Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”,  এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”, এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে দুর্ঘটনায় জখম এক রোগী ভর্তি করা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত। আর তার জের কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছে যাবে শনিবার তা দলের কর্মীরাও আঁচ করতে পারেননি। শুক্রবারের ঘটনার জেরে এদিন মদন বাণে বিদ্ধ হয় এসএসকেএম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মদন মিত্র একে অপরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তোপ দাগে। শনিবার দিনভর এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছে। কারণ, মদনের বাণে বিদ্ধ শুধু এসএসকেএম নয়, তৃণমূল সুপ্রিমোও।

    হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। আর এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের পাশে রয়েছেন”। মদন মিত্রের (Madan Mitra) নাম না করে তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার রাতে হাসপাতালে যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের হেনস্থা এবং গালিগালাজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আমি তাঁকে ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।” হাসপাতালের ডিরেক্টর আরও বলেন, “যে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে কেউ হামলা করলে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কাল যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের সকলের ছবি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ দেখে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    কী বললেন মদন মিত্র (Madan Mitra)?

    মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কড়া বার্তায় মদন মিত্রের ক্ষোভের আগুনে কার্যত ঘি ঢেলেছে। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে মদন মিত্র বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মূলত তাঁর এই ক্ষোভ যতটা না হাসপাতালের বিরুদ্ধে তার থেকে অনেক বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “তৃণমূল দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের একার দল নয়। আমাদের মতো সকলকে নিয়ে তৃণমূল গঠিত হয়েছে। তৃণমূল ব্যক্তিগত কারও হলে প্রাইভেট লিমিটেড লেখা থাকত, সেটা তো কোথাও লেখা নেই। আর এই দল করতে গিয়ে কারও শরীরে যদি আঘাতের চিহ্ন লেগে রয়েছে, তো আমারও ২৩ মাস জেল খাটার আঘাত শরীরে রয়েছে। দরকার হলে আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। আমি সোনালি গুহ, দীনেশ ত্রিবেদী, মুকুল রায় নই। আমি মদন মিত্র (Madan Mitra)। উনি আমাকে কী দিয়েছেন?” তিনি আরও বলেন, “ওই তো বিধায়কের মাইনে। যদি ছেড়ে দিতে বলেন, তা ছেড়ে দেব। তেমন হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। যা পড়াশুনা জানি তাতে টিউশন পড়িয়ে মাসে ৩০ হাজার রোজগার করতে পারব।” এরপর তিনি অনুরোধ করে বলেন, “আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না। আর আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলে এক মাসের মধ্যে ভোট করাবেন। আমি নির্বাচিত কামারহাটি থেকে। তৃণমূল আমাকে জেতায়নি। আমাকে জিতিয়েছে কামারহাটির মানুষ।”

    কী নিয়ে বই লেখার কথা বললেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলে কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) টিউশন করার কথা বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আমি বই লিখব। আর সেই বই বেস্ট সেলার হবে। সারদা মামলায় ২৩ মাস জেলে ছিলাম। আমার বইয়ে সেই সময়করার ঘটনা তুলে ধরব। আমার বিশ্বাস, আমার বই বেস্ট সেলার হবে। আমেরিকার মানুষও পড়বে আমার বই।”

    কী বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র?

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মদনদা (Madan Mitra) বাম আমল থেকে পিজি হাসপাতালে প্রভাবশালী। দলমত নির্বিশেষে তিনি মানুষের চিকিত্সার ব্যবস্থা করে এসেছেন। কোনও একটি ঘটনায় তাঁর রাগ হয়েছে। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেটা বলেছে সেটাও একটি দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমা শহরে শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে দেশে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হল

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে উভয় রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর বৈঠকের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমার কাছে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার ঘুরে ফিরে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একটি বড় ঘটনা। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, আমার কাছে এটি মানবতার বিষয়।’’ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত একটা বড় অংশের ভারতীয় ছাত্র ডাক্তারি পড়তে পছন্দের তালিকায় রাখত ইউক্রেনকে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের যন্ত্রণা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি, আমাদের দেশের ছাত্ররা তখন তা বলেছেন।’’ জানা গেছে, যুদ্ধ থামাতে নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যুদ্ধ থামাতে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’’

    কী বললেন জেলেনস্কি?

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ জানাই ভারতকে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য। ইউক্রেনের প্রয়োজন মোবাইল হাসপাতাল। বৈঠকে সেকথাও তুলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি হলে রাস্তায় এক হাঁটু জল জমে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। জল জমা রাস্তায় সবথেকে বেশি অসুবিধায় পড়েন নিত্যযাত্রী গ্রামের মহিলা এবং স্কুলের ছাত্রীরা। তাই নদিয়ার (Nadia) আসাননগর পঞ্চায়েত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জমা জলে মাছ ছেড়ে সেই মাছকে জাল দিয়ে ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানালো বিজেপি।

    জমা জলে আসননগরে (Nadia) সমস্যা

    বৃষ্টির জমা জলে রাস্তার সমস্যায় রয়েছেন আসাননগর (Nadia) পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টির ফলে এলাকার প্রায় একশো মিটার রাস্তায় জমে রয়েছে জল। আর এই রাস্তার জমা জল দিয়ে যাতায়াতের সমস্যা এখন নিত্যদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেক দিন ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ বিষয়ে বারংবার পঞ্চায়েতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই এলাকায়। রাস্তার জমা জলে বাড়ছে মশার উপদ্রব। একে রাস্তার সমস্যা, তারপর আবার ডেঙ্গি সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

    নদীয়া (Nadia) বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ও স্থানীয় (Nadia) বাসিন্দারা। জাল দিয়ে মাছ ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ দে বলেন, এই রাস্তার পাশেই নদী বয়ে গেছে, রাস্তা থেকে একটা ড্রেন করে নদীর সঙ্গে সংযোগ করলে বৃষ্টির জল রাস্তা থেকে দ্রুত নেমে যাবে। কিন্তু আসাননগরে (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে আমারা ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে প্রতিবাদ জানালাম। প্রশাসন দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থা না করলে আগামীদিনে আমারা বৃহত্তর আন্দোলন করব বলে হুমকি দেন বিজেপির এই মণ্ডল সভাপতি। প্রতিবাদ অভিনব হলেও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশাসন কতটা তৎপর হয়, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের আরও এক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশের নতুন যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে। খুব শিগগিরই চালু করা হবে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) হৃদয়পুর চেকপোস্ট। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই চেকপোস্টে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়ে উঠবে।

    কী বললেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার?

    সম্প্রতি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border)  নদীয়ার হৃদয়পুর চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসেছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিপ ইলিয়াস। নদীয়ার চাপড়া ব্লকের হৃদয়পুর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, “এদেশ থেকে আমাদের দেশে যাতায়াত করার রাস্তা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এই যোগাযোগ সড়ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ইস্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে অসম্ভব ভালো যে বন্ধুত্ব রয়েছে তা আরও একবার আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। এই চেকপোস্ট চালু হয়ে গেলে নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং বাংলাদেশের মুজিবনগরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য  এই চেকপোস্ট বড় ভূমিকা নেবে।” এতদিন এই সব এলাকার মানুষদের অনেক ঘুরে সীমান্ত পার হতে হত। এখন বাড়ির কাছেই চেকপোস্ট গড়ে ওঠায় দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত আরও সুগম হবে। তিনি আরও বলেন, ” ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ সহায়তা পেয়েছে ভারত সরকারের কাছ থেকে। এটাই একটি তার স্মারক। তাই এই রাস্তাটির নাম দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা সড়ক। বাঙালির হৃদয়ে যে আবেগ রয়েছে, এই রাস্তাটি যখন তৈরি হয়ে যাবে বা চালু হয়ে যাবে তখন আমরা সেই আবেগকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব। এই রাস্তার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। তবে, এই রাস্তা দিয়ে পন্য পরিবহণ করা সম্ভব নয়। কারণ, রাস্তার পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। আশা করি, আগামীদিনে তা হয়ে যাবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের জেলা সফরের পরই জামুড়িয়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের জেলা সফরের পরই জামুড়িয়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এর জেলা সফরের শেষেই পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত অধিকারীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাবার পরে কেন মারধর ?

    গত শুক্রবার সন্ধ্যায়, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত অধিকারী নিজের অফিসে যখন ছিলেন, সে সময় দলেরই অন্য কর্মীরা এসে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ব্লকের কমিটিতে সেইসব কর্মীদের নাম না থাকায় মারধরের অভিযোগ। অপরদিকে মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং। দলের মধ্যে এই মারধরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

    ব্লক সভাপতির  অভিযোগ

    ব্লক সভাপতি বলেন, সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আমার কয়েকজন কর্মী আমাকে ফোন করে আসার জন্য। আর তাই আমি আমার কাজ শেষ করে দ্রুত পার্টি অফিসে চলে আসি। সেই সময় অফিসে প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল। আমি চেয়ারে বসতেই কিছু কথাবার্তা না বলে আচমকা তৃণমূলের কিছু কর্মী এবং সমাজ বিরোধী আমাকে প্রথমেই মারার হুমকি দেয়। এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে। আমাকেও ঘুষি দিয়ে আঘাত করে। এই সমাজ বিরোধীদের নামে পুলিশের কাছে আগেও কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ব্লক সভাপতি। তিনি আরও বলেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে আমার কিছু কর্মীদেরও মারধর করে আহত করে। মারধরের কারণ জানতে চাইলে ব্লক সভাপতি বলেন, ব্লকের নতুন কমিটিতে নাকি কিছু বিজেপি কর্মী ঢুকেছে! উনি আরও বলেন আমার জানা মতে আমি কোন বিজেপি কর্মীকে দলের ব্লক কমেটিতে চিনি না। এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের দিলদার এবং চঞ্চলের নাম তুলে ধরেন। তৃণমূলের দলকে বদনাম এবং আমাকে অপদস্থ করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ব্লক সভাপতি। পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিশেষ অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    জামুড়িয়ার বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, পার্টি অফিসে এই গোলমালের ঘটনা একদম ঠিক হয়নি। এখানে কোন বিজেপি নেই, যারা আছেন সবাই তৃণমূলেরই লোক। সংগঠনের জন্য এই আচরণ ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, আমি দলকে জানাবো, দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কতটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নেয়, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিজাম প্যালেসে অভিষেক! চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী প্রশ্ন করতে পারে সিবিআই?

    Abhishek Banerjee: নিজাম প্যালেসে অভিষেক! চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী প্রশ্ন করতে পারে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। গতকাল, এই মামলায় অভিষেককে সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরই, বাঁকুড়ায় জনজোয়ার যাত্রা মাঝ পথে ছেড়ে রাতে কলকাতায় ফেরেন তিনি। এদিন সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। সময়ের কিছু আগে তিনি পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে।

    পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা!

    সিবিআই সূত্রের খবর, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ জন আধিকারিককে নির্বাচিত করেছে সিবিআই। তাঁরাই অভিষেককে দফায় দফায় জেরা করে চলেছেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) জন্য পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত, এই মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডলের থেকে পাওয়া বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    চিঠিতে সমনের জবাব

    এদিকে, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার আগে সিবিআইয়ের নোটিশের জবাব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। চিঠিতে অভিষেক লেখেন, ‘‘১৯ তারিখ দুপুরে চিঠি পাঠানো হয়েছে, ২০ তারিখ সকাল ১১টায় হাজিরা দিতে বলে। একদিনও সময় দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর আরও দাবি, নোটিশ পেয়ে তিনি স্তম্ভিত। বলেছেন, ‘‘আপনারা (সিবিআই) আগেই জানতেন, আমি রাজ্যজুড়ে ২ মাসের জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছি। এই নোটিস পেয়ে আমি স্তম্ভিত। তবু তদন্তে সহযোগিতার স্বার্থে আমি হাজিরা দেব।’’

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের

    পাশাপাশি, তিনি যে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন, তাও সিবিআইকে জানিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ জানিয়েছেন, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়ে এই মামলাটি আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠবে৷ যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই কারণেই স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন অভিষেক৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিকে সামনে রেখে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সভাস্থলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। জেলা নেতৃত্বের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকী তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মেরে বাইরে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।  পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    শুক্রবার বিকেল নাগাদ চন্দ্রকোণা পুরসভার টাউন হলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচির একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। চন্দ্রকোণা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তুতি সভায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইতসহ জেলা সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই সভার শুরুতেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। কারণ,  রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সভাস্থলে এসে বিষয়টি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ,প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জগজিৎ সরকারসহ প্রাক্তন বুথ ও অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সভাস্থলের ভিতরে চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষসহ তাঁর অনুগামীরা ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন। আর এতেই দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। দফায় দফায় ভিতরে, বাইরে চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মারধর করে সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এরই মাঝে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ। এমনকী সেসময় জেলা চেয়ারম্যানকে ধাক্কা মারতে দেখা যায় এক তৃণমূল কর্মীকে। পরক্ষণে জেলা সভাপতি আশিষ হুদাইত সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য পৌঁছালে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বাইরে থাকা বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জেলা সভাপতির সঙ্গে সভাস্থলে পুনরায় ঢোকেন। তারপরই শুরু হয়ে যায় তুমুল উত্তেজনা। পরে, চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি, অভিষেক (Abhishek Banerjee) আসার আগেই রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের সভাপতি প্রসূন ঘোষ ও বিধায়কের নেতৃত্বে বুথ সভাপতি ও অঞ্চল নেতৃত্বদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে ব্লকের তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশ জানতো না। চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, বুক চিতিয়ে যারা দল করে তাদের সরিয়ে দিয়ে সিপিএম, বিজেপি থেকে আসা লোকজনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রতিবাদ করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    যদিও সভাস্থলে গণ্ডগোল নিয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বলেন, তেমন কিছু হয়নি,কিছু নেতা কর্মীদের ক্ষোভ ছিল তা তাঁরা জানিয়েছেন। আর আমাকে কেউ ধাক্কাধাক্কি করেনি। আসলে সংসার বড় হয়েছে, তাই একটু মনোমালিন্য হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: কেন ২ হাজারের নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই? কীভাবে বদলাবেন আপনার নোটগুলি?

    2000 Notes: কেন ২ হাজারের নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই? কীভাবে বদলাবেন আপনার নোটগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গ্রাহকদের একটি সময়সীমার মধ্যে তাঁদের কাছে থাকা সকল ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার প্রায় ৬ বছর পর, এবার ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    এখন প্রশ্ন হল, কেন এই সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবহার হ্রাস পাওয়াই হল প্রধান কারণ। আরবিআই জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে এই নোটের ব্যবহার ক্রমশ কমেছে। ২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আরও বলা হয়েছে, ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার মতো অন্যান্য মূল্যের ভারতীয় নোটগুলি এখন উপযুক্ত পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে। যা, সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    নোটগুলির বৈধতা কি আর রইল না?

    আরবিআই (RBI Guidelines) জানিয়েছে, প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, ২০০০ টাকার নোট এখনি অবৈধ হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ এখনও লেনদেনের জন্য ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ৩০ সেপ্টেম্বর বা তার আগে এই নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা দিতে অথবা বদলে নিতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করছে আরবিআই। গ্রাহকদের অনুরোধ, এই সময়ের মধ্যে আপনার কাছে থাকা ২ হাজারের নোটগুলো ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিয়ে দিন।

    আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট, কবে থেকে জানেন?

    কীভাবে বদল করা যাবে ২০০০ টাকার নোট?

    আরবিআই জানিয়েছে, আপনার কাছে ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) থাকলে তা ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনার নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারেন অথবা ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে ২০০০ টাকার নোটগুলি বদলে অন্যান্য ব্যাঙ্কনোট নিয়ে নিতে পারেন। এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৩ মে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ১৯টি আঞ্চলিক অফিসে এই নোট বদল করা যাবে। এছাড়া সমস্ত সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কেও ২ হাজার টাকার নোট বদল করা যাবে।  

    বদলের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে কি?

    আরবিআই নির্দেশিকায় (RBI Guidelines) জানিয়েছে, জমা করার কেওয়াইসি শর্ত মেনে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যত খুশি মূল্যের ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা (Account Deposit) করতে পারবেন। এছাড়া, ব্যাঙ্কে গিয়ে সরাসরি বদলও করতে পারবেন মানুষ। তবে দৈনিক সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা সরাসরি বদল (Note Exchange) করা যাবে। এক্ষেত্রে, আপনি ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক হোন, বা নাই হোন, এই ২০ হাজারের ঊর্ধ্বসীমা এক থাকবে। তবে, বদলের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ আপনাকে আধার কার্ড সহ সংশ্লিষ্ট তথ্য জানাতে হবে ব্যাঙ্ককে। এর পাশাপাশি, বিজনেস করেসপন্ডেন্টদের মাধ্যমে জনপ্রতি প্রতিদিন ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বদলানো যাবে। 

    নোট বদল করতে কোনও ফি লাগবে?

    আরবিআই নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কাউকে কোনওপ্রকার ফি দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই করা যাবে এই নোট বদল। এছাড়া, পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের যাতে নোট বদলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তাও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) বাড়িতে গেল ইডির একটি বড় দল। শনিবার সকালে একাধিক দলে ভাগ হয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। ঘটনাচক্রে, শনিবারই সিবিআইয়ের তলব পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সকাল সকাল ‘কাকু-র’ বাড়ি

    এদিন সকাল ৬টা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, এই সুজয়বাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংস্থার দেখভাল করেন। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তলবও করেছে। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানন, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    এখনও চলছে তল্লাশি

    আজকে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি ছাড়াও তাঁর বাড়ির পাশে ফকির পাড়াতেই একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, যে অফিসে হানা দেওয়া হয়েছে সেটি একটি কনসাল্টেন্সি সংস্থার। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই সংস্থার যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সুজয়কৃষ্ণের প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন সকালে কয়েকজন এসে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। কিছু সময় পর বেরিয়ে আসনে কালীঘাটের কাকু। এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে শোনা গিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর নাম। এর আগে তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পর্ণশ্রীর একটি ফ্ল্যাট ত্রিবেণী অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ

    সম্প্রতি সিবিআই এসেও তল্লাশি চালিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের ফ্ল্যাটে। সে সময় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তিনি অবশ্য দাবি করেন, বোন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। পাওয়া যায় একটি অ্যাডমিট কার্ড। ‘কাকু’ দাবি করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এ ছাড়া তাঁর একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।  শনিবার আরও এক দফা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    New Parliament Building: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বোধন হতে চলেছে নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building)। আগামী ২৮ মে নবনির্মিত সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সম্প্রতি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং উদ্বোধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান। আভিজাত্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে নতুন সংসদ ভবন সকলকে তাক লাগাবে।

    আভিজাত্যের ছোঁয়া

    ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয়েছে নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Building)। নতুন ভবনটি তৈরি করেছে ‘টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড’। কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা এই সংসদ ভবনে একদিকে যেমন আভিজাত্যের ছোঁয়া রয়েছে, তেমনই আবার আধুনিকতার মিশেলও রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই ৬৪ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে এই সংসদ ভবন। সংসদ ভবন তৈরি করার অন্যতম কারণ ছিল সাংসদদের বসতে দেওয়ার জন্য স্থানাভাব এবং পুরনো সংসদ ভবনের জরাজীর্ণ দশা। নতুন এই সংসদ ভবন বর্তমান সংসদ ভবনের থেকে আয়তনে ১৭ হাজার স্কোয়ার ফুট বড়। 

    আরও পড়ুন: চার দিনের ত্রিদেশীয় সফর প্রধানমন্ত্রী মোদির! আজ যাত্রা শুরু

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক

    গত মার্চ মাসে নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Building) দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৪ তলবিশিষ্ট নতুন সংসদ ভবনে ১২০০ জনেরও বেশি সাংসদ বসতে পারবেন। নতুন সংসদ ভবনে রয়েছে লাইব্রেরি, একাধিক কমিটি কক্ষ, খাবার জায়গা। এ ছাড়াও রয়েছে পার্কিংয়ের অঢেল জায়গা। নতুন স‌ংসদ ভবনে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় মার্শালদের নতুন পোশাকবিধি চালু করা হবে। নতুন সংসদ ভবন ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক বলে বর্ণনা করেছে সরকার। মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তির দিনই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের কথা ছিল। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের পরিকল্পনা ছিল, ওই দিনই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা হবে। তবে পরে তা দুই দিন পিছিয়ে ২৮ মে করে দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share