Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্যের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “দুর্গাপুজো ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য শুরু হয়েছিল।” এমনকী, তিনি আরও বলেছিলেন, “দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের পানীয় পান করার সুযোগ ছিল।” নিরাকার ব্রহ্ম মন্দিরে বসে উপাচার্যের এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ। যদিও, উপাসনা গৃহের সম্পূর্ণ নির্মাণ তিনি দেখে যেতে পারেননি। নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা ও সর্বধর্মকে সম্মান, আলোচনার জন্য দ্বার খোলা ছিল৷ এই উপাসনা গৃহ মহর্ষির তৈরি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অন্তর্গত। প্রতি বুধবার সকালে এখানে উপাসনার রেওয়াজ রয়েছে৷ এছাড়া, বিশেষ উপাসনাও হয়।

    কী বলেছিলেন উপাচার্য?

    গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই উপাসনা মন্দিরে বসে কেন বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) কর্তৃপক্ষ বসন্তোৎসব বন্ধ করেছে, তার ব্যাখ্যা দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন আজ দুর্গাপুজো বিশ্বের একটা অন্যতম পুজো হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। কিন্তু, দুর্গাপুজোর ইতিহাস যদি দেখেন, এই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বৃটিশদের পদলেহন করার জন্য। তৎকালীন রাজাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত, কে ইংরেজ সাহেবদের দুর্গাপুজোর মঞ্চে নিয়ে আসবেন। সেই দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হত ও অনেক ধরনের পানীয় পান করারও সুযোগ থাকত। পরবর্তীতে দুর্গাপুজো একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু, শুরু হয়েছিল ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য।”

    কী অভিযোগ জানাল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট?

    দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে নিরাকার ব্রহ্মমন্দির তথা সর্বধর্ম সম্মানের পীঠস্থান ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্যের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। ১০ মার্চ ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন ও প্রতিকার চান৷ পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উপাসনা মন্দিরে বসে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আশ্রমিক, পড়ুয়া, প্রাক্তনীদের বারংবার অপমান করছেন৷ উপাসনা গৃহের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যক্তি আক্রমণ ও দুর্গাপুজো ঐতিহ্য নিয়ে মন্তব্য ঠিক নয়। সংবেদনশীল।

    মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতর কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। অর্থাৎ, উপাচার্যের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাবদিহি চাইলেন আচার্য প্রধানমন্ত্রী। যদিও, এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলে হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। রামনবমীর শোভাযাত্রায় গিয়ে বহু ভক্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত (TMC Attack) হলেন বেশ কয়েকজন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে। ঘটনাস্থল কাঁথি-১ নম্বর ব্লকের দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হামির মহল গ্রাম। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবিষ্যতে যে ফের হামলা হবে না, এমন আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেকেই।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    সোমবার রাতে এই গ্রামের শিবভক্তরা চন্দনেশ্বর থেকে জল নিয়ে যখন পাকা রাস্তা ছেড়ে গ্রামে প্রবেশ করেন, তখন বাবার মাথায় ঢালতে গেলেই শুরু হয় গণ্ডগোল। সেই সময় ভক্তদের উপর চড়াও হয় (TMC Attack) তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী, অভিযোগ এমনটাই। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশি তৎপরতায় রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালেন। আহতরা বেশিরভাগ মাজনা ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রাজনৈতিক হানাহানি তো আছেই। কিন্তু এর মধ্যে ধর্মাচরণে এভাবে কেন আঘাত হানা হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি তাঁরা জানিয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।

    পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার আবেদন বিজেপির

    শিবভক্তদের এভাবে আক্রান্ত (TMC Attack) হওয়ার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র পুলিশকে দ্রুত সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    প্রতিক্রিয়া দিলেন না তৃণমূল নেতা

    একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। বললেন কাঁথি এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা প্রদীপ গায়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salman Khan: ‘‘৩০ এপ্রিল খুন হবেন সলমন খান’’! পুলিশকে হুমকি-ফোন করে শ্রীঘরে ‘নাবালক’

    Salman Khan: ‘‘৩০ এপ্রিল খুন হবেন সলমন খান’’! পুলিশকে হুমকি-ফোন করে শ্রীঘরে ‘নাবালক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের যোধপুর থেকে মুম্বই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে হঠাৎই ফোন। নিজেকে রকিভাই পরিচয়ে ওই ব্যক্তি জানান, ৩০ এপ্রিল নাকি খুন হতে চলেছেন সলমন খান (Salman Khan)। হুমকি ফোন আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। হুমকিদাতা একজন নাবালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে সলমনের নিরাপত্তায় কোনওরকম খামতি রাখছে না প্রশাসন।

    কে এই রকি ভাই ?

    সূত্রের খবর, যোধপুরের বাসিন্দা রকি ভাই। স্বঘোষিত গো-রক্ষক সে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, আগামী ৩০শে এপ্রিল সলমন খানকে (Salman Khan) খুন করা হবে, এমন হুমকি দিয়েছে যোধপুরের এই গো-রক্ষক। যদিও আদতে নাবালক এই হুমকিদাতা, তাই তার হুমকিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নয় পুলিশ, তবে তদন্তের খাতিরে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    গত মাসেও ই-মেল মারফত সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এসেছিল

    প্রসঙ্গত, গত মাসে ই-মেল মারফত সলমনকে (Salman Khan) প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এসেছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং-এর তরফে। এবার নিজেকে রকি ভাই বলে দাবি করা এক ব্যক্তি সোজা মুম্বই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সলমন খানকে (Salman Khan) মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসেই যোধপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় ধাকড়রাম রামলাল সিয়াগ নামক এক ব্যক্তিকে, যাঁর ফোন থেকে প্রাণনাশের হুমকি ইমেলে পাঠানো হয়েছিল সলমন খানকে (Salman Khan)। সেই ইমেলে লেখা হয়েছিল, সিধু মুসেওয়ালার মতোই পরিণতি নাকি হতে চলেছে সলমন খানের। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার বাবাকেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। শুধু তা-ই নয়, আগ্নেয়াস্ত্র আইনেও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সর্দারপুরা পুলিশ স্টেশনে। মুসেওয়ালার মৃত্যুকাণ্ডে সন্দেহভাজন লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে রকি ভাইয়ের কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ।

    বাড়ানো হয়েছে সলমন খানের (Salman Khan) নিরাপত্তা

    লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং সলমনকে (Salman Khan) হত্যার ছক কষেছে, সে প্রমাণ পুলিশের হাতে এসেছে আগেই। অভিনেতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে সলমনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরাও সদা তৎপর অভিনেতার সুরক্ষায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তা নিশ্চিত করতে। নিজের সুরক্ষার জন্য মোটা টাকা খরচ করেছেন দাবাং খান। নিশান পেট্রোল এসইউভি, বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনেছেন অভিনেতা, সঙ্গে রাখছেন লাইলেন্সড বন্দুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Corruption: মমতার ‘উন্নয়নের পথ’ থমকে গেছে গোঘাটে, দুর্নীতির অভিযোগে কাজ বন্ধ

    Panchayat Corruption: মমতার ‘উন্নয়নের পথ’ থমকে গেছে গোঘাটে, দুর্নীতির অভিযোগে কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তা সত্ত্বেও হুঁশ নেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের! ঢালাই রাস্তা তৈরি নিয়ে দুর্নীতির (Panchayet Corruption) অভিযোগ তুলে এমনই দাবি গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাট এক নম্বর ব্লকের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুরে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মূল রাস্তায় ঢালাইয়ের কাজে খুবই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছিল। পাশাপাশি এস্টিমেট অনুযায়ী রাস্তা তৈরি হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের মানুষ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তা তৈরি শুরু হতেই গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। বেশ কয়েক ঘন্টা কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। এলাকায় উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, পথশ্রী প্রকল্পের শিলান্যাস হতেই এই কাজ শুরু হয়েছে। তাও আবার কোনও নিয়ম না মেনেই। তাতেই ক্ষোভ বাসিন্দাদের।
    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বালির জগৎপুর গ্রামের দ্বারকেশ্বর নদীবাঁধ থেকে মূল ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়। এর জন্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকার বরাত পান ঠিকাদার। কিন্তু অভিযোগ, ৬ ইঞ্চি উচ্চতার জায়গায় রাস্তা আড়াই ইঞ্চি উঁচু করা হচ্ছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনেই এই কাজ হচ্ছে। মাঝখানে বালি দিয়ে ভরাট করে দু সাইডে মেজারমেন্ট ঠিক রেখে অনিয়ম করা হচ্ছে। সিমেন্ট ও স্টোনচিপস কম দিয়ে কোনও রকমে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    কী বলছেন গ্রামের মানুষজন?

    এই নিয়ে স্থানীয় যুবক সৌমেন সামন্ত বলেন, “রাস্তার কাজ গত রবিবার থেকে শুরু হয়। কিন্তু পরেরদিন থেকেই রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা যাচ্ছে। সিমেন্টের ভাগ খুব কম। এতটাই নিম্নমানের মশলা দিয়ে কাজ হচ্ছে, যা সহজেই খুলে যাচ্ছে। ৬ ইঞ্চি ঢালাইয়ের জায়গায় ৩ ইঞ্চি ঢালাই দিচ্ছে। তাই গ্রামের সব মানুষ এই দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। এইভাবে রাস্তা করলে হবে না। আজ এই জায়গায় হচ্ছে, পরে অন্য জায়গাতেও তো হবে। তাই এই প্রতিবাদ”। অপরদিকে দিলীপ সামন্ত নামে আরও একজন ব্যক্তি বলেন, “রাস্তা তৈরি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি (Panchayet Corruption) হচ্ছে। বালির ভাগ বেশি দিয়ে কেবল ভরাট করে চলে যাচ্ছে। দুদিনে যদি ফাটল হয়, তাহলে আগামিদিনে তো রাস্তা ধসে যাবে। রাস্তা যদি ভাল না হয়, তাহলে কাজ বন্ধ থাকবে”।

    কী বলছেন ঠিকাদার এবং পঞ্চায়েত প্রধান?

    অন্যদিকে ঠিকাদার সুজিৎ মণ্ডল জানান, “এস্টিমেট অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য বাঁধের রাস্তাটা করে দিয়েছি। সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। ওটা সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে”। তবে এই বিষয়ে বালি অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “রাস্তা তৈরির কাজ (Panchayet Corruption) বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
    ঠিকঠাক কাজ যাতে হয় তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে”। সব মিলিয়ে মানুষের প্রাথমিক দাবি, মজবুত ঢালাই রাস্তার। কিন্তু তা না হওয়ায় বালির জগৎপুর গ্রামের মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Trinamool Congress: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো

    Trinamool Congress: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টাও হয়নি জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে তৃণমূল। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভা চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পেশ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, একুশ সালে বাংলা জয়ের পর সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলকে বিস্তার করার লক্ষ্যে মন দেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। গোয়া সমেত উত্তরপূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যকে টার্গেট করে এগোতে থাকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল। সেই সময় রাজ্যসভার সাংসদ বানানো হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে।

    লুইজিনহো ফেলেইরোর হাত ধরেই গোয়া কংগ্রেসের একাধিক নেতাকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল (Trinamool Congress) যখন গোয়ায় নির্বাচনী ময়দানে নেমেছিল, সেই সময় লুইজিনহো ফেলেইরোর হাত ধরেই কংগ্রেসের একাধিক নেতাকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু তাতে খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল (Trinamool Congress)। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু ফিরতে হয় খালি হাতেই। নির্বাচনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি তৃণমূল। আবার যাঁরা তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের মোহভঙ্গ হতেও দেখা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে সেখানে, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।

    রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতাদের 

    লুইজিনহো ফেলেইরোর পদত্যাগে ইতিমধ্যে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে রাজ্যসভার অপর সাংসদ জহর সরকার। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই সিদ্ধান্ত লুইজিনহোর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বহুদিন ধরেই তিনি দলের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখছিলেন না। শরীরটা খারাপ বোধ হয়। উনি আমার চেয়েও বয়সে বড়। পদত্যাগ করাটা ওনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, প্রতিটি রাজ্যে তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণেই মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতাদের। সোমবারই জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে এখন তৃণমূল (Trinamool Congress) শুধুই আঞ্চলিক দল। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী মহল প্রশ্ন তুলেছে, দলের নামের আগে সর্বভারতীয় রেখে দেওয়া আদৌ যুক্তিসম্মত এবং প্রাসঙ্গিক হবে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Case: এই নিয়ে ৬ বার! সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা, পরবর্তী শুনানি কবে?

    DA Case: এই নিয়ে ৬ বার! সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা, পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ধর্নায় বসেছেন দিল্লিতে। এরমাঝেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। বিচারপতিরা ব্যস্ত থাকায় সই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে নতুন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৪ এপ্রিল। প্রসঙ্গত গত বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে রাজ্য সরকার সেই পথে হাঁটেনি। বরং হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু ওই দিন শুনানি হয়নি। এর পর আরও তিন বার পিছিয়ে যায় শুনানি। অবশেষে গত ২১ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মামলাটির শুনানি আবার স্থগিত রাখা হয়। পরে ফের ১১ এপ্রিল শুনানির কথা থাকলেও এদিন আবার তা পিছিয়ে গেল, এই নিয়ে ছ’বার পিছল শুনানি।

    দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি এম সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে ছিল শুনানি 

    বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি এম সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এদিন ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি ছিল। অল্প সময়ের জন্য তা হয়ও। তবে মূল মামলা নিয়ে কোনও সওয়াল জবাব হয়নি। এদিন বিচারপতিরা জানান, যেহেতু এটি বড় মামলা এবং শুনানিতে অনেকটা সময় লাগবে তাই আজ তা করা সম্ভব নয়। কারণ আজকের সূচিতে যেসব মামলা রয়েছে তারসঙ্গে ডিএ শুনানি সম্ভব নয়। 

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি রয়েছেন আইনজীবী

    আদালতের পক্ষ থেকে নতুন শুনানি ২৪ এপ্রিল হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, তার আগে একটা দিন ধার্য করা হোক। যেদিন তাঁরা তাঁদের বক্তব্যটা জানাতে পারেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, শুনানি হলে একই দিনে করা হোক। সেদিন রাজ্যের তরফে তিনিও তাঁর বক্তব্য জানাবেন। শেষ পর্যন্ত ২৪ এপ্রিল তারিখেই নতুন শুনানির দিন ঠিক হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    TET Scam: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। এই প্রথম তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি (ED)। সোমবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল ইডির তরফে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন রত্না। 

    চাপের মুখে নানান কাজ করতে হয়েছিল

    কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি (ED) সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্য ও নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য জানার বিষয়েই তাঁকে ডাকা হয়েছে। রত্নাকে সচিব করা, সরিয়ে দেওয়া এবং ফের সেই পদে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় একসময়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল শিক্ষামহলে। এর আগে রত্নাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ঘণ্টা তিনেক। একবারই তাঁকে ডেকেছিল সিবিআই। সিবিআই যখন রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে ডেকেছিল, সেই সময়ে তিনি নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানিয়েছিলেন, চাপের মুখে নানান কাজ করতে হয়েছিল তাঁকে। শুধু তাই নয়। সার্ভারে যে কলকাঠি নাড়া হয়েছে তাও তিনি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে।

    আরও পড়ুন: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য যখন ছিলেন, সেই সময় সচিব পদে কর্মরত ছিলেন রত্না। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। কিছু দিন আগেই ইডি দফতরে নথি নিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন পর্ষদের দুই প্রতিনিধি। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের প্যানেল সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। অর্ণব বসু নামে পর্ষদের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি (ED)। অর্ণবের ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির জেরার মুখে রত্না। এদিন কোমরে বেল্ট পরে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। শুরু হয়েছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া। রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কী তথ্য উঠে আসে তা জানার অপেক্ষায় শিক্ষামহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Taliban: হিজাব না পরলে মহিলারা ঢুকতে পারবেন না রেস্তোরাঁয়! ফতোয়া তালিবানের

    Taliban: হিজাব না পরলে মহিলারা ঢুকতে পারবেন না রেস্তোরাঁয়! ফতোয়া তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবানি (Taliban) আফগানিস্তানে মহিলাদের ওপর ফতোয়া চেপেই চলেছে। আরও এক নতুন ফতোয়া এবার জারি করা হল সেদেশের মহিলাদের জন্য। এবার হিজাব না পড়লে সেইসমস্ত মহিলাদের রেস্তোরাঁয় ঢোকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানের একটা বড় অংশ তালিবান দখল করার পরই মহিলাদের উপর নেমে আসছে একের পর এক ফতোয়া। পুরুষ সঙ্গ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না মহিলাদের, এমনটাই অভিযোগ।

    মোটর রিক্সায় চড়া, পা-খোলা জুতো পরার ‘অপরাধে’-ও মহিলাদের উপর চরম নির্যাতন চলেছে। শিক্ষার অধিকার তো আগেই খর্ব করা হয়েছিল, এবার রেস্তোরাঁর দরজাও বন্ধ হল মহিলাদের জন্য। মহিলাদের ওপর এমন জুলুমের অভিযোগে সরব হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। তালিবান (Taliban) রয়েছে তাদের ফতোয়াতেই। আফগানিস্তানের মৌলবীরা অবশ্য তালিবানের (Taliban) সমর্থনে নেমে এসেছেন, তাঁদের যুক্তি, হিজাব না পরে ইসলামের অনুশাসনকে অবজ্ঞা করছেন মহিলারা। রাস্তায় অনেক মহিলাকেই দেখা যাচ্ছে হিজাব ছাড়া।

    রেস্তোরাঁতেও হিজাব ছাড়াই ঢুকছেন মহিলারা। সেই কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। জানা গেছে, মহিলাদের রেস্তোরাঁয় প্রবেশে তালিবানের এই নিষেধাজ্ঞা আপাতত আফগানিস্তানের হেরাত শহরের কিছু রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যে সমস্ত রেস্তোরাঁয় খোলামেলা জায়গা রয়েছে, বাগান বা প্রচুর গাছপালা দিয়ে সাজানো, সেখানে মহিলাদের নিয়ে ঢুকতে পারবেন না পুরুষরা। তালিবানি নির্দেশ এমনটাই।

    কী বললেন জনৈক মহিলা সমাজকর্মী?

    ২৬ বছরের জার্মিনা কাকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা হলাম পাখির মতো। দিন-রাত পরিশ্রম করে বাসা বাঁধি। তারপর হঠাৎ এক দিন দেখি, কেউ এসে তা নষ্ট করে দিচ্ছে।’’ তাঁর দাবি,  ২০ বছর আগের সেই অন্ধকার যুগ ফিরে এসেছে। বিগত দুই দশকে আফগানি মহিলাদের মধ্যে যে অগ্রগতি দেখা গিয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর সেই অগ্রগতির দরজা রুদ্ধ। শুধু শিক্ষা নয়, মহিলাদের যে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে (NGO) চাকরি করাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সেই নয়ের দশকের তালিবানি শাসনের বীভৎসতা ফিরে আসছে আফগানিস্তানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করলেন প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর নাম চয়নিকা আঢ্য। বাড়ি চুঁচুড়ার ষন্ডেশ্বর তলায়। দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র (ED) হাতে অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর চয়নিকা তাঁর প্রতারণার কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন। যোগ্যতা থাকার পরও টাকা না দেওয়ায় অয়ন চাকরি দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই প্রথম অয়নের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন। পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) দায়ের করা হয়েছে।

    অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ (Complain)?

    চয়নিকা আঢ্য নামে ওই চাকরি প্রার্থী ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভার গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারায় নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি করতে পারেননি চয়নিকা। টিটাগড় পুরসভায় প্রায় এক সপ্তাহ তিনি কাজও করেছিলেন। জিরো ব্যালেন্সে ব্যাংকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এটিএম কার্ডও দেওয়া হয়। তারপরও চাকরি হয়নি তাঁর। পুরসভায় জানতে গেলে টাকা না দিলে চাকরি হবে না বলে জানানো হয়।

    এতদিন পর অয়নের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Complain) নিয়ে কী বললেন চয়নিকা?

    ১ লা এপ্রিল বিজেপি আইনজীবী সেলের এক প্রতিনিধি দল চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপরই সোমবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন চয়নিকা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্যরা। অয়ন শীল ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) করা হয়। জানা গিয়েছে, যে পুলিশ কর্মী অয়ন শীলের বার্তা নিয়ে চয়নিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই মানস সেন, টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং টিটাগড় পুরসভার বড়বাবু শঙ্কর কুমার সিং-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ (Complain) করা হয়েছে। চয়নিকা বলেন, পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করতে পারিনি। আমার হকের চাকরি ফেরত চাই। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। আর অয়ন শীলের লোকজন হুমকি দিত বলে এতদিন থানায় অভিযোগ (Complain) করতে পারিনি। এখন পাশে অনেকে রয়েছে, তাই সাহস করে থানায় অভিযোগ (Complain) জানালাম।

    কী বললেন বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য?

    চয়নিকার আইনজীবী তথা বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য শিবাজি দাস বলেন, চয়নিকার কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই, এদিন এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: পাকিস্তানের চেয়ে ভারতীয় মুসলিমদের অবস্থা অনেক ভাল, বললেন নির্মলা সীতারমন

    Nirmala Sitharaman: পাকিস্তানের চেয়ে ভারতীয় মুসলিমদের অবস্থা অনেক ভাল, বললেন নির্মলা সীতারমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের থেকে ভারতের মুসলমানদের অবস্থা ভাল। পশ্চিমী দুনিয়ার মিডিয়া ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে নেতিবাচক প্রচার করছে, সোমবার ওয়াশিংটনে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। সেখানকার পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক্সের এক আধিকারিকের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মোদি সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। ওই আধিকারিকের প্রশ্ন ছিল ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার ঘটনা বাড়ছে, এমনটাই বলছে পশ্চিমী মিডিয়াগুলি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন এদিন নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।

    আরও পড়ুন: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?

    নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বর্তমানে মার্কিন সফরে গিয়েছেন। সেখানে ওয়াশিংটনে ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এছাড়াও জি ২০ এর দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও রয়েছে তাঁর। এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পৃথিবীর মধ্যে ভারত হল দ্বিতীয়, যেখানে সব থেকে বেশি মুসলিম বসবাস করেন। এবং এই সংখ্যা ক্রমাগতই বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, যদি সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটে থাকে ভারতে, তবে ১৯৪৭ সাল থেকে এদেশে মুসলিম জনসংখ্যা কেন বাড়বে?

    আরও পড়ুন: আগামী ৫ দিন আরও চড়বে পারদ! তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, কলকাতায় কী হবে?

    পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেশি হয়েছে

    তিনি এই প্রসঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, ইসলামিক দেশ হিসেবেই পাকিস্তান আত্মপ্রকাশ করেছিল। এবং সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা এত বেশি অত্যাচারিত হয়েছিল যে দলে দলে তাদের ভারতে এসে আশ্রয় নিতে হয়। আসলে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে অপদস্থ করার জন্যই একটা অংশ সক্রিয়। তাই সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার তত্ত্ব বারবার তুলে ধরা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের সার্বিক অবস্থা খারাপ হয়নি। যাঁরা এমন অপপ্রচার করছেন ভারতের বিরুদ্ধে, তাঁদের তিনি এদেশে এসে সেগুলো প্রমাণ করতে চ্যালেঞ্জও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share