Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Jammu and Kashmir: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    Jammu and Kashmir: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই রাজৌরির জঙ্গলে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ৫ জওয়ান। রাজৌরির কান্দির জঙ্গলে শুক্রবার সাত সকালে জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াই চলাকালীন হঠাৎই জঙ্গিদের ছোড়া বোমের অভিঘাতে নিহত হন ২ জওয়ান, আহত ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ৩ জনের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে, শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারমুল্লা জেলায় একটি পৃথক এনকাউন্টারে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর সেনা সূত্রে। ঘায়েল আরও এক জঙ্গি। যদিও নিহত জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে, শুক্রবারে হামলার দায় স্বীকার করেছে The People’s Anti-Fascist Front (PAFF) নামের একটি সংগঠন। জানা গিয়েছে, এটি জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের শাখা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আচমকা গত কয়েক মাসে ভূস্বর্গে জঙ্গি কার্যকলাপ নতুন করে মাথাচাড়া দিল কেন?

    জি২০ সম্মেলন নিয়ে উৎসাহ ভূস্বর্গে

    সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর তার নিজের ছন্দেই ফিরেছে, হোটেলগুলোতে পর্যটকদের ভিড় থিক থিক করছে, বলিউড ছবির শ্যুটিংও চলছে। এই আবহে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) উত্তপ্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছে। উদ্দেশ্য শুধুই কি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মীরকে ভারত জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এই দাবিতে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে পাকিস্তান কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করেছে ভারত। তার পর থেকেই পাকিস্তান আরও দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

    এরই মধ্যে চলতি মাসেই কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জি২০-র একটি সম্মেলন হতে চলেছে। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বে কাশ্মীরের শ্রীনগরে ২২ থেকে ২৪ মে-র মধ্যে এই আন্তর্জাতিক সংগঠনের পর্যটন ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা। আসন্ন বৈঠকে চিন ছাড়া জি২০-র সকল সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের পাশাপাশি, আগত প্রতিনিধিদের ২৪ মে কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে। শ্রীনগরের ডাল লেক এবং গুলমার্গ স্কি-রিসর্ট সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট পর্যটন স্থলে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের। ২৫ মে তাঁরা দিল্লিতে ফিরে আসবেন।

    কী এই জি২০ এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

    জি২০, বা ‘গ্রুপ অফ টোয়েন্টি’ হল, বিশ্বের প্রধান প্রধান উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির ফোরাম। এই গোষ্ঠীর সদস্য হল– ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম। জি২০ গোষ্ঠীর দেশগুলি বিশ্বের সামগ্রিক জিডিপির (মোট উৎপাদন) প্রায় ৮৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রক। বিশ্ব বাণিজ্যেরও ৭৫ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। পাশাপাশি, মানব সম্পদেও ভরপুর এই গোষ্ঠী। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির বাসিন্দা। অর্থাৎ, এই গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার অর্থ, বিশ্ব অর্থনীতিতে সেই দেশের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    ভারত উন্নতির পথে, পাকিস্তান অবনতির

    মোদি জমানায় বিশ্ব দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি যে হারে বেড়েছে, তা স্বাধীনতার ৭০ বছর পর তেমন হয়নি। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে ভারত নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে প্রমাণ করেছে। এখন বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিশালী দেশ ভারতকে চটানোর আগে দুবার ভাবে, কারণ, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বাজার। মোদি জমানায় ভারত এখন স্রেফ উন্নয়শীল নয়, উন্নীত রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে, জি২০ গোষ্ঠীর সদস্য নয় পাকিস্তান। কার্যত দেউলিয়া হওয়ার পথে তারা। তদাপি, ভারতের উন্নতি কোনও কালেই সহ্য করতে পারে না ইসলামাবাদ। নিজেদের ঘর ভাঙছে, অথচ, সেদিকে অন্ধ থেকে ভারতের ক্ষতি করাতেই মনোযোগ পাক সরকার, আইএসআই ও পাক সেনা।  জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের সভাপতিত্বে হতে চলা এই জি২০ বৈঠক নিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। যদিও ইসলামাবাদের সেই আপত্তি পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়ে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছিল, জি২০-র সম্মেলনগুলি সারা দেশেই সংগঠিত হচ্ছে। এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও জি২০-র বৈঠক হওয়া অত্যন্ত ‘স্বাভাবিক ঘটনা’। কারণ এই দুই অঞ্চল ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ। লাদাখের লেহ্-তে ইতিমধ্যেই নির্বিঘ্নে জি২০ গোষ্ঠীর ইউথ এনগেজমেন্ট গ্রুপের বৈঠক হয়েছে। এবার পর্যটন গ্রুপের বৈঠকও হতে চলেছে। 

    সম্মেলন বানচাল করতেই কি হামলা?

    ভারতের জবাব যে পাকিস্তানের পছন্দ হয়নি তা বলাই বাহুল্য। ফলে, উপায় না দেখে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিতে শুরু করেছে ইসলামাবাদ ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। লক্ষ্য, বৈঠক বানচাল করতে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা। জম্মু-কাশ্মীরের এক পদস্থ প্রশাসনিক কর্তা জানান, জি২০-র আগে পরিকল্পিতভাবে ভূস্বর্গে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জি২০ সদস্যভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের শ্রীনগরে আসার ব্যাপারে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।

    যবে থেকে উপত্যকায় জি২০ দামামা বেজেছে, সেই থেকেই পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি বেশ কিছুদিন ধরেই উপত্যকায় নাশকতামূলক কার্যকলাপ নতুন করে বৃদ্ধি করেছে। সাম্প্রতিককালে, পুঞ্চের ভিমবার গলিতে হামলা হয়েছে। সেখানে ৫ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। প্রায় নিত্যদিন অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা বা মারা পড়ছে জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবারও বারামুল্লায় ২ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বাহিনী। এরই মধ্যে শুক্রবার জঙ্গি-দমন অভিযানে বেরিয়ে শহিদ হলেন আরও ৫ সেনা জওয়ান।

    পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    এদিকে, এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তার মধ্যেই এই হামলা চলেছে। কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) অশান্ত! এই বার্তাই আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দিতে চায় পাকিস্তান। জি২০-র সম্মেলনের আগে তাই উপত্যকায় বারংবার হামলা চালাচ্ছে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ইসলামাবাদের এই ‘খেলা’ ধরে ফেলে, গতকাল পাকিস্তানকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পাক বিদেশমন্ত্রী ভুট্টোকেও। ভুট্টোকে ‘জঙ্গি ইন্ডাস্ট্রির মুখপাত্র’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে এও স্পষ্ট করে দিলেন যে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চায় না ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, করোনার সংকট শেষ হয়েছে। হু (WHO)-এর এই ঘোষণার ফলে তিনবছর পরে করোনার দাপট ও উদ্বেগ থেকে রেহাই মিলল বিশ্ববাসীর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ থেকে করোনার দাপট শুরু হয়েছিল চিনে, পরে সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। ১৪০ কোটির দেশ ভারতে করোনা মোকাবিলা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও শুরু হয় লকডাউন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমারির কারণে বিশ্বব্যাপী সেই পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন দেখা যেত। চিন, আমেরিকা সমেত কয়েকটি দেশে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো ভ্যাকসিন তৈরি করে।

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান…

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে, মৃত্যুর হার ছিল প্রতি সপ্তাহে ১,০০,০০০ সেখানে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তা নেমে এসেছে ৩,৫০০। হু-এর মতে, কমপক্ষে ৭০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন অতিমারির কারণে। তবে এবার সেসব থেকে মুক্তি। হু (WHO)- এর মতে, বিশ্বজুড়ে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এমন মানুষের সংখ্যা ৭৬ কোটি ৫০ লক্ষ।

    ৪ মে বৈঠকে বসেছিল হু (WHO)

    চলতি সপ্তাহের ৪ মে হু-এর করোনা সংকট মোকাবিলা কমিটি তাদের ১৫ তম বৈঠকে বসেছিল। সেখানেই ঘোষণা করা হয় অতিমারি শেষ হয়েছে। হু- এর এই ঘোষণা বিগত তিন বছরে, বিশ্বজুড়ে অতিমারির ডেটা বিশ্লেষণ করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি হু (WHO) জানিয়েছে এই ঘোষণার ফলে একেবারেই যে আমরা বিপদমুক্ত এটা ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রতিটা দেশ এবার নিজেদের মতো করে করোনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিক বলেও জানিয়েছে হু।

    ভ্যাকসিনই কি করোনার দাপট রুখে দিল?

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দেশে দেশে ভ্যাকসিনের প্রয়োগের ফলেই মিটল করোনার দাপট। হু (WHO)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বব্যাপী ১৩০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা বহু মানুষের মৃত্যু অথবা কঠিন স্বাস্থ্য সমস্যাকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। হু-এর আক্ষেপ এখনও এমন দেশ রয়ে গেছে যেখানে সব মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাবাদিঘি জটে দীর্ঘ দিন ধরেই থমকে রয়েছে তারকেশ্বর – বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ। দিঘি বাঁচাও কমিটির আন্দোলনের (Agitation) জেরে রেললাইনের প্রকল্পের কাজ গোঘাটের ভাবাদিঘি এলাকায় থমকে রয়েছে। বারবার রেল কর্তারা ভাবাদিঘি পরিদর্শন করলেও কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি। এদিকে দিঘির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তার মাঝে ফের শুক্রবার ভাবাদিঘি পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু, কোনও কথাই হল না আন্দোলনকারীদের (Agitation) সঙ্গে। উল্টে আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন তাঁরা। হাতে পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ দেখান এলাকাবাসী।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    রেললাইনের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে এলাকার মানুষ। এদিন ভাবাদিঘির রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করতে আসেন পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। তাঁরা তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে করে গোঘাট স্টেশনে এসে নামেন। তারপর সড়কপথে ভাবাদিঘির রেল লাইনের কাজ পরিদর্শনে যান। বিষয়টি জানার পরই এলাকাবাসী সেখানে যান। রেল আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু, তাঁরা কথা বলেননি। এরপরই এলাকাবাসী পোস্টার হাতে নিয়ে রেল আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    রেল আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা রেল প্রকল্পের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, ভাবাদিঘির উপর দিয়ে এই প্রকল্প হোক আমরা চাই না। কারণ, এই দিঘির জলের ওপর শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল। আমরা রেল আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেই আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতাম। কিন্তু, তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনবোধ করলেন না। তাই পোস্টার লিখে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি তাঁদের কাছে তুলে ধরতাম। গ্রামের মানুষ রেলকর্তাদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান।

    এদিন রেল কর্তারা এলেও ভাবাদিঘির জট ক্রমশ খোলার জায়গায়, আরও বেশি করে জট পাকিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও রেল আধিকারিকরা এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। ভাবাদিঘির পর তাঁরা বাঁকুড়ার- বিষ্ণুপুর এলাকায় রেল লাইনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি নয়, সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানালেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে খুন হওয়া মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা এই দাবি জানান। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সিআইডি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। তাই, পুলিশের গুলিতে খুনের ঘটনায় আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল এলাকা। পরে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় আদিবাসী ও রাজবংশী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় থানা। ঘটনার পর পরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরতে গিয়ে নিরীহ যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

    মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা কেন ঘরছাড়া?

    ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন মৃতের পরিবার। বিভিন্নভাবে চাপ আসছে পরিবারের ওপর। এমনই অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা বলেন, ঘটনার পর থেকে রাতে গ্রামে পুলিশ আসছে। ভয় দেখাচ্ছে। আতঙ্কে আমরা ভিটে ছেড়ে চলে এসেছি। কখনও সপরিবারে শিলিগুড়িতে রয়েছি। কখনও আবার মালদহে। রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে আমার ভাইকে গুলি করে খুন করল। আমাদের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে পারে। আতঙ্কে আমরা আর বাড়িতে থাকার সাহস পাইনি। এদিন কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান?

    জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণবাবু বলেন, এদিন আমাদের কালিয়াগঞ্জে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু, জানতে পারলাম, তাঁরা কেউ বাড়িতে নেই। পুলিশের আতঙ্কে তাঁরা ভিটে ছাড়া। মালদহে রয়েছে জেনে আমরা তাঁদের ডেকে কথা বললাম। পরিবারের সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আমরা কথা বলেছি। সমস্ত বিষয় আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। পরে, আমরা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে যাব। সেখানে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা এবং তাঁদের নিরাপত্তা আমরা সুনিশ্চিত করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের আলোতে পুকুর চুরির অভিযোগ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলার জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি জমিতে চলছে সবুজ ভুট্টার চাষ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে ১০০ দিনের কাজে। এবং এই দুর্নীতিতে তৃণমূল (TMC) নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পুকুর চুরির এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায়। ১০০ দিনের কাজের এই দুর্নীতিতে উচ্চ আদালত আজকে উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী দুমাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। ১০০ দিনের কাজে এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরই মামলা করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার এক ব্যক্তি। সেই মর্মে গত বছরের ৩১ অক্টোবর জেলাশাসককে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, তদন্ত সন্তোষজনক না হওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজকে এই পর্যবেক্ষণ দিল। 
    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজের ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নবজোয়ার সভাতে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা বলে বারংবার অভিযোগ তুলছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ১০০ দিনের কাজে চুরি বন্ধ করলে তবেই কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে মিলবে টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিজেপি, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে চুরির যে অভিযোগ করে আসছে, এদিনের পুকুরচুরির ঘটনা বিজেপির অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল।

    কী বলল হাইকোর্ট

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করবেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তদন্তের ওপর নজরদারি চালাবেন পঞ্চায়েত সচিব। তদন্তের রিপোর্ট প্রতি সপ্তাহে পঞ্চায়েত সচিবকে দেবেন জেলাশাসক। ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এই তদন্ত। আদালতের আরও পর্যবেক্ষন, তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত প্রধানদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে এমনিতেই আদালতে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে শাসক দল। এবার ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে এল হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার। সামনে এল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার নাম। বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় জেলা রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই হুগলির শান্তনু এবং কুন্তলের নাম শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়াল আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। সূত্রের খবর, শান্তনু, কুন্তল এবং সাহিদ ইমাম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের ছায়া সঙ্গী ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি সালেপুর ১নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা।

    কে এই গুণধর খাঁড়া?

    গুণধর খাঁড়া শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাওয়া থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠার ঘটনা অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো। দিন আনা দিন খাওয়া ঘরে অভাবি নাপিত পরিবারে জন্ম তাঁর। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পৈতৃক বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। পড়াশুনা তিনি খুব বেশিদূর জানেন না। তবে, মাজা-ঘষা করে নাম সই করা ভালো করে শিখে নিয়েছেন তিনি। একসময় তিনি ক্ষুর, কাঁচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটতেন। শুরুর দিকে এটাই ছিল রোজগারের মাধ্যম তাঁর। তারপর হুগলি জেলার সালেপুর এলাকায় একটি সেলুনের দোকান শুরু করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর পর তিনি অন্য আর একটি পেশায় যুক্ত হন। চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনি চাল বিক্রি করতেন। জানা যায়, ১৯৮৩ সালে কংগ্রেসের হয়ে আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতের সদস্য হন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দল বদল করে তিনি তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন। এরপর ভোটে জিতে জন প্রতিনিধি হয়ে নিজের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিনি প্রধান নির্বাচিত হন। পরে, ২০১৮ সালে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হন। সেখানে জয়ী হয়ে তিনি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন।

    কত সম্পত্তির মালিক এই তৃণমূল (TMC) নেতা?

    গুণধরবাবু তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর আস্তে আস্তে তাঁর সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করে। প্রথমে তিনি ধানের বীজ ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমদিকে অবশ্য পার্টনারশিপেই ব্যবসা চললেও পরবর্তীতে ক্ষমতার জোরে ব্যবসা নিজের হাতে হাতিয়ে নেন। এলাকা সূত্রে জানা যায়, তাঁর একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি রয়েছে, যার নাম কালীমাতা সিড ফার্ম। এই কোম্পানিটি সালেপুরের পাঁচ মাইল এলাকায় রয়েছে। তাঁর রাজকীয় বহুতলবাড়ি আছে। এমনকী তাঁর নামে বাঁকুড়ার তালডাঙরা এলাকাতেও একাধিক জমি এবং বহু বাড়ি রয়েছে। সবমিলিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। গুণধরবাবু নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দুই মেয়ে, মেয়ের জামাই ও তাদের বন্ধুবান্ধবদের চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন আগে চাকরি করে দেওয়ার নামে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে তাঁর। তাই এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে তলব করা হয় তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ২৬ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, কারও চাকরি হয়নি। ইডি-র কাছে তিনি সব তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সায়গলের ফোন দিয়েই গরুপাচারের সাম্রাজ্য গড়েন কেষ্ট! চার্জশিটে আর কী কী জানাল ইডি?

    Anubrata Mondal: সায়গলের ফোন দিয়েই গরুপাচারের সাম্রাজ্য গড়েন কেষ্ট! চার্জশিটে আর কী কী জানাল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি (ED)। ইডি গত ৬ মার্চ অনুব্রতকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছিল। তার ৫৯-তম দিনের মাথায় চার্জশিট দায়ের করেছে ইডি। সেই সঙ্গে দু’টি খণ্ডে তথ্যপ্রমাণ-সম্বলিত ৯০০ পৃষ্ঠার নথিও জমা দিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাখিল করা চার্জশিটে আরও বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত। 

    ১০-১২ বার লটারি জিতেছেন

    বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জমা পড়া তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডি দাবি করল, লটারি কেটে নয়, লটারির পুরস্কারপ্রাপকদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে টিকিট কিনে নিতেন অনুব্রত। এ ভাবেই ২ কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ার আড়ালে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে, অনুব্রত জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং কন্যা সুকন্যা মোট ১০-১২ বার লটারি জিতেছেন। তার মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে ৫-৬ বার লটারিতে পুরস্কার জিতেছে তাঁর পরিবার। আদালতে জমা পড়া চার্জশিটে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছে, অনুব্রত এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা আসল পুরস্কারপ্রাপকদের কাছ থেকে অনেকগুলি লটারির টিকিট কিনে নিয়েছিলেন। যে লটারিগুলিতে পুরস্কার উঠেছিল। ইডির দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, বোলপুরের লটারি বিক্রয়কেন্দ্র গাঙ্গুলি লটারি এজেন্সির সঙ্গে অনুব্রত বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে বোঝাপড়া করে নিয়েছিলেন। 

    সায়গলই সেতু

    অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন ব্যবহার করেই গরুপাচারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে চার্জশিট পেশ করে এমনই জানিয়েছে ইডি। এমনকী ওই ফোনের ২টি নম্বর দিয়েই যে গরুপাচারকারী এনামুল হক ও আবদুল লতিফ অনুব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন আদালতে তারও প্রমাণ পেশ করেছেন তদন্তকারীরা। ইডির পেশ করা চার্জশিটে জানানো হয়েছে, অনুব্রত নিজে কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। তিনি সায়গল হোসেনের ২টি নম্বর ব্যবহার করে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। চার্জশিটের সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে সায়গল হোসেনের ২টি ফোনের কল ডিটেইলস আদালতে পেশ করেছে ইডি।

    ঘনিষ্ঠদের ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত 

    চার্জশিটে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গরুপাচারের বিপুল টাকা লুকিয়ে রাখতে ঘনিষ্ঠদের ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাদের দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রতর নির্দেশে তাঁর বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েন, তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলান সায়গল। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টে প্রচুর নগদ জমা পড়তে থাকে। এছাড়া তৃণমূল কাউন্সিলর ওমর শেখ, তৃণমূল কর্মী অর্ক দত্ত, তাপস মণ্ডল ও শ্যামাপদ কর্মকারকে দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন অনুব্রত। এমনকী এলাকার সবজি ব্যবসায়ী বিজয় রজককে দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলান তিনি।

    আরও পড়ুন: মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রতের বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ ইডির

    ইডি জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে, অনুব্রতর নির্দেশে সায়গল হোসেন তাদের অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেন। তবে সেই অ্যাকাউন্টের পাশবই, চেকবই ও ক্রেডিট কার্ড অনুব্রতর কাছেই থাকত। অনুব্রত ইচ্ছামতো সেই টাকা খরচ করতেন বা কাউকে পাঠাতেন। এব্যাপারে বিন্দু বিসর্গ জানেন না তাঁরা। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, জেরায় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বাবা অনুব্রত মণ্ডল যেমন নির্দেশ দিতেন তেমন সই করে দিতেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন একুশের বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। তাঁর দায়ের করা নির্বাচন সংক্রান্ত পিটিশন খারিজ করে দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    দ্বৈত নাগরিকত্বের জায়গা নেই

    গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলোরানি। এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। তাঁরই দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন আলোরানি সরকার। একক বেঞ্চে শুনানির সময় আদালতকে জানানো হয়, আলোরানি বাংলাদেশের ভোটার। ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। হাইকোর্টে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন বিজেপি বিধায়ক স্বপনের আইনজীবী অরিন্দম পাল। আদালতকে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছিল, আলোরানি বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাংলাদেশেই তাঁর বিয়ে হয়েছে। সেখানেই তাঁর স্বামী থাকেন। 

    আরও পড়ুন: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    আলোরানির বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, দায়িত্বশীল দল হিসাবে কখনই একজন বাংলাদেশিকে ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রার্থী করা যায় না। আলোরানিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখাও হয়েছিল। গত বছর ২২ মে তাঁর মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের ভোটার লিস্ট আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে, তাই আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। বিচারপতি জানান, ভারতের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই। ফলে মামলাকারী নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতে পারেন না। তিনি দেশের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলোরানি। এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন আলোরানি সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গি হামলা জম্মু-কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া বোমার আঘাতে ৫ জন সেনা আধিকারিকের (Indian Army) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন ১ জন সেনা অফিসার, উধমপুরের সেনা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    ঠিক কী ঘটনা?

    রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে এদিন সকাল থেকেই জঙ্গি নিকেশ অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। জানা গেছে, জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে হামলা চালায়। শুরু হয় দুইপক্ষের গুলির লড়াই। এমন সময়ে জঙ্গিদের দিক থেকে ছোড়া হয় বোমা, তাতেই প্রাণহানি ঘটে ২ সেনা আধিকারিকের। আহত হন ৪ জন, তাঁদের ভর্তি করানো হয় সেনা হাসপাতালে, সেখানে তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি কান্দি জঙ্গলে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলছে বলে খবর। সেখানে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেনা সূত্রে খবর, সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গিরও। সকালের ঘটনার পরেই রাজৌরি সেক্টরে বাড়ানো হয় সেনা সংখ্যা। ইদের প্রাক্কালে পুঞ্চে সেনা (Indian Army) ট্রাকে যে জঙ্গি গোষ্ঠী গ্রেনেড ছুড়েছিল, এদিন তারাই হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান সেনার।

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলছেই 

    গত সপ্তাহেই সেনা (Indian Army) ট্রাকে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিরা। তাঁরা পুঞ্চে ইদের ফল বিতরণ করতে যাচ্ছিলেন। ট্রাকে থাকা ৫ জওয়ান ঝলসে যান গ্রেনেড হামলায়। আবার চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বারামুলার ওয়ানিগাম পায়েন ক্রিরি এলাকায় সেনা জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই লস্কর জঙ্গির। নিহতদের নাম শাকির মাজিদ ও হানাম আহমেদ শেহ। তাদের থেকে AK-47 রাইফেল, পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বুধবারও কুপওয়ারাতে ২ লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ময়না। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষ হতেই নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। সভা থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হন দুই বিজেপি (BJP) কর্মী। তাঁদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনিতেই বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হওয়ার পর পরই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। ময়নায় এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৪মে দলীয় কর্মী খুনের সিবিআই তদন্ত এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করেছিলেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বৃহস্পতিবার ধিক্কার ও পদযাত্রায় পা মেলান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন গোবরাদন গ্রামের বিজেপি কর্মী তরুন দাস ও ঝন্টু মণ্ডল। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ওই দু’জন বিজেপি কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে দুই বিজেপি (BJP) কর্মীকে রাস্তায় ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম দুই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তমলুক হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা হাসপাতালে গিয়ে জখম কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    ময়নার বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, সভা থেকে ফেরার পথে আমাদের দু’জন কর্মীর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাদেরকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও পা ভেঙে দেয়। তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই, এভাবে আমাদের কর্মীদের খুন, হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রাজ্য মুখ্যপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, তৃণমূলের কেউ বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর করেনি। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপি এসব নাটক করে মানুষের সমর্থন আদায়ের মরিয়া চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share