Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Mohammed Shami: গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ! শামির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান

    Mohammed Shami: গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ! শামির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের বাইশ গজে সময়টা ভাল গেলেও, ব্যক্তিগত জীবনটা সুখে কাটছে না ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামির। আইপিএলে (IPL) তাঁর দল গতবারের চ্যাম্পিয়ন, এবারে খেতাব রক্ষার লড়াইয়ে নামা গুজরাট আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। বাইশ গজে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন শামিও (Mohammed Shami)। পার্পল ক্যাপের দৌড়ে রয়েছেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার। তবে মাঠের বাইরে হঠাৎ করে বাউন্সার খেলেন শামি। ভারতীয় সিনিয়র দলের অন্যতম সেরা পেসার মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান (Hasin Jahan)।

    হাসিনের অভিযোগ

    হাইকোর্ট খারিজ করেছে মামলা। এবার বিচারের আশায় দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হাসিন। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) সঙ্গে বিভিন্ন সফরে থাকাকালীন একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শামি। ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে ব্যাভিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন হাসিন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই লালবাজার পুলিশ শামির একটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করে। শামির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে আলিপুর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে। পশ্চিমবঙ্গের সেশন্স কোর্টের তরফে শামির গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি শামির বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্ট খারিজ করেছে ইতিমধ্যেই। ফলে সুবিচার পাননি বলেই মনে হয়েছে হাসিন জাহানের। এ বার সুবিচারের আশায় মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান।

    আরও পড়ুন: পিএসজি ছাড়ছেন! দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত মেসি কি ফের বার্সেলোনায়?

    অভিযোগ অস্বীকার শামির

    শামির বিরুদ্ধে হাসিন গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেছিলেন। ভারতীয় পেসার যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। শামির বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ করেছিলেন হাসিন। বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখা শামির পক্ষেই রায় দেয়। তারা জানিয়ে দেয় যে, শামি কোনও ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত নয়। হাসিন এক সময় মডেলিং করতেন। আইপিএলে চিয়ারলিডার হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। দম্পতির মেয়ে আইরা এখনও হাসিনের সঙ্গেই থাকেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KLO: মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে স্মারকলিপি কেএলও লিঙ্কম্যানদের! কেন জানেন?

    KLO: মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে স্মারকলিপি কেএলও লিঙ্কম্যানদের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মালদায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবজোয়ার সভাতে যোগ দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। আজ সন্ধ্যায় এই জেলায় পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর মালদা সফরে তাঁর দ্বারস্থ হতে এবার জেলা প্রশাসনকে আর্জি জানাল কেএলও (KLO) লিঙ্কম্যানরা। প্রসঙ্গত, এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি আন্দোলন চালিয়েছে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই প্রদেশেই। নব্বইয়ের দশক থেকে মালদায় মাথা চাড়া দেয় কেএলও-রা (KLO)। সরকার এবং প্রশাসনের খবর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাতে তারা নিয়োগ করে লিঙ্কম্যান। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন কেএলও (KLO) লিঙ্কম্যানরা মূলস্রোতে ফিরলে তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কয়েকজনের মাত্র চাকরি হয়েছে বটে কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ফাঁকা আওয়াজই থেকে গেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চেয়ে তাঁরাই স্মারকলিপি দিল জেলা শাসকের অফিসে।

    আরও পড়ুন: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি টানছে ভারত-চিন! রিপোর্ট আইএমএফের

    কী লেখা রয়েছে ওই স্মারকলিপিতে?  

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরও মেলেনি চাকরি। বুধবার সকালে এই মর্মে মালদা জেলাশাসক দফতরে একটি স্মারকলিপি জমা দেন কেএলও (KLO) এর লিঙ্কম্যানরা। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পেয়ে মালদার হবিবপুর, বামনগোলা সহ চারটি ব্লকের কেএলও লিংকম্যান হিসেবে কাজ করা যুবকরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো প্রায় ৪৩ জন চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এখনও প্রায় ৭২ জন বঞ্চিত। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিতে তাঁরা তাঁর সাক্ষাত প্রার্থী। বুধবার সকালে ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জনৈক অরুণ সরকার।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতির মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাখিল করা রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই (CBI)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিভিন্ন বৈঠক হত মানিক ভট্টাচার্যের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে। বাকি সদস্যদের যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মতি জানাতে হত। কী কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে মানিকের মেয়াদ দুবার বাড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, পর্ষদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল মানিকের হাতে। তদন্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সবটাই এড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিছু চাকরিপ্রার্থীকে বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাই তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন।

    মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    সিবিআইয়ের দাবি, ওই ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বোর্ডের যে বৈঠকে এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার ১১, মুর্শিদাবাদের ২৬, বীরভূমের ১৩ জনকে দেওয়া নিয়োগপত্রের নম্বর যোগ্যতামানের চেয়ে কম। কলকাতা, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হননি। রিপোর্টে সিবিআইয়ের আরও দাবি, উর্দু মাধ্যমের দুজন প্রার্থী যাঁরা বাংলা ভাষায় টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বাংলা মাধ্যম স্কুলে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাখিল করা রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, এই দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, তাঁরা সব কাজ করেছেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নির্দেশে। সংসদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর সময় যে ফরওয়ার্ডিং লেটার পাঠাতে হয়, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে সই করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তালিকা না দেখেই সই করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, অন্য অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করলেও মানিক করছেন না। তাই বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে স্ত্রী ও পুত্র সহ জেলবন্দি রয়েছেন মানিক। দীর্ঘদিন জেলে থাকলেও মানিককে বিধায়ক পদ ছাড়তে বলেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। কুন্তল, শান্তনুর মতো তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলারও চেষ্টা করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মানিক (Manik Bhattacharya) সব ফাঁস করে দিতে পারেন বলেই কি তাঁকে সমঝে চলেছে তৃণমূল? উঠছে প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বন‍্‍ধকে (BJP Bandh) কেন্দ্র করে দিনভর অশান্ত হয়ে রইল ময়না। উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত, ১ মে রাতে বাড়ি থেকে অপহরণ করে খুন করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। তিনি ছিলেন বাকচার বুথ সভাপতি। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা ১ মে রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সামনেই তাঁকে জোর করে প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কিছুটা দূরে রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। খুনের ঘটনার এখনও অবধি কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ ময়না জুড়ে চলছে বন‍্‍ধ (BJP Bandh)। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ জেলার পরিস্থিতি।

    ময়না বন‍্‍ধ (BJP Bandh)…

    সকাল থেকেই দফায় দফায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ময়নার বিভিন্ন এলাকা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন, জেলা জুড়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা অবধি চলবে অবরোধ। পুলিশ জোর করে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ তুলতে গেলে বন‍্‍ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে অবরোধ শুরু করে। সরকারি অফিসগুলোতে বাঁধা হয় দলীয় পতাকা। পটাশপুর থেকে ময়নার অন্নপূর্ণ বাজার জায়গায় জায়গায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) তুলতে আসা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ধস্তাধস্তি বচসা শুরু হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে। লাঠি চার্জের ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল দিলীপ ঘোষ

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল হন দিলীপ ঘোষ। বনধ (BJP Bandh) অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এদিন ২০৫ পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভার রাতুলা বাজারে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমেত অসংখ্য বিজেপি কর্মী তৃণমূলের খুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পথ অবরোধে সামিল হন।

    দিনভর দাপালেন অশোক দিন্দা..

    বন‍্ধের সমর্থনে একের পর এক বাজার, পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখার আবেদন জানান দিন্দা। তিলখোলা পঞ্চায়েত অফিসে কাজকর্ম স্বাভাবিক চলছে দেখে পঞ্চায়েত কর্মীদের গেট বন্ধ রেখে কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়েও তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলেন। পরে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন দিন্দা। অবস্থান বিক্ষোভের পর বাইক ব়্যালি করে ময়নার বিডিও অফিসের উদ্দেশে যেতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দাকে। দলীয় কর্মীর বাইকে চেপেই তিনি বিডিও অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন দেড় দিন পার হয়ে গেলেও বিজেপি কর্মীর খুনিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে অশোক দিন্দা বলেন, এখানে বিজেপি নেতাকে যে ভাবে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানো হবে। আমরা বার বার বলেছিলাম অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। সেখানে অখিল গিরি-সহ অন্যরা বলছেন এটা পারিবারিক ঘটনা। এর পেছনে বড় মাথা কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতেও এদিন চলল আয়কর দফতরের হানা। বুধবার সকালে মালদার তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। জানা গেছে, প্রথমে তাঁর হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। পরে তাঁরা পৌঁছে যান তৃণমূল (TMC) নেতার মালদা শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লীর বাড়িতে। তল্লাশির সময় দুটি বাড়িই ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও কেন এই হানা, তা এখনও জানা যায়নি, তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, গত কয়েক বছরে শাসক দলের বদান্যতায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে হেমন্ত শর্মার সম্পত্তি, তাই এদিন তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অবশ্য এখনও অবধি কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়েও মৌসম নূরের সফর সঙ্গী হতে দেখা যায় হেমন্ত শর্মাকে। শোনা যায়,  জঙ্গল থেকে পাহাড় যখনই ঘুরতে গেছেন মৌসম নূর, তখনই তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছেন এই হেমন্ত শর্মা। এবার মৌসম ঘনিষ্ঠ হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের হানার ঘটনায় রীতিমতো সরগরম মালদার রাজনীতি। 

    কী বলছে বিরোধীরা?

    বিরোধীদের অভিযোগ এই হেমন্ত শর্মার অবস্থা সাধারণ আর পাঁচটা লোকের মতোই ছিল! প্রথম থেকেই তিনি তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি দলের হবিবপুর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন। মৌসম তৃণমূলে যোগদান করার পরেই হেমন্ত শর্মাকে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদে। আর এরপর থেকেই হেমন্ত শর্মার উত্থান চোখে পড়ার মতো। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, উল্কার গতিতে আর্থিক শ্রী বৃদ্ধি হতে থাকে হেমন্তর। তাঁর এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, হবিবপুর ব্লকের বাড়ি বাদ দিয়েও মালদা শহরে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু মালদা নয়, হেমন্তর সাম্রাজ্য গড়িয়েছে কলকাতা অবধি। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে এই হেমন্ত শর্মার নামে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজেই এদিন হেমন্তর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lionel Messi: পিএসজি ছাড়ছেন! দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত মেসি কি ফের বার্সেলোনায়?

    Lionel Messi: পিএসজি ছাড়ছেন! দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত মেসি কি ফের বার্সেলোনায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। তবে এভাবে হুট করে মেসিকে (Lionel Messi) দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত করবে পিএসজি, তা ফুটবল মহলের ধারণার মধ্যে ছিল না। ক্লাবকে না জানিয়ে সৌদি আরব সফরের কারণেই এই কড়া পদক্ষেপ বলে ফরাসি মিডিয়ার দাবি। তবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে মেসির পক্ষে প্যারিসের ক্লাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তিনি হয়তো নতুন কোনও ক্লাবে যোগ দেবেন আগামী দিনে। খুব সম্ভবত কেরিয়ার যেখান থেকে শুরু করেছিলেন, সেই বার্সেলোনাতেই ফিরে যাবেন তিনি। সেটা হলে ফুটবলার মেসির একটা বৃত্ত পূর্ণ হবে।

    পিএসজি ছাড়ছেন!

    পিএসজি’র পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ফরাসি মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মেসি আপাতত দু’সপ্তাহ ক্লাবে অনুশীলন করতে পারবে না। খেলতে পারবেন না কমপক্ষে লিগ ওয়ানের দু’টি ম্যাচ। কাটা যাবে বেতনও। বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকার পা থেকে ফুটবল কেড়ে নেওয়ার এই পদ্ধতিতে অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মেসি (Lionel Messi) ঘনিষ্ঠরা বলছেন, পিএসজি’র জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন লিও। তিনি আর প্যারিসে ফিরতে রাজি নন। তবে চাইলেই তো আর পিএসজি’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারবেন না তিনি, তাঁকে বেশ কিছু নিয়ম মেনেই রিলিজ নিতে হবে।

    সৌদি আরবে মেসি

    আপাতত এসব থেকে দূরে সৌদি আরবে ছুটি কাটাচেছন মেসি (Lionel Messi)। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, পুত্ররা। সৌদি সরকারের আমন্ত্রণেই সেখানে গিয়েছেন তিনি। কারণ, মেসি ওই দেশের  ট্যুরিজিমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের কাজেই তিনি তড়িঘড়ি রিয়াধ পৌঁছন বলে খবর। দ্রুত কাজ সেরে পিএসজি’র অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মেসির। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি দাবি করেছেন, লরিঁয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার পর দু’দিন বিশ্রাম পাওয়ার কথা ছিল। তাই তিনি সৌদি ট্যুরিজিমের শ্যুটিং সেরে নিতে চেয়েছিলেন ওই সময়ে। কিন্তু ক্লাব হঠাৎ করে অনুশীলন ডেকে দেয়। মেসির পক্ষে অনুশীলনে যোগ দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাঁকে প্র্যাকটিসে দেখতে না পেয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন কোচ। তার পরেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মেসিকে দু’সপ্তাহ সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসজি।

    আরও পড়ুন: আইপিএল-এর মর্যাদা নষ্ট! গম্ভীর, বিরাট ও নবীনকে শাস্তি দিল বিসিসিআই

    বিরক্ত মেসি

    ২০২১ সালে পিএসজি’তে যোগ দিয়েছিলেন মেসি (Lionel Messi)। এই মরশুমে তিনি ১৫টি গোল করেছেন। গোলের জন্য সহযোগিতা করেছেন ১৫ বার। তবুও প্যারিসের জনতার মন জয় করতে পারেননি মেসি। তাঁকে শুনতে হয়েছে কটাক্ষ। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তার তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছিল। স্বভাবতই বেশ বিরক্ত ছিলেন মেসি। তলে তলে তিনি যোগযোগ শুরু করেছিলেন অন্য ক্লাবে। যা বুঝতে পারছিল পিএসজিও। এখন ফাটল আরও চওড়া। যা জোড়া লাগার কোনও সম্ভাবনাই নেই। পিএসজি’র সঙ্গে মেসির বিচ্ছেদ শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Kalyani: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে ইডি-আয়করের জোড়া হানা!

    Krishna Kalyani: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে ইডি-আয়করের জোড়া হানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই, এবার রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পিএসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে ইডি ও আয়কর দফতরের জোড়া হানা। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে বিধায়কের বাড়ি ও অফিস। প্রায় তিরিশ থেকে চল্লিশ জনের আয়কর আধিকারিকদের একটি দল এই তল্লাশিতে রয়েছেন বলে খবর। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আর্থিক বেনিয়ম ও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) পরিবার সূত্রে খবর, আজ খুব ভোরেই বিধায়কের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যায় ইডি। জানা গেছে, কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়ি, রয়্যাল এনফিল্ড শো রুম, বিধায়কের কার্যালয়, কল্যাণী সলভেন্ট, ওয়া-বাজার সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়েছে ইডি এবং আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, বিধায়ককে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর প্রদীপ কল্যাণী, যিনি সম্পর্কে বিধায়কের ভাই, তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আচমকাই বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ঢুকে পড়ে। বাড়ি থেকে কাউকেই বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে?

    সূত্রের খবর, রায়গঞ্জের বিধায়কের একাধিক সংস্থা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কল্যাণী সলভেক্স নামে কোম্পানি। সেই সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, ওই কোম্পানির মাধ্যমে বেশ কয়েক কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সেই সূ্ত্র ধরে এর আগে ২০১৮ সালে ২৫ জুলাই কলকাতা জোন ওয়ান ইডি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মোতাবেক গত বছর জুলাই মাসে কল্যাণী সলভেক্সকে নোটিশ পাঠায় ইডি। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কত টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় এরপর আরও দু’দফা নথি চাওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সন্দেহ দূর হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাই আজকের এই তল্লাশি বলেই জানা যাচ্ছে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সেই আবহেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হল এক ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী (Fake Candidate)। জানা গিয়েছে ওই চাকরি প্রার্থীর নাম বাপ্পা দেবনাথ। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙায়। সূত্রের খবর, জাল নথি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন এদিন তিনি (Fake Candidate)। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পর্ষদ কর্তারা। ধৃতকে (Fake Candidate) বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে ধরা পড়ল এই ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ?

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ একাংশের ইন্টারভিউ চলছে এখন। মঙ্গলবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ইন্টারভিউ চলছিল। তার জন্য ইন্টারভিউ দিতে দুপুরের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন ওই প্রার্থী (Fake Candidate)। ইন্টারভিউয়ে তাঁর যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আধিকারিকরা জানতে পারেন ওই প্রার্থীর ডিএলএড সার্টিফিকেট জাল করা। ওই সার্টিফিকেটটি ২০১৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করা। তাঁর ডিএলএডের অ্যাডমিট, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সব জাল ছিল বলে খবর পর্ষদ সূত্রে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিকের জানান, নথি যাচাইয়ের সময়ই ওই ভুয়ো টেট উত্তীর্ণকে ধরে ফেলা হয়। তাঁকে ইন্টারভিউ অবধি পৌঁছতে দেওয়া হয়নি, যাঁরা নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন, বাপ্পা দেবনাথের সার্টিফিকেট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়, সঙ্গে সঙ্গে পিটিটিআই সেল ইনচার্জকে পুরো বিষয়টি বলা হয়। এরপর নথির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়, সেখানেই ধরা পরে যায় আসল সত্য। জানা গেছে, ওই প্রার্থীর (Fake Candidate) রেজিস্ট্রেশনে যে নম্বর রয়েছে আসলে ২০১৬ সালে ওই নম্বরের কোনও রেজিস্ট্রেশনের অস্তিত্ব নেই।’ আপাতত পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে, এর পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে।

    ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ কী বলছে?

    ভুয়ো প্রার্থীর (Fake Candidate) অবশ্য দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি ডিএলএড কলেজ থেকে তিনি ডিএলএড করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে ডিএলএড সার্টিফিকেটটি ল্যামিনেশন করা থাকায় এবং তার রং আলাদা থাকায় আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ দেখে নিয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের চাপরাশিও হতে পারবেন না, ভোট পরবর্তী হিংসার দু বছর পূর্তিতে এমনই মন্তব্য করলেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ পুলিশ-তৃণমূল যৌথ সন্ত্রাসের তত্ত্বকে সামনে আনেন এদিন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই তিনি বলেন, ময়নায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আততায়ীরাই।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিনই দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের ব্লক নেতার টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (মাধ্যম এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি), যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যনীতি। প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই জেলা থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তোলাবাজিকে উৎসাহিত করার জন্যই চলছে নবজোয়ার কর্মসূচি, এমনই মন্তব্য করেন বালুরঘাটের সাংসদ। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক দু-হাতে টাকার ব্যাগ তুলে দিচ্ছে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ীকে। সিভিক থেকে কনস্টেবল পদে উন্নীত হওয়ার জন্যই নাকি এই ঘুষ নেওয়া হচ্ছিল, এমনটাই দাবি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির। এই ভাইরাল ভিডিওটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত মজুমদার, তাতে তিনি লেখেন, নবজোয়ারের নামে বস্তা বস্তা টাকা তুলতেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন যুবরাজ। তাঁর আরও সংযোজন, খোদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই টাকা তোলা হচ্ছিল কিনা তা একবার খোঁজ নেওয়া দরকার।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moyna BJP Bandh: বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ! সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ

    Moyna BJP Bandh: বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ! সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে আজ, বুধবার বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ময়নায় (Moyna BJP Bandh)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবারই এই বন‍্‍ধ-এর কথা ঘোষণা করেন।

    থমথমে পরিবেশ

    বুধবার সকাল থেকেই ময়নায় বন্ধ দোকানপাট (Moyna BJP Bandh)।বন‍্‍ধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন‍্‍ধ ঘিরে বিজেপির পিকেটিং চলছে। বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে ফেলা হয়েছে। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। মজুত রয়েছে জলকামানও। বলাইপণ্ডা বাজারে রাস্তায় মিছিল করে বিজেপি। রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাস বন্ধের জন্য মানবিকতার খাতিরে সকলকে দোকান বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাগচায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন উত্তপ্ত ছিল ময়না। সেই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে মৃতের পরিবার। ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। গতকাল ময়নায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারীও। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে বনধ (Moyna BJP Bandh) ও পথ অবরোধের ডাক দেন তিনি। 

    নিষ্ক্রিয় পুলিশ

    এদিকে, নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রী লক্ষ্মী ভূঁইয়া জানান, ‘আমাদের নদীর পাড়ে একটা বাড়ি আছে, সেখানে আমি আর আমার স্বামী গিয়েছিলাম। তারপর ঘরে আসার জন্য বাঁধে উঠছিলাম। সেইখানেই ধরে নিয়েছিল। কাঠ দিয়ে, রড দিয়ে কী মার মেরেছিল। বন্দুক নিয়ে, ছুরি নিয়ে খুব মার মেরেছিল। আমি পায়ে ধরে কেঁদেছি তাও ছাড়েনি। তৃণমূলের লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পে পুলিশের পায়ে ধরে কেঁদেছি। পুলিশ বলে আমাদের থানা থেকে কোনও অর্ডার নেই। এখন যেতে পারব না।’ সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার ছেলে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবিও জানিয়েছে পরিবার (Moyna BJP Bandh)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share