কে ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনার কাছে নোট বদলের জন্য চার মাস সময় আছে।” এই সময়ই তিনি বলেন, ‘‘৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোট ‘অবৈধ’ হয়ে যাবে না।’’ তবে নোট বদলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, ‘‘জনগণ যাতে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখে, তার জন্যই এমনটা বলা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বদলের বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই নানা ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের নোটবাতিলের সঙ্গে এর তুলনা টানতে শুরু করে কেউ কেউ। ২০০০ টাকার নোট যে বাতিল বা বেআইনি কোনওটাই হয়নি এদিন আরবিআই গভর্নরের কথায় তা অনেকটাই স্পষ্ট হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০০০ টাকার নোট কি ফিরছে?

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হলেও নতুন করে হাজার টাকার নোট চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই। প্রসঙ্গত, ৭ বছর আগে দেশে হাজার টাকার নোট চালু ছিল। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। নতুন নোটের চাহিদা সামাল দিতে তার পরেই বাজারে আসে ২ হাজার টাকার নোট (2000 Notes)। এই আবহে দেশে আবার হাজার টাকার নোট চালু করা হবে কি না, এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও আপাতত এমন কোনও ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত, এরকম তিন সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। এমনই সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। গত শনিবার দুপুরে ওই সংস্থাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। ইডি-র দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের মোট ২০টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা।

    আধিকারিককে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। চলেছে কালো টাকা সাদা করার কাজ। সোমবার সকালে একটি সংস্থার আধিকারিককে ডেকে পাঠায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই আধিকারিকের নাম অমিতকুমার কর্মকার। তাঁকে ওই সংস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে। ওই সংস্থার লেনদেন এবং টাকার উৎসে নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। সে ব্যাপারেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অমিতকে।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে

    ইডির তল্লাশিতে মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ষোলোটি জায়গায় তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার পাতার নথি। এই নথিতে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুজয়কৃষ্ণর (Kalighater Kaku) ফোন-সহ ১১টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ সহ ইলেকট্রনিক এভিডেন্স। তদন্তকারীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনটি কোম্পানির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্রও মিলেছে। সেগুলির সঙ্গে সুজয়ের কোনও যোগ আছে কি না, নথিপত্র যাচাইয়ের পর তা নিয়ে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি গিয়েছিল সিবিআই৷ সূত্রের খবর, সেখানে অ্যাডমিট কার্ড ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজাম প্যালেসে তলবও করেছিল সিবিআই। সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরেও এল কালীঘাটের এই কাকু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে তদন্তে এখনই কোন হস্তক্ষেপ আদালত করবে না। তদন্ত যেমন চলছিল তেমনই চলবে, এটাও জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘দুর্নীতিকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।’’ প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৩ তারিখ ইডির পেশ করা অয়ন শীল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যকেও এদিন মান্যতা দেন বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগামী ৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

    পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। সেই সূত্রে ধরা পড়ে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এবং সেখানেই একাধিক প্রমাণ মেলে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে। সামনে আসে পুরসভা নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ। সে সময়ে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে। তিনিও একই রায় বহাল রাখেন। অর্থাৎ হাকিম বদলেও হুকুম বহাল থাকে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চেও রাজ্য জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ৫০০০ চাকরি বিক্রি হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাতে

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়নশীল ৬০টি পুরসভায় ৫০০০ চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করেছেন, এমনই অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। হালিশহর, বীরনগর, বরানগর, উলুবেড়িয়া, পানিহাটি, কামারহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ডহারবার, নিউ বারাকপুর সর্বত্র ছড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির জাল, এমনটাই জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে অয়নশীলের কুড়িটিরও বেশি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। বিঘা বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প সমেত প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি মিলেছে অয়নের নামে। তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু নথি এবং হার্ডডিস্ক। মিলেছে ওএমআর শিটও। প্রসঙ্গত, গত মাসের ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI)-ইডির (ED) নাগাল এড়ানোর নানা চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ব্যর্থ হয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। সেখানেও মিলল না রক্ষাকবচ। তাই গ্রেফতারির আশঙ্কায় কাঁটা তৃণমূলের এই দু নম্বর নেতা। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়। সেখানে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

    ‘আমাকে (Abhishek Banerjee) গ্রেফতার করা হবে’

    তিনি আদালতে জানান, “অভিষেকের আশঙ্কা পরের বার আমাকে গ্রেফতার করা হবে। আমি প্রচার করছিলাম, সেই অবস্থায় সমন জারি করে। পরের দিন সকালে জেরায় তলব করা হয়েছে। আমি জেরায় যোগ দিয়েছি। তারপরেও হেনস্থা করা হচ্ছে”। অভিষেকও বলেন, “আমাকে বারবার তলব করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার নামে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবার ন’ ঘণ্টা করে জেরা করা হচ্ছে।” অভিষেকের হয়ে এদিন আদালতে যে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন সিংভি, সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ। শুক্রবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    সুপ্রিম কোর্টে কেন গেলেন অভিষেক?

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি দাবি করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মামলা যায় হাইকোর্টে। তখনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা”। পরে ওই একই রায় দেয় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চও। তিনিও বলেন, “কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই।’’ সেই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লাখ করে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে হাজির হন অভিষেক।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    দেশের শীর্ষ আদালতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী এদিন বলেন, “সিবিআই কোনও রকম সময় না দিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করছে।” তিনি বেঞ্চকে স্মরণ করিয়ে দেন, “এর আগের বার যখন অভিষেককে তলব করা হয়, তখন তিনি ছিলেন দার্জিলিংয়ে। তাড়াতাড়ি চলে আসতে বাধ্য হন। শনিবারও যখন তাঁকে তলব করা হয়, তখন তিনি নব জোয়ার কর্মসূচির জন্য বাঁকুড়ায় ছিলেন। সেই কর্মসূচি ফেলেই কলকাতায় ফিরে আসতে বাধ্য হন।” তিনি (অভিষেক) রাজ্যের বাইরে প্রচার করছিলেন বলেও দাবি করেন সিংভি। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, বর্তমানে অভিষেক প্রচার করছেন রাজ্যেই।

    গ্রেফতারি এড়াতেই কি বিভ্রান্ত করা হচ্ছে দেশের শীর্ষ আদালতকে? প্রশ্ন সেটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে ধর্ষণের (Sexual Harassment) অভিযোগে এক মহিলা ও দুই বিদেশি ফুটবলার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই ফুটবলার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘানার বাসিন্দা। কলকাতায় তারা বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে টাকার বিনিময়ে ফুটবল খেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে অভিযুক্ত মহিলা মিজোরামের বাসিন্দা। রবিবার তিনজনকেই বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    টাকা চাইতে গিয়েই বিপদ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক তরুণী নিউটাউন থানায় এসে অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত এক মহিলার কাছে টাকা চাইতে যান তিনি। ওই মহিলা জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে গেলে তিনি টাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। সেই বিশ্বাসে তাঁর সঙ্গে সাহায্যপ্রার্থী তরুণী গিয়েছিলেন দুই বিদেশি ফুটবলারের কাছে। অভিযোগ, তারা নিজেদের ফ্ল্যাটে টাকা দেওয়ার অছিলায় ধর্ষণ (Sexual Harassment) করে ওই তরুণীকে। পাঁচ দিন আগের এই ঘটনায় শনিবার রাতে তিলজলা ও নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ তিন অভিযুক্তকে। নিউটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গত ১৯ মে। তার ভিত্তিতে এই ধরপাকড় চালায় পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    ধৃতদের পরিচয়

    বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ধৃত দুই ফুটবলারের নাম ক্রিস জোসেফ ও মোজেস জুটা। কলকাতার তিলজলায় একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকেন। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ঘানার ওই দুই ফুটবলার চুক্তির বিনিময়ে খেলে থাকেন। তবে কলকাতার কোনও নামী ক্লাবের সঙ্গে তাঁদের এখনও কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দুই ফুটবলার ২০১৯ সালে কলকাতায় এসেছিলেন। কোভিডের সময়ে তাঁরা ঘানায় ফিরে যান। ফের ২০২১ সালে তাঁরা কলকাতায় আসেন। ময়দান সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলিতে এই ধরনের বিদেশি ফুটবলারদের বসবাস রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নামী ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নন। ধৃত তরুণী লিজার প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, ওই তরুণী নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। অনেক বিদেশির সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। লিজার কাজকর্ম নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন টোটো চালকের মেয়ে এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে সবাইকে চমকে দিয়েছে। মালদা (Malda) জেলার রতুয়ার ওই টোটো চালকের মেয়ে, উত্তর মালদা সহ নিজের ব্লকেও মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পরিবার, স্কুলের শিক্ষক এবং এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত।

    স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা

    মালদার (Malda) রতুয়ার ১ নং ব্লকের কাহালা অঞ্চলের লক্ষ্মীপুর প্রত্যন্ত গ্রামের এই কৃতী ছাত্রীর নাম তাপসী মণ্ডল, বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল। মাধ্যমিকে তাপসীর প্রাপ্ত নম্বর হল ৬৭১। সে যে স্কুলে পড়াশুনা করত, সেই স্কুলের নাম নরোত্তমপুর কাহালা বি বি হাই স্কুল। তাপসীর এই ফলাফলেই পরিষ্কার, শহরের তুলনায় গ্রাম্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েরাও মেধা তালিকায় পিছিয়ে নেই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় শহরের থেকে দূরে গ্রামের দুঃস্থ ও মেধাবীদের জীবন সংগ্রামের প্রধান অস্ত্র পড়াশুনা। আর তাকেই হাতিয়ার করে সমাজের বুকে বিশেষ জায়গা করে নেওয়ার নানান দৃষ্টান্ত এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে লক্ষ করা যাচ্ছে। সেরকমই একটি প্রতিভার পরিচয় মিলল মালদা জেলার মধ্যেও। পরিবারের অর্থনৈতিক সঙ্কটকে কখনও প্রতিবন্ধকতা মনে না করে, কেবলমাত্র পড়াশুনাকে নিজের প্রতিভা হিসাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে তাপসী। এবার তার স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা।

    কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাপসী মণ্ডল খুব ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। তাঁর পরিবার ভীষণ হতদরিদ্র এবং দুঃস্থ। এলাকার মানুষ বলেছেন, শহরের ভালো স্কুলগুলো বাছাই করে ভালো ছাত্রদের নিয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকার (Malda) স্কুলের দিকে সবার নজর একটু কম থাকে। তবুও এই স্কুলে তাপসী নিজের যোগ্যতায় ভালো ফল করেছে। এলাকার মানুষ ওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাবা খুব পরিশ্রম করে সংসার চালান। এই অবস্থায় বাড়িতে তাপসীর পড়াশুনার জন্য খুব কষ্ট করে অর্থের ব্যবস্থা করতে হত। বাবা নিজে টোটো চালিয়ে যা রোজগার করেন, তাতে পরিবারের পেট চলে না বললেই চলে। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন অবস্থায় অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন কৃষ্ণবাবু। আর সেই মতো মেয়েও রতুয়া ১ নং ব্লক সহ গোটা উত্তর মালদায় খুব ভালো ফল করেছে। আর তাতেই খুশি গোটা এলাকা। তাপসী মণ্ডলের ইচ্ছা, আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ঠিক না থাকায় ভালো ফল করেও আগামী দিনের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত। এই কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে, সেটা নিয়েই চিন্তায় পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭-এ মুখোমুখি মোদি-ঋষি! কথা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সমেত একাধিক ইস্যুতে

    Narendra Modi: জি৭-এ মুখোমুখি মোদি-ঋষি! কথা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সমেত একাধিক ইস্যুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমাতে বসেছিল জি৭ সম্মেলন। চলতি মাসের ১৯ তারিখ সেখানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। জানা গেছে, ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে সেপ্টেম্বরে ঋষিকে এদেশে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রবিবারই শেষ হয়েছে সম্মেলন, এরপরেই প্রধানমন্ত্রী রওনা হন পাপুয়া-নিউগিনির উদ্দেশে। সোমবার তাঁর অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।

    কী কী আলোচনা হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে?

    ঋষি সুনকের সঙ্গে এদিনের বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমরা আলোচনা করেছি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, উদ্ভাবনী এবং বিজ্ঞান সমেত অন্যান্য ক্ষেত্রে আদানপ্রদান কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে। বৈঠক সফল।’’

    প্রসঙ্গত ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও যে ট্যুইট করা হয়েছে তাতে বলা হয়, ‘‘ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষা সমেত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করে তুলতে ভারত এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য নিয়েও।

    ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য হলে কী সুবিধা?

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালু হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন দুই দেশেরই জিডিপি বাড়বে, তেমনি ব্যাপক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি হবে। বাণিজ্য শুল্কমুক্ত হলে এক দেশের উৎপাদিত পণ্য অন্য দেশে কম দামেই মিলবে। অর্থনীতিবিদরা আরও মনে করছেন যে দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য শুরু হলে ভারতের দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির একটি মার্কেট পাওয়া যাবে ব্রিটেনে। এতে দেশের ছোট বড় উদ্যোগপতিরা খুবই লাভবান হবেন বলে মনে করছেন, অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের সুরে এবার হাসপাতালে (West Bengal Health) দালাল চক্রের অভিযোগ তুললেন দলেরই দুই সাংসদ এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও। সিসিটিভি দেখে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মাস দুয়েকের মধ্যে এনিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন শতাব্দী রায়? কেনই বা বললেন? 

    প্রসঙ্গত, ধীরে ধীরে নতুন পালক লেগেছে রামপুরহাট হাসপাতালের (West Bengal Health) মাথায়। এক সময়ের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি থেকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হয়ে এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পরিষেবা সেই তলানিতে। আজও রোগীদের বদলি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিংবা স্থানীয় কোনও নার্সিং হোমে। অভিযোগ, এক শ্রেণির দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন সাংসদ থেকে বিধায়ক। সেই সমস্ত পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ নিয়ে রবিবার রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরে তারাবিতান গেস্ট হাউসের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন বীরভূম এবং বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিধান রায় সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানেই দালাল রাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, একজন রোগীর জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রোগীকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে পরিষেবা পাবে। এভাবে চলতে পারে না। আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ অসিত মাল?

    সাংসদ অসিত মাল বলেন, “হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে অসাধু কর্মী এবং দালাল চক্র রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালে (West Bengal Health) উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে এক্স রে, ইউএসজি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে দালাল চক্র। এছাড়া রোগীদের সঙ্গে নার্সিং স্টাফদের দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। দুপুরে ভর্তি হওয়া রোগীকে একদিন পর কেন চিকিৎসক দেখবেন?” এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান অসিতবাবু। এতদিন হাসপাতালের সামনে জল জমা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রোগীর আত্মীয়রা। এবার এনিয়ে অভিযোগ তুললেন খোদ সাংসদ অসিত মাল। তিনি বলেন, “অবিলম্বে হাসপাতালের সামনে জল জমা বন্ধ করতে হবে”।

    নজর দেওয়ার চেষ্টা হবে, মিলল শুধু আশ্বাস

    দালাল চক্রের কথা মেনে নেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন। কিছু ত্রুটি রয়েছে। তা সংশোধনের চেষ্টা চলছে”। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “কিছু অভিযোগ (West Bengal Health) উঠেছে। সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Martial Art: ক্যারাটের দশটি প্যাঁচ শিখে উজ্জ্বল ক্লাস টু-এর বর্ণালী

    Martial Art: ক্যারাটের দশটি প্যাঁচ শিখে উজ্জ্বল ক্লাস টু-এর বর্ণালী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ছয়। আর এই বয়সেই ক্যারাটেতে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’! চুঁচুড়া সেন্ট থমাস চার্চ স্কুলের ক্লাস টু-এর ছাত্রী বর্ণালী চন্দ। ক্যারাটের (Martial Art) যে প্যাঁচ, তাকে বলা হয় কাতা। মাত্র ছয় বছর বয়সেই বর্ণালী দশটি কাতা শিখে ফেলে দেশের মধ্যে ক্ষুদে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী হয়েছে। পরিবার তো বটেই, তার এই অসামান্য সাফল্যে খুশি এলাকার মানুষজনও। স্বাভাবিকভাবেই সকলে চাইছেন, এই বিরল প্রতিভা যেন নষ্ট হয়ে না যায়।

    মাত্র ৩ বছর বয়সে প্রশিক্ষণ (Martial Art) শুরু

    চুঁচুড়ার কারবালা মোড় শুভপল্লি এলাকার বাসিন্দা সুজয় চন্দ এক সময় শৈশবকালে নিজেও ক্যারাটে শিখতেন। কিন্তু সাংসারিক চাপে বেশি দূর এগতে পারেননি। বর্তমানে ছোটখাট ব্যবসা করে মোটামুটি স্বচ্ছল তিনি। তাঁর দুই কন্যাসন্তান। বড়টি বর্ণালী, আর তার এক বছরের বোন রিতমা। নিজের যে সুপ্ত ইচ্ছা, সেটা মেয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চান তিনি। তাই খুব ছোট অবস্থাতেই মেয়েকে ক্যারাটে (Martial Art) ক্লাসে ভর্তি করে দেন। বাবার হাত ধরে মাত্র তিন বছর বয়স থেকে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ শুরু হয় বর্ণালীর, চন্দননগরের ক্যারাটে প্রশিক্ষক অমিতাভ ঘোষের কাছে। ফলে তাঁর ইচ্ছা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হয়েছে দেখে খুশি বাবাও।

    পুরস্কারের তালিকা দীর্ঘ

    সুজয়বাবু বলেন, করোনার সময় স্কুল ছুটি। তাছাড়াও সব কিছু বন্ধ থাকায় সুবিধা হয়েছে মেয়ের। ওর ইচ্ছা দেখে প্রতিদিন দুবেলা প্রশিক্ষণ (Martial Art) দিতে নিয়ে গেছি প্রিয়নগর মাঠে। একা একাই শিক্ষকের কাছে শিখত। ফলে অনেকটা বেশি সময় ধরে শিখতে পেরেছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, ইন্টারন্যাশনাল কালামস গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস, ওএমজি রেকর্ডস, আমেরিকা রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতি মিলেছে বর্ণালীর। লিমকা বুক অফ রেকর্ডস এবং গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর জন্য আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share