Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল রাজবংশী এবং আদিবাসী সংগঠনের যৌথমঞ্চের। আর সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, আন্দোলনকারীরা থানার পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় থানার একটি ঘরেও।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এদিন থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন আন্দোলন নামে রাজবংশী তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পালটা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মন্দিরে পুজো দিয়েই মিলল ফল! ২১ বছর পর নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরে পেলেন স্বামী

    Murshidabad: মন্দিরে পুজো দিয়েই মিলল ফল! ২১ বছর পর নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরে পেলেন স্বামী

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আট বা দশ বছর নয়। ২১ বছর ধরে প্রতীক্ষা। স্ত্রী ফিরে আসার আশায় ছেলেকে সঙ্গে করে মন্দিরে পুজো দিতেন স্বামী। এক সময় স্ত্রীর বেঁচে থাকার আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে, মন্দিরে পুজো দেওয়া বন্ধ রাখেননি তিনি। ঠাকুরের কাছে মনপ্রাণ দিয়ে কোনও কিছু চাইলে খালি হাতে ফিরতে হয় না তা এখন বুঝতে পারছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধারাপাড়া বিধান কলোনির বাসিন্দা গোবিন্দ রায়। কয়েকদিন আগে অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। আর ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে একজন তাঁর স্ত্রীর খোঁজ দেন। ২১ বছর ধরে যারজন্য অপেক্ষা করে দিন কাটাচ্ছিলেন, অনায়াসে তাঁর খোঁজ মিলতেই হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো অবস্থা তাঁর। ফোনের সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে উত্তরপ্রদেশ পাড়ি দেন তিনি। সোমবারই ২১ বছর পর তিনি ফিরে পান স্ত্রীকে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্ত্রী যখন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তখন গোবিন্দবাবুর ছেলের বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। স্বামী, সন্তানকে ফেলে রেখে তিনি বাড়ি থেকে কোনও কাজে বেরিয়ে গিয়ে আর ফেরেননি। প্রায় ২১ বছর আগে অশন্তি রায় নামে ওই বধূ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ মেলেনি। অবশেষে হ্যাম রেডিও-র হাত ধরে ২১ বছর পর নিজের বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পেলেন ওই বধূ। পরিবার ও হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ওই বধূ দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বর মন্দিরে ছিলেন। পরে, কোনওভাবে তিনি বেনারসে চলে যান। সেখানকার পুলিশ তাঁকে একটি ট্রাকের ভিতর থেকে উদ্ধার করেন। গ্রেফতার করা হয় খালাসিকে। আর গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। ওই বধূ তখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁকে বেনারসের সরকারি মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি এতদিন ছিলেন।

    কী করে হদিশ মিলল ওই বধূর?

    হ্যাম রেডিও পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, কলকাতার এক মহিলা কিছুদিন আগে বেনারস গিয়েছিলেন। ওই মেন্টাল হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের মধ্যে তিনি ফল বিতরণ করেন। সেই সময় ওই বধূর বাংলা কথা শুনে তাঁরসঙ্গে আলাপ জমান তিনি। কিন্তু, তিনি বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেননি। কলকাতার ওই মহিলা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা তাঁরসঙ্গে কথা বলি। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো কথায় টান রয়েছে তাঁর। সেই মতো মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লকে যোগাযোগ করেই ওই বধূর আমরা হদিশ পাই। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমরা কথা বলি। ওই বধূর স্বামী গোবিন্দ রায় বেনারস যান। সোমবারই ওই বধূকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২১ বছর পর স্ত্রীকে ফিরে পেয়ে একসঙ্গে ছবি তোলেন তাঁরা। গোবিন্দ রায় বলেন, আমি প্রতিবছরই স্ত্রীর জন্য মন্দিরে পুজো দিতাম। আমরা বহু জায়গায় তাঁর খোঁজ করেছি। কিন্তু, তাঁর হদিশ পাইনি। আমরা তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এতদিন পর স্ত্রীকে ফিরে পাব তা ভাবতে পারিনি। আমার ছেলের বয়স এখন প্রায় ২৫ বছর। এতদিন পর মাকে দেখতে পেয়ে ও খুবই খুশি। ভগবানের কাছে মনপ্রাণ দিয়ে কিছু চাইলে তিনি যে নিরাশ করেন না, ২১ বছর পর আমি তা সত্যিই অনুভব করলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুকান্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কেমন দেখতে উনি আগে কোনওদিন দেখেননি। তাই এসি বাস, এসি তাঁবু দেখতে যাচ্ছেন’। শুভেন্দুর দাবি, সরকারি অর্থ অপচয় করে এই যাত্রার ডাক দেওয়া হচ্ছে।

    তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রা

    সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘তৃণমূলের নব জোয়ার’ যাত্রা। টানা ২ মাস ধরে, কোচবিহার থেকে সাগর….জনসংযোগ যাত্রা (Trinamoole Nabo Jowar) করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক যেখানে রাত্রিবাস করবেন, তার মধ্যে রয়েছে এমন ১৩টি বিধানসভা, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, মালদা, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর, বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ছাতনা, পুরুলিয়ার কাশিপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হুগলির গোঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ। অভিষেকের কথায়, ‘এত বড় একটা কর্মসূচি কোনওদিন ভারতবর্ষে কেউ নেয়নি, বাংলা তো ছেড়ে দিন।’

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই’ বলে মত শুভেন্দুর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘প্রথমত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এই প্রচারে। ডিসি পদমর্যাদার ৫ জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে যাতে, কয়লা ভাইপোকে চোর স্লোগান শুনতে না হয়।’ অভিষেককে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ‘গাড়ির স্পিড একশোর নিচে নামাবেন না, তাহলেই চোর স্লোগান শুনতে হবে।’

    সুকান্তর অভিমত

    সোমবার অভিষেকের প্রচার-যাত্রাকে কটাক্ষ করেই, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য ও জেলা স্তরে কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, ‘তার মানে এতদিন গ্রামের মানুষের মতামত না নিয়ে চলেছেন। তারা গ্রামের মানুষের মতামত কোথা থেকে নেবেন, গ্রামের মানুষের মতামত দেওয়ার সাহস নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সম্বন্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে ধরনের গুন্ডামি করেন কোনও মানুষ সাহস দেখাতে পারবেন না। এক সে এক চোর বসে আছে তৃণমূল কংগ্রেসে’। 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাবো এই নির্দেশকে। প্রত্যেকটি পুরসভায় তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশ কিছু চোর এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরোবে এবং জেলে থাকবে’। মমতা-নীতীশ বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আবার জোট পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগেরবার চেষ্টা হয়েছিল নীতিশ কুমার একবার ধোঁকা দিয়েছে এনডিএ-কে। আরও একবার দিল। নীতিশ কুমারের রাজত্ব বিহার থেকে শেষ হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব শেষ করব’।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath Dham: খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দরজা, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত চত্বর

    Kedarnath Dham: খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দরজা, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেদারনাথ ধামের (Kedarnath Dham) দরজা আজ পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হল৷ পূর্বেই প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ২৫ এপ্রিল শুরু হবে কেদারনাথ যাত্রা। সাধারণত, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই চারধাম যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু চলতি বছরে গঙ্গোত্রী এবং যমুনেত্রী যাত্রা অক্ষয় তৃতীয়ার দিন শুরু হয়েছে। আজ শুরু হল কেদারনাথ যাত্রা। ২৭ এপ্রিল বদ্রীনাথ যাত্রা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে আজ সাজানো হয়েছে কেদারনাথ ধামের শিবলিঙ্গকে।

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে খোলে মন্দিরের দরজা

    এদিন সকালে ৬টা ২০ মিনিটে কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Dham) প্রধান পূজারী জগদগুরু রাওয়াল ভীম শঙ্কর লিঙ্গ শিবাচার্য মন্দিরের দ্বার খুলে দেন৷ ভক্তদের হর হর মহাদেব ধ্বনিতে মুখরিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। অত্যধিক ঠান্ডা থাকলেও হাজার হাজার ভক্ত জমায়েত হয়েছিলেন। কেদারের পঞ্চমুখী চল বিগ্রহের দোলা সোমবার ধামে পৌঁছে যায়৷

    আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী তুষারপাত হবে তীর্থযাত্রীদের পথে

    তবে আবহাওয়া রিপোর্টে এই এলাকায় আবহাওয়া বিরূপ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। হাওয়া অফিস, ২৯ এপ্রিল অবধি তুষারপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে৷ রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও৷ সেজন্য উত্তরাখণ্ড সরকার ৩০ এপ্রিল অবধি ভক্তদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ পিছিয়ে দিয়েছে৷ গুপ্তকাশী ও সোনপ্রয়াগের মতো জায়গায় পুণ্যার্থীদের থাকতে দেওয়া হয়েছে৷ আবহাওয়া বিরূপ থাকার সম্ভাবনা থাকায় রাজ্য সরকারের জারি করা সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা পুণ্যার্থীদের মেনে চলতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Poll: ‘প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, দেশের ভালই লক্ষ্য’! অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক শেষে দাবি নীতীশের

    Loksabha Poll: ‘প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, দেশের ভালই লক্ষ্য’! অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক শেষে দাবি নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, দেশের জন্য ভাল করাই লক্ষ্য। সোমবার লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। দেশের ‘গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Poll) যৌথভাবে কাজ করার বার্তা দিলেন অখিলেশও।

    নীতীশের বার্তা 

    তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে নিয়ে লখনউ-এ যান নীতীশ। আগামী লোকসভা ভোটে (Loksabha Poll) বিরোধী জোটের বার্তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করলেন তাঁরা। বৈঠকের পর নীতীশ বলেন, ‘‘আমার ক্ষমতা ও পদের কোনও লোভ নেই, দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে যাব আমি। আজ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, আমি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার নই।’’ তাহলে বিরোধী জোটের মুখ কে? এই প্রশ্নের উত্তরে জেডি (ইউ) নেতা বলেন, ‘‘যে দিন আমরা এক মঞ্চে আসব, সে দিন আমাদের নেতাও বেছে নেব।’’

    অখিলেশের কথা 

    সমাজবাদী পার্টির প্রধান বলেন, “আমরা অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একসঙ্গে কাজ করব। বিশেষত, আসন্ন লোকসভা ভোটের (Loksabha Poll) প্রস্তুতিতে আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে কাজ করব।” এরপরই জেডি (ইউ) প্রধানের জোট-বার্তাকে স্বাগত জানিয়ে অখিলেশের মন্তব্য, “গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে আমরা আপনার সঙ্গে আছি।” 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    মমতার মত 

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে নবান্নে বৈঠক শেষে মমতা এবং নীতীশ-তেজস্বী বিরোধী ঐক্য আরও জোরদার করার ডাক দেন। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নীতীশজিকে অনুরোধ করছি, আপনি পাটনায় একটা বিরোধী বৈঠক ডাকুন।” আগামী বছর লোকসভা ভোটে (Loksabha Poll) বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে কাউকে মেনে নিতে তাঁর যে আপত্তি নেই, সে ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও ইগো নেই। আমরা সবাই এক।” তবে, রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিরোধী ঐক্য নিয়ে যতই প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করুন মমতা-নীতীশ-অখিলেশ, বাস্তবে তা কতটা প্রতিফলিত হবে তা- সময় বলবে। অতীতেও বহুবার জোট-জল্পনা শেষ সময়ে এসে ভেস্তে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stadium in Ladakh: ভারতের উচ্চতম ফুটবল ময়দান নিয়ে ট্যুইট মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যানের! কোথায় জানেন?

    Stadium in Ladakh: ভারতের উচ্চতম ফুটবল ময়দান নিয়ে ট্যুইট মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যানের! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইটার হ্যান্ডেল খুবই জনপ্রিয়। সমাজ সচেতনা হোক বা আকর্ষণীয় নতুন কিছু সৃজনশীলতা! কোনও কিছুই বাদ দেন না মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান। বর্তমানে তাঁর ট্যুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি তাঁর ট্যুইটের বিষয়, নির্মীয়মান একটি ফুটবল মাঠ (Stadium in Ladakh)। তাঁর ট্যুইটে দেখা গেল লাদাখের ওই স্টেডিয়ামের (Stadium in Ladakh) একাধিক আকর্ষণীয় ছবি।

    শুধু তাই নয় টিভির সামনে বসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার চেয়ে লাদাখের ওই ফুটবল মাঠে (Stadium in Ladakh) বসে তিনি যে ফুটবল ম্যাচ দেখতে উদগ্রীব সেকথাও উল্লেখ করলেন শিল্পপতি। জানা গিয়েছে, লাদাখের ওই স্টেডিয়াম গড়ে উঠেছে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায়। দর্শকাসন থাকছে ৩০ হাজার। ইতিমধ্যে এই ময়দান বিশ্বের প্রথম দশটি উচ্চতম স্টেডিয়ামের (Stadium in Ladakh) মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। দেশের মাটিতে এটাই হতে চলেছে সব থেকে উচ্চতম স্টেডিয়াম।

    খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পে গড়ে উঠছে এই স্টেডিয়াম (Stadium in Ladakh)

    প্রসঙ্গত, স্টেডিয়ামখানি (Stadium in Ladakh) তৈরি হচ্ছে মোদি সরকারের খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্প মোদি সরকারের এক বিশেষ উদ্যোগ।

    যেখানে দেশের প্রত্যন্ত প্রান্ত থেকে প্রতিভাদের খুঁজে বের করা হবে। এই প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি একাধিকবার তাঁর ভাষণে বলেছেন, এর দ্বারা একদিকে যেমন নতুন প্রতিভাদের তুলে আনা সম্ভব তেমনি পর্যটন শিল্পেও জোয়ার আনবে এই প্রকল্প। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানেরও সুযোগও তৈরি হবে দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল গোটা রাজ্য তথা দেশ। গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকায় একটি পুকুরের পাশে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর দেহ। মৃতার বয়স ১৭ বছর। নৃশংস এই ঘটনার খবর চাউর হতে আলোড়ন পড়ে যায়। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) দ্রুত পৌঁছন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। তার পরপরই আসেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কী বললেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান?

    সোমবার দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর মৃতার পরিবারের সঙ্গেই দেখা করেছি। সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং সবকিছু দেখে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেননা নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। আমরা দিল্লি থেকে ছুটে এসেছি। লিখিতভাবে জানানোর পরও প্রোটোকল অনুযায়ী আইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এই ঘটনার যে তদন্তকারী অফিসার তাঁকেও পাওয়া যায়নি। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তা আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

    সিবিআই তদন্তের কেন দাবি জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, দিল্লিতে ফিরে গিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই রিপোর্ট জমা দেব। তবে আমরা ইতিমধ্যেই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অবিলম্বে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানার আইসি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার এসপিকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছি। এঁদের রেখে তদন্ত করলে সেই তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না। এরপরেও যদি দেখা যায় যে তদন্তের নামে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তাহলে আমরা সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করব।

    রাজ্য সরকারের কাছে কী আবেদন জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে এরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সত্য বা প্রকৃত ঘটনা ও অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা। একথা জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার আরও বলেন, এরপরেও যদি এই ঘটনাকে আড়াল করা হয় তাহলে তার খারাপ পরিণতি হবে। কেননা এধরনের ঘটনায় বারবার অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই অপরাধীরা সাহসী হয়ে উঠছে। ফলে একের পর এক এধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, এ ধরনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দিন। অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করবেন না। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। নিজেদের পরিবারেও এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) কতজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) চারজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল। সোমবার একথা জানান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার। তিনি বলেন, ঘটনার পরই আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছিলাম। প্রাথমিক সেই রিপোর্ট আসার পরই আমরা চারজনকে সাসপেন্ড করেছি। জানা গিয়েছে, ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর তার মৃতদেহটি অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি-র আইটি সেলের মুখপাত্র অমিত মালব্য টুইটও করেছিলেন। রাজ্য জুড়ে ওই ঘটনার কড়া সমালোচনা হয়েছিল। এরপরই চারজনের সাসপেন্ডের ঘটনা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী বিষক্রিয়ার জেরে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেওয়ার যে অভিযোগ মৃতার পরিবার ও জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের তরফ থেকে করা হয়েছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের বক্তব্য, পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করলে আইন অনুযায়ী যে নিয়মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয় সেভাবে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water Crisis: বুদবুদের আদিবাসী গ্রামে জলসঙ্কট চরমে, কলসি, হাঁড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Drinking Water Crisis: বুদবুদের আদিবাসী গ্রামে জলসঙ্কট চরমে, কলসি, হাঁড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধ করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা খারাপ হতেই মেশিন উধাও। বছর ঘুরলেও সেটি সারানো হয়নি। প্রশাসনের দরজায় ঘুরে জুতোর শুকতলা খুইয়েছেন বাসিন্দারা। নানাভাবে আবেদন-নিবেদন জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বিকল্প পানীয় জলের সংস্থান বিশ বাঁও জলে। তাই জলকষ্টে (Drinking Water Crisis) নাকাল গ্রামবাসীরা। এমনই চিত্র বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতের লবণধারা আদিবাসী গ্রামে। চরম বঞ্চনায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল। পানীয় জলের দাবিতে কলসি, বালতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ মহিলারা। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতে। 

    বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত, দাবি গ্রামবাসীদের

    জঙ্গলমহল অধ্যুষিত গ্রামটিতে প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসবাস। সকলে দিনমজুর। গ্রামে পানীয় জলের কষ্ট (Drinking Water Crisis) দীর্ঘদিনের। জলসঙ্কট মেটাতে বছরখানেক আগে ঘটা করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। মাস কয়েক ভালই চলেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আচমকাই সাবমার্শিবলটি খারাপ হয়ে যায়। আর তাতেই আবার জলকষ্ট শুরু হয় গ্রামে। এককথায় পানীয় জলের হাহাকার দেখা দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে আশপাশের পুকুরের জল ব্যবহার করলেও, গরমের শুরুতে সেসব শুকিয়ে পড়েছে। ফলে চরম জলসঙ্কট নেমে আসে। পার্শ্ববর্তী এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নিয়ম করে সারাদিনে দুবার পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। গ্রামের বুধিন টুডু, মুনিষ হাঁসদা প্রমুখ মহিলারা জানান, “ভোটের সময় নেতারা আসে। ভোট মিটলেই আর দেখে না। আমাদের সমস্যা কেউ শোনে না। বহুবার পঞ্চায়েতে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের নতুন করে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। গরমে দূর থেকে জল আনতে হয়।” সোমবার গ্রামের মহিলাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা। এদিন কলসি, হাঁড়ি, বালতি নিয়ে গ্রাম থেকে মিছিল বের করেন তাঁরা। তারপর স্থানীয় পঞ্চায়েতে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ মহিলারা জানান, “গরমে জলকষ্টে নাজেহাল। বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত।”

    ধিক্কার জানাই, বললেন বিজেপি নেতা

    প্রশ্ন, জলসঙ্কট মেটাতে রাজ্য সরকার জলস্বপ্ন ও কেন্দ্র জলজীবন প্রকল্পের ওপর জোর দিয়েছে। নলবাহিত পানীয় জল পরিষেবা সময় সাপেক্ষ। তবে বছর ঘুরলেও, গ্রামে বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা হল না কেন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিক স্থানীয় বোলপুর লোকসভার বিজেপি কর্মী সৌমেন পাত্র বলেন, “তৃণমূল সরকার আদিবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ঘটা করে পানীয় জলের সাবমার্শিবল বসিয়ে বাহবা কুড়িয়েছিল। আবার খারাপ হতে আস্ত মেশিনটা সারানোর নামে তুলে নিয়ে চলে এসেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৃণমূলের ভাইপো নবজাগরণ যাত্রায় নেমেছে। আর এদিকে রাজ্যের মানুষ কষ্টে (Drinking Water Crisis) ভুগছে। কেন্দ্রের দেওয়া জলজীবন প্রকল্পের রাশি রাশি টাকা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে সঠিক ব্যবহার করেনি। তাই এরকম একটা অকর্মণ্য রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তৃণমূল পরিচালিত দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সি জানান, “ওই এলাকায় সৌর বিদ্যুতের পাম্প বসানোর চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনকার প্রজন্ম ইন্টানেটের উপর নির্ভরশীল। আজকের দিনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই দিন কাটছে বহু মানুষের। পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। দূর-দূরান্ত থেকে ডাক্তাররা রোগী দেখছেন ইন্টারনেট পরিষেবার দ্বারা। এই আবহে সৌর ঝড়ের ফলে যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা। তাহলে তো সমূহ বিপদ। সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ফলে ফাটল ধরতে পারে পৃথিবীর আবরণের চৌম্বক ক্ষেত্রে, বেতারযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, জিপিএস বিকল হতে পারে, বিঘ্নিত হতে পারে মোবাইল নেটওয়ার্ক, এমনকী ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে, অনুমান গবেষকদের। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলা দিয়ে যেই অপটিক ফাইবার বিছানো রয়েছে তা অফলাইন হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    সৌর ঝড় কী ?

    সূর্যপৃষ্ঠ থেকে নানা ধরণের অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তি নির্গত হয়। এই অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তির সমন্বয়ে তৈরি হয় সৌর ঝড় (Solar Storm)। এর মধ্যে থাকে ফ্লেয়ার (Flares), প্রমিনেন্স (Prominence), সানস্পট (Sunspots) এবং করোনাল মাস ইজেকশন (Coronal Mass Ejections) বা সিএমই (CME)। এগুলির মধ্যে সঞ্চিত চৌম্বকশক্তি সূর্যের গরম গ্যাসকে সক্রিয় করে। কখনও কখনও সৌর ঝড় পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রর দিকে চলে আসে এবং ধাক্কা খায়। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণের ফলে আকাশে অদ্ভুত আলোর সৃষ্টি করে।

    সৌর ঝড় কী কী করতে পারে ?

    সৌর ঝড়ের (Solar Storm) মধ্যে অবস্থিত শক্তি নিজের একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি সৌর ঝড় স্যাটেলাইট, টেলি-যোগাযোগ এবং নেভিগেশন সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে। পাওয়ার গ্রিড ধংস করতে পারে, নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলে অন্ধকার বা ব্ল্যাকআউটের কারণ হতে পারে।

    নাসার সতর্কীকরণ

    কয়েক দিন ধরেই সূর্যে উথালপাথাল পরিস্থিতি। সৌর ঝড় নিয়ে আগেও সতর্ক করেছে নাসা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সেই সতর্কবার্তা সত্যি করে পৃথিবীর গায়ে এসে লাগল সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ধাক্কা। সৌর ঝড়ের ফলে সূর্যের মধ্যেকার আগুনে পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় চারদিকে। মহাকাশে সৌরজগতের অন্যত্রও সেই পদার্থের বিচ্ছুরণ ঘটে। প্রভাব পড়ে সূর্যের বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের পারিপার্শ্বিকে। পৃথিবীর উপরেও সম্প্রতি সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে। আমেরিকার ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নোয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সৌর ঝড়ের ধাক্কায় পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গে ঝড় উঠেছে। রবিবার রাত থেকে এই ভূ-চৌম্বকীয় তুফান শুরু হয়েছে। যা চলবে সোমবার সারা দিন। এই ঝড়ের ফলে পৃথিবীর বুকে একাধিক দেশের আকাশে দেখা গিয়েছে অভিনব মেরুজ্যোতি।

    আরও পড়ুন: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন?

    অভিনব মেরুজ্যোতি

    ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রবিবার রাতে আকাশে মেরুজ্যোতির ছটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহাজাগতিক আলোয় ছেয়ে গিয়েছিল আকাশের একাংশ। দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকী ফ্রান্স পর্যন্ত এই মেরুজ্যোতির ঝলক দেখা গিয়েছে। চিনের আকাশে উজ্জ্বল লাল রঙের মেরুপ্রভা দেখতে পেয়েছেন অনেকে। বার্লিনে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে গাঢ় সবুজ রঙের আলো। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। একই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে পোল্যান্ডও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share