Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাত্রা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রহস্যজনকভাবে মুকুল রায় নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর রটে যায়। যা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় বিষয়টি নিয়ে থানারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও তখনও পর্যন্ত মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অবস্থান সম্পর্কে কারও কিছু জানা ছিল না। পরে জানা যায়, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। আর তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই মুখ খুললেন শুভ্রাংশু রায়।

    কী বললেন শুভ্রাংশু রায়?

    মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সংবাদিক সম্মেলন করে শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয়। বাবার (Mukul Roy) ব্রেন অপারেশন হয়েছে। পারকিনসন, ডিমেনশিয়া রয়েছে। হাই সুগার, হাই প্রেসার। সিরোসিস অব লিভার রয়েছে। দিনে ১৮ টা ওষুধ খান। ইনসুলিন নেন। বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে কোনও বড় টাকার খেলা রয়েছে। আমাকে না জানিয়ে দুই সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছে বাবা। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার দুপুরে বাবার শারীরিক অবস্থা জানতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বাবাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলাম। সিআইএসএফ কোনওরকম সাহায্য করেনি। এয়ারপোর্ট থানায় বলেছি।

    বাবার কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? প্রশ্ন শুভ্রাংশু-র

    শুভ্রাংশু রায় আরও বলেন, বাবার (Mukul Roy) কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? বাবা এখন বেতন পান মাত্র একুশ হাজার টাকা। এজেন্সি একজন অবাঙালি ছেলেকে পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা বাবার (Mukul Roy) হাতে দিয়েছে। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আমাদের পরিবারের পাশে অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা কোনওদিন ভুলতে পারবো না। অসুস্থ মানুষ সেটিং করতে পারে? আমি চাই, বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে থাকুন। পরিবারের সঙ্গে কাটান। পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে। প্রথম কাজ বাবাকে (Mukul Roy) ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা। এয়ারপোর্ট থানা ও বিধাননগরের সিপি চেষ্টা করছেন। দিল্লি পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। আর বাবা দিল্লিতে কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। কারণ, বাবার ফোন সুইচড অফ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়াতে পাঁচিল ঘেরা এলাকার মধ্যে সরকারি নথি পোড়ানোর অভিযোগ উঠল। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই নথি পোড়ালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিবিআই-এর একটি দল। সিবিআই আধিকারিকরা আপাতত পুড়ে যাওয়া নথিতে কখনও বালি, কখনও নিজেদের বোতল থেকে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। জ্বলন্ত কাগজ ধরতে গিয়ে হাত পুড়ছে আধিকারিকদেরও। 

    কী ঘটেছিল

    স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা সকালে লরি বোঝাই কাগজপত্র নিয়ে যান ভাঙড়ের আন্দুলবেড়িয়ার বাগানবাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি মাঠে। সেখানে কাগজগুলি একসঙ্গে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেই খবর পায় সিবিআই। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। কাগজে সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, সেগুলো নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত কোনও নথির হতে পারে। কারণ যে তৃণমূল নেতারা লরিতে কাগজ এনেছিলেন, স্থানীয় এলাকায় তাঁরা আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    নথি উদ্ধারের চেষ্টা

    আগুন নিভিয়ে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছু আধপোড়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে বালি ফেলে নিভিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছেন সাত থেকে আট জনের সিবিআই আধিকারিকের দল। গোটা বাগানবাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নথিতেই হয়তো কোনও বড় ‘ক্লু’ ছিল, সেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল। সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়েছে, লরি লরি কাগজ এনে জমা করা হয়েছে বাগানবাড়িতে। যে বাগানবাড়িতে নথি পোড়ানো হয়েছে, তার মালিকানা হিসাবে নাম উঠে আসছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডল ও রাকেশ রায় চৌধুরীর। বাগানবাড়ির চতুর্দিকে কালো ছাই পড়ে রয়েছে। সেখান থেকেই ঝলসে যাওয়া কাগজের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করছেন আধিকারিকরা। পুড়ে যাওয়া এই নথির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সম্পর্ক থাকতে পারে,বলে মনে করছে সিবিআই। সেই কারণেই তারা তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে গিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা শহর-জুড়ে! কবে থেকে হতে পারে বৃষ্টি?

    Weather Update: আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা শহর-জুড়ে! কবে থেকে হতে পারে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্রের শেষ থেকেই ফুটছে বাংলা। নববর্ষেও তার পরিবর্তন হয়নি। একই মুডে বৈশাখ। কবে পড়বে বৃষ্টি, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। এতদিন স্বস্তির কোনও খবরই দিতে পারছিল না আবহাওয়া দফতর। এবার আশার আলো দেখাল আলিপুর হাওয়া অফিস। শনিবার, ২২ শে এপ্রিল থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেবে সেই বৃষ্টি।

    কবে থেকে বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবার সকালের বুলেটিনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই গরমের দাপট জারি থাকবে। তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে। শুক্রবার থেকে গরম খানিকটা কমতে পারে। সপ্তাহের শেষের দিকে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। উপকূলের জেলা সহ তিন চার জেলায় ছিটেফোঁটা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে পারে সপ্তাহের শেষে। শুক্রবার এবং শনিবার দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, শুক্রবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়াতেও। 

    শুকনো গরম থাকবে

    বিক্ষিপ্ত এই বৃষ্টির পূর্বাভাস অবশ্য দক্ষিণবঙ্গে এখনই সামগ্রিক ভাবে স্বস্তির বার্তা দিতে পারছে না। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। রীতিমতো শুকনো ও অস্বস্তিকর গরমে ভুগতে হবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বেলা বাড়লেই লু বইবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২৯.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৩১ থেকে ৮৭ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির আশা

    দক্ষিণবঙ্গ জ্বললেও, বুধবার থেকেই উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকার জেলাগুলিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকার সংলগ্ন জেলাগুলিতে। শনি এবং রবিবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের ৫ জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এখন উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি উপরে পারদ। দার্জিলিং-এও গরমের অনুভূতি। উত্তরবঙ্গের নিচের দিকের তিন জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ও হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি হয়েছিল তা পূর্বপরিকল্পিত। এমনকি বিজেপির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে অশান্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে এর প্রমাণ দিতে হবে। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    সুকান্তের ট্যুইট

    সোমবার ট্যুইট করে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) হুঁশিয়ারি, ‘আমি পশ্চিবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। তিনি আজ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তিনি যা বলেছেন, তার প্রমাণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দিতে হবে, না হলে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে। আপনি যদি সূর্যের দিকে চেয়ে থুতু ফেলেন তবে তাতে আপনার মুখ পুড়বে।’ তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের অংশ জুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,’হাওড়া-রিষড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা পরিকল্পিত। দেশের ১০০টি জায়গায় যে অশান্তি হয়েছে তা পরিকল্পিত। বিজেপি নিজেদের মিটিং-এ বলেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাড়াও, জাতি দাঙ্গা বাড়াও। দরকার হলে উত্তরবঙ্গে, পাহাড়ে আন্দোলনকে পরোক্ষ সমর্থন করো। কারণ যে করেই হোক আমাকে জিততে হবে। এভাবে কি জেতা যায়? গণতন্ত্রে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়।’

    গরু পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। সোমবারই নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন মুখ্যমন্ত্রীর নামও হয়তো যুক্ত হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমায় বিজেপির সভায় যোগ দিয়ে সুকান্ত বলেন, “রাজ্যে একনায়কতন্ত্র, সরকারের অপশাসন, রাজনৈতিক হিংসায় জেরবার মানুষ। জনগন পরিবর্তন চায়। বিজেপি-ই বিকল্প পথ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে ‘গুন্ডামি’ করতেও রাজি। সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সরাসরি মমতার নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনার মতো অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য যদি গুন্ডামি করতে হয় তবে একবার নয়, এক হাজার বার করব।’

    শুভেন্দু যা বললেন

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে ‘ডাকু’ বলেছেন মমতা। এমন ইঙ্গিতও করেন যে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ইশারাতেই চলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওন্দার সভায় তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “খুব বড় বড় কথা না! বলছেন অমিত শাহকে পশ্চিমবঙ্গে একটা গুণ্ডা পরামর্শ দেয়। সাহস থাকলে নামটা বলুন না।” অহঙ্কারী, দুর্নীতির মক্ষীরানি, চোরেদের সর্দারনী বলেও এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন তিনি। এর সঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, পরিবারবাদ, কাটমানি, তোষণ যাঁর একমাত্র অ্যাজেন্ডা, তাঁকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে ধ্বংস করতে হয়, ভোটের মাধ্যমে যদি উপড়ে ফেলতে হয় তাহলে যে কোনওরকম পথ অবলম্বন করতে প্রস্তুত তিনি।

    অভিষেককে কটাক্ষ

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককেও সোমবারের সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গত বুধবার ওন্দায় এসে অভিষেক বলেছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে জিতিয়ে ‘পাপ’ করেছেন বাঁকুড়ার মানুষ। তাঁরা এ বার ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করবেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মানুষ আপনার মতো চিকিৎসা করাতে আমেরিকায় যেতে পারেন না। কারণ, ওঁদের অত টাকা নেই। বাঁকুড়ার দরিদ্র মানুষ পান্তাভাত, মুড়ি, ছোলা, ডাল-ভাতে জীবন যাপন করেন। তাঁরা পাপী নন।’’

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘তৃণমূল একটা মডেল তৈরি করেছে। সেই মডেলে কারা আছেন? পার্থ-অর্পিতা, অনুব্রত-সায়গল, কুন্তল-শান্তনু!” এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তৃণমূল এখন কোথায় আছে জানেন? দুটো জায়গায় আছে। পাঁচিলের উপরে আর পচা পুকুরে!’ বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘তোলামূলের জীবন ভিতরে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি পাঁচিল টপকে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন পুকুরে। পাঁকের তলা থেকে তা বের করা হয়েছে! এই হল এখন তৃণমূলের অবস্থা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট! বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি কবে?

    Anubrata Mondal: আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট! বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১ মে। দু’দফায় জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। তৃণমূল নেতার হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও পেশ করা হয় আদালতে। এদিন বিচারক রঘুবীর সিং ফের দু’জনকেই জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সাংবাদিকদের সামনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, শরীর মোটেই ভাল নেই তাঁর। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়েছেন তিনি। যদিও তার পরও আদালতে স্বস্তি পেলেন না গোরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। ফলে আপাতত তিহাড়েই থাকতে হবে কেষ্টকে (Anubrata Mondal)।

    তিহাড়ে স্নানের জন্য পর্যাপ্ত জল মিলছে না বলে অভিযোগ কেষ্টর

    হুইল চেয়ারে করে সোমবার শুনানিতে পৌঁছন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর পরনে ছিল সাদা রঙের ফুল ছাপ টি-শার্ট। হুইল চেয়ারে করে এদিন তাঁকে হতাশ মুখে বেরোতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের দেখে তিনি শুধু বলেন,’শরীর ভালো নেই।’ আদালতেও তিনি বিচারককেও সেই একই কথা বলেছেন। তাঁর শরীরের হালহকিকত বোঝার জন্য বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতর মেডিক্যাল ফাইল আনতে বলেন।

    অন্যদিকে তিহাড় জেলে স্নানের জন্য পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন এদিন। সূত্রের খবর, স্নানের জন্য বন্দিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহারের অনুমতি দেয় তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। ওই জলে একজন বন্দির দিনে একবার স্নান করা সম্ভব। তাপমাত্রার পারদ চড়তে থাকায় দিনে একাধিক বার স্নানের অনুমতি জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ খবর মিলেছে।

    চলতি মাসে ফের তলব অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যাকে

    অন্যদিকে চলতি মাসেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, এর আগে অনুব্রত কন্যাকে দু’বার তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু দু’বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ফের তলব করায় সুকন্যার উপর চাপ বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Piyali Basak: বাইশে এভারেস্ট জয়ের পরে তেইশে অন্নপূর্ণার শৃঙ্গে বঙ্গতনয়া পিয়ালি, উচ্ছ্বসিত চন্দননগর

    Piyali Basak: বাইশে এভারেস্ট জয়ের পরে তেইশে অন্নপূর্ণার শৃঙ্গে বঙ্গতনয়া পিয়ালি, উচ্ছ্বসিত চন্দননগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে পৃথিবীর দশম উচ্চতম (৮,০৯১ মিটার) অন্নপূর্ণা শৃঙ্গে আরোহণ করেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। এলাকার মেয়ের এই কৃতিত্বে খুশি গোটা শহর। এভারেস্ট, ধৌলগিরির পর এবার তাঁর ঝুলিতে যুক্ত হল অন্নপূর্ণা। অক্সিজেন ছাড়াই অন্নপূর্ণা জয়ের আশা ছিল পিয়ালীর (Piyali Basak)। তবে জানা গেছে, আবহাওয়া প্রচণ্ড প্রতিকূল থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকাল ৮.৫০ মিনিটে এই কৃতিত্বের অধিকারী হন তিনি। চলতি বছরের ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষে বেরিয়ে ছিলেন চন্দননগরের এভারেস্ট জয়ী পর্বত আরোহী পিয়ালী বসাক।

    বিগত রেকর্ড 

    ২০২১ সালে সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলগিরি জয় করেন তিনি। ২০১৯ সালে এভারেস্টের কাছাকাছি গিয়েও ফিরতে হয়েছিল তাকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য। ২০২২ সালের ২২ মে অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে ওঠেন পিয়ালী (Piyali Basak) এবং তার দুই দিন পরেই পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসে জয় করেন। এবার সেই আরও এক আট হাজারী শৃঙ্গ জয় করলেন।

    কী বলছে পরিবার

    পিয়ালীর বোন তমালি বসাক জানান, নেপালের এজেন্সির থেকে খবর পেয়েছেন অক্সিজেন নিয়ে আজ সকালে অন্নপূর্ণা সামিট করেছেন পিয়ালী। বিনা অক্সিজেনে চেষ্টা করেছিলেন শৃঙ্গ জয়ের। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি। যদিও বিশ্বের পঞ্চম ও দশম পর্বতশৃঙ্গ মাকালু ও অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ বিনা অক্সিজেনে জয় করবে বলে মন বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া সে পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

    উল্লেখ্য, গত বছর ১১ জুন এভারেস্ট জয় করে করেছিলেন তিনি। তার দু’দিন পরই আবার লোৎসে জয় করেন তিনি। শৃঙ্গ জয় করার পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁকে চন্দননগরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছন চন্দননগরের পিয়ালি (Piyali Basak)। যদিও তাঁর এই যাত্রাপথ একেবারেই সুগম ছিল না। একাধিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। এবারও চন্দননগর অপেক্ষায় রয়েছে তাদের পর্বত কন্যার ঘরে ফেরার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে অতর্কিতে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মমতার সেই ট্যুইটকে কটাক্ষ করে পাল্টা ট্যুইট করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, যদি উত্তর প্রদেশে মাফিয়াদের খুন করা হয় তবে এটা আপনার কাছে লজ্জার। পশ্চিমবঙ্গে রোজ হিন্দুদের খুন করা হচ্ছে। সেটা আপনার কাছে গর্বের। এটাই প্রমাণ করছে কোনটা আপনার অগ্রাধিকার ও কোনটা আপনার হিপোক্রেশি। 

    কোন ঘটনায় ট্যুইট

    উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠে আতিক আহমেদের। তার ছেলে আসাদকে সম্প্রতি এনকাউন্টারে মেরেছিল পুলিশ। শনিবার ছিল আসাদের শেষকৃত্যের দিন। সেদিন মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল আতিককে। চারদিকে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই আচমকা আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছবি। ঘটনাস্থলেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও প্রশ্ন উঠেছে যোগী-রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    দুই পক্ষের ট্যুইট-যুদ্ধ

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লিখেছিলেন,’আমি এই নৈরাজ্য দেখে আঘাত পেয়েছি। উত্তর প্রদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো ভেঙে পড়েছে। এই ধরনের বেআইনী কাজের কোনও জায়গা আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে নেই।’ এরপরই অবশ্য মমতাকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য় ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? এবার মমতার ট্যুইটকে তুলে ধরে পালটা ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) ফিরিয়ে দিচ্ছে নার্সিংহোম। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই এমনই অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী (Health Card) কার্ড নার্সিংহোমগুলি না নেওয়ার কারণেই কী সাধারণ মানুষ আর এই কার্ড করতে চাইছেন না? সদ্য সমাপ্ত ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে দার্জিলিং জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন কম পড়ায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মানুষ আর প্রতারিত হতে চাইছেন না বলেই কী আর নতুন করে কেউ আবেদন করছেন না?

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card) উপভোক্তারা?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card)  সুবিধা পাচ্ছেন না গরিব মানুষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুবিধা না পাওয়ারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। মেডিক্যাল মোড়ের বাসিন্দা বিজয় ছেত্রীর পা ভেঙেছিল। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। তার মা মীনা ছেত্রী বলেন, আমরা গরিব। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয়নি। ধারদেনা করে ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে বাইরে থেকে প্লেট, স্ক্রু কিনে দেওয়ার পর আমার ছেলের অস্ত্রোপচার হয়। বাগডোগরার আমির ওরাওঁয়েরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, আমার বাবার স্পাইনালকর্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে না নেওয়ায় বাইরে থেকে ৫৮ হাজার টাকার প্লেট, স্ক্রু সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিতে হয়েছে আমাকে। কার্ডে কোনও পরিষেবা মেলেনি।

    খোদ সরকারি হাসপাতালেও কেন মিলছে না এই কার্ডের (Health Card) সুবিধা ?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, যে ওষুধের দোকান এবং এজেন্সির মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা গরিব মানুষকে দিতাম তাদের প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই, সেই এজেন্সি এবং ফার্মাসি আমাদের আর ওষুধ দিচ্ছে না। এ কারণেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা আমরা দিতে পারছি না। নার্সিংহোমগুলিরও একই বক্তব্য।

    টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠানেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card)  নিয়ে কী অভিযোগ করা হল মেয়রকে?

    প্রতি শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায়শই শুনতে হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ পায়েল দে মেয়র গৌতম দেবকে ফোনে জানান, মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে তাঁর স্বামীর হৃদরোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না নার্সিংহোম।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে দার্জিলিং জেলায় ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রথম ন’দিনে মোট প্রায় ৬৫ হাজারের কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে মাত্র ১০ হাজারের কিছু বেশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, রাজনৈতিক কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এরাজ্য গ্রহণ করেনি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করলেও রাজ্য সরকারের চরম আর্থিক সঙ্কটের কারণে সেই টাকা দিতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নিয়ে মানুষ চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী টাকার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন, ধর্নায় বসেন। তাহলে গরিব মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ থেকে কেন বঞ্চিত করছেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন সাধারণ ও গরিব মানুষকে কেন্দ্রর প্রাপ্য সুবিধা থেকে আর বঞ্চিত করবেন না। আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ নিতে দিন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। শিলিগুড়ি শহর সহ জেলার বেশকিছু নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড গ্রহণ করছে না। আমাদের সঙ্গে যেসব মানুষ যোগাযোগ করেন তাদের সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিই। কিন্তু, তারজন্য এবারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আবেদনপত্র কম জমা পড়েছে এটা ঠিক নয়। আসলে সকলেরই প্রায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Room cooling without AC: এই তাপপ্রবাহে ভাবছেন ঘর ঠান্ডা রাখবেন কী করে? রইল ১০টি সহজ উপায়!

    Room cooling without AC: এই তাপপ্রবাহে ভাবছেন ঘর ঠান্ডা রাখবেন কী করে? রইল ১০টি সহজ উপায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থেকে আপাতত রেহাই মিলবে না, এমনটাই জানা গেছে হাওয়া অফিস সূত্রে। বৃষ্টি নিয়েও কোনও সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারছে না হাওয়া অফিস। এমন অবস্থায় বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। তবে ঘরেও যে খুব স্বস্তি এমনটা নয়। ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা এতটাই যে থাকা দায় হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এসি না থাকলে কীভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায়, সে নিয়েই আমরা আলোচনা করবো আজকে। 

    ১০টি সহজ উপায় যা আপানার ঘরের তাপমাত্রা বাড়তে দেবেনা (Room cooling without AC)

    ১. দরজা সবসময় খোলা রাখুন, ঘরের মেঝে মুছুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই এই গরমে দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু তাতে ঘরের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যথা সম্ভব দরজা খোলা রাখুন যতটা সম্ভব। তাতে ঘরের ভিতর হাওয়া খেলবে ও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ঘরের মেঝে বারবার মুছতে পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাপমাত্রা (Room cooling without AC)।

    ২. দিনের বেলায় জানলা বন্ধ রাখুন 

    তবে দরজার ক্ষেত্রে যা নিয়ম জানলার ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টো। ঘরের হাওয়া চলাচলে বড় ভূমিকা পালন করে জানলা (Room cooling without AC)। গরমে যখন চারপাশ গরম হয়ে যাচ্ছে, তখন সবকটি জানালা বন্ধ করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ঘরে তাপ আসে না বাইরে থেকে।

    ৩. সিন্থেটিক বিছানার চাদর এড়িয়ে চলুন 

    এই সময়ে সিন্থেিটক ধরণের চাদর বা মোটা কাপড়ের চাদর একেবারেই বিছানায় পাতবেন না। কারণ এই সকল কাপড় তাড়াতাড়ি তাপ ধরে রাখে। সহজে ঠান্ডাও হয় না। তাই এই গরমে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর পাতলে বিছানা ঠান্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বেডকভার ও বেডশিট পরিবর্তন করুন।

    ৪. ঘরের উভয়দিকেই ভেন্টিলেশন রাখা উচিত 

    ঘরে উভয়দিকেই ভেন্টিলেশন রাখা উচিত। তাতে ঘরের হাওয়া একদিক থেকে ঢুকে অন্য দিক থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম এই দুই দিকের জানালায় সানশেড লাগান। এই দুই পদ্ধতি মেনে চললেও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত (Room cooling without AC) থাকবে।

    ৫. এক্সহস্ট ফ্যানের ব্যবহার 

    রান্না ঘরে গ্যাস, ইন্ডাকশন কুকার চলায়, রান্না ঘর সবথেকে বেশি হিট হয়ে থাকে।  ফলে সেই হিট অন্যান্য ঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। রান্না ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। বাথরুমেও ব্যবহার করা যেতে পারে এক্সহস্ট ফ্যান (Room cooling without AC)।

    ৬. সন্ধ্যার পর দরজা জানলা খুলে দিন

    রোদের তাপ খুব বেশি থাকলে তাতে ঘরের জানালা দিনের বেলায় বন্ধ করে রাখতে পারেন।  কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই জানলা খুলে দিন। তাতে ঘর ঠান্ডা থাকবে (Room cooling without AC)।

    ৭. গ্রিল জাতীয় রান্না কম করুন 

    রান্না তো করতে হবেই। তা তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তবে গ্রিল জাতীয় রান্না এই সময় কম করাই ভালো। সবথেকে ভালো যদি বন্ধ রাখা যায়। কারণ গ্রিল জাতীয় রান্নায় অনেক বেশি পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয় যা ঘরের পরিবেশও গরম করে তোলে।

    ৮. বেশি পাওয়ারের আলো না ব্যবহার করাই ভাল

    এই গরমে ঘরে অযথা বেশি পাওয়ারের আলো না ব্য়বহার করাই ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে এতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পাবে। কম পাওয়ারের লাইট আর যেই ঘরে প্রয়োজন নেই সেই ঘরের লাইট বন্ধ রাখাই শ্রেয়। এলইডি লাইট ব্যবহার করলেও তাপমাত্রা কম হয়।

    ৯. ঘরোয়া উপায়ে এসিও বানাতে পারেন (Room cooling without AC) 

    ঘরোয়া উপায়ে এসিও বানাতে পারেন। তারজন্য টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বাটিতে বরফ রাখুন। পেছন থেকে ফ্যানের হাওয়া যেই বরফে লাগবে সেখান থেকে ঠান্ডা হাওয়া বার হবে। তাতে তাপমাত্রা ঘরের অনেকটাই কমে থাকে। তবে বরফ গলে গেলে তা আর হবে না। ফলে ক্রমাগত বরফের জোগান দেওয়াটা মুশকিল। সামনে ভেজা কাপড় বা গামছাও রাখতে পারেন।

    ১০. বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান

    গরম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল নিয়মিত ভাবে বৃক্ষচ্ছেদন। এমনটাই মত রয়েছে পরিবেশবিদদের। বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। গাছের ছায়ায় আপনার ঘর অনেক ঠাণ্ডা থাকবে। ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share