Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Samaresh Majumdar: ‘দৌড়’ থেমে গেল ‘কালবেলা’র স্রষ্টার, প্রয়াত সমরেশ মজুমদার

    Samaresh Majumdar: ‘দৌড়’ থেমে গেল ‘কালবেলা’র স্রষ্টার, প্রয়াত সমরেশ মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স হয়েছিল ৭৯। অসুস্থও ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। সোমবার বিকেলে সেই জীবনেই দাঁড়ি টেনে দিলেন কালজয়ী ‘কালবেলা’র (Kalbela) স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar)। পৌনে ৬টা নাগাদ বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ২৫ এপ্রিল এই হাসপাতালেই সমরেশ ভর্তি হন ফুসফুল ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। রবিবার সাহিত্যিকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, কিছুটা ভাল আছেন সমরেশ। সোমবার বিকেলে কালজয়ী এই সাহিত্যিক চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে।

    সমরেশ মজুমদারের (Samaresh Majumdar) কালজয়ী উপন্যাস…

    ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় সমরেশের প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’। প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকায়। তার পর তাঁর কলম প্রসব করে একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস। ১৯৮২ সালে পান আনন্দ পুরস্কার। অ্যাকাডেমি পুরস্কার সহ পেয়েছেন আরও বহু সম্মান। গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা তিনি-ই। সমরেশের (Samaresh Majumdar) শৈশব কেটেছে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটা চা বাগানে। ১৯৬০ সালে আসেন কলকাতায়। এখানেই পড়াশোনা। পড়াশোনার পাশাপাশি চলতে থাকে লেখালেখির কাজও। অনিমেষকে কেন্দ্র করে সমরেশের ট্রিলজি ‘উত্তরাধিকার’, ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’ তাঁকে বাংলা সাহিত্যে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। তাঁর ‘মৌষলকাল’ উপন্যাসটিও আদৃত হয় পাঠক মহলে।

    সমরেশের ‘কালবেলা’ নিয়ে ছবি করেছেন গৌতম ঘোষ। সমরেশের বিখ্যাত উপন্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাতকাহন’, ‘তেরো পার্বণ’, ‘উজান’, ‘গঙ্গা’, ‘ভিক্টোরিয়ার বাগান’, ‘আট কুঠুরি নয় দরজা’ এবং ‘গর্ভধারিণী’। তাঁর গল্পে ঘুরে ফিরে আসে উত্তরবঙ্গের ছবি, বিপ্লব এবং সংগ্রাম। গোয়েন্দা গল্পেও দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন সমরেশ। ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কাকাবাবু, কর্নেলের পাশেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল সমরেশের অর্জুন। ‘খুঁটিমারি রেঞ্জ’, ‘খুনখারাপি’, ‘কালিম্পং-এ সীতাহরণ’ ইত্যাদি গল্পে দুর্দান্ত সব রহস্যের কিনারা করেছে অর্জুন। জলপাইগুড়ির অর্জুন বাংলা তো বটেই, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতেও গিয়েছিল। সমাধান করেছিল রহস্যের।  

    আরও পড়ুুন: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    সমরেশের (Samaresh Majumdar) কলমে প্রাণ পেয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা। তিস্তা, তোর্সা, করলা এই তিন নদীই ঠাঁই পেয়েছে তাঁর উপন্যাসে। জলদাপাড়া, মাদারিহাট, বীরপাড়া, মালবাজার, রাজাভাতখাওয়া, হলং, গরুমারা এবং ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর লেখনির গুনে। কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের পাঠকের মানসপটে ভেসে উঠেছে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা, রূপমায়া সিনেমা, হাকিমপাড়া, শিল্পসমিতি পাড়া, রায়কতপাড়ার প্রাণময় ছবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় এটিএমে (ATM) প্রতারণা করে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারিত হয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই প্রতারণার যে মাস্টারমাইন্ড সে এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কীভাবে এটিএম (ATM) থেকে টাকা হাতিয়েছিল অভিযুক্তরা?

    একদিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়াসহ একাধিক জায়গায় ২২টি এটিএমে কয়েক কোটি টাকা ভরার কথা ছিল। একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংস্থার কর্মী হিসেবে দীপঙ্কর মোদক, সঞ্জীব পাত্ররা এটিএমে (ATM) টাকা ভরার কাজ করছিল। নিয়ম মেনে তারা ১১টি এটিএমে টাকা ভরেছিল। বাকি ১১টি এটিএমে তারা আর টাকা ভরেনি বলে অভিযোগ। এমনকী এটিএমের টাকা ভরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল সবটাই তারা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার তারা হদিশ পাচ্ছিল না। ২ মে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। দীপঙ্করের মাধ্যমেই এটিএমগুলিতে টাকা ভরার কথা ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দীপঙ্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ৩ মে থেকে দীপঙ্কর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। পরিবারের লোকজনও তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দীপঙ্করের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয়। দীপঙ্করসহ কয়েকজনের নামে ৫ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তু দত্ত, সঞ্জিত সরকার এবং সঞ্জিত পাত্র। এদের মধ্যে সঞ্জিত পাত্র এটিএম (ATM) এ টাকা ভরার সংস্থায় কাজ করত। বাকিরা তার বন্ধু। মূল অভিযুক্ত দীপঙ্কর এখনো অধরা। প্রত্যেকের বাড়ি মাহেশে। বন্ধুরা অপরাধ সংগঠিত করতে সাহায্য করেছিল।

    কী বললেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার?

    চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এটিএমে (ATM) টাকা ভরার পরিবর্তে অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছিল। ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় আমরা অভিযোগ পাই। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করি। তাদের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Calcutta High Court: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে এখনই স্থগিতাদেশ নয়! অভিমত হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে এখনই স্থগিতাদেশ নয়! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, পুরসভা ও শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি একটা মিশ্রিত অপরাধ। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্যের তরফে এই আর্জি জানানো হয়। আগামী শুক্রবার এই মামলার রায় ঘোষণা করবে উচ্চ আদালত।

    রাজ্যের দাবি

    রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এদিন শুনানি চলাকালীন বলেন, “প্রথমত, ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির বিচারাধীন বিষয় নয়। তবে তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন? হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার বিচার করবেন। ওই বেঞ্চে পুরসভার মামলা নেই। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই ওই বেঞ্চের।” তাঁর দাবি, “আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। সাধারণত কোনও ঘটনা ঘটলে তা রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করে। খুবই কম ঘটনায় অন্য সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রাজ্যকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই ইডির আবেদন কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।”

    ইডি ও সিবিআইয়ের যুক্তি

    পাল্টা ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, ‘ইডি ও সিবিআইয়ের হাতে কম সময় ছিল। কারণ প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তাই দ্রুত আদালতে আসা। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্রুত শুনানির আবেদন এই কারণে করা হয়। অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ইডি জানতে পারে নিয়োগ দুর্নীতি শিক্ষাবাদ দিয়েও আরও বিভিন্ন দফতরে হয়েছে। মূল মামলায় সিবিআই দিয়েছিলেন, তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন করা হয়। সিবিআই তদন্ত করতে পারে যদি অভূতপূর্ব ঘটনা হয়। ’অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুনর্বিবেচনার অর্থ নতুন করে ফের এই মামলা শুরু করতে হবে। এফআইআর দায়ের হয়ে গিয়েছে। অথচ সেই তথ্য দেওয়া হয়নি শীর্ষ আদালতে। পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণযোগ্য নয়। যেখানে সরকারি কর্মচারি দুর্নীতি করছেন, সেখানে সিবিআই তদন্ত করতে পারে।’

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার নজরদারি! ভারতের আকাশে প্রায় ১০ মিনিট রইল পাক বিমান, কেন জানেন?

    আদালতের মত

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য, ১ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। সেই রিভিউ মামলার রায় আগামী ১২ মে শুক্রবার দেওয়া হবে। তবে, তদন্তে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয়, বলে এদিন জানালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: “বামাদাকে বলো”! ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় পোস্টার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল

    Paschim Medinipur: “বামাদাকে বলো”! ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় পোস্টার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বামাদাকে বলো”। খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) এবার নতুন প্রকল্প। পৌর নাগরিকদের পরিষেবা পেতে দিতে হবে কাটমানি। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় এরকমই পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, শাসকদলের কোনও নেতা বা কাউন্সিলারকে জানিয়ে কিছু লাভ হবে না। কাটমানি এবং সন্ধ্যার পর বোতল সঙ্গে নিয়ে গেলেই একমাত্র সমস্যার সমাধান হবে। শাসকদল-ঘনিষ্ঠ বামাপদ মাইতির বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষ এই অভিযোগ তুলে পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবেই দেখছেন এলাকার মানুষ। কারণ, বিতর্কিত বামাদা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ। চেয়ারম্যানই নাকি তাঁকে দিয়ে যাবতীয় কাজকর্ম করাচ্ছেন। মধুভাণ্ডের ভাগ না পেয়ে তৃণমূলের বিরোধীগোষ্ঠী পোস্টার লাগিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সেখানে নাম দেওয়া হয়েছে নাগরিকবৃন্দের।

    পৌর প্রশাসনের বক্তব্য

    খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলই জানান, এই ধরনের নতুন কোনও প্রকল্প চালু হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। এলাকার তৃণমূলের মহিলা নেত্রী পুতুল বর্ধন অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই পোস্টারের সত্যতা রয়েছে। তিনি সেই সঙ্গে আরও বলেন, পৌরসভার চেয়ারম্যান কোনও কাজ জানে না। তাই সমস্ত কাজের জন্য পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতির ওপর নির্ভর করতে হয়। কাটমানির বিষয়টি জানেন না বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, কাটমানির বিষয় নিয়ে জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি শাসকদল। পৌর পরিষেবা নিয়ে শাসকদলের কাটমানি নেওয়ার ঘটনায় খড়ার পৌর নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ যে অমূলক নয়, তা তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট। 

    বিরোধীদের অভিযোগ

    সিপিআইএম নেতা ফাল্গুনী বীর দাবি করছেন, পোস্টারে লেখা সমস্ত ঘটনাই সত্য। কারণ খড়ার পৌরসভায় (Paschim Medinipur) গেলে বামাপদ মাইতি নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে না জানিয়ে কোনও কাজ হয় না। এলাকার মানুষের অভিযোগ, টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এবং তারই ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খড়ার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন যে বদনাম করার জন্য এই পোস্টারিং করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    Partha Chatterjee: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে ফের ধেয়ে এল ‘চোর, চোর’ স্লোগান। সোমবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত চত্বরে এর সঙ্গে যুক্ত হল, “এই পার্থ কত খেলি”? জাতীয় বাক্যও। এদিন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে পার্থকে হাজির করানো হয় আদালতে। আদালতে ঢোকার সময় বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন পার্থ। সাংবাদিকদের রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন শুনিয়ে চলে যান আদালতে। কটাক্ষ-বাণ আছড়ে পড়ে আদালত থেকে বেরোনোর সময়। আগে থেকেই কোর্ট লক-আপের বাইরে হাজির ছিলেন দুই ব্যক্তি।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ…

    পার্থকে বেরোতে দেখেই ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এঁদেরই একজন ছড়ার সুরে প্রশ্ন করেন, “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি”? এসব বাক্য-বাণের মধ্যেই পার্থকে গাড়িতে তুলে দেন পুলিশ কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এদিন ছিলেন এক প্রবীণও। কসবা বিধানসভা এলাকায় থাকেন। তিনি বলেন, “দেশের কী করে উন্নতি হবে। চোর কোনও দিন বলবে না, আমি সাধু নই। বলবে আমি ভাল”। তিনি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অত কোটি টাকা কোথায় গেল”? এক বিক্ষোভকারী বলেন, “পার্থকে এখানে নিয়ে আসুন। ওকে চুলের মুঠি ধরে বেঁধে রেখে দেব”।

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার পার্থকে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে ভেসে এসেছে কটূক্তি। ২৩ মার্চ আদালতে হাজির করানোর সময়ও পার্থকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। সেদিনও বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন বলেছিলেন, “ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত”।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল বসে থাকবেন না”, বললেন আনন্দ বোস

    অথচ, রবীন্দ্রজয়ন্তীর ঠিক আগের দিন বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন পার্থ। এদিন আদালতে ঢোকার আগে একগাল হেসে তিনি আওড়ান সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের দুটি লাইন। বলেন, “আমি শুধু একটা কবিতার লাইন বলব। মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না। অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা”। এদিন পার্থের মুখে শোনা গিয়েছে অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা। অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি (Partha Chatterjee) বলেন, “১০০ শতাংশ সফল এই কর্মসূচি। নবজোয়ারে জনজোয়ার এসেছে”। এর আগেও একবার তিনি বলেছিলেন, “আমি চাই অভিষেক সফল হোক”। এহেন মেজাজে মসী লেপে দিলেন বিক্ষোভকারীরা। পার্থকে এদিনও একবার শুনতে হল ‘চোর, চোর’ স্লোগান।

    পার্থর রবীন্দ্রজয়ন্তীর আনন্দ কি ফিকে হয়ে গেল না?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: রাজ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘‘অগণতান্ত্রিক’’, তোপ কেন্দ্রের

    The Kerala Story: রাজ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘‘অগণতান্ত্রিক’’, তোপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) সিনেমাকে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ছবি রাজ্যে কোথাও প্রদর্শন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় এই ছবির প্রদর্শন হচ্ছে কিনা তা খোঁজ নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে ইতিমধ্যে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকের বল্লেরির জনসভায় দ্য কেরালা স্টোরির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, এই ছবি সন্ত্রাসবাদের মুখোশ টেনে খুলবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেরালার মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এরাজ্যে। জেলায় জেলায় খোঁজ মিলছে আল কায়দার এজেন্টদের। লাভ জেহাদের অভিযোগও আসছে শ’য়ে শ’য়ে। এমনই আবহে তাই কিছু আড়াল করতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, প্রথম তিন দিনেই ৩৫ কোটির ব্যবসা করেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবি দেখতে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন, কোনও ভাবে সত্যকে আড়াল করতে চেষ্টা করছেন। যখনই দেশে কোনও রকমের দেশবিরোধী শক্তির বিরোধিতা করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী দেশবিরোধী শক্তির পক্ষ নেন। তবে এভাবে সত্যকে আড়াল করা যাবেনা। বেঙ্গল স্টোরিও খুব শীঘ্র আসবে। ’’

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি সংখ্যালঘু তোষণের কারণেই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন?

    সিনেমাতে সন্ত্রাসবাদের মুখোশ খোলা হয়ে থাকলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এতে আপত্তি কিসের? এমনটাও বলছেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী কি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিতেই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন? তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক তোষণের অভিযোগ প্রথম থেকেই। ক্ষমতায় আসার পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল রাজ্যসভার সদস্য করেছিল আহমেদ হাসান ইমরানকে, যিনি ছিলেন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সিমির প্রতিষ্ঠাতা রাজ্য সভাপতি। বিরোধী মহলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কি তবে তাঁর দলের এই লবিকে খুশি করতেই এবং ভোট ব্যাংকের কারণেই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন। 

    আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রযোজক

    মুখ্যমন্ত্রীর এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন প্রযোজক বিপুল শাহ এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বললেন।

    প্রতিবাদ জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলেন অনুরাগ ঠাকুর। এ প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জের উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধায়ের রাজ্যে দিনকয়েক আগেই এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়, তারপরেও তাঁর দেহকে পুলিশ যেভাবে টেনে নিয়ে যায়, এটা দেখে সত্যিই কষ্ট হয়।’’

     
     

  • CBI: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই সিটের প্রধান হলেন কল্যাণ ভট্টাচার্য

    CBI: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই সিটের প্রধান হলেন কল্যাণ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান ছিলেন এতদিন ধরমবীর সিংহ। সোমবার তাঁকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরিবর্তে দায়িত্ব পেলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিক কল্যাণ ভট্টাচার্য, যিনি একজন বাঙালি। প্রসঙ্গত এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি যখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চলছিল তখনই সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরতে চেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিক ধরমবীর সিং। শুধু তাই নয় তিনি সিবিআইয়ের (CBI) চাকরিও ছাড়তে চান বলে আদালতে তখন জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁর মতো অভিজ্ঞ গোয়েন্দার চাকরি ছাড়ার কারণ এখনও অবধি সুষ্পষ্ট নয় কারও কাছে। তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সূত্রের খবর, ধরমবীরবাবু তাঁর এই আর্জি যখন আদালতে জানিয়েছিলেন, তখনই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাঙালি কোনও আধিকারিককে এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে আনার বিষয়ে। সম্প্রতি, টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম নির্দেশে এসেছেন নতুন বিচারপতি। তবে জানা যাচ্ছে, বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসেও এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কান্ডের প্রধান থেকে সরে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ধরমবীর। অন্তত সিবিআইয়ের আইনজীবীরা, সেটাই জানিয়েছেন কোর্টে। আর সেই কারণেই হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।

    গত বছর থেকেই চলছে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তদন্ত

    প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা। প্রথম শুরু হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হওয়া থেকে, এখনও অবধি সর্বশেষ সংযোজন তৃণমূলের বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। অভিজ্ঞমহল বলছে, তদন্তের নির্দেশ যেমন কোর্ট দিয়েছে, তেমনি দ্রুত গতিতে তদন্ত করে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছে সিবিআই (CBI)। এবার প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার গেল এক বাঙালির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) স্মৃতি বিজড়িত বরানগরের শশীভিলা চরম অবহেলায় অনাদরে পড়ে রয়েছে। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ এই বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। এখানেই ঘটা করে বিশ্বকবির দু-দুবার জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। একসময়ের প্রচারের আলোয় ছিল এই বাড়ি। কিন্তু, জাতীয় সংগীতের স্রষ্টার স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি সংস্কার করার বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। ফলে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বাড়িটি এখন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর (Rabindranath Tagore) ১৬৩ তম জন্মদিবস। তার আগেই এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সোমবার হেরিটেজ কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন জানাল বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের সদস্যরা।

    বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) দুবার জন্মদিন পালিত হয়েছিল এই শশীভিলাতে

    বরানগরের গোপাললাল ঠাকুর রোডে এই বাড়িটি রয়েছে। বাড়িটির ভিতরে মূক ও বধিরদের একটি স্কুল রয়েছে। বাড়ির সংলগ্ন সুন্দর বাগানও ছিল। এই বাড়িতে ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে প্রশান্তচন্দ্র মহালানবীশ বসবাস করতেন। মহালানবীশের বিভিন্ন লেখাতেই এই বাড়ির বর্ণনা রয়েছে। বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) এই বাড়িতে থাকার কথাও তিনি তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন। প্রশান্তবাবু এক জায়গায় লিখেছেন, বরানগরের এই বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) থাকতেন খুব ছোট একটি কোণের ঘরে। সামনে একটি বড় জানলা দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণ কোণে দেখা যেত পুকুর ঘাট, আম, সুপুরির বাগান। ছোট কোণের ওই ঘরটার নাম দিয়েছিলেন নেত্রকোণা। এই ঘরে লেখার টেবিল রাখতেন জানলার কাছে থেকে সরিয়ে এক কোণে। দুপাশে দেওয়াল রয়েছে, সামনে কিছু দেখা যায় না, এমন জায়গায় টেবিলটি রাখা হত। কবি বলতেন, খোলা জানলার কাছে বসলে আমার আর লেখা হবে না। আমার মন ঘুরে বেড়াবে বাইরে দূরে। যখন কাজকর্ম শেষ হয়ে যেত, তখন জানলার সামনে ইজিচেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরের দিকে তিনি তাকিয়ে থাকতেন। এই বাড়িতেই বিশ্বকবি স্নান সমাপন, নীহারিকা, মাতা, দ্বৈত, শেষ প্রহরে সহ বেশ কিছু কবিতা লিখেছিলেন। কবির ৭০ তম এবং ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উত্সব এই বাড়িতেই পালিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রচুর অতিথি এই বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন।

    কী বললেন নাগরিক মঞ্চের সদস্য?

    এখন এই বাড়ির হাল অত্যন্ত বেহাল। বিল্ডিংয়ের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। এই বাড়ির ইতিহাস না জানলে এটা পৌরবাড়ি ছাড়া কিছু মনে হবে না। বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই বাড়িটিকে হেরিটেজ করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়। নাগরিক মঞ্চের সদস্য তথা বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন শিক্ষক দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন, শশীভিলাকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কোনও সরকারই এই বাড়িটিতে হেরিটেজ ঘোষণার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। আমরা এর আগে বরানগরের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে গণস্বাক্ষর করেছিলাম। এবার হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালাম। শশীভিলাকে হেরিটেজ করার জন্য আমরা সবরকমের আন্দোলন করতে প্রস্তুত।

    কী বললেন হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি?

    হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি অম্লানজ্যোতি সাহা বলেন, এই প্রথম কেউ ওই বাড়িটি হেরিটেজ করার দাবি জানিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমরা তাদের দাবির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল বসে থাকবেন না”, বললেন আনন্দ বোস

    CV Ananda Bose: “রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল বসে থাকবেন না”, বললেন আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে আইনগত বা সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে একজন রাজ্যপাল শেক্সপিয়রের (Shakespeare) হ্যামলেটের মতো ‘টু বি অর নট টু বি’-র সংশয় নিয়ে বসে থাকবেন না। কারণ, শিক্ষা আমাদের এটাই শেখায়”। সোমবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন-নবান্ন সম্পর্কে যখন ফাটল ধরেছে, তখন রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। রাজ্যপাল বলেন, শিক্ষায় বাংলা পথ দেখাবে। বাংলার ছেলেরা সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াবে। তিনি বলেন, “শিক্ষা যেন শুধু খাতা-বইয়ের মধ্যে আবদ্ধ না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। তার মাধ্যমে যাতে কর্মসংস্থান হয়, তাও খেয়াল রাখতে হবে সব পক্ষকে”।

    রাজ্যের শিক্ষা নিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের মুখে। তিনি বলেন, এই নয়া শিক্ষানীতি দেশের ছাত্র সমাজকে নতুন দিশা দেখাবে। বাংলার শিক্ষার প্রশংসা করে তিনি বলেন, একদিন বাংলা শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখাবে। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলার শিক্ষা যে সেরা, তা বলেছিলেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড় রাজভবন ছেড়ে যাওয়ার পর আসেন সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তার পর থেকে রাজভবন-নবান্নর মধ্যে সমন্বয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে হয় হাতেখড়ির অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা লেখা শুরু করেছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর যে গভীর অনুরাগ রয়েছে, তা বহু বার বলেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত বাঁধে রাজভবন-নবান্নর। বাড়তে থাকে দূরত্বও।

    আরও পড়ুুন: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের

    এহ বাহ্য। কিছুদিন আগে রাজভবনের তরফে রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গতিবিধি এবং আর্থিক লেনদেনের হিসাব চাওয়া হয়। তা নিয়ে ফের একপ্রস্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে নবান্ন। দিন কয়েক সারপ্রাইজ ভিজিটে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তাঁকে মত্ত হস্তীর সঙ্গে তুলনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি রাজভবনে আটকে রয়েছে বেশ কয়েক মাস। তা নিয়েও রাজভবন-নবান্ন হয় মনান্তর। এহেন প্রেক্ষাপটে এদিনের সমাবর্তনে রাজ্যপালের দৃপ্ত ঘোষণা, “রাজ্যে আইনগত বা সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে একজন রাজ্যপাল শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের মতো টু বি অর নট টু বি-র সংশয় নিয়ে বসে থাকবেন না”।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী অবশেষে থানায় গিয়ে হাজিরা দিলেন

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী অবশেষে থানায় গিয়ে হাজিরা দিলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী অবশেষে পুলিশের কাছে হাজিরা দিলেন। ৩ মে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে হাজিরা দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি সাইবার থানায় আসেন। ডিএসপি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে আধ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তিন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কেটে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন। দণ্ডি কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী নামে ওই নেত্রী বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রদীপ্তাকে মহিলার জেলা সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী গত ২ মে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরে এসে আদিবাসী তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করে ঘোষণা করেছিলেন যে দণ্ডিকাণ্ডে যতবড়ই নেতানেত্রী জড়িত থাকুক না কেন তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিকগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড এর ঘোষণার পরদিন ৩ মে দণ্ডি মামলায় প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সাত দিনের মধ্যে হাজিরার নোটিশ পাঠায় পুলিশ। সেই নির্দেশ মেনে এদিন তিনি হাজিরা দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। ঘটনার পর পরই তাঁর বিরুদ্ধে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়াও চলছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, দণ্ডিকাণ্ডের মতো অমানবিক ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন আন্দোলনে নেমেছিল। এদিন অভিযুক্তকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এসব লোক দেখানো নাটক না করে দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। তার গ্রেফতারের দাবিতে আগামীতে বিজেপি আবার আন্দোলনে নামবে বলে জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share