Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বারের লাইসেন্সই নয়, আবগারি দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সোমনাথ ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। এমনিতেই সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আর একজনের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৩৬ লক্ষ টাকা। সঞ্জয়বাবুকে চালানও দিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police)। আবগারি দফতরের সেই চালান যে ভুয়ো, তা পুলিশ তদন্তে জানতে পারে।  সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

    আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য কতজনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার?

    ধৃত পুলিশ অফিসারের বাড়ি থেকে আবগারি দফতরের কিছু নিয়োগপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে সেই নিয়োগপত্রগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, সবই ভুয়ো। আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) টাকা তুলেছেন বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। সেইমতো ধৃত পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। তাতে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন। মূলত বরানগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই এই কারবার চালাতেন। পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য তিনি মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে নিতেন। এইভাবে আটজনের কাছ থেকে মোট ৩২ লক্ষ টাকা তিনি তুলেছেন। উত্তরপাড়া এলাকায় এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। এমনকী বারের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে যে সঞ্জয় বসুর কাছে থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এজন্য তাঁর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। কলকাতা এবং দক্ষিণেশ্বর এলাকাতেও অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন। আর কার কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা তদন্তকারী আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ফ্রিজ করা হল জীবনকৃষ্ণের ৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! যুক্ত আর কোন কোন নেতা, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    Recruitment Scam: ফ্রিজ করা হল জীবনকৃষ্ণের ৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! যুক্ত আর কোন কোন নেতা, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক শাসকদলের বিভিন্ন নেতা ও এজেন্টের মাধ্যমে ২০১৫ সালের পর থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) চালিয়ে গিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রের অভিযোগ। বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সিবিআই এখন খতিয়ে দেখছে, শাসকদলের আর কোন কোন নেতানেত্রীর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণের যোগ ছিল। পাশাপাশি চলছে ওই তৃণমূল বিধায়কের বিপুল বিষয়সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাইও।

    ৮টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত জীবনকৃষ্ণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কয়েক কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ মিলেছে ওই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এরমধ্যে ৮টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তাছাড়া মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে জীবনের বহু সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, ৬৮ ঘণ্টা তল্লাশির পরে সোমবার ভোরে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছেন তদন্তকারীরা।

    জীবনকৃষ্ণের মূল এজেন্ট কৌশিক ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই

    তল্লাশির সময় বিধায়ক দু’টি মোবাইল ফোন পানাপুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। পাম্প চালিয়ে পুকুরের জল ছেঁচে সেই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে সেই ফোন ঘেঁটে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই মোবাইল থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নথিপত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতে সিবিআই সূত্রের দাবি, এসএসসি এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে বিধায়কের যোগসূত্র মিলেছে। নিয়োগ-দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণের মূল এজেন্ট কৌশিক ঘোষ জেল হেফাজতে আছেন। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।

    সিবিআইয়ের দাবি, বিধায়কের বাড়ি থেকে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা, সুপারিশপত্র ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি যাচাই করা হচ্ছে। দুর্নীতির টাকা নামে-বেনামে ব্যবসায় নিয়োগের পাশাপাশি আর কার কার কাছে গিয়েছে, তারও খোঁজ চলছে সমানে। নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণের হয়ে আর কে কে এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন, সেই বিষয়েও খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Liver Day: কেন হয় ফ্যাটি লিভার? নিয়ন্ত্রণই বা করবেন কীভাবে?

    World Liver Day: কেন হয় ফ্যাটি লিভার? নিয়ন্ত্রণই বা করবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব লিভার দিবস। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের পাশাপাশি যতদিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে ফ্যাটি লিভারের (World Liver Day) সমস্যা। আগে সাধারণত বয়স্কদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যেত, কিন্তু এখন আর সেসব বালাই নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমলেই এই রোগ হয়। লিভার মানব শরীরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের টক্সিন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষ করে মদ্যপানের অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তাঁদেরই এই সমস্যা বেশি হয়। তবে মদ্যপান না করলেও এই সমস্যা হতে পারে।

    কেন হয় ফ্যাটি লিভার

    অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন: বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মব্যস্ত জীবনের একটা বাজে অভ্যেস হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। আর এই কু-অভ্যাসই শরীরকে এই ধরনের রোগের দিকে ঠেলে দেয়।

    মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান করলে ফ্য়াটি লিভারের (World Liver Day) সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    অতিরিক্ত ওজন: ওজন অতিরিক্ত বাড়তে শুরু করলেই লিভারের উপর এর প্রভাব পড়ে। লিভারে ফ্য়াট (World Liver Day) জমতে শুরু করে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। আর আপনি যদি ডায়াবেটিক হন, তবে এই প্রাণঘাতী ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি রয়েছে।

    ফ্যাটি লিভারের  লক্ষণ কী কী

    ফ্যাটি লিভারের (World Liver Day) প্রাথমিক কোন লক্ষণ নেই। তবে ধীরে-ধীরে এর লক্ষণ গুলি স্পষ্ট হয়। পেটে চর্বি জমতে শুরু করে। হজমের সমস্যা হয়। খাবারে অরুচি আসে। সেই সঙ্গেই কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, শরীর দুর্বল লাগতে শুরু করে।

    এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করবেন

    মদ্যপান ত্যাগ করুন: মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে প্রথমেই তা ছাড়ুন। কারণ মদ্যপানের কারণে লিভারে অতিরিক্ত ফ্য়াট জমতে শুরু করে।

    নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে তাই নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন। ফ্য়াটি লিভারের (World Liver Day) সঙ্গেও লড়তে তাই রোজ শরীরচর্চা করতে হবে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    চর্বিযুক্ত খাবার কম খান: ঘি, মাখন, খাসির মাংসের মতো চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া চলবেনা। যতটা পারবেন তেল, মশলা ছাড়া খাবার খান।

    প্যাকেট জাতীয় খাবার নয়: বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার চলতি প্য়াকেট জাতীয় খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (World Liver Day) থাকে। তাই এই ধরনের খাবার একেবারে খাওয়া চলবে না।

    স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে লড়তে সবার আগে প্রয়োজন অস্বাস্থ্যকর, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে লাগাম টানা। নইলেই বিপদ।

    কফি খান: পুষ্টিবিদদের মতে, কফি লিভারের জন্য খুব উপকারি। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কফি খাওয়ার অভ্যেস করুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন পুরুষ কিংবা একজন মহিলা বলতে ঠিক কী বোঝায়, তার সম্যক ধারণা আমাদের কাছে নেই। কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না। ব্যাপারটা আরও অনেক জটিল। সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আপত্তির কথা আগেই শীর্ষ আদালতে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সাংবিধানিক বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের উদ্দেশ্য হল, শারীরিকভাবে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। এর জবাব দিতে গিয়েই প্রধান বিচারপতি বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে পুরুষ ও মহিলার কথা বলা হয়েছে ঠিকই, তবে একজন পুরুষ বা একজন মহিলা বলতে কী বোঝায়, সেই ধারণা পুরোপুরি জননাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।

    আরও পড়ুন: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    সেইসঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। ওই বিষয় নিয়ে আপাতত রাজ্যের বক্তব্য শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেইসব মামলার শুনানির বিরোধিতা করে কেন্দ্রের প্রতিনিধি তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেন, সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ। প্রধান বিচারপতি অবশ্য জানিয়ে দেন, কোন বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তা আদালতকে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আদালত সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আর্জি শুনতে আগ্রহী। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের পরিধির মধ্যেই এই বিষয়টি বিচার-বিবেচনা করতে চাইছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: ‘‘আবার বিজেপি করব’’! দিল্লিতে দাবি মুকুল রায়ের, গুরুত্ব দিতে নারাজ পদ্ম-শিবির

    Mukul Roy: ‘‘আবার বিজেপি করব’’! দিল্লিতে দাবি মুকুল রায়ের, গুরুত্ব দিতে নারাজ পদ্ম-শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনে ফের তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানালেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব, বিজেপিতে গিয়ে রাজনীতি করব। কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনিই থাকার ব্যবস্থা করেছেন। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি বিজেপি বিধায়ক, সেই হিসেবেই থাকার ব্যবস্থা করেছে দল।’

    মুকুলের দাবি

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাওয়ার পর থেকেই মঙ্গলবার রাজনৈতিক মহল থেকে নানারকম প্রতিক্রিয়া মিলেছে। মুখ খুলেছেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশুর দাবি, তাঁর বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ। দিল্লি যাওয়ার জন্য তাঁকে কোনও একটি সূত্রে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় (Mukul Roy) বলেন, ‘শুভ্রাংশু জানে আমি কোথায়। আমার সঙ্গে ফোনে ও কথা বলেছে। বিজেপিতে এলে ভালই হবে শুভ্রাংশুর। ওর পরিবারের জন্যও ভাল হবে। শরীর ভাল ছিল না বলে কিছুদিন পুরোমাত্রায় রাজনীতি করতে পারিনি। এখন শরীরটা সুস্থ হয়েছে। তাই ফের রাজনীতির ময়দানে।’

    বিজেপি কী বলছে?

    খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও মুকুলের সঙ্গে বিজেপির এখন দূরত্ব অনেক। তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির। যদিও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মুকুল (Mukul Roy) এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেভাবে কেউই গেরুয়া শিবিরের অবস্থান স্পষ্ট করেননি।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলিতে সমাবেশের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুকুল রায়কে নিয়ে বাংলা বিজেপির কোনও আগ্রহ নেই।’’ অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ‘‘মুকুল রায় তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের কারণে আমাদের দল ছেড়েছেন। দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি বা অন্য কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে আলোচনাও করেননি।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘উনি তো বিধায়ক। গত ৬ মাস ওঁর কোনও খবর পেয়েছেন? উনি ‘লস্ট কেস’। ওঁকে নিয়ে মাথা ঘামানোর কারোর সময় নেই।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফিরল মাস্ক যুগ! কাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিল নবান্ন

    তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে রয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। পরে ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তারপরে আবার ২০২১ সালে তৃণমূল ভবনে গিয়ে উত্তরীয় পরেন। যদিও তিনি দাবি করেন, তিনি কোনওদিন তৃণমূলে ফেরেননি। মমতার সামনে অভিষেকের কাছ থেকে উত্তরীয় পরেও তৃণমূলে ফেরার কথা অস্বীকার করেন। যদিও এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল আর করব না। এটা শিওর। হান্ড্রেড পার্সেন্ট করব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid: রাজ্যে ফিরল মাস্ক যুগ! কাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিল নবান্ন

    Covid: রাজ্যে ফিরল মাস্ক যুগ! কাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিল নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আবারও ফিরল মাস্কযুগ। সূত্রের খবর সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন আর দেরি করা ঠিক হবেনা। সেইমতো করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করে রাজ্য সরকার। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার উপর জোর দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, করোনার (Covid) নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16) সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে কোভিড রোগীর সংখ্যা সবথেকে বেশি, পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। জানা গিয়েছে, নতুন সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশই করোনার নতুন প্রজাতি, এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)।

    নবান্নে বৈঠক….

    গোটা দেশের সঙ্গেই এরাজ্যে ফের একবার করোনার  প্রকোপ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার করোনা বিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। বিশেষভাবে বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর নজর দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফের বিভিন্ন বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। তারপরেই এদিন নবান্ন থেকে এই মর্মে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃদু সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে হলেও রোগ জটিল আকার নিচ্ছে, বিশেষ করে অত্যন্ত বয়স্ক এবং যাদের হার্ট, কিডনি বা লিভার জনিত সমস্যা রয়েছে বা ক্যান্সার এবং এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই তাদের আপাতত ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদেরও একই আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিড়ে বা গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করার এবং স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা যারা এখনও পর্যন্ত কোভিডের তৃতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেননি তাদের অবিলম্বে তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট হল করোনা এক্সবিবি (XBB) প্রজাতির জিনগতভাবে পরিবর্তিত (Genetically Mutated) রূপ। এই প্রজাতিকে ওমিক্রনের এক্সবিবি উপরূপেরই নিকট আত্মীয় বলা যেতে পারে। ওমিক্রনের BA.2.10.1 এবং BA.2.75 উপপ্রজাতির সঙ্গে এর অনেক মিল আছে। বিশেষজ্ঞদের তাই অনুমান, ওই দুই উপপ্রজাতি বদলে গিয়েই এই নয়া রূপ তৈরি করেছে। জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অতএব নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তেহট্ট-র বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে সিবিআই। রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার হাত থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। অবিলম্বে সিবিআইকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যকরের ওপর স্বল্প সময়ের স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য। যদিও রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মান্থা।

    বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব

    এই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির এই ক্ষেত্রেও সিবিআই তদন্ত দাবি করে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসার অনুপম দাস যোগ্যতার সঙ্গে তদন্ত করছেন। গ্রেফতার হওয়া তিন জনের জামিন আটকাতে তিনি যে রিপোর্ট দিয়েছেন নিম্ন আদালতে তাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তাপস সাহাকে তিনি ছুঁতে পারছেন না। এখানেই হাইকোর্ট মনে করছে, বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব খাটাচ্ছেন তিনি।

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তাপস। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা-আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর আইনজীবী তিওয়ারি বলেন, ‘‘প্রাইমারি (প্রাথমিক), আপার প্রাইমারি (উচ্চ প্রাথমিক), এসএসসি, দমকল, ডব্লিউবিসিএস, আইসিডিএস-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগে দুর্নীতিতে তাপস সাহার নাম আসে। পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তাপসের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার হন। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। এক বছর ধরে চার্জশিট পেশ হয়নি। কেন তাপসকে ডাকা হয়নি, আদালতের (Calcutta High Court) এই প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে পারেনি তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই হবে না, জনসাধারণের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হতে হবে যে তদন্ত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই একাধিক চার্জশিট পেশ করেছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে চলছে সিবিআই-এর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত। এই অবস্থায় প্রভাবশালী তাপস সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অন্য সংস্থা (ACB) কে দিয়ে করানো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে৷ তাই তাপস সাহার বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2023: বিরাট-তিক্ততা! সমাজমাধ্যমের পাতায় একে অপরকে অনুসরণ করা বন্ধ করলেন সৌরভ-কোহলি

    IPL 2023: বিরাট-তিক্ততা! সমাজমাধ্যমের পাতায় একে অপরকে অনুসরণ করা বন্ধ করলেন সৌরভ-কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ-বিরাট তিক্ততা বেড়েই চলেছে। চলতি আইপিএলে (IPL 2023) দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচের সময় একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিরাট কোহলি। ম্যাচ চলাকালীন সৌরভের (Sourav Ganguly) দিকে বিরাটের (Virat Kohli) অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকানো নিয়েও ইতিমধ্যেই চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার মধ্যে সোমবার ইনস্টাগ্রামে সৌরভকে আনফলো করেন বিরাট। এবার মহারাজও তাঁর ফলো-লিস্ট থেকে বাদ দিলেন কোহলিকে।

    তিক্ততা প্রকট

    শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২৩ রানে হেরে গিয়েছিল। এই ম্যাচের শেষে সৌরভের সঙ্গে সৌজন্যমূলক করমর্দনও করেননি বিরাট। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সৌরভকে টপকে কোচ রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় বিরাটকে। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভ। বিরাটকে দেখে তিনিও কোন কথা বলেননি। এমনকী দু’জনেই একে অপরের প্রতি সৌজন্য বিনিময়ের আগ্রহও দেখাননি। কয়েকটি সূত্রের খবর, আরসিবি এবং ডিসি ম্যাচের পরে সৌরভ হাতই মেলাননি কোহলির সঙ্গে। প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ককে এড়িয়ে যান প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: বাইশে এভারেস্ট জয়ের পরে তেইশে অন্নপূর্ণার শৃঙ্গে বঙ্গতনয়া পিয়ালি, উচ্ছ্বসিত চন্দননগর

    বিরাট কোহলি যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট, তখন থেকেই তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করেছিল। ফর্মে না-থাকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ভারতীয় টিমের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনা মারাত্মক বিতর্ক তৈরি করেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। সৌরভ তখন মিডিয়ায় বলেছিলেন, বিরাটকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করা হয়েছে। ওই মন্তব্য থেকেই ভুল বোঝাবুঝির শুরু। তারপর বিতর্কের জল অনেকদূর গড়ায়। সেই বিতর্ক যে এখনও কমেনি তা আইপিএলে (IPL 2023) দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন আরও এক বার প্রকাশ্যে এল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling:  দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    Darjeeling: দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য। এবার এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই দাবদাহে জনজীবন নাজেহাল। এই অসহনীয় গরম থেকে রেহাই পেতে কয়েকদিনের জন্য একটু শীতলতার খোঁজে দার্জিলিঙে (Darjeeling) পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কিন্তু, যে আশায় দলে দলে পর্যটকরা আসছেন, এখানে এসে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। কারণ, এখন দার্জিলিং-এর  তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। ফলে, প্রত্যাশা মতো সেরকম ঠান্ডা এখন নেই দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। কালিম্পঙে গরম আরও বেশি, সেখানে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি। শীতের আমেজে কয়েকটা দিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরা। এই অস্বাভাবিক গরমে  শীতলতার খোঁজে সকলের পক্ষে কাশ্মীর যাওয়া সম্ভব নয়। তাই এবার এপ্রিলের শুরুতেই অস্বাভাবিক গরম পড়ায় দক্ষিণবঙ্গ থেকে দলে দলে পর্যটক পাহাড়ে বেড়াতে আসতে শুরু করেছেন।

    দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে এসে পর্যটকরা কী বলছেন?

    পর্যটকরা হতাশ হলেও একটু স্বস্তিতে রয়েছেন। বারাসতের সুধীর রঞ্জন সরকার, গড়িয়ার দীপেন ঘোষ বা পাইকপাড়ার শ্যামল সাহা সকলেরই বক্তব্য, দার্জিলিং-এ (Darjeeling) ঠান্ডা পাবো ভেবেই এসেছিলাম। কিন্তু, সেই ঠান্ডা নেই। এখানে তাপমাত্রা বেশি হলেও স্বস্তি রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকতে হয়, আর এখানে গরম সহ্য করা যাচ্ছে। এটাই স্বস্তি। তবে, যতটা আরাম পাব বলে আশা করেছিলাম,তাতে আশাহত হয়েছি।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গের এক ট্যুর অপারেটর?

    উত্তরবঙ্গের অন্যতম ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, অনেকেরই তিন মাস আগে থেকেই দার্জিলিং-এ (Darjeeling) আসার সবকিছু ব্যবস্থা করা ছিল। কাজেই সেই পর্যটকরা এসময় আসবেন জানাই ছিল। কিন্তু, হঠাৎ করে গরম পড়ায় কলকাতার দিক থেকে হিসেবের বাইরে দলে দলে পর্যটক আসছে। ফলে দার্জিলিং-এ হোটেল থেকে শুরু করে হোমস্টে কোথাও জায়গা নেই। এই সময় দার্জিলিং-এ ঠান্ডা থাকবে ভেবে অনেকেই হালকা গরম জামা কাপড় এনেছিলেন। কিন্তু দার্জিলিং-এ (Darjeeling) পৌঁছে পর্যটকদের যে তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তাতে সেই হালকা গরম পোশাক বাক্সবন্দী হয়ে রয়েছে। সমতলের মত পাতলা পোশাকে দিব্যি দার্জিলিং-এর ম্যাল চৌরাস্তা, চিড়িয়াখানা,মহাকাল মন্দির সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই সময় ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। গত ৩ এপ্রিল সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। তখন পুরোপুরি ঠান্ডা ছিল। অসময়ের এই তুষারপাতে খুশি হয়েছিলাম। পর্যটকরাও বরফ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, তার কয়েকদিন পর থেকেই হঠাৎ করে দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা বিক্রম রাই বলেন, এতদিন শুনে এসেছি ক্লাইমেট চেঞ্জ হচ্ছে উষ্ণায়নের জন্য। এখন সেটা চোখের সামনে দেখছি। প্রকৃতির এই বিরূপ চেহারায় পাহাড়ও উত্তপ্ত হচ্ছে।

    হোটেল মালিকরা কী বলছেন?

    এদিকে এবার এই গরম পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হোটেল মালিকরাও সিলিং ফ্যান কেনার কথা ভাবছেন। এক হোটেল মালিক বলেন, এতদিন দাজিলিং-এ ফ্যান লাগতো না। এখন যে ভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে হোটেলে এবার ফ্যান লাগাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীরা হাসপাতালে যান চিকিৎসা করে সুস্থ হতে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়া এই বাংলায় এমনও হাসপাতালের (Hospital) খোঁজ মিলল, যেখানে গিয়ে রোগীরা আধমরা হয়ে ফিরছেন। কেন এই শোচনীয় অবস্থা, তার উত্তর অবশ্য অনেকের কাছেই সহজ। রাজ্যজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে দুঃসহ অবস্থা মানুষের। বাড়িতে পাখার হাওয়া গায়ে লাগিয়েও তা থেকে যেন নিস্তার মিলছে না। এরকম একটা অবস্থায় কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশাল সংখ্যক রোগীর জন্য যদি গুটিকয়েক পাখা থাকে, তাহলে কী অবস্থা হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ফলে প্রচণ্ড গরমে রোগীরা অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রোগী এবং তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। এই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।

    কোন পোস্টার ঘিরে শোরগোল?

    “ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Hospital) করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।” হাসপাতালের বাইরে কে বা কারা এরকমই পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। আর এটা নিয়েই এখন শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। কিন্তু কে এই পোস্টার লাগালো, তার হদিশ এখনও মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, তারা এ ধরনের কোনও পোস্টার লাগায়নি। 

    পাখা নিয়ে কী জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি মাত্র পাখা আছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাসপাতালে যতগুলি পাখার পয়েন্ট রয়েছে, সবকটিতেই পাখা লাগানো আছে। হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা হল ৬০ এবং ফ্যান রয়েছে ১২টি। অর্থাৎ এক একটি ফ্যানের জন্য পাঁচজন রোগী রয়েছেন। ফলে সেই হওয়া যে সব রোগীর গায়ে লাগে না, সেকথা তারা স্বীকার করেছে। এই সমস্যা কাটাতে কিছু দেওয়াল ফ্যানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছে।

    কী জানালেন চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের বিডিও? 

    ক্ষীরপাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি (Hospital) চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মধ্যে পড়ে। এখানকার বিডিও জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও অভিযোগপত্র পাননি। তবে এই ঘটনার কথা তাঁর কানে পৌঁছেছে। সেই কারণে বিষয়টি দেখার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share