Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Halisahar: পদত্যাগ করলেন চিটফান্ডকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজু সাহানি! হালিশহর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান কে?

    Halisahar: পদত্যাগ করলেন চিটফান্ডকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজু সাহানি! হালিশহর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হালিশহর (Halisahar) পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাজু সাহানির বাড়িতে সিবিআই হানা হয়। বাড়ির ভিতর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। বিদেশে অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। আর একটি চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে, তৃণমূলের পুরসভার চেয়ারম্যান চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় শাসক দলের মুখ পুড়েছিল। জেলে থাকার সময় দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দুরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। তবে, তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। এমনকী জামিনে মুক্ত হওয়ার পরও তাঁকে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে দল বসতে দেয়নি। অবশেষে দলের নির্দেশ মেনে তিনি বুধবার পুরসভায় গিয়ে পদত্যাগ করেন।

    কে হলেন হালিশহর পুরসভার (Halisahar) নতুন চেয়ারম্যান?

    রাজু সাহানি জেলে যাওয়ার পর থেকে ভাইস চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ পুরসভা (Halisahar) পরিচালনা করছিলেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁর ওপর আস্থা রাখা হয়। মূলত উপস্থিত সমস্ত কাউন্সিলারদের উপস্থিতিতে শুভঙ্কর ঘোষকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান করা হল হিমানিশ ভট্টাচার্যকে। তিনি বোর্ডের সিআইসি সদস্য ছিলেন।

    কী বললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজু সাহানি?

    পদত্যাগ করার পর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজু সাহানি বলেন, আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়নি। আমি নিজেই পদত্যাগ করেছি। দলের পক্ষ থেকে যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেব। আর কাউন্সিলার হিসেবে নতুন এই চেয়ারম্যানকে আমি সবরকমভাবে সহযোগিতা করব।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ?

    এদিন হালিশহর পুরসভায় তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক সুবোধ অধিকারীসহ জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি পুরসভার ২৩ জন কাউন্সিলারের মধ্যে অধিকাংশ বৈঠকে হাজির ছিলেন। সেখানেই চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ে আলোচনা হয়। নতুন চেয়ারম্যান করা প্রসঙ্গে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানকে সরাইনি। তিনি নিজে এসে পদত্যাগ করেছেন। তাই, নতুন চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক করা হয়েছে। পুরসভার নির্বাচিত অন্যান্য কাউন্সিলাররা মিলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

    কী বললেন হালিশহর (Halisahar) পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান?

    চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে গত ৬ মাস ধরে আমি পুরসভা চালাচ্ছিলাম। তবে, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সেই কাজ করছিলাম। এবার দল এই সন্মান দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। আমি আগের মতো নিষ্ঠার সঙ্গে পুরসভা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: আবার করোনার চোখ রাঙানি! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু

    Covid-19: আবার করোনার চোখ রাঙানি! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনার (Covid-19) প্রকোপ। সংক্রামিতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একদিনে দেশে কোভিড (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি। বুধবার, দেশে আগের দিন অর্থা‍ৎ মঙ্গলবারের তুলনায় দৈনিক সক্রিয় রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭,৮৩০টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। বাড়ছে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আটটি রাজ্যে ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা দেখে অনেকেই শঙ্কিত। কারণ, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। নড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।

    ফের করোনার দাপট

    দেশে করোনার (Covid-19) সংক্রমণ নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়ায় কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই ঠিক হয়, কীভাবে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা সম্ভব, তার রুপরেখাও স্থির হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে ফের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপরও জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে আপাৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে।

    কেরল অগ্রগণ্য

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশের যে রাজ্যগুলিতে করোনার (Covid-19) প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে কেরল অগ্রগণ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের এই রাজ্যে ১৮৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। তার পরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। যেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯৮০ জন। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। পশ্চিমের রাজ্যটিতে ৯১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। পশ্চিবঙ্গে সংখ্যাটা কম। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ৫৯ জন গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। তবে রাজ্য সরকার যদি চোখে ঢুলি বেঁধে থাকে, তাহলে অতীতের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে রাজ্যবাসীকেও।

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত ২২০.৬৬ কোটি কোভিড (Covid-19) টিকা দেওয়া হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশে ২ জন করে এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের ১ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Demonstration: ‘তীব্র গরমে পানীয় জলের জন্য হাহাকার’, আসানসোলে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিক্ষোভে বিজেপির যুব মোর্চা

    BJP Demonstration: ‘তীব্র গরমে পানীয় জলের জন্য হাহাকার’, আসানসোলে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিক্ষোভে বিজেপির যুব মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে রাজ্যজুড়ে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। রাজ্যবাসী চাতক পাখির মতো অপেক্ষায়, কখন বৃষ্টি নামবে। ঠিক এরকমই একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে পানীয় জলের তীব্র সংকট। প্রচণ্ড গরমে একটু পানীয় জলের জন্য মাথা খুঁড়ে মরলেও তা মিলছে না। এমনই করুণ অবস্থা চলছে আসানসোলের বার্নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এমনই। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই সমস্যার কথা পুর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করছে না। ফলে প্রচণ্ড গরমে অশেষ দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP Demonstration)। 

    আন্দোলনে বিজেপি, নেতৃত্বে অগ্নিমিত্রা পল

    পানীয় জল সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বুধবার ঘেরাও করা হল (BJP Demonstration) আসানসোল পৌর নিগমের ৭ নম্বর বরো অফিস। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে আসেন ৭ নম্বর বরো অফিসের সামনে। পুলিশ সেই সময় ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। যদিও পুলিশের সেই ব্যারিকেড ভেঙে বরো অফিস চত্বরে ঢুকে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল?

    এদিনের এই ঘেরাও কর্মসূচিতে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, বার্নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সংকট রয়েছে। ওই সমস্যা মেটাচ্ছে না পৌরসভা। পাশাপাশি এদিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বরো অফিসের সামনে চলে আসার ঘটনাটিও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কখনও নিয়ম ভাঙে না। বিজেপি নেত্রী বলেন, মানুষ জল পাচ্ছে না। হাহাকার পড়ে গিয়েছে। বাড়ি থেকে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দূরে গিয়ে জল আনতে হচ্ছে। সারাদিনে একবার হয়ত জল আসে। অনেক সময় তাও আসে না। মানুষ কেন জল পাচ্ছে না, তার জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা চুরি করছেন, দুর্নীতি করছেন, জায়গায় জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ সামান্য জলটুকুও পাচ্ছে না। এসবের জবাব চাইতেই আমরা এসেছি (BJP Demonstration)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heatwave: চালিয়ে খেলছে চৈত্র! জানেন হাঁসফাঁস গরমে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

    Heatwave: চালিয়ে খেলছে চৈত্র! জানেন হাঁসফাঁস গরমে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ এখনও ব্যাট করতে নামেনি। চালিয়ে খেলছে চৈত্র। গরমে হাঁসফাঁস করছে শহরবাসী। একই ছবি চোখে পড়ছে সর্বত্র। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে সূর্যমামা। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বেরোতে মন চাইছে না। তাই বলে ঘরে বসে থাকা যায়! অফিস রয়েছে, রয়েছে অন্য কাজকর্ম। রান্না-বান্না থেকে ছেলে-মেয়েদের স্কুল থেকে আনার দায়িত্ব। মন না চাইলেও চড়া রোদ মাথায় নিয়েই ছুটতে হচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। গরমের জেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শরীরে ঘাম জমে বাড়ছে নানা রোগ। তার সঙ্গে তো রয়েছে নিত্যদিনের ফ্লু ও জ্বরজালা। এই পরিবেশে নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন বেশ কিছু টোটকা।

    গরমে সতেজ থাকতে কী করবেন?

    ১) অবশ্যই ব্যাগে রাখুন জলের বোতল। প্রয়োজনে গ্লুকোজ কিংবা লেবুর জলও ঘন ঘন খাওয়া যেতে পারে। তবে ভুলেও রাস্তার ধারে ঠেলা ওয়ালাদের থেকে কোনওভাবেই রঙিন পানীয় চুমুক দেওয়া উচিত হবে না। তাতে হীতে বিপরীত হতে পারে।

    ২) পকেটে বা ব্যাগে রাখুন রুমাল। প্রয়োজনে দু’টো রুমাল ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত ঘাম নির্গমনের ফলে রুমাল ভিজে যায়। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় রুমাল কাজে দেবে।

    ৩) সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রখর তাপ থেকে যেমন স্বস্তি মিলবে, তেমনি চোখের পক্ষেও আরামদায়ক।

    ৪) ছেলেরা অবশ্যই টুপি ব্যবহার করুন। না হলে অবশ্যই ছাতা। আর মেয়েরা স্কার্ফ পরতে পারেন। এখন হাতের স্ক্রিন গার্ডও বাজারে উপলব্ধ। এতে ত্বক ও শরীর দুই বাঁচবে।

    ৫) গরমে মুখ চ্যাটচ্যাটে হয়ে যায়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক সেনসেটিভ, তাঁরা ভেজা রুমাল বা ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন।

    ৬) শরীরে ঘাম জমলে অনেক সময় দুর্গন্ধ ছাড়ে। সেক্ষেত্রে অফিসে বা স্কুল কলেজে কিংবা অনুষ্ঠান বাড়িতে সমস্যায় পড়তে হয়। এটা থেকে বাঁচার সেরা উপায় বডি স্প্রে ব্যবহার করা। তবে সেটা যাতে অতিরিক্ত না হয়, তাও খেয়াল রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টির দেখা নেই, তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই! কাঠফাটা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী

    গরমে কী খাবেন ?

    ১) তেল মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। দু’টি করে টিফিন দিন। একটিতে খাবার থাকুক। অন্যটিতে স্যালাড বা ফল।

    ২) ছাতুর সরবত লু রুখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ডাবের জল, নারকেলের জল, বাটারমিল্ক, লেবুর সরবত খেলে তাপপ্রবাহ দূরে রাখা যাবে।

    ৩) শসা, তরমুজ, টম্যাটো, জামরুলের মতো ফল বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে, ডিহাইড্রেশন এড়ানো যাবে।

    ৪) জিরে ভেজানো জল রাখতে পারেন ডায়েটে। পেট ঠান্ডা থাকবে। হলুদ ভেজানো জলও পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। সঙ্গে থাকুক দই ও দইজাতীয় খাবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দণ্ডিকাণ্ডে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তারজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদ সনকইর এলাকার মিশনপাড়া গ্রামে দণ্ডি কাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেব টুডু। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ললিতা টিগ্গা, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সন্তোষ হাঁসদা, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম। দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখা করেন।

    কী বললেন দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলা?

    বিজেপি করার অপরাধে কয়েকদিন আগে তিন আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে বালুরঘাটে ডেকে দণ্ডিকাটার নিদান দিয়েছিলেন তত্কালীন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই আদিবাসী (Tribal People) সমাজ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁরা নির্যাতিতাদের পাশে থাকার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনা জানাজানি হওয়ার একদিনের মধ্যেই প্রদীপ্তাকে পদ থেকে সরিয়ে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার দণ্ডিকাণ্ডে এক নির্যাতিতা বলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ায় আমি খুশি। আর ওই নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভাল লাগছে।

    কী বললেন তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি?

    দণ্ডিকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নির্যাতিতাদের বাড়িতে যান। অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাতেও আদিবাসী (Tribal People) সমাজের বরফ গলেনি। মঙ্গলবারও সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে এবার আদিবাসী (Tribal People) নেতাদের গ্রামে পাঠিয়ে মন জয়ের চেষ্টা করলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, আদিবাসী যে মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁদের সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। দোষীদের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমো তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। আদিবাসীরা (Tribal People) সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলন শুরু করেন। জেলা জুড়ে প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। জেলা প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিবাদ সভা করেন। ফলে, বিজেপির লাগাতার আন্দোলনে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিজেপি-র জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, আদিবাসী (Tribal People) মহিলাদের সঙ্গে গুরুতর অন্যায়ের বিষয়টি ধামাচাপা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদল মানুষ যখন পরিবেশ (Environment) ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করার খেলায় মত্ত, ঠিক তখনই দুর্গাপুরের এক দম্পতি নজির সৃষ্টি করলেন। দেশ ও দশের জন্য তাঁদের উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা দেখে অনেকেই মুগ্ধ। পরিবেশ রক্ষার আর্জি সরাসরি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিতে তাঁদের উদ্যোগও প্রশংসনীয় বলে অনেকে মনে করছেন।

    কী উদ্যোগ নিলেন দুর্গাপুরের ওই দম্পতি?  

    দুর্গাপুর জবরপল্লির বাসিন্দা শ্রী পৃথ্বীরাজ সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতি রমা চক্রবর্তী বিগত ৫২ দিন ধরে পায়ে হেঁটে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দুর্গাপুর থেকে দিল্লি পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একবার দেখা করে তাঁদের আর্জি সরাসরি তাঁর কাছে পৌঁছে দেবেন, একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই। যে মহৎ উদ্দেশে এতদূর পথ পায়ে হেঁটে তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন, তা হল, আমাদের এই ধরিত্রীকে (Environment) রক্ষা করা এবং তার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ। 
    দুর্গাপুর থেকে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছিলেন চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতেই তাঁরা জানিয়েছেন, টানা ৫২ দিনে অতিক্রম করেছেন ১৫০০ কিলোমিটার পথ। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে কী কী আর্জি তাঁরা জানালেন?

    ছোট্ট চিঠিতে খুবই সংক্ষেপে তাঁরা যেসব আর্জি জানিয়েছেন, সেগুলি হল: “সেভ রিভার গঙ্গা”, ভারতবর্ষের লাইফলাইন এবং পবিত্রতম নদী মা গঙ্গাকে বাঁচানো। পরিবেশকে (Environment) বাঁচাতে প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, রাস্তার পাশে গাছ লাগানো। মাটিকে শুদ্ধ রাখার তাগিদে বজ্র্য পদার্থকে প্রকৃত ব্যবস্থাপনা করা। বৃষ্টির জল ধরে রেখে তার সঠিক ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলো রাস্তায় এবং ঘরে ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। মহিলা স্বশক্তিকরণের উদ্দেশে আরও বেশি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়ার উদ্দেশে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর হাসপাতালের বিল মুকুব করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াবে ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক, কেন এই সিদ্ধান্ত?

    Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াবে ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক, কেন এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকালয়ে আসা হাতিদের তাড়ানোর বিষয়টি তো আছেই। এমনকী বক্সার জঙ্গলে (Buxa Tiger Reserve) কাঠের চোরাশিকারিদের হদিশ পেলেই ছুটে যাবে হাইস্পিড মোটরবাইক। রাজ্যের বন দফতর বক্সার (Buxa Tiger Reserve) ৭৬০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চলে নজরদারির জন্য সম্প্রতি ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক পাঠিয়েছে। দক্ষ বনকর্মীদের ওইসব মোটরবাইকে বিভিন্ন অপারেশনের কাজে পাঠানো হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। 

    পরিকাঠামোর অভাবে লেজেগোবরে অবস্থা

    পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে বক্সায় (Buxa Tiger Reserve) এমনিতেই বন দফতরের নজরদারির একটা অভাব ছিল। পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র, এমনকী বনকর্মীদের যাতায়াতের জন্য আধুনিক যানবাহনও ছিল না। বন দফতরের নিজস্ব মাত্র তিনটি গাড়ি ও ১৬ টি ভাড়ার গাড়ি দিয়েই কাজ চলত। একদিকে চোরাশিকারি এবং কাঠপাচারচক্রের সঙ্গে বনকর্মীদের চোর-পুলিশ খেলা তো চলতই, উটকো ঝামেলা হয়ে গিয়েছিল চাবাগান এবং বনবস্তি এলাকায় হাতি সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের তাণ্ডবের ঘটনা। সব মিলিয়ে মূলত যানবাহনের অভাবেই কর্মীদের লেজেগোবরে অবস্থা হত। অনেক সময়ই দেখা যায়, এলাকায় হাতি ঢুকে পড়েছে। অথচ বন দফতরে ফোন করা হলেও গাড়ি না থাকায় তারা আসতে পারছেন না। ফলে হাতি তাণ্ডব চালিয়ে, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে দিয়ে চলে যায়। পরে যখন বন দফতরের কর্মীরা যান, তাঁদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এখন সেই সমস্যা কমবে বলেই অনেকে আশাবাদী। 

    কী বলছেন বন দফতরের কর্তারা

    তবে সম্প্রতি হাইস্পিড মোটরবাইক বন দফতরের হাতে চলে আসায় চোরাশিকার, কাঠপাচার এবং হাতির মতো বন্যপ্রাণীদের তাড়ানোর কাজ অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি অপূর্ব সেন বলেন, ৩০ টি মোটর বাইক খুব শীঘ্রই বিভিন্ন বিট অফিসে (Buxa Tiger Reserve) পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বনকর্মীরা ওইসব বাইক বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুরসভায় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর শহরে মিছিল করে বিজেপি। পরে, পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “ছয়মাস পার হয়ে গেলেও দুর্গাপুর পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। এক কাউন্সিলরের পদ চলে যাওয়ার পর সে নিজে গিয়ে পুরসভায় চাকরি নিয়েছেন।” দুর্গাপুর পুরসভায় চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। পুরসভা থেকে ভ্যাকসিন চুরি নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কুকুরের ভ্যাকসিন চুরি করে খাচ্ছে চোরেরা। রাস্তায় তৃণমূল নেতারা ঘুরলে আর কুকুরে কামড়ে দিলে কুকুরের কোনও দোষ থাকবে না। তৃণমূল নেতাদের দোষ থাকবে। আসলে এরা জানে আজ না হয় কাল কুকুর কামড়াবে, তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন লুকিয়ে রাখছে।”

    মন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের খাতায় ইতিমধ্যেই মলয় ঘটকের নাম উঠে গিয়েছে। “কয়লা ঘটক নামে এই জেলাকে এখন চেনা হয়। সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছে, ঘটক বলছে যাব না। দিল্লিতে আজ না হয় কাল কয়লা ঘটককে যেতেই হবে।”

    রাজু ঝা-কে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ইতিমধ্যেই রাজু ঝা-কে খুন করার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কীভাবে তাঁকে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করেছে তা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে, তারপরও দুষ্কৃতীরা অধরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বড় মাথার হাত আছে। রাজু ঝায়ের হাতে থাকা তথ্য সিবিআইয়ের কাছে গেলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়ত। আন্দাজ করছি, ঘটনায় বড়সড় চক্রান্ত আছে।”

    তৃণমূলের জাতীয় দল হারানো প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন তিনি তৃণমূলের জাতীয়দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কাক পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না। তৃণমূল জাতীয় দল হলে, কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে। সোনার পাথরবাটি হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল। কাঁঠালের আমসত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূল জাতীয় দল হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firing At Punjab: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    Firing At Punjab: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত পাঞ্জাব। বুধবার ভোরে পরপর গুলি চলল ভাটিন্ডার সেনা শিবিরে। তাতে অন্তত চার সেনা জওয়ানের মৃত্যু। ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে চলে গুলি বলে সূত্রের খবর। গুলি চলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর সাউথ ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড।

    তপ্ত সেনা শিবির

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ৪টে বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা শিবিরে গুলি চলে। বিকট আওয়াজে ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও সেই গুলির শব্দ শুনতে পান। সেনার তরফে জারি বিবৃতিতে আপাতত বলা হয়েছে, ‘ভোর ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা ছাউনির ভিতরে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। এর পরপরই ‘ক্যুইক রিঅ্যাকশন টিম’কে মোতায়েন করা হয় ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ভোর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই গুলি চালানোর ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ?

    প্রাথমিক ভাবে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনা বলে অনুমান। তবে, জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। কে বা কারা গুলি চালাল, কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও, পাঞ্জাব পুলিশের দাবি, এই গুলির ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগ নেই। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, দু’দিন আগে ইনসাস রাইফেল (Insas Rifle) ও ২৮ টি কার্তুজ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সেনা ছাউনি থেকে। পুলিশ মনে করছে, কোনও সেনা কর্মীই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। গুলি করার পিছনে কারণ সূত্র খুঁজে পেতে তদন্ত জারি রয়েছে পঞ্জাব পুলিশের।

    কী বলছে পাঞ্জাব পুলিশ?

    ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরানার বিবৃতি অনুযায়ী, এক জওয়ানই সম্ভবত সতীর্থদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতেই তপ্ত হয়ে ওঠে সেনা শিবির। এই সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও সামনে আসেনি। তবে সেনা শিবিরের অন্দরেই এলোপাথাড়ি গুলি চলার ঘটনায় বেড়েছে উদ্বেগ। সেনা শিবিরের বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল বাহিনী। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই  ক্যুইক রিয়্যাকশন টিম কাজে নেমে পড়েছে। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকায় ঢোকা এবং বেরনোর রাস্তা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share