Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের পর এবার করণদিঘিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রবিবার করণদিঘিতে প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটদান চলাকালীন দুটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে তুমুল ঝামেলা বাঁধে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। চাকুলিয়া ব্লকের হপতিয়াগজ গ্রাম পঞ্চায়েত ও গোয়াগাঁও- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট দান কক্ষে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। করণদিঘির আগে ইসলামপুর কোর্ট ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। সেই সভা শেষে ব্যালট বাক্সে প্রার্থীর নামের কুপন দিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যদিও পরে দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    করণদিঘিতে ঠিক কী হয়েছিল?

    রবিবার চোপড়ায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। পরে, সেখান থেকে তিনি ইসলামপুরে সভা করেন। সভা শেষে সেখানেও ব্যালটে ভোট দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হয়। পরে, বিষয়টি মিটে যায়। সেখান থেকে যুবরাজ চাকুলিয়াতে সভা করেন। পরে, করণদিঘিতে তিনি রাতে থাকেন। করণদিঘিতে অভিষেক (Abhishek Banerjee) পৌঁছানোর পরই ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে ভোটদান শুরু করে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান। এরপরই পুরানো এবং নব্য তৃণমূলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। যে ব্যালট বাক্সে ভোটদান চলছিল তৃণমূল কর্মীদের একাংশ তা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনিতেই অভিষেক (Abhishek Banerjee) সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে চলে যান। ভোটদান কেন্দ্রে গণ্ডগোল হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে ভোটদান পর্ব বন্ধ করে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    ভোটদান নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?

    এক তৃণমূল কর্মী বলেন, পুরানো কর্মীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের কোনও নাম নেই। নতুন যারা এসেছে তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। আসলে তালিকা জমা পড়ার পর তালিকায় কাটছাঁট করা হয়েছে। চোখের সামনেই এসব হচ্ছে। অন্য এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ব্যালটে ভোট দেওয়া চলছে। সেটা প্রকাশ্যে হচ্ছে। কোনও গোপনীয়তা নেই। আর তাতেই তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ আপত্তি জানান। ফলে, ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই করতে অভিনব পদক্ষেপ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জেলায় জেলায় ঘুরছেন তিনি। সব সভা থেকেই অভিষেক একটাই বার্তা দিচ্ছেন, তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করবে না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছবে মানুষ। অভিষেকের এই উদ্যোগ কার্যকরী করতে গিয়েই বাঁধছে বিপত্তি। জায়গায় জায়গায় ব্যালট বাক্স ভাঙা থেকে লুঠপাটের ঘটনা সামনে আসছে। কোচবিহার ছাড়াও জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, পাহাড়পুর, রাজগঞ্জ থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সব জায়গাতেই ব্যালট পেপার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও একই ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TRAI: বড় ঘোষণা ট্রাইয়ের! অযাচিত ফোন কল থেকে রেহাই পেল আমজনতা 

    TRAI: বড় ঘোষণা ট্রাইয়ের! অযাচিত ফোন কল থেকে রেহাই পেল আমজনতা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযাচিত ফোন কল বা মেসেজে জেরবার অনেকেই। আপনার ফোন নম্বর লটারিতে জিতেছে ১ কোটি টাকা! এমন মেসেজ প্রত্যেকেই পান। বোঝা যায় এগুলো ভুয়ো! তাই মেসেজ বা ফোন এড়াতে আমরা সাধারণত নম্বরগুলো ব্লক করে দিই। কিন্তু তাতে কী? প্রতারকরা আবার নতুন নম্বর থেকে মেসেজ করে। আবার ঋণের প্রলোভন দেখিয়েও ফোন আসে, কখনও বা আসে পণ্য পরিষেবার বিজ্ঞাপন। এবার এইসব ভুয়ো ফোন কল থেকে রেহাই পেতে চলেছেন গ্রাহকরা। অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে ট্রাইয়ের (TRAI) সূত্রে। ১ মে, সোমবার থেকে নয়া নিয়ম চালু করল টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই। 

    কীভাবে মিলবে রেহাই?

    সমস্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে ট্রাইয়ের (TRAI) নির্দেশ, প্রতিটি ফোনকল এবং মেসেজে বাধ্যতামূলকভাবে বসাতে হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ছাঁকনি। শোনা যাচ্ছে, ভুয়ো কল রুখতে এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া এবং জিয়োর সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে ট্রুকলার। এতে ভুয়ো ফোনের উৎস শনাক্ত করতে সুবিধা হবে। এছাড়া, প্রোমোশনাল কলের জন্য ১০ সংখ্যার মোবাইল নম্বর ব্যবহার না করার কথা জানিয়েছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI)। এতে মোবাইল ব্যবহারকারীরা সহজেই চিনতে পারবেন অযাচিত কল। ফলে, সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে অগণিত মানুষ মুক্তি পাবেন এই ধরনের স্প্যাম কল থেকে।

    টেলিকম সংস্থাগুলি কী ভাবছে?

    ট্রাই (TRAI) সূত্রে খবর, এই AIML স্প্যাম ফিল্টারগুলি ইনস্টলিংয়ের ট্রায়াল এক্কেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তার জন্য ভোডাফোন আইডিয়া বা Vi ইতিমধ্যেই Tenla Platforms-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে, ট্রাইয়ের (TRAI) নির্দেশ কার্যকর করতে ইতিমধ্যে রাজি হয়েছে এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিয়োর মতো টেলিকম সংস্থাগুলি। গ্রাহকদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিশিষ্ট (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) স্প্যাম ফিল্টার পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করেছে এয়ারটেল। অন্য দিকে, জিয়োর গ্রাহকদের জন্য শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের বিশেষ ক্ষেত্রে আর ৬ মাস অপেক্ষা নয়! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের বিশেষ ক্ষেত্রে আর ৬ মাস অপেক্ষা নয়! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ছয় মাস বাধ্যতামূলকভাবে (Six Month Wait Mandatory) অপেক্ষা করতে হবে না। ক্ষেত্রবিশেষে এই নিয়ম বাতিল করাতে মত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Courts Order On Divorce)। সোমবার ‘বাধ্যতামূলক’ সেই সময়সীমা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে সম্পর্ক তিক্ত, খাদের কিনারায় এসে ঠেকেছে, আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করা যুক্তিহীন। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, সঞ্জীব খান্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জেকে মাহেশ্বরীর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, কোনও ভেঙে যাওয়া বৈবাহিক সম্পর্ক যদি আর কোনও ভাবেই মেরামত করা সম্ভব না হয়, তবেই এই বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করবে আদালত। আদালত এই বিশেষ অবস্থাকে এক কথায় বলছে, ‘পুনরুদ্ধারের অসাধ্য বৈবাহিক সম্পর্ক’। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের এই সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারাটি নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। যেখানে ডিভোর্সের নোটিশ প্রদানের দিন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ছয় মাস অপেক্ষার কথা বলা আছে। ওই সময়ের মধ্যে আদালতও ডিভোর্সের ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে পারে না। 

    আরও পড়ুন: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

    এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ না দিয়েই বিবাহ ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। তবে তা পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র প্রযোজ্য। কোন কোন ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ ছাড়া কোনও গতি নেই বলে বিবেচিত হবে তা আদালত চিহ্নিত করেছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে তার উল্লেখ থাকবে। বিশেষ পরিস্থিতিটির ব্যাখ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের দায়িত্ব কে নেবেন, সম্পত্তির ভাগ কে পাবেন, এ সব কিছু খতিয়ে দেখে আদালতই ঠিক করবে বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিটির দ্রুত মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড, ঘাটাল কলেজ, এসডিও অফিস চত্বর সহ সমস্ত জায়গায় পড়েছে পোস্টার। আর এই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল অভিনেতা দেবের (Dev) সাংসদ এলাকায়। শুধু পোস্টারই নয় দেবের (Dev) পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমনকী দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, নিজের দাদা সাংসদ (Dev) থাকা সত্ত্বেও কাটমানি দিতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে। ঘরের ছেলে সাংসদ থাকার সত্ত্বেও কেন টাকা নেওয়া হল? দীপক অধিকারী (Dev) জবাব দাও। বিক্রম অধিকারীর আবাস যোজনার টাকা নেওয়া  হল কেন? তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা জবাব দাও। আর ঘাটাল শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টারে ছয়লাপ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন এই পোস্টার?

    সাংসদ দেবের (Dev) জেঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। তিনি থাকেন কেশপুরের মহিষদায়। সরকারি আবাস যোজনায় কাটমানি দিতে হয়েছে তাঁকে। বিক্রম বলেন, আমি নিজে তৃণমূল করি। আমার দাদা সাংসদ বলে কোনও বাড়িতে সুবিধা পাইনি। এখানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি না দিলে বাড়ি মিলবে না। তাই, ওদের চাহিদা মতো আমি কাটমানি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, পারিবারিক সমস্যা সমাধানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয়। সাংসদের (Dev) ভাই বলে আমাকে অনেক জায়গায় তৃণমূল নেতারা নিয়ে গিয়ে কাটমানি নিয়েছে। আমার বাড়ি বেহাল হয়ে রয়েছে। আমফানে বাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, আমি ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য দেবের (Dev) ভাইকে টাকা দেওয়ার খবর জানাজানি হতেই রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই মাঠে নামে বিজেপি। ঘাটাল শহর জুড়ে তারা পোস্টার দিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    এই বিষয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেবের ভাই বলে খবরটা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার মানুষের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কে অধিকার দিয়েছে ওদের? গরিবের কথা কেউ শোনেনি। আমরা নামগুলো খুঁজে খুঁজে দিল্লি পাঠিয়েছি।”

    পোস্টার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, খেই হারিয়েছে বিজেপি। দেব (Dev) কুৎসার জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ থাকাতেই পোস্টার রাজনীতি করছে বিজেপি। পোস্টার নিয়ে রাজনীতি না করে বিজেপি মাঠে নেমে রাজনীতি করুক। মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে বিছে! না জেনে সেই খিচুড়িই খেয়ে নিল শিশুরা!

    Mid Day Meal: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে বিছে! না জেনে সেই খিচুড়িই খেয়ে নিল শিশুরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শিশুদের খাবারে বিছে! এবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের গ্ৰামে। এর আগেও দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের খাবারে ও স্কুলের মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কোথাও সাপ, কোথাও ইদুর, কোথাও আবার পোকামাকড় উদ্ধার হয়েছিল। সেইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও খাবের বিছে উদ্ধার হল। স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উঠেছে নজরদারির অভিযোগও। বীরভূমের কীর্ণাহারের পরোটা গ্ৰামে ২২ নং কেন্দ্রের পরোটা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরও অভিযোগ, সেই বিছে পড়া খাবারই তুলে দেওয়া হয়েছে শিশুদের হাতে। যদিও খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কীর্ণাহার থানার পুলিশ আসতেই বাকি খাবার যেগুলি বেঁচে ছিল, সেগুলি ফেলে দেওয়া হয় প্রশাসনের নির্দেশমতো, যাতে আর এই খাবার (Mid Day Meal) কেউ না নিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে গ্ৰামবাসীদের সচেতন করা হয়েছে, যাতে ওই খাবার কেউ যেন না খায়।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    কোলে দুধের শিশুকে নিয়ে এক মা বললেন, আমরা খিচুড়ি নিতে এসেছি। এখানে এসে শুনছি, খাবারে (Mid Day Meal) বিছে ছিল। সৈকত নামে একটা ছেলে দেখেছে, সে দিদিমণিকেও বলেছে। কিন্তু দিদিমণি বলেছে, ওটা বরবটি কড়াই। বিছেটা পাশে রেখে দিয়ে আমাদের সেই খিচুড়ি দিয়েছে। আমরা সেই খাবারই ছেলেদের খাইয়েছি। যখন শুনলাম, তখন খাওয়ানো বন্ধ করেছি। দিদিমণি বিশ্বাসই করছে না। বারবার একই কথা বলছে, এটা বরবটি কড়াই। এরপর দিদিমণি ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। প্রশাসন এসেছিল। যারা খেয়েছে, তারা কান্নাকাটি করছে। ওদের যে কী হবে, জানি না। আমাদের একটাই দাবি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্যে রান্না হোক। 

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন না

    গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ, যেখানে রান্না (Mid Day Meal) করা হয়, সেই ঘরটি অপরিষ্কার। মাকড়সার ঝুলে ভর্তি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এমনকী বাইরে রয়েছে আবর্জনায় ভর্তি একটি জলাশয়। এমনকী ওই গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জেনেশুনেও এই খাবার দিয়েছেন। এই খাবার খেয়ে যদি কোনও শিশু অসুস্থ হয়, তাহলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও ওই কেন্দ্রের কর্মী কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। বারবার তাঁকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের কবিতীর্থ স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্যের তালিকায় দণ্ডিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতার নাম। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল বালুরঘাট শহরের ১০টি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিদের নামের তালিকা এসেছে। ওই তালিকাতে তৃণমূল নেতা ও বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল। যা নিয়েও ক্ষোভ ছিল শিক্ষামহলে। এবারে বালুরঘাট ও হিলির ১৫টি স্কুলের পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগীদের নাম এসেছে। ওই কমিটিতে একটি স্কুলে সভাপতি, দুইজন করে শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক, মেডিক্যাল অফিসার, এসআই সহ অনেকেই থাকবে। জেলার ১৫টি স্কুলের পরিচালন সমিতির শিক্ষানুরাগী সদস্যের বেশিরভাগই তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত। তার মধ্যে একটি স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসেবে আনন্দ রায়ের নাম প্রকাশিত হয়েছে। আনন্দ রায় তৃণমূলের যুব নেতা বলেই পরিচিত। সম্প্রতি আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও সে এখন জামিনে মুক্ত। তাই ওই যুব নেতার নাম ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর মত একটা বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। তাকে তৃণমূল শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছে। আদিবাসীদের প্রতি এমন নির্যাতনের পরেও তৃণমূলের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আনন্দ রায় তৃণমূলের, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির এই তালিকায় তার নাম মাস চারেক আগেই শিক্ষা দফতরে গেছিল। যা সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে। দণ্ডিকাণ্ডে তার নাম আসার পর আমরা এবিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। এই নাম পরিবর্তনের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে আর্জি জানাব। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা আনন্দ রায়কে বহুবার ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

    কী বললেন স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক?

    ওই কবিতীর্থ স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্তু রায় বলেন, কারা এই তালিকায় থাকবে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে এই তালিকায় নাম যুক্ত বা বাতিলের বিষয় আমাদের হাতে নেই। সম্পূর্ণ বিষয় রাজ্য শিক্ষা দফতরের হাতে রয়েছে।

    এনিয়ে স্কুল (School) পরিদর্শকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা দফতর স্কুল (School) পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, রাজ্য থেকে ওই তালিকা এসেছে, সেই তালিকা আমরা স্কুলগুলিকে পাঠিয়েছি। যা করার রাজ্য থেকেই করে। বাকি বিষয়ে জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Education: ‘উন্নয়নের শপথ’ কি নামেই? খুদে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ!

    Education: ‘উন্নয়নের শপথ’ কি নামেই? খুদে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ। বৃষ্টি হলেই ফুটো হওয়া টিনের চাল দিয়ে জল পড়ছে ক্লাসরুমে। এমনকী বৃষ্টির জল স্কুল চত্বরেও ঢুকে পড়ছে। এছাড়া টিনের গরমে নাজেহাল অবস্থা খুদে পড়ুয়াদের (Education)। এমনই বেহাল দশা বালুরঘাট শহর লাগোয়া খিদিরপুরের শান্তিময় ঘোষ স্মৃতি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

    স্কুলের বেহাল দশা, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই স্কুল সংস্কার করা হয়নি। জেলার প্রায় অধিকাংশ স্কুলের ছাদ পাকা হলেও এখনও ওই স্কুলের ছাদ হয়নি। তাই বৃষ্টি ও ঝড়বাদলে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়। শুধু ওই স্কুল (Education) নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েই বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার হয়নি। অনেক স্কুলের বিল্ডিং পুরনো ও জীর্ণ দশায় পরিণত হয়েছে। কোথাও বা ছাদের একাংশ খসে পড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের সীমানা বরাবর ওই স্কুলটি (Education) অবস্থিত। ১৯৮৯ সালের হলেও ওই স্কুল এখনও টিনের। চারদিকে দেওয়াল থাকলেও একেবারে জীর্ণ। একটিমাত্র ঘর ও একটি রান্নাঘর নিয়েই চলছে স্কুল। ছাত্র সংখ্যা ২৫ জন। শিক্ষিকা ২ জন। কিন্তু ওই স্কুলের বেহাল দশায় দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্কুলের চারদিকই ঢোবা-জঙ্গলে পরিপূর্ণ। তাই এই গরমে সাপের উৎপাত বাড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে। 

    কী বলছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও জেলা সংসদ চেয়ারম্যান?

    এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নীতা ঘোষ দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের স্কুল (Education) খারাপ হয়ে আছে। স্কুল সংস্কারের জন্য দফতরে জানিয়েছি। ওই স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক মিলন মোহন্ত বলেন, স্কুলে সাপ ঘুড়ে বেড়ায়। টিন ফুটো হয়ে জল পড়ে। এমনকী বৃষ্টির জল ঢুকে যায়। যার ফলে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, কিছু স্কুল (Education) খারাপ আছে। সেই রিপোর্ট আমার কাছে এসেছে। তবে স্কুলগুলি কেন সংস্কার হচ্ছে না, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohini Ekadashi 2023: আজ মোহিনী একাদশী! জানুন এর পৌরাণিক কাহিনী

    Mohini Ekadashi 2023: আজ মোহিনী একাদশী! জানুন এর পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মোহিনী একাদশী (Mohini Ekadashi 2023)। বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিটিকে বলা হয় মোহিনী একাদশী (Mohini Ekadashi 2023)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত শুভ। এই বিশেষ একাদশী তিথির আলাদা মাহাত্ম্যও রয়েছে। পরিবারের মঙ্গলকামনায় এইদিনে নানা রকমের শুভকাজের অনুষ্ঠান করা হয়। পুরাণ অনুসারে, মোহিনী একাদশীতে (Mohini Ekadashi 2023) মোহিনী রূপ অর্থাত্‍ নারী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু। পণ্ডিতরা বলছেন, বিষ্ণুর অসংখ্য রূপের মধ্যে এই মোহিনী রূপই একমাত্র নারী রূপ। এই তিথিতে শ্রীবিষ্ণুর নারী-রূপের আরাধনা করা হয়। মনে করা হয়, মোহিনী একাদশীতে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পুজো করলে অর্থ লাভ হয়।

    মোহিনী একাদশী তিথি ও শুভক্ষণ 

    ২০২৩ সালে, মে মাসের প্রথম দিনেই পড়েছে মোহিনী একাদশী। একাদশী তিথি শুরু হয়েছে ৩০ এপ্রিল রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এবং পয়লা মে রাত ১০টা ০৯ মিনিটে শেষ হবে। উদয় তিথি অনুসারে একাদশী উদযাপিত হবে পয়লা তারিখ। 
    একাদশী তিথির দিন দু’টি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে – রবি যোগ সকাল ৫টা ৪১ থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। আর, ব্রহ্ম মুহূর্ত থেকে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ধ্রুব যোগ।

    পুজো বিধি 

    একাদশীর দিন (Mohini Ekadashi 2023) ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিন। এর পরে কলশ স্থাপন করুন। শ্রী বিষ্ণুর মূর্তি স্নান করিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিন। নতুন জামাকাপড় পরান। ফুল, ফল, অক্ষত, মালা, চন্দন, হলুদ বস্ত্র, হলুদ মিষ্টি নিবেদন করুন। ধূপ ও প্রদীপ জ্বালান। সঠিক বিধি মেনে পূজার্চনা করুন। পুজোর সময় বিষ্ণু মন্ত্র জপ করুন। পুজো শেষে আরতি করুন।

    পৌরাণিক আখ্যান…

    পুরাণ অনুসারে, সমুদ্র মন্থনে অমৃতের ভাণ্ড উঠেছিল এবং তা নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। অসুররা দেবতাদের কাছ থেকে অমৃত ভাণ্ড ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। এতে দেবতারা ভয় পেয়ে যান। এমতাবস্থায় দেবতারা নারায়ণের শরণাপন্ন হন, তখন বিষ্ণু এক অপরূপ সুন্দরী নারীর রূপ ধারণ করেন। বিষ্ণুর সেই মনোমোহিনী রূপে অসুররা মোহিত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে রূপে দ্বারা অসুরদের ভুলিয়ে তাদের থেকে অমৃত নেন বিষ্ণু। মোহিনী অবতার সত্ত্বেও বিষ্ণুকে চিনতে পেরে যান দুই অসুর, রাহু ও কেতু। অমৃত পান করার অভিলাসে, তারা দেবতার ছদ্মবেশে দেবতাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তাদের চিনে ফেলে সূর্য ও চন্দ্র এবং বিষ্ণুকে তা জানান। বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে রাহু ও কেতুর মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অমৃত রাহু ও কেতুর গলা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অমৃতের দৌলতে তাদের মাথা থেকে গলা অবধি অমর হয়ে যায়। সূর্য ও চন্দ্রর প্রতি রাগে রাহু, কেতু সুযোগ পেলেই সূর্য ও চন্দ্রকে গিলে ফেলে। কিন্তু রাহু, কেতুর ধড় না থাকায়, সূর্য ও চন্দ্র বেরিয়ে আসেন। এই পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই, পুরাণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Badminton Championships: সোনার ছেলে সাত্ত্বিক-চিরাগ! ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষে ভারত

    Asian Badminton Championships: সোনার ছেলে সাত্ত্বিক-চিরাগ! ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস তৈরি করলেন সাত্ত্বিকসাইরাজ রনকিকেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টির (Satwiksairaj Rankireddy And Chirag Shetty) জুটি। ৫৮ বছরের খরা কাটাল। ভারতীয়দের মধ্যে দীনেশ খান্নার পরে ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে দ্বিতীয় সোনা এল সাত্ত্বিক-চিরাগের হাত ধরে। দেশের প্রথম ডাবলস জুটি হিসেবে সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ সোনা জিতলেন ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে (Badminton Asia Championships)। এর আগে পুরুষদের ডাবলসে এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় খেলোয়াড়দের সেরা ফল ছিল ১৯৭১ সালে দীপু ঘোষ এবং রামন ঘোষের ব্রোঞ্জ পদক জয়। দীনেশ খান্না ১৯৬৫ সালে লখনউয়ে এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে সিঙ্গলসে সোনা জিতেছিলেন।

    সোনালি অধ্যায়

    রবিবার যখন আইপিএলে বুঁদ ভারতবাসী, তখন দুবাইয়ে ‘সোনালি’ ইতিহাস লিখে ফেললেন ভারতের গর্ব সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ। অন্ধ্রপ্রদেশের অমলাপুরমের ছেলে সাত্ত্বিকের বয়স ২২ এবং মুম্বইয়ের চিরাগের বয়স ২৫। ২০২২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ী সাত্ত্বিকরা অনবদ্য ভাবে ঘুরে দাঁড়ান এ দিনের ফাইনালে। মালয়েশিয়ার ওং ইউ সিন এবং তেও ই-এর বিরুদ্ধে তাঁরা প্রথম গেমে হারেন। সেখান থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়ে তাঁরা ম্যাচ জিতে নেন ১৬-২১, ২১-১৭, ২১-১৯ ফলে। জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত সাত্ত্বিক বলেছেন, ‘‘বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না প্রথমে আমরাই নতুন এশীয়া চ্যাম্পিয়ন। দেশকে আরও সাফল্য এনে দিতে চাই।’’ ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থার সভাপতি ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁদের ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

    আরও পড়ুন: এশীয়-মঞ্চে সোনা জয় নদিয়ার ষোড়শী রেজওয়ানা মল্লিক হিনার

    দুরন্ত প্রত্যাবর্তন

    তবে ইতিহাস সৃষ্টি করা ভারতীয় এই জুটির শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথম গেমে সাত্ত্বিক-চিরাগ খুব বেশি কিছু করতে পারেনি। ১৬-২১ ব্যবধানে হারে। ওপেনিং গেম হেরে কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ। দ্বিতীয় গেমেও মালয়েশিয়ান জুটি ১৩-৭ এগিয়ে যায়। তারপরেই প্রত্যাখাত শুরু করে ভারতীয় জুটি। দুবাইয়ের আল নাসের ক্লাবের শেখ রশিদ বিন হামদান ইন্ডোর হলে, (Sheikh Rashid Bin Hamdan Indoor Hall, Al Nasr Club) তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগরা জিতলেন ১৬-২১, ২১-১৭ ও ২১-১৯ ব্যবধানে। চলতি বছর এটাই এই ভারতীয় জুটির প্রথম বড় খেতাব। গতবছর কমনওয়েলথে সোনার সঙ্গেই সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ জিতেছিলেন ঐতিহাসিক থমাস কাপ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অথচ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবারই ডিজিকে চিঠি দেবেন বলে নন্দীগ্রামে মন কি বাত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা জানান তিনি।

    রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যেভাবে প্রতিদিন কালিয়াচক, কালিয়াগঞ্জের মতো ঘটনা ঘটছে, তারই প্রেক্ষিতে আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব, তৃণমূলের পার্টি ভোটের জন্য যে পুলিশ মোতায়েন করেছে, তাতে কত টাকা তৃণমূল ট্রেজারিতে দিয়েছে? অভিষেকের সভা থেকে ফেরার পথে গাড়ি উলটে পুলিশ কর্মীরা জখম হয়েছেন। গোটা রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর রোজ রোজ রাজ্যে সাধারণ মানুষ খুন হচ্ছে। বর্ধমানে এক মাসের মধ্যে তিনজন খুন হয়েছে। রানিগঞ্জে আমাদের দলের নেতা রাজেন্দ্র সাউকে খুন করা হল। আমরা নিরাপত্তা পাই। কিন্তু, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে?

    ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। গত বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) জয়ী করেছিলেন নন্দীগ্রামবাসী। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব ছিল নন্দীগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, প্রায় ১০ হাজার মানুষ মন কি বাত অনুষ্ঠান শুনেছেন। আর মন কি বাতে নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    অভিষেক ব্যানার্জীর নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, অভিষেক ব্যানার্জীকে হরি দাস পাল ব্যানার্জী বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পিসি ছাড়া জিরো! দু হাজার পুলিশ নিয়ে বের হয়। চার কোটি টাকার বাস। আগে বলেছিল না, অমিত শাহজি নাটক করতে খেতে যায়। কালকে কি করছিল ? নাটক করছিল ? কয়লা, বালি খাচ্ছিল?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share