Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা, আতঙ্ক

    Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে তেঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) উদ্ধার হল। স্কুলের সামনে বোমা পড়ে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর কিছুদিন পরই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই শাসনের মতো জায়গায় ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) কোথায় রাখা ছিল?

    শাসনের সদ্যারআটি তেঘরিয়া এলাকায় রাস্তার ধারে একটি কালভার্টের নীচেই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা (Bomb) দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বোমা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাগে ৮ টি তাজা বোমা পাওয়া গিয়েছে। তবে কে বা কারা রেখে গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের এলাকায় সন্ত্রাস করার জন্যই দুষ্কৃতীরা হয়তো বোমা রাখতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। শাসনের মাটি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাম জমানায়। পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার আসে। তৃণমূল কংগ্রেস আসার পর মাঝে মধ্যেই অশান্ত হয়ে ওঠে শাসনের মাটি। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সেই শাসনেই কালভার্টের নীচে থেকে উদ্ধার হল বোমা (Bomb)। কারা কোন উদ্দেশ্যে বোমাগুলি রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখছে শাসন থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে কীভাবে এল এতগুলো তাজা বোমা (Bomb) তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জেনে গিয়েছে, তারা এবার একটি ভোটও পাবে না। তাই যেভাবে হোক সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয় তার জন্যই তারা বোমা (Bomb), গুলি, পিস্তল আগে থেকেই মজুত করে রাখছে। তিনি আরও বলেন, মানুষ তৃণমূল সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এসব করে আর লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতারির এখানেই শেষ নয়! আদালতে জানাল ইডি

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতারির এখানেই শেষ নয়! আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্ত এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতারির এখানেই শেষ নয়। আরও অনেককেই গ্রেফতার করা হবে এই মামলায়। ইডির আইনজীবী নীতেশ রাণা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এই কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার, ইডি-র আইনজীবীর এই দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    আর কে?

    এনামুল হক, সতীশ কুমার, সায়গল হোসেন থেকে অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, মণীশ কোঠারিদের গ্রেফতারের পর আর কার পালা? জল্পনা চলছে। এর আগে ইডি আদালতে জানিয়েছে, ভুয়ো ঋণ দেখিয়ে নিজের বেআইনি কারবার ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই ভুয়ো ঋণের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। তাঁরই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অনুব্রত এই ঋণ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ইডি দাবি করে, মণীশ কোঠারির আত্মীয় মনোজ মেহেনত ২.৪ শতাংশ কমিশনে ভুয়ো ঋণের ব্যবস্থা করে দিতেন অনুব্রতকে। কালো টাকা সাদা করতে এই পথ বেছে নিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।

    সুকন্যাই ঠিক করতেন 

    এদিন অনুব্রত মণ্ডল প্রার্থনা করেছেন, তাঁর মেয়ে সুকন্যা যেন দ্রুত জামিন পেয়ে যান। আগামী ১২ মে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সুকন্যার জামিনের শুনানি হবে। অনুব্রত আজ রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘‘ঈশ্বর যেন জামিনটা করিয়ে দেন।’’ গত শনিবার তিহাড় জেলে অনুব্রতের সঙ্গে সুকন্যার দেখা হয়েছিল। তবে ইডির দাবি, গরুপাচারের (Cattle Smuggling Case) থেকে প্রাপ্ত কালো টাকা কোথায় কী ভাবে খাটানো হবে তা ঠিক করতেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলই। অনুব্রতর সিএ মণীশ কোঠারিই নাকি জেরায় ইডিকে এই কথা জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ে ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি! অবৈধ মদ ব্যবসায় ‘কিংপিন’ এক আইএএস অফিসার, দাবি ইডির

    ১২ জুলাই ফের শুনানি

    আজ গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল, সতীশ কুমার, সায়গল হোসেন, অনুব্রত মণ্ডলদের দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। গত ডিসেম্বরে ইডি গরুপাচারের তদন্তে চার্জশিট দায়েরের পরে আরও তিনটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে। এনামুল, বিনয় ও বিকাশ মিশ্র, বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার, অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল-সহ মোট ১২ জন অভিযুক্ত এবং এনামুল-অনুব্রতদের ১৪টি সংস্থার নাম রয়েছে চার্জশিটে। আজ অভিযুক্তদের সকলকেই ইডি-র চার্জশিটের প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট জানিয়েছে, ১২ জুলাই ফের শুনানি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিছক ড্রেন তৈরি নিয়ে গণ্ডগোল। আর তার জেরেই চলল গুলি। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কেউ জখম হননি। তবে, সামান্য ড্রেন তৈরির ঘটনা নিয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি (Memari) থানার দুর্গাপুর অঞ্চলের মগলামপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মগলামপুর গ্রামের অশোক বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা জল নিকাশির জন্য বাড়ির সামনে ড্রেন তৈরি করছিলেন। মিস্ত্রিরা এসে এদিন ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। অশোকবাবুর প্রতিবেশী বিপ্লব সাধুখাঁ এসে ড্রেনের কাজ করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেইসময় তাঁরা একে অপরের মধ্যে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময় বিপ্লব সাধুখাঁর ছেলে রাজীব সাধুখাঁ আচমকা ঘর থেকে তাদের লাইসেন্স প্রাপ্ত দোনালা বন্দুক বের করে গুলি চালায়। অশোকবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয় একজনের তত্পরতায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে, স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেয়। অশোকবাবু বলেন, সামনেই আমার ছেলের বিয়ে। তাই বাড়ির সামনে একটি ড্রেন তৈরির কাজ করছিলাম। এক প্রতিবেশী ওই কাজে আমাদের বাধা দেয়। এনিয়ে আমাদের মধ্যে বচসা চলছিল। আচমকা প্রতিবেশীর ছেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমার দাদা বন্দুকটি সরিয়ে না নিলে তিন-চারজনের মৃত্যু হতে পারত। ঘটনার পর খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।

    গুলি চালানো নিয়ে কী বলল অভিযুক্ত যুবক?

    রাজীব সাধুখাঁ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া। ঘটনার পর পরই মেমারি (Memari) থানার পুলিশ এসে রাজীব ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়। গুলি চালানো নিয়ে রাজীবের বক্তব্য, আমার বাবাকে সকলেই মারধর করছিল। চোখের সামনে আমি সেটা সহ্য করতে পারিনি। মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই, বাড়ি থেকে বন্দুক নিয়ে এসে গুলি চালিয়েছিলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Result: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ আগামী সপ্তাহেই? ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

    Madhyamik Result: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ আগামী সপ্তাহেই? ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ (Madhyamik Result) কবে হবে তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি জানান, আগামী দশ দিনের মধ্যেই ফলপ্রকাশ হবে। পর্ষদ সূত্রে খবর, ফলপ্রকাশের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

    ২ মাসের একটু বেশি সময় পরই ফলপ্রকাশ

    সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহেই ফল প্রকাশিত (Madhyamik Result) হবে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে দাবি। দু’এক দিনের মধ্যেই পর্ষদ এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও প্রকাশ করে দেবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ফল প্রকাশের শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ চলছে।  দু-একদিনের মধ্যেই ফলের দিনক্ষণের বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হয়েছিল ৪ মার্চ। এবারের পরীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে যুক্ত রয়েছেন ১১৫৩ জন প্রধান পরীক্ষক এবং প্রায় ৪১ হাজার পরীক্ষক। পর্ষদ সূত্রে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, পরীক্ষা শেষের আড়াই মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ হতে চলেছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মে মাসেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে। 

    আরও পড়ুন: “মমতা কি আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উত্তরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় খাতা দেখা, নম্বর দেওয়া থেকে শুরু করে যাচাই পদ্ধতি অর্থাৎ ফলপ্রকাশের (Madhyamik Result) আগে পর্যন্ত মোট ৫টি ধাপ পেরোতে হয় পর্ষদকে। ভুল-ভ্রান্তি এড়াতে ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে শেষের দুই ধাপ এবার অনলাইনে করা হয়েছে। যার ফলে এবারের পরীক্ষার ফল অন্যান্য বারের তুলনায় অন্তত দু’সপ্তাহ আগে প্রকাশ হতে চলেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি ফলপ্রকাশ হয়, সেক্ষেত্রে ২ মাসের একটু বেশি সময় পরই এই ফল বের হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, মে মাসের শেষের দিকেই উচ্চ মাধ্যমিকেরও ফলপ্রকাশ হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    Imran Khan: জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এদিন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে তাঁকে গ্রেফতার করে সেদেশের আধাসেনা পাক রেঞ্জার্স। সূত্রের খবর, একটি জমি দুর্নীতি মামলার জেরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত, রেঞ্জার্সের হেফাজতেই রয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান। 

    পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এদিন হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ইমরান (Imran Khan)। জানা যাচ্ছে, আল কাদির ট্রাস্টের জমি দখল করার অভিযোগে সম্প্রতি ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার জামিন নিতেই মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তিনি।

    আদালত চত্বরে হাতাহাতি

    অভিযোগ, সেই সময় কক্ষের বাইরে ইমরানকে (Imran Khan) গ্রেফতার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, হাইকোর্টের বাইরে সেই সময় চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। জানা যাচ্ছে, এদিন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীদের সঙ্গে রেঞ্জার্সের মারপিট বাধে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে ইমরান-সমর্থকদের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয় রেঞ্জার্সদের। তাঁর আইনজীবীও আক্রান্ত হন বলেও অভিযোগ। ইমরানের দলের দাবি, গ্রেফতারের পর ইমরানকে রেঞ্জার্স বাহিনী মারধর করে। এর পর তাঁকে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: মাথায় বুলেটপ্রুফ টুপি, কাঁধের পিছনে ব্যালিস্টিক শিল্ড, কড়া প্রহরায় আদালতে ইমরান

    ইমরানের দলের দাবি

    পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, ‘‘জোর করে ইমরানকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। তাঁর আইনজীবী ফয়জল চৌধুরীও হামলার শিকার হয়েছেন।’’ আর এক পিটিআই নেতা মুসররাত চিমার দাবি, ‘ওরা ইমরান খানের উপর অত্যাচার করছে। খান সাহেবকে মারধর করছে। সম্ভবত ওঁর সঙ্গে কিছু করা হয়েছে।’ পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গ্রেফতারির আগে পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের ‘কাপ্তান’ (Imran Khan) না কি বলেন, ‘‘পাক সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগে অটল রয়েছি। এই জন্য গ্রেফতার বা মৃত্যুবরণ করতেও রাজি।’’

    কী বলছে প্রশাসন?

    যদিও, সব অভিযোগ খারিজ করেছে পাক রেঞ্জার্স। প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রেফতারির পর ইমরানকে (Imran Khan) হাইকোর্ট চত্বরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে রেঞ্জার্স। এদিকে, ইমরান খানের গ্রেফতারির পরই, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক অবিলম্বে ইসলামাবাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে তিনি ১৫ মিনিটের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এই গ্রেফতারির পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা অবিলম্বে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

     

  • N Biren Singh: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    N Biren Singh: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩ মে-র দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩১ জন। সেই সঙ্গে ১৭০০-র কাছাকাছি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমি রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করছি। আটকে পড়া মানুষদের তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ (N Biren Singh)। তিনি বলেন, “মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা ঘরছাড়া হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করছে সরকার। এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। আরও ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন”।

    এন বীরেন সিংহের (N Biren Singh) হুঁশিয়ারি…

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ (সোমবার) পর্যন্ত আমরা ২১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪২৭৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছি। যাঁরা এখনও নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের তা সমর্পণ করতে বলেছি”। মণিপুরের এই পরিস্থিতির জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করতে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh)। যেসব সরকার ও প্রশাসনিক কর্তা পরিস্থিতি সামলাতে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদেরও কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান এন বীরেন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh) বলেন, “হিংসার প্রথম দিন থেকে শাহ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছেন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ”। এদিকে, মণিপুরে প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগের গতি বাড়াতে কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধর্মীয় উপাসনাস্থলগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    গত বুধবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে প্রথম হিংসার ঘটনা ঘটে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। মণিপুরের সিংহভাগ বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ভুক্ত। তফশিলি উপজাতি ঘোষণার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে তারা। এই দাবির বিরোধিতা করে বুধবার মিছিল বের করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। তার পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুমন কাঞ্জিলাল ও সৌরভ চক্রবর্তী। প্রথমজন তৃণমূল বিধায়ক, দ্বিতীয়জন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভার সাংগঠনিক রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই দুই গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দুই গোষ্ঠীর বিরোধ ততই বাড়ছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি দলের কোনও কর্মী-সমর্থক শাসক দলে যোগ দেননি। অপরদিকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভা এলাকায় গত বিধানসভা নির্বাচনে সুমনবাবুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। সুমন তৃণমূলে নাম লেখালেও তাঁকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ সৌরভ অনুগামীরা। অপরদিকে সুমন কাঞ্জিলাল নিজের জমি শক্ত করতে সৌরভ বিরোধী তৃণমূল নেতাদের সঙ্গী করে ময়দানে নেমে পড়েছেন। ফলে বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়কের জমি দখলের লড়াই কার্যত প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার নেতাকর্মীরা। তাঁরা বর্তমান, নাকি প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে থাকবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত কয়েকদিন আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ১০০ দিনের কাজ করে টাকা না পাওয়া বঞ্চিত শ্রমিকদের সই সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বিবেকানন্দ ১, বিবেকানন্দ ২, বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে সই সংগ্রহের জন্য দলের জেলা নেতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন সুমনবাবু। তবে, সেখানে দেখা যায়নি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়কে। পীযুষবাবু সৌরভ ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত। অন্যদিকে, সোমবার পরোরপার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পীযূষ বাবুর ডাকে সৌরভ চক্রবর্তী সই সংগ্রহ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে সুমন অনুগামী কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি। সোমবারই বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল নিজে উদ্যোগী হয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রতন মহন্ত সহ জেলার কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সই সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। একই অঞ্চলে কেন আলাদা আলাদাভাবে হবে দলের একই কর্মসূচি? এর ফলে বিভ্রান্তে রয়েছেন নিচু তলার নেতা কর্মীরা।

    সই সংগ্রহ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল বিধায়ক সুমনবাবু বলেন, সবার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ওই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তবে ওই কাজে অনেকেই এখন যুক্ত হয়েছেন। সেটা দলের পক্ষে ভালই হবে। অপরদিকে সৌরভ চক্রবর্তী তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে বিরোধের কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, দলের ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্বের ডাকেই অঞ্চলে যাবেন। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও ওই কর্মসূচিতে আমার অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah At Jorasanko: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে জোড়াসাঁকোয় কবিপ্রণাম অমিত শাহের, ঘুরে দেখলেন ঠাকুরবাড়ি

    Amit Shah At Jorasanko: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে জোড়াসাঁকোয় কবিপ্রণাম অমিত শাহের, ঘুরে দেখলেন ঠাকুরবাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিপ্রণাম করে রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন অমিত শাহ। আগেই স্থির ছিল, পঁচিশে বৈশাখ রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। যোগ দেবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে। সেই জন্য গতকাল মধ্যরাতেই শহরে চলে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে পৌঁছে যান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা পরিয়ে তাঁকে প্রণাম করেন। এর পর কবিগুরুর বাড়ি ঘুরে দেখেন অমিত শাহ, সংগ্রহশালায় যান। জোড়াসাঁকোর ভিজিটার্স বুকে সইও করেন। কেমন লাগল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নিজের ভাব ব্যক্তও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আজ ২৫ বৈশাখ

    আজ রবীন্দ্রনাথের ১৬৩ তম জন্মদিন। এই দিনটিকে ঘিরে প্রতি বছরই উৎসবে মেতে ওঠে ঠাকুরবাড়ি। কথায়-গানে-কবিতায় দিনভর চলে রবি-স্মরণ। তবে, এবছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসায় ঠাকুরবাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনেও অন্য মাত্রা যোগ হয়েছিল। অমিত শাহের সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিশিষ্টজনরা। তাঁরাও এদিন রবি-মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    ট্যুইটে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে, ট্যুইট করে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে গুরুদেবকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শিল্প থেকে সঙ্গীত এবং শিক্ষা থেকে সাহিত্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। সমৃদ্ধশীল, প্রগতিশীল, আলোকিত ভারতের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    বাংলায় ট্যুইট অমিত শাহের

    অন্যদিকে, বাংলায় ট্যুইট করলেন অমিত শাহ। ট্যুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, ‘‘বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকৃতিবাদ তথা মানবতাবাদের আদর্শকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে ভারতীয় দর্শনকে এক পূর্ণ রূপ প্রদান করেন। তাঁর কালজয়ী রচনা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করে। সদা প্রেরণাদায়ী, এমন দূরদর্শী কবিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’

    এর আগে, বাংলায় আসার আগে সোমবার রাতেই ট্যুইটারে অমিত শাহ লেখেন, প্রত্যেক প্রজন্মের কাছে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ কবিগুরুর লেখনি।

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় অমিত শাহ, জেনে নিন চূড়ান্ত কর্মসূচি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল বর্ধমান স্টেশন চত্বর। রাতের অন্ধকারে বর্ধমান স্টেশন চত্বর জুড়ে তাণ্ডব চলে। ১০ থেকে ১২ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পাশাপাশি  ১০টি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। প্রকাশ্যে এই তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ ও তৃণমূল নেতা গোলাব সোনকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এবার সেই কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৭ মে রাতে গোলাব সোনকারের অনুগামীরা এসে স্টেশন চত্বরে একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্টেশনের গ্যারাজে রাখা ১০টি প্রাইভেট গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ঢুকে স্থানীয় বিধায়কের নামে ও প্রাক্তন আই এন টি টি ইউসির সভাপতির নামে গালিগালাজও করে। হামলাকারীদের হাতে রড, লাঠি এবং তরোয়াল ছিল। এমনকী ইফতিকারসহ তাঁর কয়েকজন অনুগামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনার প্রতিবাদে ইফতিকারের নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এই ঘটনায় রাতে বর্ধমান স্টেশনে ব্যবসায়ী থেকে  গাড়িচালক সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বর্ধমান থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সেখ আলিউদ্দিন বলেন, আমরা অন্যদিনের মতো দোকানে বসেছিলাম। আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। বিধায়কের নামে তারা গালিগালাজ করে। আমার দোকানে তাণ্ডব চালায়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    স্টেশনে তাণ্ডব নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, গোলাব আগে সিপিএম করত। মধ্যে বিজেপিতে গিয়েছিল। এখন তৃণমূলে (TMC) রয়েছে। অকারণে এসে ওরা হামলা চালায়। স্টেশন চত্বরে তাণ্ডব চালায়। আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অন্যদিকে, তৃণমূল (TMC) নেতা গোলাব সোনকার বলেন, আমার ছেলে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে চারচাকা গাড়ি করে ঘুরতে গিয়েছিল। উড়ালপুলের পাশে ছবি তোলার সময় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কয়েকজন এসে হামলা চালায়। ইফতিকার আমার ছেলেকে গালিগালাজ করে। সেটার প্রতিরোধ করা হয়েছে। স্টেশনে কোনও তাণ্ডব চালানো হয়নি। ওরা ভাঙচুর করে আমাদের নামে দায় চাপাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক খোকন দাস বলেন, কে বা কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা জানতে পারিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: পার্থ-অয়নের মধ্যে সেতু কুন্তল! নিয়োগ দুর্নীতিতে দাবি ইডির

    SSC Scam: পার্থ-অয়নের মধ্যে সেতু কুন্তল! নিয়োগ দুর্নীতিতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং প্রমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sheel) মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করেছেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, বিভিন্ন এজেন্টের কাছ থেকে মোট ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন। মোট পাঁচটি সংস্থার মাধ্যমে দুর্নীতির টাকা পাচার করা হত। 

    ইডির দাবি

    সোমবার বিশেষ আদালতে ১১৩ পাতার চার্জশিট পেশ করে ইডি জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট নয়, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের অবৈধ ভাবে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রেও, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং অয়নের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন কুন্তল। চার্জশিটে ইডির দাবি, শিক্ষা দফতরে অযোগ্যদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে একা অয়ন শীলই ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। পরে টাকার ভাগ পান পার্থ ঘনিষ্ঠ বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় এবং হুগলির দুই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির দাবি, দুর্নীতির টাকা পাচারের উদ্দেশে অয়ন নিজেও নানা ফন্দি এঁটেছিলেন। এমনকী, খুলেছিলেন নির্মাণ সংস্থাও। পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পত্তি, পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁর ব্যবসাও চালু করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল বসে থাকবেন না”, বললেন আনন্দ বোস

    চার্জশিটে রয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৪৫ কোটি টাকা তোলার পরে অয়ন ২৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে। ঘটনাচক্রে গত সপ্তাহেই বেহালার সরশুনায় সন্তুর ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। জানা গিয়েছে, অযোগ্যপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে ১৮ কোটি টাকা অয়ন বিনিয়োগ করেন নির্মাণ ব্যবসায়। এবিএস ইনফোজেন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে ওই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল হুগলির চুঁচুড়ার ‘এবিএস টাওয়ার’ প্রকল্পে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় ‘শুক্লা সার্ভিস স্টেশন’ নামে একটি পেট্রোল পাম্প খোলা হয় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে। অয়নের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরে ইডি জানিয়েছে, যে স্থাবর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার বাজার মূল্য ১০ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। গাড়ি রয়েছে ৬৪ লক্ষ টাকার। শেয়ার রয়েছে ২৩ লক্ষ টাকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share