Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • India China: “ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়,” কিনকে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    India China: “ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়,” কিনকে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। এটা স্বাভাবিক হবে না যতক্ষণ সীমান্তে শান্তি এবং স্বস্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। চিনা বিদেশমন্ত্রীকে এ কথাই জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয় গোয়ায়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ওই বৈঠক চলে দুদিন ধরে। এই বৈঠকের পাশাপাশি হয়েছে পার্শ্ববৈঠকও। বৃহস্পতিবার চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই জয়শঙ্কর কিনকে সাফ জানিয়ে দেন, ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি এটা খুব স্পষ্ট করে দিয়েছি। জনসমক্ষেও বলেছি। ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। এটা স্বাভাবিক হবে না, যতক্ষণ সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।

    ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক নিয়ে বার্তা…

    এদিন পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি ফিরিয়ে ভারত ও চিনের সম্পর্ক (India China) স্বাভাবিক করার বার্তা দিয়েছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর তারই জবাব দিলেন বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাজ এক্সোটিকা রিসর্টে বৈঠকে বসেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠক চলে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। বৈঠক শেষে ট্যুইটও করেন জয়শঙ্কর। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, কিছু পড়ে থাকা বিষয়ে সমাধান ও সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন কিনের সঙ্গে। জয়শঙ্কর বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। আমরা সেই বিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

    আরও পড়ুুন: শনিবারের বারবেলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, প্রস্তুতি শুরু

    চিনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তিনি বলেন, উভয় পক্ষের উচিত দুই দেশের নেতাদের দ্বারা উপনীত গুরুত্বপূর্ণ (India China) ঐকমত্য বাস্তবায়ন করা। তিনি আরও বলেছিলেন, প্রাসঙ্গিক চুক্তিগুলি কঠোরভাবে মেনে চলা, সীমান্ত পরিস্থিতি আরও শীতল ও সহজ করার জন্য জোর দেওয়া। যাতে সীমান্তে শান্তি বজায় থাকে। এর পরে পরেই জয়শঙ্কর বলেন, ইস্যু হল সীমান্ত এলাকায়, সীমানা বরাবর অস্বাভাবিক অবস্থান রয়েছে। আমরা এটা নিয়ে খুব খোলামেলা আলোচনা করেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Army Encounter: বাহিনীর প্রত্যাঘাত! রাজৌরি, বারামুল্লায় সেনা এনকাউন্টারে খতম ২ জঙ্গি

    Army Encounter: বাহিনীর প্রত্যাঘাত! রাজৌরি, বারামুল্লায় সেনা এনকাউন্টারে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল ভূস্বর্গ। জঙ্গিদমন অভিযানে গিয়ে গতকাল সকালে আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হয়েছিলেন ৫ ভারতীয় জওয়ান। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক সেনা অফিসার। তার ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাঘাত করল বাহিনী। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের ২টি জায়গায় পৃথক এনকাউন্টারে (Army Encounter) ২ জঙ্গিকে খতম করে বদলা নিল সেনা। 

    আরও পড়ুন: দুমাসও বিয়ে হয়নি! রাজৌরিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল বাংলার সিদ্ধান্তর

    এদিন বারামুল্লা ও রাজৌরি সেক্টরে বিশেষ অভিযানে গিয়ে এনকাউন্টারে (Army Encounter) দুই জঙ্গিকে নিকেশ করলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বারামুল্লার এসএসপি আমোদ অশোক নাগপুরে বলেছেন, “জঙ্গিদের সন্দেহজনক গতিবিধি সম্পর্কে পাওয়া নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করে। গোপন সূত্র মতে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা খবর পায় যে, বারামুল্লার কারহামা কুঞ্জের গ্রামের দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তল্লাশির সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে দুই জঙ্গি নিহত হয়। 

    সেনার তরফে জানানো হয়েছে, নিহত ২ জঙ্গির নাম আবিদ ওয়ানি এস এবং মহম্মদ রফিক ওয়ানি। দুজনেই লস্করের সক্রিয় সদস্য। রাজৌরিতে জঙ্গিদের থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী (Army Encounter)। সেগুলির মধ্যে রয়েছে একটি একে৫৬, একে-র চারটি ম্যাগজিন, ৫৬ রাউন্ড গুলি, ৯ এমএম পিস্তল, সহ তিনটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    সেনার নর্দার্ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীও ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন (Army Encounter)। অন্যদিকে, শনিবার সেনা অভিযান খতিয়ে দেখতে কাশ্মীরে যাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। একথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকালের ঘটনা সম্পর্কে বিশদে খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন তিনি।

  • DA: শনিবারের বারবেলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, প্রস্তুতি শুরু

    DA: শনিবারের বারবেলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, প্রস্তুতি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। আজ, শনিবার বহু চর্চিত সেই মিছিলই হতে যাচ্ছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। এখানেই রয়েছে মমতার বাড়ি আর অভিষেকের ‘প্রাসাদ’।

    ডিএর দাবিতে মিছিলের ডাক…

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে গত ১০০ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। আন্দোলন হচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে। দাবি আদায়ে বন্‌ধ পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। করেছেন কর্মবিরতিও। মহামিছিলও হয়েছে বার কয়েক। গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিল্লির যন্তরমন্তরেও ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন ধর্মতলায় অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। আদালতের নির্দেশে সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মিছিল করার পরিকল্পনা করেন আন্দোলনকারীরা (DA)। ঠিক ছিল, ৬ মে ডিএর দাবিতে মিছিল হবে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়।

    আরও পড়ুুন: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    যদিও প্রথমে পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তার পরেই আন্দোলনকারীরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। আদালতের প্রশ্ন, শান্তিপূর্ণ মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? এর পরেই তৃণমূলের ‘আঁতুড়ঘরে’ মেলে মিছিলের অনুমতি। তবে আদালত এই অনুমতি দিয়েছে শর্ত সাপেক্ষে। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মিছিল করতে হবে সুশৃঙ্খলভাবে। এমন কোনও স্লোগান সেখানে দেওয়া যাবে না, যাতে উত্তেজনা ছড়ায়। আদালতের রায় আন্দোলনকারীদের পক্ষে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। ডিসি পদমর্যাদার বেশ কয়েকজন আধিকারিককে এদিন সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে হাজরা মোড়ে।

    আন্দোলনকারীদের (DA) মিছিল শুরু হবে হাজরা মোড় থেকে। পরে তা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে আশুতোষ কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে বেরবে। এই রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পড়ে না। কারণ তাঁর বাড়ি গলির ভিতরে। তবে অভিষেকের বাড়ির উঠোন দিয়ে যাবে ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের মিছিল। আন্দোলনকারীদের তরফে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, শনিবার রেকর্ড জমায়েত হতে চলেছে। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, তা মেনেই হবে মিছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তের দত্তক নেওয়া গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূলের, সরব বিজেপি

    Sukanta Majumdar: সুকান্তের দত্তক নেওয়া গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূলের, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে যাওয়ার বেহাল রাস্তার কারণে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বালুরঘাট ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছেন এলাকাবাসী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কারে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। ফলে, বহু জায়গায় রাস্তার পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দরবার করেও রাস্তা সংস্কার হয়নি। অপরদিকে, বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি হ‌ওয়ায় এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গ্রামটি দত্তক নেওয়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদ ইচ্ছাকৃতভাবে বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ভাঙা রাস্তায় টোটো না আসায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন এক কিলোমিটার পথ হেঁটে গিয়ে টোটো, অটো ধরতে হয়। ছাত্র ছাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। ভোটের আগে নেতারা এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে যান, ভোটপর্ব মিটলে আর কারও দেখা মেলে না। এবার এই বেহাল রাস্তা সংস্কার না হলে আমরা ভোট বয়কট করব।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা

    বিজেপির স্থানীয় নেতা সুবিমল হেমব্রম জানান, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়ার পর গ্রামে প্রায় চল্লিশটি সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য স্থানীয় স্কুলের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা করেছেন। আরও উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করবেন। কিন্তু, রাস্তাটি জেলা পরিষদের। ফলে, তিনি চাইলেও রাস্তাটি করতে পারেননি। স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি অজয় দেবনাথ জানান, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর এই এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গ্রামটি দত্তক নেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ বেহাল রাস্তা সংস্কারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। তৃণমূলের ভাটপাড়া অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি পুলক দেবনাথ জানান, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নিলেও কোনও কাজ করেননি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে দল থেকে চেষ্টা চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর যেন যুদ্ধক্ষেত্র! নিহত সিআরপিএফ জওয়ান, আয়কর আধিকারিক

    Manipur Violence: ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর যেন যুদ্ধক্ষেত্র! নিহত সিআরপিএফ জওয়ান, আয়কর আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেইতেই জনগোষ্ঠীর তফশিলি উপজাতি পরিচয়ের দাবিতে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। ৩৫৫ ধারা জারি করে, সেনা মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মণিপুর। শুক্রবার গভীর রাতে চূড়াচাঁদপুরে গুলি করে খুন করা হয়েছে বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসা এক সিআরপিএফ কোবরা কমান্ডোকে। রাজধানী ইম্ফলে হিংসার বলি ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের এক আয়কর আধিকারিকও।

    হিংসায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেনা নামার পরে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর যেন যুদ্ধক্ষেত্র। অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, চলতি হিংসায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি জাতিভুক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিল ঘিরে শুরু হয় হিংসা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। 

    মণিপুরে ৩৫৫ ধারা

    পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার মণিপুরে ৩৫৫ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই চূড়াচাঁদপুরে গুলি করে খুন করা হয়েছে বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসা সিআরপিএফের কোবরা বাহিনীর এক কমান্ডোকে। নিহতের নাম ছোনখেলেন হাওকিপ। পাশাপাশি রাজধানী ইম্ফলে লেটমিনথাং হাওকিপ নামে এক আয়কর আধিকারিককে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বিক্ষোভকারীদের থামাতে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

    সেনার সক্রিয়তা

    ইতিমধ্যেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি থেকে ১৩ হাজার সাধারণ নাগরিককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা মণিপুরে যাওয়ার জন্য সি ১৭ গ্লোবমাস্টার এবং এন ৩২ বিমান ব্যবহার করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, তাঁরা প্রায় ১৩ হাজার সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। উদ্ধার করা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এখনও অবধি র‍্যাফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ-সহ আধাসামরিক বাহিনীর ১৪টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। আরও বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করার ব্যবস্থা হচ্ছে। গত ৩ মে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের একটি সমাবেশ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। চূড়াচাঁদপুরের তোরবুং এলাকায় ৬০ হাজারের বেশি লোক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তখনই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেগে উঠুন, কফির ঘ্রাণ নিন, ৩৭০ ধারা ইতিহাস’’! বিলাওয়ালকে জয়শঙ্কর

    মণিপুরের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী মেইতেইরা। মূলত সমতল এলাকার বাসিন্দা এরা। অন্য দিকে, কুকি, অঙ্গামি, লুসাই, নাগা, থাড়োয়াসের মতো প্রায় ৩০টি জনজাতি গোষ্ঠীর বাস পাহাড়ি এলাকায়। তাদের আশঙ্কা, জনজাতির মর্যাদা পেলেই পাহাড়ি এলাকার জমিতে হাত বাড়াবে। এখন জনজাতির মর্যাদা না পাওয়ায় তারা ওই জমি কিনতে পারে না। অন্য দিকে, মেইতেইদের দাবি, ১৯৪৯ সালে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মণিপুর সংযুক্ত হওয়ার আগে তাঁরা জনজাতি হিসাবে গণ্য হতেন। কিন্তু সংযুক্তিকরণের পর সেই পরিচয় হারান তাঁরা। ফলে জনজাতি জমির অধিকার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাংবিধানিক রক্ষাকবচও হারিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে বহাল রয়েছেন অনুব্রত, তাঁকে সরানোর হিম্মত নেই মমতার কারণ, তিনি নাম বলে দিতে পারেন। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর আরও প্রশ্ন, হিমশৈলের চূড়া রয়েছে অনুব্রতর কাছে, জলের নীচের অংশ কার কাছে আছে? এদিন এনআরসি ইস্যুতেও মমতাকে একহাত নেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর মতে, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুসলিমরা বুঝতে পেরেছেন মমতার এই দ্বিচারিতা, তাই তাঁরা সরে আসছেন। প্রসঙ্গত, দুমাস আগেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয় শাসকদল। জেতেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ক্রমশ সংখ্যালঘু মানুষদের আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল, তারই প্রতিফলন দেখা গেছে সাগরদিঘিতে, ২০২১ সালে বিপুল ভোটে জেতা আসন শাসকদলকে খোয়াতে হয়।

    প্রসঙ্গ অনুব্রত…

    শুক্রবার দলীয় দফতরে বসে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রশাসনের পুরো চেষ্টা ছিল যাতে অনুব্রতকে রাজ্যে রাখা যায়। প্রশাসন যে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে চলছে এদিন সে কথাও বলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, এত অভিযোগের পরেও কেষ্ট মণ্ডলকে বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি।

    প্রসঙ্গ এনআরসি…

    এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের মুরগি বানাচ্ছেন মমতা এমন অভিযোগও তোলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, মুসলিমদের ক্রমাগত প্ররোচনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের শত প্ররোচনা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে বলে জানান সুকান্ত। সুকান্তর আশ্বাস, এই মূহূর্তে এনআরসির কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ আইন পাশ করার সময় রাজ্যে যে পরিস্থিতি হয়েছিল তাই আবারও ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে জানান বালুরঘাটের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সিএএ আইন পাশ হওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: মরুশহরে ঝড়! রেকর্ড গড়ে দোহা ডায়মন্ড লিগে সোনা নীরজের

    Neeraj Chopra: মরুশহরে ঝড়! রেকর্ড গড়ে দোহা ডায়মন্ড লিগে সোনা নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরুশহরে নীরজ ঝড়। শুক্রবার রেকর্ড গড়ে দোহা ডায়মন্ড লিগ খেতাব জিতলেন নীরজ চোপড়া। ৮৮.৬৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়লেন তিনি। এই নিয়ে তৃতীয়বার ডায়মন্ড লিগের ইভেন্টে শীর্ষস্থান দখল করলেন নীরজ। চলতি মরসুমে নীরজের প্রথম থ্রোটিই ছিল ৮৮.৬৭ মিটারের। টোকিও অলিম্পিকে রুপোজয়ী জাকুব ভালদেচ রইলেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর সেরা থ্রো ছিল ৮৮.৬৩ মিটারের, যা চোপড়ার চেয়ে ৪ সেন্টিমিটার কম। অ্যান্ডারসন পিটার্স তৃতীয় স্থানে রইলেন, তাঁর সেরা থ্রো ছিল ৮৫.৮৮ মিটারের। ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করাই নীরজের লক্ষ্য। যদিও এবারও সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারলেন না তিনি। 

    ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিনন্দন

    ভারতীয় তারকাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘দোহা ডায়মন্ড লিগে ৮৮.৬৭ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে নীরজ চোপড়া আবার দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। দেশকে নতুন ভাবে সম্মানিত করেছে। নীরজই হল আদর্শ চ্যাম্পিয়ন, যে সমস্ত ধরনের পরিস্থিতিতে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে দেশকে পদক উপহার দেয়। চ্যাম্পিয়নকে অনেক, অনেক অভিনন্দন।’’

    সাড়া জাগিয়ে সোনা

    এশিয়ান গেমসের আগে এই ডায়মন্ড লিগকেই পাখির চোখ করেছিলেন ভারতীয় তারকা। গত বছর প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই মঞ্চে পদক জয় করা নীরজ শুক্রবার তাঁর নতুন অভিযান শুরু করেন সাড়া জাগিয়েই। সুহেম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে প্রথম বারেই তিনি জ্যাভলিন ছোড়েন ৮৮.৬৭ মিটার। নীরজ বলেছেন, ‘‘এমন একটা সাফল্য পেয়ে আনন্দিত। তবে এখনও নিজের সেরা ফর্মে পৌঁছতে পারিনি। তবে এই সোনা আমাকে অবশ্যই লক্ষ্যপূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ মোট ছ’বার এ দিন জ্যাভলিন ছোড়েন নীরজ। বাকি পাঁচটি ক্ষেত্রে তিনি যথাক্রমে ৮৬.০৪ মিটার, ৮৫.৪৭ মিটার, ৮৪.৩৭ মিটার এবং ৮৬.৫২ মিটার জ্যাভলিন ছোড়েন। তাঁর চার নম্বর জ্যাভলিন ফাউল হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: পিএসজি ছাড়ছেন! দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত মেসি কি ফের বার্সেলোনায়?

    ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা গর্বের

    দোহা পর্বে জিতে নীরজ বলেন, ‘প্রতিটা অ্যাথলিটের জন্যই এখানকার পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। শেষ অবধি জিততে পেরে ভালো লাগছে। মরসুমের শুরুটা ভালো হল, এটুকু বলতে পারি। পরবর্তী যে টুর্নামেন্টেই নামি, লক্ষ্য থাকবে প্রথম হওয়া। পুরো মরসুমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। পরের ইভেন্টে আরও ভালো থ্রো করার জন্যই পরিশ্রম করে যাব।’ নীরজকে সমর্থন করতে এ দিন গ্যালারিতে ছিলেন অনেক ভারতীয় দর্শক। তা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘অনেক মানুষ আজ আমাকে সমর্থন করতে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। তাঁদের আনন্দ দিতে পেরে আমিও তৃপ্তি অনুভব করছি। বিশেষ করে, ভারতের মতো দেশের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলে প্রত্যাশার চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। আশা করি, ভবিষ্যতে ভারত থেকে আরও অনেক নতুন প্রতিভা ডায়মন্ড লিগে নিজেদের দক্ষতা এবং শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবেন।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই  ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন রাজ্যবাসী। দুদিন আগে মালদহের ইংরেজবাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা চুরি করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সেই নবজোয়ার কর্মসূচির ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম অস্বস্তিতে নেতৃত্ব। তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ভার্চুয়াল মিটিং চলাকালীন জেলা ও রাজ্যের নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান!

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হতে চলেছে তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল মিটিং এর আয়োজন করা হয়। গুগল মিটের মাধ্যমে এই মিটিং হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ও প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৈয়দ মিলু, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী এবং অন্যান্য ব্লক ও জেলা স্তরের নেতৃত্বরা। রাজ্যস্তরের নেতারা মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মিটিং ছিল তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের কোর কমিটির মিটিং। তবে সেই মিটিং এর শুরুতেই হোঁচট। হঠাৎই স্লোগান ওঠে “চোর চোর চোরটা, অভিষেকের পিসিটা। “এমনকী মিটিং চলাকালীন একাধিক মেসেজে ভেসে আসতে থাকে ত্রিপল ও কয়লা চুরির ঘটনা। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আক্রমণ করা হয় রাজ্য তৃণমূলের আইটি সেল এর সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করা হয় মেসেজ ও স্লোগানের মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, আর তার আগে তৃণমূলের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে এধরনের দলবিরোধী স্লোগান ভাবাচ্ছে বুথ থেকে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বদের।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    ভার্চুয়াল মিটিং এর এই ভিডিওই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবিরের ছাত্র সংগঠন। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, মিটিংয়ে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, এটা ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। কর্মীদের ওপর নেতৃত্বের কোনও লাগাম নেই। তাই, মিটিংয়ের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘জেগে উঠুন, কফির ঘ্রাণ নিন, ৩৭০ ধারা ইতিহাস’’! বিলাওয়ালকে জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘জেগে উঠুন, কফির ঘ্রাণ নিন, ৩৭০ ধারা ইতিহাস’’! বিলাওয়ালকে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে যদি কথা বলতে হয় তাহলে অধিকৃত কাশ্মীর (Occupied Kashmir) তারা কবে খালি করছে (vacate) শুধুমাত্র তা নিয়েই কথা হবে। পাশাপাশি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি যা বলছেন তাতে কোনও গুরুত্ব না দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

    জয়শঙ্করের জবাব

    জয়শঙ্কর শুক্রবার বলেন, ‘‘আমি বলতে চাই, জি২০-র সঙ্গে তাদের (পাকিস্তানের) কোনও সম্পর্ক নেই। সেই সঙ্গে আমি বলব যে শ্রীনগরের সঙ্গেও তাদের কোন সম্পর্ক নেই। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করার জন্য শুধুমাত্র একটি ইস্যু আছে তা হল, পাকিস্তান কখন অধিকৃত কাশ্মীরের অবৈধ দখলদারি ছেড়ে দেবে।’’ সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকে যোগ দিতে গোয়ায় এসে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছিলেন, ‘‘ভারত যদি ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট নেওয়া পদক্ষেপ (৩৭০ ধারা বাতিল) পর্যালোচনা না করে, পাকিস্তান তা হলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না।’’ 

    ৩৭০ এখন ইতিহাস

    ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভূস্বর্গকে ‘অধিকৃত কাশ্মীর’ বলেও উল্লেখ করেন পাক বিদেশমন্ত্রী। পাশাপাশি টেনে আনেন কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের প্রসঙ্গও। এরপরই ৩৭০ ধারা নিয়ে পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) ভুট্টোর উদ্দেশে কড়া বার্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রীর। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘জেগে উঠুন এবার, কফির ঘ্রাণ নিন, ৩৭০ এখন ইতিহাস।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, “যাঁরা জঙ্গি হামলায় শিকার, তাঁরা কখনই সন্ত্রাসবাদের অপরাধীদের সঙ্গে এক টেবিলে আলোচনায় বসতে পারে না। যাঁরা সন্ত্রাসবাদের শিকার, তাঁরা সর্বদাই নিজেদের রক্ষা করতে ব্যস্ত থাকে। সন্ত্রাসবাদকে ঠেকাতে নানা রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিন্তু যাঁরা সন্ত্রাসবাদকে বৈধতা দেন, তাঁরা এখানে বসে মিথ্যা কথা প্রচার করছেন। আমরা একই নৌকায় রয়েছি, এটা জোর করে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।”

    আরও পড়ুন: ‘পাসওয়ার্ড’ নয়! গুগল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে এবার লাগবে ‘পাস কি’

    উল্লেখ্য, এদিন গোয়ায় এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক চলাকালীন ফের রক্তাক্ত হয় কাশ্মীর। শুক্রবার রাজৌরির জঙ্গলে জঙ্গি দমন অভিযানে নেমেছিল সেনা। সেখানে সন্ত্রাসবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হন পাঁচজন। বিলাওয়ালের সফরের মধ্যেই জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। আজ ভোর থেকেই জম্মুর দুটি জায়গায় সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টার হচ্ছে। সেখানে এক জঙ্গি খতম হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর যদি উত্তরবঙ্গের কথা ওঠে, তাহলে বোরোলিকে বাদ দিয়ে মাছ নিয়ে তো আলোচনা করা যায় না। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, আগে কালজানি নদীতেও প্রতিনিয়ত মিলত এই মাছ। এখন তা কার্যত দুষ্প্রাপ্য। গত দু-একদিন ধরে আবার কালজানি নদীতে সে মাছের সন্ধান মিলেছে। দাম যতই হাতে ছ্যাঁকা লাগানোর মতো হোক না কেন, বাজারে আনামাত্রই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আসলে দীর্ঘদিন পর কালজানির সুস্বাদু বোরোলির দেখা পেয়ে ক্রেতারা আর দামের তোয়াক্কা করছেন না।

    কালজানি নদীতে জেলেদের জালে উঠছে বোরোলি মাছ

    টানা খরা কাটিয়ে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালজানি নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে উত্তরের সুস্বাদু মিষ্টি জলের নদীয়ালি বোরোলি মাছ। গত কয়েক দিনে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হতেই কালজানি নদীতে ধরা পড়ছে এখানকার রুপোলি ফসল বোরোলি মাছ। মৎস্য প্রেমিকদের কাছে ইলিশের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে এই  বোরোলি মাছ। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাইরে থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছেও বোরোলি মাছ খুবই আকর্ষণীয়।

    বাজারে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে বোরোলি মাছ?

    কালজানি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন বাচ্চু বর্মন, প্রদীপ দাসরা। তাঁরা বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই বোরোলি জালে ধরা পড়ে না। বর্ষাকালে বেশি জলে যেমন ওই মাছকে ধরা যায় না, তেমনি শীতকালে নদীতে জল কমে গেলেও এই মাছের দেখা পাওয়া যায় না। তবে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে ওই মাছ কিছু দিনের জন্য ধরা যায়। বাজারে বোরোলি মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বিক্রি করে বেশ লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরাও। মে মাসে কিছুদিনের জন্য বোরোলি আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিভিন্ন বাজারে পাওয়া গেলেও বছরের অন্যান্য সময় গঙ্গার পিয়ালি মাছকে এখানে বোরোলি মাছ বলে বিক্রি করা হয়। যদিও একই রকম দেখতে হলেও স্বাদের দিক থেকে বোরোলির ধারে কাছে আসতে পারবে না পিয়ালি মাছ। ফলে কিছুদিনের জন্য কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বাজার থেকে কিনতে দরদামের তোয়াক্কা করছেন না আমবাঙালি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share