Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Karnataka Assembly Election: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Karnataka Assembly Election: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। এবার নির্বাচনে লড়ছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর কেন্দ্র শিমোগো জেলার শিকারিপুরায় প্রার্থী করা হয়েছে ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিজয়েন্দ্রকে। কর্নাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৮৯টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এই দফায়। তার মধ্যে নতুন মুখের সংখ্যা ৫২। 

    নতুন প্রজন্মকে প্রাধান্য

    মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে প্রার্থীতালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।’’ দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার জানিয়েছে ৩২ জন অনগ্রসর (ওবিসি), ৩০ জন তফসিলি জাতি এবং ১৬ জন তফসিলি জনজাতির প্রার্থী রয়েছেন তালিকায়। ১৮৯ জন প্রার্থীর মধ্যে আটজন মহিলা মুখ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র ধারওয়াড় জেলার শিগ্গাওয়ে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ২০০৮ সাল থেকে টানা ৩ টি বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে জিতেছেন তিনি।

    কে কোথায় প্রার্থী

    কনকপুরায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা মন্ত্রী আর আশোক প্রার্থী হয়েছেন। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বরুণা আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ভি সোমান্নাকে। সোমান্নাকে আরও একটি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। বরুণার পাশাপাশি চামারাজনগরে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। এতদিন তিনি গোবিন্দরাজা নগর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এই প্রথম দুটি আসনে প্রার্থী হলেন। এদিনের এই তালিকায় ৩১ প্রার্থী-র পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে ৩১ প্রার্থীর। এছাড়াও তালিকায় ৮ চিকিৎসক রয়েছেন। কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস ও আইপিএস অফিসারের নাম রয়েছে তালিকায়।

    আরও পড়ুন: আজ লাভপুরে সভা! ‘কাক কখনও ময়ূর হতে পারে না…’ তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে এক দফায় বিধানসভা ভোট হবে কর্নাটকে। ১৩ মে হবে ফল ঘোষণা। গত ২৯ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে, আগেই প্রথম দফায় কর্নাটকের ১২৪টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। পরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৪১ আসনেও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে হাত শিবির। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল সেকুলার ইতিমধ্যে অধিকাংশ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এদিন তালিকা প্রকাশের পর বাসবরাজ বোম্মাই ট্যুইটারে লেখেন, ‘কর্নাটকে ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের পক্ষে হাওয়া বইছে। এবার আমরা সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসব।’ দ্রুত দ্বিতীয় তালিকাও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বোম্মাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতির মর্যাদা সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত (Tribal Movement) কুড়মি সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মিলল না। পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করে। ৪৫ মিনিটের কিছু বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর প্রতিনিধিদলের নেতা রাজেশ‌ মাহাতো বলেন, বৈঠকের ফলাফল হতাশাজনক। কুড়মিদের তফসিলি জনজাতি তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রক রাজ্যের কাছে যে ব্যাখ্যা তলব করেছে, তা রাজ্য সরকার এখনও দেয়নি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে বসে এব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিই আমাদের দাবি। আমাদের দাবি ছিল কমিটি গঠনেরও। কিন্তু সেকথা উনি শোনেননি। কুড়মি সমাজের আরেকটি অংশ আবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। আদিবাসী কুড়মি সমাজের ব্যানারে তারা আন্দোলন (Tribal Movement) চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। 

    কী দাবি নিয়ে এই আন্দোলন?

    কুড়মি সমাজের বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন রেল এবং রাস্তা অবরোধ হচ্ছিল। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা, খড়্গপুর–টাটা শাখার রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের চাপ ও সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁরা এই অবরোধ তুলে নেন। এসটি কোটায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে–মূলত এই তাঁদের দাবি। আগে তাঁরা প্রিমিটিভ ট্রাইবের অন্তর্গত ছিলেন। এরকম ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় ছিল। ১২টিকে এসটি কোটার অর্ন্তভুক্ত করা হয়। কেবল কুড়মি সমাজকে ওবিসি করা হয়। তাঁরা এই ওবিসি কোটা চান না। তাঁদের এসটি কোটার আওতায় আনতে হবে, এই দাবিতেই চলছে আন্দোলন (Tribal Movement)।

    মমতা-রেলমন্ত্রী কথা

    এদিকে কুর্মি আন্দোলনের (Tribal Movement) জেরে রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রেল পরিষেবা কিভাবে স্বাভাবিক করা যায়, তা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আজ লাভপুরে সভা! ‘কাক কখনও ময়ূর হতে পারে না…’ তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: আজ লাভপুরে সভা! ‘কাক কখনও ময়ূর হতে পারে না…’ তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমে আজ, বুধবার রাজনৈতিক কর্মসূচি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। লাল মাটির দেশে নিজেদের রাজনৈতিক জমি শক্ত করার লক্ষ্যে গেরুয়া শিবির। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা দূর করতে পিছিয়ে পড়া মানুষও তাদের সঙ্গে রয়েছে, দাবি বিজেপির।

    লাভপুরে সভা সুকান্তর

    গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর থেকেই ঘনঘন বীরভূমে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে বিজেপি। সাংগঠনিক বৈঠক থেকে পথে নেমে আন্দোলন, কোনও কিছুই বাদ পড়েনি। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ে সভা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ বীরভূমের লাভপুরে মূলত শাসকদলের নানান দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপি নেতাদের দাবি, ‘অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বীরভূমে তৃণমূলের সন্ত্রাস কমেনি। জেলাজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস চলছে’।  বীরভূম প্রশাসনিক জেলার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুবরাজপুর কেন্দ্রটিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপর লোকসভা। তার আগে বীরভূমে মানুষের মধ্যে মিশে যেতে চায় বিজেপি।

    আরও পড়ুন: শিবপুর ও রিষড়ায় অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পেশ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর

    তৃণমূল জাতীয় দল সেজে ছিল

    মঙ্গলবার দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে বিজেপি একটি বড় মিছিল করে। সেই মিছিলে পা মেলান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরপর দুর্নীতি বিরোধী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার এখন দুর্নীতি। তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কাঁঠালের যদি আমসত্ত্ব হয়, সোনার যদি পাথর বাটি হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসও সর্বভারতীয় দল হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল। কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূল জাতীয় দল হবে না।” তাঁর আরও দাবি, গরু পাচারের টাকা কয়লা পাচারের টাকা দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে ভাইপো কংগ্রেসের সব প্রাক্তন সভাপতি এবং নেতা কেনার চেষ্টা করে সর্বভারতীয় দল হবার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ময়ূরের পেখম লাগালে কাক কখনো ময়ূর হতে পারে না। সেটা তৃণমূল কংগ্রেস বুঝে গেছে। 

    কটাক্ষ মমতা-অভিষেককেও

    এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত। বলেন, “ভোটের সময় বাংলার মেয়ে বলে ভোট নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের পর রাজ্যসভায় বাংলার আসন কেড়ে, বাঙালিদের বঞ্চনা করে অসমে একজন অহমিয়া আর গোয়ার একজন গোয়ালিক্সকে মাথার ওপর বসিয়েছিলেন। এখন সেই নেতারা লাথি মেরে চলে যাচ্ছে। কারণ তারা বুঝে গেছে, রাষ্ট্রীয়স্তরে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না।” অভিষেক কেও কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলেন, “ভাইপো আগে বুঝতে পেরে রাজ্যে চলে এসেছিল। তিনি এখন সর্বভারতীয় নয়, শুধু বাংলার ভাইপো।” এদিন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষের সুরে বলেন, “খোকন খোকন বলে ডাক পাড়ি, খোকন গেছে কার বাড়ি। আয়রে খোকন ঘরে আয়। ডাকছে তোকে সিবিআই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমা। আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের কালঘাম ছুটছে। তারই জেরে কি ইসলামপুর জেলার পুলিশ সুপার (Police Officer) বিশপ সরকারকে বদল করে বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার যশপ্রীত সিং- কে আনা হয়েছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কোনও কারণ? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। পাশাপাশি রামনবমীর মিছিল এবং হামলার ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। আর তা নিয়ে হাওড়ার একাধিক এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। তার পরই এবার হাওড়া ও শিবপুর থানার আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হল। সোমবার রাতে হাওড়ার এই দুই থানা এলাকাতেই পুলিশে রদবদল করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাওড়া থানার আইসি (Police Officer) দীপঙ্কর দাসকে পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রামের কোর্ট ইনসপেক্টর করে। আর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আইবি থেকে সন্দীপ পাখিরাকে এনে হাওড়া থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থেকে শিবপুর থানার দায়িত্বে আনা হয়েছে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। শিবপুরের দায়িত্বে ছিলেন অনুপ কুমার রায়। তাঁকে রাজ্য পুলিশের আইবিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

    আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্যই কী ইসলামপুরের এসপি (Police Officer) বদল?

    সোমবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর থানার আগডিমটি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াভিটা গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে ১২ টি তাজা বোমা ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। গত ৩০শে মার্চ দলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুইজনের। ঘটনাটি ঘটে চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘাবানা এলাকায়। ১০ ই মার্চ চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি। ৮ই মার্চ বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুরের দক্ষিন মাটিকুন্ডা গ্রামে। মৃতের নাম সাকিব আখতার। অভিযোগ ওঠে ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রধান সহ ১২ জন গ্রেফতার হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর দল বদল নিয়ে জেলা জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে কথাও বলেছিলেন। আর তারপরই পুলিশ সুপার (Police Officer) বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাওড়া–শিবপুরে আইসি (Police Officer) বদলের কারণ কী?‌

    এই দুই জায়গায় রামনবমীর মিছিলে যে অশান্তি হয়েছিল তার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‌যখন প্রচুর লোক ঢুকে গিয়েছে, তখন পুলিশ গুলি চালালে যে কারও মাথায় লাগতে পারত। ফলে কিল খেয়ে কিল হজম করতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা আটকাতে পেরেছি। এখানে হল না। এই জায়গায় অবশ্যই পুলিশের ব্যর্থতা আছে, স্বীকার করছি। যা পদক্ষেপ করার করব।’‌ এবার পদক্ষেপ করা হল হাওড়া–শিবপুরের ক্ষেত্রে। তবে রিষড়ার ক্ষেত্রে পৃথক সার্কেল তৈরি করা হয়েছে। রিষড়া থানাকে কেন্দ্র করে ওই সার্কেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীর দত্তকে। আগে তিনি রিষড়া থানার ওসি ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কেটে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় মঙ্গলবার আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল (Tribal Movement) করা হল। আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন বিকেলে বালুরঘাট হাইস্কুল ময়দান থেকে ওই মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল পরিক্রমা করে সারা শহর। পরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। 

    ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না, ঘোষণা সংগঠনের

    সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না। তারই প্রতিবাদে এদিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ (Tribal Movement) দেখানো হচ্ছে। তাদের দাবি, পুলিশের খাতায় যেভাবে অজ্ঞাত দুষ্কৃতী লেখা হয়েছে, তা অন্যায়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে প্রধান সংবাদমাধ্যম, সব জায়গাতেই এটা পরিষ্কার দেখানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কে। এমনকী তৃণমূল দল মেনে নিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী যুক্ত আছেন এবং সেই কারণেই তাকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও পুলিশ কেন বিষয়টি বুঝতে পারছে না, তা অজানা।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    আগামী দিনে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের (Tribal Movement) হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীরা বালুরঘাট থানার সামনে এসে প্রায় এক ঘন্টা পথ অবরোধ করেন। এরপর আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এদিন পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতশংকর এলাকার পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, দণ্ডি কাটিয়ে সংগঠনে যোগদানের ঘটনাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সমর্থন করেনি। এমনকী সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছে। রাজ্য পার্টির নির্দেশে জেলা মহিলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসাবে একজন আদিবাসী মহিলাকে তুলে এনেছে দল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার আদিবাসী সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাতে না যায়, সেজন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: অয়নের ছেলের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা নগরোন্নয়ন দফতরের  আধিকারিকের মেয়ের, দাবি ইডির

    Recruitment Scam: অয়নের ছেলের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকের মেয়ের, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অয়ন শীলের সঙ্গে এবার নাম জড়াল সরকারি নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিকের। ইডির দাবি, রাজ্য সরকারের আরবান ডেভেলপমেন্ট (Urban Development) বিভাগের আধিকারিক বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ ছিল অয়নের ছেলের। বিভাসের মেয়ে ইমনের সঙ্গেই অয়নের ছেলের ব্যবসার পার্টনারশিপের ফর্ম উদ্ধার করেছে ইডি। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করে ইডি। শুনানির পর অয়ন শীলকে ২৫ এপ্রিল অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেলে থাকাকালীন ইডি আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে পারবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রে খবর, হুগলির একটি পেট্রোল পাম্পেও অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীলের পার্টনার ছিলেন ইমন। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) টাকা নয়ছয়ের তথ্য মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এ ক্ষেত্রে বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করে ইডির তরফে এই দাবি করা হয়। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, নগরোন্নয়ন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিভাস চক্রবর্তীর মেয়ে ইমনের সঙ্গে যৌথ কোম্পানি খুলেছিলেন অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। সেই কোম্পানির অধীনে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে শুক্লা পেট্রোল পাম্প নামে একটি পেট্রোল পাম্প কেনা হয়। এছাড়া একাধিক কারবারে যুক্ত ছিল সেই সংস্থা। ওই সংস্থার মাধ্যমে অয়নের নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিবপুর ও রিষড়ায় অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পেশ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে এই সরকারি আধিকারিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। এর পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এদিন ইডির তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রী কাকলি, ছেলে অভিষেক ও বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করতে চায় তারা। আগামী সপ্তাহে ৩ জনকে তলব করেছে ইডি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে দাবি করেন ইডি আধিকারিকরা। শুধু ২০১৪-এর টেট নয় ২০১২-এর টেটেও টাকা তোলা হয়েছে, বলে আদালতে দাবি ইডি-র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Tewari: ‘‘ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না’’, জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি জিতেন্দ্রর

    Jitendra Tewari: ‘‘ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না’’, জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি জিতেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বল বিতরণ মামলায় মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে পেশ করা হয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari)। গ্রেফতারির ২৪ দিনের মাথায় জেল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আসানসোল সিজেএম আদালতে আনা হয় জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari)। আদালতের বাইরে তখন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। জিতেন্দ্র তেওয়ারি গাড়ি থেকে নামতেই শুরু হয় উচ্ছ্বাস। স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে কোর্ট চত্বর। এদিন আদালতে প্রবেশ করার সময় তিনি বলেন, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবনা। আসানসোলের জন্য মাস্টার প্ল্যান চেয়েছিলাম, এরা আমাকে প্রেসিডেন্সিতে পাঠানোর মাস্টার প্ল্যান করেছিল। আদালত চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা চোখে পড়ে এদিন। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন কোর্টে। দুপুরের পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari) আসানসোল আদালত থেকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে, সেখানে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়ার পরে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তিনি।

    কোন শর্তে মিলল জামিন ?

    জিতেন্দ্রকে (Jitendra Tewari) জামিনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে তিনটি শর্ত দিয়েছে, সেগুলি হল— এক, আপাতত আসানসোলে ঢুকতে পারবেন না জিতেন্দ্র। দুই, যেখানে থাকবেন, সেখানকার সংশ্লিষ্ট থানায় সপ্তাহে ১ দিন হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তিন, সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, মামলা চলাকালীন জিতেন্দ্রকে পুরোপুরি সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। 

    কী বললেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ?

    এদিন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার চত্বরেও বিজেপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari) স্বাগত জানাতে। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে, গাড়িতে বসে জিতেন্দ্র তেওয়ারি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আসানসোলের মাটি আমাদের মাটি। কোর্টের নির্দেশেই এখান থেকে বাইরে যাচ্ছি, আবার কোর্টের নির্দেশ নিয়েই আসানসোলে ফিরে আসবো। এলাকার মানুষের সঙ্গে থাকবো। আমি আসানসোলের জন্য মাস্টার প্ল্যান চেয়েছিলাম। আর ওরা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করল, আমাকে জেলে পাঠানোর। আসানসোলকে মাস্টার প্ল্যান দিতেই হবে, আগামী দিনে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট তিন দফায় মোট ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। ২৩ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে যাঁরা মামলা করেছিলেন, মূলত তাঁদের আবেদনের উপরই সুপ্রিম কোর্ট এই চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার মধ্যে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

    মূলত ২০১৪ সালে টেট পাশ করে ২০১৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন ২৬৯ জন। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর ৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়, ৪ জানুয়ারি ১৪৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরাই যান সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১২ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার সঙ্গে এই মামলার শুনানি হবে।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চের

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট উত্তীর্ণ যে সব প্রার্থী ২০২০-২২ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন পাল-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। 

    আরও পড়ুন: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    মামলাকারীদের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন যাঁরা, তাঁরাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ২০২০-২২ সালের প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে তাঁরা কী ভাবে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে পর্ষদের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। আজ, মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে তা খারিজ করে দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল তৃণমূলের তারকা বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বাঁকা পথে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বিক্রির নামে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর পরিবারকে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে। যদিও সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৪-১৫ সালে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য বারাসত পুরসভায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিয়ম মেনে তাতে আবেদন করেছিলেন বারাসতের উত্তর কাজিপাড়ার বাসিন্দা কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। পুরসভা সূত্রে খবর, এই চাকরির জন্য সাতশো-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিনক্ষণও ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউও হয়। ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। তাঁর দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর কপালে জোটেনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী পদের চাকরি। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে চাকরি পেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নিরপত্তারক্ষীর মেয়ে পায়েল ইন্দু (মণ্ডল)। আর এই নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বঞ্চিত প্রার্থীর দাবি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে! তাহলে কি কোথাও বিধায়কের প্রভাব কাজ করেছে এক্ষেত্রে? যোগ‍্যতার মাপকাঠি বিচার না করেই পুরসভার চেয়ারম্যান ঘুরপথে চাকরি দিয়েছেন।

    কী বললেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী?

    বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী কাজী আজিজ হোসেন হায়দার বলেন, “ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে আমার নাম ছিল তিন নম্বরে। এরপর ইন্টারভিউয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে শুনলাম সেই চাকরি পেয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে। আমার বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।”

    কী বললেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর?

    বিতর্কিত এই নিয়োগের সময় বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছিল। আসলে যে অভিযোগ করছে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আর কারও জন্য সুপারিশ করেছি বলে মনে নেই। আর এই ধরনের অভিযোগ করা হলে প্রমাণ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে আঙুল তুললে হবে না। কারণ, আমি জানি এই ধরনের কোনও কাজ আমি করিনি। এই বিষয়ে আমি স্বচ্ছ রয়েছি।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান?

    পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আগে বোর্ডে যা নিয়োগ হয়েছে কোথাও কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। আর নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share