Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Mallikarjun Kharge: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    Mallikarjun Kharge: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে লোকসভার সাংসদ পদ খুইয়েছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী। এবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করলেন পাঞ্জাবের সাংরুরের এক ব্যক্তি। সোমবার খাড়্গেকে তলব করেছে সাংরুরের আদালত। কর্নাটকে ক্ষমতায় এলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা হবে, নির্বাচনী ইস্তেহারে এমনটাই জানিয়েছিল কংগ্রেস। শনিবার বের হয় কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ২২৪ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩। ১৩৫টি আসনে জিতে ওই রাজ্যের রাশ হাতে নিতে চলেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির প্রেসিডেন্টকেই তলব করল আদালত।

    মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    কর্নাটকে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে বলা হয়েছিল, ধর্ম, জাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস (Mallikarjun Kharge)। ইস্তেহারে থাকা প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, কংগ্রেস জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    হিন্দু সুরক্ষা পরিষদ বজরং দল হিন্দের প্রতিষ্ঠাতা হিতেশ ভরদ্বাজের দাবি, বজরং দলকে কংগ্রেস দেশবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছে এবং কর্নাটকে ক্ষমতায় আসার পরে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। তিনি বলেন, ইস্তেহারের ১০ নম্বর পৃষ্ঠায় কংগ্রেস বজরং দলকে দেশবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছে এবং নির্বাচনে জিতলে তাকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দল হিন্দু চরমপন্থী সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। ভরদ্বাজের পাশাপাশি কংগ্রেসকে (Mallikarjun Kharge) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্দে। তিনি বলেন, হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে যদি বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। তিনি জানান, বজরং দল নিষিদ্ধ হওয়ার ভয় পায় না। প্রসঙ্গত, কর্নাটকে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কর্নাটকে দলের প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস আগে রামনামের ওপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা জয় বজরংবলী স্লোগানদাতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth and Death Registration: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Birth and Death Registration: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার উসকে উঠল এনআরসি (NRC) চর্চা। কারণ সম্প্রতি রাজ্যকে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এতদিন নিজের মতো করে এই তথ্য সংরক্ষণ করত রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই পরামর্শের জেরে ফের একবার সংঘাত হতে পারে কেন্দ্র-রাজ্য। দিন কয়েক আগে মালদা-মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এনআরসি নিয়ে আবার চিঠি পাঠিয়েছে। নির্বাচন এলেই মনে পড়ে। আমি কথা দিচ্ছি, করব না এবং করতেও দেব না। তিনি বলেন, ওই চিঠিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, যাদের সব কিছু পাওয়া যাবে না, তাদের বিদেশি ঘোষণা করবে। যাতে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া যায়। তাই ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। আধার কার্ডগুলি আবার করতে বলছে ১০ বছর পরে। সেটা শুরু হলে করে নেবেন।

    জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করতে পোর্টাল…

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই নরেন্দ্র মোদির সরকার জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্ত (Birth and Death Registration) করার জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যুক্ত হয়েছে। বাংলা সেখানে নিজেদের যুক্ত করেনি। তাই সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। সূত্রের খবর, এবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতেই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চিঠিতে এই অনলাইন পোর্টালে জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্ত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতির ব্যবহারে রাজ্যগুলিকে কোনও খরচ দিতে হয় না।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    প্রবীণ কর্তাদের একাংশের মতে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ভুয়ো উপভোক্তার নাম যাতে নথিবদ্ধ হয়ে না যায়, তাই অদূর ভবিষ্যতে ওই পোর্টালের পূর্ণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারে কেন্দ্র। তাই রাজ্য যদি এখনই না ওই পোর্টালে যুক্ত হয়, তাহলে সৃষ্টি হতে পারে নানা জটিলতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, আধার-নির্ভর জন্ম এবং মৃত্যু নথিবদ্ধ করার পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব অনেক আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছিল কেন্দ্র। তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি রাজ্য সরকার। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অভিন্ন পোর্টাল ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্যকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারীদের পর এবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদেরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিল করার অনুমতি দিলেন। সোমবার গ্ৰুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হরিশ মুখার্জি রোডে হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, শহিদ মিনার থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে কালীঘাট পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে পারবেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। হ্যারিকেন হাতে মিছিল প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার তাঁদের হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। তাই সেই হ্যারিকেন নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় মিছিল করতে চান তাঁরা।

    শর্ত মেনে মিছিল

    গত ৬ মে আদালতের (Calcutta High Court) অনুমতি নিয়ে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট দিয়ে ডিএ-র দাবিতে মিছিল করেন সরকারি কর্মীরা। মিছিলকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই মিছিল শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি লাগোয়া বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা লাগু করে দেয় প্রশাসন। এর পর ওই একই রাস্তায় মিছিল করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, শহিদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। 

    আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, আদালত নির্ধারিত রুটে, আগামী ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হ্যারিকেন নিয়ে প্রায় ৬০০ জন চাকরিপ্রার্থী মিছিল করবেন। তবে এই মিছিলের জন্য কিছু শর্ত নির্দিষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি মান্থা জানান, “হরিশ মুখার্জি রোড একমুখী হওয়ায় কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করতে ওই রাস্তাই সুবিধার হবে। তবে মিছিলকারীদের ওই রাস্তার ৮০ শতাংশ ছেড়ে মিছিল নিয়ে যেতে হবে। দু’টি লাইনে মিছিল যাবে।” হাইকোর্টের নির্দেশ, মিছিল থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। মিছিলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমালোচকরা বলছেন, ‘‘যুবরাজের নবজোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দলীয় শৃঙ্খলা!’’ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি, ব্যালট ছিনতাই তো চলছেই। এবার নতুন নাটক ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়। তা নিয়ে আবার ঘটা করে ট্যুইটও করতে দেখা গেছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার পেজে। নিজেদের দলের কর্মীকেই এদিন সঙ্ঘের (RSS) গণবেশে সাজিয়ে তৃণমূল হাজির করে অভিষেকের সামনে।

    ঘটনা…

    রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় হঠাৎই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির কাছে চলে যায় এক যুবক। পরনে তার সঙ্ঘের (RSS) গণবেশ। ফুল হাতা সাদা জামা, মাথায় কালো টুপি। নিজেকে স্বয়ংসেবক পরিচয় দিয়ে সে বলতে থাকে, ‘‘আমাদের এলাকার পথে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে জানিয়েছি কাজ হয়নি। বিজেপি নেতারাও বলেছেন, তারপরও সমাধান হয়নি সমস্যার। এ সমস্যা ৫-৬ বছর ধরে চলে আসছে।’’ তৃণমূলের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে সমাধানের আশ্বাস দিতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    বিশেষজ্ঞ মহল এনিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন তুলছে। সারাবছর সঙ্ঘের (RSS) নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম বা অনুষ্ঠান ছাড়া গণবেশ পরার রীতি যে নেই, তা প্রত্যেক স্বয়ংসেবক (RSS) মাত্রই জানেন। তাহলে ওই যুবক ইউনিফর্ম পরে কীভাবে গেল অভিষেকের কাছে? কোনও বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও সঙ্ঘের গণবেশ পরার নিয়ম নেই। রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে হাজির হন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময়ও স্বয়ংসেবকদের গণবেশ পরতে দেখা যায়না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) গরিমাকে খাটো করতেই এই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল।

    যুবকের পরিচয়…

    সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জোতশ্রী গ্রামে। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত সে। সঙ্ঘের সঙ্গে কস্মিনকালেও তার যোগাযোগ ছিলনা বলেই জানা যাচ্ছে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, বড়োই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল। নাটকের মূল চরিত্র উজ্জ্বলের মানসিক বিকৃতিও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই সঠিক মজুরি, নেই কোনও সরকারি পদক্ষেপ। শান্তিপুরের (Shantipur) ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প এখন ধ্বংসের পথে। এভাবে চলতে থাকলে কোনও তাঁতিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনই আক্ষেপ তাঁতশিল্পীদের একাংশের।

    তাঁত শিল্পের সমস্যা

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) এলাকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ভরসা ছিল তাঁতশিল্প। মূলত তাঁতের ওপর ভরসা করে চলত সংসার। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ফলে আজ হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীই তাঁত বুনছেন। তাও কদিন আর তাঁত বুনে সংসার চালাবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না শিল্পীরা। তাঁতশিল্পীদের বক্তব্য, নতুন করে কেউ আর এই শিল্পের দিকে এগিয়ে আসছেন না। স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা এর জন্য মূলত সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।

    স্থানীয় তাঁতশিল্পীর অভিযোগ

    শান্তিপুরের (Shantipur) তাঁতশিল্পী অশোক প্রামাণিক প্রায় ৩৫ বছর ধরে তাঁত বুনছেন। তিনি বলেন, আগের মতো তাঁতশিল্পে আর সেভাবে মজুরি নেই। একশ্রেণির মহাজন তাঁদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য তাঁতিদের মজুরি কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বাইরের রাজ্য থেকে যে সমস্ত মেশিনে তৈরি কাপড় আসছে, তাতে হস্তচালিত তাঁত-কাপড়ের চাহিদা অনেকটাই কমেছে।

    সরকারের উদাসীনতা ও স্বজনপোষণ

    তাঁতশিল্পকে (Shantipur) বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার উদাসীন। যথার্থ পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য তাঁতশিল্পের আরও সর্বনাশ এনে দিয়েছে। অভিযোগ করেন স্থানীয় তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, যারা কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরকেই বেছে বেছে শিল্পীর ভাতা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকার স্পষ্ট স্বজনপোষণ করছে। শিল্পীদের দাবি, এখন তাঁত বুনে দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয় হয়। সেই কারণেই সংসার চালাতে কার্যত নাজেহাল হচ্ছেন তাঁতশিল্পীরা। শিল্পীরা স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা কখনও তাঁতশিল্পী হিসাবে সেভাবে কোনও ভাতাই পাইনি। আরেক বর্ষীয়ান তাঁতশিল্পী শ্যামল বসাক বলেন, মূলত মহাজনদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে দিন দিন তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের নেই কোনও পদক্ষেপ। কয়েক দশক আগে যাওবা তাঁতশিল্পীদের জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ নিত সরকার, এখন তাও দেখাই যায় না। পদক্ষেপ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এত কম রোজগার করে কীভাবে সংসার চলে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    বিধায়কের আশ্বাস

    সমস্যার বিষয়ে শান্তিপুরের (Shantipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। মূলত তাঁতিরা যাতে এই শিল্পের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে পারে, সেই দিকটা নজর রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা ছিল মূলত তাঁতশিল্পকে বাঁচানো নিয়ে। যেহেতু কেন্দ্র সরকার এই তাঁতশিল্প নিয়ে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে, তাই সেদিক থেকে আমরা রাজ্যের জন্য নতুনভাবে কোনও ভাল পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পাইনি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প কি অগ্রাধিকার পাবে ? নাকি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু, তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বহু ভোটার ভোট দিতে পারলেন না। রবিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-২ ব্লকের গোতান এলাকার মানুষ। এর আগে এই জেলার জামালপুরেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মন্তেশ্বর ব্লকেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এবার রায়না-২ ব্লকে পুলিশকে দিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে রায়না-২ ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্লকের গোতান সহ একাধিক অঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে আসেন। অভিযোগ, যারা প্রকৃত ভোটার, যাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত আছে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। পুলিশ দিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন বেআইনিভাবে প্রকৃত ভোটারদের জায়গায় ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আঁচ করে বঞ্চিতরা যাতে ফোনে ভোট দিতে পারেন তারজন্য একটি নম্বর দিয়েছেন অভিষেক। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো আমরা প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্তু, আমরা ভোট দিতে পারিনি। তৃণমূলের পদাধিকারীদের নির্দেশে পুলিশ আমাদের ভোট দিতে বাধা দেয়। সাহেব আলি খান নামে এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যই প্রতিটি বুথ থেকে দেড়শো জন করে কর্মী এখানে এসেছিল। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে যোগাযোগ করে এখন ভোট দেব। তবে, কর্মীরা এসে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসিত মাল বলেন, দলের নির্দেশ মত এবং দলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। পুলিশ কী বাধা দিয়েছে তা জানা নেই। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক সৈয়দ কলিমুদ্দিন বলেন, সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কে কী বলল তা আমাদের জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangarampur: ট্যাপকলের কাদামাখা জলেই স্নান, বাসনমাজা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে আদিবাসী গ্রামে

    Gangarampur: ট্যাপকলের কাদামাখা জলেই স্নান, বাসনমাজা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে আদিবাসী গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী গ্রামে জলের জন্য হাহাকার। এ দৃশ্য গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) রামচণ্ডীপুরের। ফুটো পাইপ থেকে কাদাগোলা জল বেরচ্ছে। সেই জল সংগ্রহের জন্যও হুড়োহুড়ি গ্রামের মা-কাকিমাদের। সঙ্গে রয়েছে খুদেরাও। তবে এই জল পান করেন না অনেকেই। গেরস্থালির কাজে ব্যবহার করে থাকেন। পানীয় জলের ট্যাপকলের পাইপের ফুটো দিয়ে নোংরা, কাদা মিশছে। তবে বাধ্য হয়ে এই অস্বাস্থ্যকর জল পান করেই অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তীব্র সঙ্কটে দমদমা পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুরের ৬০-৭০টি আদিবাসী পরিবারের দিকে নজর নেই কোনও কর্তার।

    মূল সমস্যা কী?

    দীর্ঘদিন ধরে রামচণ্ডীপুর এলাকায় (Gangarampur) চার-চারটি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। টাইমকল রয়েছে। তবে সেই কলের পাইপ ফুটো হয়ে গিয়েছে। ফলে ফুটো পাইপ দিয়ে নোংরা ও মাটি ঢুকে কলের জলে মিশছে। অথচ অপরিশ্রুত ওই জল দিয়েই দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। নোংরা জল পান করার ফলে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। এমন অবস্থায় প্রশাসনের কাছে পানীয় জলের সঙ্কট দূর করতে সরকারি নলকূপ সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কালদিঘি রামচন্দ্রপুরের একাংশে জলকষ্ট এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, স্থানীয় বাসিন্দারা টাইমকলের পাইপের ফুটো অংশ থেকে নির্গত হওয়া কাদামাখা জলই নিরুপায় হয়ে সংগ্রহ করছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, টাইমকলে প্রতিদিন ঠিকমতো জল আসে না। যদিও বা জল পাওয়া যায়, তাও এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পর্যাপ্ত নয়। তীব্র গরমের মধ্যে জল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ছে। এই কাদা জলে চলছে স্নান করা, বাসন মাজার মতো দৈনন্দিন কাজকর্ম। তাই সঙ্কট বেশ তীব্র এলাকায়।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    স্থানীয় এক গৃহবধূর বক্তব্য, রামচন্দ্রপুর এলাকায় (Gangarampur) চারটি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসন, গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানালেও নলকূপ সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। টাইমকলের উপর নির্ভর করেই আমাদের চলতে হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও নিয়মিত জল আসে না। চরম দুর্বিসহ অবস্থায় দিন কাটছে আমাদের। আমরা এই পানীয় জলের সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। স্থানীয় গৃহবধূ পূর্ণিমা দেবনাথের বক্তব্য, ‘নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ রয়েছে। আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষের নলকূপ বসানোর মতো সামর্থ্য নেই। এলাকা থেকে বহু দূরে টাইমকল অবস্থিত হওয়ায় জল আনতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো জল পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে ট্যাপকলের কাদামাখা জল আমাদের সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই কাদামাখা জলে স্নান, বাসন মাজা সহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ করছি। আশপাশে কোনও জলাশয় না থাকায় সঙ্কট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় মানুষ বলেন, ভোটের সময় সকলে আসেন। তারপর আর সঙ্কটের সময় কাউকে দেখা যায় না।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এবিষয়ে গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) বিডিও দাওয়া শেরপা জানান, ভূগর্ভস্থ জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা হচ্ছে। তবে সরকারি নলকূপ সংস্কারের জন্য লোক যাচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত ওই এলাকায় নলকূপ সংস্কার করে সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রশাসনের আশ্বাস মিললেও কবে সমস্যার সমাধান হবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • HS Result 2023: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ আগামী সপ্তাহে! দিন ঘোষণা করল সংসদ

    HS Result 2023: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ আগামী সপ্তাহে! দিন ঘোষণা করল সংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে আগামী সপ্তাহে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ট্যুইট করে জানান আগামী ২৪ মে, বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত (HS Result Date) হবে। সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে ওই দিন বেলা ১২টায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল (HS Result 2023) ঘোষণা করবে সংসদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে ১৯ মে। তার পাঁচ দিন পরেই প্রকাশ করা হবে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলও।

    কীভাবে জানা যাবে ফল?

    সোমবার সংসদের তরফে জানানো হয়, আগামী ২৪ মে বেলা বারোটা নাগাদ সংসদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। ৩১ মে স্কুল থেকে মার্কশিট পাবে তারা। সংসদ আগেই জানিয়েছিল, এবার উচ্চমাধ্যমিক (HS Result 2023) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কম। যার ফলে অন্যবারের তুলনায় এবার খাতা দেখতেও কম সময় লাগছে। এবার কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে কলেজে ভর্তি হবে বলে উচ্চ শিক্ষা দফতর জানিয়েছে। ফলে যত তাড়াতাড়ি ফল প্রকাশ হবে ততই সুবিধা পাবে পড়ুয়ারা। গত শুক্রবার ১২ মে সিবিএসই বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তার পর ১৪ মে, রবিবার বিকেলে প্রকাশিত হয়েছে আইসিএসই-র দশম এবং আইএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলও।

    আরও পড়ুন: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়

    অনলাইনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল (WB HS Results 2022) দেখার সময় এখনও কিছু জানানো হয়নি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে। (WBCHSE Board 12th Result 2022)। প্রতিবছরই সংসদের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি SMS পরিষেবা, অনলাইন পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ফল জানা যায়। উচ্চমাধ্যমিকের ফল জানতে চোখ রাখুন wbbse.wb.gov.in এবং wbresults.nic.in ওয়েবসাইটে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গত ১৪ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। এবছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Pakistan: ব্রিজ খেলোয়াড়দের সাদরে বরণ পাকিস্তানের! সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতে আসছে পাক ফুটবল দল

    India-Pakistan: ব্রিজ খেলোয়াড়দের সাদরে বরণ পাকিস্তানের! সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতে আসছে পাক ফুটবল দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইমরান খানের গ্রেফতারি, রাজনৈতিক টালমাটাল, বেহাল অর্থনীতি-র মধ্যেও ভারতের ব্রিজ খেলোয়াড়দের সাদরে বরণ করল পাকিস্তান (India-Pakistan)। একই সঙ্গে আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতে খেলতে আসছে পাকিস্তান ফুটবল দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসতে চলেছে বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই অংশ নেবে পাকিস্তান সিনিয়র ফুটবল দল। এ কথা নিশ্চিত করা হয়েছে টুর্নামেন্টের আয়োজকদের তরফে।

    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাক দল

    ভারত এবং পাকিস্তান (India-Pakistan) এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। যার নেতিবাচক প্রভাব এসে পড়েছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও। দীর্ঘদিন ক্রিকেটে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয় না দুই দেশ। এমন আবহে দুই দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য কিছুটা হলেও সুখবর এল ফুটবল মাঠ থেকে। জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের। জুন-জুলাই মাসেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসতে চলেছে কর্নাটকে। পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে তারা এই টুর্নামেন্ট খেলতে ভারতে আসবে। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন অর্থাৎ এআইএফএফের তরফেও আশা করা হচ্ছে প্রতিবেশী দেশের সিনিয়র ফুটবল দল ভারতে খেলতে আসলে ভিসা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হবে না।

    আরও পড়ুন: আমফানের চেয়েও শক্তিশালী! সুপার সাইক্লোন মোকার প্রভাবে তছনছ মায়ানমার, বাংলাদেশ

    এআইএফএফের সেক্রেটারি সাজি প্রভাকরন জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তান থেকে ভারতে ফুটবলাররা খেলতে আসলে আমি মনে করি কোনও ধরনের কোন সমস্যা হবে না। আমি যতদূর জানি ভারতীয় ব্রিজ দল সম্প্রতি পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। তাদেরকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেও আমরা আশা করছি এখানে পাক দল খেলতে এলে কোনও সমস্যাই হবে না।’

    ব্রিজ দলকে রাজকীয় খাতির

    প্রসঙ্গত, গোটা দেশ উত্তপ্ত হয়ে থাকলেও লাহোরে থাকা ভারতীয় ব্রিজ দলকে রাজকীয় খাতির করা হয়েছে। একটি প্রতিযোগিতায় খেলতে ৩২ সদস্যের ভারতীয় দল গিয়েছিল লাহোরে। তার মধ্যে ছিলেন এইচসিএলের প্রতিষ্ঠাতা শিব নাডারের স্ত্রী কিরণ নাডার। এ ছাড়া অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাজেশ্বর তিওয়ারিও। ইমরান গ্রেফতার হওয়ার পর দেশজুড়ে হিংসা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। কিন্তু লাহোরে তাঁরা কোনও অসুবিধায় পড়েননি বলে জানিয়েছে ভারতের ব্রিজ খেলোয়াররা। ৪ মে লাহোরে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে নির্ভয়েই লাহোর ফোর্ট ঘুরে দেখেছেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। বিখ্যাত খাবার জায়গা এবং রেস্তোরাঁর স্বাদ চেখে দেখেছেন। মহারাজ রণজিৎ সিংয়ের সমাধিতে গিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share