Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টি না হলে বোধহয় চলে না! তাই তো রকমারি মিষ্টির (Bengali Sweets) বাহার আমাদের বাংলাতে। রসগোল্লা থেকে শুরু করে সন্দেশ, পান্তুয়া-কোনওটাই বাদ যায় না তালিকা থেকে। কিছু মিষ্টি আছে, যেগুলি স্বাদে ও আকারে অন্যান্য সাধারণ মিষ্টির থেকে অনেকটাই ভিন্ন। সেরকমই একটি মিষ্টি মোরব্বা। বীরভূমের সিউড়ি শহরের নাম মাথায় এলে মোরব্বা নামটা একবার উচ্চারণ করতেই হয়। সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টি হল মোরব্বা। বর্ধমানের যেমন মিহিদানা-সীতাভোগ, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কলকাতার রসগোল্লা, তেমনই বীরভূমের এই মোরব্বা। অনেকেই পছন্দ করেন এই মোরব্বা। কিন্তু এই মিষ্টির উৎপত্তি নিয়ে অনেক ইতিহাস আছে। আসলে এই মিষ্টি বাংলায় তৈরি না বিদেশে, তা নিয়েও আছে অনেক গল্প।

    কী এই মোরব্বা?

    ‘মোরব্বা’ শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ‘মুরাব্বা’ থেকে, যার অর্থ সংরক্ষিত ফল। মোরব্বা হল একটি মিষ্টি যা ভারতের অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু মোরব্বা (Bengali Sweets) বিখ্যাত আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরে। দক্ষিণ ককেশাস, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের অনেক অঞ্চলে জনপ্রিয় মিষ্টি এটি। সাধারণত মিষ্টি ফল যেমন আপেল, খেজুর, এমনকী পটল, চালকুমড়া, পেঁপে, বেল প্রভৃতিকে গাঢ় মিষ্টির রসে ডুবিয়ে রেখে বিভিন্ন মশলা সহযোগে তৈরি করা হয় এই মোরব্বা, যা অনেকদিন পর্যন্ত মিষ্টির রসে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।

    মোরব্বার (Bengali Sweets) উৎপত্তি হল কীভাবে?

    আসলে এই মিষ্টির উৎপত্তি পর্তুগিজদের হাত ধরে। জানা যায়, প্রাচীন ভারতে ছানা খাওয়া অপবিত্র ছিল। তাই ছানা সহযোগে আগে ভারতে কোনওরকম মিষ্টি তৈরি হত না। কিন্তু পর্তুগিজরা ভারতে আসার পর ছানার ব্যাবহার শুরু করে। আর এই ছানা দিয়ে নানারকম মিষ্টিও তারা বানায়। এই সব মিষ্টির সঙ্গে তারা আরও এক ধরনের মিষ্টি তৈরি করে, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। এই মিষ্টি তৈরিতে কোনও রকম ছানা লাগত না। বিভিন্ন ফলকে গাঢ় রসে ডুবিয়ে সেই ফলগুলিকে সংরক্ষণ করা হত, যা মিষ্টির আকার নিত। এই মোরব্বা প্রথম পর্তুগিজদের হাত ধরেই ভারতে প্রবেশ করে। আজ এই মোরব্বা গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। লোক মুখে শোনা যায়, এই মোরব্বা প্রথম তৈরি হয় বীরভূমের রাজনগরে।    
    আবার বিভিন্ন বই-এর লেখা থেকে জানা যায়, পর্তুগিজ বণিকদের হাত ধরেই প্রবেশ করে এই মোরব্বা। সিউড়ির স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বীরভূমের বিখ্যাত মিষ্টি ব্যবসায়ী হরিপ্রসাদ দে একবার দিল্লি ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একরকম মিষ্টির সন্ধান পান, যেটি পেঠা নামে পরিচিত ছিল। সেই মিষ্টিটি তিনি খেয়ে দেখেন ও তার স্বাদ খুবই পছন্দ হয়। সেখান থেকেই এই মিষ্টি তৈরির প্রণালী শিখে আসেন এবং নিজের শহরে ফিরে এসে এই ধরনের মিষ্টি (Bengali Sweets) বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। বিভিন্ন ফল দিয়ে তিনি এই মিষ্টি বানাতে শুরু করেন। তাঁর বংশধর নন্দদুলাল দে এই ইতিহাস সত্যি বলেই দাবি করেন। আস্তে আস্তে এই মিষ্টি গোটা ভারত জুড়ে বিখ্যাত হতে শুরু করে। এটি হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টান্ন। অনেক বড় বড় মানুষ এই মোরব্বার সন্ধানে সিউড়িতে এসেছেন।
    বর্তমানে ফল ছাড়া আরও বিভিন্ন সবজি দিয়েও এই মোরব্বা বানানো হয়। তার মধ্যে পটল, চালকুমড়া, শতমূলের মোরব্বা বিখ্যাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার এলাঙ্গি মাঝেরপাড়া এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

    কী কারণে খুন?

    মৃত ওই গৃহবধুর নাম অঞ্জলি বিশ্বাস। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। সূত্রের খবর, পরকীয়া সন্দেহে মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শৈলেন বিশ্বাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি বিশ্বাসের অশান্তি লেগেই থাকতো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া করত। আত্মীয়রা জানান, অঞ্জলি বিশ্বাস সেভাবে কিছু না বললেও তাঁর স্বামী শৈলেন বিশ্বাস মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর উপর চড়াও হত এবং মারধর করত। ঘটনার দিন সকাল থেকেই প্রায় দিনের মতো বাক-বিতণ্ডা চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বিকেল নাগাদ শৈলেন হঠাৎ একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আচমকা কোপাতে শুরু করে স্ত্রীকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অঞ্জলি বিশ্বাস। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় মানুষ তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    মৃতার দিদির বক্তব্য

    মৃত অঞ্জলি বিশ্বাসের দিদি সন্ধ্যা মণ্ডল বলেন, এর আগেও একাধিকবার পরকীয়ায় অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস আমার বোনকে মারধর করে। গতকাল আমার বোনকে কুপিয়ে (Nadia) মেরে ফেলল শৈলেন। আমি চাই সারা জীবন যেন ও জেলবন্দি থাকে। ওর মতো বোনাই আমার প্রয়োজন নেই। আমি ওর মুখ দেখতে চাই না।

    সন্তানের বক্তব্য

    খুনে অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, মাকে পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ করতো বাবা। কিন্তু শুধু আমি কেন, গ্রামের (Nadia) কেউই বিশ্বাস করবে না এই বয়সে মা এরকম কাজ করতে পারে। সেই কারণে বাবাকে আমি অনেক সময় বোঝানোর চেষ্টা করতাম, মাকেও চুপ করে থাকতে বলতাম। ইদানীং বাবা আরও বেশি সন্দেহ করতে শুরু করে মাকে। কাজও ঠিকমতো করত না বাবা। আমি নিজেও বাবাকে বলেছি, কাজ করার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে তুমি রেস্ট নাও। গতকাল অন্যান্য দিনের মতোই ছোটখাট ঝামেলা লেগেছিল। কিন্তু বিকেলের পর আমি কাজে বেরিয়ে যাই। এরপর শুনি, বাবা এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বজিৎ আরও বলেন, আমিও চাই, যে ঘটনা ঘটেছে তার উপযুক্ত শাস্তি পাক বাবা। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে শুধুমাত্র কি পরকীয়া সন্দেহ নাকি অন্য কারণ আছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এগরার খাদিকুল গ্রামে যান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তিনি আশ্বাস দেন। খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বগটুই থেকে এখনও পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটেছে তারজন্য রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী দায়ী। তাই, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আর এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। দু-তিনদিনের মধ্যেই এই দাবিতেই এগরায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়ে মহা-মিছিল করা হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, শুধু বাজি কারখানাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনার পার্টিকে বোমা সাপ্লাই (সরবরাহ) করার জন্য এই কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর আপনার পুলিশ প্রতি মাসে এখান থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেতেন।’’

    পুলিশকে মাসোহারা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর বউমাকে ২০১৮ সালে ভোটে দাঁড় করিয়েছিলেন। এই বাজি কারখানার মালিক প্রতিমাসে এগরা আইসি-কে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। বিশ্বজিৎ নামে এক এএসআই এই টাকা নিয়ে যেতেন। সব হিসেব হবে। তোলাবাজ পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। পুলিশ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সমস্ত তথ্য তারা লোপাট করে দেবে। তাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ন্যাশনাল ফরেনসিক টিম দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’’

    ক্ষতিপূরণ নেওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে, সেটা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টাকা। প্রত্যেক নিহত ব্যক্তিদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    এনআইএ-র দাবিতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মামলা হাইকোর্টে

    এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনায় আগাগোড়াই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই দাবির কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার ওই একই দাবিতে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি পি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার মতো এগরা কাণ্ডের জলও গড়ালো আদালতে। শুভেন্দুর আর্জি আদালতে গৃহীত হয়েছে। খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বেকায়দায় পড়ে ইতিমধ্যেই এনআইএ-র দাবিতে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি (Kaliaganj) ফেরার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অমানবিক ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত শিশুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস ও স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।

    কী পরিচয় এই সমাজকর্মীদের?

    অনেকেরই হয়তো মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা। সেদিন অসহায় দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করে হাজতবাস করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। সেই ঘটনার পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে জামাকাপড়ের ব্যাগে সন্তানের মৃতদেহ ভরে বাড়ি নিয়ে আসেন কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। টিভির পর্দায় মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে অসীম দেবশর্মার বাড়িতে ছুটে এলেন জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও অঙ্কুর দাস। ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় শোকার্ত অসীম দেবশর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে সমবেদনা জানান তাঁরা। পাশাপাশি অসীমবাবুর কাছে সমস্ত ঘটনা শোনেন দুজনেই।

    স্ত্রীর মৃতদেহ বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য

    জয়কৃষ্ণবাবু মানবিক হয়েই অসীমবাবুর বাড়িতে মর্মান্তিক কথা শুনতে আসেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাড়ির (Kaliaganj) অবস্থা! অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ৮০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি নিয়ে যাবো। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে গরীব মৃত মানুষের দেহগুলিকে বিনা খরচায় বাড়িতে পোঁছানোর পরিষেবা চালু করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আমি আমার নগরডাঙ্গাতে অনশনে বসব বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন সমাজসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?

    জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সাহায্য পাননি জয়কৃষ্ণবাবু। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকেও জেলে যেতে হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকার বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুক। জলপাইগুড়ির মতো মৃতদেহ বহন করার ঘটনা আরও ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম, প্রশাসন শোনেনি। আর তাই ঘটেছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও এরপর আবার অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আগামী দিনে আমরা গরীব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। আর না মানলে অরাজনৈতিকভাবে বৃহৎ আন্দোলন করব। আরও বলেন, জয়কৃষ্ণবাবু এবং অসীমবাবুকে নিয়ে আমরা এই সামাজিক আন্দোলন করব।

    প্রশাসনের (Kaliaganj) ভূমিকা

    এদিকে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে অসীম দেবশর্মা সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ফোনে জানিয়েছেন, এদিন ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁদের জবকার্ডও করে দেওয়া হবে। এখন বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কবে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gerbera Flower: জারবেরা ফুলের চাষ করে মাসে লক্ষ টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন নদিয়ার যুবক

    Gerbera Flower: জারবেরা ফুলের চাষ করে মাসে লক্ষ টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন নদিয়ার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম উপায়ে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে জারবেরা ফুলের (Gerbera Flower) চাষ করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন নদিয়ার যুবক উজ্জ্বল দেবনাথ। নিজের জমিতে হাজার বর্গফুট জায়গায় জারবেরা ফুলের চাষ করেছেন তিনি। দিন দিন হু হু করে বাড়ছে বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা। হাতে শিক্ষার ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে কী কাজ করবেন, তা ভেবেই দিশাহারা যুবক-যুবতীরা। অনেকে আবার পড়াশোনা করে কৃষিকাজ করবেন, এটা ভাবতেই পারেন না। কিন্তু কৃষি মানেই ধান-পাট চাষ নয়, কৃত্রিম উপায়ে আরও অন্য কিছু চাষ করেও যে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায়, তার উদাহরণ নদিয়ার এই যুবক।

    কীভাবে ওই যুবক এই চাষে এলেন?

    নদিয়ার শান্তিপুর থানার চাঁদড়া এলাকার যুবক উজ্জ্বল। তিনিও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পর কোনও কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে জারবেরা ফুলের (Gerbera Flower) চাষের সন্ধান পান। এ বিষয়ে চর্চাও শুরু করে দেন। অবশেষে পুনে থেকে জারবেরা ফুলের চারা এনে নিজের জমিতেই হাজার বর্গফুট এলাকায় চাষ করতে শুরু করেন। তৈরি করেন গ্রিন হাউস। এরপরই শুরু করেন জারবেরা ফুলের চাষ।

    গ্রিন হাউস তৈরিতে খরচ কত?

    এই জারবেরা (Gerbera Flower) ফুলের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে মূলত বেঙ্গালুরুতে। সেখানে হাজার হাজার বিঘা জমিতে জারবেরা ফুলের চাষ হয়। এবার সেই অনুকূল পরিবেশ কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করে নদিয়াতেও চাষ হচ্ছে। উজ্জ্বল বলেন, এই চাষে কৃত্রিম গ্রিন হাউস তৈরি করতে মূলত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। সেই গ্রিন হাউস কুড়ি বছর পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। তবে এই ফুলের যত্ন এবং চর্চা খুব ভালোভাবে করতে হয়। গ্রিন হাউসের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে জল দিতে হয়। পাশাপাশি গরমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পাইপে করে জল দিতে হয় ফুল গাছে। পাশাপাশি কীটনাশক তো রয়েছেই। বিভিন্ন সময় রাসায়নিক ও জৈবসারও প্রয়োগ করতে হয়। উজ্জ্বল আরও বলেন, আগামী দিনে বেকার যুবক-যুবতীরা এই কাজ করে ভালোই আয় করতে পারবেন।

    কীভাবে খুলতে পারে আয়ের পথ?

    এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, রাসায়নিক এবং কীটনাশক সার প্রয়োগ সহ অন্যান্য যে বাহ্যিক খরচ রয়েছে, তা সব মিলিয়ে এক একটি ফুলে (Gerbera Flower) এক থেকে দেড় টাকা করে পড়ে। প্রতিদিন গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ ফুল তোলা যায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিয়ের মরশুম থাকলে এক একটা ফুল পাঁচ থেকে ছয় টাকা করে বিক্রি করা যায়। যার মাসিক আয় প্রায় লক্ষ টাকা ছাড়াতে পারে বলে দাবি তাঁর। সেখানে যদি একটু বেশি চাহিদা থাকে এবং ফুলের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা থাকে, তাহলেও মাসে আয় হতে পারে প্রায় লক্ষ টাকা। যদিও তিনি বলেন, কোনও কোনও সময় অনুষ্ঠান কিংবা মরশুম না থাকলে ফুলের দাম একটু কমে যায়। তখন লাভের অংশটাও কমে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় (Egra) তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃতদেহ ছিটকে গিয়ে পড়েছিল পুকুর ও রাস্তায়। এলাকাবাসীর দাবি, বাজি কারখানার আড়ালে তৈরি হত বোমা। তৃণমূলের ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান যে বাজি কারখানাটি অবৈধভাবে চালাচ্ছিলেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার। বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। অমিত শাহকে এ ব্যাপারে চিঠিও দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পরেই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এনআইএ তদন্ত করলে আপত্তি নেই।

    দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ-বাণ…

    এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ-বাণ হেনেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন, এটা নিয়ে কেউ না কেউ কোর্টে যাবে। কোর্ট সঙ্গে সঙ্গে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেবেই। তাই কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই মেনে নিয়েছেন, এনআইএ হলে আপত্তি নেই। তিনি বলেন, যদি উনি সত্যিই চান, তাহলে নিজে থেকে এনআইএ তদন্ত চাইছেন না কেন? ওঁরই উচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখা।’’

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। আগে বিজেপির পঞ্চায়েত ছিল না। ওঁদের পঞ্চায়েত ছিল। মানুষ খেপে গিয়ে সেই পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছে। এখন সেখানে নির্দল প্রধান। এই সমাজবিরোধী ও দেশ বিরোধী কাজে পুলিশ যুক্ত। না হলে কমপ্লেন করার পরেও পুলিশ কিছু করে না কেন? তার মানে পুলিশের ওপর পলিটিক্যাল প্রেসার রয়েছে। তাই আক্রমণের শিকার পুলিশ।’’

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিল রাজ্য, কী বলল?

    মেদিনীপুরের সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ আগেও হয়েছে। আমি তার মধ্যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি। কয়েক বছর আগে পিংলায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবারও তাই হয়েছে। ওখানে প্রায় ২২ জন কাজ করছিল। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কজনকে পাওয়া গিয়েছে বা যায়নি, নিশ্চিত নয়।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিল রাজ্য, কী বলল?

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিল রাজ্য, কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কারণ জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শেষমেশ সেই নোটিশের জবাব দিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারকে এই মর্মে নোটিশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কারণ…

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতা বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ৫ মে মুক্তি পায় ছবিটি। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। যার জেরে মুক্তির চার দিনের মাথায় ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। অভিযোগ, দ্য কেরালা স্টোরি সাম্প্রদায়িকতাকে উসকানি দিচ্ছে। অশান্তি এড়াতে ছবিটিকে (The Kerala Story) এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ছবির নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চান তাঁরা। মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। পশ্চিমবঙ্গে ছবিটির নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশেও এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ নয় কেন?’

    আরও পড়ুুন: কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক কেন? প্রশ্ন তোলায় ভারতের নিশানায় রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক

    তার পরেই রাজ্য সরকারকে নোটিশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এর আগেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ছবিটি (The Kerala Story) পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারের দাবি, মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্ট আবেদন করতে পারতেন, কারণ হাইকোর্টে এই সিনেমা সংক্রান্ত আরও চারটি মামলা হয়েছে। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করেন আইনজীবী আস্থা শর্মা। সেই হলফনামায় বলা হয়েছে, ওই ছবিতে এমন একাধিক দৃশ্য রয়েছে, যা ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। এদিন হলফনামায় ফের একবার গোয়েন্দা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, ৫ মে ৯০টি সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই রাজ্যের কাছে খবর আসে, অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরেই নিষিদ্ধ করা হয় ছবিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Vande Bharat Express: বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ভাড়া কত? জেনে নিন সময়সূচি

    Vande Bharat Express: বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ভাড়া কত? জেনে নিন সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী বাঙালির অতি প্রিয়। বহু বাঙালি পরিবার বছরে অন্তত একবার পুরী যাত্রা করেন। জগন্নাথ ধামের আকর্ষণে বাঙালি ছোটে বারবার। হাওড়া থেকে পুরী এবার আরও কম সময়ে যাওয়া যাবে। ১৮ মে, বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ওই দিন পুরী থেকে যাত্রা শুরু করবে এই ট্রেন। ২০ মে, শনিবার থেকে নিয়মিত চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে পুরী ৫০২ কিমি পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। 

    ট্রেনের খুঁটিনাটি

    ভারতীয় রেল জানিয়েছে, হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়বে ২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। পুরী পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পুরী থেকে ওই দিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বন্দে ভারত। হাওড়া পৌছবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। ১৬ কামরার এই ট্রেন হাওড়া থেকে পুরী যাওয়ার পথে থামবে খড়্গপুর, বালেশ্বর, ভদ্রক, জাজপুর, কেওনঝড়, কটক, ভুবনেশ্বর, খুরদা রোড স্টেশনে। বুধবার থেকে এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। শুধু বৃহস্পতিবার চলবে না এই ট্রেন। যদিও উদ্বোধনের পরেই রেলের তরফে অফিসিয়ালি বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। আইআরসিটিসি-র অ্যাপে এখনও ভাড়া নিয়ে কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি। জল্পনা এই বন্দে ভারতের ভাড়াও হতে চলেছে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতের মতোই। যতদূর জানা গেছে, ভাড়া হবে এইরকম-চেয়ার কার ১২৬৫ টাকা, এগজিকিউটিভ ২৪২০ টাকা। এই ট্রেনে ৯২৬টি চেয়ার কার আসন এবং ৮৬টি এগজিকিউটিভ আসন থাকবে।

    আরও পড়ুন: ‘ওয়াই’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরি! সৌরভের নিরাপত্তা বাড়াল নবান্ন, কেন?

    রেল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটির উদ্বোধন করবেন। এটি ওড়িশা রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) হতে চলেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটি হতে চলেছে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওড়িশার পাশাপাশি কলকাতার রেলপ্রেমীদের কাছেও এটি যে অন্যতম সেরা আকর্ষণ হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকছে হাওড়ার উপরেই। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। ট্রায়াল রানের দিন হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকে ট্রেনটি ছেড়েছিল পুরীর উদ্দেশে। এবার পুরী থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ককে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা

    TMC: পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ককে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে (নির্বাহী সহায়ক) মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধানের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা-২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে। সুবিচারের আশায় মঙ্গলবার নির্বাহী সহায়করা একত্রিত হয়ে নিরাপত্তার দাবিতে বিডিও র দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কয়েকজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা চলছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ১৩ মে টাকা জমা নেওয়ার শেষদিন ছিল। আর সেই দিন প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই বিডিওর নির্দেশেই টাকা জমা নিতে গিয়েছিলেন এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট জিয়ারুল রহমান। এতেই প্রধানের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই নিয়ে ১৫ মে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান অনুগামীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জিয়ারুলসাহেব। এমনকী সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিডিওর উদ্যোগে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পুলিশ পর্যন্ত পাঠাতে হয়। সেই রাগেই জিয়ারুলসাহেব বাড়ি ফেরার সময় বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা গ্রামে তাঁকে একা পেয়ে প্রধান অনুগামী তথা ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই তাঁর ওপর চড়াও হয়। প্রকাশ্যেই তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, বিডিওর নির্দেশে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলীদের এই হামলার প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে জিয়ারুলের পাশে দাঁড়ান ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কেরা। মঙ্গলবার বিকেলে বিডিওর কাছে গিয়ে সকলেই স্মারকলিপি জমা দেন।

    কী বললেন আক্রান্ত পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক?

    নির্বাহী সহায়ক জিয়ারুল রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই আমি কাজ করেছি। সেটা হামলাকারীদের পছন্দ হয়নি। তাই কাজ শেষে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে মারধর করেছে ওরা। তৃণমূল (TMC) নেতা তাপস দোলুইয়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। আমরা বিডিও-র কাছে সমস্ত বিষয়টি লিখিতভাবে জমা দিয়েছি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধান?

    চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চাশ সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, হামলা চালানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রধানই চরম দুর্নীতিগ্রস্ত। হামলার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই বিষয়ে বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা কোটাল বলেন, নির্বাহী সহায়ক বিডিও-র নির্দেশে টেন্ডার প্রক্রিয়া জমা নিয়ে ভুল করেছে। তবে, মারধরের ঘটনা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিডিও?

    চন্দ্রকোণা- ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, টেন্ডারের টাকা জমা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এদিন নির্বাহী সহায়করা ডেপুটেশন দিয়েছেন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G-20: কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক কেন? প্রশ্ন তোলায় ভারতের নিশানায় রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক  

    G-20: কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক কেন? প্রশ্ন তোলায় ভারতের নিশানায় রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর জি২০ (G20) বৈঠকের আয়োজক দেশ ভারত। গত সেপ্টেম্বরে এই দায়িত্ব পাওয়ার পরে পরেই ভারতের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, দেশের নানা প্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে জি২০-র বৈঠক হবে জম্মু-কাশ্মীরেও। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) যে ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই গোটা দেশের সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরেও আয়োজন করা হয়েছে জি২০ বৈঠকের। চিন এবং পাকিস্তানের পর এবার এনিয়ে সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রসংঘের সংখ্যালঘু বিষয়ক বিভাগের বিশেষ প্রতিবেদক কানাডার ফার্নান্ড ডি ভারেনেস। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভারত সরকার যা করে চলেছে, তা আন্তর্জাতিক অনুমোদনের জন্যই সেখানে জি২০ বৈঠক করতে চাইছে।

    জি২০ (G20) নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য…

    কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই বিশেষ প্রতিবেদক। তার পরেই জেনেভার ভারতীয় মিশনের তরফে তাঁর ওই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সংখ্যালঘু বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন। ২২-২৪ মে শ্রীনগরে হওয়ার কথা জি২০-র (G20) পর্যটন সংক্রান্ত কার্যকরী গোষ্ঠীর বৈঠক। তার প্রস্তুতিও শেষের পথে। বৈঠক চলাকালীন ভূস্বর্গে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বা নিরাপত্তা লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় চলছে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান। ২৭০ কিলোমিটার ব্যাপী জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখেছে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: ‘চাকরিহারাদের তো নেকড়ের সামনে ফেলে দেওয়া হয়নি’! বললেন বিচারপতি তালুকদার

    জম্মুর সেনার হোয়াইট নাইট কর্পসের তরফে এক ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যৌথভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। জি২০ বৈঠকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক বলেন, “সমগ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। শ্রীনগর ও গুলমার্গের চারপাশে বিশেষভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারণ প্রতিনিধিরা এই জায়গাগুলি (G20) দিয়েই যাবেন।“ যৌথবাহিনীর পাশাপাশি তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ-ও। জাতীয় তদন্তকারী এই সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করতে কাশ্মীর উপত্যকায় যেসব সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠন ও তাদের শাখা সংগঠন রয়েছে, তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।“ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চে কাশ্মীরে হয়েছিল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। তাতে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share