Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলকে (IPL) ঘিরে বেটিং চালানোর দুর্গাপুরের মেনগেট অঞ্চলের নিউ স্টিল পার্ক থেকে মহম্মদ নিয়াজ খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ১১ মে ছিল আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়েলসের ম্যাচ। ম্যাচ শুরু হতেই চালু হয়ে যায় বেটিং। বেটিং অ্যাপ এর লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ হাতেনাতে ধরে নিয়াজকে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে খবর ছিল এই বেটিং চক্রের।

    ধৃত যুবকের কাছ থেকে কী কী উদ্ধার হল?

    মূলত দুটি ভাবে আইপিএলের (IPL) এই বেটিং হয়। প্রথমত, সরাসরি ম্যাচের ওপর লগ্নি করে। ম্যাচের আগেই নিজ পছন্দের নির্দিষ্ট টিমের ওপর বাজি রেখে চলে বেটিং। বেটিং এর লগ্নিমূল্য আগেই জমা করতে হয় নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে। পুরোটাই চলে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। জিতলে ততক্ষনাৎ টাকা চলে আসে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। আর দ্বিতীয়ত, যেটা হয়, সেটা একটু উঁচু লেভেলে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন মহানগরগুলিতে সাট্টার মাস্টারমাইন্ডরা তা পরিচালনা করে। সেখানে নির্দিষ্ট ওভার বা নির্দিষ্ট বল-এ কি ঘটবে তার ওপর বাজি ধরা হয়। দুর্গাপুরে কোন বেটিংচক্র চলত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে চার দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ধৃতের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, দুটি ডায়েরি ও নগদ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    কী বলল বেটিং চক্রে ধৃত যুবক?

    ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সে জানায়, ছোটকা পয়েন্ট দেখতো। কে এই ছোটকা? এক্ষেত্রে “পয়েন্ট” ই বা কী? জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই আইপিএলকে (IPL) ঘিরে দুর্গাপুরে ক্রমাগত সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেটিং চক্র। এই চক্রে দুর্গাপুরের মাস্টারমাইন্ড ছোটকা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পয়েন্ট তৈরি করে সেখানে নিজের এজেন্টকে দিয়ে এই বেটিং চক্র চালাত সে। মেনগেট , বেনাচিতি, ইস্পাত কলোনি, মায়াবাজারসহ বহু জায়গায় ছিল এই পয়েন্ট। এই সব পয়েন্টে থাকত তার নিজস্ব লোকেরা। বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই সে এই বেটিং চক্রের মাথা হয়ে ওঠে। আইপিএল (IPL) চলাকালীন প্রতিদিনই সক্রিয় হয়ে ওঠে বেটিং চক্র। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খেলা হয়। ধৃতের কাছ থেকে “ছোটকা” সহ একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, যাদের মাধ্যমে দুর্গাপুরে এই বেটিং চক্রের জাল বিছানো হয়েছিল।

    বেটিং চক্রে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    আইপিএলে (IPL) বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে শিলিগুড়িতে ফের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনার অলঙ্কারের দোকানের আড়ালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বেটিং চক্র চালাচ্ছিল ধৃত ব্যক্তি। বিশেষ সূত্রে খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে মাটিগাড়ার সিটি সেন্টার শপিংমলে ওই সোনার দোকানে বেটিং করার সময় সাদা পোশাকে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ হাজির হয়। তারপরে হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই দোকানের মালিককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুন্দরলাল দুগার। ধৃত ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরেই অনলাইনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএলের (IPL) বেটিং চক্র চালাচ্ছিল। তার কাছ থেকে ৯৮ নগদ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি এই চক্রের এজেন্ট। এর পিছনে অনেক বড় মাথা রয়েছে। তাদের সন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার শহরের হায়দরপাড়া থেকেও এক ব্যক্তিকে আইপিএলে (IPL) বেটিং চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুদিখানার দোকানের আড়ালে সে বেটিং চালাতো। তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৯০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন পেয়েছিল পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilli: মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে সরানো হল আরটিও সন্দীপ সাহাকে

    Hilli: মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে সরানো হল আরটিও সন্দীপ সাহাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিলিতে মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগে সরানো হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আরটিও সন্দীপ সাহাকে। শুক্রবার সরকারি একটি নির্দেশিকা জারি করে ওই পদে আনা হয়েছে সৌমিত্র বিশ্বাসকে।

    কি হয়েছিল ?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের আধিকারিক ছিলেন সন্দীপ সাহা। জেলার আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের ঐ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মালবোঝাই লরি থেকে তিন হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ উঠেছিল। এই বিষয়টি জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। আর এরপর এদিন তাঁর বদলির অর্ডার সামনে আসতেই বেশ শোরগোল পরে যায় জেলা ব্যাপী।

    ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ

    হিলির আন্তর্জাতিক বহিঃবাণিজ্য কেন্দ্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দু’শোরও বেশি মাল বোঝাই লরি বাংলাদেশে যায়। এই লরিগুলি থেকেই তোলাবাজি চালাবার অভিযোগ প্রায় শোনা যায়। ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, আমদানি রপ্তানি ব্যবসায় স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হবার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন লরি মালিকরা। বিগত ছয় মাস ধরে তাঁদের ব্যবসা ভালো না থাকায় চরম দূরাবস্থার মধ্যে পড়েন তাঁরা। অনেকেই ইতিমধ্যে লরি বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এই তোলাবাজি লরি চালকদের উপর যেন মরার খাঁড়ার ঘা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আরটিও। অ্যাসোসিয়েশনের আরও অভিযোগ, মালবোঝাই প্রত্যেকটি লরির ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা এবং পাথর বোঝাই লরির ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা করে তুলছিল আরটিও। যার দৌরাত্ম্যে লরির মালিকদের কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করতেন এই সরকারি আধিকারিক-এমনটাই অভিযোগ। আরটিও সন্দীপ সাহা বলেন, এমন তোলাবাজি বন্ধ না হলে আগামীতে লরির মালিকরা তাদের সমস্ত গাড়ির কাগজপত্র সরকারের কাছে তুলে দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    প্রশ্ন উঠেছিল সরকারি চেয়ারে বসে একজন আধিকারিক কি ভাবে এমন তোলাবাজি করছিলেন। যদিও ওই লিখিত অভিযোগ পাবার পরেই লরি মালিকদের কিছুটা আশ্বস্ত করেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। আর এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি একটি নির্দেশিকায় বদলে দেওয়া হয় ওই আরটিওকে। সন্দীপ সাহার পরিবর্তে দক্ষিণ দিনাজপুরের আরটিওর দায়িত্বে আনা হয়েছে সৌমিত্র বিশ্বাসকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে মেলা। আর সেই মেলার মাঠে রাখা রয়েছে দুধ সাদা এক্সইউভি-৫০০ গাড়ি (Car)। আর এই গাড়ি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সোদপুর অমরাবতী এলাকায়। এই অমরাবতীর মাঠে শুরু হয়েছে “পানিহাটি এক্সপো মেলা”। সেই মেলার মঞ্চের পিছনে ভিআইপি গেটের কাছে গত কয়েকদিন ধরে রহস্যজনকভাবে পড়ে থাকা একটি এক্সইউভি গাড়ি শুক্রবার রাতে বাজেয়াপ্ত করে খড়দহ থানার পুলিশ।

    গাড়ির (Car) ভিতর থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটির (Car) রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বাঁকুড়া আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের। নথি অনুযায়ী গাড়িটি সেলিম মিদ্যা নামে এক ব্যক্তির। গাড়িটির (Car) বয়স প্রায় ১০ বছর। কিন্তু বাঁকুড়ার গাড়ি সোদপুরে এল কী করে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িটি ওই মাঠে রাখা ছিল। ওই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬ টি মোবাইল ফোন ও টাকা গোনার মেশিন। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু প্যান কার্ড, এটিএম কার্ড, প্রেস কার্ড, নথিপত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। শনিবার পর্যন্ত গাড়ির মালিকের হদিশ মেলেনি।

    কী বললেন মেলা কমিটির উদ্যোক্তারা?

    গাড়িটির (Car) কোনও মালিকানা না পাওয়ায় মেলা উদ্যোক্তারা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেন। পরে, বিষয়টি নজরে আসে খড়দহ থানার পুলিশের। এরপরই পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। মেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক তথা পূর্ব পানিহাটি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোময় রায় বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে গাড়িটি মাঠে পড়েছিল, আমরা পাড়াতে খোঁজখবর নিয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ির মালিকানার বিষয় কেউ কিছু বলতে পারেনি। এরপর পুলিশ মেলার মাঠ খতিয়ে দেখতে আসলে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। গাড়ির (Car) ভিতরে কী ছিল তা আমরা জানতাম না। কারণ গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে লক করা ছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির যুব নেতা জয় সাহা বলেন, একটি গাড়ি (Car) থেকে যদি টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার হতে পারে, তাহলে কেন ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হবে না। বিষয়টি প্রশাসনের খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা উচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরে (Durgapur) রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ডিপিএলের আবাসন টাকার বিনিময়ে বেআইনীভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। লক্ষণ লামা, বিশ্বজিৎ ওরফে বিশু ও বাবু, এই অভিযুক্তরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে স্বীকার করেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার। উচ্ছেদ অভিযান চলবে জানালো ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। এইদিকে টাকা দিয়েও ডিপিএল আবাসন থেকে উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে বিপাকে দুর্গাপুরের বেশ কিছু পরিবার। শাসক দলকে তুলোধোনা বিরোধীদের।

    অভিযোগ কি?

    উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে এখন রাতের ঘুম উড়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) বেশ কিছু মানুষের। শহর দুর্গাপুরের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই অসহায় মানুষজন স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে রাজ্য সরকারের সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের (ডিপিএল) টাউনশিপে এসেছিলেন। মূল অভিযোগ হল স্থানীয় তিন প্রভাবশালী তৃণমূলনেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কিছু অসহায় মানুষকে নিয়ম ভেঙ্গে সরকারি আবাসনে ঢুকিয়ে দেয়। আর এরপর ঐ মানুষগুলি ডিপিএলের নোটিশ পেয়ে বুঝতে পারেন সবটাই জালিয়াতি হয়েছে। ভুক্তভুগী বাসন্তী মল্লিক বলেন, আমরা দিন এনে দিন খেয়ে জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছি তৃণমূলের নেতা বিশুকে। আরেক ভুক্তভুগি পুণম বলেন, টাকা নিয়ে তৃণমূল দলের নেতারা ডিপিএল সমবায় সমিতির তালা ভেঙ্গে  সি-টাইপ ও ই-টাইপ আবাসনে থাকতে দিয়েছিল আমাদের। আমরা বর্তমানে তিনমাস ধরে এখানে বসবাস করছি। এখন ইতিমধ্যে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ আবাসন গুলি ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছেন আমাদেরকে, তিন দিনের মধ্যে আবাসন ফাঁকা না করলে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন জানি না কি করব আমরা এখন।  

    দুর্নীতির দায়ভার কার?

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই দায়ভার লক্ষণ লামা, জনৈক বিশু ও বাবুর। এরা তিনজনেই তৃণমূল করেন বলে পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ তৃণমূল করার পরিচয় দিয়ে আবাসন পাইয়ে দেওয়ার জন্য অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। কিন্তু নেতাদের কাছে এখন ডিপিএলের (Durgapur) উচ্ছেদ নোটিস দেখাতে গেলে পরিবারের মানুষের কাছে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। অভিযুক্তদের মধ্যে লক্ষণ লামাকে সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার সুভাষ মজুমদার। কাউন্সিলার আরও বলেন তৃণমূলের মিছিল মিটিং-এ থাকেন লক্ষণ লামা। আর তাই দলের সক্রিয় কর্মীদেরকে বাঁচাতে আবাসন বিক্রির অবৈধ লেনদেনে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের দিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলার।

    ডিপিএল এবং বিরোধীদের বক্তব্য

    উচ্ছেদের নোটিশের বিষয়ে ডিপিএলের পক্ষে জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, কে কাকে টাকা দিয়ে ডিপিএলের আবাসনে ঢুকেছে এটা ডিপিএলের দেখার বিষয় নয়। অবৈধ দখল কেউ করে থাকলে উচ্ছেদ করা হবেই। আবার বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলার নেতারা পুলিশকে নিয়ে কোয়াটার ভাড়া দিচ্ছে, পুলিশ টাকা নিচ্ছে, অবৈধ ভাবে জমি দখল করছে। ডিপিএল, ডিভিসি, এমএমসি, ডিএসপি সর্বত্র প্রকল্পে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছে তৃণমূলের নেতারা। যারা টাকা দিয়েছেন তাঁদের বলবো তৃণমূলের যে নেতাদের টাকা দিয়েছেন তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করুন আমরা সঙ্গে থাকব। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) পুরভোটের আগে সরকারি সংস্থার আবাসন কেনা বেচার অবৈধ লেনদেনের ঘটনার অভিযোগে অস্বস্থি ও বিড়ম্বনা দুই বেড়েছে শাসক শিবিরের। এখন যারা টাকা দিয়েছেন তাঁরা যাবেন কোথায় সেটাই বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কাটমানির টাকা গিয়েছে কালীঘাটে, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কাটমানির টাকা গিয়েছে কালীঘাটে, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই শিক্ষক নিয়োগে কাটমানি নিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। আর সেই কাটমানির বড় অংশের টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল কালীঘাটে। শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে এসে এমনটাই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, একটি চাকরির জন্য তৃণমূল নেতারা যদি কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে ৩৬ হাজার জনের কাছ থেকে কয়েক শো কোটি টাকা তৃণমূল নেতারা তুলেছিলেন। ২০-২৫ শতাংশ টাকা নিজেদের কাছে রেখে ৭৫ শতাংশ টাকা তাঁরা কালীঘাটে পাঠিয়েছিলেন। অঙ্কের হিসেবে সেই সংখ্যাটা প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা। রাজ্য সরকার ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। সেটা আদালতের বিষয়। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের প্রশ্ন, এখন এই নিয়োগের পিছনে যে কোটি কোটি টাকার কাটমানির খেলা হয়েছে, কোন নেতার কাছে কত টাকা পাঠানো হয়েছে, তার হিসেব রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকে রাজ্যবাসীর কাছে দিতে হবে। কারণ, এসব নিয়ে রাজ্যজুড়ে যে অরাজকতা তৈরি হবে তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

    মুখ্যমন্ত্রীর ডিপ্লোমা ডাক্তার নিয়োগের উগ্যোগ নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মানুষ মারার জন্য সিভিক ডাক্তার তৈরির চেষ্টা চলছে, তাহলে সিভিক মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া হোক। আমরা চাইছি এবারে কয়েকটা সিভিক মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া হোক। এক একটা জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলাবে। ছয় মাস করে থাকবে। উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের চাঁদগাও গ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতেও যান। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।

    কী বললেন মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা?

    পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমরা আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশের ভয়ে বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে যে পুলিশ অফিসার গুলি করে খুন করেছে তার আমরা ফাঁসি চাই। আর ছেলের মৃত্যুর ঘটনার আমরা সিআইডি নয়, সিবিআই তদন্ত চাই।

    প্রসঙ্গত, গত ২১ শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকার পুকুরপাড় থেকে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি থেকে শুরু করে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনার পর কালিয়াগঞ্জ থানার একাংশে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকেও। থানায় হামলা ও পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনায় গত ২৭ শে এপ্রিল ভোর রাতে চাঁদগাও গ্রামে তদন্তে যায় পুলিশ। ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযানের সময় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে এক যুবককে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health Tips: ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে শরীর ক্লান্ত! এনার্জি পেতে কী করবেন? কী খাবেন?

    Health Tips: ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে শরীর ক্লান্ত! এনার্জি পেতে কী করবেন? কী খাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের দিনে ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে শরীর দ্রুত এনার্জি হারিয়ে ফেলে। বাসে ট্রেনে ঝুলে, অফিস থেকে ফিরে, বাড়ি এসে বোঝা যায় পা যেন আর চলছে না। ক্লান্তির গ্রাসে চলে যায় শরীর। আজকে আমরা আলোচনা করব ক্লান্তি দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এবং খাবার (Health Tips) নিয়ে।   

    ক্লান্তি দূর কীভাবে করবেন?

    ১) ব্রেকফাস্ট এড়ানো যাবেনা

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রেকফাস্ট না করলে শরীর দ্রুত এনার্জি (Health Tips) হারিয়ে ফেলে। তবে, ব্রেকফাস্টে যেন না থাকে ফাস্টফুড। তার পরিবর্তে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার।

    ২) প্রচুর পরিমাণে জল খান

    প্রচুর জল খান-শরীর সুস্থ রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। ডিহাইড্রেশন শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাই সারাদিন জল খান, নিজেকে সতেজ রাখুন।

    ৩) ক্লান্তি দূর করার ঘরোয়া টোটকা (Health Tips)

    গরম ঠান্ডা জল মিশিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। গরম জলে মিশিয়ে দিতে পারেন অল্প নুন। এতে শরীরের সমস্ত ক্লান্তি এক নিমেষে দূর হয়ে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে, ঘুমও ভালো হয়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪) স্বস্তির ঘুম খুব প্রয়োজন (Health Tips)

    চিকিৎসকরা বলছেন, সারাদিন কাজের পর রাতে স্বস্তির ঘুম প্রয়োজন। বেশি রাত জাগলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। ফলে অবধারিত ভাবে ঘাড়ে, গা, হাত-পায়ে ব্যাথা, ক্লান্তির সমস্যা বাড়তে থাকে। 

    ৫) ওজন কমান

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ ক্লান্তি, অবসাদ, স্ট্রেস। এর থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে গুরুতর সমস্যা। তাই ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চা করে ওজন কমাতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    ক্লান্তি দূর করতে ঘরে আনুন এই সুপারফুডগুলি

    ১. ডিম খেলেই কমবে ক্লান্তি

    কম পয়সায় পুষ্টিকর খাবার হল ডিম। প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ তে ভরপুর থাকে ডিম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্ত উপাদানগুলি একত্রে মিলে ক্লান্তি দূর করে।

    ২. কলাতেই শক্তি 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা খেলে দ্রুত ক্লান্তি দূর হয় (Health Tips)। এতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। এই সমস্ত উপাদানগুলি একত্রে মিলে শরীরকে শক্তি প্রদান করে। ফলে দ্রুত কেটে যায় ক্লান্তি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলা খাওয়ার পর চটজলদি শরীর এনার্জি পায়।

    ৩) আমন্ড

    আমন্ড হল এক ধরনের বাদাম। এতে রয়েছে ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন। এছাড়া আমন্ডে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন যা শারীরিক ক্লান্তি (Health Tips) দূর করে।

    ৪) তরমুজ

    ক্লান্তি দূর করতে গরমের দিনে তরমুজের বিকল্প নেই। এই ফলে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে জল যা তীব্র তাপদাহে ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের ঘাটতি দূর করে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৫) পালং শাক

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম এবং  আয়রন। এই উপাদানগুলি ক্লান্তি দূর করে (Health Tips) শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য় করে। 

     ৬) বাদাম

    বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। শরীরে চটজলদি এনার্জি ফিরিয়ে আনতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার। তাই ক্লান্তি বোধ করলে একমুঠো বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সিবিআইয়ের পর পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি

    Recruitment Scam: সিবিআইয়ের পর পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) তদন্ত শুরু করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের (Ayan Shil) সংস্থা এবিএস ইনফোজনের নামে ইসিআইআর দায়ের করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪০ কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন শীল। অয়নকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ষাটটির বেশি পুরসভায় প্রায় ৬ হাজার জনের বেআইনি নিয়োগের মধ্যে ৮০-৯০%-ই হয়েছে রেকমেন্ডেশন লিস্ট অনুসারে। বাকি ১০ পার্সেন্ট অয়ন শীল নিজের কোটায় নিয়োগ করেছিলেন।

    পুর কর্মীরাই অয়নের এজেন্ট

    ইডি সূত্রের খবর, পুরসভায় নিয়োগের (Recruitment Scam) জন্য বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা প্রভাবশালী ও নেতাদের কাছে পাঠাতেন অয়ন। পুরসভা কর্মীরাই এজেন্ট হয়ে অয়ন শীলকে লিস্ট পাঠাত বলে অভিযোগ। ইডি-র দাবি, বিপুল টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে পুরসভার পিওন, ক্লার্ক, ইঞ্জিনিয়ার, মজদুর সহ বিভিন্ন পোস্টের চাকরি। অযোগ্যপ্রার্থীরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছে। এমনকী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলের সাংকেতিক কোড রহস্যের সন্ধানও পায় ইডি। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধারের কথা জানায় ইডি। অয়নের অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যায় ইডির তরফে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় নিষিদ্ধ! বিশ্ব মাতাচ্ছে বাঙালির তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

    পুর-দুর্নীতিতে অয়ন-যোগ

    একদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি অন্যদিকে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, দুদিক থেকে বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকা এসেছে অয়ন শীলের কাছে। অয়নের ছেলে অভিষেক শীল, স্ত্রী কাকলি শীল, ছেলের বান্ধবী, অয়নের মা, বাবা এবং অয়নের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও রয়েছেন ইডির নজরে। এঁদের নামে বহু সম্পত্তি ও ব্যাঙ্কের লেনদেন রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের কাছ থেকে যে সমস্ত ওএমআর শিটের প্রতিলিপি মিলেছে, সেগুলি পুরসভায় নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত পরীক্ষার। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। ইডির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ একাধিক পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন অয়ন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে থাকা জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার প্রসারে বারবার নানা প্রকল্পের কথাও শোনা যায় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের গলায়। কিন্তু  তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাসের (Salboni) উল্টো দিকেই রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বাড়ি আর তাঁর বাড়ির সামনেই গত সাতবছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস। তবে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে চিত্রটা ঠিক কি তাই উঠে এলো সাধারণ মানুষের কণ্ঠে।

    বর্তমান ছাত্রাবাসের অবস্থা

    ১৯৮০ সালে তৈরি হয়েছিল শালবনি উচ্চ বিদ্যালয়ের  তফশিলি জাতি ও উপজাতি সমাজের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাত্রাবাস। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠছে। এলাকার মানুষ অভিযোগ করছেন দীর্ঘ সাত বছর ধরে অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই ছাত্রাবাসটি। প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকায় আদিবাসী সমাজের পড়ুয়ারা থেকে-খেয়ে পড়াশুনা করবেন এই উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছিল এই ছাত্রাবাস। আদিবাসী সমাজের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করে প্রান্তিক এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছানোর একটা বিশেষ মাধ্যম ছিল এই শালবনীর ছাত্রাবাস (Salboni)। স্কুলের গায়েই এই ছাত্রাবাস। পরিকাঠামো থাকলেও কোন সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।

    কেন বন্ধ ছাত্রাবাস?

    বর্তমানে সরকার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ গাফিলতি রয়েছে এই বন্ধের পিছনে। পড়ুয়া না থাকায় সচল নেই, তাই ছাত্রাবাসে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে আগাছা ঝোপজঙ্গল। বন্ধ ছাত্রাবাসে অসামাজিক কাজকর্ম চলে রাত হলেই, তাই যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মদের বোতল। স্থানীয় সুমন মাহাতো বলেন, ছাত্রাবাস (Salboni) বন্ধের জন্য শুধু শিক্ষা দফতরের গাফিলতি নয় রাজ্য সরকারও সঠিক ভূমিকা পালন করছেন না। স্থানীয় কুড়মি সমাজের জেলা সম্পাদক অনিমেষ মাহাতো বলেন, সবটাই ঘটছে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর গাফিলতির জন্য। মন্ত্রী হয়েও তফশিলি জাতি-উপজাতিদের বিষয় নিয়ে কিছু করছেন না বলে বিশেষ অভিযোগও করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটা ভালো স্কুলে তফশিলি সমাজের পড়ুয়ারা যাতে থেকে পড়াশুনা করবেন এটাই এলাকার মানুষ চান কিন্তু আজ সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের ভূমিকা

    ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু শেখর বাগ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আবাসিকদের অভাবে ধুঁকছিল ছাত্রাবাসটি (Salboni)। এই নিয়ে একাধিক সময় স্কুল শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফে। অবশেষে তারা বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন ছাত্রাবাসটি। জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী গোটা বিষয় নিয়ে বলেছেন, ছাত্রাবাস নিয়ে বিডিও সাহেবকে তথ্য ও রিপোর্ট দিতে বলেছি। তথ্য পেলে কেন বন্ধ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রাবাস বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার  তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষেরা। কবে এখন এই ছাত্রাবাস আবার খোলা হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম। ওই কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মুখেই শোনা গেল সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাপসের দাবি, সন্তু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের শাগরেদ। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন এজেন্টের কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রোমোটার অয়ন শীল।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়াল সন্তুর নামও…

    এই প্রোমোটার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। শান্তনু এবং তাপস দুজনেই ছিলেন তৃণমূলের নেতা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) ধরা পড়ার পর কলঙ্ক মুছতে রাতারাতি তাঁদের বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। যদিও নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকা সত্ত্বেও বহিষ্কার করা হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন জেরায় স্বীকার করেছেন, তিনি যে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন, তার মধ্যে ১৮ কোটি টাকা নিজে রেখেছিলেন। বাকি ২৬ কোটি টাকা দিয়েছেন সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে। সন্তুকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা তৃণমূল নেতা সন্তুর মহেশতলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    এদিন আলিপুর আদালতে ঢোকার সময় তাপসের মুখে শোনা গেল তৃণমূল নেতা সন্তুরই নাম। সন্তু যে তাঁদের অচেনা নন, তা স্পষ্ট কুন্তলের কথায়ও। তিনি জানিয়েছেন, সন্তুকে তিনি চেনেন। এই তাপসের মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই যে কালীঘাটের কাকু, পরে তা প্রকাশ্যে আসে। সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন (Recruitment Scam) তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে চাকরি করেন। এই অভিষেক তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এদিকে তাপসের দাবি, কুন্তল ঘোষ দু নম্বর প্রতারক। তিনি বলেন, “চার্লস শোভরাজকে চেনেন? বিশ্বের এক নম্বর প্রতারক। কুন্তল ঘোষ দু নম্বর প্রতারক।” আগামী ২৬ মে পর্যন্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নিলাদ্রী দাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wife: স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল স্বামী, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    Wife: স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল স্বামী, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভার ভূপতিনগরের পাঁউশী গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম স্ত্রীর নাম যমুনা দলপতি। আর অভিযুক্ত স্বামীর নাম দীপঙ্কর দলপতি। গুরুতর জখম ওই বধূকে প্রথমে ভূপতিনগর-মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে, তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কেন স্ত্রীকে গুলি করল স্বামী?

    অভিযুক্ত দীপঙ্কর কর্মসূত্রে বাইরেই থাকে। কখনও সে ট্রলারে মাছ ধরতে চলে যায় গভীর সমুদ্রে, কখনো বা কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। তবে, বাড়ি ফিরে এসেই স্ত্রীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা বসে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। দীপঙ্করের অত্যাচার তাতে কমেনি বলেই অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন যমুনাদেবী। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়িতে বহুবার গিয়েছে দীপঙ্কর। কখনও বাড়িতে আসার জন্য অনুরোধ করেছে। কখনও আবার ভয় দেখিয়েছে। কিন্তু, কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত ১১ মে সে শ্বশুরবাড়িতে আসে। স্ত্রীকে বাড়ি যাওয়ার কথা সে বলে। স্ত্রী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপরই স্ত্রীকে লক্ষ্য করে সে দু রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি লাগে ডান হাতে। গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন জড়ো হতেই সে এলাকা ছেড়ে পালায়। হাসপাতালে ওই বধূকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে এক্স রে করে দেখা যায়, ওই বধূর ডান হাতের কনুই এর কাছে ঢুকে রয়েছে একটি গুলি।

    কী বললেন আক্রান্ত বধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন?

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে যমুনাদেবী বলেন, “অন্যবারের মতো শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য ও বলে। কিন্তু, ওর অত্যাচারের কথা ভেবে আমি শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি হইনি। ও এভাবে গুলি করে দেবে তা ভাবতে পারিনি।” যমুনার বাবা সুধাংশু মিদ্যার অভিযোগ, “এর আগে মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, নাক ফাটিয়ে দিয়েছে জামাই। আমরা অবিলম্বে তার শাস্তির দাবি করছি।” রাজনৈতিক সংঘর্ষে বারবার উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের পাঁউশী এলাকার নাম। সেই এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর গণ্ডগোলে গুলি চালানোর ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এইসব আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কোথা থেকে? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share