Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে আবারও একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। আজ, সোমবার ভোরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে, বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্যের বিরেধী দলনেতা, শুভেন্দু বলেন, ‘আমি ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টির সম্পর্কে অন্য অনেকের থেকে বেশি ধারণা আমার রয়েছে। তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের (SSC Scam) কাজ করেছেন। তবে, সব তদন্ত কোমরের নীচে হচ্ছে, এবার কোমরের উপরে উঠতে হবে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এক এক জন নেতা কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ টাকা করে তুলেছেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর কথায়,‘সব টাকা তাঁরা পাননি। কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছেন। আর বাকি কেস পিছু ৫-৬ লাখ টাকা করে নিজেরা রেখেছেন।’

    মেধা চুরি হয়েছে

    শুভেন্দু বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে। অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে একজন বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে একজন বিধায়ক… অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বিক্রি করেছেন। মেধা চুরি হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    অগাধ সম্পত্তি জীবনকৃষ্ণের

    প্রসঙ্গত, এর আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক (অপসারিত) পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সম্পত্তির নিরিখে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও পিছনে ফেলে দিতে পারেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এই প্রার্থীদের থেকে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ক একাই ৩০০ কোটি টাকার ওপরের দুর্নীতি করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: বেলা বাড়তেই বইবে লু! কতদিন চলবে তাপপ্রবাহ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Report: বেলা বাড়তেই বইবে লু! কতদিন চলবে তাপপ্রবাহ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। ৪০ ডিগ্রি পার করেছে পারদ, আপাতত তা নামার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। ইতিমধ্যে কলকাতা সমেত  দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা এবং উত্তরবঙ্গের মালদা ও দুই দিনাজপুরে সোমবার তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বেলা যত গড়াবে ততই বাড়বে লু। দরকারি কাজ না থাকলে এই সময় বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।

    সোমবার থেকে আবহাওয়া শুকনো থাকবে, তাপপ্রবাহ চলবে বৃহস্পতিবার অবধি

    গত দু দিন জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি ছিল। সেই প্রভাব কেটে গিয়ে সোমবার থেকে ফের শুকনো আবহাওয়া (Weather Report) দেখা যাবে, এমনটাই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Report)। আরও চার-পাঁচ দিন দাবদাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত, এমনই আশঙ্কার কথা শোনালো আবহাওয়া দফতর (Weather Report)। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলেও একইরকম পরিস্থিতি বজায় থাকবে আরও ৩-৪ দিন।

    বৃষ্টির দেখার মিলবে না আপাতত

    আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। রীতিমতো শুকনো ও অস্বস্তিকর গরমে ভুগতে হবে বাসিন্দাদের। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বেলা বাড়লেই লু বইবে। আজ সোমবার থেকে আরও একটু তাপমাত্রা বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ প্রায় সব জেলাতেই ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গেও ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে পারদ। পার্বত্য ২-৩টি জেলা ছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সোমবার। মালদা ও দুই  দিনাজপুরে লু বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের তুলনায় যা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গিয়েছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ২৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rani Bhavashankari: হুগলির রাণী ভবশঙ্করীকে কেন ডাকা হতো “রায়বাঘিনী” নামে? জানুন তাঁর বীরত্বগাথা

    Rani Bhavashankari: হুগলির রাণী ভবশঙ্করীকে কেন ডাকা হতো “রায়বাঘিনী” নামে? জানুন তাঁর বীরত্বগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষোড়শ শতকের এক বাঙালি রাণী যাঁর শৌর্য এবং বীরত্বের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন পাঠান সেনাপতি ওসমান খান। মাতা চণ্ডীর উপাসক রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) অস্ত্র চালনা, ঘোড়ায় চড়া, রাজনীতিশাস্ত্রে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন বলে জানা যায়। হিন্দু ধর্ম তথা শাস্ত্রে তাঁর ছিল বিশেষ আগ্রহ।

    ভূরশুট রাজ‍্যের রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari)

    ভূরশুট রাজ‍্যের রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari)। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান হাওড়া, হুগলি, অবিভক্ত মেদিনীপুর এবং অবিভক্ত বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল ভূরশুট রাজ‍্য। এই রাজ্যের সম্রাজ্ঞী ছিলেন ভবশঙ্করী। গবেষকরা বলছেন “ভূরিশ্রেষ্ঠ” থেকে এসেছে ভূরশুট নাম। এলাকাটি একসময় নাম ছিল ভূরিশ্রেষ্ঠ নগর। শ্রেষ্ঠ বণিকরা এই নগরে বাস করতো বলেই নাম হয় ভূরিশ্রেষ্ঠ। তাঁর জন্মসাল সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য না পাওয়া গেলেও জানা যায় ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) ছিলেন ব্রাহ্মণ কন‍্যা। পিতা দীননাথ চৌধুরী ছিলেন পেঁড়োর জমিদারের অধীনস্থ পেঁড়ো দুর্গের সেনাপতি। বেশ লম্বা-চওড়া চেহারার মানুষ ছিলেন দীননাথ। রণকৌশলে ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। ভূরিশ্রেষ্ঠ নগরের গণ‍্যমান‍্য ব‍্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।

    বাল্যকাল

    এই পেঁড়োতেই জন্ম হয় ভবশঙ্করীর (Rani Bhavashankari)। পিতার দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছিলেন ভবশঙ্করী। ছোট ভাইয়ের জন্মের সময় মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। শৈশব ও বাল্যকালে ভবশঙ্করী পিতার কাছে থেকে অস্ত্রবিদ‍্যা, ঘোড়ায় চড়া ও তীরন্দাজিতে দক্ষ হয়ে ওঠেন। এরপর কূটনীতি, রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের পাঠ নেন।

    রাজা রুদ্রনারায়ণের সঙ্গে বিবাহ 

    কথিত আছে একদিন যুবতী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) দামোদর ও রণ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে শিকারে যান। হঠাৎই হরিণকে তাড়া করার সময় একটি বুনো বাইসন আক্রমণ করে তাঁকে। ভবশঙ্করী এক হাতেই মেরে ফেলতে সক্ষম হন বাইসনটিকে। লোককথা অনুযায়ী, ওই সময় ভূরিশ্রেষ্ঠরাজ রুদ্রনারায়ণ নৌকোয় চেপে দামোদর বেয়ে কাষ্ঠসাংড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনা দেখে রীতিমতো অবাক হলেন তিনি। এই মেয়েকেই তিনি বিয়ে করবেন বলে মনস্থির করলেন। সেইমতো ভূরিশ্রেষ্ঠ নগরের রাজপুরোহিত হরিদেব ভট্টাচার্যের পৌরোহিত‍্যে ভবশঙ্করীর সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয় রাজা রুদ্রনারায়ণের।

    দেবী চণ্ডীর স্বপ্নাদেশ

    বিয়ের পর দামোদরের তীরে গড়-ভবানীপুরের পাশেই তৈরি করা হয় নতুন রাজবাড়ি। ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজবংশের কুলদেবী ছিলেন রাজবল্লভী। জানা যায়, মাতা চণ্ডীর একটি রূপ দেবী রাজবল্লভীর নাম থেকেই ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজ‍্যের পুরোনো রাজধানী “রাজবলহাট -এর নামকরণ হয়। ধার্মিক রাণী, দেবী রাজবল্লভীর অষ্টধাতুর মূর্তি তৈরি করান। মায়ের কাছে মানত করে তিনদিন উপবাস থাকার পর রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) গড়-ভবানীপুরের একটি পুকুরে স্নান করতে যান। কথিত আছে, সে সময়ই তিনি জল থেকে লাভ করেন মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট তরবারি। এই তরবারি হাতে থাকলে কোথাও তিনি পরাস্ত হবেন না, এই ছিল দেবী রাজবল্লভীর বর। সত্য বা বিশ্বাস যাই হোক, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) ছিলেন অপরাজিতা।

    ভুরশূট রাজ্যের সম্রাজ্ঞী

    পরবর্তীকালে ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) জন্ম দেন রাজকুমার প্রতাপনারায়ণের। রাজপুত্রের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন রাজা রুদ্রনারায়ণ পরলোকগত হন। রাজ‍্য পরিচালনার ভার তখন রাণীর ওপর। জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর তিন মাস ব্রহ্মচারিণী হয়ে ছিলেন রাণী ভবশঙ্করী। কাষ্ঠসাংড়ার শিবমন্দিরে রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) শৈব সাধনায় নিয়োজিত করেছিলেন নিজেকে। আধ্যাত্মিক জীবনের পাশাপাশি রাণী ভবশঙ্করী রাজ‍্যের সামরিক ব‍্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো শুরু করেন এই সময়। তাঁর সময়ে শৌর্যে-বীর্যে, কৃষি, বাণিজ্য, তাঁত শিল্প ও ধাতু শিল্পে সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে ভূরশুট রাজ‍্য। এককথায় রাজ্যে তখন স্বর্ণযুগ।

    প্রধান সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতা

    এদিকে আধিপত্য কায়েম নিয়ে বাংলায় তখন চলছে মোঘল-পাঠান দ্বন্দ্ব। মোঘলদের তাড়া খেয়ে পাঠানরা তখন আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় ওড়িশায়। সেখান থেকে ফের বাংলায় আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট হন পাঠান সর্দার ওসমান খান। জানা যায়, রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) বাংলার মোগল-পাঠান দ্বন্দ্বে নিজেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ রেখেছিলেন। কিন্তু পাঠান সেনাপতি মোঘলদের বিরুদ্ধে রাণী ভবশঙ্করীর সাহায্য চাইলে তিনি তা নাকচ করে দেন। এতেই ক্রুদ্ধ হয় পাঠানরা। রাণীর দেওয়ান ছিলেন দুর্লভ দত্ত, প্রধান সেনাপতি চতুর্ভূজ চক্রবর্তী। শুরু হয় অন্তর্ঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা করেন প্রধান সেনাপতি চতুর্ভূজ চক্রবর্তী। তিনি গোপনে হাত মেলান পাঠান সর্দার ওসমান খানের সঙ্গে। হিসাব খুব পরিষ্কার। যেকোনও মূল্যে ভূরশুটের রাজা হতেই হবে চতুর্ভুজকে।

    ওসমান খান হত্যা

     গবেষকদের মতে, পাণ্ডুয়ার কাছে গড়-ভবানীপুর ছিল ভূরশুটের তদানীন্তন রাজধানী। সেখান থেকে ১৪ মাইল দূরে বাসডিঙা গড়ের কালীমন্দিরে একদিন সন্ধ্যায় পুজো দিতে যান রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari)। সুযোগ বুঝে দলবল নিয়ে পাঠান সর্দার ওসমান খান আক্রমণ করলেন রাণী ভবশঙ্করীকে (Rani Bhavashankari)। মুষ্টিমেয় কয়েকজন মাত্র দেহরক্ষী সেদিন রাণীর সঙ্গে ছিল। তাদের নিয়েই পাল্টা আক্রমণ শানান বীর রাণী। রাতের অন্ধকারে দু’ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। রাণী ভবশঙ্করীর হাতে ছিল দেবী রাজবল্লভীর স্বপ্নাদিষ্ট তরবারি। চরম পর্যায়ের লড়াইয়ে পরাজিত ও নিহত হলেন পাঠান সর্দার ওসমান খান। পরের দিন সকালে রাজধানীতে ফিরে রাণী প্রধান সেনাপতি হিসেবে রাজা ভূপতিকৃষ্ণ রায়কে মনোনীত করেন।

    রায়বাঘিনী উপাধি

    তৎকালীন মোগল সম্রাট আকবর, এই ঘটনা জানতে পেরে তাঁর সেনাপতি মানসিংহকে পাঠান রাণী ভবশঙ্করীর (Rani Bhavashankari) কাছে। দু’ পক্ষের মধ্যে হয় বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তি। ঠিক হয়, কেউ কারও রাজ‍্য আক্রমণ করবে না। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়ই সম্রাট আকবর বীরাঙ্গনা রাণী ভবশঙ্করীকে “রায়বাঘিনী” উপাধিতে ভূষিত করেন। হাওড়া ও হুগলি জেলার বেশ কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তিনি দূর্গ নির্মাণও করেন। শেষ বয়সে পুত্র প্রতাপনারায়ণের হাতে রাজপাট ছেড়ে দিয়ে কাশীবাসী হয়েছিলেন রায়বাঘিনী রাণী ভবশঙ্করী। তাঁর স্মৃতিতে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে অনুষ্ঠিত হয় “রায়বাঘিনী ভবশঙ্করী” মেলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: গোঘাটে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা! কেন জানেন?

    Scam: গোঘাটে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই পথশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার হুগলির গোঘাট-১ নম্বর ব্লক। আর এই দুর্নীতির (Scam) জন্যই এই ব্লকের একাধিক রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে গ্রামের মানুষ। তৃণমূল নেতাদের কাটমানির জন্য এত দুর্নীতি (Scam) বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিম্নমানের বালি দিয়ে ভরাট করে অল্প পরিমাণ সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে রাস্তা। আর চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে থাকে শুক্রবারই জগত্পুর এলাকায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে, এলাকাবাসীর দাবি মেনে ফের রাস্তার কাজ শুরু হয়। তবে, ঠিকাদারের কথা মতো নয়, এলাকাবাসীর নজরদারিতে শনিবার থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার গোবিন্দপুর গ্রামে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী।

    এদিন ঠিক কী হয়েছিল গোবিন্দপুর গ্রামে?

    গোঘাটের গোবিন্দপুর থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজ শনিবার শুরু হয়। আর সেই কাজ ঘিরেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ,  নিম্মমানের বালি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। ঢালাই করার পর রাস্তার একাংশ ফেটে যাচ্ছে। ফলে, কাজের গুণগত মান কেমন তা বোঝাই যাচ্ছে। এদিন গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন।

    এলাকাবাসীর আন্দোলন নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বেহাল রাস্তা তৈরির জন্য তৃণমূল নেতাদের কাটমানিকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেত্রী দোলন দাস বলেন, আসলে এসবের পিছনে তৃণমূল নেতাদের কাটমানির খেলা আছে বলেই ঠিকাদাররা নিম্মমানের কাজ করছেন। আমরা তাঁদের দাবিকে সমর্থন করি। আমরা চাই, সঠিক গুণগত সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা তৈরির কাজ হোক।

    কী বললেন গোঘাট-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি?

    এই ঘটনায় দুর্নীতি (Scam) বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান গোঘাট-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল। তিনি বলেন, সঠিক সামগ্রী দিয়েই কাজ করানো হবে। দ্রুত পঞ্চায়েত সমিতির একটি টিম ওই রাস্তা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কারণ, পথশ্রী প্রকল্পে এই ধরনের দুর্নীতি (Scam) আমরা কোনওভাবে মেনে নেব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিষমদের জেরে বিহারে (Bihar) মৃত্যু মিছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে মতিহারি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এই জেলার লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর ও হরিসিদ্ধির মতো গ্রামগুলিতে অনেকে বিষ মদ পান করেন বলে অভিযোগ। বিষমদ খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৮। মদ নিষিদ্ধ রাজ্যে এই ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নীতীশ কুমারের জোট সরকার।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    বিহার (Bihar) সরকার ২০১৬ থেকে ওই রাজ্য়ে মদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও এভাবে বিষাক্ত মদ খেয়ে এতজনের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে ইতিমধ্যেই তির ছুঁড়তে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন সম্প্রতি বিহারের সরন জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ঘটনা। 

    তদন্তে বিশেষ দল

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই এলাকার হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিহার প্রশাসনের। মতিহারির বিষমদকাণ্ডের তদন্ত করছে পাঁচ পুলিশ অফিসারের একটি বিশেষ টিম। দুইজন ডিএসপি ও তিনজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সেই দলে রয়েছেন। অসুস্থদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কয়েকজন মিলে এই মদের আসর বসিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    গত বছরের ডিসেম্বরে ছাপরা ও সিওয়ানে বিষ মদ পানের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ছাপরায় প্রাণ হারান ৫০ জন। অন্যদিকে সিওয়ানে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। এর পরই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে সিট গঠন করে নীতীশ কুমারের সরকার। সম্প্রতি বিহার সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সরকারে লালুপ্রসাদ যাদবের মতো মানুষ থাকলে সুশাসন আসা সম্ভব নয়। বিহারে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।” বিষমদ-কাণ্ডে বিহারে দাবি, নামেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা ওপেন সিক্রেট যে বাড়ির দরজায় মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষের দিন সকালেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে তৃণমূলের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী। মূলত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার সকাল থেকে তাঁর নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা হানা দেন। আর একদল হানা দিয়েছে বিভাসের আশ্রমেও। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে বিভাসের আশ্রমেও যায় সিবিআই। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বিভাসকেও। বিভাসের আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় সিবিআই। কলকাতার ফ্ল্যাটেই বিভাসের বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সিটি অফিস ছিল। এই ফ্ল্যাটে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন। এদিন কলকাতার ফ্ল্যাটের চাবি না পেয়ে সিল করে দেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    কে এই বিভাস অধিকারী?

    বরাবরই বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তিনি। গ্রামে তাঁর পেল্লাই বাড়ি রয়েছে। তাঁর তিনটে পরিচয় রয়েছে। প্রথমত, অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত বিভাস। নিজের হাতে তিনি একটি আশ্রম তৈরি করেছেন। পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি ওই পদে নেই। তবে, শাসক দলের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। যদিও বিভাসের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। তবে, শুধু যে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বিভাস মেতে থাকতেন, তেমনটা নয়। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন তিনি। বহু পড়ুয়া প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সেখানে ভরতি হতেন। কারণ, হিসেবে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজ থেকে পাশ করতে পারলে চাকরি নাকি নিশ্চিত ছিল। সেই কারণে রাতারাতি বাড়ছিল পড়ুয়ার সংখ্যা। শোনা যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর। বীরভূম জেলায় দলের অনেকেই সে কথা জানতেন। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শুধু তিনি নন, একাধিক দাপুটে নেতার আনাগোনা ছিল বিভাসের কলেজে। মাস চারেক আগে সিউড়ির হরিপুরের কাছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার খোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন বিভাস। মোটের উপর অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, ধর্মকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিভাস। এর আগে ইডি-র জেরার মুখে পড়েছিলেন বিভাস। আর নববর্ষের সকালের সিবিআই (CBI) হানা দিল তাঁর ডেরায়। সিবিআই তল্লাশিতে নতুন কোনও তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই। অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। পূর্বমেদিনীপুরের ভূপতি নগরে গোপালের বাড়িতে যখন পৌঁছয় সিবিআই দল, তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপালের গ্রামের বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু নথি রয়েছে কিনা, তারই হদিশ পেতে চাইছে সিবিআই।

    কে  এই গোপাল দলপতি

    গোপাল দলপতির নাম নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় আচমকাই সামনে আসে। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ জেরার সময় গোপাল দলপতির নাম ইডিকে জানায়। শুধু তাই নয়, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানকি ভট্টাচাযের্র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখেও শোনা গিয়েছিল গোপালের নাম। তাপসের অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি গোপালকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। আর সেই টাকাই নাকি বিভিন্ন হাত ঘুরে পৌঁছে যেত ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

    পানওয়ালা থেকে অঙ্কের মাস্টার

    কে এই গোপাল দলপতি? কেনই বা নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা? পুর্ব মেদীনপুরের বাসিন্দা গোপাল প্রথম দিকে দমদম ক্যান্টনমেন্টে একটি পানের দোকানে কাজ করতেন। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর সেই দোকানের যাবতীয় দায়িত্ব গিয়ে পড়ে তাঁর কাঁধে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথাবার্তায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফের তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। দমদম মতিঝিল কলেজে অঙ্ক নিয়ে পাস করার পর টিউশনকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নেন। তারপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন এই চক্রে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি! তৃণমূল বিধায়কের ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছে সিবিআই

    একাধিক জায়গায় তল্লাশি

    অন্যদিকে শনিবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র পর  বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূল নেতার আশ্রমেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কাছে বিভাসের কলকাতার ফ্ল্যাটে চলে সিবিআইয়ের তল্লাশি। বিভাস অধিকারী ছিলেন তৃণমূলের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি। পরে পদত্যাগ করেন। এছাড়াও, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন বিভাস। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দির বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায়। বাড়িতেই নজরবন্দি করা হয় বিধায়ককে। চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে বাঁচতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার কর্মকাণ্ড দেখে সিবিআই (CBI) কর্তারা হতবাক। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি। আর সময় যত গড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  সংক্রান্ত নতুন নতুন নথি সিবিআইয়ের হাতে আসছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় দুবস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার একাধিক চাকরি প্রার্থীর অ্যামডিট কার্ড রয়েছে। এছাড়া একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই (CBI) কর্তাদের আশঙ্কা, এই ডায়েরির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) লেনদেনের হিসেব থাকতে পারে। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের দুই আত্মীয়ের বাড়িতে নতুন করে সিবিআই (CBI)  তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

    সিবিআই তল্লাশির সময় বাড়ির পাশে পুকুরে মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক!

    শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বেশ কয়েকটি টিম। বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় সকাল থেকে। তল্লাশি চলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও। তল্লাশির পাশাপাশি বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, সিঁদুরের কৌটোর মধ্যে মোবাইলের মেমরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। সেই মেমরি কার্ডে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক। সঙ্গে দুটি পেন ড্রাইভ, একটি হার্ডডিস্কও ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান।  প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মোবাইলটি বিধায়ক ব্যবহার করছিলেন বলে সূত্রের খবর। ফলে, তাতে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই তথ্য লোপাট করতেই পুকুরে মোবাইল ফেলা হল কি না তা সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই পুকুরে পাম্প নামিয়ে জল বের করে মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনিতেই শুক্রবার থেকে সিবিআইয়ের (CBI)  একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কিন্তু, বিধায়কের বাড়ি থেকে তথ্যের ভাণ্ডার উদ্ধার হওয়ায় শনিবার ভোরে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান।  তাঁরাও তল্লাশি শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে, পুকুর থেকে মোবাইল দুটি পেলে তদন্তকারীদের হাতে আসতে পারে অনেক তথ্য। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) লিঙ্কম্যান হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে  কৌশিক নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে এই জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। পরে, কিছু ব্যাঙ্কের চেকের সূত্র ধরে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা নিশ্চিত হয়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল সিপিএমের! লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দলীয় কর্মী

    Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল সিপিএমের! লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দলীয় কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল সিপিএমের। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়া থানা এলাকায়। প্রতারিত পরিবারের লোকজন ওই সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পার্থ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানা এলাকায়। পুলিশ জনিয়েছে, পার্থর কাছ থেকে একটি নিয়োগপত্র উদ্ধার হয়েছে। এই দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বছর আগে  নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাসের প্রতিবেশী সুদীপ্ত হাজরার মাধ্যমে অমিত পায়রা নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। অমিত তাঁকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার টোপ দেন। বিনিময়ে টাকা দাবি করেন। স্বপনবাবু প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। অমিতের হাত ধরে দুর্নীতির (Scam) চক্করে পড়ে যান তিনি। এরপর এই অমিতই পার্থ মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। স্বপনবাবু তাঁর ছেলে কৌশিক ও মেয়ে চামেলি দাসের চাকরির জন্য সারে এগারো লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ মন্ডলকে। প্রথমে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরে এবং পরে, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সবশেষে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলেন। গত ১১ এপ্রিল পোস্ট অফিস মারফত একটি নিয়োগ পত্র পান স্বপন দাস। সেটি ছিল হুগলির জেলা হাসপাতালে গ্রুপ ডি পদের। সেই নিয়োগ পত্রের আসল কপি পার্থ নিজের কাছে রেখে একটি জেরক্স দিয়ে দেন স্বপন দাসকে। নিয়োগ পত্রে সরকারি সিল মারা ছিল, বিশ্ব বাংলার সরকারি লোগো ছিল। আসল নিয়োগপত্রের জন্য আরও দেড় লক্ষ টাকা পার্থ দাবি করেন। ১৩ এপ্রিল স্বপনবাবু চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পত্র দেখে জানিয়ে দেয়, সেটি ভুয়ো। এরপরই চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

    কী বললেন প্রতারিত ব্যক্তি

    স্বপনবাবু বলেন, আমি কলকাতায় বেকারিতে কাজ করি। জমি বিক্রি করে, ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় অমিতকে ফোন করলে সে আর ফোন ধরে না। পরে, মোবাইল নম্বরই সে পাল্টে নেয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, প্রতারিত হয়েছি। এরপর পার্থ মণ্ডলকে ফোন করি। তিনি দেড় লক্ষ টাকা না দিলে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না বলে জানায়। আমি তাঁকে জানাই, আমি চুঁচুড়ায় আছি, টাকা নিতে হলে সেখানেই আসতে হবে। সেখানে টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে ধরা পরেন পার্থ। শুক্রবার আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত পার্থ মণ্ডলের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyber Attack: দেশের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হানার আশঙ্কা! সতকর্তা জারি কেন্দ্রের

    Cyber Attack: দেশের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হানার আশঙ্কা! সতকর্তা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে পাল্টাচ্ছে অপরাধেরও ধরন। সাইবার ক্রাইম, হ্যাকারদের আনাগোনাও বেড়ে চলেছে। চাঞ্চল্যকর খবর, হ্যাকারদের লক্ষ্যে ভারতের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে রাজধানী নয়া দিল্লিতে। রাজধানীর অন্দরের খবর, কেন্দ্র সরকার এই হানার ঘটনা আঁচ করে আগেভাগেই সাইবার সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করেছে।

    সাইবার অ্যাটাকের পরিকল্পনা

    কীভাবে ইন্দোনেশিয়ার একটি গ্রুপ হামলার ছক কষছে তারও আভাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে তারা ‘ডেনিয়েল অফ সার্ভিস’ (Dos) লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে। যার ফলে অনেকগুলি কম্পিউটার বা ডিভাইস থেকে একযোগে এত ডেটা পাঠাবে যাতে গোটা সিস্টেম স্তব্ধ হয়ে যায়।
    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হ্যাকারদের গ্রুপটি একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে, যেসব সরকারি ওয়েবসাইটে তারা হামলা করার ছক কষেছে। এই জন্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে সতর্কতা অবলম্বন করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেকোনও অজানা ইমেল বা লিঙ্ক যাতে কেউ ক্লিক না করেন সেটা সতর্ক করা হয়েছে। সমস্ত সফ্টওয়্যার আপ-টু-ডেট রাখতেও বলা হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি ওয়েবসাইট সুরক্ষিত রাখার নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে কীভাবে এইসব আক্রমণ (Cyber Attack) প্রতিহত করা যায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা রয়েছে।

    কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ রয়েছে এই সাইবার হানার (Cyber Attack) পিছনে। যাদের নিশানায় রয়েছে ভারতের বিভিন্ন সরকারি ওয়েসাইট। আরও জানা গেছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আক্রমণ (Cyber Attack) করতে পারে এই দল। তাই সরকারি কর্মীদের এখন থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে।

    কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা

    সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের হামলার (Cyber Attack) মূল লক্ষ্য দু’টি— প্রথমত, সফ্‌টওয়্যার ভাইরাস ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, নানা ভুল তথ্য ঢুকিয়ে দিয়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের ওয়েবসাইটগুলিকে বিকল করে দেওয়া। প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতেও দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে ‘ডিজিটাল হস্টেজ’ বানানোর লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল পাক এবং চিনা হ্যাকারেরা। উদ্দেশ্য ছিল, যাতে প্রয়োজনের সময়ে রোগীর চিকিৎসার তথ্য না-মেলে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ফাইল পাওয়া না-যায়। অর্থাৎ একে ভার্চুয়াল যুদ্ধ বলা যেতেই পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share