Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Operation Kaveri: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান! আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে বায়ুসেনা ও নৌসেনা

    Operation Kaveri: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান! আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে বায়ুসেনা ও নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সুদান থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ (Operation Kaveri) চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। তৃতীয় দফায় ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করেছে সেনা। বুধবার ভোরে সুদানে আটকে থাকা মোট ১৩৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে বায়ুসেনার আইএএফ সি-১৩০জে বিমানে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনা হয়।

    অপারেশন কাবেরী

    সোমবারই সুদানে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়ে দেন গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদান থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা। প্রথম পর্যায়ে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। এবার ‘অপারেশন কাবেরী’-র (Operation Kaveri) দ্বিতীয় পর্যায়ে সুদান বন্দরের বাকি ২৫০ জন ভারতীয়কে বিমান বাহিনীর দুটি আইএ এফ সি-১৩০ জে ( IAF C-130 J) হারকিউলিস বিমানের সাহায্যে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। মঙ্গলবারই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরবের জেদ্দায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্কুল, যেখানে ভারতীয়দের সাময়িকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন।

    চলছে উদ্ধারকাজ

    ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ভারতীয় সুদানের বন্দরে এসে পৌঁছেছেন। আরও অন্তত পাঁচশো ভারতীয় বন্দরে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে একটি অংশকে নিয়েই প্রথম উদ্ধার অভিযান শুরু করে আইএনএস সুমেধা। ভারতীয় নৌ-সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএনএস সুমেধা কমপক্ষে তিনবার সুদান থেকে জেদ্দা যাতায়াত করবে। যত সম্ভব ভারতীয়দের নিয়ে সুদানের বন্দর থেকে রওনা দেবে আইএনএস সুমেধা। উত্তর ও দক্ষিণ সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে অবশ্য অন্য রাস্তা ভাবতে হয়েছে বিদেশমন্ত্রককে। সৌদি আরব, ফ্রান্স, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি মতো বন্ধু দেশগুলির মাধ্যমে তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তর সুদান থেকে বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে উদ্ধার করেছে সৌদি আরব, আমেরিকা ও ফ্রান্স।

    সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান এবং আধাসেনা আরএসএফ বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলো ওরফে হেমেত্তির বাহিনীর লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই হাজার ছুঁতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শুধু বিদেশি নাগরিকেরাই নয়, রাজধানী খার্তুম এবং তার ‘যমজ শহর’ ওমদুরমান-সহ সুদানের বিভিন্ন শহর থেকে সাধারণ মানুষও পালাতে শুরু করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: রাজ্যে চালু হবে দ্বিতীয় বন্দে ভারত! ছুটবে কোন রুটে?

    Vande Bharat: রাজ্যে চালু হবে দ্বিতীয় বন্দে ভারত! ছুটবে কোন রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা পেল আরও একটি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস। কিন্তু দ্বিতীয় বন্দে ভারত (Vande Bharat) ছুটবে কোন রুটে? শোনা যাচ্ছে, হাওড়া-পুরী ও হাওড়া-রাঁচী রুটে বন্দে ভারত চালানোর বিষয়ে আগ্রহের কথা বোর্ডকে জানিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটিও সম্ভাব্য রুট। জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণির সেই ট্রেনের রেক ইতিমধ্যে হাওড়া অভিমুখে রওনা হয়ে গিয়েছে।

    রেলের চিঠি

    বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বাংলার ভাগ্যে আসতে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত। এবার সেই সম্ভাবনাই সত্যি হল। সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি বা আইসিএফ-কে পঞ্চদশ ও ষোড়শ বন্দে ভারতের রেক দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং উত্তর-সীমান্ত রেলের জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দেয় রেল বোর্ড। সরকারি নির্দেশ অনুসারে ওই দু’টি রেক রেলের এই দুই জোন বা বিভাগের কাছে আসার কথা। রেল বোর্ডের তরফে চেন্নাইয়ের আইসিএফ এবং দুই বিভাগের কাছে ২৪ এপ্রিল পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। তার পরেই নতুন রেকের রওনা হওয়ার খবর মেলে।

    হাওড়া-রাঁচী রুটের প্রধান অন্তরায়…

    হাওড়া-রাঁচী রুটে শতাব্দী এক্সপ্রেসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ৫৯ কিলোমিটার। ধানবাদের পরে বোকারো-চন্দ্রপুরা শাখায় খনি এলাকায় ভূগর্ভস্থ আগুনের জন্য ট্রেনটি ঘণ্টায় মাত্র ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ছোটে। রেলপথের সমস্যা ওই রুটে বন্দে ভারত চালু করার অন্তরায়। খড়্গপুর, টাটানগর, পুরুলিয়া হয়ে রাঁচী যাওয়ার পথও বিবেচনায় আছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, হাওড়া-পুরী রুটে যাত্রী বেশি। রেললাইনের সমস্যাও কম। তীর্থক্ষেত্র ও পর্যটনের নিরিখে পুরীর গুরুত্ব সমধিক।

    কী বলছেন রেল আধিকারিকরা

    রেল আধিকারিকরা বলছেন, বন্দে ভারত কোথায় কী ভাবে চলবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয় রেল মন্ত্রক তথা রেল বোর্ড। দুই বিভাগের জন্য ১৬ কোচের পূর্ণাঙ্গ বন্দে ভারত বরাদ্দ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার উজিরপুরে নাবালিকা খুনের কিনারা করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তার বয়স ৩০ বছর। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার রামনগর এলাকায়। সে দিনমজুরের কাজ করে। যে জায়গায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে ধৃত যুবকের বাড়ি প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যেই ধৃত যুবককে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    নাবালিকাকে কেন খুন করা হল?

    নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মালদহ (Malda), গাজোল, কালিয়াচক এবং ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন সূত্র পেয়ে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে, একজন খুনের কথা স্বীকার করে। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৯ দিন আগে মিসডকল থেকেই ওই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয়। ফোনেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তার সূত্র ধরে সম্পর্ক গভীর হয়। এরপরই ওই নাবালিকা দেখা করার জন্য জোরাজুরি করে। ধৃত যুবক ফোনে তাকে একটি ঠিকানা বলে দেয়। সোমবার বাসে করে ওই কিশোরী সেখানে আসে। এরপর তারা দুজনে হাঁটতে হাঁটতে ঘটনাস্থল উজিরপুরে আসে। সেখানে দুজনের মধ্যে শারীরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, ওই কিশোরী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। আর ধৃত যুবক বিবাহিত। তার দুই সন্তান রয়েছে। তার পরিবারের অবস্থা বোঝানোর পর সে তা মানতে চায়নি। বরং, বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপরই তার গলায় ওড়না জড়িয়ে ওই যুবক তাকে খুন করে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ভিডিওগ্রাফি করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ৯ দিন আগে আলাপ হলেও সোমবারই তাদের দুজনের প্রথম দেখা হয়। ওই নাবালিকা বিয়ের পাশাপাশি ধৃত যুবকের বাড়ি যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারপরই সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Saha: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    Tapas Saha: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে বাড়িতে তল্লাশির পরে সোমবার রাতে নোটিশ পাঠিয়ে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে (Tapas Saha) ফের তলব করে সিবিআই। সেইমতো মঙ্গলবার সকালেই তাপস সাহা (Tapas Saha) পৌঁছে যান সিবিআইয়ের আঞ্চলিক অফিস নিজাম প্যালেসে। সেখানে তাঁকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

    জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, তাপসের (Tapas Saha) ছেলে সাগ্নিক বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে আছেন। তাঁকেও ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সাগ্নিকের বয়ানের ভিত্তিতেই এ দিন বেলা ১১টা থেকে তাপসকে প্রশ্ন করা হয় দীর্ঘক্ষণ। জানা যাচ্ছে, তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টও। সিবিআই সূত্রে খবর, তাপস কীভাবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন? প্রবীরের সঙ্গে কীভাবে আলাপ? তাপসের নির্দেশে কি টাকা তুলতো প্রবীর ও অন্যান্যরা? তাপসের (Tapas Saha) থেকে ছেলের সঙ্গে লেনদেন রয়েছে কিনা?  এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সিবিআই।

    তাপসের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের দাবি

    তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাপসের (Tapas Saha) আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল তাঁদের জানিয়েছেন, তাপসের নির্দেশেই বাজার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তোলা হয়েছিল। কয়েক দফায় এক কোটি ৪২ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল প্রবীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে এক কোটি টাকা তুলে তিনি তাপসকে দিয়েছিলেন বলে প্রবীর সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন।

    সম্প্রতি তাপসের (Tapas Saha) তেহট্টের বাড়ি এবং প্রবীর-সহ তাপস-ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তৃণমূল নেতানেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাদের দাবি, সেই সব জায়গা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।

    দলের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তাপসের (Tapas Saha)

    নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরে ঢোকার সময় তাপস সাহা (Tapas Saha) বলেন, ‘‘আমি দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের শিকার। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার দলীয় কর্মী ও জেলা পরিষদের এক সদস্য ষড়যন্ত্র করছেন। আমার আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল নিজেকে বাঁচানোর জন্য এক-এক সময় এক-এক রকম কথা বলছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল তত প্রকাশ্যে চলে আসছে। ঘর গোছাতে যখন উত্তরবঙ্গে নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত, তখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-২ ব্লকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যার জেরে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা গণ ইস্তফা দিলেন।

    কতজন গণইস্তফা দিয়েছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে দলীয় কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সেই সব নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই তৃণমূলের একদল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, অঞ্চল যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির সভাপতি সহ মোট ৩০ জন তৃণমূলের পদাধিকারী ইস্তফা দিয়েছেন। এই পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভগবানপুর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    গণইস্তফা প্রসঙ্গে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে এই গণইস্তফা বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা, ব্লক, অঞ্চল ও বুথ স্তর থেকে নেতৃত্বে রদবদল এনেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। সেই মতোই বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি মথুরা পঞ্চায়েত এলাকায় অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সেই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, ব্লক স্তরে দলীয় কোন্দল এবং দ্বিচারিতার জন্যই আমরা পদত্যাগ করেছি। তবে, আমি প্রধান হিসেবে একা নই, অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, দলকে ভালোবাসতে গিয়ে কর্মীরা অনেক আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তাই কিছু কর্মী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদ থেকে পদত্যাগ করা কোনও সমাধান নয়। বরং, সকলে মিলে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে বাংলা থেকে উত্খাত করতে হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গণ ইস্তফার বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি স্বপন রায় বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পরাজয় নিশ্চিত, বুঝে গেছে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের নীচু তলার নেতা কর্মীরা। তাই এই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • East Bengal: সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে লাল হলুদ ব্রিগেড! ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব পেয়ে গর্বিত কারলেস কুয়াদ্র

    East Bengal: সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে লাল হলুদ ব্রিগেড! ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব পেয়ে গর্বিত কারলেস কুয়াদ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কোচ হলেন কারলেস কুয়াদ্র (Carles Cuadrat)। যা লাল হলুদ সমর্থকদের মনে আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে। কারণ বিগত কয়েক বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জাতীয় স্তরে কোনও বড় সাফল্য পায়নি। তার উপর ক্লাব ও ইনভেস্টর ঝামেলা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ইমামী ইনভেস্টর হয়ে স্টিফেন কনস্ট্যান্ট টাইনকে কোচ করেছিল। কিন্তু সাফল্য তো দূরে থাক, আই এস এল এ খুব খারাপ পারফরম্যান্স করে ইস্টবেঙ্গল। তার ফলে হতাশা ক্রমশ বাড়ছিল সমর্থকদের। সেই কারণেই কোচ বদলের পথে হাঁটে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। স্টিফেন কনস্ট্যান্ট টাইনকে আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার চাকরির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। সেইমতো মঙ্গলবার ব্রিটিশ কোচের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইস্টবেঙ্গল। আর সেই দিনই নতুন কোচ হিসেবে কারলেস কুয়াদ্র-র নাম ঘোষণা করা হয়। 

    কারলেস কুয়াদ্র-এর সাফল্য

    অতীতে কারলেস কোচিং করিয়েছেন বেঙ্গালুরু এফসিতে। ২০১৬ সালে আলবার্ট রোকার সরকারি হিসেবে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে ভারতের মাটিতে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেঙ্গালুরু এফসির হেড কোচ ছিলেন কুয়াদ্র। তাঁর কোচিংয়ে ২০১৮-১৯ মরসুমে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। শুধু তাই নয় এএফসি কাপের ফাইনালে বেঙ্গালুরুকে তুলে ভারতীয় ফুটবলে নজির গড়েছিলেন তিনি। সুপার কাপ জয়ী বেঙ্গালুরু এফসি দলের সঙ্গেও ছিলেন কুয়াদ্র। এমনকী তাঁর কোচিংয়ে এএফসি কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে পারো এফ সি কে ৯-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরুর দলটি। সেবার ও সুনীল ছেত্রীদের হেড স্যারের ভূমিকায় ছিলেন এই কোচ।

    আরও পড়ুন: ভারতের উচ্চতম ফুটবল ময়দান নিয়ে ট্যুইট মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যানের! কোথায় জানেন?

    ২০২১ সালে সাইপ্রাসের একটি ক্লাবে যোগ দেন কুয়াদ্র। পরে সরকারি কোচ হিসেবে ডেনমার্কের একটি দলে যোগ দেন। ফের ভারতে ফিরছেন কুয়াদ্র। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে। হাইপ্রোফাইল এই কোচকে ঘিরে সাফল্যের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে লাল হলুদ ব্রিগেড। কুয়াদ্র বলেছেন, ‘আগামী দু’বছরের জন্য ইস্টবেঙ্গলের কোচ হতে পেরে আমি সত্যিই খুব গর্বিত। ভারতের এত বড় একটা ক্লাব, যারা এত বছরে এতগুলি ট্রফি জিতেছে, তাদের থেকে কোচিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া খুব সম্মানের বিষয়। ভারতে ফিরতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। এই দেশটিকে খুব ভালবাসি এবং বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ভারতে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোটি কোটি সমর্থকের মুখে হাসি ফেরানোর চেষ্টা করব। কাজ শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Rahul Gandhi: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    Rahul Gandhi: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদি’ পদবী মামলায় এবার গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে। মোদি পদবী অবমাননার মামলায় সুরাটের দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার গুজরাট হাইকোর্টে (Gujarat High Court) যান কংগ্রেস নেতা। 

    কংগ্রেসের মত

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের এই মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় বিজেপি। এরপর মন্তব্যের জন্য সুরাটের একটি আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের হয়। ঘটনার প্রায় চার বছরের মাথায় গত ২৩ মার্চ ‘মোদি’ পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাটের ফৌজদারি আদালত। ২ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি শোনায় আদালত। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মঙ্গলবার জানান, এই ধরনের মামলায় সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবু শীর্ষ আদালত, আগে হাইকোর্টে মামলার শুনানির জন্য বলতে পারে ধরে নিয়ে রাহুলের তরফে হাইকোর্টে সাজা বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: প্রয়াত পাঞ্জাবের লৌহপুরুষ প্রকাশ সিং বাদল! ২ দিনের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    উল্লেখ্য, যদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মানহানি মামলায় তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়, তাহলে তিনি ফের সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন। সেই উদ্দেশেই রাহুল দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুরাট কোর্টের। সেখান থেকে স্বস্তি না পেয়ে তিনি গুজরাট হাইকোর্টে যান। প্রসঙ্গত, গত মাসে সাংসদ পদ হারান রাহুল। বিধি অনুযায়ী কোনও সাংসদ যদি ২ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারাবাসের সাজা পান, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়। গুজরাট হাইকোর্টে যদি স্বস্তি না মেলে তাহলে সেক্ষেত্রে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন রাহুল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামারবাড়িতে ঘুরতে এসে এসটিএফের (STF) জালে ধরা পড়ল এক যুবক। তাকে জঙ্গি সন্দেহে হুগলি থেকে গ্রেফতার করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) (STF)। হুগলির দাদপুরে মামার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে সে ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম সেখ নাসিম। তাঁর মামার বাড়ি দাদপুরের আমড়া গ্রামে। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে রবিবার বিকালে দাদপুরে গিয়েছিল নাসিম। সেখানেই সে ছিল।

    ধৃত যুবক কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত?

    পুলিশ জানিয়েছে, নাসিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সে আল কায়দার সঙ্গে জড়িত। বহু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে মৌলানা পাশ করে, পড়াশোনা করছিল পাঁশকুড়ায়। মাঝে মধ্যে সে হুগলির দাদপুরে আমড়া গ্রামে মামারবাড়িতে আসত। মামারবাড়িতে এসে সে কয়েকদিন থাকত। এই এলাকায় সে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপ শুরু করেছিল কি না এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখছেন।

    কী করে ধরা পড়ল সে?

    দাদপুরের আমড়া গ্রামে নাসিমের মামারবাড়িতে আচমকা পুলিশ হানা দেয়। বাড়িটিকে চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপরই এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা বাড়িতে ঢোকেন। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা বলেন, দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে আমি বাইরের দরজা খুলে দেখি পুলিশ। জিজ্ঞাসা করে নাসিম কোথায়? নাসিম তখন দোতলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এসটিএফের টিম এরপরেই উপরে উঠে যায়। তাকে ঘুম থেকে তুলে বাড়িতেই কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দাদপুর থানায় নিয়ে যায়। অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায় তাকে। তিনি আরও বলেন, দিদিমার শরীর খারাপ থাকায় সে এখানে এসেছিল। পুলিশ বলছে ভাগ্নে জঙ্গি সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মইনুদ্দিন নামে কাউকে সে চেনে কিনা জিজ্ঞাসা করছিল। ভাগ্নে বলেছিল সে এমন কোনও কাজে যুক্ত নয়।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    এসটিএফের এই অভিযানে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে আমড়া গ্রামে। নাসিমের মামারবাড়ির সামনে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘নাসিম পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেল। শুনলাম সে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা ভাবতে পারছি না।’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে অভিষেকের সভায় বিশৃঙ্খলা চলছেই। মঙ্গলবার দুপুরে সাহেবগঞ্জ, গোঁসাইমারির পরে রাতে মাথাভাঙার কলেজে শুরু হয় দলেরই দুই গোষ্ঠীর মারামারি। একগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলে অপর গোষ্ঠী। গণ্ডগোলের জেরে মাথা ফেটে যায় এক কর্মীর। পাশাপাশি, টি-শার্ট বিতরণকে কেন্দ্র করেও দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল কাড়াকাড়ি, মারামারিতে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসরে নামতে হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, দলের ব্যালটই যখন ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে, তখন সেখান থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল কী করতে চলেছে!

    কী ঘটল মাথাভাঙায়?

    জানা গেছে, মাথাভাঙা ও পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এই গণ্ডগোল বেঁধে যায়। একে ওপরকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, এমনকী হাতাহাতিও হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই খণ্ডযুদ্ধ। ব্যালট বক্স ভেঙে দেওয়ার ফলে আর ভোট হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মাথাভাঙায় সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর শুরু হয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। আর তাকে ঘিরেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। দেখা যায় ব্যালট বাক্সের পাশেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC)। সব কিছু মিলিয়ে দলীয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

    অভিষেকের হুঁশিয়ারিই সার!

    তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচিতে দফায় দফায় মারামারি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটের মাধ্যমে দল প্রার্থী ঠিক করবে! আর সেখানেই যত বিপত্তি। সকালে সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারির ঘটনার পর এদিন রাতেও মাথাভাঙার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে অভিষেকের সতর্কবার্তার পরেও কোনও কাজ হয়নি। এবার অভিষেক তথা জেলার তৃণমূল নেতারা কী ব্যবস্থা নেন, সেই দিকেই নজর রয়েছে সকলের। একের পর এক বিশৃঙ্খলায় বিরোধী দলগুলি যে অক্সিজেন পেয়ে যাচ্ছে, একথাও চুপিসারে স্বীকার করছেন শাসক দলের বেশ কিছু নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২৪ এপ্রিল হল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার বিশেষ দিন। এই দিনটির মূল বিষয় হল পরিস্রুত এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা এবং স্বচ্ছ গ্রামীণ সমাজ গঠন করা। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল। এই দিনই সাংবিধানকে সংশোধন করে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান (Panchayati Raj Institutions (PRI)) স্থাপন করা হয়। এটি কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে স্থানীয়স্তরের বিশেষ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।

    পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান কী?

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) প্রতিষ্ঠান হল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা। স্থানীয় মানুষের দ্বারাই সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থার তিনটি স্তর নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এটি গত ২৭ বছর ধরে গ্রামীণ স্তরে সরকারের পরিষেবা নিয়ে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে চলেছে।

    পঞ্চায়েতি রাজের ইতিহাস

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার একটি বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। সংস্কৃত শব্দ ‘পঞ্চ্‌’ শব্দের মানে হল ‘পাঁচ’ এবং ‘ইয়েত’ শব্দের অর্থ হল ‘বিধান’। ঋগ্বেদে বলা হয় স্থানীয় বা আঞ্চলিক সভা, সমিতি এবং বিধা। গণতান্ত্রিক পরিসরে এই শব্দের বিশেষ ব্যবহার ছিল। ভারতের মৌর্য যুগের রাজাদের সময় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩০০ বছর সময়পর্বে রাজ্যে ছিল স্বায়ত্তশাসন। সেই সঙ্গে এটি ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। মৌর্য যুগের পরে গুপ্ত যুগেও শাসন ব্যবস্থা একই রকম ছিল। গ্রামীণস্তরে ছিল গ্রামপতি এবং জেলাস্তরে ছিল বিষয়পতি নামযুক্ত বিশেষ পদ। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে গ্রামীণ পঞ্চায়েতের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ১৮৭০ সাল থেকেই আঞ্চলিক জনপ্রতিনিধিদের ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হয়। পাশ হয় মেয়ো রেজলিউশন। নগর নিগম থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার বিশেষ নিয়ম চালু করে ব্রিটিশ সরকার। আধুনিক ভারতে পঞ্চায়েতি রাজ চালু হয় ১৯৫৯ সালে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর আমল থেকে। কিন্তু সেই সময় এর সাংবিধানিক মান্যতা ছিল না। ১৯৯৩ সালে ৭৩ সংবিধান সংশোধন আইনের মাধ্যমে সাংবিধানিক মান্যতা লাভ করে পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। এই সংশোধনীতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এই পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিশেষ স্তরযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। যা হল গ্রাম, ব্লক এবং জেলা।

    কেন এই পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার ৭৩ তম সংশোধন?

    এই সংশোধনের দুটি ধারা রয়েছে। সাংবিধানিক দুটি স্তর হল ধারা-৯ যা ‘দ্য পঞ্চায়েত’ এবং ধারা ৯-এ যা ‘দ্য মিউনিসিপ্যাল’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে গণতন্ত্রের বুনিয়াদি ধাঁচা হল গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি বা পৌরসভা। এই গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি স্থানীয় এলাকার সকল প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের নিয়ে গঠিত হয়। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রাম, তার উপরে রয়েছে ব্লক, তালুক, মণ্ডল এবং তার উপরে জেলাস্তর ২০ লাখ আবাদী পর্যন্ত; (Article 243B)। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ত্রিস্তর ব্যবস্থার (Panchayati Raj) সকল আসনে ভোটে জয়ী হয়ে আসতে হয়। 

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) দিবস হল তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা গ্রামীণ ক্ষেত্র পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি হল একটি এমন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সরকার গ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজের যোজনাগুলি বাস্তবায়িত করে থাকে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সমাজের প্রয়োজন বুঝে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে খুব সাহায্য করে এই ব্যবস্থা। তাই ২৪শে এপ্রিল দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানুষের কাছাকাছি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ মাধ্যম হল এই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। 

    এই বছরের থিম 

    এই বছর এক সপ্তাহ ধরে দিনটি (Panchayati Raj) পালন করা হবে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্যকর পরিমণ্ডল, পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা, এবং পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ সবুজ পঞ্চায়েত সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হবে সারা দেশ ব্যাপী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share