Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে বিভিন্নজনকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে অভিযোগ জানান। তারপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ, এই বিষয়ে যাবতীয় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, যেহেতু নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই এটিও দেখার ভার দেওয়া হল সেই সিবিআইকেই। একইসঙ্গে মূল মামলার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটিও খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১ লা মে।

    বোঝাই যায়, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) জট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির ওই শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    Calcutta High Court: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ মিনার ময়দান থেকে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল সেনাবাহিনী (Indian Army)। বকেয়া ডিএ (DA) বা মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের একাংশ আন্দোলনে সামিল হয়েছে। শহিদ মিনার ময়দানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান চলছে। সেনাবাহিনীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মতো ওই জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা অগ্রাহ্য করেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সেনার তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা মামলার শুনানি হতে পারে আগামী শুক্রবার। 

    শুক্রবার শুনানি!

    আগামী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনগতভাবে শহিদ মিনার চত্বর সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন। তাদের অনুমতি নিয়েই সেখানে যাবতীয় সভা-সমাবেশ করতে হয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ইতিমধ্যে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্য। 

    আরও পড়ুুন: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    আন্দোলন মঞ্চ অন্যত্র সরানোর আর্জি

    ইতিমধ্যেই সোমবার থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে দু’দিনের প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যুক্তি, বকেয়া ডিএ পেতে সাংবিধানিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই কলকাতার পাশাপাশি আন্দোলনকে দিল্লির দরজায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এদিন বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে চলা আন্দোলন ৭৪ দিনে পড়ল। এই নিয়ে কলকাতার শহিদ মিনারে ধর্না-অবস্থান চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু, প্রায় দেড় মাস ধরে চলা তাঁদের এই আন্দোলন নিয়ে এবার আপত্তি জানিয়েছে সেনাবাহিনী। আন্দোলন মঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Veda Bandita Basu: ইন্ডিয়া নয়, হোক হিন্দুস্থান! নাম বদলের দাবিতে সাইকেলে দিল্লি-যাত্রা বারাসতের কিশোরীর

    Veda Bandita Basu: ইন্ডিয়া নয়, হোক হিন্দুস্থান! নাম বদলের দাবিতে সাইকেলে দিল্লি-যাত্রা বারাসতের কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নাম ইন্ডিয়ার বদলে রাখা হোক হিন্দুস্থান। এই দাবিতে সাইকেলে বারাসত থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দরবারে রওনা দিল বছর ১৪ এর কিশোরী বেদ বন্দিতা বসু (Veda Bandita Basu)।

    কী বললেন বেদ বন্দিতা (Veda Bandita Basu)?

    বারাসতের লিটল অ্যাঞ্জেলস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী এদিন লোকনাথ মন্দির থেকে রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশে। গন্তব্যে পৌঁছতে তার ২০ দিন মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বেদ বন্দিতা। তার মতে, আমাদের দেশের নাম ইন্ডিয়া জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে বিদেশীরা, আমরা এখনও তা বয়ে চলেছি। মোদিজীও বিভিন্ন বক্তব্যে হিন্দুস্থান শব্দ উল্লেখ করেন। আমি তাই ওনার সঙ্গে দেখা করে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আবেদন জানাবো। জানা গেছে, প্রায় দেড় হাজার কিমি রাস্তা সাইকেলে পাড়ি দেওয়ার সময় বেদ বন্দিতার (Veda Bandita Basu) সফর সঙ্গী থাকবেন তাঁর বাবা।

    আরও পড়ুন: চারচাকার বদলে অটোতেই স্বাচ্ছন্দ্য! ব্যতিক্রমী ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক অন্তরা সরকার

    বেদ বন্দিতার (Veda Bandita Basu) রওনা হওয়ার সময় শুভেচ্ছা জানাতে হাজির ছিলেন কয়েকশো বিজেপি কর্মীবৃন্দ

    এদিন বেদ বন্দিতার (Veda Bandita Basu) যাত্রার শুভকামনা জানাতে বারাসত লোকনাথ মন্দিরের সামনে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিত্র। তিনি বলেন, কোথাও উল্লেখ করা নেই দেশের নাম ইন্ডিয়া রাখতেই হবে। এই ছোট্ট মেয়েটি যে উদ্যোগ নিয়েছে, আমরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তার যাত্রা পথ শুভ হোক। তাঁর সঙ্গে এদিন হাজির ছিলেন বিজেপির কয়েকশো কর্মীবৃন্দ। এই ছাত্রীর সাথে তার সফর সঙ্গী ছিলেন তার পিতা। সোমবার সকালে বারাসত লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে সে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বার্তালাভ করতে।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে অনশনে বসবেন পাইলট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির  সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগ ঘিরেও উঠল দুর্নীতির (Anganwadi Corruption) অভিযোগ। এনিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে এই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের এবং প্রসূতি মায়েদের পরিচর্চার দায়িত্ব এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এর বাইরেও তাঁদের অনেক সরকারি কাজ করানো হয়। পালস পোলিও, দুয়ারে সরকারের শিবির, নির্বাচন, স্বাস্থ্যশিবির সবেতেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ‘ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো’।

    সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি কেন ?

    এই অমানুষিক পরিশ্রম করেও ন্যায্য সাম্মানিক পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকেও তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সুবীর সাহা। তাঁর অভিযোগ, সীমাহীন বঞ্চনার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে সরকারি স্থায়ী পদে নিয়োগের সুযোগ কেড়ে নেওয়া। তিনি বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সহকারি স্থায়ী সুপারভাইজার পদে উন্নীত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। রাজ্যে ৩৪০০ সুপারভাইজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তাতে ১৭০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিয়োগ করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র ৪১২ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১৩০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না। প্রায় ১৩০০ সুপারভাইজার পদে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মী-মন্ত্রীরা দুর্নীতি (Anganwadi Corruption) করছেন। এ নিয়ে আমরা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এবার সব বিধায়ক ও সাংসদের কাছে এই তথ্য তুলে ধরা হবে। তারপর আমরা এই সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব। 

    মোবাইল নিয়েও দুর্নীতি ?

    অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খবর রয়েছে কেন্দ্র সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য আট হাজার টাকা করে দিয়েছে। কেননা এখন সবকিছুই অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন থেকে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সেই মোবাইল কেনার টাকা পাননি (Anganwadi Corruption)। কেউ গয়না বিক্রি করে, কেউ ধারদেনা করে মোবাইল কিনে সরকারি কাজ করছেন। রাজ্যের ১ লক্ষ ১৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে মোবাইল কেনার টাকা দেয়নি রাজ্য সরকার।
    কুড়ি থেকে ৬৫ বছর বয়সের মহিলাদের অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকছে। ৬৫ বছর হয়ে গেলে সেই কর্মীদের অবসর নিতে হয়। অবসরের সময় এককালীন মাত্র তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সুবীরবাবু বলেন, আমাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মাড়োয়ারি ভবনে গত আট এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি তৃতীয় রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮টি জেলা থেকেই প্রায় তিন হাজার সদস্যা উপস্থিত হয়েছিলেন। আর এই বিপুল সমাবেশ শিলিগুড়ি বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এই সম্মেলনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রতি রাজ্যের সীমাহীন শোষণ, বঞ্চনা ও অবিচার (Anganwadi Corruption) নিয়ে সরব হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে পথ অবরোধ বালুরঘাটে

    Balurghat: রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে পথ অবরোধ বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উদাসীনতায় সংস্কারও হয়না। এই দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বালুরঘাটের ভেরেন্ডা এলাকার বাসিন্দারা।

    ভেরেন্ডা মোড় থেকে আসইর গ্রাম পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ দিন খারাপ

    চলাচলের একমাত্র রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সোমবার সকালে বালুরঘাট ব্লকের ভেরেন্ডা এলাকায় বালুরঘাট-তপন রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। চলতে থাকে বিক্ষোভ ও স্লোগান। ব্যস্ততম রাজ্য সড়ক অবরোধ হওয়ার দরুন আটকে পরে যানবাহন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। জানা গেছে, ভেরেন্ডা মোড় থেকে আসইর গ্রাম পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও হেলদোল নেই নেতা থেকে প্রশাসনিক আধিকারিক কারোরই। এদিন ওই এলাকায় খাঁড়ির উপর ভাঙা সেতুরও সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন অবরোধকারীরা। প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের প্রতিশ্রুতি না মিললে তাঁরা পথ অবরোধ তুলবেন না। 

    প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও অবরোধ তোলেননি আন্দোলনকারীরা, এমনটাই জানা গেছে। এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে আটকে পড়ে গঙ্গারামপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের গাড়ি। পরে তিনি ঘুরপথে খাসপুর হয়ে বালুরঘাটে। মূলত আদিবাসী সমাজের মহিলারা এই পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন।

    কী বলছেন অবরোধকারীরা ?

    বেহাল রাস্তার কারণেই তাঁর শ্বশুর পথ দুর্ঘটনায় মারা যান, এই অভিযোগ তুলে সরস্বতী সোরেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল এই রাস্তা। আজ আমরা তাই সবাই জড়ো হয়েছি রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে। অন্যদিকে একই মত বাণী মুর্মুর। তিনি বলেন, প্রতিদিন রোগী থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা এদিকে যাতায়াত করে। রাস্তা এমন হয়ে থাকলে যেকোনও মুহুর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর আগেও বেহাল রাস্তার কারণে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন বাণীদেবী।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে অনশনে বসবেন পাইলট

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: গোল্লায় যাক শিশুদের মিড ডে মিল! মধুভাণ্ডের কাড়াকাড়িতেই মত্ত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী

    Mid Day Meal: গোল্লায় যাক শিশুদের মিড ডে মিল! মধুভাণ্ডের কাড়াকাড়িতেই মত্ত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মাদার ও যুব সংগঠনের দুই নেতার বিবাদে সমস্যায় করণদিঘির আলতাপুর হাইস্কুল। অভিযোগ, মিড-ডে-মিল (Mid Day Meal) সহ স্কুল পরিচালন কমিটির হিসাবের টাকার ভাগ কে কতটা পাবে, তা নিয়েই এই বিবাদের সৃষ্টি। এই বিবাদ ধীরে ধীরে হাতাহাতি থেকে হানাহানি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে৷ প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগও পৌঁছেছে থানা থেকে জেলাশাসক পর্যন্ত। 
    এইসব গোলমালে আলতাপুর স্কুলের উন্নয়ন, পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিল সব গোল্লায় যেতে বসেছে বলে বিরোধী দলের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ। স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন প্রকাশ্যেই। তাদের এক পক্ষের দাবি, হিসেব চাইতেই পরিচালন সমিতির সদস্যকে মারধর করেছেন অন্যজন। 

    স্কুল চালাতে সমস্যা হচ্ছে, স্বীকার প্রধান শিক্ষকের

    প্রধান শিক্ষক অবশ্য দাবি করেছেন, স্কুলের সবকিছু চলছে নিয়ম মেনেই। তবে গোলমালের কথা স্বীকার করেছেন তিনি এবং সেই গোলমালে স্কুল চালাতে সমস্যার কথাও গোপন করেননি তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মিটতে পারত। যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পরিচালন সমিতির সদস্য লিখিত অভিযোগ করেছেন, তাই তিনিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সবটা লিখিত আকারে জানাবেন। সব মিলিয়ে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর হাইস্কুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য বিভিন্ন মহলে। 

    অভিযোগ থানা এবং জেলাশাসককেও

    করণদিঘির আলতাপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অন্য দুই সদস্যর মধ্যে মারামারির ঘটনায় চলতি মাসের ২ তারিখ করণদিঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিচালন সমিতির সদস্য আবু তাহিরের স্ত্রী। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাঃ হানিফ তাঁর স্বামী আবু তাহিরকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় আহত আবু তাহির রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরে চলতি মাসের ৫ তারিখ আবু তাহির ও স্কুল পরিচালন সমিতির আরও ২ সদস্য জেলাশাসক সহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে মিড-ডে-মিল ঠিকভাবে খাওয়ানো হয় না। পুষ্টির খাবারও সঠিকভাবে দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের। পাশাপাশি স্কুলের পরিচালন সমিতির কোনও বৈঠক হয় না কোনওদিন। এই সমস্ত বেনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। শুধু তাই নয়, পড়ুয়া ভর্তি বা মিড ডে মিল (Mid Day Meal)-সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে তাঁদের অন্ধকারে রেখেই পরিচালন সমিতির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দুজনের যোগশাজশেই স্কুলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত মিড-ডে-মিলে অবৈধ কারবার চলছে বলে অভিযোগ। 

    কী বলছেন পরিচালন কমিটির সভাপতি ? 

    যদিও মিড-ডে-মিলের (Mid Day Meal) টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্তে সায় না দেওয়াতেই এই চক্রান্ত বলে পাল্টা দাবি করেন অভিযুক্ত পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাঃ হানিফ। তাঁর দাবি, মিড-ডে-মিলের টাকা হাতানোর ছক ছিল অভিযোগকারীদের।

    আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির

    তবে সব মিলিয়ে পরিচালন সমিতির অন্দরে এই বচসা বা তীব্র দ্বন্দ্বে স্কুলের একটা বড় ক্ষতি হতে বসেছে এবং তার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের উপর পড়ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের মাদার এবং যুব সংগঠনের দুই নেতা মিড-ডে-মিলের টাকার বখরা নিয়ে গোলমাল পাকানোয় আলতাপুর হাইস্কুলের উন্নয়ন, পড়াশোনা ও মিড-ডে-মিল (Mid Day Meal) গোল্লায় যাচ্ছে। প্রশাসনকে সক্রিয় হয়ে সবটা সামাল দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদি প্রশাসন সঠিক ভুমিকা গ্রহণ না করে, তবে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Special Team: আসছেন ৭ অভিজ্ঞ অফিসার! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স সিবিআই-এর

    CBI Special Team: আসছেন ৭ অভিজ্ঞ অফিসার! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) গড়তে চলেছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে পাঠানো হচ্ছে সাত জন সিবিআই আধিকারিককে। এর মধ্যে এক জন এসপি, তিন জন ডিএসপি, দু’জন ইন্সপেক্টর, এক জন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। 

    কেন এই দল?

    সিবিআই সূত্রে খবর, নয়াদিল্লি, বিশাখাপত্তনম, রাঁচি, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর এবং ভোপালের সিবিআই দফতর থেকে সাত জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিককে (CBI Special Team) কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। শীঘ্রই এই সাত আধিকারিককে নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩০মে পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দু’মাসের জন্য এই সাত আধিকারিককে কলকাতার সিবিআই দফতরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় বিচারকের সামনে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। তদন্ত কবে শেষ হবে? বার বার সিবিআইকে বিচারকের এই প্রশ্নর মুখে পড়তে হয়। তাই এবার তদন্তে গতি আনতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করল।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    কারা আছেন দলে?

    সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে নয়াদিল্লিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ উঠে আসছে। সামনে আসছে আরও নতুন নতুন নাম। আর সেই কারণেই তদন্তের সুবিধার্থে আরও আধিকারিকদের কলকাতায় পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসের তরফে। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন নিউ দিল্লি ইও-৩-এর এসপি কল্যাণ ভট্টাচাৰ্য, বিশাখাপত্তনম ডিএসপি সিবিআই এসিবি-এর সঞ্জয় কুমার সামল, ভুবেনশ্বর সিবিআই সিএসপি ইও -৭-এক গিরিশ কুমার প্রধান, রাঁচি ডিএসপি ইওবি সিবিআই কৃষ্ণ কুমার সিং, ভুপাল সিবিআই-এর এসিবি ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার প্যাটেল, বিশাখাপত্তনমের এসিবি সিবিআই ইন্সপেক্টর অজয় কুমার তুম্মলা, ধানবাদ এসিবি সিবিআই সাব ইন্সপেক্টর অবিনাশ কুমার। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে (Recruitment Scam) সিবিআই ও ইডি সমান্তরাল ভাবে তদন্ত করছে। যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেকটাই। সেসবকে এক সুতোয় বাঁধতে সিবিআই -এর (CBI Special Team) এই দল, বলে অনুমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gajan: চৈত্র শেষে গাজন উৎসবে মেতে উঠেছে গ্রাম বাংলা, জানুন এর ঐতিহ্য ও তাৎপর্য

    Gajan: চৈত্র শেষে গাজন উৎসবে মেতে উঠেছে গ্রাম বাংলা, জানুন এর ঐতিহ্য ও তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র মাসের শেষবেলায় গ্রাম বাংলা মেতে উঠেছে গাজনে (Gajan)। বোলান গানের সুরে দেবাদিদেব মহাদেবের স্মরণ ও পুজো এই বাংলার বহু প্রাচীন রীতি। কত প্রচলিত ছড়া জুড়ে রয়েছে গাজনকে (Gajan) ঘিরে— 

    ‘আমরা দুটি ভাই, শিবের গাজন গাই
    ঠাকুমা গেছে গয়া কাশী 
    ডুগডুগি বাজাই…’

    গাজন (Gajan) শব্দের মানে কী ?

    গবেষকদের মতে, গা শব্দের অর্থ হল গ্রাম। এবং জন মানে জনগণ। বিশ্বাস মতে, এই সময় হর কালীর বিবাহ হয়েছিল। শিব হলেন জনগণের দেবতা। গ্রামের জনগণ সবাই দেবতার বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার উদ্দেশে সমবেত হন। আবার অন্য একটি মত হল, গাজন (Gajan) শব্দটি এসেছে ‘গর্জন’ থেকে। অনেকে বলেন, সন্ন্যাসীদের হুঙ্কারই শিবসাধনায় গাজন নামে প্রচলিত হয়। বাংলার মঙ্গলকাব্যেও গাজনের উল্লেখ মেলে। ধর্মমঙ্গল কাব্যে রাণী রঞ্জাবতী ধর্মকে তুষ্ট করতে গাজন (Gajan) পালন করেছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। গাজন বা চরক শুধুই শিবের আরাধনা হলেও এই উৎসব পালিত হয় ধর্মরাজকে ঘিরেও। আর দুই দেবতার পুজোতেই জাতপাতের ভেদাভেদ ভেঙে যে কেউ অংশ নিতে পারে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি। নানা ধরণের প্রচলিত লোককথা রয়েছে গাজন (Gajan) নিয়ে। শোনা যায়, শিবভক্ত বান রাজা ইষ্ট দেবতাকে তুষ্ট করতে কঠিন কৃচ্ছ্বসাধনের মধ্য দিয়ে তপস্যা করেন। সেই সূত্র ধরেই চড়কের শিবভক্ত সন্ন্যাসীরা আজও বান ফোঁড়ান, নানা ধরনের ঝাঁপ দেন। যা বেশির ভাগই অত্যন্ত কষ্টের। থাকে নানা অদ্ভূত আচার। জীবনের ঝুঁকিও নেন সন্ন্যাসীরা। বাংলার কোথাও কোথাও গাজনে (Gajan) নরমুণ্ড নিয়ে নাচও দেখা যায়।

    পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে গাজনের (Gajan)

    পুরাণেও রয়েছে গাজনের উল্লেখ। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে রয়েছে– ‘‘চৈত্র মাস্যথ মাঘেবা যোহর্চ্চয়েৎ শঙ্করব্রতী। করোতি নর্ত্তনং ভক্ত্যা বেত্রবানি দিবাশিনম্।। মাসং বাপ্যর্দ্ধমাসং বা দশ সপ্তদিনানি বা। দিনমানং যুগং সোহপি শিবলোক মহীয়তে।।’’ অর্থাৎ, চৈত্র মাসে কিংবা কোনও শিবভক্ত যদি মাঘ মাসে এক, সাত, দশ, পনেরো কিংবা তিরিশ দিন বেতের লাঠি হাতে নিয়ে নৃত্য করেন তবে তাঁর শিবলোক প্রাপ্ত হয়।

    গাজন (Gajan) উৎসব

    গ্রামবাংলার পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও এখন গাজনের ছবি দেখা যায়। চৈত্র মাসের শুরু থেকেই ধ্বনিত হয় ‘ভোলে বাবা বুড়ো শিব…’। গৃহীরাই সন্ন্যাস নেন। সারাদিন সন্ন্যাসীরা পথে পথে ঘুরে ভিক্ষা করেন। দিনভর উপবাসের পরে ভিক্ষায় মেলা চাল, সবজি রান্না করে খান।

    বিভিন্ন প্রান্তে গাজনের আঞ্চলিক বৈচিত্র দেখা যায়। কোথাও মুখোশ নৃত্য, কোথাও প্রতীকী শিবলিঙ্গ মাথায় নিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পথ পরিক্রমা করেন ব্রতধারী সন্ন্যাসীরা। অনেক জেলায় আবার এই সময়ে কালীনাচ দেখা যায়।

    গাজন অংশ হিসেবেই পরের দিন পালিত হয় নীল পুজো। সনাতন সংস্কৃতি মেনে সন্তানের মঙ্গল কামনায় গাজন সন্ন্যাসীদের ফল, আতপচাল, ও অর্থ দান করেন মায়েরা। অনেকে গোটা দিন উপবাস করে শিবের পুজো দেন। কেউ দিনের শেষে সাবু মাখা খান, কেউ রুটি, লুচি। আর চৈত্রের একেবারে শেষ দিনে উদ্‌যাপিত হয় চড়ক। গাজনতলায় হয় চড়কগাছের পুজো। চড়কগাছ মানে একটি লম্বা কাঠের দণ্ড। তার উপরে অনেকটা উঁচুতে আংটায় ঝুলে থাকা জনা সন্ন্যাসীরা ক্রমাগত ঘুরপাক খান। এ দৃশ্য খোদ কলকাতাতেও দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: নববর্ষে তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি! কিছুদিন চলবে পোড়া গরম, বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    Weather Report: নববর্ষে তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি! কিছুদিন চলবে পোড়া গরম, বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে বলবে তিনমাস আগেও শীতকাল ছিল! লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে থাকতে হতো। শেষ চৈত্রের তাপপ্রবাহ সেসব ভুলিয়ে দিয়েছে। আর ক’দিন পরে বাঙালি মেতে উঠবে নতুন বছরকে বরণ করতে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়বে বলছেন আবহাওয়াবিদরা। সপ্তাহের প্রথম দিনেই চল্লিশ ছুঁয়ে ফেলতে পারে পশ্চিমাঞ্চলের পারদ। সপ্তাহের মাঝামাঝি চল্লিশের ঘরে ঢুকতে পারে কলকাতার তাপমাত্রাও। সংক্রান্তি, নববর্ষ– দু’দিনই ৪০-৪১ এমনকী ৪২ ডিগ্রির গরমও সইতে হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাকে। জলীয় বাষ্প তলানিতে। তাই তপ্ত মাটি ভেজার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। শুকনো গরমের একচ্ছত্র দাপট চলবে।

    কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা (Weather Report)

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার থেকেই রাজ্যে বাড়বে গরম। ৬-৭ জেলায় স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকতে পারে তাপমাত্রা। কলকাতার পারদ ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি। ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে হতে পারে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা বীরভূম, বাঁকু়ডা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিতে। এছাড়াও দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির দেখা না মিললেও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে, এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারও কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 

    আপাতত নেই বৃষ্টির সম্ভাবনাও

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন, আগানী পাঁচ দিন বাংলায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টে বাড়বে তাপপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চল, উপকূল সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা থাকছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ১২ ও ১৩ তারিখ কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছবে ৩৯ ডিগ্রিতে। তারপরে তা ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রির ঘরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Accident: ফের বেপরোয়া গতি! দমদম পার্ক মোড়ে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৫

    Kolkata Accident: ফের বেপরোয়া গতি! দমদম পার্ক মোড়ে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের কলকাতায় (Kolkata Accident) ফের বেপরোয়া গতির বলি পাঁচ জন। রবিবার মধ্যরাতে লেকটাউন থানা এলাকার দমদম পার্ক (Dumdum Park) মোড়ে ভয়াবহ একটি পথ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলা সহ তিন জনের। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে দ্রুত গতিতে আসা একটি প্রাইভেট গাড়ি ধাক্কা মারে। একই সঙ্গে ধাক্কা মারে একটি বাইকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই প্রাইভেট গাড়িটিতে এক মহিলা সহ চার জন ছিল। বাইকে ছিল দুজন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি একজন। 

    পরিচয় অজানা

    জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ দমদম পার্ক (Kolkata Accident) মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালের লাল আলো দেখে থামে একটি লরি। সেই সময়ই পিছন থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আসছিল একটি এসইউভি গাড়ি। বেপরোয়া গতিতে থাকা ওই চারচাকাটি প্রথমে একটি বাইকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাইক চালক। তারপরই এসইউভি গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকা ওই লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। যার জেরে চারচাকার সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। সামনের কাচ ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে। বনেটের উপর ছিটকে পড়েন সামনের আসনে বসা মহিলা ও গাড়ির চালক। দুর্ঘটনার পর থেকে লরিটির আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত মৃত বা আহত কারোরই পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    তদন্তে লেকটাউন থানার পুলিশ

    ঘটনার তদন্তে নেমেছে লেকটাউন থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুর্ঘটনার সময়ে দমদম পার্ক (Kolkata Accident) মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ। রাস্তায় বসানো স্পিড মিটারগুলি পরীক্ষা করে এই গাড়ির গতিবেগ কত ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার গাড়ির ফরেন্সিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। পুলিশ সূত্রে খবর ও স্থানীয়দের দাবি ওই চারচাকা প্রাইভেট গাড়িতে থাকা প্রত্যেকে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল তারা। আর তার জেরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরেই সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে ধাক্কা মারে গাড়িটি। চারচাকা গাড়ি এবং বাইকটিকে লেকটাউন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    গত কয়েকদিনের মধ্যেই কলকাতায় একাধিক দুর্ঘটনা (Kolkata Accident) ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাতের দিকে বা ভোরের আলো ফোটার ঠিক আগে ঘটেছে দুর্ঘটনা। দিনকয়েক আগেই ঠাকুরপুকুর থানার এক পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছিলেন। ভোরে ডিউটি আসার পথে থানার সামনে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে একটি লরি। কয়েকদিন আগেই চিংড়িঘাটার মোড়েও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি বাস। তার ঠিক আগেই দক্ষিণ কলকাতার সুকান্ত সেতুতে মত্ত অবস্থায় বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল এক তরুণের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share