Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • IPL 2023: প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকতে হলে আজ হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে জিততেই হবে নাইটদের

    IPL 2023: প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকতে হলে আজ হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে জিততেই হবে নাইটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাপ-লুডোর খেলা চলছে আইপিএলের (IPL 2023) পয়েন্ট তালিকায়। আর সেই লড়াইয়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। ৯টি খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নীতীশ রানারা রয়েছেন অষ্টম স্থানে। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এখন আর হারলে চলবে না। এই অঙ্ক মাথায় নিয়েই আজ নিজামের শহর হায়দ্রাবাদ সানরাইজার্সের মুখোমুখি হচ্ছে কেকেআর। প্রতিপক্ষ দলের অবস্থাও ভালো নয়। সানরাইজার্সও ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। রয়েছে নবম স্থানে। তবে মার্করামের দল নাইটদের তুলনায় খেলেছে একটি কম ম্যাচ।

    দুর্বল বোলিং

    কেকেআরকে মূলত ভোগাচ্ছে দুর্বল বোলিং। বিশেষ করে পেসারদের পারফরম্যান্স একেবারেই প্রত্যাশা মতো হচ্ছে না। উমেশ যাদবরা প্রচুর রান দিচ্ছেন পাওয়ার প্লে’তে। এই সমস্যা মেটাতে না পারলে হায়দ্রাবাদের বাধা টপকানো কঠিন হবে কলকাতার। তুলনায় স্পিন বিভাগ কিছুটা শক্তিশালী। সুয়াশ শর্মা, সুনীল নারিনের সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তী রয়েছেন কেকেআর দলে। তাঁরা ম্যাচের মোড় ঘোরাতে সক্ষম। তবে তার জন্য দরকার ভালো পুঁজি। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেসন রয় চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পারেন। ছন্দে আছেন গুরবাজও। তাঁদের দু’জনকে এক সঙ্গে খেলানো হয় কিনা, সেটাই দেখার। কিন্তু নীতীশ রানা, বেঙ্কটেশ আয়ার গত ম্যাচে হতাশ করেছিলেন। তাঁরা যদি ফর্মে না ফেরেন তাহলে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা খোলা মনে খেলতে পারবেন না। রিঙ্কু সিং, আন্দ্র রাসেল মূলত দ্রুত গতিতে রান যোগ করেন। তাই শুরুটা ভালো হলে তাঁদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

    হায়দ্রাবাদের লক্ষ্য

    সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে নটরাজন ও উমরান মালিকের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘরের মাঠে পেস সহায়ক উইকেটে নাইটদের বিপাকে ফেলতে চাইবেন তাঁরা। ব্যাটিংয়ে তেমন কোনও তারকা না থাকলেও, এমন অনেকে আছেন, যাঁরা খেলার ধরন বদলে দিতে পারেন। গত ম্যাচে ওপেনার হিসেবে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন অভিষেক শর্মা। এছাড়া আছেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল, রাহুল ত্রিপাঠি, হ্যারি ব্রুক, আইডেন মার্করামের মতো ব্যাটসম্যান। মিডল অর্ডারে ক্লাসেন দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন।

    আরও পড়ুন: পিএসজি ছাড়ছেন! দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত মেসি কি ফের বার্সেলোনায়?

    লিটনের পরিবর্ত

    প্রথম সাক্ষাৎতে ইডেনে হায়দ্রাবাদের কাছে হারতে হয়েছিল কেকেআরকে। এবার বদলার পালা। নিজামের শহরে সূর্যাস্ত ঘটিয়ে প্লে-অফের সম্ভাবনা রাসেলরা জাগিয়ে তুলতে পারেন কিনা সেটাই দেখার? এদিকে, লিটন দাসের বদলি হিসেবে জনসন চার্লসকে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিপার-ব্যাটারের অভিজ্ঞতা প্রচুর। ৪১টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০১২, ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপেও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারটি। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে নিল শাহরুখ খানের দল। কারণ, লিটন ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে গিয়েছেন। ৪ মে পর্যন্ত তিনি বোর্ডের থেকে রিলিজ পেয়েছিলেন আইপিএলে খেলার জন্য। সেই মেয়াদ শেষ হতেই লিটনের পরিবর্তন ক্রিকেটারের নাম জানিয়ে দিল কেকেআর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Kalyani: ২০-ঘণ্টা জেরার পর ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    Krishna Kalyani: ২০-ঘণ্টা জেরার পর ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে আয়কর-ইডির জোড়া হানার ২৪ ঘণ্টা পার। সূত্রের খবর, রাতভর তল্লাশির পরে বৃহস্পতিবার ভোরে বিধায়ককে নিয়ে তাঁর সুদর্শনপুরের অফিসে যান আয়কর আধিকারিকরা। এখনও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ম্যারাথন তল্লাশি যখন চলছে তখন অভিযোগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপির একাংশের দাবি, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani), তাঁর গ্রেফতারি সময়ের অপেক্ষা।

    বুধবার সকালেই বিধায়কের বাড়িতে কড়া নাড়েন তদন্তকারী আধিকারিকরা 

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাত সকালেই কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) রায়গঞ্জের বাড়িতে কড়া নাড়েন আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা। বাড়ি ও অফিস দুই জায়গা ঘিরে ফেলে ৪ গাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধায়কের বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে বলে খবর। তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার হেমন্ত শর্মার বাড়িতেও এরপর যান গোয়েন্দারা। মালদার সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হেমন্ত শর্মার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। রায়গঞ্জের স্থানীয় মানুষজনের দাবি, সামান্য ব্যবসা থেকে আচমকা উত্থান হয় কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani)। বিজেপি বলছে, এটাই তো শাসক দলের আশীর্বাদ। বাংলো স্টাইল বাড়ি, বহুতল অফিস। আচমকাই গড়ে ওঠে সব ২০১৬-২০১৭ সালের পর। এখন সেই উত্থানের পিছনে কোনও রকম অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সেটাই এবার আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। একই কথা হেমন্ত শর্মার ক্ষেত্রেও, মালদায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে তিনি বাড়ি করেছেন। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর।

    কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে ইডি-আয়কর হানা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষকে মোক্ষম জবাব সুকান্তর…

    অন্যদিকে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মোকাবিলা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের তরফ থেকে এই ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া হয়, ‘‘ওদের (বিজেপি) থেকে হয়ত দূরত্ব তৈরি হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর। তার জন্যই হয়ত এই হানা। তবে বারবার প্রমাণ হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র।’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, ‘‘স্পিকার তো বলেই দিয়েছেন কৃষ্ণকল্যাণী বিজেপির বিধায়ক। তাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তো শুধু তৃণমূলকে টার্গেট করে না, বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL Ticket: আইপিএল-এর টিকিট জাল করার অভিযোগে ধৃত নদিয়ার তৃণমূল নেতা

    IPL Ticket: আইপিএল-এর টিকিট জাল করার অভিযোগে ধৃত নদিয়ার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার, কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার আইপিএলের টিকিট (IPL Ticket) জাল করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর এই টিকিট জাল করেই সে লক্ষাধিক টাকা কামিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতার ময়দান থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা অভিযান চালিয়ে ওই তৃণমূলের ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিক্রম সাহা। তার বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর এলাকায়। তাহেরপুর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ২৩ এপ্রিল ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের খেলা ছিল, যা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছিল শহরবাসীর মধ্যে। ইডেনে আইপিএলের টিকিট (IPL Ticket) নিয়ে হাহাকার তৈরি হয়। মাঠে বল গড়ানোর আগেই শেষ হয়ে যায় একের পর এক ম্যাচের টিকিট। ওই ম্যাচে টিকিটের (IPL Ticket) চাহিদা ছিল তুঙ্গে। আবার ম্যাচের অনলাইন টিকিট কাটতেও সমস্যা হচ্ছিল। সেই সুযোগে আইপিএল টিকিটের (IPL Ticket) মতো হুবহু নকল টিকিট তৈরি করে মোটা টাকায় বিক্রম তা বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। শুধু টিকিট বিক্রি করেই তিনি লক্ষাধিক টাকা কামিয়েছেন। টিকিট নিয়ে মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে জাল টিকিটের বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রতারিত হয়ে অনেকে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে তাঁকে পাকড়াও করে।

    কে এই বিক্রম?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বিক্রম তাহেরপুর শহর টিএমসিপি-র প্রাক্তন সভাপতি। পরে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বর্তমানে কোনও পদে না থাকলেও দল ছাড়েননি তিনি। এলাকায় তিনি তৃণমূলের ছাত্র নেতা হিসেবেই পরিচিত। এই বিষয়ে তৃণমূলের রানাঘাট জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আইন আইনের পথে চলবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র স্থানীয় নেতা অমলেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এর-ওর কাছে তৃণমূলের ওই ছাত্র নেতা টাকা নিলেও তা ফেরত দিত না। এক সময় সে ফ্লেক্স তৈরির ব্যবসা করত। আগাম টাকা নিয়েও নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লেক্স সে দিতে পারত না। প্রতারণা করার বিষয়টি অনেক আগেই সে শিখেছিল। তাই, ওর নামে এতবড় অভিযোগ শুনে আমি অবাক হয়নি।’’ বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘বালি, কয়লার পর এখন টিকিটও (IPL Ticket) চুরি করছে তৃণমূল। আর কী বাকি থাকল। এই দলটা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত তা এই সব নেতাদের দেখলেই বোঝা যায়।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার! আজ ময়নায় শুভেন্দু, তফশিলি কমিশন

    BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার! আজ ময়নায় শুভেন্দু, তফশিলি কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ ঘণ্টা পর ময়নায় বিজেপি নেতার হত্যাকাণ্ডে (BJP Murder) প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হল। জানা গেছে, ধৃতের নাম মিলন ভৌমিক। তিনি গোড়ামহল এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রাক্তন বুথ সভাপতি। নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণের পরিবারের পক্ষ থেকে মোট ৩৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারমধ্যে ২৬ নম্বরে নাম রয়েছে ধৃতের। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁকে মেয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত, ১ মে রাতে পরিবারের সদস্যদের সামনেই তুলে নিয়ে গিয়ে খুন (BJP Murder) করা হয় বাকচা অঞ্চলের বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনীদের আড়াল করার অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ১২ ঘণ্টা ময়না বন‍্ধের ডাক দেয় বিজেপি। বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ময়না। সকাল থেকেই টায়ার জ্বালিয়ে, পথ অবরোধ করে চলতে থাকে বন‍্ধ। সমগ্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বন‍্ধের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের সঙ্গে বন‍্‍ধ সমর্থনকারীদের।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    ময়নাতে আজ পদযাত্রা শুভেন্দুর, আসছে কেন্দ্রীয় কমিশন

    নিহত বিজেপি নেতার দেহ (BJP Murder) আজ ময়নাতদন্ত করা হবে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে। তারপর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, দেহ ময়নাতে ফিরলে তা নিয়ে মিছিল করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে আজই ময়নায় খুন হওয়া বিজেপি নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসছে জাতীয় তফশিলি কমিশন। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, বিগত ৮ দিনে রাজ্যের ৩ বিজেপি নেতা খুনের (BJP Murder) ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে। বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যজুড়ে যে রাজনৈতিক হিংসা দেখা গেছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, ক্রমশ গ্রাম বাংলায় পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছে শাসক দল, তাই সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে জনমতকে প্রভাবিত করতে চাইছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিআরপিসি, আইপিসি-র  অপব্যবহার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র’’! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিআরপিসি, আইপিসি-র অপব্যবহার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র’’! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে সিআরপিসি (ফৌজদারি কার্যবিধি) এবং আইপিসি (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-র ব্যাপক অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কোলাঘাটে এমন দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, আগামী ২-৩ মাসে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র।

    শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্য পুলিশ শাসকের দলদাস হিসেবে কাজ করে বলে অতীতেও বার বার আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বুধবার কোলাঘাটের সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বললেন, ‘‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে পুলিশের মুখোশ টেনে খুলে দিয়েছে। বলেছে এখানে আইনের শাসন চলে না, শাসকের আইন চলে।’’ এরপরই তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে সিআরপিসি, আইপিসি-র ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। তবে কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে। তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি যে ভাবে আইনের অপব্যবহার করছে, তা খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে। আমি যেটুকু আমার সূত্র মারফত জানতে পেরেছি, আর বড়জোড় দু-তিন মাস লাগবে এই জিনিস বন্ধ হতে।’’

    ময়নায় বন্‌ধ সফল

    পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের অভিযোগ তুলে বুধবার সেখানে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এই ধর্মঘটের মধ্যেই বিকেলে কোলাঘাটে নিজের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বুধবারের বন্‌ধ সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘গোটা জেলা জুড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কোনও তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরই ময়দানে দেখা যায়নি। বিজেপি নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার পর কোনও মানুষই আর তৃণমূলের পাশে নেই। তাই জেলা জুড়ে তৃণমূল ঘরে গুটিয়ে রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘এ জন্যই কি দেশের হয়ে পদক জিতলাম’’! মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে পুলিশ-কুস্তিগির খণ্ডযুদ্ধ

    জেলার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাদের নির্দেশ ছিল, পুলিশের নিচুতলার কর্মীরা যাতে কোনওভাবে শারীরিকভাবে আক্রান্ত না হন। আমাদের কর্মীরা সেই কাজ করেননি। কারণ, সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হচ্ছে। পুলিশের নিচুতলার কর্মীরা উপলক্ষ্য মাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করছেন অমর নাথের মতো কিছু দলদাস আইপিএস অফিসার। তাঁদের ব্যবস্থা আমরা ঠিক সময়ে আইনি পথে করব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বনসহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে কার্যত মেনে নিল উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশ, আগামী ২ মাস পরে বর্তমান প্যানেল বাতিল ঘোষণা হবে। এবং মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে নতুন প্যানেল তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, এর তদন্ত হওয়া দরকার।

    ২০২১ সালের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় পুরোনো দলে ফিরে গেলে এনিয়ে তদন্ত এগোয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কোনও নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বরং এসএমএস করে জানানো হয়েছিল কারা পাশ করেছেন। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। বুধবার সেই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানায়, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। নির্দেশ, আবার নতুন করে ইন্টারভিউয়ের মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, কোনও নিয়মই মানা হয়নি। নিয়োগ তালিকার বিশদ তথ্যের জন্য তাঁরা আরটিআই করেন, সেখানে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতেও ধরা পড়ে গলদ। আরটিআইয়ে দেখা যায়, বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ করা হয়েছে ২ জনকে। যোগ্যতা বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছে ৩ জন।

    নিয়োগের খুঁটিনাটি

    জানা গেছে, বন সহায়ক কোনও স্থায়ী পদ নয়। ২০২০ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের তরফে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ২ হাজার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা, জলপাইগুড়ি- এই পাঁচটি প্রশাসনিক ডিভিশনে নিয়োগের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। বয়সসীমা ছিল ১৮-৪০ বছর এবং সরকারি নিয়মে যেমন বয়সের ছাড় থাকে, সেটিও প্রযোজ্য ছিল। জানা গেছে, নিয়োগের মেয়াদ ছিল এক বছরের। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেই চাকরির মেয়াদ বাড়নো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wrestlers Protest: ‘‘এ জন্যই কি দেশের হয়ে পদক জিতলাম’’! মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে পুলিশ-কুস্তিগির খণ্ডযুদ্ধ

    Wrestlers Protest: ‘‘এ জন্যই কি দেশের হয়ে পদক জিতলাম’’! মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে পুলিশ-কুস্তিগির খণ্ডযুদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের (Wrestlers) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। বুধবার মধ্য রাতে যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) হঠাৎ পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করেন। মহিলা কুস্তিগিরদের কটু ভাষায় আক্রমণ, মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন কুস্তিগিরের মাথায় আঘাত করা হয়, একজন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুইজনের চোট গুরুতর বলেও জানা গিয়েছে।

    যন্তর মন্তরে ধুন্ধুমার 

    ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর গ্রেফতারি চেয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে চলছে কুস্তিগিরদের আন্দোলন। কুস্তিগির বিনেশ ফোগট  বলেন, “সারা দিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে মাটি ভিজে থাকায় আমরা বিক্ষোভস্থলে খাট পাতার চেষ্টা করছিলাম। তখনই পুলিশ আমাদের উপর হামলা করে। একজনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। এই সময় ধাক্কাধাক্কিতে কেউ কেউ মাথাতেও আঘাত পান।” ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কুস্তিগিরদের বচসা, ধস্তাধস্তির ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। রাহুল রাও নামক এক কুস্তিগিরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেখা যায়। 

    কান্নায় ভেঙে পড়লেন বীনেশ

    মধ্যরাতের সাংবাদিক বৈঠকে বীনেশ ফোগট বলেন, “ওই পুলিশ কর্মী সবাইকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন। আমরা কেউ অপরাধী নই যে আমাদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে”। ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশকর্মীর অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বীনেশ। তিনি বলেন, “পুলিশকর্মীরা আমায় গালমন্দ করে এবং ধাক্কা দেয়। মহিলা পুলিশকর্মীরা কোথায় ছিল তখন? এই দিনটি দেখার জন্যই কি আমরা দেশের হয়ে এত পদক জিতলাম?” এর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বীনেশ। কুস্তিগির বজরং পুনিয়া বলেন, “সারা দেশের মানুষের আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে আমাদের উপর বলপ্রয়োগ করছে।” 

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের পটচিত্র কিনেছিলেন পাবলো পিকাসো! বাংলার এই লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি 

    বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি পদক জেতা বজরং বলেন, “আমি সরকারকে অনুরোধ করব যেন আমার সব পদক ফিরিয়ে নেওয়া হয়।” এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান বজরং পুনিয়া। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে চারটি দাবি রেখেছেন। তাঁদের দাবি, কুস্তিগিরদের উপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, জলরোধী তাঁবু স্থাপনের অনুমতিও দিতে হবে।

    আটক সোমনাথ ভারতী 

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোমনাথ ভারতী নামক আম আদমি পার্টির বিধায়ককে আটক করা হয়েছে। তিনিই প্রথম বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভস্থলে ফোল্ডিং খাট এনে পাতার চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। সোমনাথ এবং তাঁর লোকেদের সমর্থন জোগান বিক্ষোভরত কুস্তিগিরেরা। পুলিশ যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ যন্তর মন্তর এলাকা সিল করে দিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: খাদ্যরসিক বাঙালির স্থূলতা কি বাড়ছে! কী জানা গেল সমীক্ষার রিপোর্টে?

    Obesity: খাদ্যরসিক বাঙালির স্থূলতা কি বাড়ছে! কী জানা গেল সমীক্ষার রিপোর্টে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্যরসিক বাঙালির স্থূলতা বাড়ছে। মেদ (Obesity) জমছে শরীরে। ভুঁড়ির ভারে দৌড়নো কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। এমনকী শরীরের ভার নিতে পারছে না হাঁটু! তাই হাঁটুর যন্ত্রণা, পায়ের পেশির নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে স্থূলতার সমস্যা। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। 

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে দেশজুড়ে স্থূলতার (Obesity) সমস্যা বেড়েছে। যে কয়েকটি রাজ্যে স্থূলতার সমস্যা অতিরিক্ত দেখা দিচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষত স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা মারাত্মক বাড়ছে। প্রাক প্রাথমিক স্কুল থেকেই যে সব শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন দেখা দিচ্ছে, পরবর্তীতে তারা মারাত্মকভাবে স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। শহুরে শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা বেশি। এ রাজ্যের ৩০.৪ শতাংশ শহুরে বাসিন্দা স্থূলতার সমস্যায় জর্জরিত। বাদ নেই গ্রামীণ এলাকা। ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২২.৪ শতাংশ গ্রামীণ মানুষ এ রাজ্যে স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। আর এই ভুক্তভোগীদের একটা বড় অংশ স্কুলপড়ুয়া। অর্থাৎ, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যেই স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

    স্থূলতা কি কেবল মোটা হওয়া? বিএমআই কী?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র শরীরের গঠন মোটা হলেই তাকে স্থূলতার (Obesity) সমস্যার শিকার বলা যায় না। বিএমআই হিসাব কষে জানা যায় স্থূলতায় আক্রান্ত কিনা! বিএমআই-এর পুরো নাম বডি মাস ইনডেক্স। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও মানুষের ওজন কিলোগ্রাম এককে নিয়ে তার সঙ্গে ওই ব্যক্তির উচ্চতার দ্বিগুণ ভাগ করলে তার শরীরের বিএমআই জানা যায়। প্রত্যেক মানুষের উচ্চতা আলাদা হয়। তার নিরিখে বোঝা যায়, সেই উচ্চতায় কতখানি ওজন শরীরের জন্য ঠিক! তাই এই বিএমআই হিসাব কষে তবেই চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন সেই ব্যক্তি স্থূলতার শিকার কিনা। 

    স্থূলতার সমস্যা কোন কোন ঝুঁকি বাড়াতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা (Obesity) ডেকে আনতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা। যেমন, স্থূলতার জেরে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ হৃদপিণ্ডের রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে। হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন করে, এমন শিরাগুলোতে চর্বি জমে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থূলতার সমস্যা হলে কাজের প্রতি অনীহা দেখা দেয়। ফলে, অনেক সময়েই পেশির কার্যশক্তি কমতে থাকে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ডায়বেটিস, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় স্থূলতা। 

    কীভাবে স্থূলতার মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের বদলেই পাওয়া যাবে মেদহীন সুস্থ জীবন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্থূলতার (Obesity) সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, প্রথমেই নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসে। কী খাচ্ছি, কতটা পরিমাণ খাচ্ছি আর কেন খাচ্ছি, এই তিন প্রশ্নকে মাথায় রেখেই নিজের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার একেবারেই নয়। বাদ দিতে হবে প্রিজারভেটিভ খাবার। বিরিয়ানি, পিৎজা কিংবা হটডগ, এই ধরণের ফাস্টফুডের অভ্যাস ডেকে আনছে বিপদ। দিনে পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। তবে, নরম পানীয় কিংবা কৃত্রিম স্বাদযুক্ত বিভিন্ন পানীয় একেবারেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। ভাত কিংবা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার নিয়মিত খেতে হবে। কারণ, তাতেই শরীর এনার্জি পাবে। কিন্তু পরিমাণে সংযত হতে হবে। ভাত কিংবা রুটি নূন্যতম পরিমাণে খেয়ে শশা, ডাল, সব্জি খেতে হবে। 
    তবে, খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত যোগ্যাভাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অনেকেই যোগ্যাভাসে অভ্যস্থ নন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতি দিন নিয়ম করে যোগাভ্যাস করতে হবে। শারীরিক কসরত করলে মেদ কমবে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস অত্যন্ত জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাদের পরামর্শ, প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। তবেই শরীর ও মন সচল থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dialysis: ৯ মাস পরেও মিলল না সুরাহা, এইচআইভি আক্রান্তদের পাল্টা হুমকি দেওয়ার অভিযোগ!

    Dialysis: ৯ মাস পরেও মিলল না সুরাহা, এইচআইভি আক্রান্তদের পাল্টা হুমকি দেওয়ার অভিযোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ জানানোর পর কেটে গিয়েছে ন’মাস! বারবার ই-মেল ও চিঠি পাঠানোর পরেও সরকারের তরফে তেমন কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং শাসকদলের নেতারা হুমকি দিচ্ছেন! এমনই অভিযোগ আক্রান্তদের পরিবারের। তারা জানাচ্ছে, শাসকদলের এক চিকিৎসক নেতা হুমকি দিয়েছেন, কোথায় কোথায় গিয়ে, কী করার জন্য (Dialysis) এইচআইভি হয়েছে, তা প্রকাশ করা হবে! অভিযোগের সুরাহা তো হচ্ছে না, বরং সামাজিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এমনই সংকটে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় ওই আক্রান্তরা।

    কী ঘটেছিল? 

    গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অভিযোগ ওঠে, কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে পিপিপি মডেলে তৈরি ডায়লিসিস (Dialysis) সেন্টারে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে গিয়ে পাঁচজন রোগী এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, এইচআইভি রোগীর জন্য ব্যবহৃত সিরিঞ্জ অন্য রোগীর জন্য ব্যবহার করার জেরেই এই বিপত্তি! রোগীর পরিজন ই-মেল মারফত হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। 

    অভিযোগকারীদের কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে? 

    সরকারি হাসপাতালের ডায়ালিসিস সেন্টার থেকে ডায়ালিসিস (Dialysis) করাতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রমণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শাসকদলের আক্রমণ শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছেন। এমনকী প্রকাশ্যে সামাজিক হেনস্থাও করা হচ্ছে। যেহেতু এইচআইভি সংক্রমণ অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের জেরে হতে পারে, তাই তৃণমূল নেতাদের একাংশ তাদের নানান কুৎসিত ইঙ্গিত করছেন। এমনকী তৃণমূলের এক চিকিৎসক নেতা সংবাদ মাধ্যমে জানান, “ডায়ালিসিস করানোর পরে কোথায় গিয়ে কী করেছে আর কীভাবে এইচআইভি হয়েছে, সবটাই প্রকাশ্যে আসা দরকার! ” অভিযোগকারীদের বক্তব্য, অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে না, কিন্তু হেনস্থা হতে হচ্ছে! রোগীর পরিজনদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওই ডায়ালিসিস সেন্টার অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন! বিছানায় রক্তের দাগ লেগে থাকে। এমনকী একজন রোগীকে সিরিঞ্জ ব্যবহারের পরে অনেক সময়েই তা পরিবর্তন করা হয় না। অধিকাংশ সময়েই নেফ্রোলজিস্ট উপস্থিত থাকেন না। তাই কোনও সমস্যা হলেও সমাধান পাওয়া যায় না। 

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

    অভিযোগ জানানোর পরে ন’মাস কেটে গেলেও এখনও সবকিছু খতিয়ে দেখা শেষ হয়নি। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে! তবে, ওই মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি রয়েছে। ওই হাসপাতালের ডায়ালিসিস (Dialysis) সেন্টার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে নয়। পিপিপি মডেলে তা তৈরি। ফলে, পরিষেবার দায়িত্ব অনেকটাই ওই সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার। তবে, ওই হাসপাতালে এইচআইভি রোগীদের জন্য আলাদা ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরেও কীভাবে সাধারণ রোগীর মধ্যে রোগ সংক্রমণ হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। তবে, সম্পূর্ণ সত্য জানতে সময় লাগবে। 

    দায় এড়াতে চায় সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থা? 

    অভিযোগকারী পরিবারের তরফে জানানো হচ্ছে, ওই হাসপাতালের ডায়ালিসিস (Dialysis) সেন্টারের সঙ্গে যে বেসরকারি সংস্থা জড়িত আছে, তারা জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের কোনও দায়িত্ব নেই। সরকার থেকে যেমন সিরিঞ্জ দেওয়া হয়, সেগুলিই তারা ব্যবহার করে।

    কী বলছেন চিকিৎসকেরা? 

    সরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস (Dialysis) করাতে গিয়ে একসঙ্গে পাঁচজন রোগী এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হলেন, এই ঘটনায় বিস্মিত চিকিৎসক মহল। বিশেষত আক্রান্ত ও তাদের পরিবারকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ চিকিৎসক মহল। তারা জানাচ্ছে, শুধুমাত্র অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক থেকেই এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে, এই ধারণা ভ্রান্ত। এই ধরনের ঘটনার জেরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও কমবে। রক্তের মাধ্যমেও এই রোগ সংক্রমিত হয়। এরকম করলে ভবিষ্যতে এইচআইভি রোগীরা নিজেদের সমস্যা জানাতে ভয় পাবেন। তারা জানাচ্ছে, ডায়ালিসিস করার আগে রোগীর একাধিক রক্ত পরীক্ষা হয়, যেখানে স্পষ্ট করা থাকে, ওই রোগীর হেপাটাইটিস কিংবা এইচআইভি সংক্রমণের মতো সমস্যা রয়েছে কিনা। হাসপাতালে কি সেই নিয়ম মেনে পরীক্ষা করা হয় না? যদি করা হয়ে থাকে, তাহলে অভিযোগকারী রোগীদের সেই রিপোর্ট কেন স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশ করে ঘটনার সুরাহা করছে না? সেই প্রশ্নও তুলছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Paintings: কালীঘাটের পটচিত্র কিনেছিলেন পাবলো পিকাসো! বাংলার এই লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

    Bengal Paintings: কালীঘাটের পটচিত্র কিনেছিলেন পাবলো পিকাসো! বাংলার এই লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা লোকশিল্পের একটি প্রাচীনতম নিদর্শন হল পটচিত্র (Bengal Paintings)। যা আজ প্রায় শেষের পথে। শৈশবে আমরা সকলেই এই পটচিত্র দেখেছি। একজন শিল্পী এই পটচিত্রের মাধ্যমে গান করে করে কোনও পৌরাণিক বা গ্রাম বাংলার সাধারণ কাহিনী, মঙ্গলকাব্য প্রভৃতি বর্ণনা করতেন। এই গানগুলিকেই বলা হয় ‘পটের গান’।  আর তা শুনতেই ছুটে যেত সবাই। পটচিত্র যারা আঁকেন, তাঁদের বলা হয় পটুয়া। 

    কী এই পটচিত্রের ইতিহাস?

    ইতিহাস ঘাঁটলে এই পটচিত্রের (Bengal Paintings) ইতিহাস সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। দেখা যাচ্ছে, খ্রিষ্ট-জন্মপরবর্তী প্রথম শতকে যে সব বৌদ্ধ ভিক্ষুক ছিলেন, তাঁরা বুদ্ধদেবের জীবনী ও পূর্বজন্মসংক্রান্ত জাতকের গল্প নিয়ে এক বিশেষ পট মানুষকে দেখাতেন, যেটি তখন মস্করী পট নামে পরিচিত ছিল। আবার পরবর্তীতে কিছু প্রাচীন গ্রন্থ যেমন, হরিবংশ, কালিদাস রচিত অভিজ্ঞান শকুন্তলম ও মালবিকাগ্নিমিত্রম, বানভট্ট রচিত হর্ষচরিত এবং উত্তররামচরিতে পটচিত্রের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল। অষ্টম শতাব্দীতে বিশাখদত্তের বিখ্যাত নাটক মুদ্রারাক্ষস-এও যমপটের উল্লেখ পাওয়া গেছে। আবার ষোড়শ শতকে চৈতন্যদেবের বাণী প্রচার করার জন্য এই পটচিত্রের ব্যবহার করা হত। 

    পৌরাণিক মত অনুযায়ী পটুয়া সম্প্রদায়ের উৎপত্তি

    প্রচলিত মতামত অনুযায়ী পটুয়ারা হলেন বিশ্বকর্মার বংশধর। একসময় এঁরা গোপনে দেবাদিদেব মহাদেবের ছবি অঙ্কন করার সময় মহাদেব সেটি দেখে ফেলেন। নিজেদেরকে সেখান থেকে লুকানোর জন্য যে তুলি দিয়ে ছবি অঙ্কন করতেন, সেটি মুখে পুরে নেন, যাতে মহাদেব বুঝতে না পারেন। কিন্তু যখন মহাদেব জানতে পারেন যে তুলিটি তাঁরা এঁটো করে ফেলেছেন, তখন তাঁদের অভিশাপ দেন, এরা জাতে ‘মুসলমানের রীতি’ ও ধর্মে ‘হিন্দুর ধর্ম’ পালন করবে। সেই থেকে চিত্রকর পটুয়ারা মুসলমানদের মতো নামাজ পড়েন ও হিন্দুর মতো দেবদেবীর ছবি আঁকেন ও গান করে পটচিত্র প্রদর্শন করেন। ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে এই পট চিত্রকরদের সন্ধান মেলে। ঘৃতাচীর নামক এক অপ্সরার গর্ভে নয়জন পুত্র জন্মলাভ করে, যথা মালাকার, কর্মকার, শঙ্খকার, কুন্দিবক, কুম্ভকার, কাংশ্যকার, সূত্রধর, চিত্রকার ও স্বর্ণকার। এখানে চিত্রকারই হলেন পটুয়াদের (Bengal Paintings) আদিপুরুষ। 

    বর্তমান বাংলায় কোথায় কোথায় এই পটচিত্র ও পটুয়াদের দেখা মেলে?

    বর্তমানে মানুষের বিনোদনের জন্য সবার হাতে ফোন, ল্যাপটপ। এরকম একটা যুগে পটচিত্র (Bengal Paintings) প্রায় হারিয়েই গেছে বলা যেতে পারে। কিন্তু এসবের উৎপত্তির আগে বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে বাংলার মানুষের কাছে বিনোদনের অন্যতম উপাদান ছিল পটের গান। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মেদিনীপুরের পিঙ্গলা ব্লকের নয়াগ্রাম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলায় এই পটগীত শোনা যায়। পিঙ্গলা ব্লকের নয়াগ্রাম এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছে। এখানকার প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার পটশিল্প ও পটুয়া সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত আছে। বাংলাদেশের পটুয়াখালি, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ জেলায় এই পটুয়াদের বসবাস ছিল বলে জানা যায়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার পটুয়াটোলা আর বাংলাদেশের পটুয়াখালির নামকরণ নাকি ‘পটুয়া’ থেকে হয়েছে বলে কেউ কেউ বিশ্বাস করেন। এই পট শিল্পের বিস্তার ছিল বহুদূর বিস্তৃত, যা ইতিহাস ঘাঁটলেই আমাদের চোখে পড়ে। সবথেকে যে বিষয়টি নজর কাড়ে সেটি হল, এই পটচিত্র অঙ্কনের জন্য যে সব রঙ ব্যবহার করা হয়, তা পটুয়ারা নিজেরাই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করেন। 

    কতরকম পট আছে? পটচিত্র পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতেও?

    পট মূলত দুই প্রকার, চৌকশ পট ও জড়ানো পট। কিন্তু এছাড়াও চালচিত্র, সরা চিত্র, যমপট, চক্ষুষ্মান পট, লৌকিক পট, কালীঘাটের পট প্রভৃতি জনপ্রিয়। ১৯১৭ সালে  রুডিয়ার্ড কিপলিঙ অনেকগুলি চিত্রকর্ম সংগ্রহ করে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ও অ্যালবার্ট মিউজিয়মে দান করেন। তার মধ্যে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া মিউজিয়ামে আছে ৬৪৫টি কালীঘাট পট (Bengal Paintings)। এই কালীঘাটের পট গোটা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়েছিল এক সময়। কথিত আছে প্যারিসে কালীঘাটের পট বিক্রিও হয়েছিল। তখন পাবলো পিকাসো নিজে এই পট কিনেছিলেন। এই চিত্রশৈলীর প্রভাব তাঁর কর্মধারায় অনেকটা লক্ষ্য করা যায়। ফার্নান্দ লেজের চিত্রণে কালীঘাটের পটের দেখা মেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share