Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত করবে সিবিআই, এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু টিভি চ্যানেলে বিচারাধীন বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়াতে তাঁকে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার মধ্যে একটি ছিল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলা। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে যায় এই মামলা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে সরতেই পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার কিন্তু এদিন একই নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছিলেন, ‘‘ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) বিচারাধীন বিষয় নয় তবে তিনি কীভাবে নির্দেশ দিতে পারেন?’’এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ‘‘পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে কারণ এখানে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’’

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তের সূত্র ধরেই উঠে আসে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সূত্র ধরে হদিশ পাওয়া যায় অয়ন শীলের। জানা গেছে প্রায় ৬০টিরও বেশি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে অয়ন শীলের হাত ধরে। ইতিমধ্যে অয়নের বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছে যার বাজার মূল্য ২০০ কোটিরও বেশি বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। পেট্রোল পাম্প, বিঘা-বিঘা জমি, অন্তত কুড়িটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অয়নের নামে। ধৃতের ছেলে, ছেলের বান্ধবী এবং অয়নের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন নতুন বিচারপতির এজলাসে একই রায় বহাল থাকল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিজেপি-র সভায় আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত সম্মতি দিল। ফলে আগামী ১৭ মে দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সভা করায় অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    সিমলাপালে শুভেন্দুর সভা

    বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মিছিল ও সভার (Public Meeting in Bankura) জন্য অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তা দেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, রাজ্য সরকার যদি মনে করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তাহলে তাই করতে হবে। কিন্তু সভা করতে দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা এদিন নির্দেশে বলেন, এর পর থেকে কোথাও সভা বা মিছিল করতে চাইলে অন্তত ১৫ দিন আগে আবেদন করতে হবে। পুলিশের কোনও বক্তব্য থাকলে তা ওই আবেদন জানানোর চার দিনের মধ্যে জানাতে হবে। এর অন্যথা যেন না হয়।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    উল্লেখ্য, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাঁকুড়ায় সভা করার জন্য অনুমতি দেয়নি। এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এদিন বলেন, “পুলিশের এখন প্রধান কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচী দেখে এ রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত।” আগামী দিনে এর প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে বলে জানান তিনি। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে শুভেন্দু অধিকারীর চন্দ্রকোনার সভার অনুমতি নিয়েও তৈরি হয়েছিল জটিলতা। পরে শর্তসাপেক্ষে সেই সভা করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBSE: সিবিএসই-এর দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত! পাশের হার ৮৭ শতাংশের বেশি

    CBSE: সিবিএসই-এর দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত! পাশের হার ৮৭ শতাংশের বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই-এর (CBSE) দ্বাদশ শ্রেণির ফল। বোর্ডে সূত্রে জানা গেছে এবারে পাশ করেছেন ৮৭.৩৩ শতাংশ। চলতি বছরে সিবিএসই (CBSE) কোন রকমের মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি। ১ থেকে ১০ এর মধ্যে মেধাতালিকায় কতজন রয়েছেন সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস অবধি চলে সিবিএসই-এর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। জানা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭০ জন। পড়ুয়াদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা যাতে তৈরি না হয় সে কারণেই সিবিএসই (CBSE) এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও রকমের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে না। সিবিএসই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়ারা যেসমস্ত বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন সেই ০.১ শতাংশ পড়ুয়াকে মেধা শংসাপত্র দেওয়া হবে।

    ত্রিবান্দ্রমে পাশ করেছে ৯৯.৯১ শতাংশ… 

    সারা দেশের নিরিখে সিবিএসই-এর এই ফলাফলে সবথেকে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে ত্রিবান্দ্রম। দেখা যাচ্ছে সেখানে পাশের হার ৯৯.৯১ শতাংশ আবার বেঙ্গালুরুতে পাশের হার দেখা যাচ্ছে ৯৮.৬৪ শতাংশ। ফলাফলে রয়েছে অন্য চমকও, দেখা যাচ্ছে ছাত্রীদের পাশের হার বেশি ছাত্রদের তুলনায়। ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৯০.৬৬ শতাংশ, অন্যদিকে ছাত্রদের পাশের হার ৮৪ শতাংশের কিছু বেশি।

    ট্যুইট কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর…

    ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পাশাপাশি যাদের রেজাল্ট আশানুরূপ হয়নি তাদের কঠিন পরিশ্রমের পরামর্শও দিয়েছেন মন্ত্রী।

  • Calcutta High Court: “যখন ইচ্ছে আদালতে আসুন, কোনও রক্ষাকবচ নয়”! অভিষেকের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: “যখন ইচ্ছে আদালতে আসুন, কোনও রক্ষাকবচ নয়”! অভিষেকের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তলের চিঠি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অব্যাহতি চেয়েছিলেন অভিষেক। এদিনের শুনানিতে বিচারপতির অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেন, ‘২৪ ঘণ্টা আদালত খোলা আছে। প্রয়োজন পড়লে আদালতে আসুন।’ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার। 

    স্বস্তি মিলল না

    নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ আদালতে (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। চিঠি দিয়েছিলেন হেস্টিংস থানাতেও। সেই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দেয়। সেই মামলা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুক্রবার সেখানেও স্বস্তি মিলল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

    রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি

    এদিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পুরনো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তার জন্যও আবেদন করেন অভিষেকের আইনজীবী। বৃহস্পতিবারই কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন অভিষেক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে তিনি এই আবেদন জানান।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    হাকিম বদলালে, হুকুম বদলায় না

    অভিষেকের আইনজীবী বলেন, এই মামলায় কী ভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়। অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তা-ও তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি। সেই বক্তব্য শুনে বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “দেখুন হাকিম বদলালে, হুকুম বদলায় না। হুকুম একই থাকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে মামলা সরে যাওয়ায় যারা আনন্দ করছিল, তা বন্ধ। এখন শোকের আবহ। তৈরি হয়ে থাকুন, সময় আসছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছিলেন আসানসোল-বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক হিংসার জেরে আক্রান্ত হন তিনি। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাঁর ঘরে ঢুকে ভাঙচুর (Post poll violence) করে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে দুমাস বাইরে ছিলেন বাপি প্রধান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরক্ষা পাননি। তাই পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এখনও তৃণমূল সমর্থকরা বাপির গতিবিধি নজরে রেখে চলেছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলেই বাড়িতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

    ফলাফলের পর কী ঘটেছিল?

    আক্রান্তরা জানিয়েছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর ২ রা মে থেকে এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ শুরু করে। ফল প্রকাশের আগের দিন থেকেই শাসকদলের দৌরাত্ম্যের কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয় পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি পরিবার। স্থানীয় কৃষ্ণ সাউ, মনোজ ধীবর, বাপি প্রধান, প্রকাশ গড়াইয়ের পরিবারের প্রায় চল্লিশজন নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র পালিয়েছিলেন। এছাড়াও সুজয় গড়াই, চিত্তরঞ্জনের ডিপি সং, পাপ্পু বাল্মীকি, এল ফ্রেড রজক, পরেশ ধীবরের বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা করে। প্রায় দু-মাস ধরে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের আতঙ্কে (Post Poll Violence) বাড়ির বাইরে গিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।

    অত্যাচারের চেহারা

    বাপি প্রধান বলেন, দুষ্কৃতীরা প্রথমে বাড়ির লোহার গেট ভেঙে ঢুকে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তারপর বাড়ির আসবাবপত্র, ফসল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছু লুটপাট করে পালিয়ে যায়। কৃষ্ণ সাউ নামে এক ব্যক্তির গাড়ির চাকাগুলি সেই সময় খুলে নিয়ে চলে যায়। তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে থাকা প্রকাশ গড়াইয়ের মাকে প্রচণ্ড মারধর করে। দুষ্কৃতীরা বাপিকে বলে, একাই এসেছি তোকে মারার জন্য! তোর মাকে সরতে বল। ফেসবুকে শাসকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা বলায় মায়ের সামনেই মা-ছেলেকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল বলে জানা যায়। এই চল্লিশজন ঘরছাড়াদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু শিশু, বৃদ্ধ নারী, যারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার (Post Poll Violence) হন। অনেকে বলেছেন, নিরুপায় হয়ে বর্ডার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে গিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসন সাধারণ মানুষকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ছিল।

    অভিযুক্ত কারা?

    আক্রান্তদের অভিযোগ, এই হামলা, মারধরে প্রত্যক্ষ মদত দেয় শাসকদলের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতী রাজেশ মৃধা, অজিত বাউরি, পুনস খান। এছাড়াও বাড়িঘরে লুটপাটের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মহঃ আলম, তাঁর ভাই হাসিম আনসারি। বাড়ি ফিরলেই মারধর করবে বলে বিশেষ হুমকি (Post poll violence) দেয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। তাই সকলে রাজনৈতিক হিংসার কারণে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন সেই সময়।

    বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা

    পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে পরবর্তী সময় প্রতিকার চেয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য হাইকোর্টে বিশেষ আবেদন করতে হয়েছিল আক্রান্তদের। ডিভিশন বেঞ্চের আদেশে প্রশাসন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজের বাড়িতে ফেরাতে বাধ্য হয়েছিল। বেশ কিছুদিন এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছিল নিরাপত্তার কথা ভেবে। আসানসোল জেলার বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, পুলিশ পিকেটিং থাকা সত্ত্বেও বাপি প্রধানের বাড়িতে শাসকদল আক্রমণ (Post Poll Violence) করছিল। তিনি আরও বলেন, ভোটের পরে পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল, সে কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দুবছর কেটে গেলেও ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার অত্যাচার থামেনি বলে এলাকার মানুষ মন্তব্য করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ইসরোতে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী!

    ISRO: ইসরোতে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোতে (ISRO) মহাকাশযান নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের নবম শ্রেণির ছাত্রী উপাসনা মণ্ডল। ইসরোর সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই সুযোগ পেয়েছে উপাসনা। তাই ইসরো থেকে ১৪ দিনের জন্য একটি ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে ডাক পেয়েছে সে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে ১৪ দিন ধরে পঠনপাঠন ও নানা গবেষণামূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে। আগামীতে মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে পাঁচজন পড়ুয়া ইসরো থেকে ডাক পেয়েছে। তার মধ্যে পতিরামের উপাসনা রয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া শিক্ষা মহলে।

    খুশির হাওয়া উপাসনার পরিবারে

    উপাসনার বাবার নাম ননীগোপাল মণ্ডল। বাড়ি পতিরাম থানার বাহিচা এলাকায়। তিনি বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। গত মার্চ মাসে অনলাইনে ইসরোর ‘যুবিকা’ (YUVIKA) নামক একটি পরীক্ষায় বসে উপাসনা। সম্প্রতি এই পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। তারপরই ইসরো থেকে উপাসনাকে ডেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার উদ্দেশে রওনা হয় উপাসনা ও তার বাবা। আগামীতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে চায় বলে উপাসনা জানিয়েছে। এবিষয়ে উপাসনা বলে, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ ও মহাকাশযান নিয়ে আমার মনে আগ্রহ ছিল। তাই বাবার পরামর্শে ইসরোর (ISRO) এই পরীক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু ওই পরীক্ষায় সফল হয়ে ইসরো থেকে ডাক পাব, তা ভাবিনি। আমি আগামীতে মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়াশোনা করতে চাই। উপাসনার বাবা ননীগোপাল মণ্ডল বলেন, সর্বভারতীয়স্তরে ইসরোর তরফে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় র‍্যাঙ্কের মাধ্যমে আমাদের রাজ্যের পাঁচজন ইসরো থেকে ডাক পেয়েছে। সেখানে গবেষণা ও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৪ দিনের ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমার মেয়ে সুযোগ পেয়েছে। আগামীতে চাইলে মহাকাশ গবেষনামূলক পড়াশোনারও সুযোগ থাকবে। মেয়ের এই সাফল্যে আমাদের পরিবার গর্বিত। উপাসনার মা মুনমুন সরকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার মেয়ের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি কবিতা, নাচ ও ছবি আঁকা সহ নানা বিষয়ে ও পারদর্শী। এই পরীক্ষার জন্য সে কঠিন পরিশ্রম করেছিল। তাই এই সুযোগ পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে।

    গর্বিত তার স্কুলও

    অন্যদিকে, উপাসনার স্কুল তথা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দিপা সরকার বলেন, প্রথম থেকেই উপাসনা ক্লাসের প্রথম দিকেই রোল থাকে। শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের। আমাদের মতো একটা গ্রামের স্কুল থেকে উপাসনার এই সাফল্যে (ISRO) আমরা সকলেই গর্বিত।

    সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ মে থেকে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে ওই বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হবে। কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ হয়, কীভাবে মহাকাশযান তৈরি করা হয়, কীভাবে মহাকাশ গবেষণা চলে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ চলবে। এছাড়াও সমস্ত পড়ুয়াদের ইয়ং সায়েন্টিস্ট হিসাবে নানা গবেষণামূলক পাঠ দেওয়া হবে৷ মহাকাশ গবেষণার কোন কোন দিক রয়েছে, তা জানানো হবে। এমনকী পরবর্তীতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়েও পড়াশোনার সুযোগ থাকবে৷ এতদিন থাকা, খাওয়া, যাতায়াত সহ সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো। জানা গিয়েছে, ইসরোর (ISRO) ‘যুবিকা’ পরীক্ষায় মার্কসের ভিত্তিতে গোটা দেশের মধ্যে মোট ৩৫০ জনকে ডাকা হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচজন রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: দিঘায় পৌঁছল এনডিআরএফ-এর ৮টি টিম, ‘মোকা’ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য?

    Cyclone Mocha: দিঘায় পৌঁছল এনডিআরএফ-এর ৮টি টিম, ‘মোকা’ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে মোকা (Cyclone Mocha)! হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরেই প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে মোকা। ১৪ মে রবিবার, দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছে এটি আছড়ে পড়তে চলেছে। ঝড়ের গতিবেগ শুনে চোখ কপালে উঠেছে ভারত, বাংলাদেশ সমেত মায়ানমারের প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মোকা (Cyclone Mocha) মোকাবিলার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দিঘায় পৌঁছেছে এনডিআরএফের টিম।

    মোকা (Cyclone Mocha) মোকাবিলায় কেন এত তৎপরতা?

    শুক্রবার সকালে আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১০১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ছিল মোকা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগোচ্ছে মোকা (Cyclone Mocha)। শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি সর্বোচ্চ থাকবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। এই প্রবল গতির ঘূর্ণিঝড়ে বিপদের আশঙ্কা সর্বোচ্চ। তাই প্রশাসন কোনওরকমের ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।

    এনডিআরএফের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা আটটি দল এবং ২০০ জন উদ্ধারকারীকে পাঠিয়েছি দিঘায়। আরও ১০০ জন উদ্ধারকারীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিশেষত, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর, হলদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, কুলতলি, কাকদ্বীপ, উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মৎস্যজীবীদের আগে থেকেই সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ১১ মের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। দিঘায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মূল অফিসে খোলা হয়েছে জেলা পর্যায়ের কন্ট্রোল রুম। জানা গিয়েছে, জেলার ২৫টি ব্লক এবং ২২৩টি পঞ্চায়েতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কলকাতায় লালবাজারেও কন্ট্রোলরুম খুলে নজর রাখছে পুলিশ।

    আশঙ্কায় সুন্দরবন….

    আমফান বা ফণীর ভয়াল স্মৃতি এখনও তরতাজা সুন্দরবনের মানুষদের কাছে। এতেই বাড়ছে আশঙ্কা (Cyclone Mocha)। সুন্দরবনের প্রতিটি ব্লকেই খোলা হয়েছে একটি করে কন্ট্রোল রুম। সেখানে সারাক্ষণই থাকবেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। জানা গিয়েছে ওই অঞ্চলে আগামী এক সপ্তাহ সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকার স্কুলগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। দুর্বল বাঁধ পরিদর্শনের পাশাপাশি এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথাও বলছে প্রশাসন।

    উত্তর-পূর্ব ভারতও প্রস্তুত মোকা (Cyclone Mocha) মোকাবিলায়

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে যেহেতু এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Mocha) আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের সীমান্তে। তাই ভারতের ত্রিপুরা, মণিপুর এই সমস্ত রাজ্যে মোকার প্রভাব পড়তে পারে। মোকার প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যেই তা আঘাত হানতে পারে। এই কারণে ত্রিপুরা এবং মিজোরামে শনিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা সরকার কমলা সর্তকতা জারি করেছে। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, এনডিআরএফ, ত্রিপুরা পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানকার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। কোনওরকম বিপদের আশঙ্কা থাকলেই উদ্ধারকাজে প্রস্তুত রয়েছে এনডিআরএফ, এমনটাই জানা যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোলার তাণ্ডবে নাজেহাল দুর্গাপুর (Durgapur) সেন মার্কেটের ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার তার গুঁতানিতে একজন জখম হয়। অভিযোগ, ভোলার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রায় ৩০ জন ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোলা নিজের দাপটে প্রতিদিন সবজি খেয়ে নিচ্ছে। ক্রেতারা ভোলার গুঁতানির আতঙ্কে বাজারে আসছেন না। ফলে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেন মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শিপুল সাহা জানান, বন দফতর এবং পুলিস-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

    দিনকে দিন বেড়েই চলেছে দাপট

    ব্যবসায়ীদের (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাজার এলাকায় ৬-৭ টি ষাঁড় ও গরু রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিটি গরু প্রায়ই ব্যাবসায়ীদের সবজি খেয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ভোলার দাদাগিরি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। ভোলা প্রায় প্রতিদিন কাউকে না কাউকে গুঁতিয়ে জখম করে চলেছে। প্রায় ৭ মাস আগে ব্যবসায়ী সজল সেনকে ব্যাপকভাবে জখম করে ভোলা। তিনি চেন্নাইয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সাময়িক সুস্থ হয়েছেন। ভোলার তাণ্ডবে বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের আতঙ্ক দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভোলা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাজার থেকে অন্যত্র নিয়ে যাক প্রশাসন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    বাজারের (Durgapur) সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভোলার গুঁতোয় জখম হয়েছে। সজল সেন বলে একজনের শরীরে পিছন দিকে শিং ঢুকিয়ে দিয়েছিল ভোলা। আমাদের সবজি খেয়ে যেমন ক্ষতি করছে, আবার ক্রেতারা ভোলার ভয়ে বাজারমুখো হতে চাইছেন না। ব্যবসার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

    কী বললেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক?

    প্রাক্তন কাউন্সিলার (Durgapur) শিপুল সাহা বলেন, এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, জানি না। বন দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। পুলিশেও জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি। আবার নতুন করে জানানো হবে। সেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক সাগর সাহা বলেন, এদিন সকালে ভোলার গুঁতোয় ফের রাজেন্দ্র রাম বলে একজন  জখম হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কোনও ব্যবস্থা যদি নেওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে বৃহস্পতিবার শনাক্ত করলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া। তমলুক আদালতে গত ৮ই মে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়। সেইমতো এদিন তমলুক সংশোধনাগারে এসে এই তিনজনকে শনাক্ত করলেন বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৭

    বিজেপি কর্মী (BJP) খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আছে পুলিশি হেফাজতে। বাকি তমলুক উপ সংশোধনাগরে থাকা এই তিনজনকে এদিন শনাক্ত করলেন তিনি। এরা হল শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল, মধুসূদন সাউ। তিনজনই তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই তিনজনকে গত ৭ তারিখে গ্রেফতার করে ৮ তারিখ তমলুক আদালতে তোলা হয়।

    কীভাবে হয়েছিল এই খুন?

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ বারবার উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ। এখানকার প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি এবং আরও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য (TMC)। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর দায়ের করেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ শামসুল ইসলামকে। প্রায় দুমাস জেলে থাকার পর ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু ফেরার পর থেকেই পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন প্রধান, অভিযোগ এমনই। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে নন্দীগ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য?

    আব্বাস বেগ বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি এবং অন্য দুই পঞ্চায়েত সদস্য মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম শামসুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করার পর দুমাসের জেল হয় শামসুল ইসলামের। জেল খেটে বাড়ি ফেরার পরই আমাকে ঘরছাড়া করা হয়। আমি শেখ সুফিয়ান সাহেবের অনুগামী। আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর ফের আমাকে ঘরছাড়া হতে হয়। নানা জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। কয়েকদিন আগে দাদা মারা যাওয়ার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম। কিন্তু গত ৭ তারিখ শামসুল ইসলাম (TMC) আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, তোকে কেস তুলে নিতে হবে। না হলে মার্ডার করে দেব। তার অডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। আমি এ নিয়ে এফআইআর করি। তারপরই বাড়ি ঘিরে ধরে চলে হুমকি। আমি ধামসাবাদে এক আত্মীয়ের-বাড়িতে ছিলাম। সেখানেও আমাকে তাড়া করা হয়। ফলে এই মুহূর্তে আমি নন্দীগ্রামছাড়া। যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সেখ শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। এলাকার বহু মানুষের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নিজেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

    নবজোয়ারের আগে গৃহযুদ্ধ!

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের গ্রাম প্রধানের ফোনে কথাবার্তার অডিও রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চায়েত ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রার আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে শাসকদলের ভয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরই ঘরছাড়ার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share