Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Mana Village:  শেষ নয়! ভারতের প্রথম গ্রাম মানা, বর্ডার রোড অর্গনাইজেশন-এর নতুন সাইনবোর্ড

    Mana Village: শেষ নয়! ভারতের প্রথম গ্রাম মানা, বর্ডার রোড অর্গনাইজেশন-এর নতুন সাইনবোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারতের শেষ গ্রাম’ এখন ‘ভারতের প্রথম গ্রাম’ (First Village of India)। উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট একটা গ্রাম ‘মানা’ (Mana Village)। পর্যটকদের কাছে এটা ‘ভারতের শেষ গ্রাম’ হিসেবেই পরিচিত। তবে সম্প্রতি বর্ডার রোড অর্গনাইজেশন এই গ্রামের বাইরেই নতুন এক সাইনবোর্ড বসাল। তাতে লেখা – ‘ভারতের প্রথম গ্রাম’। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশে উন্নতির জোয়ার আনার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লক্ষ্যেই কোনও গ্রামই দেশের শেষ নয় প্রথম হওয়া উচিত বলে মনে করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তাই এই নাম পরিবর্তন।

    চিনকে বার্তা

    রাজনৈতিক মহলের অনুমান, চিনকে কড়া বার্তা দিতেই ভারতের (India) এই পদক্ষেপ। লাদাখ থেকে অরুণাচল বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্তে অশান্তি তৈরি হয়েছে বারংবার। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বলে এসেছে যে ভারতের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। এরই মধ্যে ভারত-চিন সীমান্তে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে অবশ্য আপত্তি আছে চিনের। এই আবহে ‘মানা’-কে (Mana Village) ভারতের ‘প্রথম গ্রাম’ হিসেবে তুলে ধরে চিনকেই বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

    আরও পড়ুুন: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

    নতুন সাইনবোর্ডের ছবি দিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি একটি ট্যুইটে লেখেন, ‘এখন থেকে মানাকে আর ভারতের শেষ গ্রাম নয় বরং প্রথম গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।’ প্রতিবছর বহু পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ যান। বদ্রীনাথ ধামের খুব কাছেই অবস্থিত এই ‘মানা’ গ্রাম। বদ্রীনাথ থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামে মারছাস এবং ভুটিয়া জনজাতির মানুষদের বাস। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই গ্রামে মোট ৫৫৮টি পরিবার রয়েছে। মোট ১২১৪ জনের বাস ছিল এই গ্রামে। যাঁরা বদ্রীনাথ যান, তাঁরা সকলেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মানা (Mana Village) গ্রামে ঘুরতে যান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Summer Vacation: শনিবারই শেষ ক্লাস! রাজ্যে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ২ মে থেকেই

    Summer Vacation: শনিবারই শেষ ক্লাস! রাজ্যে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ২ মে থেকেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২ মে থেকেই সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি (Summer Vacation) পড়বে, সেকথা ফের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরে ২ মে মঙ্গলবার হচ্ছে। আগের দিন সোমবার মে দিবসের সরকারি ছুটি। তার আগেরদিন রবিবার। অর্থাৎ শনিবার অর্ধদিবস স্কুল হওয়ার পরেই ছুটি পড়ে যাবে। তবে কতদিন পর স্কুল খুলবে সেকথা এখনও জানানো হয়নি। পরে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাবে শিক্ষা দফতর। প্রসঙ্গত, দার্জিলিঙের পাহাড়ি এলাকা ও কালিম্পঙ জেলা ছাড়া গরমের কারণে রাজ্যের সরকারি, সরকার-পোষিত স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এই গ্রীষ্মের ছুটি কার্যকর হবে। চলতি মাসের ১৩ এপ্রিলই স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশে মধ্যশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রাজ্যের সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পোষিত সব স্কুলে ২ মে থেকে গ্রীষ্মের ছুটি (Summer Vacation) ঘোষণা করেছিল।

    এগিয়ে এল গরমের ছুটি (Summer Vacation)

    নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৪ মে থেকে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি (Summer Vacation) পড়ার কথা ছিল। কিন্তু, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় প্রবল তাপপ্রবাহ। তখনই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ২ মে থেকে গরমের ছুটি (Summer Vacation) পড়ার কথা জানান। পরে তাপপ্রবাহের প্রকোপ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৭ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি স্কুল ছুটির কথা ঘোষণা করেন মমতা। এখন আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায়, শিক্ষকদের দাবি ছিল, ২ মে নয়, আগের সূচি অনুযায়ী ২৪ মে থেকেই গ্রীষ্মের ছুটি পড়ুক। প্রবল তাপপ্রবাহে মাঝে রাজ্যের বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, সেই সব স্কুলে অনলাইন ক্লাস হয়েছে। এখন সেখানে নিয়মিত স্কুল শুরু হয়েছে এবং মে-র মাঝামাঝি গ্রীষ্মের ছুটি পড়বে বলে জানিয়েছে বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের এমনও দাবি ছিল, গ্রীষ্মকালে সকালে স্কুল হোক। এতে নির্ধারিত সময়েই গরমের ছুটি দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর পূর্ব পরিকল্পনার কথাই ঘোষণা করলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet Road: বর্ষাকালে কর্দমাক্ত আলপথে পড়ুয়াদের হাতে ওঠে জুতো, চলে না সবুজসাথীর সাইকেলও

    Panchayet Road: বর্ষাকালে কর্দমাক্ত আলপথে পড়ুয়াদের হাতে ওঠে জুতো, চলে না সবুজসাথীর সাইকেলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালিত হয়ে গেল দেশজুড়ে। দুর্গাপুরের বুদবুদ থানার আউশগ্রাম ব্লকের আমানিডাঙার বাসিন্দারা পেলেন না সামান্য রাস্তাটুকুও। একাধিকবার ভোট বয়কট করেও মেলেনি সুরাহা। পথশ্রী, রাস্তাশ্রী ইত্যাদি নিয়ে গোটা বাংলা যখন মাতোয়ারা, তখনও চরম বঞ্চনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পূর্ব-বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আউশগ্রামের আমানিডাঙা, বাবলাবনি, ধডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। রাস্তার (Panchayet Road) দাবিতে বিগত ৮ বছর ধরে ভোট বয়কট করছেন গ্রামবাসীরা। তাতে রাস্তা আংশিক কংক্রিট হলেও, জমিজটে উধাও প্রায় ৩ হাজার ফুট রাস্তা। ফলে দুর্ভোগ মেটেনি। সমস্যা সেই তিমিরেই রয়েছে। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষায় কাদামাখা আলপথই ভরসা। এমনই পরিস্থিতিতে আবার আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন!

    সদর বাজারে যেতে হলে কর্দমাক্ত আলপথই ভরসা

    কুনুর নদীর পাড়ে বহু পুরনো গ্রাম আমানিডাঙা, বাবলাবনি, ধডাঙা। আউশগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েতের ওই গ্রাম তিনটিতে ৬৫টি পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের দিনমজুর। গ্রামের ভিতর রাস্তার অবস্থা বেহাল। মোরামের দানাটুকুও পড়েনি। গ্রাম থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে কাঁকসার পিয়ারিগঞ্জ। সদর বাজারে যেতে হলে কর্দমাক্ত আলপথই ভরসা। বছর কয়েক আগে বীরভুম থেকে ফেরার পথে পিয়ারিগঞ্জ স্কুলের সামনে ক্ষুদে পড়ুয়াদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। সেখান থেকেই রাজ্যে ক্ষুদে পড়ুয়াদের জুতো দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো জুতো পেলেও বর্ষাকালে মেঠো আলপথে হাতে জুতো নিয়ে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। পায়ে পরার উপায় নেই। পড়ুয়াদের সবুজসাথীর সাইকেলও জুটেছে। তবে বর্ষাকালে সেটা চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার উপায় নেই। কাদামাখা মেঠো আলপথে সাইকেল চালানোও দায়। গ্রামের মধ্যে মোটরগাড়ি তো দূর অস্ত, সাইকেল বা রিকশ যাতায়াতের রাস্তাটুকু (Panchayet Road) নেই।

    ভোট বয়কটেও সমস্যা মেটেনি

    গত ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রাস্তার (Panchayet Road) দাবিতে ভোট বয়কট করেছিলেন গ্রামবাসীরা। ২০১৯ ও ২০২১ সালেও ভোট বয়কট করেন গ্রামবাসীরা। তারপর কুনুর নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। যদিও খবর চাউর হতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাংসদ তহবিলের টাকায় প্রায় ১৪০০ ফুট রাস্তা কংক্রিট করা হয়। তবে গ্রামের রাস্তা আগের মতোই বেহাল রয়েছে। তারপরও প্রায় ৪ হাজার ফুট মেটো আলপথ রয়েছে। ফলে সমস্যা সেই তিমিরেই রয়েছে। 

    উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনে ক্লান্ত, বলছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা

    উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার নতুন করে নির্মাণ ও পুনরায় সংস্কারের সূচনা করেন। তাছাড়াও গ্রামীণ সড়ক তৈরিতে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারই তৎপর। আদিবাসী গ্রামে ঢালাও উন্নয়নের ফিরিস্তি শোনা যায়। কিন্তু তারপরও কেন দুর্দশায় আমানিডাঙা, বাবলাবনি, ধডাঙার গ্রামবাসীরা? প্রশ্ন থেকেই যায়। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস সোরেন, সনাতন সোরেন প্রমুখ তরুণরা জানান, “উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনে ক্লান্ত। ২০১৬ সালে ভোট বয়কটের পর বছর খানেক হল বিদ্যুৎ পেয়েছি। রাস্তার (Panchayet Road) দাবিতে বহুবার আবেদন করেছি। এক-চতুর্থাংশ রাস্তা ঢালাই হয়েছে। এখনও অনেকটাই রাস্তা নেই। মেঠো পথ। বর্ষায় চরম সমস্যায় পড়তে হয়। গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়াতে করে নিয়ে যেতে হয়। ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে অসুবিধা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। আর এই ঘটনার জেরে দুদিন আগেই থানায় রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। থানায় আগুন লাগানো থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনা নিয়ে টুইটও করেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বিষ্ণু বর্মন কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। কিন্তু, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে পুলিশ গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে বিষ্ণুর ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় এর প্রতিবাদ করেন। এরপরই পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন?

    মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ছেলে শিলিগুড়িতে একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। সেখানেই পরিবার নিয়ে সে থাকত। খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ের জন্য সে সপরিবারে এসেছিল। বৃহস্পতিবারই ট্রেনে করে তাদের শিলিগুড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বুধবার রাতে পুলিশ পাশের বাড়িতে একজনকে ধরতে আসে। আমার দুই ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। পুলিশের গুলিতে আমার ছোট ছেলের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার কেউ কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের ঘটনায় যায়নি। তাহলে পুলিশ কেন এই এলাকায় অভিযান চালাল? একজনকে ধরে নিয়ে গেল? একজন নিরীহ যুবককে পুলিশ গুলি করে খুন করল। মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান?

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বলেন, কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের দিন গ্রামে বিয়ে ছিল। সেদিন গ্রাম থেকে কেউ সেখানে যায়নি। পুলিশ কেন এই গ্রামে অভিযান চালাতে এসেছিল তা জানি না। আর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না।

    পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। সেখানে তিনি মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর অত্যাচার ও গ্রেফতার করছে। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) থানা জ্বালানো কিংবা পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে কোথাও বিজেপি যুক্ত নেই। বিজেপি-র এস পি অফিস ঘেরাওয়ের আলাদা কর্মসূচি ছিল। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে গ্রেফতার, অত্যাচার, গুলি করে, খুন করে বিজেপিকে শেষ করতে চাইছে। যদি তিনি মনে করেন এভাবে বিজেপিকে শেষ করা যাবে তা কোনওদিনই সম্ভব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বুধবার ওই মামলায়ই গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা। প্রত্যাশিতভাবেই খুশি বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগেই ভবিদ্ব্যাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, এবার তিহাড়েই নয়া ইউনিট খুলবে তৃণমূল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal ) সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী…

    সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ বারবার ইডি, সিবিআই ডাকলেও তিনি যাননি। তাঁর কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বিশেষত ইডি। বারবার উচ্চ আদালতে গিয়ে সেটাকে বাইপাস করার চেষ্টা করেছেন। ফলে ইডি এখন বাধ্য হয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা। খুব অল্প বয়স্কা। ফলে তাঁর এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকতে পারে না। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রোজগারের কোনও হদিশ আমরা পাইনি। যদিও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছি। আয়ের দিক থেকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তাঁকে উত্তর দিতে হবে।

    সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একজন জেলা সভাপতি। একজন জেলা সভাপতির পক্ষে এত বড় পাচারের মতো ঘটনা, গরু পাচার বা কয়লা পাচারের মতো বিষয়কে পুরোপুরি সামলানো সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের কালীঘাটের নেতাদের সঙ্গে এর যোগাযোগ রয়েছে। তাই ততক্ষণ পর্যন্ত এই বৃত্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মাথাগুলো ধরা পড়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বে। তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ইউনিট টিটিএমসি।

    আরও পড়ুুন: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় ইডি  গ্রেফতার করে সুকন্যাকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা। তাই করা হয়েছে গ্রেফতার।

    বিজেপি নেতা তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, এই গ্রেফতার একদম সঠিক গ্রেফতার। এর মাধ্যমে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এই দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ সারা বাংলার মানুষ চাইছেন। যত এজেন্ট আছে, গ্রেফতার হোক। আর এদেজেন্টদের নেতাও গ্রেফতার হোক। এটাই বাংলার মানুষের আকাঙ্খা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanya Mondal: পাঁচবারে কোটি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন বাপ-বেটি! কালো টাকা সাদা করতেই কি?   

    Sukanya Mondal: পাঁচবারে কোটি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন বাপ-বেটি! কালো টাকা সাদা করতেই কি?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লটারির টিকিট কাটার নেশা অনেকেরই থাকে! রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা এক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারেন তাঁদের কাছে। কারণ বিগত ৩ বছরে পাঁচবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট ও সুকন্যা (Sukanya Mondal)। ঘরে ঢুকেছে প্রায় ২ কোটি টাকা। এমন কপাল ক’জনেরই বা হয়। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, রাজ্যে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ লটারির টিকিট কাটেন, সেখানে কখনও একই পরিবারের সদস্যরা কিংবা গরুপাচারে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বারবার লটারির পুরস্কার পাচ্ছেন কী করে? এর নেপথ্যে কী রহস্য রয়েছে? এবার সুকন্যাকে জেরা করে কি সেই রহস্য উন্মোচন করতে পারবে ইডি? প্রশ্ন সকলের।

    জানুন মণ্ডল পরিবারের লটারি জেতার গল্প

    গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের গোড়ায় অনুব্রত ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। সে খবরে রাখঢাক ছিল না। ডিয়ার লটারির বিজ্ঞাপনেই নাম বেরিয়েছিল বিজেতার। সে খবরে হইহই পড়ে গিয়েছিল। প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন ব্যাপারটা ফেক। ফটোশপ করে বোধহয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাজারে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় সবটা। লটারি জেতা নিয়ে তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় কেষ্টর জবাব ছিল, “পেলেও আমি, দিলেও আমি। তাতে তোমাদের কী?”
    এভাবে বাপ-বেটিতে লটারি জেতার অন্তত পাঁচ বারের হিসাব পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, শেষ তথা পঞ্চম বার সুকন্যা মণ্ডল লটারিতে জেতার পর তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সম্ভবত আয়কর বাদ দিয়েই তা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি সূত্রে খবর, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আরও দুটি লটারির টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। যার পরিমাণ ৫১ লক্ষ টাকা। তা ছাড়া ২০১৯ সালে অনুব্রত একটি লটারিতে ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকার হিসাবও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছে।
    সিবিআই তদন্ত করে দেখছে, সত্যিই কপাল জোরে লটারি জেতা নাকি ধারাবাহিক লটারি জয় আসলে একেবারে সাজানো চিত্রনাট্য। লটারির মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করবার খেলা বহু দিন ধরে চলছে। কারণ লটারি জিতলে মোটা টাকা কর বাবদ দিতে হয়। লটারির টিকিট খুবই সহজে হস্তান্তরযোগ্য। মানে যাঁর কাছে সেই টিকিট থাকে তিনি পুরস্কারের টাকা পান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেআইনি লেনদেন হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল কিনা খুঁজে দেখছে ইডি-সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা। বুধবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব যে বাস ব্যবহার করছেন, সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, বিলাসবহুল সেই বাস পাঁচতারা হোটেলকেও হার মানাবে। ওই বাসে যা যা ব্যবস্থা আছে, তা অনেক পাঁচতারা হোটেলেও থাকে না।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ধামাচাপা দিতে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন অভিষেক। জনসংযোগ এই যাত্রার পোশাকি নাম নবজোয়ার। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, এই টাকার সিংহভাগ অংশ খরচ করছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর। ফান্ডের অভাবে যেখানে সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি পালনের মানে কি? প্রশ্ন তাঁদের।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ…

    অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ও (অভিষেক) যত ঘুরবে, ততই লাভ হবে বিজেপির। ভোট বাড়বে বিজেপির। অতীতেও হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। তিনি বলেন, তাই এ ব্যাপারে বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, খুব খেলা হবে, খেলা হবে বলছিলেন। এখন উল্টো খেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জ যাবেন নাকি? আপনি তো পুলিশমন্ত্রী, যান না একবার ঘুরে আসুন।

    আরও পড়ুুন: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিকে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) গড়ে নবজোয়ার কর্মসূচি পালন করতে আসছেন অভিষেক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিনি থাকবেন চারদিন। তার ঠিক আগে আগেই কার্যত ধস নামল ঘাসফুল শিবিরে। মঙ্গলবার সকালে পটাশপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পদত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারী। পটাশপুর ২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, প্রধান হিসেবে আমি একা পদত্যাগ করিনি। অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্যই পদত্যাগ করেছেন। ব্লকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দ্বিচারিতার জন্যই পদত্যাগ করলাম। কোনও সিদ্ধান্ত আলোচনা না করেই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্লক নেতৃত্বের নির্দেশে পুলিশকে দিয়ে আমাদের পদাধিকারীরাই দলের কর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) এখনও তাড়া করে চলেছে দিল্লির ভূত! রাজ্যে যে কোনও ঘটনা ঘটলেই বিরোধীদের চক্রান্ত, দিল্লির চক্রান্ত খুঁজে পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দায়ভার অন্যের ঘাড়ে তুলে দিয়েই হাত ধুয়ে ফেলায় সিদ্ধহস্ত তিনি! এবারও অন্যথা হল তার। মালদহের (Malda) স্কুলে ঢুকে বন্দুকবাজের তাণ্ডবের ঘটনায়ও দিল্লির হাত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, এর পিছনে দিল্লির চক্রান্ত রয়েছে। এদিন স্কুলগুলিকে দারোয়ান নিয়োগের পরামর্শও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাজুড়ে যে চক্রান্ত করছে তার মধ্যে দিল্লি আছে আমি এখনও বিশ্বাস করি। কে বা কারা আছে, আমি জানি না। কিন্তু দিল্লির (Delhi) চক্রান্ত এ টু জেড আছে। যেখানেই বিরোধী দল ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই ডিস্টার্ব করে। আমাকে তো প্রথম থেকেই করে। প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে পুরাতন মালদার একটি স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। ক্লাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করে সে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে ওই বন্দুকবাজকে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দাবি…

    এদিন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ওদের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন দেখেছি। হয়তো প্রণয়ঘটিত কোনও ব্যাপার। কিন্তু আমার এসব বলা উচিত নয়। কারণ পুলিশ তদন্ত করছে। আমি পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। তিনি বলেন, কিন্তু এটা আত্মহত্যার ঘটনা। চিকিৎসক জানিয়েছেন সে বিষপান করেছিল। ভিডিও, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সব রয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুুন: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একথা বলার পর কোন পুলিশ আধিকারিকের ঘাড়ে কটা মাথা আছে যে তিনি এর বাইরে অন্য কিছু প্রমাণ করবেন? বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই পুলিশি তদন্তকে প্রভাবিত করা শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভবানীপুর থানায় গিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিলেন দুষ্কৃতীদের। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে তাঁর মন্তব্যেও সৃষ্টি হয়েছিল বিতর্কের। এর আগে হাঁসখালির ঘটনার সময়ও একই রকম মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের প্রশ্ন, এর পরেও কি নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায়?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘‘৯ মাসেও পারলেন না…’’! পার্থর আংটি বিতর্কে হাইকোর্টের রোষে জেল সুপার

    Partha Chatterjee: ‘‘৯ মাসেও পারলেন না…’’! পার্থর আংটি বিতর্কে হাইকোর্টের রোষে জেল সুপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আংটি বিতর্কে সংশোধনাগারের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত। একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়লেন সংশোধনাগার সুপার। জেলে ঢোকার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুল ফোলা ছিল। আর সেই কারণেই তাঁর আঙুল থেকে আংটি খোলা সম্ভব হয়নি! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আংটিকাণ্ড নিয়ে বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। জেল সুপারের জবাব শুনে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারকের প্রশ্ন, ৯ মাসেও কেন সেই আংটি খোলা গেল না। বিচারক বলেন, ‘‘৯ মাসে আপনি যেটা করতে পারলেন না আদালতের তরফে ৯ মিনিটে তা করে ফেলা গেল।’’

    সওয়াল ইডির

    আংটি বিতর্কে আদালতে জোরালো সওয়াল করে ইডি। ইডির আইনজীবীর দাবি, ‘রাজ্যে কারা আইনে বলা আছে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে আইজি কারা বা এডিজি কারা অভিযুক্তকে রাজ্যের মধ্যে বা ভিন রাজ্যের জেলে স্থানান্তরিত করা যায়’। একজন বন্দীর আঙুলে আংটি (Partha Ring) থাকে কী করে? সম্প্রতি আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শরীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আংটিগুলি আঙুলে ধারন। সাফাই দিয়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। প্রশ্ন ওঠে কারা আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে পার্থর আঙুলে আংটি রাখার অনুমতি কীভাবে দিল জেল কর্তৃপক্ষ? এই ঘটনায় আদালতে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব করেন বিচারক। সেই নির্দেশ মেনে বুধবার আদালতে হাজির হন জেল সুপার। 

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    অসন্তোষ আদালতের

    সংশোধনাগারের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত জেল সুপারকে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেন উত্তর লিখতে। জেলারের উদ্দেশে বিচারকের প্রশ্ন, “আপনি কি নিজেই কারা আইন (Partha Ring) তৈরি করছেন?” আংটিকাণ্ড নিয়ে জেল সুপারের দেওয়া জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে পার্থের জেলে প্রবেশের সময়ের রেজিস্ট্রার খাতা খতিয়ে দেখেন বিচারক। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের জেল সুপার প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির দাবি, ‘‘উনি এমন একজন জেল সুপার, যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করেন উনি। ২০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়। একটা অদৃশ্য হাত কাজ করছে। যার জেরে ওঁকে অন্যত্র বদলি করা যায় না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maoist Attack: ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়ায় আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, শহিদ ১১ জওয়ান

    Maoist Attack: ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়ায় আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, শহিদ ১১ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoist Attack) হামলায় রক্তাক্ত ছত্তিসগড়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া (Dantewada)। আইইডি (IED) বিস্ফোরণের জেরে শহিদ হয়েছেন ১১ জন জওয়ান। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। গত সপ্তাহেই চিঠি পাঠিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণের হুমকি দিয়েছিল মাওবাদীরা। তার পর বুধবার ঘটে গেল এই ঘটনা।

    মাওবাদী (Maoist Attack) হামলায় ঝরল রক্ত…

    সূত্রের খবর, এদিন মাও দমন অভিযান সেরে ফিরছিলেন জওয়ানরা। তাঁরা যখন আরানপুর এলাকায়, তখনই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা (Maoist Attack)। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় জওয়ানদের গাড়িটি। ছিটকে পড়েন জওয়ানরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে গাড়িটির চালকেরও। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, দান্তেওয়াড়ার আরানপুরে মাওবাদী দমন অভিযানে যোগ দিতে আসা ডিআরজি বাহিনীর বিরুদ্ধে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাওবাদীরা (Maoist Attack)। ১০ ডিআরজি জওয়ান ও একজন চালক মারা গিয়েছেন। এই ঘটনা দুঃখজনক। আমরা, রাজ্যের বাসিন্দারা তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা।

    ওঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাওবাদীদের রেহাই দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ পর্যায়ে। তিনি বলেন, মাওবাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্মূল করা হবে। সূত্রের খবর, মাওবাদীদের হামলার (Maoist Attack) পরে পরেই এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। দু পক্ষের গুলির লড়াই এখনও চলছে। মাওবাদীদের ধরতে আরও ফোর্স তলব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মাওবাদী হামলায় সেনাবাহিনীকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ছত্তিসগড়ে ৩ হাজার ৭২২টি মাওবাদী হামলার (Maoist Attack) ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় শহিদ হয়েছেন ৪৮৯ জওয়ান। সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই রাজ্যের ৮টি জেলা মাওবাদী প্রভাবিত। এর মধ্যে রয়েছে বিজাপুর, সুকমা, দান্তেওয়াড়া, বস্তার, কাঙ্কের, নারায়ণপুর, রাজনন্দগাঁও এবং কোন্ডাগাঁও। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে, ততদিন এই সমস্যা মিটবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share